‘রানার ছুটেছে তাই ঝুম ঝুম ঘণ্টা বাজছে রাতে। রানার চলেছে খবরের বোঝা হাতে, রানার রানার চলেছে, রানার’- হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের বিখ্যাত গানের সেই রানার আজ নেই। ডাক বিভাগে লেগেছে অধুনিকতার ছোঁয়া। তবে এত কিছুর পরও দিন দিন কমেছে চিঠি। গত ৫ বছরে ডাক বিভাগের চিঠি কমেছে অর্ধেক। শুধুমাত্র সরকারি কাজে ও অফিসিয়িাল ছাড়া ডাক বিভাগে আর ব্যক্তিগত চিঠি আসে না। যদিও বিভাগের কর্মকর্তাদের দাবি ডাক বিভাগের আধুনিকায়ন করা হয়েছে। তবে কমেছে চিঠি।
আজ ১ সেপ্টেম্বর। দিনটি আন্তর্জাতিক চিঠি দিবস হিসেবে স্বীকৃত। বহু আগে ইংরেজ কথাকার সমারসেট মম যা বলেছিলেন, বর্তমানের বাস্তবতায় সেটাই সত্যি। চিঠি লেখা আসলেই এক হারিয়ে যাওয়া শিল্প। ‘ভাল আছি ভাল থেকো আকাশের ঠিকানায় চিঠি লিখো’, এই গানের বোল বাঁধতে গিয়ে কবি রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ কি কোনো দিন ভেবেছিলেন যে মানুষ একসময় শুধুই আকাশের ঠিকানায় অর্থাৎ অন্তর্জালে (ই-মেইলে) চিঠি লিখবে! শেরশাহের ঘোড়ার ডাক প্রচলনের আগে কীভাবে চিঠি আদান-প্রদান হতো, তা নিয়ে দ্বিমত থাকলেও আজকাল দাপ্তরিক কাজের নথি বা আবেদনপত্রের ঝক্কি ছাড়া কেউ ডাকঘরে যে আর যায় না, সে সবারই জানা। অথচ একসময়ে দূরে থাকা আপনজনের সঙ্গে যোগাযোগের একটি মাধ্যমই ছিল চিঠি। শুধু দূরে নয়, অন্তরের খুব কাছের কাউকে মুখে না বলতে পারা কথাগুলোও সযত্নে সাজিয়ে নেওয়া হতো চিঠিতে। এক একটি চিঠিতে কত যে গল্প, কত যে ইতিহাস থাকত! আর থাকত টইটম্বুর আবেগ।
রাজশাহী ডাক বিভাগের তথ্য মতে, ২০১৭ সালের জুলাইয়ে উত্তরাঞ্চলের চিঠি ও অন্যান্য পার্সেল হয়েছে চার লাখ ২৭ হাজার ৭৩৬টি। এসব থেকে ডাক বিভাগের আয় হয় ৩৪ লাখ ৪৩ হাজার ১২৬ টাকা। এর মধ্যে সাধারণ চিঠি দুই লাখ ৫৭ হাজার ২৩৬টি। বিদেশে থেকে সাধারণ চিঠি আসে ৬৯৫টি। রেজিস্ট্রি চিঠি হয়েছে এক লাখ ১৪ হাজার ৯৯৪টি। বিদেশ থেকে এসেছে ২২৩টি। পার্সেল এসেছে আট হাজার ৪০৫টি। বিদেশ থেকে এসেছে দুটি। জিইপি হয়েছে চার লাখ ছয় হাজার ২১টি ও ইএমএস হয়েছে ১৬০টি।
আর ২০২৩ সালের জুলাইয়ে উত্তরাঞ্চলের চিঠি ও অন্যান্য পার্সেল হয়েছে দুই লাখ ৪৪ হাজার ৮৩৫টি। এসব থেকে আয় হয়েছে ২৫ লাখ ৪২ হাজার ১৪৬ টাকা। এর মধ্যে সাধারণ চিঠি এসেছে ৯৯ হাজার ২৪৯টি। বিদেশে থেকে সাধারণ চিঠি এসেছে ৪০টি। রেজিস্ট্রি চিঠি হয়েছে এক লাখ ১০ হাজার ৬৫০টি। বিদেশ থেকে এসেছে ৩৯টি। পার্সেল এসেছে তিন হাজার ৮৯৩টি। বিদেশ থেকে এসেছে ছয়টি। জিইপি হয়েছে তিন লাখ ৬৮১টি ও ইএমএস হয়েছে ২৬২টি।
গত ৫ বছরে ডাক বিভাগের চিঠি কমেছে এক লাখ ৮২ হাজার ৯০১টি। আয় কমেছে ৯ লাখ ৯৮০ টাকা।
এদিকে রাজশাহীতে দিন দিন বাড়ছে বেসরকারি কুরিয়ার সার্ভিসের চাহিদা। রাজশাহীতে প্রতিটি কুরিয়ার সার্ভিসেই এখন বাড়তি চাপ। বিশেষ করে আমের মৌসুমে এসব কুরিয়ার সার্ভিসের চাহিদা বেড়ে যায় কয়েকগুন।
সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস লি. রাজশাহী অঞ্চলের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার আলতাফ হোসেন বলেন, রাজশাহী অঞ্চলে প্রতি মাসে গড়ে ৪০ হাজারেরও বেশি চিঠি আদান প্রদান হয়। মানুষকে সুন্দরভাবে চিঠি পৌঁছে দেওয়ার কারণেই মানুষ আমাদের বেছে নেয়।
রাজশাহী সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসে অফিসের চিঠি বুকিং করছিলেন বেসরকারি একটি অফিসের কর্মচারী মো. নাদিম। তিনি বলেন, প্রায় প্রতিদিনই এখানে আসতে হয়। অফিস থেকেই বলে দেয় এখান থেকে চিঠি পাঠাতে।
ডাক বিভাগের কথা বললে তিনি বলেন, আমি ১০ বছর ধরে চাকরি করি। এর মধ্যে কোনোদিন অফিস থেকে ডাকে চিঠি পাঠাতে বলেনি। তাদের সেবার মান ভালো না। তাই এখানে দেয়। এছাড়া রাতেও বুকিং করা যায়। ডাকেতো আর বিকেল ৪টার পর বুকিং দেওয়া যায় না।
তার পাশেই দাঁড়িয়ে ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন। তিনি বন্ধুকে আম পাঠাতে এসেছেন। বলেন, আগে যোগাযোগ ছিল না। তখন বাবা-মা, স্ত্রী, বন্ধু সবাইকে চিঠি দিতাম। এখনতো আর সেইদিন নেই। এখন সবাই চায় দ্রুত উত্তর পেতে। একটু দেরি হলে কল দিয়ে তাড়াতাড়ি উত্তর দিতে বলে।
তিনি বলেন, আগের সেই দিনের মতো এখন আর চিঠি নেই। সেই চিঠিতে যে কত আবেগ ছিল সেটি বলে বোঝাতে পারবো না। সেই চিঠির জন্য মানুষ অধীর অপেক্ষাও করতো। সেটা একটা মধুর সময় ছিল।
রাজশাহী অঞ্চলের অতিরিক্ত পোস্টমাস্টার জেনারেল শেখ সাইফুল আলম বলেন, চিঠির সংখ্যা শুধু রাজশাহীতে বা বাংলাদেশে কমেনি, এটা সারাবিশ্বেই কমেছে। মূলত ডিজিটাল সুবিধার কারণেই চিঠি কমেছে। মানুষ এখন ফেসবুক, ম্যাসেঞ্জার, ইমেইলে তাৎক্ষণিক যোগাযোগ করছে। ফলে ব্যক্তিগত চিঠি নেই বললেই চলে। অফিসিয়িাল চিঠি এখন আসছে। ব্যাংক ও বীমা প্রতিষ্ঠানগুলোর চিঠি অনেক বাড়ছে।
তিনি বলেন, এ সরকারের আমলে ১০১২-১৩ সালে ডাক বিভাগের অ্যাক্ট হয়। এর ফলে ডাক বিভাগের সঙ্গে কুরিয়ারের কম্পিটিশন বাড়ছে। আমাদের আনেক সেবা সম্পর্কে মানুষ জানেও না। ডোমেস্টিক মেইলে আমাদের একটি যুগান্তকারী কাজ হয়েছে। এখন চিঠি কতদূর গেলো সেটি গ্রাহক নিজে ট্র্যাকিং করে দেখতে পারবে। আশা করছি ভালো একটি সময় আসছে।
বিশ্ব চিঠি দিবস প্রযুক্তি কল্যাণ আবেগ অনুভূতি চিঠি
মন্তব্য করুন
অরাজনৈতিক ও বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে নওগাঁয় দিন ব্যাপি ফ্রী মেডিকেল ক্যাম্প, স্বাস্থ্যসেবা ও বিনামূল্যে ওষুধ বিতরণ করা হয়েছে। মে দিবস উপলক্ষে বুধবার (১ মে) জগৎসিংহপুর বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশনের অডিটোরিয়ামে ও বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশনের উদ্যোগ ফ্রী মেডিকেল ক্যাম্প ও স্বাস্থ্য সেবা অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত ক্যাম্পে প্রধান অতিথি ছিলেন নওগাঁ চেম্বার অফ কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি এর সভাপতি মোহাম্মদ ইকবাল শাহরিয়ার রাসেল সিআইপি।
দিন ব্যাপী এই ফ্রী মেডিকেল ক্যাম্পের মাধ্যমে প্রায় এক হাজার দরিদ্র নারী ও পুরুষের মাঝে ফ্রি চিকিৎসা পত্র ও ফ্রি ঔষধ বিতরণ করা হয়।
মন্তব্য করুন
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষা মন্ত্রণালয়
মন্তব্য করুন
রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে পরিবহন থেকে চাঁদা আদায়ের অভিযোগে চক্রের
অন্যতম মূলহোতা মারুফসহ ১১ চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১০।
গ্রেপ্তারকৃতরা হল, মূলহোতা মো. মারুফ (৩৮), মো. ইমরান হোসেন (৩৫),
মো. জাকির হোসেন (২৩), মো. রায়হান (২২), মো. চয়ন (১৮), মো. আপন (১৮), মো. রুহুল আমিন
(৪০), মো. আল আমিন (২৫), মো. তানজির (২৪), মো. এহসান আহম্মেদ সজীব (২৬) ও মো. আরিফুল
হাসান শাওন (১৮)।
এসময় তাদের কাছ থেকে আদায় করা চাঁদার নগদ ১২ হাজার ৩২০ টাকা এবং
১১টি কাঠের লাঠি উদ্ধার করা হয়। বৃহস্পতিবার (২ মে) র্যাব-১০ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া)
এএসপি এম. জে. সোহেল এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ২ মে ভোর সাড়ে ৪টা থেকে সকাল ৭টা ১০ মিনিট পর্যন্ত র্যাব-১০
এর একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে যাত্রাবাড়ী এলাকায় একাধিক অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে
আন্তঃজেলা ট্রাক, কাভার্ডভ্যান, লরি ও সিএনজিসহ বিভিন্ন পরিবহন থেকে অবৈধভাবে চাঁদা
উত্তোলনকালে পরিবহন চাঁদাবাজ চক্রের অন্যতম মূলহোতাসহ ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
এএসপি সোহেল আরও বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, তারা বেশ কিছুদিন
ধরে যাত্রাবাড়ীসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় আন্তঃজেলা ট্রাক, কাভার্ডভ্যান, লরি ও সিএনজিসহ
বিভিন্ন পরিবহনের ড্রাইভার ও হেলপারদের সঙ্গে অশোভন আচণের মাধ্যমে ক্ষয়ক্ষতি ও ভয়ভীতি
দেখিয়ে অবৈধভাবে জোর করে চাঁদা আদায় করে আসছিল।
গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজুর পর সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান র্যাবের এ কর্মকর্তা।
রাজধানী পরিবহন চাঁদাবাজি গ্রেপ্তার
মন্তব্য করুন
থাইল্যান্ডের সঙ্গে অংশীদারত্বের নতুন যুগের সূচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, থাইল্যান্ডে আমার সরকারি সফরটি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের
ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে। এটি আমাদের দুই দেশের মধ্যে ফলপ্রসূ অংশীদারিত্বের
একটি নতুন যুগের সূচনা করেছে।
বৃহস্পতিবার (০২ মে) গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলে প্রধানমন্ত্রী।
এসময় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ইস্যুতে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর
সঙ্গে আলোচনা হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, থাইল্যান্ডকে দ্বিপাক্ষিকভাবে এবং আঞ্চলিক
জোট আসিয়ানে রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসনে জোরালো অবস্থান নেওয়ায় সহায়তা করবে মর্মে
আমি আশাবাদী।
শেখ হাসিনা বলেন, সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক স্বার্থ সুরক্ষা
এবং আঞ্চলিক সম্পৃক্ততা বৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশের বিশেষ প্রয়াস হিসেবে সফরটি সফল ও ফলপ্রসূ
হয়েছে বলে আমি মনে করি।
থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে দুই দেশের
মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদারে দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক উভয় সফরের অংশ হিসেবে
২৪ এপ্রিল ব্যাংকক পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
থাইল্যান্ডে ছয় দিনের সরকারি সফর শেষে প্রধানমন্ত্রী গত সোমবার
(২৯ এপ্রিল) ব্যাংকক থেকে দেশে ফেরেন।
সফর প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ সফরে দ্বিপাক্ষিক ব্যবসা-বাণিজ্য
বৃদ্ধিসহ মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির আলোচনা শুরুর বিষয়ে অগ্রগতি, আন্তঃযোগাযোগ বৃদ্ধি প্রভৃতি
দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক সম্পর্ক সুদৃঢ়করণে বিশেষ গুরুত্ব পালন করবে। ২০২৪ সালের মধ্যে
বাংলাদেশের আসিয়ানের ‘সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনার’- এর প্রার্থিতা লাভের জন্য এ সফর উল্লেখযোগ্য
ভূমিকা রাখবে।
মন্তব্য করুন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমার শক্তি দেশের জনগণ। জনগণের
শক্তির উপর আমরা বিশ্বাস করেছি। এবং আমি এটাও বিশ্বাস করেছি যে, জনগণ যতক্ষণ চাইবে
ততক্ষণই থাকবো ক্ষমতায়। কারণ আমরা ভোটে নির্বাচিত হয়ে এসেছি। আমাদের দল কোন অবৈধভাবে
ক্ষমতা দখলকারী কোন মিলিটারি ডিক্টেটরের পকেট থেকে বের হয়নি।
বৃহস্পতিবার (০২ মে) সকাল সাড়ে ১১টায় গণভবনে থাইল্যান্ড সফর নিয়ে
সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু
করে মানুষের আর্থ সামাজিক যে উন্নয়ন সেটাকে সামনে রেখে আমাদের বাংলাদেশের মানুষ যে
শোষণ ও বঞ্চনার স্বীকার হচ্ছিল তার বিরুদ্ধে দাড়াবার জন্য আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠা লাভ
করেছে। কাজেই, আওয়ামী লীগ সবসময় মানুষের কল্যাণে কাজ করে এটা প্রমাণিত সত্য। যে কারণে
যতই চক্রান্ত হয় সে চক্রান্ত হলেও তা আমরা পাশ কাটিয়ে দেশের মানুষকে নিয়ে আবার বিজয়
নিয়ে আসি। এখানে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলনই ঘটেছে। যারা গণতন্ত্র নাই, ভোটের অধিকার নাই
বলে তারাইতো ভোটের অধিকার মানুষের কেড়ে নিয়েছিল এটা তারা ভুলে যায়। আর অনেকে নানা ধরনের
কথা বলে। কেউ উন্নয়ন চোখে দেখে, কেউ দেখে না। কারণ তাদের হয়তো উন্নয়নের ফর্মুলা ভিন্ন।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন আমরা জনগনের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করেই করেছি।
এবং বাংলাদেশের পুরো নির্বাচন ইতিহাসটা যদি দেখেন তাহলে ৭৫ এর পর থেকে যতগুলো নির্বাচন,
৭৭ সালের হ্যা না ভোট থেকে শুরু করে যতগুলো নির্বাচন প্রত্যেকটি নির্বাচন একটু ভালো
করে তুলনা করলে দেখা যাবে যে, ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারী নির্বাচন প্রত্যেক নির্বাচনের
তুলনায় সবচেয়ে বেশি অবাধ, সুষ্ঠু এবং জনগনের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করার নির্বাচন হয়েছে।
উপজেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা চাই নির্বাচন
যেন প্রভাবমুক্ত হয়। মানুষ যাতে স্বাধীনভাবে ভোট দিতে পারে। সেটাই আমাদের লক্ষ্য।
ফিলিস্তিন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ইতিমধ্যেই দুই দুই বার ফিলিস্তিনের জন্য সহযোগিতা পাঠিয়েছি এবং আরও পাঠাবো। সে প্রস্তুতিও আমরা নিয়েছি। এভাবেই আমরা ফিলিস্তিনের পক্ষে আছি এবং আন্তর্জাতিকভাবে তাদের পাশে দাড়াচ্ছি। যেখানে নির্যাতিত মানুষ সেখানেই বাংলাদেশ আছে।
এর আগে সোমবার (২৯ এপ্রিল) প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে ছয় দিনের
সরকারি সফর শেষে ব্যাংকক থেকে দেশে ফিরেছেন। সফরকালে শেখ হাসিনা গভর্নমেন্ট হাউসে
(থাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়) থাই প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক
বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে দুই নেতার উপস্থিতিতে বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে ভিসা অব্যাহতি,
জ্বালানি সহযোগিতা, পর্যটন ও শুল্ক সংক্রান্ত বিষয় এবং মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির (এফটিএ)
আলোচনার বিষয়ে পাঁচটি দ্বিপাক্ষিক নথি সই হয়।
পাশাপাশি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী দুসিত প্রাসাদের অ্যামফোর্ন
সাথার্ন থ্রোন হলে থাইল্যান্ডের রাজা মহা ভাজিরালংকর্ন ফ্রা ভাজিরা-ক্লাওচা-উয়ুয়া এবং
রাণী সুথিদা বজ্রসুধা-বিমলা-লক্ষণের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
গত বুধবার (২৪ এপ্রিল) থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী শ্রেথা থাভিসিনের
আমন্ত্রণে বিকেলে ব্যাংককে পৌঁছান শেখ হাসিনা। ডন মুয়াং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে
লাল গালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
থাইল্যান্ডের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫২ বছরে বাংলাদেশের সরকারপ্রধান
পর্যায়ে এটাই ছিল প্রথম সফর। সফরটি প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ‘প্রতিবেশী’ নীতির ওপর
বৃহত্তর মনোনিবেশের অংশ হিসেবেই তার এই সফর। আর এ সফর দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক
নবায়নের চমৎকার সুযোগ করে দিয়েছে।
একই সময়ে তিনি ব্যাংককের জাতিসংঘ সম্মেলন কেন্দ্রে জাতিসংঘের এশিয়া
ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউএনএসক্যাপ) ৮০তম অধিবেশনে
ভাষণ দেন।
ভাষণে তিনি বিশ্বনেতাদের উদ্দেশে যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান জানিয়ে
বলেন, টেকসই উন্নয়নের পূর্বশর্ত হচ্ছে স্থায়ী শান্তি ও নিরাপত্তা। একইদিন প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনার সঙ্গে জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি এবং অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশন এশিয়া
ও প্যাসিফিক অঞ্চলের নির্বাহী সচিব আরমিডা সালসিয়াহ আলিশাবানা সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
প্রধানমন্ত্রী সংবাদ সম্মেলন থাইল্যান্ড সফর জনগণ
মন্তব্য করুন
অরাজনৈতিক ও বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে নওগাঁয় দিন ব্যাপি ফ্রী মেডিকেল ক্যাম্প, স্বাস্থ্যসেবা ও বিনামূল্যে ওষুধ বিতরণ করা হয়েছে। মে দিবস উপলক্ষে বুধবার (১ মে) জগৎসিংহপুর বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশনের অডিটোরিয়ামে ও বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশনের উদ্যোগ ফ্রী মেডিকেল ক্যাম্প ও স্বাস্থ্য সেবা অনুষ্ঠিত হয়।
থাইল্যান্ডের সঙ্গে অংশীদারত্বের নতুন যুগের সূচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, থাইল্যান্ডে আমার সরকারি সফরটি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে। এটি আমাদের দুই দেশের মধ্যে ফলপ্রসূ অংশীদারিত্বের একটি নতুন যুগের সূচনা করেছে। বৃহস্পতিবার (০২ মে) গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলে প্রধানমন্ত্রী।