মাগুরার মহম্মদপুরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচি ঘিরে দলটির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। সেই ঘটনায় ১ হাজার ৪০০ জনকে আসামি করে মামলা করেছে পুলিশ যার মধ্যে প্রায় ১ হাজার ৩০০ জন অজ্ঞাতনামা।
এই মামলার বাদী মহম্মদপুর থানার উপপরিদর্শক জান্নাতুল বাদশা। মামলায় সরকারি কাজে বাধা, পুলিশের ওপর হামলা, গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগে আনা হয়েছে।
আসামিদের মধ্যে উপজেলা বিএনপির ১০১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। বাকিদের অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৪ জনকে।
মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বোরহান উল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, শুক্রবার বিকালে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যক্ষ মৈমুর আলী মৃধা, সদস্য সচিব আক্তারুজ্জামান এবং বিএনপি নেতা জাহাঙ্গীর আলাম খাঁন বাচ্চুর নেতৃত্বে আমিনুর রহমান কলেজ এলাকা থেকে একটি মিছিল বের হয়ে শহরে প্রবেশ করলে পুলিশ দেয়। বাগবিতণ্ডার এক পর্যায়ে বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশের ওপর চড়াও হন। তারা পুলিশের ওপর লাঠি-সোটা নিয়ে হামলা চালান এবং ইট পাটকেল নিক্ষেপ করেন। তারা পুলিশের একটি গাড়ি এবং দুটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেন। পরে পুলিশ তাদেরকে প্রতিহত করে।
তিনি আরও বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীদের হামলায় পুলিশর ওসি (তদন্ত) মুন্সি রাসেল, এসআই তারেক, এএসআই ফারুক, এএসআই আজিবর, কনস্টেবল হাফিজুর রহমান, সুজায়েদ গুরুতত্বর আহত হন। তাদেরকে মহম্মদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে শাহরিয়ার ও হোসেন সর্দার নামের দুজন এবং পরে অভিযান চালিয়ে শাহিন ও সৈকত নামের আরও দুজনকে আটক করা হয়। তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব আক্তারুজ্জামান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বিএনপি নেতা–কর্মীদের মাঠ ছাড়া করতে এটা পরিকল্পিত ঘটনা। শান্তিপূর্ণ শোভাযাত্রায় হঠাৎ পুলিশ নেতাকর্মীদেরকে বেধড়ক পেটায়। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা পুলিশের উপস্থিতিতে আমাদের ওপর হামলা চালায় এবং পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করে। এখন মামলা দিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়িছাড়া করা হচ্ছে।’
অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে মহম্মদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল মান্নান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বিএনপির সমাবেশের সময় ওই এলাকায় আমাদের কোনো নেতাকর্মী ছিলেন না। তারা নিজেরা ভাঙচুর করে অন্যের ওপর দোষ চাপাবে, এটা তাদের স্বভাব।’
মাগুরা বিএনপি পুলিশ সংঘর্ষ মামলা আসামি অজ্ঞাতনামা
মন্তব্য করুন
শেখ হাসিনা কার্যনির্বাহী সংসদ গণভবন
মন্তব্য করুন
দুদক দুদক মহাপরিচালক শিরীন পারভীন
মন্তব্য করুন
সরকারি চাকরি শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী
মন্তব্য করুন
করোনাকালে প্রায় দুই বছর দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। শিক্ষার ক্ষতি নিয়ে সে সময় অনেকে কথা বলেছেন, অনেকেই আহাজারি করছেন। কিন্তু তৎকালীন সময়ে শিক্ষামন্ত্রী এবং শিক্ষা উপমন্ত্রী সিদ্ধান্তে অনড় ছিলেন। তারা বলেছেন, জীবন সবচেয়ে মূল্যবান। জীবনের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছু নেই। তাই তারা অনলাইন এ ক্লাস চালু রাখেন এবং যতক্ষণ পর্যন্ত দেশের স্বাস্থ্য পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হয় ততক্ষণ পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। যদিও সেই সময় বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার পরও বাংলাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলতে গড়িমসি করা হয়েছিল। এবং নজিরবিহীন ধীর নীতি অনুসরণ করা হয়েছিল। এটি নিয়ে তৎকালীন সময়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সমালোচিত হয়েছিল।
এবার আবার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে মরিয়া দেখা যাচ্ছে। এখন আগের শিক্ষামন্ত্রী নেই। ডা. দীপু মনি এখন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নিয়েছেন। কিন্তু মহিবুল হাসান চৌধুরী, যিনি ডা. দীপু মনির সঙ্গে শিক্ষা উপমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছিলেন তিনি এখন শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। তিনি এখন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার জন্য মরিয়া তৎপরতা চালাচ্ছেন।
কেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখতে হবে? কোমলমতি শিশুদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি নিয়ে কেন পড়াশোনা অব্যাহত রাখতে হবে এনিয়ে বিশিষ্টজনদের মধ্যে নানামুখী আলোচনা হচ্ছে। বিশেষ করে আবহাওয়া পরিস্থিতি যখন একের পর এক হিট অ্যালার্ট দিচ্ছে, তাপমাত্রার পারদ যখন দিনদিন চড়ছে। তখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখা নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত বিভিন্ন মহলে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।
সংশ্লিষ্ট মহল মনে করছে যে, শিক্ষা মন্ত্রণালয় একগুঁয়েমি করছে এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে বাড়াবাড়ি রকমের অবস্থান গ্রহণ করেছেন।
সকলেই দাবি করেন যে এখন বাংলাদেশ ডিজিটাল হয়েছে। সেখানে অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম চালু করা সহজে যেতে পারে। এবং করোনার সময় শিক্ষার্থীরা এবং শিক্ষকরা অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছেন। তাছাড়া এবার যে গরম পড়েছে, যে কয়দিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখা হয়েছিল তাতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক স্বাস্থ্যহানির ঘটনা ঘটেছে। বিভিন্ন স্থানে বহু শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছে।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান একটি রুটিনের দ্বারা পরিচালিত হয়। যেমনটি শিক্ষা শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন। সেই রুটিনে অনেকগুলো বন্ধ থাকে। বিভিন্ন কারণে বন্ধ রাখতে হয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। যেমন গ্রীষ্মের ছুটি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকবে, যেটি জুনে হওয়ার কথা। এছাড়াও ঈদুল আজহা উপলক্ষেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।
বিভিন্ন বিশেষজ্ঞরা মনে করেন যে গ্রীষ্মের ছুটি এবং অন্যান্য ছুটিগুলো কমিয়ে এই পরিস্থিতিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখাই যৌক্তিক। কারণ শিক্ষার্থীরা যদি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং কোন দুর্ঘটনার মধ্যে পতিত হয়, তাহলে এটির দায় দায়িত্ব শুধু একা শিক্ষামন্ত্রীর ওপর বর্তাবে না, পুরো সরকারের ওপর বর্তাবে। তাই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ক্ষেত্রে একটি সংবেদনশীল, দায়িত্বশীল সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা প্রয়োজন বলে বিশ্লেষকরা মনে করেন। তারা মনে করেন যে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের জোর করে এই তীব্র দাবদাহের মধ্যে নেয়ার ফলে একটি অবিশ্বাসের সম্পর্ক হচ্ছে।
শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের মধ্যে একটি সুসম্পর্কের মেলবন্ধনই একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জ্ঞান চর্চার জন্য জরুরী। অথচ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো যদি কর্তৃপক্ষ জোর করে খোলা রাখে, তাহলে স্বাভাবিক পরিবেশটি নষ্ট হয়ে যায়।
সংশ্লিষ্ট সকলেই মনে করে যে, অস্থিরতা না করে, একগুঁয়িমে না করে শিক্ষামন্ত্রী একটি দায়িত্বশীল ভূমিকা গ্রহণ করেবেন এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখার ব্যাপারে তার অবস্থান পুর্নবিবেচনা করবেন।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষা মন্ত্রণালয় তীব্র তাপদাহ মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল
মন্তব্য করুন
মাছ ধরা মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমান
মন্তব্য করুন
করোনাকালে প্রায় দুই বছর দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। শিক্ষার ক্ষতি নিয়ে সে সময় অনেকে কথা বলেছেন, অনেকেই আহাজারি করছেন। কিন্তু তৎকালীন সময়ে শিক্ষামন্ত্রী এবং শিক্ষা উপমন্ত্রী সিদ্ধান্তে অনড় ছিলেন। তারা বলেছেন, জীবন সবচেয়ে মূল্যবান। জীবনের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছু নেই। তাই তারা অনলাইন এ ক্লাস চালু রাখেন এবং যতক্ষণ পর্যন্ত দেশের স্বাস্থ্য পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হয় ততক্ষণ পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। যদিও সেই সময় বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার পরও বাংলাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলতে গড়িমসি করা হয়েছিল। এবং নজিরবিহীন ধীর নীতি অনুসরণ করা হয়েছিল। এটি নিয়ে তৎকালীন সময়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সমালোচিত হয়েছিল।