ইনসাইড বাংলাদেশ

নয়াদিল্লিতে হাসিনা-মোদি বৈঠক আজ, বিকেলে ভারত যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৮:০১ এএম, ০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail নয়াদিল্লিতে হাসিনা-মোদি বৈঠক আজ, বিকেলে ভারত যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী।

জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে আজ বিকেলে নয়াদিল্লি যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সন্ধ্যায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকে বসবেন তিনি। নরেন্দ্র মোদির সরকারি বাসভবনেই ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিল্লির এ সফরকালে তিনটি সমঝোতা স্মারক সই হবে। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে টাকা ও রুপির লেনদেন সহজ করার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক ও ভারতের এনপিসিআই-এর মধ্যে সমঝোতা।

বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) শেখ হাসিনার দিল্লি সফর উপলক্ষ্যে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। প্রধানমন্ত্রী ৮ থেকে ১০ সেপ্টেম্বর জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণের জন্য দিল্লি যাবেন। সেখানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হবে।

এছাড়া সম্মেলনের সাইডলাইনে সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স, আর্জেন্টিনা, দক্ষিণ কোরিয়া ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের সম্ভাবনা আছে। তিনি দিল্লিতে বাংলাদেশের হাঁড়িভাঙা জাতের আমের চারা রোপণ করবেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, যে তিনটি সমঝোতা স্মারক সই হবে তা হলো : কৃষি গবেষণা ও শিক্ষা সহযোগিতা, সাংস্কৃতিক চুক্তির মেয়াদ ২০২৩ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত বাড়ানো এবং বাংলাদেশ ব্যাংক ও এনপিসিআই-এর মধ্যে সমঝোতা স্মারক। 

তিনি বলেন, ভারতের এনপিসিআই ও বাংলাদেশ ব্যাংকের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই হলে দুই পক্ষের মধ্যে নেটওয়ার্ক-টু-নেটওয়ার্ক সংযোগের মাধ্যমে রুপি-টাকায় পারস্পরিক লেনদেনের কাজ সহজ হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। ওই বৈঠকে সব ধরনের দ্বিপক্ষীয় বিষয় আলোচনা হবে বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি জানি না। আমরা যেটি চাই-আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা। আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করার জন্য। আমরা কোনো কারচুপি চাই না।

তিনি আরও বলেন, আমরা স্বচ্ছ ও সুন্দর নির্বাচন চাই। সেখানে কেউ যদি আমাদের দিকে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেয়, সেটিকে আমরা স্বাগত জানাই। তবে কেউ যদি মাতব্বরির ভূমিকা নিয়ে আসে, আমরা সেটি সহ্য করব না। আমরা স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা কাউকে ভয় পান না।

তিনি বলেন, আমরা কোনো চাপের মুখে নেই। কারণ, আমরা অত্যন্ত পরিষ্কার যে সুন্দর একটি নির্বাচন করব। অন্যরা পছন্দ করুক বা না করুক, এটি তাদের সমস্যা। এ সময় তারা চাপের মুখে পড়ে ছাই হয়ে যাবে। কিন্তু আমরা টিকে থাকব বলে তিনি উল্লেখ করেন।

এ সময় বাংলাদেশ কোনো ধরনের ‘প্রক্সি ওয়ারে’ যুক্ত হবে না বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেন, আমরা সব সময় শান্তি ও স্থিতিশীলতা চাই। তাই কোনো ধরনের ‘প্রক্সি ওয়ারে’ যুক্ত হবে না বাংলাদেশ।

‘প্রক্সি ওয়ার’ বা ‘ছায়াযুদ্ধ’ হলো দুটি শক্তিশালী রাষ্ট্রের মধ্যে এমন একটি পরিস্থিতি, যেখানে কোনো পক্ষ সরাসরি আক্রমণ বা অন্যের প্রতি সামরিক শত্রু স্বীকার করে না। কিন্তু ছোট ও শক্তিশালী রাষ্ট্র বা সশস্ত্র মিলিশিয়া তাদের জন্য লড়াইয়ে প্রক্সি হিসাবে ব্যবহৃত হয়। সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, আমরা সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনে বিশ্বাসী। যুক্তরাষ্ট্র সুষ্ঠু নির্বাচন চাইলে কোনো পরামর্শ দিলে আমরা তাদের স্বাগত জানাই। ড. মোমেন জানান, ৯ সেপ্টেম্বর দিল্লিতে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের উদ্বোধন হবে। প্রধানমন্ত্রী জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের বিভিন্ন অধিবেশনে অংশ নেবেন।

সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্য ‘এক পৃথিবী, এক পরিবার, এক ভবিষ্যৎ’-এর আওতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুটি অধিবেশনে বক্তব্য দেবেন।

অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জলবায়ু পরিবর্তন, করোনা মহামারি-পরবর্তী অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার, ইউরোপে যুদ্ধের ফলে জ্বালানি-খাদ্যপণ্য-সারের মতো গুরুত্বপূর্ণ পণ্যের বৈশ্বিক সরবরাহ মারাত্মকভাবে ব্যাহত হওয়ার মতো যেসব চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে, তা মোকাবিলার বিষয়ে মূল্যবান বক্তব্য তুলে ধরবেন।

পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী আর্থসামাজিক বিভিন্ন ক্ষেত্রে বর্তমান সরকারের আমলে বাংলাদেশের অর্জিত অভাবনীয় সাফল্যের অভিজ্ঞতা সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী বিশ্বনেতাদের সামনে উপস্থাপন করবেন। ড. মোমেন আরও জানান, ৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠেয় এ দুটি অধিবেশনের মাঝে সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী অন্যান্য দেশের একাধিক নেতার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে মিলিত হবেন বলে আশা করা যাচ্ছে। প্রাথমিকভাবে সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স ও প্রধানমন্ত্রী, আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট, দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে।

জি-২০ সম্মেলনের দ্বিতীয় ও শেষ দিন ১০ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী অন্যান্য দেশের নেতাদের সঙ্গে রাজঘাটে মহাত্মা গান্ধীর সমাধিসৌধে শ্রদ্ধা জানাবেন।

এরপর তিনি সম্মেলনের সমাপনী অধিবেশনে অংশ নেবেন। সম্মেলন শেষে ১০ সেপ্টেম্বর তিনি বাংলাদেশ বিমানের বিশেষ ফ্লাইটে ঢাকায় ফিরবেন।


নয়াদিল্লি   হাসিনা   মোদি   বৈঠক   ভারত   প্রধানমন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সুন্দরবনে আগুন, ভয়াবহ রূপে ছড়িয়েছে ৩ কিলোমিটার জুড়ে

প্রকাশ: ১১:০৯ পিএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

পূর্ব সুন্দরবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এরইমধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে তিন কিলোমিটার এলাকাজুড়ে।

শনিবার (৪ মে) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের আমুরবুনিয়া টহল ফাঁড়ি সংলগ্ন গহিন বনে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে বন বিভাগ ও স্থানীয় এলাকাবাসী আগুন নেভানোর চেষ্টা করছে।

মোরেলগঞ্জ, শরণখোলা ও মোংলা ফায়ার সার্ভিসের ৩টি ইউনিট সন্ধ্যায় পৌঁছালেও আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করেনি।

খবর পেয়ে বাগেরহাট পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) কাজী মোহাম্মদ নুরুল কবির ও মোরেলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. তারেক সুলতান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

তিনি জানান, বিকেলে বনরক্ষী ও স্থানীয় এলাকাবাসী আগুন দেখতে পায়। এ সময় বন বিভাগের কর্মী ও স্থানীয় এলাকাবাসী আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। ফায়ার সার্ভিসের ৩টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। তবে পানি অনেক দূরে হওয়ায় রাত ৯টা পর্যন্ত ফায়ার ইউনিটগুলো আগুন নেভানোর কাজ শুরু করতে পারেনি। তবে লাইন স্থাপনের কাজ করছে তারা। সকালে ফায়ার সার্ভিস আগুন নেভানোর কাজ শুরু করতে পারে বলে ঈঙ্গিত দেন এ বন কর্মকর্তা।

সুন্দরবন বিভাগের বিটিআরটির সদস্যরা আগুন নেভানোর কাজ করছে। বিটিআরটি সদস্যরা জানান, তারা পানির অভাবে আগুন নেভাতে পারছে না। তাই আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। ফায়ার সার্ভিস দ্রুত কাজ শুরু করতে না পারলে তীব্র দাবদাহের কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে।

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মো. আবু তাহের জানান, আমুরবুনিয়া ফাঁড়ির কাছেই আগুন লেগেছে। বেশ বড় এলাকা। অন্তত দুই থেকে তিন কিলোমিটার এলাকাজুড়ে আগুন ছড়িয়েছে। আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে।

বাগেরহাট ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক মো. সাইদুল আলম চৌধুরী জানান, আগুনের খবর পেয়ে প্রথমে মোরেলগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ও পরে শরণখোলা ও মোংলা ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিটসহ মোট ৩টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। দুর্গম এলাকা হওয়ায় পৌঁছাতে অনেক সময় লেগেছে। এখন লাইন স্থাপনের কাজ চলছে। লাইন স্থাপন শেষে দ্রুত আগুন নেভানোর কাজ শুরু করা হবে।


সুন্দরবন   আগুন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

আমলাদের সন্তানদের জন্য পৃথক বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবি কেন?

প্রকাশ: ১১:০০ পিএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশে আমলাতন্ত্রের এখন বাড়বাড়ন্ত। আমলারাই যেন রাষ্ট্র ক্ষমতায় রয়েছেন। তারাই যেন সব কিছু নিয়ন্ত্রণ করছেন। এরকম একটি ধারণা প্রতিষ্ঠিত। রাজনীতিবিদদেরকে ব্যাকসিটে দিয়ে আমলারাই যেন এখন রাষ্ট্র পরিচালনার ড্রাইভিং সিটে। আর এরকম পরিস্থিতিতে আমলারা এখন সবকিছুর উর্ধ্বে উঠে গেছেন। তাদের বিচার করা যাবে না। দুর্নীতি দমন কমিশন তাদেরকে গ্রেপ্তার করতে গেলে সরকারের অনুমতি নিতে হবে। আমলারা যৌন নির্যাতন, নারী কেলেঙ্কারি এবং ফৌজদারি অপরাধ করলেও শুধুমাত্র ইনক্রিমেন্ট বন্ধের মত লঘু শাস্তি পাচ্ছেন এবং সেই লঘু শাস্তিগুলো পরবর্তীতে ক্ষমা করা হচ্ছে।

আমলাদের আয়-ব্যয়ের হিসাব দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হলেও তারা আয়-ব্যয়ের হিসাবও এখন পর্যন্ত দাখিল করছেন না। অর্থাৎ সরকারি কোনও আইন, নীতি, নিয়ম কোন কিছুরই তোয়াক্কা করছেন না বাংলাদেশের আমলারা। এর মধ্যে আমলারা নতুন বায়না ধরেছেন। তারা তাদের সন্তানদের জন্য পৃথক বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবি করেছেন।

আরও পড়ুন: সন্তানদের জন্য পৃথক বিশ্ববিদ্যালয় চান আমলারা

অনুসন্ধানে দেখা গেছে, বাংলাদেশের সচিব পর্যায়ে যে সমস্ত শীর্ষ আমলারা রয়েছেন তাদের বেশির ভাগেরই সন্তানরা উচ্চশিক্ষা নেন বিদেশে। তারা শিক্ষাজীবনে একটি পর্যায়ের পর তাদের সন্তানদের উচ্চশিক্ষা দেওয়ার জন্য বিদেশে পাঠান। দেখা যাচ্ছে- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্যের মত দেশগুলোতে সচিব এবং অতিরিক্ত সচিব পর্যায়ের শতাধিক আমলার সন্তানরা পড়াশোনা করে এবং এদের মধ্যে খুব অল্প কয়েকজনই বৃত্তি পান। বাকিদের ব্যয়ভার বহন করেন আমলারাই। এই বিপুল ব্যয় বহনের অর্থ আমলারা কোথায় থেকে পান সেটি যেমন একটি প্রশ্ন, তেমনই আমলাদের সন্তানদের বিদেশে পাঠানোর প্রবণতা দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার উপর তাদের অনাস্থারই প্রতিফলন।

সাম্প্রতিক সময়ে তাদের এই মনোভাবটি আবার নতুন করে দেখা দিল- যখন তারা তাদের সন্তানদের জন্য পৃথক বিশ্ববিদ্যালয় দাবি করলেন। প্রশ্ন উঠেছে, আমালাদের বেশিরভাগ সন্তানই যখন বিদেশে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করেন তখন তাদের পৃথক বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবি কেন?

আরও পড়ুন: জনজীবনে অস্বস্তি বাড়ছে যেসব ইস্যুতে

অনুসন্ধানে দেখা গেছে, যে সমস্ত আমালাদের সন্তানরা বিদেশে পড়াশোনা করছেন, সেই সমস্ত দেশগুলোতে এখন মানি লন্ডারিং এবং আয়ের উৎস একটি বড় ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে। একাধিক আমলার সন্তানরা বিদেশে পড়াশোনা করতে গিয়ে এখন বেশ চাপের মধ্যে রয়েছেন। কারণ, কোথায় থেকে তার টাকা আসছে এবং কোথায় থেকে এই শিক্ষা ব্যয় বহন করা হচ্ছে এটি এখন দেশে দেশে একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে।

তাছাড়া টিউশন ফি’র বাইরে আমলাদের সন্তানদের যে বিলাসবহুল জীবনযাপন সেই বিলাসবহুল জীবনযাপনের জন্য টাকা পাঠানো এখন আগের মত আর সহজ নেই। আর এ কারণেই আমলারা মনে করছেন যে, ভবিষ্যতে এই মানি লন্ডারিং এবং অর্থ পাচারের ইস্যুতে তাদের বড় ধরনের সর্বনাশ ঘটতে পারে। আর তাই তাদের সন্তানদের জন্য পৃথক বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবি করছেন। কিন্তু আমাদের এই দাবি কতটুকু যৌক্তিক সেই প্রশ্ন উঠেছে। আমলারা কি তাহলে তাদের জন্য সুবিধার সবকিছু নিংড়ে নিতে চান? এই প্রশ্নটি এখন সবচেয়ে বড় হয়ে উঠেছে।


সচিবালয়   আমলা   বিশ্ববিদ্যালয়  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সিঙ্গাপুরের জন্য চট্টগ্রাম খুবই গুরুত্বপূর্ণ: হাইকমিশনার

প্রকাশ: ১০:৩৫ পিএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশে নিযুক্ত সিঙ্গাপুরের হাইকমিশনার ডেরেক লো বলেছেন, ‌ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে সিঙ্গাপুরের জন্য বাংলাদেশের বিশেষ করে চট্টগ্রাম খুবই গুরুত্বপূর্ণ। চট্টগ্রামের বে-টার্মিনালে সিঙ্গাপুরের শিপিং কোম্পানি পিএসএ বিনিয়োগ করছে, বে-টার্মিনাল ট্রান্সফরমেশনের মাধ্যমে এ আন্তর্জাতিক বৃহৎ বন্দরে উপনীত হবে। এ সূত্রে দু’দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধি পাবে। 

শনিবার (০৪ মে) হাইকমিশনার চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি’র পরিচালকম-লীর সাথে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারস্থ চেম্বার কার্যালয়ে এক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, চেম্বার প্রেসিডেন্ট ওমর হাজ্জাজ, সহ-সভাপতি রাইসা মাহবুব, পরিচালক অঞ্জন শেখর দাশ, মো. রকিবুর রহমান (টুটুল), মাহফুজুল হক শাহ, বেনাজির চৌধুরী নিশান, নাজমুল করিম চৌধুরী শারুন, আখতার উদ্দিন মাহমুদ, মোহাম্মদ সাজ্জাদ উন নেওয়াজ, ওমর মুক্তাদির, এন্টারপ্রাইজ সিঙ্গাপুর-এর দক্ষিণ এশিয়ার ডেভেলপমেন্ট পার্টনার ক্লারেন্স চং, সিঙ্গাপুরের শিপিং কোম্পানি পিএসএ’র লিম উই চিয়াং, বাংলাদেশ প্রতিনিধি মোহাম্মদ আবদুল্লাহ জহির।

 


সিঙ্গাপুর   হাইকমিশনার   ডেরেক লো  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

শাহজালালে ৩ ঘণ্টা করে বন্ধ থাকবে ফ্লাইট ওঠানামা

প্রকাশ: ১০:১৩ পিএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

রানওয়ের রক্ষণাবেক্ষণসহ বেশ কয়েকটি কাজের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। আর তাই আগামী ৫ থেকে ৭ মে বিমানবন্দরের এ রানওয়েটি রাত ১২টা থেকে রাত ৩টা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, এই ৩ দিন মধ্যরাতে ৩ ঘণ্টার জন্য ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ থাকবে। এই সময়টাতে রানওয়ের মার্কিং করা, বৈদ্যুতিক ও রক্ষণাবেক্ষণের কিছু কাজ করা হবে।

বিমানবন্দর সূত্র জানায়, এই ৩ ঘণ্টায় বিমানবন্দরে নিয়মিতভাবে সৌদি এরাবিয়ান এয়ারলাইন্স, মালয়েশিয়ান এয়ারওয়েজ, থাই এয়ারওয়েজ, কুয়েত এয়ারওয়েজ, কাতার এয়ারওয়েজ ও ক্যাথে প্যাসিফিকের ফ্লাইট থাকে। তাদের এই ৩ দিন ফ্লাইটের সময় এগিয়ে বা পিছিয়ে নিতে বলা হয়েছে।

এর আগে, ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে ফ্লাইট ব্যবস্থাপনায় সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং যাত্রীসেবা মানোন্নয়নে রানওয়ের সেন্ট্রাল লাইনে আরও লাইট স্থাপনের জন্য ২ মাস ৫ ঘণ্টার জন্য শাহজালাল বিমানবন্দরের রানওয়ে বন্ধ করা হয়েছিল।


হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর   ফ্লাইট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

চ্যালেঞ্জের মুখে তরুণ মন্ত্রীরা

প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তরুণদেরকে রাজনীতিতে পাদপ্রদীপে আনার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। বহু তরুণকে তিনি প্রত্যাশার বাইরে জায়গা দিয়েছেন। নেতৃত্বে, মন্ত্রিসভায় এবং জাতীয় সংসদে নিয়ে এসেছেন। এবারের যে মন্ত্রিসভা গঠিত হয়েছে সেই মন্ত্রিসভা অভিজ্ঞতা এবং তারুণ্যের মিশেলে একটি মন্ত্রিসভা বলেই রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন।

আরও পড়ুন: উপজেলায় বেপরোয়া মন্ত্রী-এমপিরা

এই মন্ত্রিসভায় শেখ হাসিনা বেশকিছু তরুণকে গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিয়ে সাহসী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। কিন্তু তরুণরা দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই এখন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ছেন। আর এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে তারা শান্ত-ধীরস্থিরভাবে কীভাবে পরিস্থিতি সামাল দেন সেটার উপর নির্ভর করছে সরকারের সাফল্যের অনেক কিছুই।

যে সমস্ত মন্ত্রীরা চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছেন, তাদের মধ্যে রয়েছেন-

১. শিক্ষামন্ত্রী: শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী ছিলেন এবারের মন্ত্রিসভায় অন্যতম বড় চমক। গত মন্ত্রিসভায় তিনি ছিলেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী। এবার তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পূর্ণমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। কিন্তু দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই তিনি রীতিমতো চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছেন।

বিশেষ করে এই তীব্র দাবদাহের মধ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা-বন্ধ নিয়ে যে টানাপোড়েন তৈরি হয়েছে, সেই টানাপোড়েনে সাধারণ অভিভাবকদের কাছে শিক্ষামন্ত্রী সমালোচিত হচ্ছেন। বিশেষ করে হাইকোর্ট যখন প্রতিকূল আবহাওয়ার জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে তখন তার বিরুদ্ধে আপিল করার সিদ্ধান্ত নিয়ে তিনি সমালোচিত হয়েছিলেন। যদিও সেই সিদ্ধান্ত থেকে তিনি পরে সরে এসেছেন। তবে তরুণ শিক্ষামন্ত্রীকে সামনের দিনগুলোতে আরও অনেক কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে বলেই মনে করছেন সাধারণ মানুষ।

আরও পড়ুন: নির্দেশ অমান্যকারী মন্ত্রী-এমপিদের সাধারণ ক্ষমা?

২. জনপ্রশাসনমন্ত্রী: গতবার ফরহাদ হোসেন ছিলেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী। এবার তিনি পূর্ণমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নানা রকম আমলাতান্ত্রিক ইস্যু এখন ক্রমশ জটিল হয়ে পড়ছে এবং সাধারণ মানুষের অসন্তোষের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। বিশেষ করে প্রশাসন ক্যাডারের কর্তৃত্ব-বাড়াবাড়ি অন্যান্য ক্যাডারগুলোর মধ্যে ক্ষোভ এবং অসন্তোষ সৃষ্টি করছে। সাম্প্রতিক সময়ে প্রশাসন ক্যাডারের একের পর এক পদোন্নতি এবং অন্যান্য ক্যাডারগুলোর অবহেলা সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে একধরনের বৈষম্য সৃষ্টি করেছে।

তাছাড়া চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ নিয়ে প্রশাসনের মধ্যে একধরনের নেতিবাচক মনোভাব রয়েছে। সেই নেতিবাচক মনোভাব কাটানোর জন্য জনপ্রশাসনমন্ত্রীকে কঠিন পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হচ্ছে। প্রশাসনের ন্যায়নীতি এবং যোগ্য ব্যক্তিদেরকে পদোন্নতি দেওয়ার বিষয়টিও এখন একটি বড় প্রশ্ন হিসেবে সামনে এসেছে। চাটুকার এবং মতলববাজদেরকে পদোন্নতি দেওয়ার বিরুদ্ধে সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে একধরনের অবস্থান তৈরি হয়েছে।

আমলাদের বাড়বাড়ন্ত এখন সাধারণ মানুষের জন্য একটি বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে আমলাদের নানা রকম দাবিদাওয়ার ফিরিস্তি সাধারণ মানুষকে হতাশ করেছে। এই অবস্থায় আমলাতন্ত্রকে একটি শৃঙ্খলার মধ্যে নিয়ে আসা এবং তাদের খবরদারি-বাড়াবাড়ির লাগাম টেনে ধরা যেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

৩. বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু ছিলেন এবারের মন্ত্রিসভায় অন্যতম বড় চমক। এই তরুণ কীভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে সেটা দেখার অপেক্ষায় ছিল সাধারণ মানুষ। কিন্তু বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী এখন পর্যন্ত বাজারের উপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে পারেননি, শৃঙ্খলাও রক্ষা করতে পারেননি। তার এই দায়িত্বটি অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং।

আরও পড়ুন: বাংলাদেশের পাঁচ ইস্যুতে নজর রাখছে যুক্তরাষ্ট্র

এই সমস্ত তরুণ মন্ত্রীরা তাদের উদ্ভাবনী নানা রকম দক্ষতা দিয়ে কীভাবে পরিস্থিতি সামাল দেন সেটার উপর নির্ভর করছে বাংলাদেশের রাজনীতিতে তারুণ্যের যোগ্যতা নির্ধারণ এবং ভবিষ্যত।



মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন