পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান মনে করেন, দেশের অনেক ক্ষেত্রে
দুর্নীতির মাত্রা আগের তুলনায় বেড়েছে।
রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) সংসদে ‘বাংলাদেশ পাবলিক প্রকিউরমেন্ট
অথরিটি বিল’ পাসের
আলোচনায় দুর্নীতি বেড়ে যাওয়ার বিষয়ে মন্তব্য করেন পরিকল্পনামন্ত্রী।
‘বাংলাদেশ
পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অথরিটি (বিপিপিএ)’ বিলের ওপর আলোচনায় অংশ
নিয়ে বিরোধী দলের সংসদ সদস্যরা
বিভিন্ন প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ আনেন। এর জবাব দিতে
গিয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান
বলেন, ‘একটি বিষয়ে তারা
(আলোচনায় অংশ নেয়া সংসদ
সদস্যরা) সবাই একমত, আমিও
তাদের সঙ্গে একমত। সারা দেশের সর্বত্র,
অনেক ক্ষেত্রে দুর্নীতির মাত্রা পূর্বের তুলনায় বেড়েছে। তুলনা বলতে আনুপাতিক হারে।’
মন্ত্রী গণমাধ্যমকে
বলেন, যে পরিমাণ পাবলিক
মানি (সরকারি টাকা) ৩০-৪০ বছর
আগে ব্যয় হতো, তার
তুলনায় এখন কয়েক গুণ
বেশি ব্যয় হচ্ছে। ফলে
সুযোগ-সুবিধা অর্থাৎ চুরির সুযোগ-সুবিধা বেড়েছে। আমি বলব এটা
জাতীয় সমস্যা। আইনকানুন পাস করে, বর্তমান
প্রযুক্তি ব্যবহার করে, জনমত তৈরি
করে, জনগণের কাছে স্বচ্ছতা তুলে
ধরলে এর (দুর্নীতি) পরিমাণ
ক্রমান্বয়ে কমে আসবে।’
এম এ মান্নান জানান,
মন্ত্রী হিসেবে তিনি
কোনো টেন্ডার (দরপত্র) পাস করতে পারেন
না। কয়েকটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বাছাই করে এটা চূড়ান্ত
করা হয়। এরপরও যদি
সংশয় থাকে, সেই ভূতে ভয়
না পেয়ে একটানা প্রচেষ্টা
চালিয়ে যেতে হবে।
এর আগে বিলের আলোচনায়
গণফোরামের সংসদ সদস্য মোকাব্বির
খান বলেন, এখন টেন্ডারবাজি বন্ধ
হলেও তাতে রাষ্ট্রের কোনো
লাভ হয়নি। একশ্রেণির আমলা, ব্যবসায়ী ও রাজনীতিবিদ বর্তমান
টেন্ডার ব্যবস্থাকে নিরাপদ মনে করে এর
আড়ালে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার
করছে। এর অসংখ্য উদাহরণ
আছে, যেমন পর্দা কেনা,
বালিশ কেনা।
সরকারি
ক্রয়সংক্রান্ত কাজে অভিজ্ঞ কাউকে
প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিয়োগ করবে সরকার। এই
কর্তৃপক্ষের একটি তহবিল থাকবে।
বিপিপিএ তার কাজ সম্পাদনের
জন্য যেকোনো ব্যক্তি বা সংস্থার জন্য
চুক্তি সম্পাদন করতে পারবে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তাপদাহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাত ধাপে অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ের ভোট হয় ১৯ এপ্রিল এবং সেখানে ১০২টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় দফায় ২৬ এপ্রিল ৮৯টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। চতুর্থ দফায় ভোট হবে ৭ মে। সেখানে ৯৪টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে এবং সপ্তম দফায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে পয়লা জুন। আর ৪ জুন নির্বাচনের ফলাফল জানা যাবে।
প্রথম দুই দফা ভোটের যে হার, তাতে বিজেপির মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। বিজেপির নেতারা ভোটে যে ভূমিধস বিজয় আশা করছিলেন সেটি হবে না। ভারতের কোন কোন গণমাধ্যমগুলো ভোটের ফলাফলে নাটকীয় ঘটনা ঘটারও ইঙ্গিত দিচ্ছে। বিশেষ করে ২০০৪ সালের নির্বাচনে যেভাবে কংগ্রেস অটলবিহারী বাজপেয়ীর নেতৃত্বে বিজেপিকে ধরাশায়ী করেছিল সেরকম কোন ঘটনা ঘটতেও পারে বলে মনে আশঙ্কা করছেন অনেকে। অবশ্য এখনও আরও পাঁচ দফা ভোট বাকি আছে এবং বিজেপি আশা করছে যে, পরবর্তী ধাপগুলোতে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে এবং বিজেপি তাদের জয়ের ধারা অক্ষুণ্ণ রাখবে। নরেন্দ্র মোদি ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে দেওয়ার জন্য বারবার আহ্বান জানাচ্ছেন।
ভারতের নির্বাচনের ফলাফল কী হবে তা বোঝা যাবে আগামী ৪ জুন। কিন্তু এখন পর্যন্ত যে ভোটের হাওয়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে তাতে এটা স্পষ্ট যে, ভোটের আগে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি জোটের যে নিরঙ্কুশ বিজয়ের ধারণা করা হয়েছিল, সেটি বাস্তবতা নাও পেতে পারে। আর এ কারণেই মোদী যদি শেষ পর্যন্ত পরাজিত হন, তাহলে সেটি হবে ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি বড় ব্যতিক্রমী ঘটনা এবং এটি হবে ভারতের নির্বাচনের সবচেয়ে বড় চমক।
এখন যখন ভারতের নির্বাচনে একটি হাড্ডাহাড্ডি লড়াই বা অনিশ্চয়তার ফলাফলের শঙ্কা জেগেছে তখন প্রশ্ন উঠছে যে, বিজেপি যদি এই নির্বাচনে পরাজিত হয় তাহলে বাংলাদেশে কী হবে? গত দুটি নির্বাচনে ভারতের বিজেপি সরকার বাংলাদেশকে নিরঙ্কুশভাবে সমর্থন দিয়েছে। ২০১৮ এবং ২০২৪ এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছে বিজেপি সরকার।
বিশেষ করে ২০২৪ এর নির্বাচনে ভারতীয় সরকারের পরিপূর্ণ সমর্থন ছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই নির্বাচনে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করত এবং এই নির্বাচনকে অস্বীকৃতি জানাত বলেও অনেকে মনে করেন। মার্কিন মনোভাব পাল্টানোর ক্ষেত্রে ভারত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। আর নির্বাচনের পর বিএনপি থেকে শুরু করে জাতীয় পার্টি প্রত্যেকেই বলছে যে, ভারত বর্তমান সরকারকে ক্ষমতায় রেখেছে। যদিও এরকম অভিযোগকে আওয়ামী লীগ অস্বীকার করে এবং আওয়ামী লীগ মনে করে যে, জনগণের ভোটে তারা নির্বাচিত হয়েছে। কিন্তু ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি আওয়ামী লীগ বা বিজেপি কেউই অস্বীকার করে না।
এখন প্রশ্ন হল, যদি বিজেপি পরাজিত হয়, ইন্ডিয়া জোট ক্ষমতায় আসে তাহলে বাংলাদেশের সমীকরণ কী হবে? কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন যে, বর্তমান সরকারের জন্য সমীকরণের কোন পরিবর্তন হবে না। কারণ ইন্ডিয়া জোটের সঙ্গেও আওয়ামী লীগ সরকারের একটি সুসম্পর্ক রয়েছে। ইতোমধ্যে ইন্ডিয়া জোটের প্রধান দল কংগ্রেস তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের বার্তা দিয়েছে।
অনেকে মনে করেন যে, এখন ভারতে কট্টর হিন্দুত্ববাদী মনোভাবের কারণে সীমান্তে অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে। মুসলিম বিদ্বেষী বক্তব্য রাখা হচ্ছে। যার ফলে বাংলাদেশের মধ্যে একটা ভারতবিরোধী মনোভাব তৈরি হচ্ছে। শেষ পর্যন্ত যদি নরেন্দ্র মোদি তাহলে এই অবস্থানের পরিবর্তন হবে। দুই দেশের সম্পর্ক আরও বিকশিত হবে বলেও মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ভারত লোকসভা নির্বাচন মল্লিকার্জুন খাড়গে নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাত ধাপে অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ের ভোট হয় ১৯ এপ্রিল এবং সেখানে ১০২টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় দফায় ২৬ এপ্রিল ৮৯টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। চতুর্থ দফায় ভোট হবে ৭ মে। সেখানে ৯৪টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে এবং সপ্তম দফায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে পয়লা জুন। আর ৪ জুন নির্বাচনের ফলাফল জানা যাবে।