সেপ্টেম্বর মাস বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সভাপতি
শেখ হাসিনার জন্ম মাস। এই সেপ্টেম্বর মাসেই দুনিয়ার নজরকাড়া বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অর্জনের
উজ্জ্বল নেতৃত্বদানকারী বিশ্বনেতা রাষ্টনায়ক শেখ হাসিনা জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তিনি জন্মগ্রহণ
না করলে হয়তো বাংলাদেশের গণতন্ত্রের মুক্তি, আইনের শাসন এবং উন্নত বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশের
অবস্থান উচ্চ আসনে প্রতিষ্ঠিত করা সম্ভবপর হতো না। তাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্ম
‘বাংলাদেশের আলোর পথযাত্রা’। আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মমাসে
‘শেখ হাসিনা রচনা সমগ্র-১’ থেকে পাঠকদের জন্য তাঁর একটি লেখা তুলে ধরা হলো।
বিপন্ন গণতন্ত্র লাঞ্ছিত
মানবতা
পর্ব- ৩
জাতির পিতার হত্যাকারীদের বিচার করা কী অপরাধ?
১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যা করার পর খুনিরা গর্ব করে
বলেছিল পারলে কেউ তাদের বিচার করুক। তাদের ধারণা ছিল এ ধরনের ঘটনা বহু ঘটে কিন্তু
তার বিচার কোনোদিন হয় না। আর তারা তো এ পরিবারে সর্বকনিষ্ঠ সন্তান অর্থাৎ দশ
বছরের রাসেলকেও হত্যা করেছে যাতে ভবিষ্যতে আওয়ামী লীগ বা স্বাধীনতার সপক্ষের
শক্তি কোনো অবলম্বন না পায় আবার মাথা তুলে দাঁড়াতে।
যে খুনিরা গর্ব করে উচ্চকণ্ঠে স্বীকার করেছিল, ঘোষণা দিয়েছিল
তারাই হত্যা করেছে—সে খুনিদের বিচার হয়েছে। বিচারের রায়ে তাদের ফাঁসি হয়েছে, সে
রায় এখন আপিল বিভাগে চূড়ান্ত রায়ের অপেক্ষায় আছে। পৃথিবীতে এরকম অনেক ঘটনা
ঘটিয়ে অনেক সরকারকে ক্ষমতা থেকে বিদায় দেওয়া হয়েছে কিন্তু কখনো খুনিদের
বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হয়নি। ফাঁসির আদেশ হয়নি। সেখানে বাংলাদেশের মতো একটি
দেশে খুনিদের প্রচলিত আইনে বিচার হয়েছে, বিচারের রায়ে ফাঁসি হয়েছে। এদেরও
বিদেশী আশ্রয়দাতা আছে। এমনি একটি আশ্রয়দাতা দেশের রাষ্ট্রপ্রধান আমাকে এ খুনিদের
মাফ করে দেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দিয়েছিলেন এবং মাফ করে দেওয়ার মহত্ত্ব
পবিত্র কোরআন শরীফের আয়াত উল্লেখ করেছিলেন।
আমি উত্তরে কুরআন শরীফের আয়াত উল্লেখ করে পিতা-মাতার প্রতি
সন্তানের দায়িত্ব এবং পিতৃহত্যাকারীদের প্রতি কি আচরণ সন্তানদের করা উচিত, পবিত্র
কুরআন শরীফ কি পথনির্দেশ করেছে আমি যে সে পথেই আছি তা উল্লেখ করে উত্তর দেই।
অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা, হত্যাকারী যারা শিশু ও নারীদের
রেহাই দেয়নি তাদের বিচার করা, ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা
করাই কী আমার অপরাধ?
এ খুনি ও তাদের আশ্রয়দাতা এবং মদদদাতাদের অঢেল টাকা চার দলকে
যোগান দেওয়া হয়েছে কারণ চারদলীয় জোট ক্ষমতায় এলে খুনিদের বিচারের হাত থেকে
মুক্তি দেবে। ফাঁসির আদেশ যাতে কার্যকর না হয় সে ব্যবস্থা তারা করে দেবে।
ড্রাগ, অস্ত্র, সোনা চোরাচালানকারীদের একটি অশুভ্র সংযোগ এ খুনি
চক্রে হয়েছে। এ চক্রের অগাধ টাকা এসেছে যা হাওয়া ভবনের কামরায় গাদাগাদি করে
রাখা হয়েছে। সেখানে নিরাপত্তা বেষ্টনি এমন উন্নত মানের যে- বাংলাদেশ সরকারেরও এত
নিরাপত্তা সরঞ্জাম আছে কি-না সন্দেহ।
(সূত্র: শেখ
হাসিনা রচনা সমগ্র-১।। পৃষ্টা: ২৮২-২৮৩)
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
সরকারি চাকরি জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন
মন্তব্য করুন
নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ প্রধানমন্ত্রী নসরুল হামিদ
মন্তব্য করুন
চাকরির বয়সসীমা শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী জনপ্রশাসন মন্ত্রী
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী গত ১৭ এপ্রিল জনপ্রশাসন মন্ত্রীকে দেওয়া এক ডিও লেটারে উল্লেখ করেছেন চাকরিপ্রত্যাশীরা চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ করার জন্য দীর্ঘদিন ধরে রাজপথে আন্দোলন চালিয়ে আসছে। সরকার বিষয়টি উপলব্ধি করে ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইস্তেহারে ৩৩ নং পৃষ্ঠায় শিক্ষা, দক্ষতা ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধি অনুচ্ছেদে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর বিষয়ে মেধা ও দক্ষতা বিবেচনায় রেখে বাস্তবতার নিরিখে যুক্তিসংগত ব্যবস্থা করা হবে বলে উল্লেখ করা হয়। আর এ রকম একটি ডিও লেটারে শিক্ষামন্ত্রী বিভিন্ন দেশে চাকরির বয়সসীমা উল্লেখ করেছেন।