ইনসাইড বাংলাদেশ

কেমন হবে নির্বাচনকালীন সরকার

প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আর তিন মাসের কিছু বেশি সময় রয়েছে। নির্বাচন কমিশন বলছে, জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে তারা নির্বাচন করতে চায়। এ লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন জনগণের মধ্যে আস্থা অর্জনের জন্য প্রাণন্ত চেষ্টা করছে। বিভিন্ন অংশজনের সঙ্গে বৈঠক করছে। তবে নির্বাচন নিয়ে প্রধান যে প্রশ্ন তা হচ্ছে নির্বাচন কোন সরকারের অধীনে হবে?
 
বিএনপি বলছে, নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া তারা নির্বাচনে যাবে না। অন্যদিকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ বলছে, সংবিধানের বাইরে গিয়ে কোনো নির্বাচনকালীন সরকার গঠিত হবে না। এর ফলে নির্বাচনকালীন সরকার কি রকম হতে পারে তা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো দুই মেরুতে অবস্থান করছে। বিএনপি নির্বাচনকালীন কেমন সরকার চায়- বিএনপি নির্বাচনের সময় একটি নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার চায় এবং এই জন্য বিএনপির দুটি বিকল্প প্রস্তাবনা রয়েছে;

১. সংবিধান সংশোধন: বিএনপি চাইছে সরকার জাতীয় সংসদে সংবিধান সংশোধন করবে এবং সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে ২০১১-এর আগে যে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছিল সেটি পুনঃপ্রবর্তন করবে। যেহেতু আগামী অক্টোবরে সংসদের শেষ অধিবেশন বসবে সেহেতু সেই অধিবেশনেই বিএনপি চাইছে যে সংবিধান সংশোধন করতে। কিন্তু বিএনপির নেতারাও জানে যে, আওয়ামী লীগ এটি করবে না। এর বিকল্প  কি হতে পারে তা নিয়ে বিএনপির নেতারা বিভিন্ন কূটনৈতিক মহলে আলাপ আলোচনা করেছেন। তারা বলছেন যে জরুরি প্রয়োজনে এবং রাষ্ট্রীয় প্রয়োজনে সংবিধানের বাইরে গিয়েও তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করা যায়। যেমনটি হয়েছিল ১৯৯১ সালে। সেই সময় তৎকালীন প্রধান বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধান করা হয়েছিল যা ছিল সংবিধান বহির্ভূত। পরবর্তীতে সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে এটিকে বৈধতা দেওয়া হয়েছিল। এখন বিএনপিও দ্বিতীয় বিকল্প হিসাবে এটি চাইছে।
 
তবে বিএনপি এখন আর তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধান হিসেবে সদ্য অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতিকে চায় না। বরং সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য একজন নিরপেক্ষ ব্যক্তিকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধান হিসেবে দায়িত্ব দিতে চায়। তবে বিএনপির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এখন পর্যন্ত কোন ব্যক্তির নাম ঘোষণা করা নাম বলা হয়নি। 

২. পশ্চিমা দেশগুলোর নির্বাচনকালীন সরকার ভাবনা: পশ্চিমা দেশগুলো মনে করে যেহেতু আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির দেশের দুটি প্রধান বিরোধী দল। কাজেই দুই পক্ষের দাবিকে একটি সমঝোতার জায়গায় নিয়ে আসা উচিত। তারা যেমন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিকেও সমর্থন করে না আবার তেমনি ভাবে বর্তমান আদলে যে নির্বাচনকালীন সরকার সেটিকেও সমাধানের পথ বলে মনে করে না। বরং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহ পশ্চিমা দেশগুলো মনে করে দুই পক্ষকে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সমঝোতার জায়গায় আসতে হবে। সেই সমঝোতা কি রকম হতে পারে তা নিয়ে তারা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলো এবং সুশীল সমাজের সাথে আলাপ আলোচনা করছে। 

বর্তমান প্রধানমন্ত্রীকে বহাল রেখে একটি নিরপেক্ষ উপদেষ্টা মন্ডলী গঠনের ভাবনা রয়েছে কোনো কোনো কূটনীতিকদের মধ্যে। তারা মনে করছে যে, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী রুটিন দায়িত্ব পালন করবেন, কোনো মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব তার থাকবে না। মন্ত্রিসভার অন্য কোনো সদস্য না রেখে ১০ সদস্যের একটি নিরপেক্ষ উপদেষ্টার মাধ্যমে সরকার পরিচালনা করা যায় কিনা এই ভাবনা রয়েছে কূটনীতিকদের কোন কোন অংশের।
 
আবার কেউ কেউ মনে করছেন যে নির্বাচনকালীন সরকার জাতীয় সরকারের আদলে হওয়া উচিত। সবগুলো রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে যদি একটি নির্বাচনকালীন সরকার হয় তবে সেটির মাধ্যমে নির্বাচন বিষয়টি সমঝোতা হতে পারে। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ নির্বাচনকালীন সরকারের ব্যাপারে এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক ভাবে কিছু বলেনি বলেনি। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতিমধ্যেই বলেছেন যে, সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে সম্মিলিত ভাবে একটি নির্বাচনকালীন সরকার গঠিত হবে। তবে বিভিন্ন কূটনৈতিক আলোচনায় সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নির্বাচনকালীন সরকারের কাজের পরিধি হবে ছোট, রুটিন কাজের বাইরে তারা কোনো দায়িত্ব পালন করবে না। নির্বাচনকালীন সরকারের কোনো প্রতিনিধি অর্থাৎ কোনো মন্ত্রী তার নির্বাচনী এলাকা সহ অন্য কোনো এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণায় গেলে কোনো রাষ্ট্রীয় প্রোটোকল পাবে না। তবে এতগুলো ভাবনার মধ্যে শেষ পর্যন্ত কোন প্রস্তাবিত নির্বাচনকালীন সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে সেটি এখন দেখার বিষয়।

নির্বাচনকালীন সরকার   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

জনজীবনে অস্বস্তি বাড়ছে যেসব ইস্যুতে

প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

টানা চতুর্থ মেয়াদে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসেছে। ক্ষমতায় আসার পর থেকে আওয়ামী লীগ একদিকে যেমন নানারকম চাপে আছে তেমনি নানারকম সঙ্কট ক্রমশ দানা বেধে উঠছে। তবে আওয়ামী লীগের সামনে কোন রাজনৈতিক সংকট নেই, আন্তর্জাতিক চাপও নেই। বরং জনজীবনের নানা কষ্ট এবং দুর্ভোগ আওয়ামী লীগ সরকারকে রীতিমতো চাপে ফেলেছে। জনজীবনে বিভিন্ন অস্বস্তি মোকাবেলা করা আওয়ামী লীগ সরকারের জন্য এখন চ্যালেঞ্জ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

সাম্প্রতিক সময়ে জনজীবনে যেসমস্ত ইস্যুতে অস্বস্তি বাড়ছে তার মধ্যে রয়েছে..

দ্রব্যমূল্য: দ্রব্যমূল্য পরিস্থিতি প্রতিনিয়ত অসহনীয় হয়ে উঠছে। বিভিন্ন পণ্যের দাম বেড়েই চলেছে এবং এটি সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে ইতিমধ্যেই চলে গেছে। দ্রব্যমূল্যের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ সরকারের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। দ্রব্যমূল্য নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে অস্বস্তি এখন রীতিমতো ক্ষোভে পরিণত হচ্ছে। এ ব্যাপারে সরকারের নজরদারী আরো বাড়ানো প্রয়োজন বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।

আরও পড়ুন:  ভর্তুকির চাপ সামলাতে বছরে চারবার বাড়বে বিদ্যুতের দাম

বিদ্যুৎ সংকট: তীব্র দাবদাহে বিদ্যুৎ সংকট জনজীবনের জন্য একটি দুর্ভোগের কারণ হিসেবে দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে ঢাকার বাইরে এখন লোড শেডিং আস্তে আস্তে বাড়ছে। সামনের দিনগুলোতে এই পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে তা ভয়াবহ রূপ নিতে পারে বলেও অনেকে মনে করছেন। বিদ্যুৎ সংকট মোকাবেলা করতে না পারলে সরকারের জন্য একটি জনঅসন্তোষের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলে কেউ কেউ মনে করছেন।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা-বন্ধ: শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা এবং বন্ধ নিয়েও জনগণের মধ্যে অস্বস্তি তৈরী হয়েছে। বিশেষ করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তীব্র দাবদাহে খোলা রাখা নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অবস্থান অভিভাবকরা মেনে নিতে পারছেন না। এবং তারা এনিয়ে ক্ষোভও প্রকাশ করেছেন। সাম্প্রতিক সময়ে হাইকোর্টের নির্দেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে শিক্ষা কার্যক্রম সামনের দিনগুলোতে কোন পথে যায় সেনিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে নানারকম প্রতিক্রিয়া হতে পারে বলে অনেকে মনে করছেন।

আরও পড়ুন: অপ্রতিরোধ্য কিশোর গ্যাং, হুমকিতে প্রজন্ম

কিশোর গ্যাং: গত কয়েক মাসে কিশোর গ্যাংয়ের দৌরাত্ব একটি জন অশান্তির কারণ হয়ে দাড়িয়েছে। পাড়ায়-পাড়ায়, মহল্লায়-মহল্লায় নানারকম কিশোর গ্যাংয়ের অত্যাচার, তাদের নানারকম অপরাধ সাধারণ মানুষকে বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখে ফেলেছে। সাধারণ মানুষ মনে করছে যে, দ্রুত এ সমস্ত কিশোর গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে সরকারকে ব্যবস্থা নিতে হবে। এবং এ ব্যবস্থা যদি গ্রহণ না করা হয় সেটিও এক ধরনের জনঅশান্তির কারণ সৃষ্টি করবে বলেই সাধারণ মানুষ মনে করছেন। কারো কারো ধারণা এইসব কিশোর গ্যাংয়ের সাথে রাজনৈতিক যোগসূত্র রয়েছে। তবে, সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, অপরাধী অপরাধীই। সে যে দলই করুক না কেন তাদের বিরুদ্ধে সরকার ব্যবস্থা নিতে তৎপর। তবে কিশোর গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে কোন দৃশ্যমান শক্ত অবস্থান সরকারের পক্ষ থেকে গ্রহণ করা হয়নি। এবিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা সময়ের দাবি বলেও অনেকে মনে করছেন। না হলে এ পরিস্থিতি সরকারের নিয়ন্ত্রনের বাইরে চলে যাবে।

আরও পড়ুন: কমলাপুরে এখনও আসেনি ভোরের ট্রেন, ভয়াবহ শিডিউল বিপর্যয়

দুর্ঘটনা: সড়ক এবং রেল দুর্ঘটনা জনজীবনে অস্বস্তির আরো বড় একটি কারণ হয়ে দাড়িয়েছে। প্রতিনিয়ত নানারকম দুর্ঘটনায় জনগণের মধ্যে এক ধরনের আতংক ছড়িয়ে পড়ছে। এ ব্যাপারেও সরকারকে একটি সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে বলে অনেকে মনে করছেন।  


আওয়ামী লীগ   বিদ্যুৎ সংকট   সড়ক দুর্ঘটনা   শিক্ষা প্রতিষ্ঠান   দ্রব্যমূল্য   কিশোর গ্যাং  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

উত্তপ্ত শহরে নারীদের বাসযোগ্য করে তুলতে কাজ করছি: হিট অফিসার

প্রকাশ: ০৮:২৫ পিএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

নারীদের জীবনকে সহনীয় করে তুলতে তাপপ্রবাহ কমিয়ে আনার জন্য বেশকিছু সমাধান নিয়ে কাজ করছেন বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটির চিফ হিট অফিসার বুশরা আফরিন।

এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, বাসের ছাদে পানীয় জল সরবরাহ, নারীরা যাতে স্বস্তি ও নিরাপদে যাতায়াত করতে পারেন তা নিশ্চিত করতে নারীবান্ধব শৌচাগারের ব্যবস্থাসহ বেশকিছু বিষয়ে আমরা অগ্রাধিকার দিচ্ছি।

এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) ৫৭তম বার্ষিক সভার প্যানেলিস্ট হিসেবে অংশ নেওয়া আফরিন বলেন, গরমের ঝুঁকি মোকাবিলা এবং ঢাকার জন্য টেকসই ও শীতল ভবিষ্যৎ তৈরির জন্য এটি তাদের যাত্রার কেবল শুরু।

তিনি বলেন, ২০২৩ সাল ছিল স্মরণকালের উষ্ণতম বছর এবং গত মাসে ঢাকায় তাপপ্রবাহ আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে দীর্ঘ ও তীব্র ছিল। গরমে দমবন্ধ হয়ে আসছিল, আক্ষরিক অর্থেই এত গরম ছিল যে মানুষ শ্বাস নিতে পারছিল না।

তিনি আরও বলেন, চিফ হিট অফিসার হিসেবে আমি অস্থায়ীভাবে গড়ে ওঠা বসতিতে বসবাসকারী নারীদের ওপর এই তাপমাত্রার প্রভাব পর্যবেক্ষণ করেছি। গরমের কারণে সম্প্রতি স্কুল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আমাদের কাজের পাশাপাশি শিশুদের পরিচর্যার বিষয়ে কাজ করা হয়েছে, যা তাদের জন্য কখনো করা হয়নি। এমন একটি শহরে তাদের আরও প্রান্তিক করে তুলেছে।

তিনি বলেন, সেই শূন্যস্থানটি পূরণ করার দিকে আমাদের নজর; যা আমাদের উত্তপ্ত শহরকে নারীদের জন্য বসবাসের অযোগ্য করে তোলে। তাপপ্রবাহের মধ্যে তাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ কী এবং যেসব ঝুঁকি মোকাবিলা করেছে, তারা চিহ্নিত করেছে।

সম্প্রতি দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে ৪৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অলাভজনক প্রতিষ্ঠান আর্শট-রক সামাজিক উদ্যোক্তা বুশরা আফরিনকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় চিফ হিট অফিসার হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে।

অ্যাড্রিয়েন আর্শট-রকফেলার ফাউন্ডেশন রেজিলিয়েন্স সেন্টার (আর্শট-রক) ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী এক বিলিয়ন মানুষের কাছে স্থিতিশীল সমাধান নিয়ে পৌঁছানোর পরিকল্পনা করেছে।


হিট অফিসার   এডিবি   অফিসার বুশরা আফরিন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের মাধ্যমে আমরা দায়মুক্ত হয়েছি: মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৮:১৫ পিএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের মাধ্যমে কিছুটা হলেও আমরা দায়মুক্ত হয়েছি, পাপমুক্ত হয়েছি বলে মন্তব্য করেছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ. ক. ম. মোজাম্মেল হক।

শনিবার (০৪ মে) বেলা ১১টায় জাতীয় জাদুঘরের শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব মিলনায়তনে শহীদ জননী জাহানারা ইমামের ৯৫তম জন্মদিন উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।

এসময় মন্ত্রী বলেন, ‘আজকে নিঃসন্দেহে বলা যায়, একটা শুভদিন। সেই মহীয়সী নারীর স্মৃতি জাদুঘর, যেটি ব্যক্তিগত উদ্যোগে তৈরি করা হয়েছিল। আমরা জাতীয় জাদুঘরের শাখা হিসেবে এর দায়িত্বভার গ্রহণ করে আরেকবার কিছুটা হলেও দায়মুক্ত হলাম। এই যে আন্দোলন-সংগ্রাম কীভাবে হয়েছিল, আমরা হয়তো মাঠে লড়াই-সংগ্রাম করেছি। বৃহত্তর সেদিনের কারাগারে সাত কোটি মানুষ বন্দি থেকে কীভাবে মুক্তিযুদ্ধকে সংগঠিত করেছিল, দেশের অভ্যন্তরে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করেছিল জীবনের ঝুঁকি নিয়ে। তাদের একজন পুরোধা নারী ছিলেন এই শহীদ জননী জাহানারা ইমাম’।

তিনি আরও বলেন, আমাদের একটা বড় ভুল থেকে যায়। আমরা কিছুটা হলেও, মুক্তিযুদ্ধের কথা বলি, সফলতার কথা বলি। কিন্তু আমাদের অপরপক্ষ, সেদিনের রাজাকার, আল-বদর, আল শামস, এই ঘাতক দালালরা কীভাবে নয় মাস লুণ্ঠন করেছে, অত্যাচার করেছে, নারী নির্যাতন করেছে, মুক্তিযোদ্ধাদের বাড়িঘর ছিনিয়ে নিয়েছে, তাদের হত্যা করেছে, পাক-হানাদার বাহিনীকে সহায়তা করেছে, সেই দিকটা কিন্তু আমরা একেবারেই বলি না। মুক্তিযুদ্ধের গৌরবগাঁথা যথাযথভাবে না হলেও কিছুটা আলোচনা হয়, কিন্তু ওই দিকটা একেবারেই মুছে যাচ্ছে। কাজেই যুদ্ধাপরাধীদের ইতিহাসটা ব্যাপকভাবে সরকারি ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোগেও আলোচনায় আনা উচিত।

সভাপতির বক্তব্যে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খান বলেন, আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি হলো আমরা বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। শহীদ জননী জাহানারা ইমামকে মুক্তিযোদ্ধাদের ‘মা’ হিসেবে বরণ করে নেওয়া হয়েছে। আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধে নারীদের আত্মত্যাগের উজ্জ্বল উদাহরণ হলেন আমাদের শহীদ জননী। তিনি ও তার পরিবারের যেই আত্মত্যাগ, সেই ইতিহাস ও আদর্শ আমাদের স্মরণে রাখতে হবে। তুলে ধরতে হবে আমাদের নতুন প্রজন্মের কাছে। আমি শিক্ষামন্ত্রীর কাছে অনুরোধ জানাবো যে, সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জাহানারা ইমামের লেখা ‘একাত্তরের দিনগুলি’ বইটি যেন পড়ানো হয়।

অনুষ্ঠানের শুরুতে জাহানারা ইমাম ও তার পরিবারের সদস্যদের বিভিন্ন সময়ের তোলা ছবির সমন্বয়ে এবং জাহানারা ইমাম জাদুঘরের একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। আমন্ত্রিত অতিথিদের বক্তব্যের পরে জাহানারা ইমামের ছোট ছেলে সাইফ ইমাম জামি জাতীয় জাদুঘরের কাছে জাহানারা ইমাম স্মৃতি জাদুঘরের চাবি হস্তান্তর করেন। এরপর মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক ভার্চুয়ালি জাদুঘরের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।


মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী   আ. ক. ম. মোজাম্মেল হক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বাংলাদেশের পাঁচ ইস্যুতে নজর রাখছে যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

নির্বাচনের পর ধারণা করা হয়েছিল যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের ব্যাপারে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে। বিশেষ করে, ভারতের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবেই বাংলাদেশে তারা স্বার্থরক্ষা করতে চায়। নির্বাচনের পরপরই মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস, পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ বিভিন্ন মন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করেছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে অংশীদারিত্বের সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার বার্তা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সময় যত গড়াচ্ছে ততই দেখা যাচ্ছে যে, নতুন সরকারের উপর নতুনভাবে চাপ সৃষ্টি করতে চাইছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা শুরু করেছেন। মন্ত্রীদের মধ্যে থেকেও কেউ কেউ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন নীতি এবং ইস্যু সমালোচনা করছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাম্প্রতিক সময়ে দুটি বক্তৃতায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার লঙ্ঘন, গণতন্ত্রের সংকট ইত্যাদি নিয়ে সমালোচনামূলক মন্তব্য করেছেন। সরকারের দায়িত্বশীল একাধিক সূত্র বলছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের উপর নানা ইস্যুতে নতুন করে চাপ প্রয়োগ করতে চাচ্ছে। আর এ কারণেই সরকার আবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরিস্থিতি সম্পর্কে নজর রাখছে এবং পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে।

মূলত পাঁচটি ইস্যুতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের উপর নজর রাখছে বলে কূটনৈতিক সূত্র থেকে প্রাপ্ত খবরে জানা গেছে। এর মধ্যে রয়েছে-

১. ড. ইউনূস প্রসঙ্গ: ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে যে মামলাগুলো হচ্ছে, সেই মামলাগুলো দুর্নীতি দমন কমিশনের চার্জশিট, ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে মামলা- ইত্যাদি বিষয়গুলোর দিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নজর রাখছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আনুষ্ঠানিক কোন বক্তৃতা-বিবৃতি না দিলেও এই ড. ইউনূস ইস্যুর পরিণতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায় সে ব্যাপারে মার্কিন দূতাবাস এবং ওয়াশিংটন সার্বক্ষণিকভাবে খবর রাখছে বলে জানা গেছে।

২. শ্রম আইন: শ্রম আইন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান প্রকাশ্য এবং তারা বারবার শ্রম আইন নিয়ে কথা বলছে। সংশোধিত শ্রম আইনের ব্যাপারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠকও করেছেন। এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অগ্রাধিকার বিষয় বলেই মনে করা হচ্ছে।

৩. নির্বাচন: ভবিষ্যতে নির্বাচন গুলো কতটা অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয় এবং এসব নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের মতামত পাওয়া যায় কিনা সেটি যুক্তরাষ্ট্রের একটি অগ্রাধিকার এজেন্ডা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পরিষ্কারভাবেই বলছে যে, কোন দেশের গণতন্ত্রের কি অবস্থা সেটি নজর রাখা তাদের কুটনৈতিক দায়িত্ব।

৪. মানবাধিকার: মানবাধিকার ইস্যুতেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের ওপর নজর রাখছে। বিশেষ করে, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কীভাবে মানবাধিকার সুরক্ষার কাজে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিচ্ছে এবং সার্বিক মানবাধিকার পরিস্থিতির গতি-প্রকৃতি সম্পর্কেও তারা লক্ষ্য রাখছে।

৫. বেগম জিয়া: বেগম জিয়ার বিদেশ যাওয়া, তার কারাজীবন এবং তার চিকিৎসা নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র খোঁজখবর রাখছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। সাম্প্রতিক সময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের বিষয়ে মানবাধিকার রিপোর্টে বেগম জিয়াকে গৃহবন্দি হিসেবে দাবি করে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে তার প্রতিবাদ জানানো হয়। তারা বলেছে যে, বেগম খালেদা জিয়া গৃহবন্দি নন, তিনি জামিনে রয়েছেন। তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বেগম জিয়ার ইস্যুটি সম্পর্কে নজর রাখছে।

আর এই সবকিছুই হচ্ছে বাংলাদেশে অবস্থানরত কিছু ব্যক্তি যারা সরকারবিরোধী, তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে প্রতিনিয়ত এই বিষয়গুলো সম্পর্কে অবহিত করছে। ফলে যুক্তরাষ্ট্র এই বিষয়গুলোতে তাদের অবস্থান নির্ধারণ করছে এবং বাংলাদেশের উপর নতুন করে এক ধরনের চাপ সৃষ্টির প্রক্রিয়া শুরু করছে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।


বাংলাদেশ   যুক্তরাষ্ট্র   ড. ইউনূস   খালেদা জিয়া   মানবাধিকার   শ্রম আইন   নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

পরিবেশ সাংবাদিকতায় সুরক্ষা নিশ্চিত করবে সরকার: তথ্য প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৭:০৪ পিএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

পরিবেশ সাংবাদিকতার সুরক্ষায় প্রতিষ্ঠানিক উদ্যোগ নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।

শনিবার (০৪ মে) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস-২০২৪ উপলক্ষ্যে জাতীয় প্রেস ক্লাব আয়োজিত 'জলবায়ু রাজনীতির প্রেক্ষিত ও গণমাধ্যমের ভূমিকা' শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এ কথা জানান।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, পরিবেশ নিয়ে সাংবাদিকতা চর্চা করতে গিয়ে তৃণমূলে, গ্রামে-গঞ্জে, মফস্বলে যদি কোনো সাংবাদিক বা কোনো প্রতিবেদক স্থানীয় বা তথাকথিত প্রভাবশালী দ্বারা যদি কোনো ধরনের সমস্যায় পড়েন, সে ক্ষেত্রে সরকার সেই সাংবাদিকদের বা প্রতিবেদকদের পূর্ণাঙ্গ সমর্থন, সহযোগিতা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করবে। এর কারণ জাতীয়ভাবে এবং কেন্দ্রীয়ভাবে সরকারের অবস্থান পরিবেশ সুরক্ষার পক্ষে। 

তিনি আরও বলেন, পরিবেশকে বিপর্যয়ে ফেলার জন্য বাংলাদেশ সবচেয়ে কম দায়ী কিন্তু বড় শিকার। যে কারণে বাংলাদেশকে বিশ্বমঞ্চে নেতৃত্বের ভূমিকা নিয়ে কাজ করতে হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পৃথিবীর যে কোনো প্লাটফর্মে আমরা এ বিষয়ে উচ্চকণ্ঠ থাকি এবং এখানে একটা অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রক্রিয়ায় আমরা কাজ করি সরকার, সুশীল সমাজ, গণমাধ্যম সবাইকে নিয়ে। 

তিনি যোগ করেন, দেশের ভেতরে ব্যক্তি বা গোষ্ঠী স্বার্থে যদি কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী পরিবেশকে বিপর্যয়ের সম্মুখে ফেলেন এবং সেই বিষয় নিয়ে সাংবাদিকতা করতে গিয়ে কোন সাংবাদিক বা প্রতিবেদককে বিপদে পড়তে হয়, সরকার তাদের পাশে দাঁড়াবে এবং তাদের সুরক্ষা দেওয়ার পূর্ণাঙ্গ ব্যবস্থা করবে। দরকার হলে এ বিষয়টি নিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগ নেয়া হবে। কারণ সরকার মনে করে সাংবাদিকতা চর্চা করতে গিয়ে যারা স্থানীয় পর্যায়ে বিচ্যুতি-ব্যত্যয়ের বিষয়গুলো তুলে ধরবেন তারা সরকারকে সহযোগিতা করছেন, দেশ ও জনগণকে সহযোগিতা করছেন। 

এ সময় প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা পরিবেশ-প্রতিবেশকে মাথায় রেখে টেকসই উন্নয়ন করতে চাই। আমরা যেমন পরিবেশের সুরক্ষা করতে চাই, তেমনি পরিবেশ-প্রতিবেশের সুরক্ষা করে অর্থনৈতিক উন্নয়ন চালিয়ে রাখতে চাই, এগিয়ে যেতে চাই। অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে অনেকে বিতর্ক তৈরির অপচেষ্টা করে থাকে। পরিবেশকে অনেক ক্ষেত্রে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করা হয়। উন্নয়ন-অগ্রগতিকে থামিয়ে দেওয়ার জন্য পরিবেশকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে যদি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সাংবাদিকতা হয়, সেটা পেশাদার সাংবাদিকতা বলা যায় না। 

তিনি আরও বলেন, যারা সততা, সাহসিকতা এবং পেশাদারিত্বের সাথে সাংবাদিকতা করবেন তাদের জন্য বেশ কিছু প্রাতিষ্ঠানিক সুরক্ষা থাকা দরকার। সাংবাদিকতার সাথে যারা সম্পৃক্ত তাদের কল্যাণে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট কাজ করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুদান দিয়ে এ ট্রাস্টের কার্যক্রম শুরু করেছিলেন। সত্যিকার অর্থে যারা সাংবাদিকতা পেশার সাথে সম্পৃক্ত, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে তাদের নিয়ে আমরা কাজ করতে চাই। সাংবাদিকদের সুরক্ষার জন্য এ ধরণের আরও কিছু উদ্যোগ নেয়া হবে। সাংবাদিকদের আর্থিক স্বাধীনতা তৈরির জন্য যে ধরণের পলিসি নেওয়া দরকার সেটা নিয়েও সরকার কাজ করছে।

রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস (আরএসএফ)-এর করা বিশ্ব সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা সূচকে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক অবস্থান প্রসঙ্গে এসময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, আরএসএফ-এর সূচক প্রকাশ ভালো উদ্যোগ। তবে তাদের মেথডোলজির মধ্যে অনেক দুর্বলতা আছে। আরএসএফ বিভিন্ন দেশে স্কোরিং করার ক্ষেত্রে যাদের মতামত নিচ্ছে, তাতে কিছু মানুষের মতামতের প্রতিফলন ঘটছে। সেটা কোনভাবেই গোটা দেশের গণমাধ্যমের স্বাধীনতার পরিবেশের প্রতিফলন হচ্ছে না। এটা কোনো দেশের ক্ষেত্রেই হচ্ছে না। তবে একইসাথে এ ধরণের প্রতিবেদনে কোন সত্য বা আমাদের দুর্বলতা থাকলে সেটা বিবেচনায় নিয়ে শুধরে নেয়ার চেষ্টা করা হবে।

জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও সংসদ সদস্য ফরিদা ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ওমর ফারুক ও ডিপ্লোমেটিক করেসপন্ডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশের সভাপতি নুরুল ইসলাম হাসিব আলোচনা সভায় বক্তব্য প্রদান করেন। 

আলোচনা সভায় 'জলবায়ু রাজনীতি: সাংবাদিকদের ভূমিকা' শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ব্র্যাকের জলবায়ু পরিবর্তন কর্মসূচির পরিচালক ড. লিয়াকত আলী।


তথ্য প্রতিমন্ত্রী   পরিবেশ সাংবাদিকতা   মোহাম্মদ আলী আরাফাত  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন