সেপ্টেম্বর মাস বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার জন্ম মাস। এই সেপ্টেম্বর মাসেই দুনিয়ার নজরকাড়া বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অর্জনের উজ্জ্বল নেতৃত্বদানকারী বিশ্বনেতা রাষ্টনায়ক শেখ হাসিনা জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তিনি জন্মগ্রহণ না করলে হয়তো বাংলাদেশের গণতন্ত্রের মুক্তি, আইনের শাসন এবং উন্নত বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশের অবস্থান উচ্চ আসনে প্রতিষ্ঠিত করা সম্ভবপর হতো না। তাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্ম ‘বাংলাদেশের আলোর পথযাত্রা’। আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মমাসে ‘শেখ হাসিনা রচনা সমগ্র-১’ থেকে পাঠকদের জন্য তাঁর একটি লেখা তুলে ধরা হলো।
বিপন্ন গণতন্ত্র লাঞ্ছিত মানবতা (পর্ব- ৫)
-শেখ হাসিনা
জাতির সামনে সঠিক ইতিহাস
তুলে ধরা, যে অন্যায় অবিচার দেশে রয়েছে সে অন্যায় অবিচারের কথা বাঙালির মুক্তিসংগ্রাম,
স্বাধীনতা সংগ্রাম, স্বাধীনতার জন্য মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধে
ত্রিশ লাখ শহীদের আত্মত্যাগের কথা, লাখ লাখ মা-বোন যারা লাঞ্ছিত তাদের কথা তুলে ধরা,
পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসর আলবদর, রাজাকারদের অন্যায় অবিচার অত্যাচারের
কাহিনী জাতির সামনে তুলে ধরা, প্রকৃত ইতিহাস মানুষের কাছে উপস্থাপন করা, এটি কী অন্যায়?
এরা প্রাক্তন প্রভু। যাদেরকে যুদ্ধ করে বাংলার দামাল ছেলেরা পরাজিত করেছিল তাদের কথা
বলা যাবে না কেন? পরাজিত প্রাক্তন প্রভুরা নাখোশ হন। প্রভুদের পালিত সারমেয়দল অত্যন্ত
প্রভুভক্ত, যতই বুটের লাথি থাক, ঝাঁটা খাক গোলামির বন্ধন তাদের বড় মধুর লাগে। মুক্ত
স্বাধীন স্বদেশ তাদের কাম্য নয়।
মেরেছ কলসির কানা
তাই বলে কি প্রেম দেব
না?
ঠিক এমনি প্রেমে গদগদ
প্রভুপ্রেমে যারা বিভোর তারা স্বদেশ বেচে দিতেও কুণ্ঠিত নয় ।
আওয়ামী লীগ আমলে তাই
ইতিহাসের কথা বলতে গিয়ে কতবার তাদের প্রভুদের নাম টেলিভিশনে নেওয়া হয়েছে তা হিসাব
কষে অঙ্কের ভাষায় খবর পৌঁছে দিতে এক মুহূর্ত সময় নষ্ট করেনি।
কাতারে ডি-৮ সামিটে পাকিস্তানের
চিফ এক্সিকিউটিভের সঙ্গে যখন সাক্ষাৎ হলো তখন একথা তিনি ও তার সঙ্গীরা উল্লেখ করতে
ভুললেন না। তাদের আমি বললাম ইতিহাস ইতিহাসই। ইতিহাস তো মুছে ফেলা যাবে না। মুছে ফেলা
যায় না। আমি বললাম আমরা ক্ষমা করতে পারি কিন্তু ঘটনা তো ভুলতে পারি না। "We
can forgive but we can not forget." আর ইতিহাস থেকেই তো মানুষ শিক্ষা নেয়। তাই
যদি না হতো তাহলে সিলেবাসে ইতিহাস থাকে কেন? বাংলাদেশের মানুষের সাথে যা ঘটেছে, তা
কি প্রজন্মের পর প্রজন্ম জানতে পারবে না।
বাংলাদেশের মানুষ বীরত্বের সাথে যুদ্ধ করে বিজয় অর্জন করেছে। বিজয়ী হিসেবে বিজয়ের ইতিহাস নতুন প্রজন্ম জানতে পারবে না। গৌরবের এ ইতিহাস। থেকে বঞ্চিত করে তাদের বিকৃত ইতিহাস শেখাতে হবে জানাতে হবে? তাহলে তাদের চরিত্র সুদৃঢ় হবে কীভাবে? সত্যকে জানতে পারবে না? মিথ্যা, বিকৃত তথ্য জেনে নতুন প্রজন্ম কি নিজেদেরকে ভবিষ্যতের জন্য গড়ে তুলতে পারবে?
"সেই সত্য যা রচিবে
তুমি—ঘটে যা তা সব সত্য নহে। কবি, তব মনোভূমি রামের জনমস্থান, অযোধ্যার চেয়ে সত্য
জেনো।
কবির ভাষায় অর্থাৎ যা
ঘটে তা সত্য নয়, কবি যা রচনা করে তাই সত্য? অর্থাৎ ইতিহাস সত্যকে বাদ দিয়ে আপন মনের
মাধুরী মিশিয়ে যা রচনা করা হবে তাই সত্য হয়ে যাবে আর যা সত্য তা কি হারিয়ে যাবে?
কিন্তু ইতিহাস বড় নির্মম,
নিষ্ঠুর, একদিন না একদিন সত্য প্রকাশ পাবেই। আমাদের মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাস কত চাপা
দেবে? অনেক সত্য বরং পাকিস্তানের অনেক রাজনীতিবিদ, লেখক, সাংবাদিক, সামরিক কর্মকর্তার
কাছ থেকেই বেরিয়ে আসছে—কত দিন বন্ধ করে রাখতে পারবে?
কিন্তু এটি আওয়ামী লীগের
বিরুদ্ধে বড় অভিযোগ যে—আওয়ামী লীগ সত্যকে উদ্ঘাটন করেছে। আমাদের দেশের নতুন প্রজন্ম
যেন হঠাৎ জেগে উঠেছে, সত্য জেনেছে, জানার আগ্রহ সৃষ্ট হয়েছে আর কি বন্ধ রাখতে পারবে?
পারবে না।
কিন্তু এ সত্য প্রকাশের
শাস্তি কি নির্বাচনের ফলাফলে কারচুপি ব্যবস্থা করা?
(সূত্র: শেখ হাসিনা রচনা সমগ্র-১।। পৃষ্টা: ২৮৫-২৮৫)
বিপন্ন গণতন্ত্র লাঞ্ছিত মানবতা
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
নওগাঁর নিয়ামতপুরে ৪ চেয়ারম্যান প্রার্থী নির্বাচন বর্জন করেছেন। প্রতীক বরাদ্দের পরও বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ তুলে ফেসবুক লাইভে এসে উপজেলা চেয়ারম্যান ওই চার জন পদপ্রার্থী নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত গ্রহন করেন। সোমবার (০৬ মে) সকালে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে জাহিদ হাসান বিপ্লব ও আবেদ হাসান মিলন নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা নিশ্চিত করেন।
নির্বাচন বর্জনকারী প্রার্থীরা হলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব আবুল কালাম আজাদ, সিনিয়র সহ- সভাপতি শ্রী ঈশ্বর চন্দ্র বর্মন, সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হাসান বিপ্লব এবং নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক আবেদ হোসেন মিলন।
এদিকে গত ২ মে প্রতীক বরাদ্দের পর আবুল কালাম আজাদ (কাপ পিরিচ), শ্রী ঈশ্বর চন্দ্র বর্মন (ঘোড়া), জাহিদ হাসান বিপ্লব (হেলিকপ্টার) ও আবেদ হাসান মিলন (আনারস) প্রতীক পেয়েছিলিন। প্রতীক বরাদ্দের পর তারা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় নির্বাচনী গণসংযোগও চালিয়েছেন।
অভিযোগ কারীরা জানান, ‘উপজেলায় সুষ্ঠু ও প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন করতে আমরা ইতিমধ্যে সব প্রস্ততি সম্পন্ন শেষ করেছি। সরকার ও আওয়ামী লীগ দলের নির্দেশে এবং খাদ্যমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা সাধন চন্দ্র মজুমদার এমপির ভাবমূর্তি ও সম্মান রক্ষা করার জন্য সবসময় তাকে নিরপেক্ষ রাখার চেষ্টা করেছি। কিন্তু একজন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও তার কর্মী সমর্থকরা আইন ও নির্দেশ অমান্য করে খাদ্যমন্ত্রী ও তার পরিবারের নাম ব্যবহার করছে। আমাদের বিভিন্ন ভাবে ভয় ভীতি দেখিয়ে তারা নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় অধিকাংশ নেতাকর্মীরা ইচ্ছার বিরুদ্ধে ওই প্রতিদ্বন্দ্বির পক্ষে কাজ করতে বাধ্য হচ্ছেন। এমনকি ইউপি চেয়ারম্যানগণকে বাধ্য করা হচ্ছে ওই পক্ষের হয়ে কাজ করতে। এমত অবস্থায় নিয়ামতপুর উপজেলার সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা এবং দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে হানাহানি ও দ্বন্দ্ব ইত্যাদি রক্ষায় আমরা নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিলাম।’
উল্লেখ্য, নিয়ামতপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৬ জন মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছিলেন। মনোনয়ন পত্র যাচাই-বাছাই শেষে ছয় জন প্রার্থীই প্রতীক পেয়েছিল। এখন নির্বাচনী মাঠে রইলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফরিদ আহমেদ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সোহরাব হোসেন।
উপজেলা নির্বাচন চেয়ারম্যান প্রার্থী বর্জন
মন্তব্য করুন
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আচরণ বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে চেয়ারম্যান প্রার্থী মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিন (আনারস) ও রাশেদ ইউসুফ জুয়েলকে (দোয়াত কলম) শোকজ করেছে রিটার্নিং কর্মকর্তা।
সোমবার (৬ এপ্রিল) দুপুরে জেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটানিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আনারস প্রতীকের প্রার্থী মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিনকে ১২ ঘণ্টা এবং দোয়াত কলম প্রতীকের প্রার্থী রাশেদ ইউসুফ জুয়েলকে ২৪ ঘণ্টা সময়ের মধ্যে শোকজের লিখিত জবাব দিতে বলা হয়েছে।
শোকজ নোটিশে বলা হয়েছে, রাশেদ ইউসুফ জুয়েল (দোয়াত কলম) আচরণবিধি লঙ্ঘন করে কর্মী-সমর্থক দিয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় বাধা সৃষ্টি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করছেন মর্মে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিন লিখিত অভিযোগ করেছেন। এ ঘটনায় উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা ২০১৬ এর বিধি ৩ ও বিধি ৩১ এর পরিপন্থি।
এ অবস্থায় আচরণবিধি লঙ্ঘনের কারণে রাশেদ ইউসুফ জুয়েলের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তা জানতে গতকাল রোববার নোটিশ দেওয়া হয়। নোটিশে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে লিখিত জবাব দিতে বলা হয়েছে। অন্যথায় উপজেলা পরিষদ বিধিমালা ২০১৩ ও উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা ২০১৬ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।
রিয়াজ উদ্দিনের নোটিশে বলা হয়েছে, রোববার (৫ মে) রাতে সদর উপজেলার কালিয়া হরিপুর ইউনিয়নের কাদাই গার্ডেন প্যালেস রিসোর্টে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের সঙ্গে গোপন বৈঠক করে অর্থ লেনদেনের চেষ্টা করেছেন মর্মে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়া প্রার্থী মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিনের সমর্থক রিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ফজলুর রহমান ফজলু আনারস প্রতিকের টি-শার্ট পরে শহরের মাহমুদপুর এলাকায় ভোটারদের মধ্যে টাকা বিতরণ করেছেন মর্মে লিখিত অভিযোগ করেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রাশেদ ইউসুফ জুয়েল। এমন কর্মকান্ড উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা ২০১৬ এর বিধি ১৭ এর পরিপন্থি।
এ অবস্থায় আচরণ বিধি লঙ্ঘনের কারণে মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হবে না তা জানতে আগামী ১২ ঘণ্টার মধ্যে সশরীরে উপস্থিত হয়ে লিখিত ও মৌখিকভাবে জবাব দিতে বলা হয়েছে। অন্যথায় উপজেলা পরিষদ বিধিমালা ২০১৩ ও উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা ২০১৬ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রসঙ্গত, ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রথম ধাপে আগামী ৮ মে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনে মোট পাঁচজন চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন।
উপজেলা নির্বাচন চেয়ারম্যান প্রার্থী শোকজ
মন্তব্য করুন
দীর্ঘ তীব্র তাপপ্রবাহের শেষে অবশেষে পটুয়াখালীতে দেখা মিলেছে স্বস্তির বৃষ্টির। সোমবার (৬ মে) বিকেল ৪ টার দিকে আকাশে মেঘ করে শীতল হাওয়া বইতে শুরু করে তারপর সাড়ে ৪ টার দিকে হালকা গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি শুরু হয়। মুষলধারে বৃষ্টি না হলেও তীব্র গরমে হাঁপিয়ে ওঠা জনজীবন একটু হলেও স্বস্তির নিশ্বাস নিচ্ছে।
মানুষ বৃষ্টি দেখে উচ্ছ্বসিত হয়ে পড়েছেন। অনেকে মৌসুমের প্রথম বৃষ্টিতে গা ভিজিয়ে নিচ্ছেন মনের আনন্দে। অনেকে আবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্ট্যাটাস দিয়ে জানান দেন স্বস্তির বৃষ্টি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে কেউ কেউ সৃষ্টিকর্তার নিকট কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছেন।
উল্লেখ্য, এবার এপ্রিলে দীর্ঘতম তাপদাহ বয়ে গেছে দেশজুড়ে। ১৯৮১ সালের পর এবারের এপ্রিল ছিল শুষ্কতম মাস। শুধু উষ্ণতম নয়, এই এপ্রিল ছিল গত ৪৩ বছরের মধ্যে সবচেয়ে শুষ্কতম। দেশের গড় বৃষ্টিপাত ছিল এক মিলিমিটার।
মন্তব্য করুন
নওগাঁর নিয়ামতপুরে ৪ চেয়ারম্যান প্রার্থী নির্বাচন বর্জন করেছেন। প্রতীক বরাদ্দের পরও বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ তুলে ফেসবুক লাইভে এসে উপজেলা চেয়ারম্যান ওই চার জন পদপ্রার্থী নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত গ্রহন করেন। সোমবার (০৬ মে) সকালে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে জাহিদ হাসান বিপ্লব ও আবেদ হাসান মিলন নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা নিশ্চিত করেন।