ইনসাইড বাংলাদেশ

জামালপুরে বাবার মৃত্যু সইতে না পেয়ে ছেলে ও মৃত্যু

প্রকাশ: ০৬:০৭ পিএম, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

মাত্র এক ঘণ্টা সময় ব্যবধানে জামালপুরে বাবা-ছেলের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) ভোরে জামালপুর সদরের ঘোড়াধাপ ইউনিয়নে এই ঘটনা ঘটে।

 

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঘোড়াধাপ ইউনিয়নের জোঁকা ব্যাপারী পাড়ার আহাদ আলী ব্যাপারী (৬৫) ফজরের নামাজ আদায় করার পর হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হয়। এ সময় ছেলে মন্টু ব্যাপারী (৩৫) বাবাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিতে সিএনজি অটোরিকশার খোঁজে বের হন। পরে অটোরিকশা নিয়ে বাড়ি ফিরে দেখেন বাবা মারা গেছেন। বাবার মৃত্যু সইতে না পেরে মন্টু ব্যাপারীও হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হন। পরে তার মৃত্যু হয়।

 

ঘোড়াধাপ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া জানান, বাবার হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যুর পরও তিনি জীবিত আছেন মনে করে চিকিৎসার জন্য সিএনজি অটোরিকশা খুঁজে আনেন ছেলে মন্টু। কিন্তু বাড়ি ফিরে বাবার মৃত্যুর খবর শুনে মিন্টুও হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। জোহরের নামাজের পর দুজনের একসঙ্গে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।


জামালপুর   বাবা   পুত্র   মৃত্যু  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

নীলফামারীতে প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা ও বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ বিষয়ক সভা

প্রকাশ: ০৩:৩৯ পিএম, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

নীলফামারীতে কমিউনিটি স্কোর বোর্ড বাস্তবায়ন এবং প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা, জেন্ডার ভিত্তিক সহিংসতা ও বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ বিষয়ক পরামর্শক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপ-পরিচালক কার্যালয়ের সভাকক্ষে এই সভার আয়োজন করে ইয়েস বাংলাদেশ।

 

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপ-পরিচালক মোজাম্মেল হক। এছাড়াও নীলফামারী প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নুর আলম, নীলফামারী সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা ফাতেমা আখতার এবং মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা ফারজানা সুলতানা বক্তব্য দেন এতে।

 

ইয়েস বাংলাদেশের জেলা ভলান্টিয়ার নাইমুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় ন্যাশনাল চিলড্রেনস টাস্কফোর্স (এনসিটিএফ) এর সাধারণ সম্পাদক রাইসা বিনতে মাসুদ নীলফামারীর মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র এবং নীলফামারী সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে কিশোর কিশোরী কেন্দ্রের সেবার মান উপস্থাপন করেন। 

 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপ-পরিচালক মোজাম্মেল হক বলেন, মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে কিশোর কিশোরীদের সেবার মানোন্নয়নে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়া হবে। 


সিটিজেন চার্টার স্থাপন আলাদা আলাদা টয়লেটের ব্যবস্থাসহ ছেলে ও মেয়েদের জন্য পৃথক পৃথক ভাবে সেবাদানের ব্যবস্থা করা হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। 

ইয়েস বাংলাদেশের জেলা ভলান্টিয়ার নাইমুর রহমান বলেন, ‘মূলত স্কুল পড়ুয়া ছেলে মেয়েরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সেবা কেন্দ্রে কি রকম সেবা পাচ্ছেন সেগুলো তুলে ধরা এবং চিহ্নিত সমস্যাগুলো সমাধানে কর্তৃপক্ষের সাথে পরামর্শ করে সমাধানের উদ্যোগ নেয়ার ক্ষেত্রে কাজ করে থাকে ইয়েস বাংলাদেশ।’


প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা   বাল্য বিবাহ   প্রতিরোধ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

রাজবাড়ীতে ট্রাক-কাভার্ডভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ১

প্রকাশ: ০২:৫৪ পিএম, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

রাজবাড়ীতে ট্রাক ও কাভার্ডভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে মোঃ আব্দুর রহিম (৩৫) নামে এক কাভার্ডভ্যান চালক নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় সারোয়ার হোসেন নামে আরও একজন আহত হয়।  

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) ভোরে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। 

নিহত চালক আব্দুর রহিম ঢাকার যাত্রাবাড়ী থানার দনিয়া ইউনিয়নের দোলাইরপাড় গ্রামের বাসিন্দা।

দুর্ঘটনায় আহত সারোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমরা ঢাকা থেকে কোম্পানির কাভার্ডভ্যানে ফ্যান নিয়ে ভোর ৪টায় ফরিদপুরে যাই। সেখানে একটি দোকানে ফ্যান ডেলিভারি দিয়ে ঢাকায় ফিরছিলাম। পথে মজলিশপুর আখ সেন্টারের সামনে এলে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাক সামনে থাকা একটি পিকআপভ্যানকে ওভারটেক করতে গিয়ে আমাদের গাড়ির সামনে চলে আসে। এ সময় ট্রাকটির সঙ্গে আমাদের গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষ হলে ঘটনাস্থলেই চালক আব্দুর রহিম মারা যান।’

আহলাদিপুর হাইওয়ে থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জুয়েল শেখ জানান, ‘নিহত চালকের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। দুর্ঘটনাকবলিত ট্রাক ও কাভার্ডভ্যানটি মহাসড়কের পাশে রয়েছে। তবে ট্রাকচালক ও হেলপার পালিয়ে গেছেন। এ ব্যাপারে পরবর্তী আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।


সড়ক দুর্ঘটনা   বাস-ট্রাক   সংঘর্ষ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে প্রাতিষ্ঠানিক ডেলিভারি সেবা দেওয়া সম্ভব: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশ: ০২:৩৫ পিএম, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছে দেওয়ার একমাত্র প্রধান সহায়ক হলো কমিউনিটি ক্লিনিক। এই কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে আমার যদি সাধারণ মহিলাদের সেবা দিতে পারি বিশেষ করে কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে তাদেরকে প্রাতিষ্ঠানিক ডেলিভারি সেবা দেওয়া যেতে পারে।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে কমিউনিটি ক্লিনিকের ২৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়নে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আমরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। গণমুখী স্বাস্থ্য ব্যবস্থা হিসাবে কমিউনিটি ক্লিনিক কার্যক্রম আজ দেশে বিদেশে নন্দিত। শিশু ও মাতৃমৃত্যু হ্রাসকরণে কমিউনিটি ক্লিনিক গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। 

তিনি বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় বেশিরভাগ জমি দান করেছেন নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষ। ভালো কাজের মানুষ এগিয়ে আসেন। জনবহুল এই দেশের মানুষ এসকল কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপনের জন্য আটশ একর জমি দান করেছেন। আমরা সেখানে সেবাদানকারী নিয়োগ করেছি। তিন জন সেবাদানকারী সপ্তাহে ছয়দিন সেবা দিচ্ছেন। গ্রামীণ জনগোষ্ঠী বিশেষ করে দরিদ্র মা ও শিশুরা তাদের ঘরের কাছে ওষুধ সহ বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা, পরিবার পরিকল্পনা ও পুষ্টি সেবা পাচ্ছে।

এ পর্যন্ত ১৫ হাজার তিনশ ১৮ টি কমিউনিটি ক্লিনিক চালু করা হয়েছে জানিয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এ সমস্ত কমিউনিটি ক্লিনিকের এক কোটিরও অধিক রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন এবং উচ্চতর চিকিৎসার জন্য কাউকে কাউকে রেফার করা হয়েছে।

কমিউনিটি ক্লিনিক   স্বাস্থ্যমন্ত্রী   প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী   ডা. সামন্ত লাল সেন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

কমিউনিটি ক্লিনিক প্রধানমন্ত্রীর চিন্তাপ্রসূত যুগান্তকারী পদক্ষেপ: স্বাস্থ্য সচিব

প্রকাশ: ০২:০১ পিএম, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব জাহাঙ্গীর আলম বলেছেন, জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছানোর লক্ষ্যে কমিউনিটি ক্লিনিক মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চিন্তাপ্রসূত একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। এর মাধ্যমে তৃণমূল পর্যায়ের সুবিধা বঞ্চিত জনগোষ্ঠীর প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা, পরিবার পরিকল্পনা এবং পুষ্টি সেবা নিশ্চিত হচ্ছে। 

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে কমিউনিটি ক্লিনিকের ২৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

জাহাঙ্গীর আলম বলেন, চিকিৎসা সেবা জনগণের অন্যতম মৌলিক অধিকার। সে অধিকার প্রতিষ্ঠায় সরকার কর্তৃক গৃহীত বহুমুখী পদক্ষেপের অন্যতম এই কমিউনিটি ক্লিনিক। কমিউনিটি ক্লিনিকে প্রান্তিক জনগণ বিভিন্ন স্বাস্থ্য সেবা গ্রহণ করছেন। স্বাস্থ্য খাতে বাংলাদেশ সরকারের এ সাফল্য আজ বিশ্ববিদিত এবং এই সাফল্যের পিছনে কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে প্রদত্ত সেবার একটি বিশাল ভূমিকা রয়েছে। 

তিনি বলেন, কমিউনিটি গ্রুপ ও কমিউনিটি সাপোর্ট গ্রুপ এবং স্থানীয় সরকার প্রতিনিধিদের অর্থবহ করে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশীপ প্রক্রিয়ায় জনগণের অংশীদারিত্বের মাধ্যমে কমিউনিটি ক্লিনিক পরিচালিত হচ্ছে যার ফলে কমিউনিটি ক্লিনিকের সাথে স্থানীয় জনগণের নিবিড় সম্পর্ক ও সমৃক্তকরণে একটি সামাজিক আন্দোলন গড়ে উঠেছে। 

‘শেখ হাসিনার অবদান কমিউনিটি ক্লিনিক বাঁচায় প্রাণ’-শ্লোগানটি ব্রান্ডিং হয়েছে উল্লেখ্য করে স্বাস্থ্য সচিব বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিকের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় ডিজিটালকরণের ফলে দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে উন্নত স্বাস্থ্যসেবা পদ্ধতির আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে এবং তাদের স্বাস্থ্য তথ্য জাতীয় ডিজিটাল স্বাস্থ্য বাতায়নে সংযুক্ত হচ্ছে। কেবল জাতীয় পর্যায়ে নয়, আন্তর্জাতিক পরিসরেও কমিউনিটি ক্লিনিকের ভূমিকা ও কার্যকারিতা স্বীকৃতি পেয়েছে ও পাচ্ছে। জাতিসংঘ ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ মহতী উদ্যোগের স্বীকৃতিস্বরূপ কমিউনিটি ক্লিনিককে ‘দি শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’ হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছে। এটি বাংলাদেশের জন্য বিরাট গৌরবের। 

কমিউনিটি ক্লিনিক   স্বাস্থ্য সচিব   জাহাঙ্গীর আলম  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সিরাজগঞ্জে অতি-দ্ররিদ্রদের কর্মসৃজন প্রকল্পে শুভঙ্করের ফাঁকি

প্রকাশ: ০২:২৮ পিএম, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে ধুবিল ইউনিয়নে অতি-দরিদ্রদের জন্য কর্মসৃজন প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এর মধ্যে প্রকল্প এলাকায় কম শ্রমিকের উপস্থিতি, হাজিরা খাতা ও সাইনবোর্ড না থাকা, শ্রমিক তালিকায় ইউপি উদ্যোক্তা, চৌকিদার, ইউপি সদস্যদের স্বজনদের নাম অন্তভূক্ত করা, শ্রমিকদের সিম ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যদের পকেটে রাখা সহ নানাবিধ অনিয়ম।

 

জানা যায়, এই উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে ১৫ এপ্রিল ২০২৪ইং তারিখ হতে ৪০ দিনের কর্মসৃজন প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শুরু হয়। দ্বিতীয় পর্যায়ে ৪৫টি প্রকল্পের বিপরীতে মোট ১৬৬৩ জন শ্রমিকের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয় ২ কোটি ৬৬ লাখ ৮ হাজার টাকা। প্রতি শ্রমিকের জন্য দৈনিক চারশত টাকা মজুরী এবং সর্দারের ভাতা রয়েছে ২ হাজার টাকা। এর মধ্যে ধুবিল ইউনিয়নে ৬টি প্রকল্পের বিপরীতে ১৬৭ জন শ্রমিকের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয় ২৬ লাখ ৭২ হাজার টাকা। যেখান পুরুষ শ্রমিকের সংখ্যা ১১১ জন এবং মহিলা শ্রমিকের সংখ্যা ৫৬ জন।

 

সরেজমিনে ধুবিল ইউনিয়নের ইছিদহ, আমশড়া, চৌধুরী ঘুঘাট, ধুবিল মেহমানশাহী, মালতিনগর, ঝাউল প্রকল্প গুলো ঘুরে দেখা যায়, শ্রমিক উপস্থিতি ষাট ভাগেরও কম।

 

প্রকল্প এলাকার বাসিন্দারা জানান, উন্নয়নের জন্য সরকার থেকে লাখ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হলেও তা যথাযথভাবে বাস্তবায়ন হচ্ছে না। প্রকল্পের নামে চলছে লুটপাট। ঝাউল লুৎফরের বাড়ী হতে শহিদুলের বাড়ী পর্যন্ত রাস্তা মেরামতের জন্য ২৭ জন শ্রমিকের বিপরীতে ৪ লাখ ৩২ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এখানে মূলত কাজ করছেন ১৫ জন শ্রমিক। প্রকল্পের সর্দার জানান, শুরু থেকেই এখানে ১৫ জন শ্রমিক কাজ করে। প্রকল্পের সভাপতি থেকে শুরু করে কেউ তদারকিও করতে আসে না।

 

একই চিত্র এই ইউনিয়নের সকল প্রকল্প গুলোতে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ইউপি সদস্য জানান, প্রকল্প শেষে বরাদ্দের বড় একটা অংশ যায় প্রকল্প সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসে। কাজেই এই প্রকল্পের দুর্নীতি ওপেন সিক্রেট।

 

এ ব্যাপারে ঝাউল প্রকল্পের প্রকল্প সভাপতি ও ইউপি সদস্য ছানোয়ার হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রকল্পে শ্রমিক অনুপস্থিত থাকবেই, কারণ চেয়ারম্যানের ভিআইপি লেবার, মহিলা ইউপি সদস্যের ভিআইপি লেবার থাকে। তারপর আবার উপজেলা অফিস ম্যানেজ করতে হয়।

কর্মসৃজন প্রকল্পের অনিয়মের বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান রাসেলের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সকল ইউনিয়নেই শ্রমিক উপস্থিতি কম। তাই আমার এখানেও কম। আপনারা পত্রিকায় লিখে কিছু করতে পারবেন না। কারণ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার সবকিছু নলেজে আছে।’


অতি দ্ররিদ্র   কর্মসৃজন   প্রকল্প   অনিয়ম  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন