সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার পৌর শহরের কান্দাপাড়া মহল্লার মৃত আব্দুর রউফের বিধবা স্ত্রী ছালেহা খাতুন (৩৮) প্রায় ৭০ লাখ টাকা মূল্যের বাড়ির সম্পত্তি উদ্ধারে প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও ন্যায় বিচার পাচ্ছে না। ফলে দুই এতিম শিশু সন্তানের প্রায় ৭০ লাখ টাকা মূল্যের ৬ দশমিক ৬৬ শতক বাড়ির সম্পত্তি গ্রাস হয়ে যাচ্ছে।
এ সম্পত্তি রক্ষায় তিনি শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী
কর্মকর্তা,সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপারের কাছে একাধিকবার আবেদন
করেছেন। তারা শাহজাদপুর থানা পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিলেও তার কোনো কাজ
হয়নি। উল্টো শাহজাদপুর থানার এসআই গোপাল চন্দ্রের ঘুষ দাবী ও অসদাচরণের শিকার
হয়েছেন। এর প্রতিবাদে গত শুক্রবার দুপুরে দেওয়ানপাড়া মহল্লার ভাড়া বাসায় ছালেহা
খাতুন তার দুই এতিম মেয়ে লাবিবা খাতুন(১৪) ও ছেলে মাহিন(১৩)কে সাথে নিয়ে সংবাদ সম্মেলন
করেছেন।
এ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বিধবা ছালেহা খাতুন বলেন,
ব্যাংকের ঋণ পরিশোধের অর্থ যোগাতে ২০১৩ সালের ২৮ নভেম্বর আমার শ্বশুর নঈম উদ্দিন সরকার
তার নিজ নামিয় বাড়ির ১০ শতক জায়গা আমার স্বামী আব্দুর রউফের কাছে বিক্রি কবলা করে
দেন।’ এতে ক্ষুব্ধ হয়ে আমার দেবর এসএম শামীম আমাদের উপর অত্যাচার নির্যাতন শুরু
করেন। এ অত্যাচর নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে স্বামী ও নাবালক দুই সন্তান নিয়ে আমরা
দেওয়ারপাড়ায় বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করি।
গত ২০২০ সালের ২৪ নভেম্বর আমার স্বামী আব্দুর রউফ করোনা রোগে আক্রান্ত
হয়ে মারা যান। এরপর থেকে আমি দুই এতিম সন্তান নিয়ে এই ভাড়াবাসায় অতিকষ্টে চলছি। এর
উপর আমাদের না জানিয়ে আমার শ্বশুর-শ্বাশুড়ি ওই ১০ শতক জায়গার মধ্যে ৩ দশমিক ৩৪ শতক
জায়গার ওয়ারিশ দাবীমূলে গোপনে আমার দেবর এসএম শামীমের নামে শিখে দেয়। ফলে শামীম
আমার শ্বশুর-শ্বাশুরির যোগ সাজসে আমার ও আমার সন্তানদের প্রায় ৭০ লাখ টাকা মূল্যের
৬ দশমিক ৬৬ শতক বাড়ির সম্পত্তি গ্রাস করার পায়তারা করছে। এখন আমার ভাড়াবাসায় থেকে
সংসার চালানো কষ্টকর হয়ে পড়ায় আমি গত ২৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় সন্তানদের নিয়ে
স্বামীর ক্রয়কৃত কান্দাপাড়ার ওই বাড়িতে ওঠতে যাই।
এ সময় আমার দেবর এসএম শামীম ও শ্বশুর নঈম উদ্দিন সহ ৫/৬ জন আমাদের
বাড়িতে উঠতে বাঁধা দিয়ে বেধরক মারপিট ও নির্যাতন শুরু করে। আমরা প্রাণ রক্ষায় দৌড়ে
পালিয়ে পাশের বাড়িতে আশ্রয় নেই। সেখানেও আমাদের উপর হামলা করলে পুলিশের সহায়তা
কামনা করে ৯৯৯ নম্বরে কল করি। এরপর শাহজাদপুর থানার এসআই গোপাল চন্দ্র আমাদের
উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। চিকিৎসা শেষে ওইদিন রাতেই আমি শাহজাদপুর থানায় একটি মামলা
দায়ের করতে যাই। এ মামলা নিতে এসআই গোপাল চন্দ্র আমার কাছে মোটা mঅংকের ঘুষ দাবী
করে। আমি তার দাবীকৃত টাকা দিতে না পাড়ায় তিনি আমাকে মামলা করতে বাধা দিয়ে বলেন,
আপনার মামলা নেওয়া যাবে না। এক বড় ভাইয়ের নিষেধ আছে। উল্টো শামীম আপনার বিরুদ্ধে
মামলা দিলে তা নিতে হবে।
তারপরেও আমি ডিউটি অফিসারের কাছে আমার লিখিত এজাহার কপি জমা দেই।
কিন্তু তাতে কোনো কাজ হয়নি। আমি হতাশ হয়ে ফিরে আসি। এরপর শাহজাদপুর উপজেলা
নির্বাহী কর্মকর্তা,সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপার বরাবর প্রতিকার
চেয়ে আবেদন করি। তারা থানা পুলিশকে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিলেও এখনও আমি কোনো
প্রতিকার পাইনি। তাই আমি অবিলম্বে প্রশাসনের কাছে আমার বাড়ির দখলমুক্ত করে আমাকে
বুঝে দেয়ার জন্য সার্বিক সহযোগিতা ও এসআই গোপাল চন্দ্রের অসদাচরণের সুবিচার দাবী
করছি। এ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, বিধবা ছালেহা খাতুনের মেয়ে ১০ম শ্রেণির
ছাত্রী লাবিবা খাতুন (১৪) ও ছেলে অষ্টম শ্রেণির ছাত্র মাহিন (১৩)।
এ বিষয়ে রাজশাহী নবদিগন্ত মহিলা উন্নয়ন সংস্থার নারী ও শিশু আইনী
সহায়তার নির্বাহী পরিচালক রাজিয়া সুলতানা বলেন, আমাদের সংস্থার পক্ষ থেকে আইনী সহায়তা
প্রদানের লক্ষে এই এতিম শিশু ও বিধবা ছালাহা খাতুনের সাথে ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে আমি
শাহজাদপুর থানায় যাই। আমার সামনেরই এসআই গোপাল চন্দ্র ঘুষ দাবী করেন ও মামলা করতে
বাঁধা দিয়ে অসদাচরণ করেন। আমি বিষয়টি তাৎক্ষণিক ভাবে প্রতিবাদ করলেও কোনো কাজ
হয়নি।
এ বিষয়ে জানতে এসএম শামীমের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হয়।
কিন্তু সংযোগ না পাওয়ায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে শাহজাদপুর থানার এসআই
গোপাল চন্দ্র এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন আমি তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তির
ব্যবস্থা করেছি। তাদের এ অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।
এ বিষয়ে শাহজাদপুর থানার ওসি নজরুল ইসলাম মৃধা বলেন, তার অভিযোগ সত্য নয়। তারপরেও এসআই গোপাল চন্দ্র যদি কোনো অসদাচরণ করে থাকেন তবে তার বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মন্তব্য করুন
একমাত্র সন্তান বৈমানিক অসিম জাওয়াদকে হারিয়ে শোকে কাতর চিকিৎসক বাবা আমান উল্লাহ। সন্তানের লাশ সামনে রেখে তিনি জানান, জীবনের ঝুঁকি জেনেও একমাত্র সন্তানকে তারা বিমান বাহিনীতে পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু তাদের রেখে সন্তান এভাবে চলে যাবে- সেটা কখনো ভাবতে পারেননি। শুক্রবার (১০ মে) দুপুরে তিনি এসব কথা বলেন ।
ড. আমান উল্লাহ বলেন, আমি তো ডাক্তার, আমি জানি কতটা জীবন ঝুঁকি আছে এ দায়িত্বে। ওর মাও নিষেধ করেছিল। কিন্তু আমি ওর পছন্দকে শ্রদ্ধা জানিয়ে, ঝুঁকি জেনেও বিমান বাহিনীতে পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু আমি ভাবিনি যে, আমার ছেলে আমাকে ছেড়ে চলে যাবে। ও শুধু আমাদের ছেড়ে যায়নি। ওর ছোট্ট বাচ্চাগুলোকেও ছেড়ে গেল। আমি জানি না, ওর মতো করে বাচ্চাগুলোকে পালন করতে পারব কিনা।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৯ মে) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা জহুরুল হক বিমান ঘাঁটির থেকে বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান উড্ডয়ন করে। এর কিছুক্ষণ পরই বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয় এবং বিমানটিতে আগুন ধরে যায়।
কর্ণফুলী নদীতে ভূপাতিত হওয়ার আগেই বিমানে থাকা বৈমানিক উইং কমান্ডার সোহান ও বৈমানিক স্কোয়াড্রন লিডার অসীম জাওয়াদ প্যারাসুট দিয়ে নদীতে নামলেও দুজন আহত হন। পরে তাদের উদ্ধার করে পতেঙ্গা বিএনএস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে বিমান বিধ্বস্তর ঘটনায় বৈমানিক অসীম জাওয়াদ বিএনএস পতেঙ্গা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
শুক্রবার (১০ মে) বেলা আড়াইটার দিকে মানিকগঞ্জের শহীদ মিরাজ-তপন স্টেডিয়ামে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে জেলার হাজারও মানুষ অংশ নেন। জানাজা শেষে পাইলট আসিম জাওয়াদ রিফাতের মরদেহ জেলা শহরের সেওতা কবরস্থানে দাফন করা হয়।
মন্তব্য করুন
রাজধানী
উত্তরার একটি বেসরকারি কলেজ
পড়ুয়া শিক্ষার্থী মোছা.
সামিয়া। তিনি ডেটিং অ্যাপস ট্যানট্যানে তারই কাছের এক বান্ধবীকে বিক্রি করে ফায়দা তুলেছেন।
সেখানে
মাহি নামের একটি অ্যাকাউন্টে ব্যবহার
করেছেন তার বান্ধবীর ছবি। আর সেই ডেটিং অ্যাপসের অ্যাকাউন্ট থেকে রুম ডেট
করার নামে বহু মানুষের
কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছেন
লাখ লাখ টাকা।
ভুক্তভোগী
ওই শিক্ষার্থী জানান, সামিয়া এসব অ্যাপসে নিজের
ছবি ব্যবহার করে বহু মানুষের
কাছ থেকে টাকা নিয়েছে।
রুম ডেটের কথা বলে ২০০
টাকা থেকে শুরু করে
৫০ হাজার; এমনকি সুযোগ বুঝে লাখ টাকাও
নিয়েছে কারও কারও কাছ
থেকে। ভুয়া জন্মদিনের কথা
বলে নিয়েছে দামি উপহার। এমনকি
বাসার জন্য মাছ, মাংসসহ
বাজারও নিয়েছে।
নিজের
ছবিতে যখন আর কাজ
হচ্ছিল না, তখন বান্ধবীর
ছবি ব্যবহার করে প্রতারণা শুরু
করে সামিয়া। রুম ডেটের জন্য
বিকাশে টাকা নেওয়ার পর
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে ব্লক করে দেন।
অভিযুক্ত সামিয়ার এসব অপকর্মের এবং
বিভিন্ন পুরুষের কাছ থেকে টাকা
লেনদেনের অডিও ও মেসেজের
তথ্য গণমাধ্যমে উঠে আসছে।
বান্ধবীর
দ্বারা এমন হেনস্তার শিকার
হয়ে আইনের আশ্রয় নিয়েছেন সেই শিক্ষার্থী। বান্ধবীর
নামে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন। কাছের বান্ধবীর এমন আচরণে মানসিকভাবে
ভেঙে পড়েছেন। তিনি বলেন, আমি
রাস্তাঘাটে বের হতে পারছি
না। সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন হচ্ছি। তার দ্বারা যেন
অন্য কেউ আর প্রতারিত
না হয়। আমি এই ঘটনার বিচার
চাই। ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী থানায়
অভিযোগ করার পরই নিজের
ফেসবুক আইডি, ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট ডিঅ্যাকটিভ করে দিয়েছে সামিয়া।
এ
বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ
ও অপরাধ বিশেষজ্ঞ ড. তৌহিদুল হক
বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক শ্রেণির নারী
প্রতারক চক্র পুরুষদের নানাভাবে
প্রলোভন দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নেয়।
এসব ক্ষেত্রে পুরুষদের সচেতন হতে হবে। এ
বিষয়ে ঢাকা মহানগর
পুলিশের উত্তরা পশ্চিম থানার পরিদর্শক পার্থ প্রতিম ব্রহ্মচারী গণমাধ্যমকে জানান,
ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী একটি
জিডি করেছেন। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন
যমুনা নদীর বুকে সম্পূর্ণ দৃশ্যমান হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে
সেতু। সেতুটির সব কটি স্প্যান বসানো হয়েছে। নির্মাণাধীন সেতুটির গত এপ্রিল থেকেই ৪
দশমিক ৮ কিলোমিটারের পুরোটাই দৃশ্যমান। তবে এখনো শেষ হয়নি নির্মাণকাজ। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ
বলছে, আগামী ডিসেম্বর মাসের শেষ দিকে সেতু নির্মাণ প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন করে উদ্বোধন
হতে পারে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু প্রকল্প পরিচালক আল ফাত্তাহ মাসুদুর
রহমান বলেন, ‘৫০টি পিলারের ওপর ৪৯টি স্প্যান বসিয়ে সেতুর পুরো ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার
সুপার স্ট্রাকচার এখন পুরোটাই দৃশ্যমান। এখন পর্যন্ত এই প্রকল্পে ৮৪ শতাংশ কাজ শেষ
হয়েছে। বাকি ১৬ শতাংশ কাজ দ্রুতই সম্পন্ন করা হবে। বাকি কাজের মধ্যে এখন সেতুর ওপর
ডুয়েল গেজ রেললাইন বসানোর কাজ চলছে’।
আল ফাত্তাহ মাসুদুর রহমান বলেন, ‘ইতিমধ্যে ৪০ থেকে ৫০ ভাগ রেললাইন
বসানোর কাজও সম্পন্ন হয়েছে। এখন শুধু অ্যাডজাস্টমেন্ট বাকি রয়েছে। অ্যালাইনমেন্ট ও
লেভেল ঠিক করা হচ্ছে। বিভিন্ন ড্রেনের কাজ ও কালভার্টগুলোর কাজ শেষ হয়ে গেছে। দুই পাশের
স্টেশন বিল্ডিংয়ের কাজ, প্ল্যাটফর্ম স্থাপনের কাজ ও ট্র্যাকের কাজ চলছে। আশা করছেন,
আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই সব কাজ শেষ হয়ে যাবে। সেই সঙ্গে ডিসেম্বরের শেষ দিকে সেতুটি
উদ্বোধন করা সম্ভব হবে’।
সেতুটির ৫০টি পিলারের ওপর ৪৯টি স্প্যান বসিয়ে সেতুর পুরো ৪ দশমিক
৮ কিলোমিটার সুপার স্ট্রাকচার এখন পুরোটাই দৃশ্যমান। এখন পর্যন্ত এই প্রকল্পে ৮৪ শতাংশ
কাজ শেষ হয়েছে। এই প্রকল্পের ব্যয় ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি টাকা।
সেতুটির প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, জাপান ও বাংলাদেশ সরকারের যৌথ
অর্থায়নে সেতুটি নির্মিত হচ্ছে। এর নির্মাণ ব্যয় ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি টাকা। ২০২০ সালের
২৯ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেতুটি নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
সমান্তরাল ডুয়েল গেজ ডাবল ট্র্যাকের এই রেলসেতুর পিলার নির্মাণে পাইলিংয়ের কাজ শুরু
হয় ২০২১ সালের মার্চ মাসে। ডব্লিউডি-১ ও ডব্লিউডি-২ নামে দুটি প্যাকেজে জাপানি পাঁচটি
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। ডব্লিউডি-১ প্যাকেজটি বাস্তবায়ন করছে
জাপানি আন্তর্জাতিক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ওবাইসি, টোআ করপোরেশন ও জেইসি (ওটিজে) জয়েন্ট
ভেঞ্চার।
ডব্লিউডি-২ প্যাকেজটি বাস্তবায়নে রয়েছে জাপানের আইএইচআই ও এসএমসিসি
জয়েন্ট ভেঞ্চার। এ ছাড়া সেতুর উভয় প্রান্তের দুই স্টেশনে সিগন্যালিং সিস্টেম স্থাপনে
ডব্লিউডি-৩ নামে অপর একটি প্যাকেজের কাজও চলছে। সেতুটি নির্মাণে জাপান, ভিয়েতনাম, নেপাল,
অস্ট্রেলিয়া, ফিলিপাইন ও বাংলাদেশের কর্মীরা নিয়োজিত আছেন। ডব্লিউডি-১ প্যাকেজের ৯৬
দশমিক ১৫ শতাংশ, ডব্লিউডি-২ প্যাকেজের ৯০ শতাংশ ও ডব্লিউডি-৩ প্যাকেজের প্রায় ৬৬ শতাংশ
কাজ শেষ হয়েছে।
প্রকল্পের প্রধান প্রকৌশলী তানভীরুল ইসলাম বলেন, সেতুটির ওপরে রেললাইন
স্থাপন শেষ হয়েছে ২ দশমিক ২৫ কিলোমিটার। প্রতিটি স্প্যানের ওপর জাপানিদের অত্যাধুনিক
প্রযুক্তির রেললাইন বসানো হচ্ছে। ফলে সেতুর ওপর দিয়ে ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার বেগে ট্রেন
চলাচল করতে পারবে। সমান্তরাল ডুয়েল গেজ ডাবল ট্র্যাকের সেতুটির নির্মাণকাজ ডিসেম্বরেই
শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
রেলওয়ের পাকশী বিভাগীয় কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৮ সালে বঙ্গবন্ধু
সেতু চালু হওয়ার পরই ঢাকার সঙ্গে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রেল যোগাযোগ স্থাপিত হয়। তবে
২০০৮ সালে সেতুটিতে ফাটল দেখা দেওয়ায় কমিয়ে দেওয়া হয় ট্রেনের গতিসীমা। বর্তমানে এই
সেতু দিয়ে ঘণ্টায় ২০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলাচল করে।
রেলওয়ের পাকশী বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘সেতুটির নির্মাণকাজ শেষ হলে ঢাকার সঙ্গে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রেল যোগাযোগে নতুন দিগন্তের সূচনা করবে। ঢাকার সঙ্গে রাজশাহী, রংপুর ও খুলনা অঞ্চলের রেল যোগাযোগে বর্তমান যে বিড়ম্বনা রয়েছে, সেটা আর থাকবে না। নির্মাণ শেষে সেতুটি দিয়ে প্রতিদিন অন্তত ৮৮টি যাত্রীবাহী ও মালবাহী ট্রেন চলাচল করবে। কমে যাবে পরিবহনের খরচও। সেই সঙ্গে মহাসড়কের ওপর চাপও অনেকটা কমে আসবে’।
যমুনা নদী দৃশ্যমান সেতু বঙ্গবন্ধু রেলসেতু
মন্তব্য করুন
চুয়াডাঙ্গার
আলমডাঙ্গা উপজেলার তিওরবিলা গ্রামে প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়ার অভিযোগ তুলে প্রেমিক যুগলের
গলায় জুতার মালা পরিয়ে মারধর
ও চাঁদা দাবির ঘটনা ঘটেছে। এ
ঘটনার মামলায় খাসকররা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তাফসির আহমেদ মল্লিক লালকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
গত মঙ্গলবার (৭ মে) স্থানীয়
সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের
স্থানীয় সরকার বিভাগ ইউপি শাখা-১
এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করে।
বৃহস্পতিবার (৯ মে) রাতে
চেয়ারম্যান লালের বরখাস্তের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।
স্থানীয়
সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের
স্থানীয় সরকার বিভাগ ইউপি শাখা ১
এ সংক্রান্ত আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে যে,
‘যেহেতু খাসকররা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তাফসীর আহমেদ মল্লিক লালের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত আলমডাঙ্গা থানার মামলা নং-১ (জি.আর ১৫৫/২০২৩),
তারিখ: ১২/১০/২০২৩-এর অভিযোগে বিজ্ঞ
সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, আমলী আদালত, চুয়াডাঙ্গা
আমলে নেওয়ায় স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯- এর
৩৪(১) ধারা অনুযায়ী
জেলা প্রশাসক, চুয়াডাঙ্গা ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুপারিশ করেন;
যেহেতু, চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলাধীন খাসকররা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তাফসীর আহমেদ মল্লিক লালের বিরুদ্ধে উল্লেখিত অভিযোগে তার দ্বারা ইউনিয়ন
পরিষদের ক্ষমতা প্রয়োগ প্রশাসনিক দৃষ্টিকোণে সমীচীন নয় মর্মে সরকার
মনে করে।‘
মন্তব্য করুন
পিটার ডি হাস মার্কিন রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের নির্বাচন আওয়ামী লীগ ডেভিড স্লেটন মিল
মন্তব্য করুন
যমুনা নদীর বুকে সম্পূর্ণ দৃশ্যমান হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু। সেতুটির সব কটি স্প্যান বসানো হয়েছে। নির্মাণাধীন সেতুটির গত এপ্রিল থেকেই ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটারের পুরোটাই দৃশ্যমান। তবে এখনো শেষ হয়নি নির্মাণকাজ। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছে, আগামী ডিসেম্বর মাসের শেষ দিকে সেতু নির্মাণ প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন করে উদ্বোধন হতে পারে।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাসের বদলির আদেশ হয়েছে। তাকে সরিয়ে নতুন রাষ্ট্রদূতকে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। আজ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এই বার্তা দেওয়া হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, ডেভিড স্লেটন মিলকে বাংলাদেশে নতুন রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসের দেওয়া এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানা যায়। ডেভিড স্লেটন মিলের নাম ঘোষণা করা হয়েছে এমন এক সময় যখন বাংলাদেশের রাজনীতিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আধিপত্য এবং দৃঢ় অবস্থান অনেকটাই টলটলয়মান।