একটি দেশ কাকে ভিসা দেবে বা
দেবে না, সেটা সব সময়ই সেই দেশটির নিজস্ব ও অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। বাংলাদেশে প্রতিদিন
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য যে পরিমাণ ভিসা আবেদন হয় তার ৩০-৩২ শতাংশ আবেদনই প্রত্যাখ্যাত
হয়। কোন কারণে যদি কারো উপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয় কিংবা কারো ভিসা প্রত্যাখ্যাত
করা হয় তাহলেই যে সব শেষ ব্যাপারটি এমন নয়।
প্রথমত, যে কারো ভিসা আবেদন
যদি প্রত্যাখ্যাত হয় তাহলে তার জন্য আপিল করার সুযোগ থাকে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের
ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্টের যে নিয়ম সেখানে এই আপিলের প্রক্রিয়া এবং শুনানির প্রক্রিয়া
অত্যন্ত স্বচ্ছ এবং জবাবদিহিতামূলক। এমন অনেক উদাহরণ আছে কারো যেখানে ভিসা প্রত্যাখ্যাত
হবার পর সে আপিল করেছে এবং আপিলের পর অনেক দীর্ঘ শুনানির পর তাকে ভিসা দেয়া হয়েছে।
দ্বিতীয়ত যাদের ভিসা আছে কিন্তু
কোন কারণে তাদের ভিসা বাতিল করা হয়েছে তারাও এমন সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবেন।
যে অভিযোগে তার ভিসা বাতিল করা হয়েছে সেই অভিযোগটি যদি তিনি মিথ্যা প্রমাণ করতে পারেন,
সেটির বিরুদ্ধে উপযুক্ত তথ্য প্রমাণ হাজির করতে পারেন তাহলে তার ভিসা বাতিলের যে আদেশ
সেটি প্রত্যাহার করা হবে।
এছাড়া, যাদের এখনও ভিসা নেই
কিন্তু তাদের উপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে তারা স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় যখন ভিসার
জন্য আবেদন করবে এবং আবেদন যদি প্রত্যাখ্যাত হয় তাহলে তিনি আপিল করার সুযোগ পাবেন।
যে অভিযোগে এখন ভিসা বাতিল
হতে পারে তা হল নির্বাচনে বাধা প্রদান করা, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে বাধা দান করা,
মানবাধিকার বিরোধী কোন কার্যক্রমে জড়িত থাকা। এ সকল অভিযোগে যদি কারো ভিসা বাতিল হয়
তাহলে আপিলের মাধ্যমে তারা নিজেদের নির্দোশ প্রমাণ করতে পারলে বাতিল আদেশ প্রত্যাহার
করা হবে।
তৃতীয়ত, কারো উপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা
আরোপ করা হলে তার পরিবারের সদস্যরা যারা যুক্তরাষ্ট্রে বৈধ ভিসা নিয়ে বসবাস করেন তাদেরকেও
কি দেশে ফেরত পাঠিয়ে দেয়া হবে? না, তাদের ভিসা বাতিল করে দেয়া হলেও তখন তারা একজন ইনমিগ্রেন্ট
প্রত্যাশী হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেই আইনি সহায়তায় অবস্থান করবেন। যতক্ষণ পর্যন্ত
একজন ইনমিগ্রেন্ট প্রত্যাশী ব্যক্তি মার্কিন আইনের গুরুতর লঙ্ঘন না করছেন ততখন পর্যন্ত
তাকে দেশ থেকে ফেরত পাঠিয়ে দেয়া হয়না।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২৪ মে
যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের জন্য ভিসা নীতি ঘোষণা করে এবং ২২ সেপ্টেম্বর ঘোষণা করে যে
বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ন করার জন্য দায়ী বা জড়িত বাংলাদেশি
ব্যক্তিদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
সিরাজগঞ্জে গণমাধ্যম কর্মীদেরকে নিয়ে ভাষায় লিঙ্গীয় বৈষম্য নারী পক্ষ নামে একটি সংগঠন সিরাজগঞ্জ ও পাবনার সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
রবিবার (১৯ মে') দুপুরে শহরের এস. এস রোডস্থ নর্থ টাউন রেস্তোরাঁয় প্রোগ্রাম ফর উইম্যান ডেভোলপমেন্ট (পি ডাব্লিউডি) সার্বিক সহযোগিতা ও নারীপক্ষ আয়োজনে ভাষায় লিঙ্গীয় বৈষম্য দিনব্যাপী মতবিনিময় সভার শুভ উদ্বোধন করেন নারীপক্ষ চেয়ার পারসন গীতা দাস।
মতবিনময় সভায় নারীপক্ষ চেয়ারপার্সন গীতা দাস বলেন, মানুষ কোনো ভালো কর্ম করলে তাকে বিশেষায়িত করা যায়। কিন্তু নারীরা নির্যাতিত হলেও তাদেরকে বিশেষায়িত করা হয়। যেমন ধর্ষণের শিকার হলে তাকে ধর্ষিতা, নির্যাতনের শিকার হলে নির্যাতিতা বলা হয়। অথচ ধর্ষণের শিকার, নির্যাতনের শিকার লিখলেও হয়।’ একজন নারীকে মানুষ হিসেবে দেখলে এ অবস্থার পরিবর্তন ঘটবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এসময়ে উপস্থিত ছিলেন কামরুন নাহার, ফেরদৌসী আখতার, পিডাব্লিউডি নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা জলি।
এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন বেসরকারি চ্যানেল টুয়েন্টিফর সিনিয়র রিপোর্টার সাংবাদিক হীরুকগুণ, এনটিভি জেলা প্রতিনিধি শরিফুল ইসলাম ইন্না, দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি সুজন সরকার, বৈশাখী টেলিভিশন সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি সুজিত সরকার, দীপ্ত টিভির সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি শিশির, দীপ্ত টিভি পাবনা জেলা প্রতিনিধি শামসুল আলম সহ অনেকে।
মন্তব্য করুন
পাবনার আটঘরিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামালের বিরুদ্ধে জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে প্রচারণার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (১৭ মে) বিকেলে উপজেলার একদন্ত ইউনিয়নের শিবপুর বাজার এলাকা থেকে জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা করেন চেয়ারম্যার প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামাল।
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের তৃতীয় ধাপে আটঘরিয়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই উপজেলা চেয়ারম্যান পদে ২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এদের মধ্যে সাইফুল ইসলাম ঘোড়া প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান ও মোটরসাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যার প্রার্থী তানভীর ইসলাম বলেন, সাইফুল ইসলাম কামালের গুন্ডা সন্ত্রাসীরা প্রতিনিয়ত আমার কর্মী, সমর্থক, ভোটারদের ভয়ভীতি, হুমকী, উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করে ভোট দিতে নিরুৎসাহিত করছে। ফলে নির্বাচন কমিশনের ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আচরণবিধি সাইফুল ইসলাম কামাল বারবার লঙ্ঘন করে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ক্ষমতার প্রভাব বিস্তার করছেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামাল বলেন, ‘ঘোড়া নিয়ে প্রচার প্রচারণা করিনি। তবে আমি ঘেড়ার গাড়ি নিয়ে প্রচার প্রচারণা করেছি। এটাও যদি বিধি নিষেধ থাকে তাহলে এটাও পরিহার করবো।’
পাবনার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্টেট ও রিটার্নিং অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় চেয়ারম্যান প্রার্থী এমন একটি অভিযোগ পেয়েছি আমরা। তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
মন্তব্য করুন