ইনসাইড বাংলাদেশ

বাংলাদেশকে ভারতের কেন এত প্রয়োজন?

প্রকাশ: ০২:০০ পিএম, ০২ অক্টোবর, ২০২৩


Thumbnail

যেখানে ভারত চেয়েছিল দক্ষিণ এশিয়ায় নিজের পূর্ণ কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে, সেখানে দিনকে দিন ক্রমশ একা হয়ে পড়ছে রাষ্ট্রটি। এক সবেধন নীলমণি বাংলাদেশ ছাড়া আর তেমন কোনো রাষ্ট্র-ই কিন্তু আদতে ভারতের পাশে নেই বলা যায়। উপমহাদেশের কর্তৃত্ব ধরে রাখতেই তাই হয়তো এতটা বাংলাদেশ ‘প্রীতি’ ভারতের।

এক এক করে, প্রায় সব কটা পাশের রাষ্ট্রই ক্রমে ভারতের কাছ থেকে হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে। পাকিস্তানের সাথে ভারতের আজীবনের শত্রুতা। দেশভাগের পর থেকেই দুই দেশের সম্পর্ক কোনোকালেই ভালো ছিল না। ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে সংঘর্ষ নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা বললেই চলে। জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে তাদের যে দ্বন্দ্ব, এর শেষ কোথায় এই দুই রাষ্ট্র নিজেরাও তা জানে না।

সম্প্রতি, পাকিস্তান চরম অর্থনৈতিক দৈন্যদশায় ভারাক্রান্ত একটি রাষ্ট্র। কিন্তু বলে রাখা ভালো এ অবস্থার উত্তরণ হলেই তারা আবার তাদের নিয়ম মাফিক সামরিক কার্যক্রম চালিয়ে যাবে ভারতের বিরুদ্ধে। আর এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই।

একইভাবে, শ্রীলঙ্কার সাথেও যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল ভারতের তা আর নেই বললেই চলে। বিগত বছরে শ্রীলঙ্কায় যে নজিরবিহীন রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সঙ্কট চলছিল তাতে শ্রীলঙ্কার সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী দেশ হিসেবে পরিচিত ভারতের কোনো সক্রিয় ভূমিকা দেখেনি দেশটি। শ্রীলঙ্কাকে মানবিক বা অর্থনৈতিক সাহায্য করার ঘোষণা দিয়ে সামান্য সাহায্য করলেও কোনো রাজনৈতিক নেতৃত্ব বা এমনকি শ্রীলঙ্কার পার্লামেন্টের প্রতিও সমর্থন জানায়নি ভারত এবং সেটা নিজ স্বার্থের কারণেই। আর তাই বর্তমানে ঘুরে দাঁড়ানো শ্রীলঙ্কা তেমন একটা পাত্তাই দিচ্ছে না ভারতকে।

এছাড়া দিল্লি ও কলম্বোর মধ্যে ঘনিষ্ঠ বাণিজ্য ও উন্নয়নমূলক সম্পর্ক গড়ে তোলার প্রশ্নেও কয়েক বছর ধরেই কিছুটা অবহেলা ছিল ভারতের। ফলে সেখানে এখন চীন প্রভাবশালী বিদেশি খেলোয়াড় হিসেবে উঠে এসেছে। ২০১৫ সাল থেকেই চীন ওই দেশের শীর্ষ একক ঋণদাতা এবং প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের সবচেয়ে বড় উৎস। এমনকি বাণিজ্যের ক্ষেত্রেও শ্রীলংকা ভারতের চেয়ে চীন থেকে বেশি আমদানি করেছে।

এদিকে নিরাপত্তা ছাড়াও রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক এবং ধর্মীয় দিকে দিয়ে যে প্রতিবেশী দেশটির গুরুত্ব ভারতের কাছে অনেক, সেই নেপালের সাথেও গত কয়েক বছরে সম্পর্ক ক্রমেই নষ্ট হয়েছে ভারতের। অপরদিকে, সম্পর্ক উষ্ণ হয়েছে ভারতের সাথে বৈরি সম্পর্ক থাকা একটি দেশের সাথে। বর্তমানে নেপালেও এখন আর তেমন প্রভাব খাটাতে পারছে না ভারত।

প্রতিবেশী দেশ নেপালে মাওবাদী সরকার ক্ষমতায় আসায় ভারত-নেপালের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে পড়েছে প্রভাব। কারণ অতীতে ভূখণ্ড সংক্রান্ত বিষয়ে নয়াদিল্লিকে চাপে ফেলার চেষ্টা করেছেন প্রচণ্ড এবং কেপি শর্মা ওলি। “মি. অলি ২০১৫ সালে সীমান্ত অবরোধের সূত্র ধরে তখন থেকেই নেপালে ভারত বিরোধী মনোভাব উসকে দিয়ে চলেছেন।

এদিকে ভুটানের মতো দেশের উপরও বর্তমানে ভারতের চেয়ে কর্তৃত্ব বেশি চীনের। প্রভাব বিস্তারে এগিয়ে থাকার লক্ষ্যে চায়না তার স্বভাব মতোই প্রচুর পরিমাণে বিনিয়োগ করছে দেশটিতে।

সর্বশেষ, মালদ্বীপেও সম্প্রতি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন চীনপন্থী নেতা মুইজ্জু। মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দ্বিতীয় দফার ভোটে ভারতপন্থী নেতা মোহাম্মদ সলিহকে পরাজিত করে তিনি বর্তমান প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হন। তিনি মূলত চীনপন্থী নেতা হিসেবে বিবেচিত। মালদ্বীপ ভারত মহাসাগরের মাঝখানে একটি কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে আছে। তাই দেশটিতে নিজেদের প্রভাব বাড়াতে ভারত ও চীন দীর্ঘদিন ধরেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

এদিকে ভারতের অতিমাত্রায় রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক প্রভাব মালদ্বীপের বেশির ভাগ মানুষ পছন্দ করে না। সলিহর আমলে ভারতের প্রভাব অনেকটাই বেড়ে গিয়েছিল। মুইজ্জুর এই জয়ে মালদ্বীপে প্রভাব বিস্তারের দিকেও কোণঠাসা হয়ে পড়ল ভারত।

সার্বিক বিবেচনায় এই উপমহাদেশে বর্তমানে বাংলাদেশই ভারতের একমাত্র ছায়াসঙ্গী বলা চলে। বাংলাদেশ ছাড়া ভারতের সাথে আর কোনো দেশেরই তেমন একটা সুসম্পর্ক নেই এই দক্ষিণ এশিয়ায়। ক্রমশ একা হয়ে যাওয়া রাষ্ট্রটিকে বাংলাদেশের আসলে যতটা প্রয়োজন, বাংলাদেশকেও ভারতের প্রয়োজন ঠিক ততটাই, তার চেয়ে কোনো অংশে কম নয়।


ভারত   বাংলাদেশ   রাজনীতি   দক্ষিণ এশিয়া   উপমহাদেশ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

গবেষণার মাধ্যমে নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনের আহ্বান প্রাণিসম্পদমন্ত্রীর

প্রকাশ: ০৫:৫৪ পিএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

গবেষণার মাধ্যমে নতুন নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও সম্প্রসারণসহ নিরাপদ প্রাণিজ প্রোটিন উৎপাদনের আহবান জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী ও আওয়ামীলীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আব্দুর রহমান।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) ঢাকার খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইন্সটিটিউশনে ‘বিশ্ব ভেটেরিনারি দিবস ২০২৪’ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদানকালে মন্ত্রী এ আহবান জানান।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আহুত সবুজ বিপ্লবের কৃষি দর্শনের ফলে আজ আমরা খাদ্য উৎপাদনের প্রায় সবগুলো খাতে স্বয়ংসম্পূর্নতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি। খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হবার সাথে সাথে পুষ্টি নিরাপত্তাও নিশ্চিত করতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, প্রাণিজ আমিষের উৎপাদন বৃদ্ধির ফলে দেশের মানুষের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত হয়েছে, বেড়েছে গড় আয়ু এবং গড় উচ্চতা। আর এক্ষেত্রে ভেটেরিনারিয়ানদের অবদান অনস্বীকার্য।

ভেটেরিনারিয়ানদের প্রাণিসম্পদের প্রাণ হিসেবে অভিহিত করে মন্ত্রী বলেন, আমাদের পুষ্টি ও আমিষ জাতীয় খাদ্য উৎপাদনে শুধু স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন নয় বরং বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের রাস্তাও  তৈরি করতে হবে। আর এটা করার জন্য ভেটেরিনারিয়ানদের যোগ্যতম জায়গায় কাজ করার সু্যোগ করে দিতে হবে’।

নিরাপদভাবে প্রাণিসম্পদের উৎপাদন করার উপর গুরুত্বারোপ করে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, আমাদের উৎপাদিত পশু যদি নিরাপদ না হয় তাহলে তা খেলে আমাদের দেহেও ক্ষতিকর প্রভাব পড়বে। মানব শরীরে নানা ধরণের রোগের সৃষ্টি হবে। সুতরাং শুধু উৎপাদন বাড়ালেই হবে না, নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন করতে হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।যত্রতত্র এন্টিবায়োটিকের ব্যবহার না করে বরং প্রাকৃতিক উপায়ে কিভাবে পশুকে রোগমুক্ত রাখা যায় সে বিষয়ে গবেষণা করার জন্য তিনি আহবান জানান।

মন্ত্রী আরও বলেন, ‘বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের ক্ষেত্র হিসেবে তৈরি করতে হলে প্রতিটি ইউনিয়নে ভেটেরিনারিয়ানদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে। ভেটেরিনারি সার্ভিসকে ইমার্জেন্সি সার্ভিস হিসেবে স্বীকৃতি থাকা দরকার বলে মন্তব্য করে বিষয়টি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নজরে আনবেন বলে এসময় তিনি ভেটেরিনারিয়ানদের আশ্বস্ত করেন।

তিনি বলেন, সকলের সহযোগিতায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়কে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া হবে। সকলের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য এক ও অভিন্ন হলে কোন চ্যালেঞ্জই মোকাবেলা করা অসম্ভব নয় বলে তিনি মন্তব্য করেন।

মন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার সোনার বাংলা গড়ার নীতি আদর্শ তথা কৃষি দর্শন এবং তাঁরই সুযোগ্য উত্তরসূরী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কর্মকৌশলের ফলে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের পথ ধরে অনুন্নত দেশ থেকে ইতোমধ্যেই উন্নয়নশীল দেশের কাতারে বাংলাদেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যেই উন্নত রাষ্ট্রে পরিনত হওয়া শুধু সময়ের ব্যাপার।

জাতির পিতা উদ্ভাবনী শক্তিসম্পন্ন মেধাবী ছাত্রদের কৃষি শিক্ষায় আকৃষ্ট করতে কৃষিবিদগণকে প্রথম শ্রেনীর মর্যাদা প্রদান করেন উল্লেখ করে বংগবন্ধু যে স্বপ্ন নিয়ে কৃষিবিদদের প্রথম শ্রেণির মর্যাদা দিয়েছিলেন সেটা মাথায় রেখে কাজ করার জন্য ভেটেরিনারিয়ানদের প্রতি আহবান জানান মন্ত্রী।

অধিকতর গুনগত উৎপাদনের প্রতি ভোক্তার চাহিদা বৃদ্ধি, হাইব্রীড জাত নির্বাচন এবং সংরক্ষণ, আধুনিক জলবায়ূ কৌশলের আবির্ভাব এবং গ্রীন-হাউজ গ্যাস নিয়ন্ত্রণ, দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে ভোক্তার পরিবর্তিত চাহিদা, জৈব-নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও জনস্বাস্থ্য এবং পরিবেশগত স্বাস্থ্য ও ঝুঁকি মোকাবেলা এবং প্রাণিসম্পদ চাষাবাদের জন্যে নির্ধারিত জমির পরিমান কমে যাওয়াকে প্রাণিসম্পদ খাতের চ্যালেঞ্জ হিসেবে উল্লেখ করে তিনি ভেটেরিনারিয়ানদের সুযোগ্য নেতৃত্বে  সংকট মোকাবেলা করে সামনে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

মন্ত্রী বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সাথে তাল মিলিয়ে নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আমাদের পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে হবে। ভেটেরিনারিয়ানগণের নিবিড় পরিশ্রমে স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মিত হবে। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা যদি ক্ষমতায় থাকেন তাহলে তৃনমূল থেকে দেশকে গড়ে তুলে ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের যে অভীষ্ট লক্ষ্যমাত্রা তিনি দিয়েছেন তা বাস্তবায়নের কারিগর হিসেবে তিনি ভেটেরিনারিয়ানদের স্বীকৃতি দিবেন।

প্রাণিসম্পদ শিল্পে ভেটেরিনারিয়ানগণের অবদান জনসম্মুখে তুলে ধরতে প্রতিবছরের ন্যয় এবারও বিশ্ব ভেটেরিনারি দিবস পালিত হচ্ছে। এবারের বিশ্ব ভেটেরিনারি দিবসের প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘ভেটেরিনারিয়ানগণ অপরিহার্য স্বাস্থ্য কর্মী’।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল হক এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন বাংলাদেশ কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ জনাব সমীর চন্দ ও কৃষিবিদ ইন্সটিটিউশনের মহাসচিব কৃষিবিদ জনাব খায়রুল আলম প্রিন্স।


প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর   মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী   মোঃ আব্দুর রহমান  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

‘হাসপাতালগুলোতে জনবল সংকট কাটানোর জন্য দ্রুত কাজ হচ্ছে’

প্রকাশ: ০৫:১৮ পিএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail গোপালগঞ্জে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দিচ্ছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রী

স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, আমি মাত্র তিন মাস হলো দায়িত্ব নিয়েছি। এই তিন মাসে আমার নির্দেশ হলো, তৃণমূল পর্যায়ে স্বাস্থ্য সেবা উন্নতি করা। হাসপাতালগুলোতে কেন এবং কোথায় ডাক্তার থাকে না এ বিষয়ে ডিজি এবং মন্ত্রণালয়ের সবাইকে বলা হয়েছে । ইতিমধ্যে অনেককে শোকজ করা হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। এছাড়াও হাসপাতলগুলোতে জনবল সংকট কাটানোর জন্য দ্রুত কাজ করা হচ্ছে। 

শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া ১০০-শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

স্বাস্থ্য মন্ত্রী আরো বলেন, ডাক্তার সংকট এক দিনের সমস্যা নয় এটা বহু দিনের সমস্যা। ষ্ট্যান্ডার্ড সেটাপের অনুমোদন হয়েছে। জনবল সংকট কাটানোর জন্য দ্রুত কাজ করা হচ্ছে। 

এর আগে টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি সৌধ বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান স্বাস্থ্য মন্ত্রী। পরে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের শহীদ সদস্যদের আত্মার শান্তির কামনা করেন। এসময় তিনি গিমাডাঙ্গা কমিউনিটি ক্লিনিক, গোপালগঞ্জ শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান এবং এ্যাসেনশিয়াল ড্রাগস কোম্পানী লিমিটেডে এর প্ল্যাান্ট পরিদর্শন করেন। 

এসময় জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম, স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা ও জেলার আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।


জনবল সংকট   স্বাস্থ্য মন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

আবারও কমলো স্বর্ণের দাম

প্রকাশ: ০৪:৫৯ পিএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

দেশের মানুষের জন্য সুখবর দিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। ২ দিনের ব্যবধানে ভরিতে ৬২৯ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১২ হাজার ৯৩১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

শ‌নিবার (২৭ এপ্রিল) বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) সোনা ১ লাখ ১২ হাজার ৯৩১ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম ১ লাখ ৭ হাজার ৭৯৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের ৯২ হাজার ৪০২ টাকা। ত‌বে সব ধর‌নের সোনার দাম কমলেও সনাতন পদ্ধতির সোনার দাম বা‌ড়ি‌য়ে ৭৬ হাজার ৮৪২ টাকা করা হয়েছে।

এর আগে গত ৬, ৮ ও ১৮ এপ্রিল স্বর্ণের দা‌ম বা‌ড়ি‌য়ে‌ছিল বাজুস। এর ম‌ধ্যে ৬ এপ্রিল বে‌ড়ে‌ছিল ১৭৫০ টাকা, ৮ এপ্রিল ১৭৫০ টাকা ও ১৮ এপ্রিল বে‌ড়ে‌ছিল দুই হাজার ৬৫ টাকা। পরে ২০ এপ্রিল ৮৪০ টাকা কমানোর একদিন পর ২১ এপ্রিল আবার ভরিতে ৬৩০ টাকা বাড়ায় বাজুস। 


বাজুস   স্বর্ণ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ময়মনসিংহে বাস-সিএনজি সংঘর্ষ, নিহত ২

প্রকাশ: ০৪:৪৯ পিএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail ময়মনসিংহে বাস-সিএনজি সংঘর্ষে দুমড়ে মুচড়ে যাওয়া সিএনজি

ময়মনসিংহ সদরের আলালপুরে বাস ও সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই সিএনজির যাত্রী ১ নারীসহ ২ জন নিহতের ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া গুরুতর আহত হয়েছেন আরও ৪ জন। তাদেরকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।

 

শনিবার (২৭ এপ্রিল) সকাল ১১টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

 

কোতোয়ালী মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক আনোয়ার হোসেন জানান, ময়মনসিংহ-শেরপুর সড়কের সদর উপজেলার আলালপুর নামক স্থানে নালিতাবাড়িগামী একটি বাসের সাথে ময়মনসিংহগামী অপর একটি সিএনজি চালিত অটো রিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনা স্থলেই ১ নারী ও ১ পুরুষ মারা যায়।

 

তবে, হতাহতদের পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি। এলাকাবাসীর সহায়তায় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আহত ৪ জনকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।

 

এঘটনার সাথে জড়িত চালক পালিয়ে গেছে এবং বাসটিকে আটক করা হয়েচে বলেও এই পুলিশ কর্মকর্তা জানান।


সড়ক দুর্ঘটনা   বাস-সিএনজি সংঘর্ষ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

পুরান ঢাকায় ছাদ থেকে পড়ে শিশুর মৃত্যু

প্রকাশ: ০৪:১১ পিএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

রাজধানীর বংশালে বাসার ছাদ থেকে নিচে পড়ে উরাইশিদ ইসলাম আয়ান (৯) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। মুমূর্ষু অবস্থায় শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে এলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুর ২টার দিকে বংশাল আলু বাজার হাজি ওসমান গনি রোডে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

শিশুটির চাচা মকবুল হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘আলু বাজার হাজি ওসমান গনি রোডে আয়ানদের বাড়ি। তারা বাড়িটির ৪র্থ তলায় পরিবারের সঙ্গে থাকত। সে দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী। তার বাবা আমিনুল ইসলাম ইমন বংশালে মোটর পার্টসের ব্যবসা করেন। দুই ভাইয়ের মধ্যে আয়ান ছিল বড়’।

তিনি আরও বলেন, সারা দিন বাসাতেই ছিল আয়ান। দুপুরে তিনি জানতে পারেন, বাড়ির ৬ তলার ছাদ থেকে নিচে পড়ে গেছে সে। দ্রুত তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে এলেও চিকিৎসক মৃত বলে জানান।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া জানান, মৃতদেহ মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি বংশাল থানায় জানানো হয়েছে।


শিশু মৃত্যু   ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন