কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে ছাত্রলীগ ও বিএনপির মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতিসহ ২৫ নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
সোমবার (২ অক্টোবর) দুপুরে কুড়িগ্রাম চিফ জুডিশিয়াল
ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ফুলবাড়ী আমলি আদালতের বিচারক লিটন চন্দ্র রায় ওই আদেশ
দিলে বিকেলে তাদের কারাগারে পাঠায় পুলিশ।
মামলায় উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান মুকুলসহ ১২
আসামিকে জামিন দেন আদালত। আদালতের একটি দায়িত্বশীল সূত্র এবং জামিন পাওয়া বিএনপি
নেতা আব্দুল মান্নান মুকুল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বিএনপি নেতা আব্দুল মান্নান মুকুল জানান, ‘আওয়ামী লীগের করা
মামলায় সোমবার দুপুরে তিনিসহ ৩৭ নেতাকর্মী আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন
করলে আদালত তাকেসহ ১২ জনকে জামিন দিলেও অপর ২৫ জনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ
দেন।’
তিনি আরও জানান, উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি লোকমান হোসেন সরকার,
যুবদলের সদস্য সচিব অপূর্ব লাল সেন, কাশিপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক
আলমগীর হোসেন ও কৃষক দলের আহ্বায়ক মনোয়ার হোসেন নয়নসহ ২৫ নেতা-কর্মীকে
কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এরআগে গ্রেপ্তার যুবদল নেতাসহ মোট ২৬ নেতা-কর্মী
কারাগারে রয়েছেন।
আদালত সূত্র জানায়, ফুলবাড়ীর সংঘর্ষের ঘটনায় হওয়া মামলার আগামী ১৯
অক্টোবর পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছেন আদালত। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও
ফুলবাড়ী থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক ইব্রাহিম খলিল বলেন, ২৫ জনকে কারাগারে
পাঠানোর কথা শুনেছি। তবে এখনও আদালতের কোনো কাগজ পাইনি।
এর আগে গত শনিবার বিকালে উপজেলা শহরের তিনকোণা মোড়ে বিএনপি ও ছাত্রলীগ কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। এতে ৭ ছাত্রলীগ কর্মী ও উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি লোকমান হোসেন সরকারসহ উভয় পক্ষের কমপক্ষে ২০ জন আহত হন। পরে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও পুলিশের তৎপরতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এ ঘটনার পর উপজেলা আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক মো. জনাব আলী বাদী হয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলায় উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি লোকমান হোসেন সরকার (৫৮) এবং সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান মুকুলসহ (৫০) বিএনপি ও ছাত্রদলের ৪০ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৫০-৬০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
কুড়িগ্রাম ছাত্রলীগ বিএনপি সংঘর্ষ
মন্তব্য করুন
মিল্টন সমাদ্দার ডিবি চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার
মন্তব্য করুন
জনপ্রশাসন মন্ত্রী শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী সরকারি চাকরি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বজ্রপাতে প্রাণহানির সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এ অবস্থায় বজ্রপাত থেকে রক্ষা পাওয়ার কৌশল জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন।
রোববার(৫ মে) আবহাওয়ার সব শেষ খবর জানাতে আগারগাঁওয়ে ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হয়।
বজ্রপাতে প্রাণহানির বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মনোয়ার হোসেন জানান, সারা দেশে বজ্রপাত অনেক বেড়ে গেছে। বজ্রপাত এখন যে অবস্থায় গেছে। সে জন্য সরকার একে জাতীয় দুর্যোগ হিসেবে ঘোষণা করেছে। এই বজ্রপাতে শুধু মানুষ নয়, অনেক পশুপাখিও প্রাণ হারাচ্ছে। এ মৌসুমে বৃষ্টিপাত ও বজ্রঝড় হয়। সেই সঙ্গে বজ্রপাতের খুবই আশঙ্কা রযেছে। নানা কারণে বজ্রপাত বেড়ে গেছে। সেটা হচ্ছে ক্লাইমেট চেঞ্জ হওয়ার কারণে হতে পারে, ওজন স্তর ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণেও হতে পারে। আবার বৃক্ষ, পাহাড় ও পরিবেশ বিভিন্ন কারণে বিনষ্ট হওয়ার কারণেও হতে পারে।
বজ্রপাত থেকে বাঁচার কৌশল উল্লেখ করে তিনি বলেন, পৃথিবীব্যাপীই এই কৌশল অনুসরণ করা হয়। সেটা হলো বিদ্যুৎ চমকাতে দেখার ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে যদি বজ্রপাতের শব্দ শুনতে পান তাহলে বুঝবেন সেটা আপনার দিকে আসছে বা সেটার দ্বারা আপনি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন। আর যদি দেখেন বিদ্যুৎ চমকানোর ৩০ সেকেন্ড পর শব্দটা পেয়েছেন তাহলে বুঝবেন সেটা আপনার থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। সে সময় যদি নিরাপদ আশ্রয়ে না থাকেন তাহলে এক আঙুলের ওপর ভর করে বসে পড়তে হবে। এবং সেটা দ্বারা অনেক ক্ষয়ক্ষতি কমতে পারে। মানুষকে এটা বেশি বেশি করে জানাতে হবে।
তিনি আরও বলেন, বজ্রপাতের সময় যেন মানুষ ঘর থেকে বের না হয়। যদি বাইরে থাকে তবে গাছ বা বিদ্যুতের খুঁটির কাছে যেন না থাকে।
চলমান দাবদাহের বিষয়ে মনোয়ার হোসেন বলেন, সোমবার রাজশাহী ও খুলনায় দাবদাহ চলমান থাকার আশঙ্কা রয়েছে। তবে রাজধানীসহ অন্যান্য বিভাগীয় অঞ্চলে তাপমাত্রা সহনীয় পর্যায়ে থাকবে। ঢাকার তাপপ্রবাহ মৃদু থেকে মৃদু হয়ে সোমবার থেকে দাবদাহ পুরোপুরি কেটে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মে মাসের মাঝামাঝি সময়ের পর ফের বাড়তে পারে তাপমাত্রা, তবে তা দীর্ঘ সময়ের জন্য বা বিস্তর এলাকার জন্য হবে না।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বজ্রপাতে প্রাণহানির সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এ অবস্থায় বজ্রপাত থেকে রক্ষা পাওয়ার কৌশল জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন। রোববার(৫ মে) আবহাওয়ার সব শেষ খবর জানাতে আগারগাঁওয়ে ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হয়। বজ্রপাতে প্রাণহানির বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মনোয়ার হোসেন জানান, সারা দেশে বজ্রপাত অনেক বেড়ে গেছে। বজ্রপাত এখন যে অবস্থায় গেছে। সে জন্য সরকার একে জাতীয় দুর্যোগ হিসেবে ঘোষণা করেছে। এই বজ্রপাতে শুধু মানুষ নয়, অনেক পশুপাখিও প্রাণ হারাচ্ছে।