ইনসাইড বাংলাদেশ

সহে না মানবতার অবমাননা


Thumbnail

১ অক্টোবর ২০০১। নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হয় জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এর আগে জুলাই মাসে প্রথম বারের মতো বাংলাদেশে ক্ষমতা হস্তান্তর হয় শান্তিপূর্ণ ভাবে। কিন্তু ১ অক্টোবরের নির্বাচনে ফলাফল ঘোষনার সাথে সাথে সারাদেশে বিএনপি-জামায়াতের ক্যাডাররা তান্ডব শুরু করে, শুরু হয় সন্ত্রাস, নারকীয়তার বিভৎস উৎসব। ঐ সময়কার ঘটনা উঠে এসেছে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘সহে না মানবতার অবমাননা’ শীর্ষক লেখায়। পাঠকদের আগ্রহের কথা বিবেচনা করে আজ ৪ অক্টোবর লেখাটি ধারাবাহিক ভাবে প্রকাশ করা হলো-

 

আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি কি পর্যায়ে রয়েছে? ১ অক্টোবর নির্বাচনের পর থেকে সমগ্র দেশে এমন এক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে যা অত্যন্ত ভয়াবহ। একদিকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য উন্মত্ত হয়ে উঠেছে ক্ষমতাসীন বিএনপি-জামায়াত সরকার। অপরদিকে এই সুযোগে লুট, চাঁদাবাজি, দখল, ছিনতাই, হত্যা, ধর্ষণ বেড়েছে ব্যাপকভাবে। মনে হচ্ছে বিএনপির প্রতিহিংসার আগুনে জ্বলে যাচ্ছে সমস্ত সমাজ। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা গ্রহণের এ ধরনের নজির আমরা দেখেছিলাম ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি সরকার ইয়াহিয়া খাঁর আমলে। আমাদের স্বাধীন সার্বভৌম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণাপত্রে একথা উল্লেখ রয়েছে। ১০ এপ্রিল, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের জনগণের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা সেদিন মুক্তিযুদ্ধ করে দেশকে শত্রুমুক্ত করার যে অঙ্গীকার নিয়েছিলেন এবং এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য সরকার গঠন করেছিলেন সেখানেই উল্লেখ রয়েছে কিভাবে নিরস্ত্র বাঙালির ওপর বর্বর অত্যাচার চালিয়েছিল পাকিস্তানি শাসক ইয়াহিয়া তার সেনাবাহিনী দিয়ে। তাদের সহযোগিতা করেছিল ইয়াহিয়ার পদলেহনকারী এদেশীয় কিছু দালাল। যারা আজও সক্রিয়। সেদিন নির্বাচন প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করে রেজাল্ট পাল্টানোর চেষ্টা করে নি কিন্তু বাংলাদেশের জনগণের দেওয়া রায় মেনে নিতে পারে নি। বাঙালি পাকিস্তানের শাসনভার পাবে। ইস্ট পাকিস্তান শাসন করবে গোটা পাকিস্তানে এটা তারা বরদাস্ত করে নি। যদিও সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ এই বাংলাদেশেই বাস করত। বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করার মতো ক্ষমতা আমাদের এই ভূ-খণ্ডেরই ছিল। প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর ছিল আমাদের দেশ, যা দিনের পর দিন পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী শোষণ করেছে। সমস্ত অর্থ সম্পদ পাচার করেছে পশ্চিম পাকিস্তানে। আমাদের পাট, চাসহ অর্থকরী ফসলের সিংহভাগ নিয়ে গড়ে তুলেছিল করাচি, পিত্তি, ইসলামাবাদ আর অপরদিকে অবহেলিত ছিল বাংলাদেশের জনগণ। সশস্ত্র বাহিনী, প্রশাসনিক, পররাষ্ট্র কোনো ক্ষেত্রেই বাঙালির চাকরি পাবার অধিকার ছিল না। আমদানি- রপ্তানি, ব্যবসা-বাণিজ্য, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা, ব্যাংক বীমা প্রতিষ্ঠা করা বাঙালিদের কোনো সুযোগই ছিল না। অনুমোদন পেত না। চরম বৈষম্যের শিকার ছিল বাংলাদেশের জনগণ।

এ বৈষম্য আরও প্রকট হলো ১৯৬৫ সালের পাক-ভারত যুদ্ধের সময়। তখন দেখা গেল বাংলাদেশের জনগণের, কৃষক শ্রমিকের মেহনতের টাকা দিয়ে বহিঃশত্রুর আক্রমণ থেকে পাকিস্তানকে রক্ষার জন্য যে সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তোলা হয়েছে, যে গোলাবারুদ, সামরিক অস্ত্র ক্রয় করা হয়েছে তা শুধুমাত্র পশ্চিম পাকিস্তানেই ব্যবহার করা হতো। পাকিস্তান নামে দুটো দেশ থাকলেও এবং পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের টাকায় অস্ত্রশস্ত্র কেনা হলেও পূর্ব পাকিস্তানকে রক্ষার কোনো সামরিক ব্যবস্থা ছিল না। ১৯৬৫ সালে ভারতের সঙ্গে যুদ্ধে দেখা গেল যে পাকিস্তানি শাসকরা কেবল গুরুত্ব দিচ্ছে পশ্চিম পাকিস্তানকে রক্ষার জন্য। ভারত তখন একদিনেই পূর্ব পাকিস্তান দখলে নিতে পারত। কোনো যুদ্ধ সরঞ্জাম, ফাইটার বিমান, ট্যাঙ্ক, তেমন কিছুই ছিল না, অরক্ষিত বাঙালিকে একদিকে অবহেলা করেছে অপরদিকে পশ্চিম পাকিস্তানে বেঙ্গল রেজিমেন্টকে সকলের আগে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে যুদ্ধ করার জন্য এবং বেঙ্গল রেজিমেন্টই সেদিন বীরত্ব দেখিয়েছে। এই অবস্থা দেখেই সেদিন বঙ্গবন্ধু ৬ দফা দাবি উত্থাপন করেছিলেন বাঙালির স্বাধিকার আদায়ের জন্য। বাঙালির আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকারের দাবি তোলার অপরাধে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় ফাঁসি দিয়ে হত্যা করতে চেয়েছিল বঙ্গবন্ধুকে সেদিনের পাকিস্তানি শাসকচক্র আইয়ুব খাঁ। পারে নি, কারণ বাংলার মানুষ দুর্বার গণআন্দোলন গড়ে তুলে বঙ্গবন্ধুকে মুক্ত করে। পতন হয় আইয়ুব খানের। ক্ষমতায় আসে ইয়াহিয়া নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে। ১৯৭০ সালে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ড. কিসিঞ্জার একটা কথা বলেছিলেন যে, পাকিস্তানি সরকার জানত না যে আওয়ামী লীগ সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন পাবে, তাদের ইন্টেলিজেন্স অর্থাৎ গোয়েন্দা সংস্থা সঠিক তথ্য দিতে ব্যর্থ হয়েছিল। তাই তারা নির্বাচনের পর জনতার রায় মানতে চায় নি, অর্থাৎ বাংলাদেশের মানুষ হবে পাকিস্তানের শাসনকর্তা— এটা তাদের সহ্য হয় নি। বাঙালির অধিকার সংরক্ষণ করে শাসনতন্ত্র তৈরি হবে তা কিছুতেই মানতে পারে নি বলেই হামলা করেছিল নিরস্ত্র বাঙালির ওপর। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে লেলিয়ে দিয়েছিল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী, সমর্থক, ভোটার কে কোথায় আছে তাদের খতম করতে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জানতেন এ ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে। তাই গেরিলা যুদ্ধের প্রস্তুতির নির্দেশ তিনি আগেই দিয়েছিলেন। যুদ্ধে আমরা বিজয় অর্জন করি। আজ আমরা কি দেখি?  মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময় থেকেই ষড়যন্ত্র শুরু হয়। কিন্তু অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে যুদ্ধ পরিচালিত হয়, আমরা স্বাধীনতা অর্জন করি। কিন্তু পরাজিত শত্রুরা নিষ্ক্রিয় ছিল না।

ষড়যন্ত্রের জাল তারা ছড়াতে থাকে তাদের এদেশীয় দালালদের মাধ্যমে। মিথ্যা অপপ্রচার, কি কি মিথ্যা অপপ্রচার সেদিন তারা ছড়িয়েছিল বঙ্গবন্ধুর নামে, শেখ কামালের নামে, বেগম মুজিবের নামে-তার একটাও কি প্রমাণ করতে পেরেছে? পারে নি। আওয়ামী লীগের বহু নেতাকর্মী, এমপিদের পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। একদিকে যুদ্ধবিধস্ত দেশ গড়তে ব্যস্ত জাতির পিতা অপরদিকে ধ্বংসাত্মক কাজ করে অর্থনীতিকে পঙ্গু করে দেবার চেষ্টা করেছে ষড়যন্ত্রকারীরা, মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত শত্রুরা।

 

 (সূত্র: শেখ হাসিনা রচনা সমগ্র-২।। পৃষ্টা:৩০-৩১)



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সিল মারা ব্যালটসহ ইউপি চেয়ারম্যানের ফেসবুকে পোস্ট

প্রকাশ: ১১:৩৬ এএম, ১০ মে, ২০২৪


Thumbnail

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে গোপন কক্ষে সিল মারা ব্যালটের সঙ্গে ছবি তুলেছেন আশরাফুল ইসলাম নামে এক ইউপি চেয়ারম্যান। সেই ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ব্যক্তিগত আইডিতে পোস্ট করেছেন।

এছাড়াও বিজয়ী উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর আইডির পোস্টসহ বিভিন্ন আইডিতে কমেন্ট করেছেন তিনি। তবে বৃহস্পতিবার (৯ মে) দুপুরে তিনি তার ব্যক্তিগত ফেসবুক প্রোফাইল থেকে পোস্টটি সরিয়ে নেন।

জানা গেছে, আশরাফুল ইসলাম তেঁতুলিয়া উপজেলার শালবাহান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, এছাড়াও তিনি ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য। বুধবার (৮ মে) জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলার শালবাহান ইউনিয়নের মাঝিপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দেন তিনি।

খোঁজ নিয়ে আরও জানা গেছে, ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফুল ইসলাম আচরণবিধি অমান্য করে মোবাইল নিয়ে ভোট কেন্দ্রে প্রবেশ করেন। পরে ভোট দেওয়ার গোপন বুথে গিয়ে ব্যালটে সিল মেরে সেখানেই ব্যালটসহ ছবি (সেলফি) তুলেন তিনি। বিকেলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের ব্যক্তিগত আইডিতে পোস্ট করেন। সেখানে দেখা যায়, তিনি সিল মারা ব্যালট এক হাতে ধরে আরেক হাতে সেলফিটি তুলেছেন এবং সেই ছবি আপলোড দিয়ে লেখেন ‘ভালোবাসা নেতার পেছনে যায় না, যায় ভালোবাসার পেছনে।’

এর আগেও এই জনপ্রতিনিধি গত ৭ জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন ভোট কেন্দ্রে মোবাইল ফোন নিয়ে প্রবেশ করে সিল মারা ব্যালটের ছবি তুলে সামাজিকে যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেন।  এ বিষয়ে শালবাহান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আশরাফুল ইসলামের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, ভোট কেন্দ্রে গোপন বুথে প্রকাশ্যে ভোট দেওয়ার ছবি তোলা বেআইনি ও কোনো ভোটার মোবাইল ফোন নিয়ে ভোটকক্ষে প্রবেশ ও তা ব্যবহার করা যাবে না। তবে ভোটকেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রিজাইটিং কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা থাকা অবস্থায় একজন জনপ্রতিনিধি হয়ে কীভাবে এমন আইন ভঙ্গ হলো এ বিষয়টি নিয়ে নানা আলোচনা ও সমালোচনা দেখা দিয়েছে স্থানীয় মানুষেদের মাঝে। একজন ভোটার কর্তৃক এরূপ কর্মকাণ্ড উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বিধিমালা, ২০১৩ এবং উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা, ২০১৬ এর পরিপন্থী এবং শাস্তিযোগ্য একটি অপরাধ।

এদিকে তেঁতুলিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফজলে রাব্বি জানান, একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্বশীল পদে থাকা অবস্থায় তিনি যে কাজটি করেছেন সেটি ঠিক নয়। বিষয়টি নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা দেখবেন। তবে, বিষয়টি আমাদের নজরে আসার সঙ্গে সঙ্গে আমি উপজেলা নির্বাচন ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে অবগত করেছি। বিষয়টি তারা খতিয়ে দেখছেন।


সিল   ব্যালট   ইউপি   চেয়ারম্যান   ফেসবুক   পোস্ট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

প্রকাশ: ১১:০৬ এএম, ১০ মে, ২০২৪


Thumbnail

টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি সৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শুক্রবার (১০ মে) সকাল ১০টা ৫ মিনিটে টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন প্রধানমন্ত্রী।

বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে পুষ্পাঞ্জলি অর্পণের পর তার সম্মানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন তিনি। এ সময় সশস্ত্র বাহিনীর চৌকস সদস্যরা গার্ড অব অনার প্রদান করে।

এরপর বঙ্গবন্ধুসহ ১৫ আগস্ট নিহতদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাত করা হয়। মোনাজাতে স্বাধীনতার জন্য আত্মদানকারী শহীদদের আত্মার মাগফেরাত এবং দেশ ও জাতির শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করা হয়।

মোনাজাতে প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন শেখ রেহানাসহ পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে সকালে সড়কপথে গোপালগঞ্জ আসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

পরে প্রধানমন্ত্রী টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে দাড়িয়াকুল গ্রাম উন্নয়ন সমিতির সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় এবং সুবিধা বঞ্চিতদের মাঝে কৃষি ও শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করবেন।

পরে তিনি টুঙ্গিপাড়া উপজেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র পরিদর্শন করবেন। বিকেলে সড়ক পথে ঢাকায় ফিরে আসবেন তিনি।


টুঙ্গিপাড়া. বঙ্গবন্ধু. প্রধানমন্ত্রী   শ্রদ্ধা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

প্রবাসীদের সুখবর দিল মালয়েশিয়া হাইকমিশন

প্রকাশ: ০৯:০৭ এএম, ১০ মে, ২০২৪


Thumbnail

মালয়েশিয়ার প্রবাসীদের সুখবর দিল হাইকমিশন। দেশটিতে বসবাসরত বাংলাদেশিদের জন্য পেনাং জোহরবারু প্রদেশে পোস্ট অফিসের পাশাপাশি দিন হাতে হাতে পাসপোর্ট ডেলিভারি দেবে হাইকমিশন। সম্প্রতি পাসপোর্ট ভিসা কাউন্সেলর মিয়া মোহাম্মদ কিয়ামউদ্দিন সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ হাইকমিশন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগামী ১৮ ১৯ মে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত পেনাং জর্জ টাউনের বাংলাদেশ অনারারি কনস্যুলেট অফিস থেকে সরাসরি পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে পারবেন বাংলাদেশিরা। এই জন্য আগামী ১৫ মে মধ্যে অনলাইনে আবেদন করতে হবে।

সেই সঙ্গে আগামী ২৫ ২৬ মে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত জহুর বারুর অগ্রণী রেমিট্যান্স হাউস থেকে সরাসরি পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে পারবেন বাংলাদেশিরা। এই জন্য আগামী ২২ মে মধ্যে অনলাইনে আবেদন করতে হবে।

যেসব পাসপোর্ট আবেদনকারীর তথ্য অনলাইনে থাকবে শুধু তারাই সরাসরি উপস্থিত হয়ে হাতে হাতে পাসপোর্ট গ্রহণ করতে পারবেন। ছাড়াও পোস্ট অফিসের মাধ্যমে পাসপোর্ট বিতরণের সার্ভিসটিও যথারীতি চালু থাকবে। নির্ধারিত স্থান থেকে পাসপোর্ট সংগ্রহের জন্য https://appointment.bdhckl.gov.bd/other ঠিকানায় গিয়ে অনলাইনে অ্যাপয়েনমেন্ট গ্রহণ করতে হবে। একইসঙ্গে পাসপোর্ট সংগ্রহের জন্য ডাকযোগ সেবাটি চালু থাকবে।

 

 


প্রবাসী   সুখবর   মালয়েশিয়া   হাইকমিশন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

উপজেলা নির্বাচন: গজারিয়ায় সংঘর্ষ, মামলায় ২শ আসামি

প্রকাশ: ০৮:৪০ এএম, ১০ মে, ২০২৪


Thumbnail

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে হোসেন্দী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ব্যালটপেপার ছিনতাইয়ের চেষ্টা, অস্ত্র নিয়ে পুলিশের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় হোসেন্দি ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুল হক মিঠুকে প্রধান আসামি করে অজ্ঞাত আরও দুইশো ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে।  

গজারিয়া থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক এসআই জাহিদ বাদী হয়ে ১৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও দেড়শো থেকে দুইশো জনকে আসামি করে গজারিয়া থানায় এ মামলা দায়ের করেন। গতকাল বিকেলে মামলাটি দায়ের করা হয়। এ মামলায় একজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে।  

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বুধবার গজারিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণের সময় দুপুর দেড়টার দিকে কেন্দ্র দখলে নিয়ে একাধিক ব্যালটপেপারে সিল মারেন আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী আমিরুল ইসলামের সমর্থকরা। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে ব্যালটে মারার সিল লুট করে নিয়ে যান তারা।

পরে ওই কেন্দ্রে দুপুর ১টা ৫৫ মিনিট থেকে প্রায় দেড় ঘণ্টা ভোটগ্রহণ বন্ধ রাখেন কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিসাইডিং অফিসার। বিকাল ৩টা ২৫ মিনিটের দিকে আবার ভোটগ্রহণ শুরু করা হলে কেন্দ্রের বাইরে থাকা দেড়শো থেকে দুইশো কর্মী সমর্থক জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যন্ড অপারেশন) মোহাম্মদ বদিউজ্জামানের ওপর হামলা করেন। ভাঙচুর করা হয় তার ব্যবহৃত সরকারি গাড়ি। হামলা ঠেকাতে গিয়ে ইট-পাটকেলের আঘাতে আহত হন পুলিশের দুই সদস্য সাদ্দাম (২৪) ও সোহাগ (২৫)। 

ঘটনা শুনে কেন্দ্রের ভেতরে থাকা পুলিশ সদস্যরা বাইরে বেরিয়ে এলে তাদের ওপর ইট-পাটকেল, লাঠি-সোটা, হাতবোমা নিক্ষেপ করে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে আবার কেন্দ্রের দখল নেয়ার চেষ্টা করেন ওই কর্মী-সমর্থকরা। এসব ঘটনার উসকানি ও নেতৃত্ব দেন হোসেন্দি ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুল হক মিঠু।  

পুলিশ বারবার তাদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। একপর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ৭৪ রাউন্ড রাবার বুলেট ও বেশ কয়েকটি সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে পুলিশ।

গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজিব খান মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মামলার এজাহারে ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও দেড়শো থেকে দুইশো জনকে আসামি করা হয়েছে। এ ঘটনায় মাসুম (২৫) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।


উপজেলা নির্বাচন   সংঘর্ষ   মামলা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

পাইলট অসীম জাওয়াদ মানিকগঞ্জে চিরনিদ্রায় শায়িত হবেন

প্রকাশ: ০৮:৩৫ এএম, ১০ মে, ২০২৪


Thumbnail

চট্টগ্রামে বিমান দুর্ঘটনায় নিহত পাইলট অসীম জাওয়াদকে মানিকগঞ্জে দাফন করা হবে। বৃহস্পতিবার (৯ মে) রাতে নিহতের পারিবারিক সূত্রে বিষয়টি জানা গেছে।

নিহত বৈমানিক অসীম মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার দরগ্রাম ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের ডা. মোহাম্মদ আমানউল্লার ছেলে। তার মায়ের নাম নিলুফা খানম। নিহত পাইলট মৃত্যুকালে স্ত্রী, ছয় বছর বয়সী কন্যা আইজা ও এক পুত্র সন্তানের জনক ছিলেন। একমাত্র ছেলের মৃত্যুর খবর শোনে কান্না থামছে না মা নিলুফা খানমের। ছেলে হারিয়ে বার বার মূর্ছা যাচ্ছেন। ছেলের এমন মৃত্যু কোনভাবেই মেনে নিতে পারছেন না তিনি।

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা জহুরুল হক বিমান ঘাঁটির থেকে বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান উড্ডয়ন করে। এর কিছুক্ষণ পরই বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয় এবং বিমানটিতে আগুন ধরে যায়। কর্ণফুলী নদীতে ভূপাতিত হওয়ার আগেই বিমানে থাকা বৈমানিক উইং কমান্ডার সোহান ও বৈমানিক স্কোয়াড্রন লিডার অসীম জাওয়াদ প্যারাসুট দিয়ে নদীতে নামলেও দুজন আহত হন।

পরে তাদের উদ্ধার করে পতেঙ্গা বিএনএস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বিমানের উইং কমান্ডার সোহান জহুরুল হক ঘাঁটির মেডিকেল স্কোয়াড্রনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তবে বিমান বিধ্বস্তর ঘটনায় বৈমানিক অসীম জাওয়াদ বিএনএস পতেঙ্গা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

১৯৯২ সালের ২০ মার্চ আসীম জাওয়াদ জন্মগ্রহণ করেন। তিনি সাভার ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ থেকে এসএসসি  এবং এইচএসসি পাস করেন। ২০১০ সালের ১০ জানুয়ারি তিনি বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে যোগদান করেন এবং ১ ডিসেম্বর ২০১১ তারিখে ক্যাডেটদের জন্য সর্বোচ্চ সম্মান সোর্ড অব অনার প্রাপ্তিসহ জিডি (পি) শাখায় কমিশন লাভ করেন।

চাকরিকালীন তিনি দেশ-বিদেশে পেশাগত বিভিন্ন কোর্সে অংশগ্রহণ করে সফলতার সঙ্গে তা সম্পন্ন করেন। তিনি বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস থেকে এভিয়েশন ইন্সট্রাক্টর্স পোস্টগ্রাজুয়েট ডিপ্লোমা সম্পন্ন করেন। এছাড়া তিনি চীন থেকে ফাইটার পাইলটস ফাউন্ডেশন ট্রেনিং কোর্স, ভারত থেকে অপারেশনাল ট্রেনিং ইন এভিয়েশন মেডিসিন ফর ফাইটার পাইলটস কোর্স, বেসিক এয়ার স্টাফ কোর্স ও কোয়ালিফায়েড ফ্লাইং ইন্সট্রাক্টর্স কোর্স সম্পন্ন করেন।

তিনি পেশাদারি দক্ষতা ও সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ ‘মফিজ ট্রফি’, ‘বিমানবাহিনী প্রধান ট্রফি’ ও বিমানবাহিনী প্রধানের প্রশংসাপত্র লাভ করেন। এ ছাড়া ভারতীয় বিমানবাহিনীতে কোর্সে অংশগ্রহণ করে সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ ইন্ডিয়ান এয়ার অর্জন করেন।

 


পাইলট   অসীম   মানিকগঞ্জ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন