আগামী জাতীয়
সংসদ নির্বাচন নিয়ে বাংলাদেশকে নানামুখী চাপে রেখেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আগামী জাতীয়
সংসদ নির্বাচন যেন অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয় সেটি নিশ্চিত করতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
বাংলাদেশের জন্য নতুন ভিসানীতি ঘোষণা করেছে এবং গত ২২ সেপ্টেম্বর এই ভিসানীতির প্রয়োগ
শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র। তবে এর মধ্যে নতুন করে মার্কিন চাপ বাড়তে পারে বলে গুঞ্জন শোনা
যাচ্ছে।
যে কারণে এই
মার্কিন চাপ বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে তার মধ্যে রয়েছে:
১। রাশিয়ার
সাথে সম্পর্ক: বাংলাদেশের সাথে রাশিয়ার সম্পর্ক যুক্তরাষ্ট্রের জন্য একটি বড় মাথাব্যাথার
কারণ। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন যুক্তরাষ্ট্রে একজন নিষিদ্ধ ব্যক্তি। রাশিয়া ইউক্রেন
যুদ্ধের পর রাশিয়ার উপর সব ধরণের নিষেধাজ্ঞা জারি করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এ রকম
বাস্তবতায় আজ রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ইউরেনিয়াম হস্তান্তর অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন ভ্লাদিমির পুতিন। রাশিয়ার সাথে
বাংলাদেশের এই সম্পর্ক যুক্তরাষ্ট্রকে নতুন করে আক্রমনাত্মক করে তুলবে কিনা সেটি নিয়ে
কূটনীতিক মহলে আলোচনা চলছে।
তাছাড়া সাম্প্রতিক
সময় রাশিয়ার প্রকাশিত বন্ধু দেশের তালিকায়ও ছিল বাংলাদেশের নাম। বাংলাদেশের নির্বাচন
নিয়ে যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যখন চাপ প্রয়োগ করছে, তখন রাশিয়ার এমন অবস্থান বাংলাদেশের
বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রকে আরও কঠিন অবস্থায় যেতে উস্কে দিতে পারে বলেই কোন কোন মহল মনে
করছে।
২। ড. ইউনূস:
আজ দুর্নীতি দমন কমিশনে হাজির হন ড. ইউনূস এবং সেখানে তাকে প্রায় ঘন্টাখানেক বিভিন্ন
বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। অনেকেই মনে করছেন যেহেতু ড. ইউনূসের ব্যাপারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের
একটি আবেগ রয়েছে তাই ড. ইউনূসকে দুদকে ডেকে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করাকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্র
কোন ব্যবস্থা নিতেও পারে।
৩। যুক্তরাষ্ট্রের
প্রতিনিধি দল: যুক্তরাষ্ট্রের অর্থায়নে পরিচালিত
ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই) ও ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউটের
(এনডিআই) একটি প্রতিনিধিদল আগামী ৭-১৩ অক্টোবর বাংলাদেশ সফর করবে। আন্তর্জাতিক
পর্যবেক্ষকদের জন্য এনডিআই-এর নীতিমালার ঘোষণা অনুযায়ী একটি যৌথ প্রাক-নির্বাচন মূল্যায়ন
মিশন (পিইএএম) পরিচালনা করতে তারা আসবেন। তে
ছয়জন প্রতিনিধি ও সাপোর্ট স্টাফ থাকবেন।
বাংলাদেশ নির্বাচন
কমিশন, সরকারি সংস্থা, রাজনৈতিক দল, নাগরিক পর্যবেক্ষক, নারী ও যুব সংগঠনসহ সুশীল সমাজ,
বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম সংস্থা এবং বিদেশি কূটনৈতিক মিশনগুলোর সঙ্গে বৈঠক
করবেন তারা এবং সফর শেষে প্রতিনিধিদল ইতিবাচকের পাশাপাশি উদ্বেগের ক্ষেত্রগুলো তুলে
ধরে একটি বিবৃতি দেবেন। তারা যে বিবৃতিটি দিবে সেটির উপরও নির্ভর করবে অনেককিছু।
সবকিছু মিলিয়ে
বাংলাদেশের উপর আসলেই যুক্তরাষ্ট্র নতুন করে কোন চাপ প্রয়োগ করে কিনা সেটিই এখন দেখার
বিষয়।
বাংলাদেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নির্বাচন ড. ইউনূস
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
সরকারি চাকরি জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন
মন্তব্য করুন
নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ প্রধানমন্ত্রী নসরুল হামিদ
মন্তব্য করুন
চাকরির বয়সসীমা শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী জনপ্রশাসন মন্ত্রী
মন্তব্য করুন
শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী গত ১৭ এপ্রিল জনপ্রশাসন মন্ত্রীকে দেওয়া এক ডিও লেটারে উল্লেখ করেছেন চাকরিপ্রত্যাশীরা চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ করার জন্য দীর্ঘদিন ধরে রাজপথে আন্দোলন চালিয়ে আসছে। সরকার বিষয়টি উপলব্ধি করে ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইস্তেহারে ৩৩ নং পৃষ্ঠায় শিক্ষা, দক্ষতা ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধি অনুচ্ছেদে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর বিষয়ে মেধা ও দক্ষতা বিবেচনায় রেখে বাস্তবতার নিরিখে যুক্তিসংগত ব্যবস্থা করা হবে বলে উল্লেখ করা হয়। আর এ রকম একটি ডিও লেটারে শিক্ষামন্ত্রী বিভিন্ন দেশে চাকরির বয়সসীমা উল্লেখ করেছেন।