ইনসাইড বাংলাদেশ

নিরাপত্তার জন্য ক্যাম্পের বাইরে বাসাবাড়িতে লক্ষাধিক রোহিঙ্গা, স্থানীয়রাও নেই শান্তিতে


Thumbnail

রোহিঙ্গারা নিজ দেশে ফিরে যাক, সেটা চায় না সন্ত্রাসী গোষ্টী আরসাসহ একাধিক রোহিঙ্গা সংগঠন। তাই প্রত্যাবাসন নিয়ে আলোচনা শুরু হলেই  উখিয়া রোহিঙ্গা শিবিরে বেড়ে যায় হত্যাকাণ্ড বা সন্ত্রাসী তৎপরতা।বিশেষ করে প্রত্যাবাসনের পক্ষে থাকা রোহিঙ্গারা টার্গেটে পরিনত হয়। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে গত বৃহস্পতিবার  পর্যন্ত কমপক্ষে ৪৯ টি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে। এক্ষেত্রে বিভিন্ন ক্যাম্পের মাঝি বা নেতাদের টার্গেট করছে আক্রমণকারীরা। সেজন্য রোহিঙ্গা নেতাদের অনেকে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে শিবিরের বাইরে নিরাপদ জায়গায় বাসা ভাড়া করে থাকছেন। এ সংখ্যা লক্ষাধিক হবে বলে জানিয়েছেন রোহিঙ্গা মাঝি আবদুল হক।সারাদিন তারা স্বপরিবারে ক্যাম্পের ঝপড়ি বাসায় থাকে অন্ধকার নামার আগেই চলে যায় ভাড়া বাসায়।  সন্ধ্যার পরই তান্ডব শুরু হশ সন্ত্রাসীদের।প্রতিটি ক্যাম্পে আরসা আরএসওসহ সন্ত্রাসী সংগঠন সমূহের বেতন ভূক্ত এজেন্ট বা সদস্য রয়েছে। এমন ভয়ংকর তথ্য দিয়েছেন রোহিঙ্গা মাঝি আয়াছ রনি। 

 

স্থানীয়রা জানান, উখিয়ার ক্যাম্পগুলোয় বছর দেড়েক ধরে মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে রোহিঙ্গাদের দুই সন্ত্রাসী গ্রুপ আরাকান স্যালভেশন আর্মি (আরসা) ও আরাকান রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন (আরএসও)। টেকনাফ ও উখিয়ার ক্যাম্পগুলো পরিচালনায় প্রশাসনকে সহায়তার জন্য প্রতিটি শিবিরে কয়েকজন রোহিঙ্গা নেতা নির্বাচন করা হয়, যাদের বলা হয় মাঝি। তাদের টার্গেট করেই সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হত্যা মিশনে নেমেছে। তাদের আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টায় অনেক সাধারণ রোহিঙ্গাও প্রাণ হারিয়েছে। দুর্বৃত্তদের গুলিতে গত ৮ মার্চ নিহত হন সৈয়দ হোসেন নামে একজন, যিনি কুতুপালং ক্যাম্প-২ ডব্লিউর মাঝি ছিলেন। তারও কয়েকদিন আগে হত্যা করা হয় রোহিঙ্গা কমিউনিটি নেতা মাঝি সৈয়দ হোসেন ও মোহাম্মদ সেলিমকে।

 

কক্সবাজারের আশ্রিত শরণার্থীদের প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় থাকা রোহিঙ্গাদের যাচাই-বাচাইয়ের জন্য গত ১৫ মার্চ মিয়ানমারের একটি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সফরে এসেছিল। তার আগ মুহূর্তে এসব হত্যাকাণ্ড সন্ত্রাসী গ্রুপগুলোর পরিকল্পনার অংশ বলে মনে করে সাধারণ রোহিঙ্গারা। কেননা তাদের লক্ষ্য ক্যাম্পগুলোয় প্রভাব বিস্তার করে মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজি ও অপহরণের মতো কর্মকাণ্ড চালানো। 

 

সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার ৪ অক্টোবর উখিয়া বালুখালী ৮ ডাব্লিউ ক্যাম্প ও ১৫ নাম্বার জামতলীতে এই জোড়া হত্যার ঘটনা ঘটে। এরা হচ্ছে আরসার কিলিং স্কোয়াডের সদস্য মোঃ ইউচুপ, ও এর কয়েক ঘন্টা আগে আরসার সন্ত্রাসীরা আরফাত নামের এক কিশোরকে চুরিকাঘাত করে হত্যা নিশ্চিত করে চলে যায়।১৫ নাম্বার ক্যাম্পে এর আগে উখিয়ায় আরসা সদস্যদের সঙ্গে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে আব্দুল মজিদ ওরফে লালাইয়া নামে এক রোহিঙ্গা নিহত হয়েছেন। এপিবিএনের দাবি, নিহত লালাইয়া আরসা কমান্ডার। এ সময় তিনজকে আটক করা হয়েছে।

 

কক্সবাজার জেলা পুলিশের তথ্য বলছে, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মোট রোববার ১৩৯ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এর সঙ্গে গতকাল পর্যন্ত চলতি বছরে সংঘটিত হয়েছে আরো ৪৯ টি হত্যাকাণ্ড। এতে সাধারণ রোহিঙ্গাদের মাঝে উদ্বেগ বাড়ছে। রোহিঙ্গা নেতারা এসব ঘটনার জন্য আরসা ও আরএসওকে  দায়ী করছেন। ক্যাম্পগুলোয় দিনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর থাকলেও রাতে সশস্ত্র বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে চলে যায়। তাই নিরাপত্তাহীনতার কারণে মাঝিদের অনেকে এখন শিবিরের বাইরে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করছেন। তবে কেউই পরিচয় প্রকাশ করতে রাজি হননি।   

 

মোহাম্মদ রফিক আমিন (ছদ্ম নাম), যিনি একটি শিবিরের হেড মাঝি বা প্রধান নেতার দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। তিনি জানান, মাস কয়েক আগে তার ওপরও আক্রমণ করেছিল আরসা। সে দফায় প্রাণে বেঁচে যান। পরে শিবিরের বাইরে একটি ভাড়া বাসায় পরিবারের সদস্যদের নিয়ে উঠেছেন। রফিক আমিন দাবি করেন, ‘শিবিরগুলোর নিয়ন্ত্রণ নিতেই মূলত আরসা একের পর এক হত্যাকাণ্ডসহ নানা রকম সন্ত্রাসী তৎপরতা চালাচ্ছে। ক্যাম্পে যতক্ষণ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা থাকে, ততক্ষণ এরা লুকিয়ে থাকে। সরকারি লোকজন ক্যাম্প থেকে চলে যাওয়ার পর আসরার সদস্যরা এসে রোহিঙ্গা নেতাদের খোঁজ করে, সামনে পেলে মারধর করে। এরই মধ্যে তারা আমাদের বেশ কয়েজন মাঝিকে হত্যা করেছে।’

 

আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফারুক আহমেদ মনে করেন, রোহিঙ্গা শিবিরে প্রভাব বিস্তারের লক্ষ্যেই এসব হত্যাকাণ্ড ঘটানো হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হত্যাকাণ্ডগুলো ঘটাচ্ছে দুষ্কৃতকারীরা। নিজেদের প্রভাব ও আধিপত্য বিস্তারের জন্যই তারা এগুলো করছে; যাতে ক্যাম্পে অবাধে মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজি, অপহরণের মতো কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে অবৈধভাবে অর্থ উপার্জন করতে পারে। এটাই তাদের মূল লক্ষ্য।’

 

রোহিঙ্গাদের নিয়ে অনেকদিন ধরেই কাজ করছেন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার কর্মকর্তা মামুন। শিবিরগুলোয় কাজ করতে গিয়ে তিনি দেখেছেন, দিন দিনই সাধারণ রোহিঙ্গাদের মাঝে অস্থিরতা বাড়ছে এবং নিরাপত্তা নিয়ে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। মামুন বলেন, ‘‌আইন-শৃঙ্খলা রক্ষকারী বাহিনী এবং এনজিওগুলোর তৎপরতা থাকে। ফলে দিনে পরিস্থিতি শান্ত থাকলেও সন্ধ্যার পর অন্য রকম একটা পরিবেশ তৈরি হয়।’

 

আয়াস নামে এক রোহিঙ্গা যুবক বলেন, ‘আমাদের শিবিরগুলোয় উগ্রবাদী কিছু লোক সক্রিয়। অন্ধকার নামলেই শুরু হয় তাদের তৎপরতা। যখনই সাধারণ রোহিঙ্গারা সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর বিরোধিতা করতে চায় বা নিজেরা সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করে, তখনই আরসা আক্রমণ করে। এছাড়া অবৈধ মাদক ব্যবসায়ী ও অন্য সন্ত্রাসী গ্রুপগুলোও সাধারণ রোহিঙ্গাদের নির্যাতন করে। ‘রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কর্মরত আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চরম ব্যর্থতা দিন দিন যেন স্পষ্ট হয়ে উঠছে। আধিপত্য বিস্তার ও চাঁদাবাজি নিয়ে যেভাবে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলো উগ্রবাদী হয়ে উঠছে, তা দমন করতে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথ বাহিনী গঠনের বিকল্প নেই। আবার রোহিঙ্গারা উগ্রবাদী হয়ে ওঠার পেছনে কোনো ইন্ধন রয়েছে কিনা সেটিও দেখা জরুরি বলে মনে করেন সবচেয়ে রোহিঙ্গা অধ্যুষিত ইউনিয়ন উখিয়ার পালংখালীর চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দীন চৌধুরী। তার দাবী তার ইউনিয়নের লোকসংখ্যা ৫০ হাজার কিন্তু রোহিঙ্গা হচ্ছে ৭ লাখ। তাদের সহিংসতা যেন স্থানীয় কমিউনিটির জন্য বিপদের কারণ হয়ে না ওঠে, তার জন্য এখনই সরকারের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে বলে মনে করেন এই ইউপি চেয়ারম্যান। এমনকি তিনি রোহিঙ্গাদের অপকর্মের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকায় তিনি নিজেও চরমভাবে নিরাপত্তাহীন।কারণ তাকে কয়েক দফা মৃত্যুর হুমকি দেয়া হয়েছে। 

 

পুলিশ কর্মকার্তারা অবশ্য বলছেন, সাধারণ রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশসহ বিভিন্ন বাহিনীর সার্বক্ষণিক টহল এবং অপরাধীদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রাখাসহ যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

 

কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুল ইসলাম জানান, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ প্রশাসন সবসময় জীবন বাজি রেখে কাজ করছে। সন্ত্রাসীদের অনেককে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ক্যাম্পজুড়ে বাড়ানো হয়েছে গোয়েন্দা তৎপরতা।


কক্সবাজার   রোহিঙ্গা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

রাজধানীতে বজ্রসহ শিলা-বৃষ্টি

প্রকাশ: ১০:৪১ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

রাজধানীতে শুরু হয়েছে বজ্রসহ বৃষ্টি। সঙ্গে শিলা। আজ রোববার (৫ মে) রাত সাড়ে ১০টার দিকে শুরু হয় এ শিলা-বৃষ্টি। এর আগে রাত ৯টার দিকে শুরু হয় ঝোড়ো হাওয়া।

শনিবার সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তর পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়া পরিস্থিতির পূর্বাভাস দেয়। পূর্বাভাসে বলা হয়, সোমবার থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছয় দিন ধরে হতে পারে ঝড়বৃষ্টি। কয়েক দিনের বৃষ্টির পর কমে যেতে পারে তাপপ্রবাহ।

আবহাওয়াবিদ শাহীনুল ইসলাম বলেন, রোববার বিকেল ৪টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে দেশের ওপর দিয়ে বজ্রপাত ও বিচ্ছিন্নভাবে শিলাবৃষ্টিসহ কালবৈশাখী ঝড় বয়ে যেতে পারে। সেজন্য সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এ ছাড়া কাল সোমবার থেকে সারা দেশে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে। এতে করে যেসব জায়গায় তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছিল সেগুলো ধীরে ধীরে প্রশমিত হবে। 

রাজধানী   শিলা-বৃষ্টি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বন্ধ বিমানবন্দর চালুর পরিকল্পনা আপাতত নেই: বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী

প্রকাশ: ০৯:৪৩ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান জানিয়েছেন, বন্ধ থাকা বিমানবন্দরগুলো চালুর পরিকল্পনা আপাতত সরকারের নেই।

রোববার (৫ মে) বিকালে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদের অধিবেশনে আওয়ামী লীগের সদস্য আলী আজমের এক লিখিত প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা জানান।
 
ফারুক খান বলেন, বর্তমানে দেশে তিনটি আন্তর্জাতিক, সাতটি অভ্যন্তরীণ ও পাঁচটি স্টল বিমানবন্দর রয়েছে। এর মধ্যে তিনটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং পাঁচটি অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দর চালু রয়েছে। এসব বিমানবন্দর দিয়ে আন্তর্জাতিক এবং অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট পরিচালিত হচ্ছে।

মন্ত্রী বলেন, বন্ধ থাকা বিমানবন্দরগুলো চালু করার পরিকল্পনা সরকার তথা বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের আপাতত নেই। তবে বর্তমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নয়ন, যাত্রী চাহিদা এবং এয়ারলাইনসগুলোর আগ্রহের পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের সিদ্ধান্ত সাপেক্ষে বন্ধ বিমানবন্দরগুলো চালুর উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে।

বিমানবন্দর   বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী   জাতীয় সংসদ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

গ্রামে ৮ থেকে ১২ ঘণ্টা লোডশেডিং, বিদ্যুৎ গেল কোথায়: সংসদে চুন্নু

প্রকাশ: ০৯:৩৪ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

লোডশেডিং নিয়ে সংসদে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিরোধী দলের চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নু। তিনি চ্যালেঞ্জ করে বলেন, গ্রামে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোথাও ১২ ঘণ্টা, কোথাও ৮ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে। সরকার বলেছে ২৮ হাজার বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্যাপাসিটি রয়েছে। তাহলে এই বিদ্যুৎ গেল কোথায়?

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে জাতীয় সংসদ অধিবেশনে তিনি এ প্রশ্ন করেন। এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।

মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, এই মুহূর্তে সারাদেশের মানুষ অনেক সমস্যায় আছে। তার মধ্যে দুটি সমস্যায় মানুষ খুব আক্রান্ত। একটি হলো বিদ্যুৎ। এই মৌসুমে সারাদেশে গ্রামে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোথাও ১২ ঘণ্টা, কোথাও ৮ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে। আর সরকার বলেছে ২৮ হাজার বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্যাপাসিটির কথা, তাহলে এই বিদ্যুৎ গেল কোথায়? বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীকে আমার এলাকার মানুষ দাওয়াত দিয়েছে, লোডশেডিং হয় কিনা দেখার জন্য।

তিনি আরও বলেন, যে সব বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র ভাড়ায়, তাদের সক্ষমতার ৪১ শতাংশ সক্ষমতা থাকার পরেও বসে আছে এবং ২২-২৩ আর্থিক বছরে বসে থেকে ভাড়া বাবদ ২৬ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। আগের পার্লামেন্টে আমি বলেছিলাম, আমার এলাকায় প্রায় বিদ্যুৎ চলে যায়। বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী আমাকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন, আমি আজকে চ্যালেঞ্জ চাই না। আমি চাই সশরীরে উনি আমার এলাকায় একটু যাবেন, যে কয় ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে।

চুন্নু বলেন, দায়মুক্তি দিয়ে যেসব চুক্তি আমরা করেছি, সেগুলো দয়া করে প্রত্যাহার করুন। বিদ্যুৎ উৎপাদন না করে বসে বসে জরিমানা দেওয়া হবে, এ চুক্তি বাতিল করুন। সেসব কোম্পানি বিদ্যুৎ দিলে বিল পরিশোধ করবেন। বসিয়ে রেখে এভাবে এক বছরে ২৬ হাজার কোটি টাকা দেবেন, তারপর আবার লোডশেডিংও থাকবে! ঢাকায় থেকে অসহনীয় অবস্থা আপনারা বুঝবেন না।

তিনি বলেন, বিদ্যুতের অপচয় বন্ধ করুন। বিদ্যুতের দাম বাড়াচ্ছেন। মন্ত্রী একটি সুন্দর কথা বলেন, সমন্বয়। সমন্বয়ের মানে মূল্যবৃদ্ধি। এ সমন্বয় আগামী তিন বছর বারবার করবেন। ভর্তুকি তুলে নিলে বিদ্যুতের দাম দ্বিগুণ হয়ে যাবে দুই-তিন বছর পর। মানুষ কিনতে পারবে কি না, আমি জানি না। আমি বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীকে বলব, শুধুমাত্র দাম না বাড়িয়ে এমন কিছু পদক্ষেপ নিন, যাতে জনগণের ওপর চাপ না পড়ে, একটি সহনীয় অবস্থায় আপনারা সরকারেও থাকতে পারেন, আর বিদ্যুৎও যাতে পাওয়া যায়।

লোডশেডিং   মুজিবুল হক চুন্নু  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

লক্ষ্মীপুরে রাতের অন্ধকারে হামলা চালিয়ে সংখ্যালঘুর জমি দখল, ঘর নির্মাণ


Thumbnail

লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে রাতের অন্ধকারে হামলা চালিয়ে বিরোধপূর্ণ জমিতে একটি টিনসেট ঘর স্থাপন করেছে তাজল ইসলাম নামে এক ভূমি পরিমাপক। 

রোববার (৫ মে) ভোর রাতে উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়নের চরজাঙ্গালিয়া গ্রামের করুনানগর বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ নম্বরে কল দিলেও যথা সময়ে পুলিশ আসেনি বলে অভিযোগ ভূক্তভোগীদের। 

বিকেলে ভূক্তভোগী টিংকু রানী দাস, বিপন রানী দাস, শোভন দাস ও অনিক চন্দ্র দাসসহ কয়েকজন এ অভিযোগ করেন। তারা জানায়, লোক মারফত তারা জানতে পারেন তাজল ইসলাম বিরোধীয় জমিতে ঘর তুলবেন। এতে শনিবার (৪ মে) দিবাগত সারারাত তারা পাহারারত ছিলেন। কেউই ঘুমাননি। রোববার ফজরের আযান দিলে তারা ঘুমাতে যায়। ঠিক সেই মুহুর্তে তাজল ইসলাম প্রায় শতাধিক নারী-পুরুষকে নিয়ে এসে বিরোধীয় জমিতে থাকা টিনের বেড়া ভেঙে ফেলে। ঘটনাটি আঁচ করতে পেরে সবাই এসে বাধা দিলে তাজল ইসলামসহ তার লোকজন লাঠিসোটা নিয়ে তাদের (ভূক্তভোগী) ওপর হামলা চালায়। এ ঘটনা থেকে রক্ষা পেতে ভূক্তভোগীরা জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ নম্বরে কল দেয়। সেখান থেকে বিষয়টি কমলনগর থানাকে জানানো হয়। কিন্তু পুলিশ ঘটনাস্থল পৌঁছতে ২ ঘণ্টা সময় লাগিয়েছে। এর মধ্যে অন্যত্র তৈরিকৃত একটি নতুন ঘর এনে তাজল ইসলামরা বিরোধীয় জমিতে স্থাপন করে। এসময় টিংকু, বিপন, শোভন ও অনিকসহ কয়েকজনকে মারধর করা হয়েছে বলেও অভিযোগ আনা হয়। 

ভূক্তভোগীরা আরও জানায়, পুলিশ এসে ঘর দেখে তারা থানায় লিখিত অভিযোগ দিতে বলে। যদি পুলিশ সময়মতো আসতো তাহলে তাজল ইসলামরা ঘর স্থাপন করার সুযোগ পেতো না। আদালতে মামলা চলমান থাকলেও হামলা চালিয়ে ঘর স্থাপনের ঘটনায় তাজল ইসলামের বিচার চেয়েছেন ভূক্তভোগীরা।

হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের লক্ষ্মীপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মিলন মন্ডল বলেন, ডালিম কুমার দাস নামে এক ব্যক্তি তাজল ইসলামের কাছে জমি বিক্রি করে। ডালিম ও তাজলসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে প্রাক্তন স্কুল শিক্ষক রাম কৃষ্ণ দাসসহ ভূক্তভোগীরা অগ্রক্রয় অধিকার আইনে রামগতি সহকারী জজ আদালতে মামলা করেন। মামলাটি এখনো চলমান। এরমধ্যে তাজল ইসলাম হামলা চালিয়ে ঘর স্থাপন করে আইন অমান্য করেছে। আমরা তার বিচার দাবি করছি। 

তবে অভিযুক্ত তাজল ইসলামের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেও সম্ভব হয়নি। তিনি রামগতি উপজেলার চরবাদাম ইউনিয়নের চরসীতা গ্রামের বাসিন্দা। 

কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তহিদুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। পুলিশও পাঠানো হয়েছে। হামলার ঘটনায় কেউ কোন অভিযোগ দেয়নি। কেউ আটকও নেই। জায়গা জমি নিয়ে সমস্যা রয়েছে। ক্রেতা তার জমি দখল করতে এসেছে। এটি উভয়পক্ষ বসে মীমাংসা করতে পারতো।

লক্ষ্মীপুর   সংখ্যালঘু   জমি দখল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

তাপপ্রবাহে কী করতে হবে, জানিয়ে জাতীয় নির্দেশিকা প্রকাশ

প্রকাশ: ০৮:২১ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

অতিরিক্ত গরমে মাথা ঘোরানো, দুশ্চিন্তা, স্ট্রোক, মুখের ভেতর শুকিয়ে যাওয়া, অ্যাজমা, মাংসপেশিতে খিঁচুনি, চামড়ায় ফুসকুড়ি, কিডনি অকার্যকর হওয়ার মতো অসুস্থতা দেখা দিতে পারে। এ ধরনের গরমে বয়স্ক, শিশু, অন্তঃসত্ত্বা নারী, শ্রমজীবী মানুষেরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন। তাই তাপপ্রবাহ থেকে সুরক্ষার জন্য কী কী করতে হবে, তা জানিয়ে প্রথমবারের মতো জাতীয় গাইডলাইন বা নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে সরকার।

রোববার (৫ মে) দুপুরে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আয়োজিত তাপমাত্রাজনিত স্বাস্থ্যঝুঁকি বিষয়ক জাতীয় গাইডলাইনের আনুষ্ঠানিক মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান করা হয়।

অনুষ্ঠানে জাতীয় গাইডলাইনের মোড়ক উন্মোচন করেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, তীব্র গরমে সবচেয়ে বেশি স্বাস্থ্যঝুঁকিতে থাকে শিশু ও বয়োজ্যেষ্ঠরা। যারা একটু শারীরিকভাবে কম সামর্থ্যবান, যাদের ডায়াবেটিস, হার্ট-ডিজিস বা বিভিন্ন অসুখ রয়েছে, তারা বেশি ঝুঁকিতে থাকেন। এই বইয়ে নির্দেশিত গাইডলাইন লিফলেট আকারে স্কুল-কলেজসহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছড়িয়ে দিতে হবে। ইতোমধ্যে সব সরকারি হাসপাতালে এই গাইডলাইন প্রেরণ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

নগর পরিকল্পনাবিদদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা দেখি গ্রামের চেয়ে ঢাকা শহরে তাপমাত্রা অনেক বেশি। এর কারণ আমরা ভবন নির্মাণ করতে গিয়ে শহরের গাছপালা সব কেটে সাবাড় করেছি। জলবায়ু পরিবর্তনের ওপর হয়তো আমরা খুব প্রভাব ফেলতে পারি না। কিন্তু নগর পরিকল্পনার সময় যদি এসব বিষয় আমরা মাথায় রাখি, তাহলে অনেকাংশেই পরিত্রাণ সম্ভব।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলমের সভাপতিত্বে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদি সাবরিনা ফ্লোরা, ইউনিসেফ বাংলাদেশের ডেপুটি রিপ্রেজেনটেটিভ এমা ব্রিগহাম প্রমুখ।

তাপপ্রবাহ   জাতীয় নির্দেশিকা  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন