কুড়িগ্রামের উলিপুরের পান্ডুল ইউনিয়নের কাগজিপাড়া গ্রামে গিদারি নদীর উপরের পুরাতন ব্রিজটি যেকোনো মুহূর্তে ভেঙে পড়ার শঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
রাতের পর থেকে তীব্র পানির স্রোতে ব্রিজের উত্তর দিকের নিচের মাটি
সরে যায়। এতে ব্রিজের ভিত্তিতে ভাঙ্গন ধরে। একমাত্র মাঝের পিলারের অর্ধেক অংশ ধসে
পড়েছে। ইতোমধ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ড জিও ব্যাগ ফেলে পানির স্রোতের তীব্রতা কমানোর
চেষ্টা করছে। তবে এর কার্যকারিতা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে এলাকাবাসী। প্রায় পাঁচ
দশক আগে নির্মিত ব্রিজটি ভেঙে পড়লে ওই ইউনিয়নের ৬টি গ্রামের অন্তত ১৫ হাজার মানুষ
যাতায়াতে ভোগান্তিতে পড়বে।
গত বছর ওই নদীটি খনন করে পাউবো। এতে পানির স্রোত বেড়ে যায়।
অন্যদিকে ব্রিজটির একাংশ বস্তা দিয়ে বেঁধে অন্য অংশে মাছ ধরে স্থানীয় কিছু লোকজন।
এতে স্রোতের তোড়ে ১০ মিটার আয়তনের গ্রামীণ ব্রিজটি শনিবার থেকে ঝুঁকিতে।
স্থানীয়রা জানান, ব্রিজটি অনেক পুরনো। পাকিস্তান আমলের বলেও মনে
করেন কেউ কেউ। দু’পাশের ছয়টি গ্রামের মানুষ এ ব্রিজ দিয়ে চলাফেরা করেন। আমবার আলী
চাকলিরপাড় গ্রামের বাসিন্দা। তিনি বলেন, চাকলিরপাড়, কাগজিপাড়া, আমভদ্রপাড়া, জটিয়াপাড়াসহ
৬-৭টি গ্রামের মানুষ চলাচল করে এ সড়কে। ১৫ থেকে ১৮ হাজার মানুষের যাতায়াতে এটাই
ভরসা।
অনেকে বলেন, পাকিস্তান আমলে ব্রিজটি বানানো হয়েছে শুনেছি। ব্রিজ
ঠিকই ছিল। কিন্তু নিচের মাটি সরে গিয়ে যেকোনো সময় ভেঙে যাবে। কাগজিপাড়া প্রাইমারী
স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা এই ব্রিজ দিয়ে যাওয়া আসা করে। এখানকার মানুষ হাট-বাজারে
যায় এ সড়ক দিয়ে। শিগগিরই ব্যবস্থা না নিলে লোকজনের খুব সমস্যা হবে।
যেহেতু, কয়েকদিন ধরে টানা বৃষ্টি হচ্ছে। এবার গিদারি নদী খনন
করেছে। ফলে বৃষ্টির পানির স্রোত বেড়েছে। গত শনিবার রাতে ভারী বৃষ্টির পর ব্রিজের
নিচের মাটি সরে যায়। মাঝের পিলারের অর্ধেক অংশ খসে যায়। ব্রিজটি রক্ষায় পানি
উন্নয়ন বোর্ড বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলে।
গিদারি নদী খনন প্রকল্পের ঠিকাদারের প্রতিনিধি জাহাঙ্গীর আলম
জানান, ব্রিজের উজানের থেকে ভাটি নিচু ছিল। ব্রিজ যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেজন্য
দুই দিকে নদী খনন করা হয় নি। পানির স্রোতে ব্রিজের ক্ষতি হয়েছে। পাউবোর নির্বাহী
কর্মকর্তার নির্দেশে আমরা জিও ব্যাগ ফেলেছি।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের কুড়িগ্রাম নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ব্রিজটি অনেক পুরনো। এলাকার লোকজন একদিক বন্ধ করে রাখায় ঝুঁকিতে পড়ে। আমরা নিয়ম অনুযায়ী ব্রিজের দুই পাশে ৫০ মিটার করে খনন করি না। এখানে তাই করা হয়েছে। ব্রিজটি রক্ষায় জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
সুন্দরবন আগুন পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়
মন্তব্য করুন
জয়পুরহাটে পরকীয়ার জেরে নুরুন্নবী হত্যা মামলায় বাবা-ছেলেসহ ৫জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
রবিবার (৫ মে) দুপুরে জয়পুরহাটের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ১ম আদালতের বিচারক নুরুল ইসলাম এ রায় দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জয়পুরহাট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) নৃপেন্দ্রনাথ মণ্ডল।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার বড়াইল শেখপাড়া গ্রামের মৃত ইনারী সর্দারের ছেলে আব্দুর রাজ্জাক, রাজ্জাকের ছেলে শাহাদুল ও শাহাদুলের স্ত্রী মরিয়ম বেগম রেখা, মৃত রইচ উদ্দিনের ছেলে মোজাহার আলী ও সামছুদ্দিনের ছেলে রেজাউল।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ক্ষেতলাল উপজেলা বড়াইল শেখপাড়া গ্রামের আলতাফের ছেলে নুরুন্নবীর সাথে মরিয়ম বেগমের পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ২০০৫ সালের ১৪ নভেম্বর সন্ধ্যায় নুরুন্নবী বাড়ি থেকে বের হয়ে সে রাতে আর বাড়ি ফেরেননি। পরিবারের লোকজন অনেক খোঁজাখুজি করেও কোন সন্ধ্যান পাননি। সেই পরকীয়ার জেরে আসামীরা তাকে হত্যা করে। পরে ২০ নভেম্বর উপজেলা দক্ষিণ হাটশহর এলাকার একটি পুরাতন কবরে নুরুরন্নবীর লাশ দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় নিহতের বাবা পরের দিন বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করলে স্বাক্ষী প্রমাণ শেষে বিজ্ঞ আদালত আজ এ রায় দেন।
মন্তব্য করুন
সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কালো টাকা ব্যবহার ও ভোটারদের নির্ভয়ে ভোট প্রদানে বাধা দেওয়ার অভিযোগ করেছে দোয়াত কলম মার্কার প্রার্থী আমিনুল ইসলাম সরকার। তিনি বলেন, মোটরসাইকেল প্রতীকের বদিউজ্জামান ফকিরের সন্ত্রাসী বাহিনীর দ্বারা ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে গিয়ে তাদের প্রতীকের বাইরে ভোট দিলে দেখে নেওয়ার হুমকি দিচ্ছেন। এছাড়াও বদিউজ্জামান ফকির নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘণ করে নির্বাচনে কালো টাকায় ছয়লাভ করছে বলেও অভিযোগ করা হয়।
রবিবার (৫ মে) দুপুরে বেলকুচি প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন এসকল অভিযোগ করেন দোয়াত কলম মার্কার চেয়ারম্যান প্রার্থী আমিনুল ইসলাম সরকার।
তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচনী প্রচারণায় বদি ফকিরের সন্ত্রাসীরা আমাদের কর্মীদেরকে ভয় ভীতি দেখাচ্ছে। গতকাল রাতে প্রায় এক ট্রাক ভর্তি টাকা তারা বেলকুচিতে নিয়ে এসেছে। ভোট কিনতে ও নানা প্রলভোন দিয়ে তারা ভোটাদের বিভ্রান্ত করছেন। এছাড়াও বিভিন্ন নির্বাচনী প্রচরানা অনুষ্ঠানে তারা নির্বাচন কমিশনকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে এক ভোট পেলেও নির্বাচিত হবে এমন বক্তব্য দিয়ে গুজব ছড়াচ্ছেন। এছাড়াও দোয়াত কলম প্রতীকের প্রচারনায় আমাদের কর্মীদের সরে যাবার জন্য হুমকি দিয়ে আসছেন তারা। এ সকল বিষয়ে এরই মধ্যে নির্বাচন কমিশন কে লিখিত ও মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে।'
উপজেলা নির্বাচন কালো টাকা প্রভাব বিস্তার
মন্তব্য করুন
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মোঃ আব্দুর রহমান
মন্তব্য করুন
মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী অনুপ্রবেশ
মন্তব্য করুন
সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কালো টাকা ব্যবহার ও ভোটারদের নির্ভয়ে ভোট প্রদানে বাধা দেওয়ার অভিযোগ করেছে দোয়াত কলম মার্কার প্রার্থী আমিনুল ইসলাম সরকার। তিনি বলেন, মোটরসাইকেল প্রতীকের বদিউজ্জামান ফকিরের সন্ত্রাসী বাহিনীর দ্বারা ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে গিয়ে তাদের প্রতীকের বাইরে ভোট দিলে দেখে নেওয়ার হুমকি দিচ্ছেন। এছাড়াও বদিউজ্জামান ফকির নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘণ করে নির্বাচনে কালো টাকায় ছয়লাভ করছে বলেও অভিযোগ করা হয়।