ইনসাইড বাংলাদেশ

ধসে পড়ার ঝুঁকিতে গিদারি নদীতে নির্মিত পুরাতন ব্রিজটি

প্রকাশ: ১১:৩২ এএম, ১০ অক্টোবর, ২০২৩


Thumbnail

কুড়িগ্রামের উলিপুরের পান্ডুল ইউনিয়নের কাগজিপাড়া গ্রামে গিদারি নদীর উপরের পুরাতন ব্রিজটি যেকোনো মুহূর্তে ভেঙে পড়ার শঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। 

 

রাতের পর থেকে তীব্র পানির স্রোতে ব্রিজের উত্তর দিকের নিচের মাটি সরে যায়। এতে ব্রিজের ভিত্তিতে ভাঙ্গন ধরে। একমাত্র মাঝের পিলারের অর্ধেক অংশ ধসে পড়েছে। ইতোমধ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ড জিও ব্যাগ ফেলে পানির স্রোতের তীব্রতা কমানোর চেষ্টা করছে। তবে এর কার্যকারিতা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে এলাকাবাসী। প্রায় পাঁচ দশক আগে নির্মিত ব্রিজটি ভেঙে পড়লে ওই ইউনিয়নের ৬টি গ্রামের অন্তত ১৫ হাজার মানুষ যাতায়াতে ভোগান্তিতে পড়বে। 

 

গত বছর ওই নদীটি খনন করে পাউবো। এতে পানির স্রোত বেড়ে যায়। অন্যদিকে ব্রিজটির একাংশ বস্তা দিয়ে বেঁধে অন্য অংশে মাছ ধরে স্থানীয় কিছু লোকজন। এতে স্রোতের তোড়ে ১০ মিটার আয়তনের গ্রামীণ ব্রিজটি শনিবার থেকে ঝুঁকিতে।

 

স্থানীয়রা জানান, ব্রিজটি অনেক পুরনো। পাকিস্তান আমলের বলেও মনে করেন কেউ কেউ। দু’পাশের ছয়টি গ্রামের মানুষ এ ব্রিজ দিয়ে চলাফেরা করেন। আমবার আলী চাকলিরপাড় গ্রামের বাসিন্দা। তিনি বলেন, চাকলিরপাড়, কাগজিপাড়া, আমভদ্রপাড়া, জটিয়াপাড়াসহ ৬-৭টি গ্রামের মানুষ চলাচল করে এ সড়কে। ১৫ থেকে ১৮ হাজার মানুষের যাতায়াতে এটাই ভরসা।

 

অনেকে বলেন, পাকিস্তান আমলে ব্রিজটি বানানো হয়েছে শুনেছি। ব্রিজ ঠিকই ছিল। কিন্তু নিচের মাটি সরে গিয়ে যেকোনো সময় ভেঙে যাবে। কাগজিপাড়া প্রাইমারী স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা এই ব্রিজ দিয়ে যাওয়া আসা করে। এখানকার মানুষ হাট-বাজারে যায় এ সড়ক দিয়ে। শিগগিরই ব্যবস্থা না নিলে লোকজনের খুব সমস্যা হবে।

 

যেহেতু, কয়েকদিন ধরে টানা বৃষ্টি হচ্ছে। এবার গিদারি নদী খনন করেছে। ফলে বৃষ্টির পানির স্রোত বেড়েছে। গত শনিবার রাতে ভারী বৃষ্টির পর ব্রিজের নিচের মাটি সরে যায়। মাঝের পিলারের অর্ধেক অংশ খসে যায়। ব্রিজটি রক্ষায় পানি উন্নয়ন বোর্ড বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলে।

 

গিদারি নদী খনন প্রকল্পের ঠিকাদারের প্রতিনিধি জাহাঙ্গীর আলম জানান, ব্রিজের উজানের থেকে ভাটি নিচু ছিল। ব্রিজ যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেজন্য দুই দিকে নদী খনন করা হয় নি। পানির স্রোতে ব্রিজের ক্ষতি হয়েছে। পাউবোর নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে আমরা জিও ব্যাগ ফেলেছি।

 

পানি উন্নয়ন বোর্ডের কুড়িগ্রাম নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ব্রিজটি অনেক পুরনো। এলাকার লোকজন একদিক বন্ধ করে রাখায় ঝুঁকিতে পড়ে। আমরা নিয়ম অনুযায়ী ব্রিজের দুই পাশে ৫০ মিটার করে খনন করি না। এখানে তাই করা হয়েছে। ব্রিজটি রক্ষায় জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছে।


কুড়িগ্রাম   ব্রীজ   ধ্বস  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

যেকোনো সময় সুন্দরবনের আগুন জ্বলে উঠার আশঙ্কা

প্রকাশ: ০৬:৫৫ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

সুন্দরবনে লাগা আগুন বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে আছে বলে জানিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। তবে মন্ত্রণালয় বলছে, আগুন নিয়ন্ত্রণে থাকলেও আগামী কয়েক দিন এখানে অগ্নিনির্বাপণ সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম চলমান রাখা হবে। কারণ আবার যেকোনো সময় এটি নতুনভাবে সৃষ্টি ও বিস্তৃতি লাভ করার আশঙ্কা রয়েছে।

রোববার (৫ মে) বিকেলে সংবাদ মাধ্যমে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার দীপংকর বরের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা জানানো হয়।

এতে বলা হয়, বাগেরহাট জেলার মোড়েলগঞ্জ উপজেলায় সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের আওতাধীন চাঁদপাই রেঞ্জের আমরবুনিয়া ক্যাম্পের বনাঞ্চলের আগুন এখন নিয়ন্ত্রণে আছে। আগুন গাছের ওপরে বা ডালপালায় বিস্তৃত হয়নি, শুধু মাটির ওপরে বিক্ষিপ্তভাবে বিস্তৃত হয়েছে। ঘটনাস্থলে বন বিভাগের পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিসের কয়েকটি ইউনিট, নৌবাহিনী, পুলিশ, জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি, সিপিজি, স্বেচ্ছাসেবক ও স্থানীয় জনগণ অগ্নিনির্বাপণে সহায়তা করছেন। এ ছাড়া বিমান বাহিনীর একটি হেলিকপ্টারও অগ্নিনির্বাপণে ওপর থেকে পানি ছিটিয়ে সহায়তা করেছে।

এর আগে রোববার সকাল ৯টা থেকে পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের আমরবুনিয়ার ছিলা এলাকায় লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু হয়। এ সময় নৌবাহিনীর মোংলা ঘাঁটির ১০ সদস্যের একটি অগ্নি নির্বাপক দল আগুন নেভানোর কাজে যোগ দেয়। এরপর ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা পাশের ভোলা নদী থেকে পানি ওঠানোর জন্য পাইপ সংযোগ দিয়ে চারদিকে ফায়ার লাইন কাটেন।

এর আগে শনিবার (৪ মে) দুপুরের দিকে আগুন লাগার ঘটনা প্রথম উদঘাটিত হয়। এ ঘটনা জানার সঙ্গে সঙ্গে বন বিভাগের পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিস এবং সংশ্লিষ্ট সরকারি অন্য প্রতিষ্ঠানের লোকজন ঘটনাস্থলে পৌঁছান। বন বিভাগের কর্মীরা স্থানীয় কমিউনিটি পেট্রোলিং গ্রুপ, ভিলেজ টাইগার রেসপন্স টিম এবং স্থানীয় জনগণের সহায়তায় চারপাশ থেকে ফায়ার লাইন কাটার কাজ শুরু করেন। কিন্তু ওই সময় ভাটার কারণে খালে পানি না থাকায় আগুনে পানি দেওয়া সম্ভব হয়নি।

তবে রাতেই বন বিভাগের নিজস্ব ফায়ার ফাইটিং ইকুইপমেন্ট এবং পানি দেওয়ার মেশিন এনে সেটি রেডি করে পাইপ লাগিয়ে সেট করে রাখা হয়।

সুন্দরবন   আগুন   পরিবেশ   বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

জয়পুরহাটে নুরুন্নবী হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন, বাবা-ছেলেসহ ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড

প্রকাশ: ০৬:৫৮ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

জয়পুরহাটে পরকীয়ার জেরে নুরুন্নবী হত্যা মামলায় বাবা-ছেলেসহ ৫জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

রবিবার (৫ মে) দুপুরে জয়পুরহাটের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ১ম আদালতের বিচারক নুরুল ইসলাম এ রায় দেন। 

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জয়পুরহাট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) নৃপেন্দ্রনাথ মণ্ডল।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার বড়াইল শেখপাড়া গ্রামের মৃত ইনারী সর্দারের ছেলে আব্দুর রাজ্জাক, রাজ্জাকের ছেলে শাহাদুল ও শাহাদুলের স্ত্রী মরিয়ম বেগম রেখা, মৃত রইচ উদ্দিনের ছেলে মোজাহার আলী ও সামছুদ্দিনের ছেলে রেজাউল। 

মামলার বিবরণে জানা গেছে, ক্ষেতলাল উপজেলা বড়াইল শেখপাড়া গ্রামের আলতাফের ছেলে নুরুন্নবীর সাথে মরিয়ম বেগমের পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ২০০৫ সালের ১৪ নভেম্বর সন্ধ্যায় নুরুন্নবী বাড়ি থেকে বের হয়ে সে রাতে আর বাড়ি ফেরেননি। পরিবারের লোকজন অনেক খোঁজাখুজি করেও কোন সন্ধ্যান পাননি। সেই পরকীয়ার জেরে আসামীরা তাকে হত্যা করে। পরে ২০ নভেম্বর উপজেলা দক্ষিণ হাটশহর এলাকার একটি পুরাতন কবরে নুরুরন্নবীর লাশ দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় নিহতের বাবা পরের দিন বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করলে স্বাক্ষী প্রমাণ শেষে বিজ্ঞ আদালত আজ এ রায় দেন।


পরকীয়া   হত্যা মামলা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সিরাজগঞ্জে উপজেলা নির্বাচনে কালো টাকা ছড়ানোর অভিযোগ

প্রকাশ: ০৬:৪৯ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কালো টাকা ব্যবহার ও ভোটারদের নির্ভয়ে ভোট প্রদানে বাধা দেওয়ার অভিযোগ করেছে দোয়াত কলম মার্কার প্রার্থী আমিনুল ইসলাম সরকার। তিনি বলেন, মোটরসাইকেল প্রতীকের বদিউজ্জামান ফকিরের সন্ত্রাসী বাহিনীর দ্বারা ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে গিয়ে তাদের প্রতীকের বাইরে ভোট দিলে দেখে নেওয়ার হুমকি দিচ্ছেন। এছাড়াও বদিউজ্জামান ফকির নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘণ করে নির্বাচনে কালো টাকায় ছয়লাভ করছে বলেও অভিযোগ করা হয়।

 

রবিবার (৫ মে) দুপুরে বেলকুচি প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন এসকল অভিযোগ করেন দোয়াত কলম মার্কার চেয়ারম্যান প্রার্থী আমিনুল ইসলাম সরকার। 

তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচনী প্রচারণায় বদি ফকিরের সন্ত্রাসীরা আমাদের কর্মীদেরকে ভয় ভীতি দেখাচ্ছে। গতকাল রাতে প্রায় এক ট্রাক ভর্তি টাকা তারা বেলকুচিতে নিয়ে এসেছে। ভোট কিনতে ও নানা প্রলভোন দিয়ে তারা ভোটাদের বিভ্রান্ত করছেন। এছাড়াও বিভিন্ন নির্বাচনী প্রচরানা অনুষ্ঠানে তারা নির্বাচন কমিশনকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে এক ভোট পেলেও নির্বাচিত হবে এমন বক্তব্য দিয়ে গুজব ছড়াচ্ছেন। এছাড়াও দোয়াত কলম প্রতীকের প্রচারনায় আমাদের কর্মীদের সরে যাবার জন্য হুমকি দিয়ে আসছেন তারা। এ সকল বিষয়ে এরই মধ্যে নির্বাচন কমিশন কে লিখিত ও মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে।'


উপজেলা নির্বাচন   কালো টাকা   প্রভাব বিস্তার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

অবৈধ কারেন্ট জালসহ নিষিদ্ধ ঘোষিত অন্যান্য জাল ব্যবহার বন্ধ করা হবে: প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

প্রকাশ: ০৫:৪৫ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

অবৈধ কারেন্ট জালসহ নিষিদ্ধ ঘোষিত অন্যান্য জালের ব্যবহার বন্ধ করা হবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মোঃ আব্দুর রহমান

রোববার (৫ মে) দুপুরে চট্টগ্রামের কর্ণফুলীর মেরিন ফিশারিজ একাডেমির ক্যাপ্টেন মাসুক হাসান আহমেদ অডিটোরিয়ামে সামুদ্রিক মৎস্য ব্যবস্থাপনায় সম্পৃক্ত অংশীজনের সাথে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদানকালে মন্ত্রী একথা জানান। 

মতবিনিময় অনুষ্ঠানে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আব্দুর রহমান বলেন, কোনক্রমেই অবৈধ কারেন্ট জালসহ নিষিদ্ধ ঘোষিত অন্যান্য জাল ব্যবহার করতে দেয়া হবে না। এসব জাল ব্যবহার করে মাছের ডিম পর্যন্ত তুলে ফেলা হচ্ছে এবং দেশের স্বার্থে, দেশের সম্পদ রক্ষার স্বার্থে সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ উন্নয়নের স্বার্থে অবৈধ জালের বিস্তার অবশ্যই রোধ করতে হবে। তা করা না গেলে আমাদের কোনো পরিকল্পনাই কাজে আসবে না বলে মন্তব্য করেন তিনি। 

সামুদ্রিক মৎস্য রক্ষার্থে কোনো অবস্থাতেই অবৈধ উপায়ে ও অবৈধ জাল ব্যবহার করা যাবে না বলে কঠোর হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি। তিনি আইনগত ব্যবস্থার পাশাপাশি এটিকে সামাজিক আন্দোলনে পরিণত করার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানান। কারেন্ট জাল ব্যবহার করে মাছ ধরে ফেললে কোন প্রযুক্তিই কাজে আসবে না বলে মন্তব্য করেন তিনি। সাগরে ৬৫ দিন মাছ ধরার বিষয়ে যে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে তা যথাযথভাবে পালনের জন্য অংশীজনের প্রতি আহবান জানান। উল্লেখ্য, এবছর ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ৬৫ দিন নৌযান কতৃক সাগরে  সকল ধরণের মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ রয়েছে। 

অংশীজনের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, মৎস্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে হ্রদ,নদী ও সাগরের মাধ্যমে জীবন-জীবিকার উন্নয়নে যা কিছু করার প্রধান মন্ত্রীর নেতৃত্বে তার সব কিছুই করা হবে। তবে এটি রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব আপনাদের।

মৎস্য মন্ত্রী আরও বলেন,শেখ হাসিনার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে এই দেশ গড়ে তোলা হবে। রাজনীতি যারা করে তাদের রাজনৈতিক আদর্শ থাকতে হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজের চিন্তা না করে ১৬ কোটি মানুষের কথা চিন্তা করেন বলে এসময় তিনি মন্তব্য করেন।

মন্ত্রী বলেন, সাগরে মাছ ধরার ক্ষেত্রে নানাবিধ সমস্যা রয়েছে। তবে এসব সমস্যা সমাধানে মন্ত্রণালয় আন্তরিক রয়েছে বলে জানান তিনি। জাহাজের মালিকানা পরিবর্তনের বিষয়ে জটিলতা রয়েছে উল্লেখ করে তিনি এ জটিলতা নিরসনের উদ্যোগ নেয়া হবে বলে জানান।

এর আগে সকালে চট্টগ্রামে মৎস্য অধিদপ্তরাধীন সাসটেইনেবল কোস্টাল এন্ড মেরিন ফিশারিজ প্রজেক্টের আওতায় ১০ তলা ভিত বিশিষ্ট সামুদ্রিক মৎস্য দপ্তর ও ফিশারীজ সেন্টার অফ এক্সসিলেন্স এবং বিএফডিসি অকশন শেড কাম ট্রেনিং সেন্টার এর নির্মান কাজের উদ্বোধন করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী।

মৎস্য মন্ত্রী চট্রগ্রাম মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রসহ মৎস্য সংক্রান্ত বিভিন্ন স্থাপনা পরিদর্শন করেন এবং সংশ্লিষ্টদের প্রতি তিনি এসময় বিভিন্ন দিক নির্দেশনা প্রদান করেন।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব জনাব মোহাং সেলিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে মতবিনিময়  অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন সাসটেইনেবল কোস্টাল এন্ড মেরিন ফিশারীজ প্রজেক্টের পরিচালক মোঃ জিয়া হায়দার চৌধুরী। এছাড়া মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ মোঃ আলমগীর, বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশেনর চেয়ারম্যান জনাব সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর, কর্ণফুলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুমা জান্নাত এসময় উপস্থিত ছিলেন।


মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী   মোঃ আব্দুর রহমান  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

আরও ৮৮ মিয়ানমার সীমান্তরক্ষীর বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ

প্রকাশ: ০৫:২২ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে নতুন করে আরও ৮৮ জন মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিপি) সদস্য অস্ত্রসহ বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছে। তারা নৌকায় নাফ নদী পেরিয়ে টেকনাফের সাবরাং সীমান্তে টেকনাফ কোস্ট গার্ড সদস্যদের কাছে আত্মসমর্পণ করে। 

রোববার (৫ মে) দুপুরে টেকনাফের শাহপরীর সাবরাং ইউনিয়ন এবং নাজিরপাড়া সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে তারা।

স্থানীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সকালে নাফ নদী পেরিয়ে টেকনাফের সাবরাং সীমান্তে অস্ত্রসহ বিজিপির ৮৮ সদস্য টেকনাফ কোস্ট গার্ড সদস্যদের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। গতকাল শনিবারও (৪ মে) অন্তত ৩৬ বিজিপি পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন। এর মধ্যে সাবরাং আচারবুনিয়া সীমান্ত দিয়ে ১৪ জন, নাজিরপাড়া সীমান্ত দিয়ে ২২ এবং নাজিরপাড়া সীমান্ত দিয়ে দুইজন প্রবেশ করেন।

এর আগে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা বিজিপি ছাড়াও দেশটির সেনাবাহিনীর ৬১৮ জনকে দুই দফায় মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়। এর মধ্যে গত ২৫ এপ্রিল ২৮৮ বিজিপি ও সেনা সদস্য এবং গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ৩৩০ বিজিপি, সেনা ও কাস্টমস কর্মকর্তাকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠায় বাংলাদেশ।

মিয়ানমার   সীমান্তরক্ষী   অনুপ্রবেশ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন