ইনসাইড বাংলাদেশ

সরকার পণ্যের দাম বেধে দিলেও ব্যবসায়ীরা তোয়াক্কা করছে না

প্রকাশ: ১০:০০ এএম, ১৩ অক্টোবর, ২০২৩


Thumbnail


সরকার ব্যবসায়ীদের জন্য কয়েকটি পণ্যের দাম বেধে দিলেও রাজধানীর কাঁচা বাজার গুলোতে সেগুলো বাস্তবায়নের কোন লক্ষণ নেই। সরকারের এই সিদ্ধান্ত তারা মানতে নারাজ।  মাসখানেক আগে সরকারের বেধে দেয়া মূল্য অনুযায়ী প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৬৫, আলু ৩৬ এবং প্রতি পিস ডিম ১২ টাকায় বিক্রি হওয়ার কথা। তবে ওই ঘোষণার পর এক দিনের জন্য নির্ধারিত দামে এসব পণ্য কিনতে পারেননি ক্রেতারা। উল্টো গত কয়েকদিনে দাম বেড়েছে আরেক দফা।

আজ শুক্রবার বাজারে প্রতি হালি ডিমের দাম ৫ টাকা বেড়ে ৫৫, দেশি পেঁয়াজ কেজিতে ১৫ থেকে ২০ টাকা বেড়ে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর আলু ৫০টাকা বিক্রির কারণে ভোক্তা অধিদপ্তর মেুন্সিগঞ্জ, বগুড়াসহ বিভিন্ন জায়গায় বড় বড় গুদামে অভিযান চালিয়ে আলুর দাম নির্ধারণ করলেন ৩৬টাকা। কিন্তু কে শোনে কার কথা ব্যবসায়ীরা তাদের অবস্থানে অনঢ়। অভিযান এবং জরিমানা আদায়ের পর সরকারের পক্ষ থেকে আর কোন খবর না নেয়ায় ব্যবসায়ীরা ইচ্ছেমত দাম বাড়িয়ে জরিমানান টাকা অসুল করছে।  

দাম বেঁধে দেওয়া পণ্যের যখন এই অবস্থা, তখন অন্যান্য ক্ষেত্রে তো ভিন্নচিত্র আশাই করা যায় না। কাঁচাবাজারে বেগুন, করলা, ঝিঙা, ধুন্দল, পটোল, কচুর লতি, লাউ, মিষ্টি কুমড়া, চিচিংগার সরবরাহ পর্যাপ্ত। তবে দামের বেলায় বেশি টাকা দিয়েই কিনতে হচ্ছে ভোক্তাদের। চলমান পরিস্থিতিতে সব মহলের সমন্বয় ও সহনশীলতা বাড়ানোর পরামর্শ দিচ্ছেন বাজার বিশ্লেষকরা।

এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার এক মতবিনিময় সভা থেকে সিন্ডিকেট বা কারসাজিকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। সভায় ভোক্তা অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ব্যবসায়ীরা অযৌক্তিকভাবে নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছেন। তবে নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে সব কিছুর আগে দালাল ও চাঁদাবাজি বন্ধের পাশাপাশি পণ্যের সরবরাহ ঠিক রাখার তাগিদ দিয়েছেন ব্যবসায়ী নেতারা।

ঢাকায় ডিমের পাইকারি ও খুচরা বাজার সূত্রে জানা গেছে, গতকাল প্রতি ১০০ পিস বাদামি ডিম বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ২১০ এবং প্রতি ১০০ পিস সাদা ডিম বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ১৪০ টাকা, যা পরিবহন খরচ যোগ হয়ে খুচরা ব্যবসায়ীদের হাতে দাম পড়েছে ১ হাজার ২৩০ এবং ১ হাজার ১৬০ টাকা। খুচরা পর্যায়ে প্রতি হালি বিক্রি হয়েছে ৫৫ এবং প্রতি ডজন ১৬০ টাকায়। সাদা ডিমের হালি ৫০ টাকা। ডিমের বাজারদর নিয়ন্ত্রণে সরকার কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ১৫ কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দিলেও এখন পর্যন্ত সেসব ডিম আসেনি।

ডিমের দাম বৃদ্ধির বিষয়ে তেজগাঁওয়ের ডিম ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ আমানত উল্লাহ বলেন, ‘গত সপ্তাহে টানা বৃষ্টিতে ক্ষতির কারণে বাজারে শাকসবজির দাম বেড়েছে। এতে ডিমের চাহিদা বাড়ায় দাম কিছুটা বেড়েছে। তবে সরবরাহ পর্যাপ্ত রয়েছে।’

এদিকে দেশি পেঁয়াজের ঘাটতি মেটাতে পর্যাপ্ত আমদানি থাকলেও বাজারে পণ্যটির দাম বাড়ছে। যোগাযোগ করা হলে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতির সভাপতি এম হারুন উর রশিদ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ভারত শুল্ক আরোপের পর প্রতি কেজিতে ভারতের দিক থেকে ৭ রুপি এবং বাংলা টাকায় ১০ টাকা খরচ যোগ হয়েছে। এ হিসাবে প্রতি কেজি আমদানি পেঁয়াজ মানভেদে ৫৫ থেকে ৫৬ টাকায় বিক্রি হয়েছে। পরে দাম কিছুটা বেড়ে ৫৮ থেকে ৬২ টাকা ওঠে। তবে বন্দর এলাকায় আমদানি করা পেঁয়াজের কেজি মানভেদে ৫১ থেকে ৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আমদানি পর্যায়ে কোনো জটিলতা নেই।’

জানা গেছে, বন্দর থেকে ঢাকা বা অন্য মোকামে পৌঁছাতে প্রতি কেজিতে ৩ থেকে ৪ টাকা পরিবহন খরচ পড়ে। এ হিসাবে ঢাকা ও চট্টগ্রামে প্রতি কেজি আমদানি পেঁয়াজের দাম ৫৪ থেকে ৫৯ টাকা হওয়ার কথা।

শ্যামবাজার কৃষিপণ্য আড়ত বণিক সমিতির সভাপতি হাজি মো. সাঈদ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘পাইকারি আমদানি খরচ কিছুটা বেড়েছে। সে হিসেবে বাজারে পেঁয়াজের দাম বাড়েনি। প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬৮ থেকে ৭০ এবং আমদানি পেঁয়াজ ৬০ থেকে ৬২ টাকা। খুচরা ব্যবসায়ীরা কেন বেশি দামে বিক্রি করছেন, সেটি তারাই বলতে পারবেন।’

কয়েকজন খুচরা ব্যবসায়ী বলেন, আমদানিকারক ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা দাম বাড়ালেও প্রশাসন তাদের কাছে যাচ্ছে না। সে কারণে বাড়তি দামে পণ্য কিনে খুচরা ব্যবসায়ীদের জরিমানায় পড়তে হচ্ছে। তাদের দাবি, বড় ব্যবসায়ীরা রসিদ ছাড়াই চুক্তিতে পণ্য বিক্রি করছেন।

সরকারি ও খাত-সংশ্লিষ্টদের তথ্যমতে, এ বছর চাহিদার তুলনায় বেশি আলু উৎপাদন হয়েছে। প্রতি কেজি আলু উৎপাদনে খরচ হয়েছে সাড়ে ১০ থেকে ১১ টাকা। ব্যাপারীদের কাছে কৃষক প্রতি কেজি আলু বিক্রি করেছেন ১৪ থেকে ১৫ টাকা দরে। ব্যাপারী বা বড় ব্যবসায়ীরা হিমাগার ভাড়া বা রক্ষণাবেক্ষণ খরচ বাবদ প্রতি কেজিতে ৬ টাকা পর্যন্ত খরচ করছেন। সেই হিসাবে প্রতি কেজি আলুর মূল্য ২০ টাকা। যা হিমাগার থেকে ২৬ থেকে ২৭ টাকা খালাস করা সম্ভব এবং খুচরা পর্যায়ে ৩৫ থেকে ৩৬ টাকায় বিক্রি করা সম্ভব। আর এ বিবেচনায় সরকার প্রতি কেজি আলুর পাইকারি মূল্য ২৭ এবং খুচরা মূল্য ৩৬ টাকা বেঁধে দেয়। কিন্তু হিমাগারেই প্রতি কেজি আলু ৩৬ থেকে ৩৮ এবং পাইকারিতে ৪০ বা তারও বেশি এবং খুচরা পর্যায়ে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

বাংলাদেশ কোল্ডস্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু বলেছেন, ‘টিসিবির মাধ্যমে উৎপাদনের উদ্বৃত্ত আলুর ন্যূনতম ১০ লাখ টন বাজারমূল্যে ক্রয় করে জেলা, উপজেলার হিমাগারে সংরক্ষণ করা যেতে পারে। যা দাম বৃদ্ধির সময় সরবরাহ করলে আলুর দর স্বাভাবিক বা স্থিতিশীল থাকবে।’

সরকারের নির্ধারিত দামের বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেন, ‘সরকার আলু, পেঁয়াজ ও ডিমের দাম নির্ধারণের পর থেকে তা বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে ১৫ কোটি ডিম আমদানির কার্যক্রম চলমান। আমদানি ডিম বাজারে এলে হয়তো একটা চাপ তৈরি হতো। পেঁয়াজের ক্ষেত্রে বছরের এ সময়ে ঘাটতি দেখা দেয়। যেজন্য আমদানির অনুমতি রয়েছে। সেক্ষেত্রে বাজার তদারকি চলমান। আলুর ক্ষেত্রে দাম নিয়ন্ত্রণে জেলা প্রশাসকদের নেতৃত্বে স্থানীয় সরবরাহ ব্যবস্থায় তদারকি করা হচ্ছে। সেখান থেকে ভালো ফল পাওয়া যাচ্ছে। তবে ভোক্তাদের পক্ষ থেকে যেভাবে আশা করা হচ্ছে, তেমনটা হচ্ছে না।’

অনেক ব্যবসায়ী নেতা ও বাজার বিশ্লেষক বলছেন, টিসিবি বা সরকারের সামাজিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে নির্ধারিত দামে নিত্যপণ্যের সরবরাহ বাড়ানো গেলে বাজারদর নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। এ প্রসঙ্গে বাণিজ্য সচিব বলেন, প্রতি মাসে টিসিবির মাধ্যমে সরবরাহ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে প্রয়োজনের তুলনায় সেটিও কম। তবে সরকার চেষ্টা করছে আওতা বাড়ানোর জন্য। ইতোমধ্যে টিসিবির কার্যক্রমে সরবরাহ বাড়ানোর জন্য অনেক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

নিত্যপণ্যের বাজার বিশ্লেষক কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, ‘মুক্তবাজার অর্থনীতিতে পণ্যের দাম বেঁধে দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। তবে দাম বেঁধে দিলে সঙ্গে সঙ্গে সরবরাহ ব্যবস্থার উন্নতি করতে হবে। এক্ষেত্রে সরকার তেমন কোনো উন্নতি করতে পারেনি।’

তিনি উদাহরণ হিসেবে বলেন, ‘ধরুন, কোনো একজনকে বিমানে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে যাওয়ার আদেশ দেওয়া হলো। কিন্তু তার কোনো টিকিট নেই। কিন্তু অফিসের নির্দেশে স্পষ্ট বলা আছে, তাকে বিমানে চট্টগ্রামে যেতে হবে। এখন কী হবে? আমাদের নিত্যপণ্যের ক্ষেত্রেও তাই হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে যে, যার টাকা আছে সে খাবে! যার টাকা নেই খাবে না! এ অবস্থায় ভোক্তাদের ভরসা সরকার। সরকার যদি কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারে, তাহলে ভোক্তারা ভালো থাকবে। পাশাপাশি ব্যবসায়ীদের অতিমাত্রায় বল প্রয়োগ করলে তারা সংশ্লিষ্ট পণ্য বিক্রি বন্ধ করে দিতে পারে। এজন্য সব মহলের সমন্বয় ও সহনশীলতা থাকতে হবে।’

 


কাঁচাবাজার   দাম   অতিরিক্ত   সরকার   ব্যবসায়ী   নারাজ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

শেখ জামালের জন্মদিনে স্বেচ্ছাসেবক লীগের শ্রদ্ধা

প্রকাশ: ১১:৫৩ এএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দ্বিতীয় পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ লেফটেন্যান্ট শেখ জামালের ৭১তম জন্মদিন উপলক্ষে তার কবরস্থানে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ।

রোববার (২৮ এপ্রিল) সকাল ৯টায় বনানী কবরস্থানে সংগঠনের সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু ও সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবুর নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ শহীদ শেখ জামালের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে।

শেখ জামাল ১৯৫৪ সালের ২৮ এপ্রিল গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।

তিনি ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজ থেকে মাধ্যমিক এবং ঢাকা কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন। তিনি ছিলেন সংস্কৃতিপ্রেমী এবং একজন ক্রীড়াবিদ।

১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে শেখ জামালও গৃহবন্দি ছিলেন। সেখান থেকে পালিয়ে তিনি মুক্তিযুদ্ধের ৯ নম্বর সেক্টরে সম্মুখ যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন।

১৯৭৫ সালের ১৪ আগস্ট ব্যাটালিয়ন ডিউটি অফিসার হিসেবে ক্যান্টনমেন্টে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ওইদিন রাতে ক্যান্টনমেন্ট থেকে ফিরে আসেন ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়িতে। পরদিন ১৫ আগস্ট কাক ডাকা ভোরে দিনের প্রথম সূর্য রশ্মি ধানমন্ডি লেকের পানিকে উজ্জ্বল করার আগেই ঘাতকের বুলেটের আঘাতে পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে সস্ত্রীক শহীদ হন শেখ জামাল।

শেখ জামালের জন্মদিন উপলক্ষে আজ সকাল থেকে বনানী কবরস্থানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন সংগঠন পুষ্পস্তবক অর্পণ করেছে।


শেখ জামাল   স্বেচ্ছাসেবক লীগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

জয়পুরহাটে মাদক বিরোধী র‌্যালি ও মানববন্ধন

প্রকাশ: ১১:২০ এএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail জয়পুরহাটে মাদক বিরোধী র‌্যালি ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে

'মাদক সেবন বন্ধ কর, সুশীল সমাজ গড়ে তোল' এই স্লোগানে জয়পুরহাটে মাদক বিরোধী র‌্যালি ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২৭ এপ্রিল) বিকেলে জেলার সদর উপজেলার মাঝিপাড়া গ্রামে মাঝিপাড়া সমাজ কল্যাণ সংস্থা আয়োজিত মাদক বিরোধী এই মানববন্ধন করা হয়।

এসময় মাঝিপাড়া সমাজ কল্যাণ সংস্থার সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার এমদাদ হোসেনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন জয়পুরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির, ভাদসা ইউপি চেয়ারম্যান সরোয়ার হোসেন স্বাধীন, সংস্থার সহ সভাপতি আমিনুর রহমান বুলু, সাধারণ সম্পাদক সামছুল ইসলামসহ অন্যান্যরা।

অনুষ্ঠানে যুবক ছেলে ও মেয়েরা সেই সাথে অভিভাবকরা হাত তুলে মাদককে না বলে ভাদসা ইউনিয়নকে মাদকমুক্ত ঘোষণা করেন।


মাদক   মাদক বিরোধী   মানববন্ধন   মাদক মুক্ত  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সিরাজগঞ্জে বাল্য বিয়ে না দেয়ায় ছাত্রীকে অপহরণের অভিযোগ

প্রকাশ: ১১:১১ এএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail অভিযুক্ত বখাটে রক্তিম

সিরাজগঞ্জে বাল্য বিয়ে না দেয়ায় দশম শ্রেণীর এক স্কুল ছাত্রীকে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে। গত রবিবার (২১ এপ্রিল) সকালে সিরাজগঞ্জ পৌর শহরের গোশালা রোডের সিটি হাসপাতাল এলাকা থেকে ওই ছাত্রীকে অপহরণ করা হয়।

 

এ ঘটনায় মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে সিরাজগঞ্জ সদর থানায় একটি অপহরণ মামলা হয়েছে। ওই ছাত্রীর মা ছালমা খাতুন বাদী হয়ে তাড়াশ উপজেলার নওগাঁ ইউনিয়নের পুংরৌহালী গ্রামের বখাটে রক্তিম (১৯), রক্তিমের পিতা আফজাল হোসেন (৫৫) ও তার বড় ভাই রুবেল হোসেনের (৩৩) বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন।

 

শনিবার (২৭ এপ্রিল) বিকেলে সিরাজগঞ্জ সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল মমিন এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, মামলার পর আসামিদের বাড়িতে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে স্কুল ছাত্রী উদ্ধার ও জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

 

মামলার এজাহারে বলা হয়, ঘটনার দিন সকাল পৌনে ১০ টার দিকে সিরাজগঞ্জ শহরের হোসেনপুর বাসা থেকে প্রাইভেট পড়ার উদ্দ্যেশ্যে গোশালা রোডের সিটি হাসপাতাল এলাকায় পৌঁছালে ওই ছাত্রী ও তার আট বছর বয়সী ছোট বোনের মুখে গামছা পেছিয়ে অসৎ উদ্দেশ্যে জোড়পূর্বক সিএনজিতে তুলে নেয় আসামিরা। এরপর ছাত্রীর ছোট বোন এমএস মুমতাহাকে বিকেল পৌনে ৩ টার দিকে সিরাজগঞ্জ শহীদ শামসুদ্দিন স্টেডিয়ামের পাশে তারা রেখে চলে যায়। পরবর্তীতে মুমতাহা বাসায় ফিরে তার মা ছালমা খাতুনকে এ ঘটনা জানায়।

 

অপহৃত ছাত্রীর মা ছালমা খাতুন তার মেয়ে উদ্ধার ও জড়িতদের শাস্তির দাবি জানিয়ে বলেন, ‘আমার দুটি মেয়ে, কোন ছেলে সন্তান নেই। স্বামী অসুস্থ্য হয়ে বিছানায়। আমাদের প্রায় ১০ বিঘা ফসলি জমি ও এক কোটি টাকা মূল্যের একটি দ্বিতল বাড়ি রয়েছে। মূলত এ সম্পত্তির লোভে পড়েই ১ বছর আগে রক্তিমের পরিবার বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু সেই বিয়ের প্রস্তাবে আমরা রাজি হয়নি। কারণ আমার মেয়ের এখনও বিয়ের বয়স হয়নি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই প্রস্তাবের কিছুদিন পরই আমার মেয়েকে তারা অপহরণ করেছিল। পরে পুলিশের সহযোগীতায় উদ্ধার করেছিলাম।’

 

এ ঘটনার পর আমার মেয়ের ভবিষ্যতের কথা বিবেচনা করে সিরাজগঞ্জ শহরে বাসা ভাড়া নিয়ে মেয়েকে শাহীন স্কুলে ভর্তি করিয়েছি। কিন্তু এখানে ভর্তি করার কয়েক মাস পর বখাটে রক্তিম শহরে একটি বাসা ভাড়া নেয়। এ বাসা ভাড়া নিয়ে আমার মেয়ের স্কুল ও প্রাইভেটে আসা যাওয়ার পথে পিছু নেয় এবং বিয়ের প্রস্তাব দেয়। এ প্রস্তাবটি মেয়েও নাকচ করে।

 

এ প্রসঙ্গে অভিযুক্ত রক্তিমের বড় ভাই রুবেল হোসেন এ অপহরণের কথা অস্বীকার করে বলেন, ওই ছাত্রীর সাথে আমার ভাইয়ের প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। কারণ ওরা দুজন এলাকার একই স্কুলে পড়তো।


ছাত্রী অপহরণ   বাল্য বিয়ে   থানায় মামলা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

জয়পুরহাটে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগ

প্রকাশ: ১০:৫০ এএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগ নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগীরা

জয়পুরহাটে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা করে প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে এক দম্পতির বিরুদ্ধে।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ অভিযোগ করেছেন জয়পুরহাট জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য অ্যাডভোকেট ফরিদুজ্জামান।

তার অভিযোগ, জয়পুরহাট শহরের নতুনহাট সরদারপাড়া এলাকার আবু হেনা ফুল মিয়া তার স্ত্রী সেলিনা আক্তার ও শ্বশুর আনোয়ার হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে প্রতারণা সিন্ডিকেট গড়ে তুলে প্রায় ৩ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। তিনি নিজেও এর শিকার। ৫ লাখ টাকার ভুয়া চেক দিয়ে তার সঙ্গেও প্রতারণা করা হয়েছে। একইভাবে সরকারি-বেসরকারি অফিসে চাকরি দেওয়ার নামে নানা প্রতারণা করে এলাকার বিভিন্ন জনের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন আবু হেনা ফুল মিয়া।

এ বিষয়ে প্রতারণার শিকার হওয়া ব্যক্তিরা একাধিক মামলা করলেও তাদের কোনো শাস্তি হয়নি। বরং অভিযুক্ত আবু হেনা ফুল মিয়া বর্তমানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য দাবি করে ছাপানো ভিজিটিং কার্ড এলাকায় বিতরণ করে নিজেকে ক্ষমতাবান বলে প্রচার করছেন।

এ অবস্থায় আবু হেনা ফুল মিয়া ও তার স্ত্রী এবং শ্বশুরের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে আত্মসাৎ করা অর্থ উদ্ধারসহ তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন ঐ আইনজীবী।

সংবাদ সম্মেলনে আইনজীবী ফরিদুজ্জামান ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রতারণার শিকার ভুক্তভোগী ফারহানা মুশতারি, এসএম রাশেদুল হাসান ও জুয়েল হোসেন।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত দম্পতির বাসায় গিয়ে তাদের পাওয়া যায়নি।


চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণার   অর্থ আত্মসাৎ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

পটুয়াখালীতে ২ ইউনিয়নে চলছে ভোট গ্রহণ


Thumbnail পটুয়াখালীতে ইউপি নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে

পটুয়াখালী সদর উপজেলাধীন কমলাপুর ও ভুড়িয়া নামের দুটি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনের ভোট গ্রহণ চলছে।

 

রবিবার (২৮এপ্রিল) সকাল ৮ টায় থেকে শুরু হয় ভোট গ্রহণ। নিরবচ্ছিন্ন ভাবে ভোট গ্রহণ চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।

 

ভুরিয়া ইউপি চেয়ারম্যান পদে ৪ জন, সংরক্ষিত সদস্য ৯, সাধারণ সদস্য ২৫জন ও কমলাপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৩ জন, সংরক্ষিত সদস্য ৮, সাধারণ সদস্য ২৬ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

 

 উপজেলার দুই ইউনিয়নে ১৮টি ভোট কেন্দ্রে যে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ১২জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ৪ প্লাটুন বিজিবি, প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে ৮ জন পুলিশ সদস্য, ১৭ আনসার সদস্য সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবেন। র‌্যাবের টিম এবং পুলিশের স্ট্রাইকিং ফোর্স সহ কাজ করছে সাদা পোশাকধারী আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ।

 

স্থানীয় ভোটাররা জানান, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ থাকে তাহলে সৎ ও যোগ্য প্রার্থীকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করতে পারবেন তারা।


ইউপি নির্বাচন   ভোটগ্রহণ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন