আজ ১৬ (অক্টোবর) বিশ্ব
খাদ্য দিবস। সারা বিশ্বের ন্যায়
বাংলাদেশেও আজ দিবসটি নানা
আনুষ্ঠানিকতায় পালন করা হচ্ছে।
বিশ্ব খাদ্য দিবসে বাংলাদেশের প্রতি চারজনের মধ্যে একজন মানুষ খাদ্য
নিরাপত্তাহীনতায় আছে। আর হতদরিদ্র
জনগোষ্ঠীর ৪৬ শতাংশ আছেন
এ অবস্থায়। জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) থেকে চলতি মাসে
প্রকাশ করা এক জরিপ
প্রতিবেদনে এ চিত্র উঠে
এসেছে।
আজ বাংলাদেশে যখন খাদ্য দিবসটি
পালন করা হচ্ছে তখন
খাদ্য পণ্যের দাম এত বেশী
যে হত দরিদ্ররা অনেকেই
তাদের খাদ্য তালিকা থেকে পুষ্টিকর খাদ্য
বাদ দিয়ে দিয়েছেন। আর্থিক
কারণেই তারা দুধ, ডিম,
ফলমূল, সবজিসহ অনেক পুষ্টিকর খাবারের
কাছেই যেতে পারছে না।
ফলে দেশের বিশাল একটি জনগোষ্ঠি প্রতিদিনের
পুষ্ঠি থেকে বাদ পড়ছে।
জিগাতলায়
বসবাস করে ভ্যান চালক
কালাম। পণ্যের বাজার মূল্যের কথা তুলতেই তিনি
বলেন, আমরা গরীব মানুষেরা
কেমন করে বাঁচবো। প্রতিদিনই
খাদ্যে পণ্যের দাম বাড়ছে। প্রতিদিন
যে টাকা রোজগার/ কামাই
করি তাতে সংসারতো আর
চলে না।
‘বাংলাদেশ
ফুড সিকিউরিটি মনিটরিং রিপোর্ট: মে-আগস্ট’ শীর্ষক
প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়েছে ৩
অক্টোবর। দেশে প্রাকৃতিক দুর্যোগ
বেড়ে যাওয়া এবং এ কারণে
মানুষের ক্ষয়ক্ষতির বৃদ্ধি খাদ্য পরিস্থিতির অবনতির অন্যতম কারণ বলে প্রতিবেদনে
উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে
বলা হয়েছে, দেশের বেশ কয়েকটি এলাকায়
গ্রীষ্মকালে কম বৃষ্টি হয়েছে
ও টানা তাপপ্রবাহ ছিল।
বিশেষ করে রাজশাহী বিভাগে
তাপপ্রবাহের তীব্রতা ছিল বেশি। গত
আগস্টে চট্টগ্রাম ও সিলেট হঠাৎ
বন্যাকবলিত হয়ে পড়ে। এ
ছাড়া ঘূর্ণিঝড় ও ভূমিধসের ঘটনাও
ঘটেছে। গত বছরও একই
ধরনের আবহাওয়ার কারণে খাদ্যনিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছিল।
এর আগে গত সেপ্টেম্বরে
‘বাংলাদেশ মার্কেট মনিটর: মে-জুলাই’ শীর্ষক
আরেকটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে ডব্লিউএফপি। সেখানে
সংস্থাটি প্রবাসী আয় কমে যাওয়া
এবং রিজার্ভ-সংকটের (বৈদেশিক মুদ্রা) কারণে বাংলাদেশে খাদ্যপণ্যের দাম বাড়ছে বলে
উল্লেখ করে। একই সঙ্গে
সার, বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দাম
বেড়ে যাওয়ায় চাল ও সবজির
মতো খাদ্যপণ্যের উৎপাদন খরচ বেড়ে গেছে
বলেও ওই প্রতিবেদনে বলা
হয়েছিল।
গত আগস্টে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২৫ শতাংশ কমেছে
এবং টাকার মান এযাবৎকালের মধ্যে
সবচেয়ে বেশি কমেছে বলে
প্রতিবেদনে জানানো হয়।
ডব্লিউএফপির
প্রতিবেদন সম্পর্কে জানতে চাইলে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ এক কর্মকর্তা বলেন,
সরকারি গুদামে ১৫ লাখ টনের
ওপরে চাল ও দেড়
লাখ টনের মতো গম
আছে। আর স্বাধীনতার পর
সবচেয়ে বিস্তৃত সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় চাল ও গম
বিতরণ করছে সরকার। খাদ্য
অধিদপ্তরের নিয়মিত কর্মসূচির বাইরে সরকার টিসিবির মাধ্যমে এক কোটি দরিদ্র
মানুষের জন্য চাল, গমসহ
বিভিন্ন খাদ্যপণ্য সাশ্রয়ী মূল্যে বিক্রির ব্যবস্থা করছে। ফলে বিশ্ব খাদ্য
কর্মসূচি যে ২৪ শতাংশ
মানুষ খাদ্যনিরাপত্তাহীনতায় আছেন বলে তথ্য
দিচ্ছে, তা সঠিক মনে
হয় না।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তাপদাহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাত ধাপে অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ের ভোট হয় ১৯ এপ্রিল এবং সেখানে ১০২টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় দফায় ২৬ এপ্রিল ৮৯টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। চতুর্থ দফায় ভোট হবে ৭ মে। সেখানে ৯৪টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে এবং সপ্তম দফায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে পয়লা জুন। আর ৪ জুন নির্বাচনের ফলাফল জানা যাবে।
প্রথম দুই দফা ভোটের যে হার, তাতে বিজেপির মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। বিজেপির নেতারা ভোটে যে ভূমিধস বিজয় আশা করছিলেন সেটি হবে না। ভারতের কোন কোন গণমাধ্যমগুলো ভোটের ফলাফলে নাটকীয় ঘটনা ঘটারও ইঙ্গিত দিচ্ছে। বিশেষ করে ২০০৪ সালের নির্বাচনে যেভাবে কংগ্রেস অটলবিহারী বাজপেয়ীর নেতৃত্বে বিজেপিকে ধরাশায়ী করেছিল সেরকম কোন ঘটনা ঘটতেও পারে বলে মনে আশঙ্কা করছেন অনেকে। অবশ্য এখনও আরও পাঁচ দফা ভোট বাকি আছে এবং বিজেপি আশা করছে যে, পরবর্তী ধাপগুলোতে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে এবং বিজেপি তাদের জয়ের ধারা অক্ষুণ্ণ রাখবে। নরেন্দ্র মোদি ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে দেওয়ার জন্য বারবার আহ্বান জানাচ্ছেন।
ভারতের নির্বাচনের ফলাফল কী হবে তা বোঝা যাবে আগামী ৪ জুন। কিন্তু এখন পর্যন্ত যে ভোটের হাওয়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে তাতে এটা স্পষ্ট যে, ভোটের আগে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি জোটের যে নিরঙ্কুশ বিজয়ের ধারণা করা হয়েছিল, সেটি বাস্তবতা নাও পেতে পারে। আর এ কারণেই মোদী যদি শেষ পর্যন্ত পরাজিত হন, তাহলে সেটি হবে ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি বড় ব্যতিক্রমী ঘটনা এবং এটি হবে ভারতের নির্বাচনের সবচেয়ে বড় চমক।
এখন যখন ভারতের নির্বাচনে একটি হাড্ডাহাড্ডি লড়াই বা অনিশ্চয়তার ফলাফলের শঙ্কা জেগেছে তখন প্রশ্ন উঠছে যে, বিজেপি যদি এই নির্বাচনে পরাজিত হয় তাহলে বাংলাদেশে কী হবে? গত দুটি নির্বাচনে ভারতের বিজেপি সরকার বাংলাদেশকে নিরঙ্কুশভাবে সমর্থন দিয়েছে। ২০১৮ এবং ২০২৪ এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছে বিজেপি সরকার।
বিশেষ করে ২০২৪ এর নির্বাচনে ভারতীয় সরকারের পরিপূর্ণ সমর্থন ছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই নির্বাচনে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করত এবং এই নির্বাচনকে অস্বীকৃতি জানাত বলেও অনেকে মনে করেন। মার্কিন মনোভাব পাল্টানোর ক্ষেত্রে ভারত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। আর নির্বাচনের পর বিএনপি থেকে শুরু করে জাতীয় পার্টি প্রত্যেকেই বলছে যে, ভারত বর্তমান সরকারকে ক্ষমতায় রেখেছে। যদিও এরকম অভিযোগকে আওয়ামী লীগ অস্বীকার করে এবং আওয়ামী লীগ মনে করে যে, জনগণের ভোটে তারা নির্বাচিত হয়েছে। কিন্তু ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি আওয়ামী লীগ বা বিজেপি কেউই অস্বীকার করে না।
এখন প্রশ্ন হল, যদি বিজেপি পরাজিত হয়, ইন্ডিয়া জোট ক্ষমতায় আসে তাহলে বাংলাদেশের সমীকরণ কী হবে? কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন যে, বর্তমান সরকারের জন্য সমীকরণের কোন পরিবর্তন হবে না। কারণ ইন্ডিয়া জোটের সঙ্গেও আওয়ামী লীগ সরকারের একটি সুসম্পর্ক রয়েছে। ইতোমধ্যে ইন্ডিয়া জোটের প্রধান দল কংগ্রেস তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের বার্তা দিয়েছে।
অনেকে মনে করেন যে, এখন ভারতে কট্টর হিন্দুত্ববাদী মনোভাবের কারণে সীমান্তে অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে। মুসলিম বিদ্বেষী বক্তব্য রাখা হচ্ছে। যার ফলে বাংলাদেশের মধ্যে একটা ভারতবিরোধী মনোভাব তৈরি হচ্ছে। শেষ পর্যন্ত যদি নরেন্দ্র মোদি তাহলে এই অবস্থানের পরিবর্তন হবে। দুই দেশের সম্পর্ক আরও বিকশিত হবে বলেও মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ভারত লোকসভা নির্বাচন মল্লিকার্জুন খাড়গে নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাত ধাপে অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ের ভোট হয় ১৯ এপ্রিল এবং সেখানে ১০২টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় দফায় ২৬ এপ্রিল ৮৯টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। চতুর্থ দফায় ভোট হবে ৭ মে। সেখানে ৯৪টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে এবং সপ্তম দফায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে পয়লা জুন। আর ৪ জুন নির্বাচনের ফলাফল জানা যাবে।