জাতীয়
সংসদ নির্বাচনের সময় জেলা প্রশাসক
(ডিসি) ও পুলিশ সুপারদের
(এসপি) মধ্যে সমন্বয় বজায় রাখার তাগিদ
দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
ডিসি-এসপিদের উদ্দেশে সিইসি বলেন, সমন্বয় করে সুন্দরভাবে নির্বাচন
তুলে আনার চেষ্টা করবেন।
নির্বাচন
কমিশনের মূল চাওয়ার কথা
উল্লেখ করে কাজী হাবিবুল
আউয়াল বলেন, ‘ভোটারদের ভোটাধিকার প্রয়োগের স্বাধীনতা যেন ব্যাহত না
হয়। ভোটাররা যেন নির্বিঘ্নে ভোট
দিতে পারেন। ভেতরে যদি সিল মারা
হতে থাকে, কেউ না কেউ
হয়তো তুলে (ছবি-ভিডিও) ফেলবে।
সেটা যখন প্রচারিত হবে,
তখন আমাদের নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়তে পারে।
কেন এটা হলো? আমাদের
ব্যর্থতা অথবা অদক্ষতার বিষয়টি
আসতে পারে।’
আজ
শুক্রবার সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (ইটিআই) ভবনে দুই দিনের
এ প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করেন সিইসি কাজী
হাবিবুল আউয়াল।
দ্বাদশ
জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে
বিভাগীয় কমিশনার, পুলিশ কমিশনার, উপমহাপুলিশ পরিদর্শক, জেলা প্রশাসক, পুলিশ
সুপার, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও জ্যেষ্ঠ জেলা
নির্বাচন কর্মকর্তাদের নির্বাচন ব্যবস্থাপনা-সংক্রান্ত দ্বিতীয় দফা প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী
অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন
সিইসি।
অনুষ্ঠানে
উপস্থিত কর্মকর্তাদের উদ্দেশে সিইসি বলেন, ‘আপনারা এমনভাবে দায়িত্ব পালন করবেন, যাতে
নির্বাচন সত্যিকার অর্থে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ হয়।
এ চেষ্টা কীভাবে করবেন, সেটা জানি না।
কারণ, ওই জ্ঞান আমার
নেই, আপনাদের আছে। আমাদের বার্তা
হচ্ছে, নির্বাচন শান্তিপূর্ণ আর সুশৃঙ্খল করবেন।
গতকাল মহামান্য রাষ্ট্রপতিকে বলেছি। উনিও চেয়েছেন, নির্বাচন
যেন সুশৃঙ্খল হয়। সুশৃঙ্খল আমি
করাতে পারব না, আপনাদেরই
করাতে হবে।’
‘নির্বাচনের
গুরুত্ব অনুধাবন করবেন প্রথমে দায়িত্ববোধ দিয়ে, ক্ষমতা বা শক্তি দিয়ে
নয়’—এ মন্তব্য করে
হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে
যদি ক্ষমতা প্রয়োগের প্রয়োজন হয়, তখন ক্ষমতা
বা শক্তি দেখাবেন। গণতন্ত্রকে আক্ষরিক ও চেতনাগত অর্থে
যদি বাস্তবায়ন করতে না পারি,
তাহলে জাতির সামনে আমাদের জন্য এটা ব্যর্থতার
নজির হয়ে থাকবে।’
এ
আয়োজনে আরও উপস্থিত ছিলেন
নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আহসান হাবিব
খান, রাশেদা সুলতানা, মো. আলমগীর ও
আনিছুর রহমান। আরও ছিলেন ইসি
সচিব মো. জাহাংগীর আলম।
ভেতরে সিলমারা নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ সিইসি
মন্তব্য করুন
ফরিদপুর জেলার মধুখালী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে
নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়েছে মুরাদুজ্জামান মুরাদকে।
বুধবার (৮ মে) অনুষ্ঠিত নির্বাচনে প্রাপ্ত ফলাফল অনুযায়ি মুরাদুজ্জামান
মুরাদ পেয়েছেন ২৯৩৩৬ ভোট। বেসরকারিভাবে তাকে নির্বাচন ঘোষণা করা হয়েছে।
উল্লেখ, মুরাদুজ্জামান মুরাদ এর আগে উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান
ছিলেন। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এবং মধুখালী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক।
মন্তব্য করুন
ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার চরাঞ্চলে দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে
বাদাম চাষ। বিস্তীর্ণ পদ্মার চরজুড়ে সবুজ পাতায় দোল খাচ্ছে বাদামের গাছ। অল্প বিনিয়োগে
লাভ বেশি হওয়ায় বাদাম চাষে ঝুঁকছেন কৃষকরা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে চলতি মৌসুমে বাদামের
বাম্পার ফলন আশা করছে কৃষি বিভাগ।
উপজেলার দিয়ারা নারকেলবাড়িযা, চর নাসিরপুর, চর মানাইর, আকোটের
চর ও ঢেউখালী এলাকায় বাদামের ব্যাপক আবাদ হয়েছে। এক বিঘা জমিতে বাদাম চাষ করতে খরচ
হয় ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকা, ভালো ফলন হলে প্রতি বিঘা জমিতে ৭ থেকে ৮ মণ পর্যন্ত বাদাম
উৎপাদন হয়। প্রতি মণ বাদাম সাড়ে ৪ হাজার টাকা থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়।
চর নাসিরপুর ইউনিয়নের কৃষক কাঁড়াল কান্দী গ্রামের জাহাঙ্গীর খালাসী
বলেন, বাদাম চাষ করতে খরচ কম লাভ বেশি। তাই চর অঞ্চলের কৃষকেরা বাদামের চাষ বেশি করছে।
এবার আমি ৩ বিঘা জমিতে বাদামের আবাদ করেছি। সরকারিভাবে সাহায্য সহযোগিতা পেলে সামনে
আরও বেশি করে আবাদ করব।
সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় জেলার চরাঞ্চলের কৃষকদের বাদাম চাষের উদ্বুদ্ধ
করা সহ সার্বিক সহায়তা ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা গেলে বাদাম চাষে আগ্রহ বাড়বে সবার।
এমনটিই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ নিটুল রায় জানান, এ বছর সদরপুর উপজেলায়
৩ হাজার ২৮২ হেক্টর জমিতে চিনা বাদাম চাষ হয়েছে। যা গেল বছরের তুলনায় ১৩০ হেক্টর বেশি।
মন্তব্য করুন
লালমনিরহাট থেকে ঢাকাগামী বুড়িমারী এক্সপ্রেস ট্রেনের একটি বগি
লাইনচ্যুত হয়েছে। এতে ঢাকার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৯ মে) ভোরে পাবনার ঈশ্বরদীতে মুলাডুলি স্টেশনে এ বগি
লাইনচ্যুতির ঘটনা ঘটে। রাজশাহী বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত
করেছেন।
জানা গেছে, ঢাকাগামী বুড়িমারী এক্সপ্রেসের একটি শোভন চেয়ার কোচের
দুইটি চাকা লাইনচ্যুত হয়। এরই মধ্যে এ ঘটনায় তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা
হয়েছে। কমিটির সদস্যরা হলেন বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেনকে আহ্বায়ক করে
বিভাগীয় যান্ত্রিক প্রকৌশলী (ক্যারেজ) মো. মোমতাজুল ইসলাম ও বিভাগীয় প্রকৌশলী-২ বীরবল
মণ্ডল। ৩ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট দাখিল করবেন তারা।
এদিকে ট্রেন লাইনচ্যুতির ঘটনায় পদ্মা, লালমনি, পঞ্চগড়, চিত্রা,
নীলসাগর, একতা ও রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় দেখা দিয়েছে।
লাইনচ্যুত ট্রেন বগি উত্তরবঙ্গ রেল যোগাযোগ
মন্তব্য করুন
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে রংপুরের পীরগাছা উপজেলায়
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছেন ৩ ফুট উচ্চতার শারীরিক প্রতিবন্ধী
মোছা. ইশরাত জাহান সুইটি।
বুধবার (৮ মে) অনুষ্ঠিত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রজাপতি প্রতীক
নিয়ে মোট ভোট পেয়েছেন ৯৬ হাজার ৭৪৯ তিনি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোছা. রেহেনা বেগম
পদ্মফুল প্রতীকে পেয়েছেন ১৪ হাজার ২৯৫ ভোট।
অপর প্রার্থীদের মধ্যে মোছা. জরিনা বেগম ফুটবল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন
১২ হাজার ২২ ভোট, মোছা. মাহমুদা বেগম হাঁস প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৮ হাজার ৬৭৫ ভোট, বর্তমান
উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান তানজিনা আফরোজ কলস প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩ হাজার ১৯৯ ভোট
ও মোছা. শারমিন আক্তার বৈদ্যুতিক পাখা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩ হাজার ৮১ ভোট।
বুধবার (৮ মে) রাতে উপজেলা অডিটরিয়াম থেকে বেসরকারিভাবে ঘোষিত ফলাফলে
তাকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।
ইশরাত জাহান সুইটির বাড়ি রংপুরের পীরগাছা উপজেলার অনন্তরাম গ্রামে।
জন্মের পর পাঁ বেকে যাওয়ায় অন্য ৮-১০টা শিশুর মতো শারীরিক বৃদ্ধি হচ্ছিল না তার। শিশু
বয়সেই হয় বাবা-মার বিচ্ছেদ। ঠিকমত বাবা-মার আদর পাননি। হয়নি ঠিকঠাক চিকিৎসা। জীবনে
এতসব প্রতিবন্ধকতার মাঝেও সুইটি মাস্টার্স পাশ করেছেন। নির্বাচনে লড়ে হয়েছেন বিজয়ী।
এর আগে ইশরাত জাহান সুইটিকে নিয়ে কালবেলার মাল্টিমিডিয়া, অনলাইন ও প্রিন্ট সংস্করণে
প্রতিবেদন করা হয়।
বিজয়ী হওয়ার পর ইশরাত জাহান সুইটি তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘আমার
এ বিজয় আমি পীরগাছা উপজেলাবাসীকে উৎসর্গ করলাম। তারা যে ভালোবাসা আমাকে দেখিয়েছে তার
মান যেন আমি রক্ষা করতে পারি, সকলের কাছে সেই দোয়া চাই। সেই সঙ্গে আমাকে বিপুল ভোটে
বিজয়ী করার জন্য সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি’।
উপজেলা নির্বাচন প্রতিবন্ধী সুইটি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ভোটের বেসরকারি ফলাফলে দেখা যায়, দিনাজপুরের হাকিমপুরে চেয়ারম্যান পদে মোটরসাইকেল প্রতীকে কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা কামাল হোসেন ২২ হাজার ২৫১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান চেয়ারম্যান হারুন উর রশিদ টেলিফোন প্রতীকে ১৯ হাজার ৩৭৮ ভোট পেয়েছেন।