দীর্ঘ ১৯ বছর
পর আজ রোববার (১২ নভেম্বর) নরসিংদীতে যাচ্ছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা। সকালে দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ পরিবেশবান্ধব ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া সার কারখানাসহ
বেশ কয়েকটি উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন করবেন শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব মো.
নুর এলাহি মিনা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দলীয় সভানেত্রীর
নরসিংদী যাওয়া উপলক্ষে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে নেতাকর্মীদের মধ্যে। প্রধানমন্ত্রীর
নিরাপত্তা ব্যবস্থাসহ সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে প্রশাসন, পুলিশ বিভাগ ও জেলা আওয়ামী
লীগ।
এদিকে
প্রধানমন্ত্রীর সফর উপলক্ষে নিরাপত্তার
চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে
গোটা নরসিংদী। এসএসএফ, র্যাব ও
পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রায় ১০ হাজার সদস্য
ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রীকে নিরাপত্তা দেয়ার জন্য নরসিংদীতে অবস্থান
করছেন। এছাড়া নরসিংদী মোসলেহ উদ্দিন স্টেডিয়াম ও আশপাশ এলাকা
এবং পলাশের ঘোড়াশাল ও পলাশ ইউরিয়া
সারখারখানা এলকায় নিরাপত্তার জন্য সিসিটিভি ক্যামেরা
বসানো হয়েছে।
জেলা
আওয়ামী লীগ নেতারা জানিয়েছেন,
জনসভা হবে মানুষের জনসমুদ্র।
প্রবেশ পথগুলোতে সন্দেহভাজন যানবাহন ও ব্যক্তিদের তল্লাশি
করা হচ্ছে। শেখ হাসিনার জনসভা
উপলক্ষে উৎসবের আমেজ চলছে পুরো
জেলা জুড়ে।
জেলা আওয়ামী
লীগের সভাপতি জিএম তালেব হোসেন গণমাধ্যমকে জানান, জেলাবাসী জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনাকে বরণ করতে প্রস্তুত। মতভেদ ও মান-অভিমান ভুলে দলীয় নেতাকর্মীদের পাশাপাশি
নরসিংদীর সর্বস্তরের মানুষ প্রধানমন্ত্রীর জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন। প্রধানমন্ত্রী
এখানে ১১টি উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন করবেন। পাশাপাশি নরসিংদীবাসীর পক্ষ থেকে একটি পাবলিক
লাইব্রেরি, মেডিকেল কলেজ ও কয়েকটি হিমাগার নির্মাণের দাবি করা হবে।
নিরাপত্তা প্রস্তুতি
সম্পর্কে নরসিংদীর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান পিপিএম বলেন, জনসভাস্থল,
পুরো শহর এবং সার্কিট হাউস—পুরোটাই আমরা সিসিটিভির কাভারেজে এনেছি।
পর্যাপ্তসংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য শহরজুড়ে থাকবে। তাদের সঙ্গে থাকবে
স্বেচ্ছাসেবকরাও।
নরসিংদী প্রধানমন্ত্রী প্রকল্প আওয়ামী লীগ শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তাপদাহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাত ধাপে অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ের ভোট হয় ১৯ এপ্রিল এবং সেখানে ১০২টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় দফায় ২৬ এপ্রিল ৮৯টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। চতুর্থ দফায় ভোট হবে ৭ মে। সেখানে ৯৪টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে এবং সপ্তম দফায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে পয়লা জুন। আর ৪ জুন নির্বাচনের ফলাফল জানা যাবে।
প্রথম দুই দফা ভোটের যে হার, তাতে বিজেপির মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। বিজেপির নেতারা ভোটে যে ভূমিধস বিজয় আশা করছিলেন সেটি হবে না। ভারতের কোন কোন গণমাধ্যমগুলো ভোটের ফলাফলে নাটকীয় ঘটনা ঘটারও ইঙ্গিত দিচ্ছে। বিশেষ করে ২০০৪ সালের নির্বাচনে যেভাবে কংগ্রেস অটলবিহারী বাজপেয়ীর নেতৃত্বে বিজেপিকে ধরাশায়ী করেছিল সেরকম কোন ঘটনা ঘটতেও পারে বলে মনে আশঙ্কা করছেন অনেকে। অবশ্য এখনও আরও পাঁচ দফা ভোট বাকি আছে এবং বিজেপি আশা করছে যে, পরবর্তী ধাপগুলোতে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে এবং বিজেপি তাদের জয়ের ধারা অক্ষুণ্ণ রাখবে। নরেন্দ্র মোদি ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে দেওয়ার জন্য বারবার আহ্বান জানাচ্ছেন।
ভারতের নির্বাচনের ফলাফল কী হবে তা বোঝা যাবে আগামী ৪ জুন। কিন্তু এখন পর্যন্ত যে ভোটের হাওয়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে তাতে এটা স্পষ্ট যে, ভোটের আগে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি জোটের যে নিরঙ্কুশ বিজয়ের ধারণা করা হয়েছিল, সেটি বাস্তবতা নাও পেতে পারে। আর এ কারণেই মোদী যদি শেষ পর্যন্ত পরাজিত হন, তাহলে সেটি হবে ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি বড় ব্যতিক্রমী ঘটনা এবং এটি হবে ভারতের নির্বাচনের সবচেয়ে বড় চমক।
এখন যখন ভারতের নির্বাচনে একটি হাড্ডাহাড্ডি লড়াই বা অনিশ্চয়তার ফলাফলের শঙ্কা জেগেছে তখন প্রশ্ন উঠছে যে, বিজেপি যদি এই নির্বাচনে পরাজিত হয় তাহলে বাংলাদেশে কী হবে? গত দুটি নির্বাচনে ভারতের বিজেপি সরকার বাংলাদেশকে নিরঙ্কুশভাবে সমর্থন দিয়েছে। ২০১৮ এবং ২০২৪ এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছে বিজেপি সরকার।
বিশেষ করে ২০২৪ এর নির্বাচনে ভারতীয় সরকারের পরিপূর্ণ সমর্থন ছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই নির্বাচনে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করত এবং এই নির্বাচনকে অস্বীকৃতি জানাত বলেও অনেকে মনে করেন। মার্কিন মনোভাব পাল্টানোর ক্ষেত্রে ভারত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। আর নির্বাচনের পর বিএনপি থেকে শুরু করে জাতীয় পার্টি প্রত্যেকেই বলছে যে, ভারত বর্তমান সরকারকে ক্ষমতায় রেখেছে। যদিও এরকম অভিযোগকে আওয়ামী লীগ অস্বীকার করে এবং আওয়ামী লীগ মনে করে যে, জনগণের ভোটে তারা নির্বাচিত হয়েছে। কিন্তু ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি আওয়ামী লীগ বা বিজেপি কেউই অস্বীকার করে না।
এখন প্রশ্ন হল, যদি বিজেপি পরাজিত হয়, ইন্ডিয়া জোট ক্ষমতায় আসে তাহলে বাংলাদেশের সমীকরণ কী হবে? কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন যে, বর্তমান সরকারের জন্য সমীকরণের কোন পরিবর্তন হবে না। কারণ ইন্ডিয়া জোটের সঙ্গেও আওয়ামী লীগ সরকারের একটি সুসম্পর্ক রয়েছে। ইতোমধ্যে ইন্ডিয়া জোটের প্রধান দল কংগ্রেস তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের বার্তা দিয়েছে।
অনেকে মনে করেন যে, এখন ভারতে কট্টর হিন্দুত্ববাদী মনোভাবের কারণে সীমান্তে অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে। মুসলিম বিদ্বেষী বক্তব্য রাখা হচ্ছে। যার ফলে বাংলাদেশের মধ্যে একটা ভারতবিরোধী মনোভাব তৈরি হচ্ছে। শেষ পর্যন্ত যদি নরেন্দ্র মোদি তাহলে এই অবস্থানের পরিবর্তন হবে। দুই দেশের সম্পর্ক আরও বিকশিত হবে বলেও মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ভারত লোকসভা নির্বাচন মল্লিকার্জুন খাড়গে নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাত ধাপে অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ের ভোট হয় ১৯ এপ্রিল এবং সেখানে ১০২টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় দফায় ২৬ এপ্রিল ৮৯টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। চতুর্থ দফায় ভোট হবে ৭ মে। সেখানে ৯৪টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে এবং সপ্তম দফায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে পয়লা জুন। আর ৪ জুন নির্বাচনের ফলাফল জানা যাবে।