নির্বাচনকে প্রভাবিত করে এমন কোনো কাজ সরকার করবে না বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেন, সরকার
এখন কেবল রুটিন
কাজ করবে।
বৃহস্পতিবার
(১৬ নভেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন
আইনমন্ত্রী।
মন্ত্রী
বলেন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায়
কিংবা পুলিশের বিষয়ে যদি নির্বাচন কমিশনের
কিছু বলার থাকে, তারা
সে নির্দেশনা দেবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে।
আইনমন্ত্রী
বলেন, গতকাল যেহেতু তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে, এরপর
নির্বাচনের কাজকর্ম নির্বাচন কমিশন দায়িত্বশীলভাবে করবে। নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের কাজে যেসব সরকারি
বিভাগ, সংস্থা বা অফিস তাদের
প্রয়োজন হবে তাদের প্রয়োজনীয়
নির্দেশনা দেবে। যে সরকার আছে,
সেই সরকার গতানুগতিক রুটিন কাজগুলো করে যাবে।
নির্বাচনের
কারণে কোনো পলিসি সিদ্ধান্ত
নেওয়া হবে না বলে
জানান আইনমন্ত্রী।
পলিসি
বলতে আইন হবে না,
বদলি হবে না, এমন
কিছু? সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে
আনিসুল হক বলেন, আইন
তো হবেই না, কারণ
সংসদ বসবে না। কিন্তু
এমন কথা আমি বলতে
পারি না। এটা একটা
স্বাধীন দেশ। যদি প্রয়োজন
হয় যে অধ্যাদেশ দিয়ে
আইন জারি করতে হবে,
কোনো বিশেষ কারণে বিশেষ ব্যবস্থায় অত্যন্ত জরুরি কারণে, সেখানে আইন হবে না
এ কথা আমি বলতে
পারি না।
এসময়
রুটিন কাজের ব্যাখ্যা দেন আইনমন্ত্রী।
তিনি
বলেন, গতানুগতিক অফিস চলার ব্যাপারে,
স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের বেতন পাওয়ার ব্যাপারে,
প্রতিদিনকার সিদ্ধান্ত নেওয়ার ব্যাপারে, এসব বিষয়ে অবশ্যই
এ সরকার কাজ করবে। উন্নয়ন
কাজ যেগুলো আছে, সেগুলো চলমান
থাকবে।
তবে
নতুন করে কোনো উন্নয়ন
কাজ শুরু হবে না
এবং নতুন করে কোনো
প্রকল্প নেওয়া হবে না বলে
জানান তিনি।
আইনমন্ত্রী
বলেন, একটি দলের পক্ষে
যা কিছু নির্বাচনকে প্রভাবিত
করতে পারে এ রকম
কাজ আমরা করব না।
মন্ত্রিসভায়
পরিবর্তন হবে না বলে
জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু টেকনোক্র্যাট কোটার মন্ত্রীরাও কি থাকবেন? এ
প্রশ্নে তিনি বলেন, সেই
সিদ্ধান্ত প্রধানমন্ত্রীর।
সাংবাদিকদের
এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বিচার বিভাগ মোটেও আমার অধীনে নয়,
ম্যাজিস্ট্রেটরাও নয়। বিচার বিভাগ
স্বাধীন এবং অধস্তন আদালতগুলো
সংবিধান অনুযায়ী সুপ্রিম কোর্টের আওতায়। সুপ্রিম কোর্টের ক্ষমতায় তারা চলবে, আইন
মন্ত্রণালয়ের অধীনে চলবে না। আমি
বহুবার বলেছি, আইন মন্ত্রণালয় হচ্ছে
নির্বাহী বিভাগ ও বিচার বিভাগের
একটি সেতুবন্ধন।
পুলিশকে
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নাকি নির্বাচন কমিশন
চালাবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ব্যাপারটি
হচ্ছে যদি পুলিশের ব্যাপারে
নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য থাকে, তাহলে তারা সেটা স্বরাষ্ট্র
মন্ত্রণালয়কে জানাবে এবং নির্বাচন কমিশন
যেটা বলেছে সেটা যৌক্তিক হলে
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সেটা করবে।
আইনমন্ত্রী নির্বাচন নির্বাচন কমিশন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
সরকারি চাকরি জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন
মন্তব্য করুন
নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ প্রধানমন্ত্রী নসরুল হামিদ
মন্তব্য করুন
চাকরির বয়সসীমা শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী জনপ্রশাসন মন্ত্রী
মন্তব্য করুন
শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী গত ১৭ এপ্রিল জনপ্রশাসন মন্ত্রীকে দেওয়া এক ডিও লেটারে উল্লেখ করেছেন চাকরিপ্রত্যাশীরা চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ করার জন্য দীর্ঘদিন ধরে রাজপথে আন্দোলন চালিয়ে আসছে। সরকার বিষয়টি উপলব্ধি করে ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইস্তেহারে ৩৩ নং পৃষ্ঠায় শিক্ষা, দক্ষতা ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধি অনুচ্ছেদে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর বিষয়ে মেধা ও দক্ষতা বিবেচনায় রেখে বাস্তবতার নিরিখে যুক্তিসংগত ব্যবস্থা করা হবে বলে উল্লেখ করা হয়। আর এ রকম একটি ডিও লেটারে শিক্ষামন্ত্রী বিভিন্ন দেশে চাকরির বয়সসীমা উল্লেখ করেছেন।