সব মানুষের অনুভূতি এক রকম নয়। কারও শীত বেশি, কারও কম। কেউ গরমে অতিষ্ঠ, কেউ সহনশীন। অগ্রহায়ণের প্রথম দিকে পড়তে শুরু করেছে শীত। শহরেও শেষ রাতে কাথায় নির্ভর করতে হয় অনেকের। গ্রামের আবহ অনেকটাই শীত। আর তাই, আসন্ন শীতে এখন থেকেই প্রস্তুতি নেওয়া জরুরি।
অগ্রহায়ণের
৭ তারিখ হিসেব করলে পৌষ আসতে বেশি দেরি নেই। দেখতে দেখতে শীতের পোশাকে নির্ভরশীল হতে
হবে। সকালে কুয়াশার
চাদর দেখলেই বোঝা যায় শীত
দরজায় কড়া দিচ্ছে। শহরের
বাইরেতো শীত রীতিমতো জেঁকে
বসেছে বলা যায়। এই
শীত কারো কাছে উপভোগ্য
আবার কারো কাছে বিপদের।
যারা
শীতকালকে উপভোগ্য করার জন্য কিংবা
শীতজনিত রোগ থেকে বাঁচার
প্রস্তুতি নিচ্ছেন, তাদের কাজকে আরও সহজ করার
জন্য কিছু পরামর্শ দিয়েছে
যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য বিষয়ক সাইট সিডিসি ডটকম।
শীতের
পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে কিছু ধাপ অনুসরণ
করা যায়। শীতকালে অনেকেই
প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে
বের হতে চান না।
তীব্র শীতে বা শৈত্যপ্রবাহ
হলে গৃহে থাকাটাই নিরাপদ
এবং আরামদায়ক মনে হয়। তবে
ঘরের ভেতরেও যে নিরাপদ থাকবেন
সেই নিশ্চয়তা নিজেকেই তৈরি করতে হবে।
ঘরকে উষ্ণ আর নিরাপদ
রাখার জন্য কিছু কাজ
করতে পারেন।
ঘরের
ভেতর যাতে পর্যাপ্ত আলো-বাতাস ঢুকতে পারে এমন উপযোগী
জানালা নিশ্চিত করতে হবে। দেয়ালের
ভেতর দিয়ে যাওয়া পানির
লাইন গরম বা ঠান্ডা
সহিষ্ণু কিনা তা পরীক্ষা
করতে হবে। প্রয়োজনে আগে
থেকেই মেরামত করে রাখতে হবে।
এছাড়া বাসা বাড়ি কিংবা ছাদের পানির লাইন পরিষ্কার রাখুন। এ কাজ ভুলবেন না যেন । যাতে
ছাদে বসে শীতের সকালের
মিষ্টি রোদ উপভোগ করতে
পারেন। অবশ্য শহরের বাইরে বাড়ির উঠোন কিংবা আঙিনায়
সুবিধামতো জায়গায় সকালের মিষ্টি রোদ উপভোগ করা
হয়। এক্ষেত্রে উঠোন এবং আঙিনা
যাতে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকে সে খেয়াল
রাখতে হবে।
ঘর উষ্ণ রাখতে এখন
অনেকেই রুম হিটার ব্যবহার
করে থাকেন। রুম হিটার ঠিক
আছে কিনা পরীক্ষা করে
নেওয়া, প্রয়োজনে পরিষ্কার করে রাখতে হবে।
শীতে ঘরকে উষ্ণ করতে
গিয়ে অজান্তেই আগুনের ঝুঁকি বেড়ে যায়। এ
জন্য প্রয়োজন বাড়তি সচেতনতা। বাড়ির ছোট সদস্যদের হিটার
থেকে দূরে রাখতে হবে।
শীতকালীন
রোগবালাই সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে- মাথা ঘোরা,
দুর্বলতা, পেটের পীড়া, বমি, বুক ব্যথা
ইত্যাদি। এ সমস্ত রোগবালাই
থেকে রেহাই পেতে শীতে সব
সময় শরীর উষ্ণ রাখতে
হবে।
অন্যান্য
দেশের মতো বাংলাদেশে বরফ
না পড়লেও গত কয়েক বছর
ধরে শৈত্যপ্রবাহের মাত্রা বেড়ে গেছে। এ
কারণে আগে থেকেই পরিবারের
সকল সদস্যের জন্য শীতের জামাকাপড়-
কোট, মোজা, কম্বল, লম্বাহাতার শার্ট প্রস্তুত রাখতে হবে।
এ সময়টায় খাদ্যাভ্যাসেও পরিবর্তন আনতে হবে। শরীর
উষ্ণ রাখে এমন খাবার
খাদ্যতালিকায় রাখতে হবে। খাবার, পানি
ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র জোগাড় করে রাখতে হবে।
তীব্র শীতে এগুলো কেনার
জন্য যাতে বাজারে যেতে
না হয় সেটা খেয়াল
রাখতে হবে।
তীব্র
শীতে বেড়ানোর পরিকল্পনা না করাই বুদ্ধিমানের
কাজ। একান্তই প্রয়োজন হলে অবশ্যই আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধবদের আগেই অবগত করা
যাতে নির্দিষ্ট সময়ে গন্তব্যে পৌঁছানো
যায়। উজ্জ্বল রঙের গরম কাপড়
পরা। প্রয়োজনে সঙ্গে বাড়তি কম্বল, টুপি, মোজা সঙ্গে নিয়ে
যেতে হবে। আর তাই যাদের শীতে দুর্বলতা আছে
তাদের এই অগ্রহায়ণ থেকেই প্রস্তুতি নেওয়া বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশে মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে পিটার ডি হাসের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন ডেভিড স্লেটন মিল। আর নতুন এই রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। শুক্রবার (১০ মে) সন্ধ্যায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এ মনোনয়নকে আমরা স্বাগত জানাই। মাস দেড়েক আগে এ বিষয়টা আমাদের জানানো হয়েছে। এখন তারা আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছে। আশা করছি— নতুন রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবেন।
বাংলাদেশে মানবাধিকার নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, আমাদের দেশে মানবাধিকার অনেক দেশের চেয়ে ভালো। বিশ্বের কোনো দেশেই মানবাধিকার আদর্শ অবস্থানে নেই।
হাছান মাহমুদ বলেন, ফিলিস্তিনিদের পক্ষে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন যুক্তরাষ্ট্র পুলিশ যেভাবে দমন করছে, সেটি আমরা টিভির পর্দায় দেখছি। ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ফিলিস্তিনিদের পক্ষে নাগরিক আন্দোলনকে কীভাবে পুলিশ দমন করছে, সেটিও আমরা দেখছি।
তিনি বলেন, সব দেশের উচিত মানবাধিকার উন্নয়নে একযোগে কাজ করা। আমরাও আমাদের উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গে মানবাধিকার উন্নয়নে কাজ করতে চাই।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের জুলাই থেকে রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করা পিটার হাসের স্থলাভিষিক্ত হবেন কূটনীতিক মিল। মিনিস্টার কাউন্সেলর হিসেবে ১৯৯২ সালে ফরেন সার্ভিসে যোগ দেন তিনি। এরপর ওয়াশিংটনের ফরেইন সার্ভিস ইনস্টিটিউটের লিডারশিপ অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট স্কুলের সহযোগী ডিন, ঢাকায় অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অব মিশন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন ডেভিড মিল।
ডেভিড মিল বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্র কূটনীতি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ
মন্তব্য করুন
মন্ত্রী-এমপি ফেসবুক আইডি ভেরিফায়েড আইডি
মন্তব্য করুন
শেষ পর্যন্ত শেষ হয়ে যাচ্ছে পিটার ডি হাসের অধ্যায়। বাংলাদেশে নতুন মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে ডেভিড স্লেটন মিলের নাম মনোনয়ন দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এখন এটি সিনেটের অনুমোদন হলে ডেভিড মিল বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসাবে আবির্ভূত হবেন। মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই বিদায় নিচ্ছেন পিটার ডি হাস। অর্থাৎ এটি সুস্পষ্টভাবে ইঙ্গিত করে যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নির্বাচনের আগে বাংলাদেশের ব্যাপারে যে মার্কিন নীতি অনুসরণ করছিল সেই নীতিতে পরিবর্তন আসছে। নিশ্চয়ই ডেভিড মিল একটি নতুন মিশন নিয়ে বাংলাদেশে আসবেন। আর এ কারণেই মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই সরিয়ে নেওয়া হল পিটার ডি হাসকে।
প্রশ্ন উঠেছে যে, নতুন রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশে মার্কিন নীতির কী পরিবর্তন করবেন, তার নীতি কী ধরনের হবে? একজন রাষ্ট্রদূতকে যখন মনোনয়ন দেওয়া হয় তখন প্রথমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ওই দেশে তাদের পররাষ্ট্রনীতির কৌশলপত্র চূড়ান্ত করে। আর ওই কৌশল বাস্তবায়নের জন্য যাকে যোগ্য মনে করা হয় তাকে মনোনয়ন দেয়।
পিটার ডি হাসকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিল এমন এক সময়ে যখন বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উদ্বিগ্ন ছিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে গণতন্ত্র সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানায়নি, বাংলাদেশের র্যাবের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল এবং অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য একটি সুস্পষ্ট চাপ দিচ্ছিল। এই চাপকে আরও বাড়ানোর জন্যই পিটার ডি হাস বাংলাদেশে এসেছিলেন। তার দায়িত্ব পালনকালে সুস্পষ্টভাবে তিনি তার অবস্থান প্রকাশ করেছিলেন। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মনোভাব দেখানোর লক্ষ্যেই নির্বাচন নিয়ে বাড়াবাড়ি রকমের দৌড়ঝাঁপ করেছিলেন এবং সরকারের বিরুদ্ধে প্রায় প্রকাশ্য অবস্থান গ্রহণ করেছিলেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পিটার ডি হাস মিশন ব্যর্থ হয়েছে। ৭ জানুয়ারি নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। নির্বাচনের পর নতুন সরকার গঠিত হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নতুন সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার বার্তাও দিয়েছে। এর প্রেক্ষিতে পিটার ডি হাসের সরে যাওয়াটা ছিল অবধারিত। অবশেষে সেটাই ঘটল।
এখন ডেভিড মিল বাংলাদেশে কী করবেন? প্রথমত, ডেভিড মিলের কূটনৈতিক ক্যারিয়ার যদি আমরা পর্যবেক্ষণ করি তাহলে দেখব যে, তার কূটনৈতিক ক্যারিয়ার বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের বার্তা দেয়। একই সাথে বাংলাদেশে চীনকে মোকাবেলা করার জন্য মার্কিন কৌশলেরও একটি ইঙ্গিত বহন করে। ডেভিড মিল বাংলাদেশে উপ-রাষ্ট্রদূত হিসাবে বা ডেপুটি চিফ অফ মিশন হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। কাজেই বাংলাদেশ তার পরিচিত। বাংলাদেশের রাজনীতি, বাংলাদেশের মানুষের মন মানসিকতা এবং বাংলাদেশে কীভাবে কাজ আদায় করতে হয় ইত্যাদি কলাকৌশল সম্পর্কে তাকে নতুন করে শিখতে হবে না। এটি ডেভিড মিলের জন্য একটি ইতিবাচক দিক। আর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর এটি বিবেচনা করেই সম্ভবত ডেভিড মিলকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব দিয়েছেন।
দ্বিতীয়ত, ডেভিড মিল এখন এই মুহূর্তে চীনের বেজিংয়ে মার্কিন দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অফ মিশন হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি মার্কিন-চীন সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারসাম্য রক্ষার জন্য কাজ করেছেন। শুধু তাই নয়, ডেভিড মিল চীনের রাজনীতি এবং চীনের দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে অনেক পরিষ্কার এবং স্বচ্ছ ধারণা রাখেন।
বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের সম্পর্ক সাম্প্রতিক সময়গুলোতে অনেক বেড়েছে। বিশেষ করে বাংলাদেশ চীনের উপর অর্থনৈতিকভাবে অনেকখানি নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। আর এর প্রেক্ষিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এমন একজন রাষ্ট্রদূত নিয়োগ দিয়েছেন যিনি চীনের রাজনীতির অভ্যন্তরীণ বিষয় সম্পর্কে ভালোভাবে ওয়াকিবহাল। বাংলাদেশের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দূরত্বের একটি বড় বিষয় হল, চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের বেশি মাখামাখির সম্পর্ক। আর এ কারণেই চীনের কূটনীতিতে অভিজ্ঞ এবং চীনের কূটনীতি অলিগলি চেনা ডেভিড মিলকে বাংলাদেশে পাঠানো হয়েছে বলে কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন।
ডেভিড মিলের নিয়োগের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে একটি বার্তা সুস্পষ্ট হয়েছে। তা হল, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের ব্যাপারে তাদের অবস্থান পরিবর্তন করছে। দ্বিতীয়ত, বাংলাদেশের সঙ্গে একটি সুসম্পর্ক, বিশেষ করে অর্থনৈতিক-বাণিজ্যিক সম্পর্ককে আরও প্রসারিত করতে চায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এজন্য বাংলাদেশ সম্পর্কে অভিজ্ঞ এবং বাংলাদেশে কাজ করা একজন ব্যক্তিকে পাঠানো হয়েছে। তৃতীয়ত বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের সম্পর্কের লাগাম টেনে ধরতে পারে এজন্য চীনের কূটনীতি সম্পর্কে জ্ঞান রয়েছে এমন একজন কূটনৈতিককে বাংলাদেশে পাঠানো হয়েছে। এখন দেখা যাক, ডেভিড মিলের বাংলাদেশ মিশন কতটুকু সফল হয়।
ডেভিড মিল বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্র কূটনীতি
মন্তব্য করুন
বর্তমানে রাজধানীর উত্তরা দিয়াবাড়ি থেকে মতিঝিল পর্যন্ত চলাচল করছে মেট্রোরেল। তবে এই লাইন বধিত হচ্ছে নতুন নকশায়। যা দিয়াবাড়ি থেকে সাভারের আশুলিয়া নয়, বর্ধিত হবে টঙ্গী পর্যন্ত।
এরই মধ্যে বর্ধিত এ পথের সম্ভাব্যতা যাচাই চলছে। দ্রুতই নকশা চূড়ান্ত করে টেন্ডার প্রক্রিয়ার কথা জানিয়েছেন প্রকল্পের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। মেট্রোরেল এখন চলছে উত্তরা থেকে মতিঝিল। বর্ধিতাংশ আসছে বছর কমলাপুরে পর্যন্ত চালু হবে।
এদিকে এমআরটি লাইন-৬ নির্মাণের সময়ই দিয়াবাড়ি থেকে প্রায় এক কিলোমিটার পথ তৈরি করে রাখা হয়েছে ভবিষ্যতের কথা ভেবে। পরিকল্পনা ছিল পথটি আশুলিয়া পর্যন্ত নেয়ার। তবে ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কারণে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে কর্তৃপক্ষ।
নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী টঙ্গী পর্যন্ত নেয়া হবে এ রেলপথ; পরিকল্পনা টঙ্গী রেলস্টেশন পর্যন্ত যুক্ত করার।
উত্তরা থেকে টঙ্গী পর্যন্ত পথ তৈরি হয়েছে বিআরটি। সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে ঢাকা-আশুলিয়া এক্সপ্রেসওয়ে। ফলে এ পথে নতুন করে আরো একটি উড়াল রেলপথ বের করা অসম্ভব। যার জন্য রুট কোনটি হবে তা নিয়ে চলছে পরিকল্পনা।
মেট্রোরেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক বলেন, এখন টঙ্গী রেলস্টেশন পর্যন্ত এ পথটি যুক্ত করার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। মূলত টঙ্গী রেলস্টেশন এবং সড়ক জংশনকে যদি সংযুক্ত করতে পারি, তাহলে ঐ অঞ্চলের মানুষের সুবিধা বাড়বে।
তিনি বলেন, যদিও প্রাথমিক পরিকল্পনায় এখনই এ অংশের কাজে হাত দেওয়ার কথা ছিল না। তবে এবার দ্রুত এ পথে হাঁটতে চায় ডিএমটিসিএল। এরই মধ্যে ফিজিবিলিটি স্ট্যাডি শুরু হয়েছে। শিগগিরই চূড়ান্ত নকশা হবে। এ পথটি যুক্ত হলে টঙ্গী থেকে কমলাপুর পর্যন্ত যেতে সময় লাগবে ৪৮ মিনিট।
মেট্রোরেল বাংলাদেশ ঢাকা রাজধানী
মন্তব্য করুন
ফেক আইডি দিয়ে অপপ্রচার বন্ধে মন্ত্রী-এমপিদের ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেল ভেরিফায়েড করার পরামর্শ দিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এমপি-মন্ত্রীদের উদ্দেশে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আপনারা ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্ট, ইউটিউব চ্যানেল ভেরিফায়েড করার জন্য পাঠালে আমরা ফেরিফাই করে দেবো। ফলে ফেক আইডি দিয়ে আপনার নামে কেউ অপপ্রচার করতে পারবে না।
শেষ পর্যন্ত শেষ হয়ে যাচ্ছে পিটার ডি হাসের অধ্যায়। বাংলাদেশে নতুন মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে ডেভিড স্লেটন মিলের নাম মনোনয়ন দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এখন এটি সিনেটের অনুমোদন হলে ডেভিড মিল বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসাবে আবির্ভূত হবেন। মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই বিদায় নিচ্ছেন পিটার ডি হাস। অর্থাৎ এটি সুস্পষ্টভাবে ইঙ্গিত করে যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নির্বাচনের আগে বাংলাদেশের ব্যাপারে যে মার্কিন নীতি অনুসরণ করছিল সেই নীতিতে পরিবর্তন আসছে। নিশ্চয়ই ডেভিড মিল একটি নতুন মিশন নিয়ে বাংলাদেশে আসবেন। আর এ কারণেই মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই সরিয়ে নেওয়া হল পিটার ডি হাসকে।