ইনসাইড বাংলাদেশ

শাহবাগে তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে ফাঁকা গুলি

প্রকাশ: ০৯:৫৯ পিএম, ২৩ নভেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

রাজধানীর শাহবাগে ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা-কর্মীর সঙ্গে তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে আগ্নেয়াস্ত্র বের করে ফাঁকা গুলি ছুড়েছেন আওয়ামী লীগের স্থানীয় একজন নেতা। এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি। ঘটনার পর শাহবাগ থানায় দুই পক্ষের বক্তব্য শুনে ওই আওয়ামী লীগ নেতার অস্ত্রটি হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। তবে এ ঘটনায় আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, গত সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে শাহবাগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) বহির্বিভাগসংলগ্ন রসনাবিলাস নামের একটি রেস্তোরাঁর সামনে গুলি ছোড়ার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ নেতা সৈয়দ মোশাররফ হোসেন শাহবাগ থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক। বর্তমানে তিনি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয়।

সোমবার রাতে গুলি ছোড়ার সময় ঘটনাস্থলে ছিলেন শাহবাগ থানা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক জাকির হোসেন কোতোয়ালসহ কয়েকজন নেতা-কর্মী। তাঁদের একজন বলেন, রসনাবিলাস রেস্তোরাঁর মালিক লিটন ১৭ নভেম্বর শারফিন মিয়া নামের এক কর্মচারীর বিরুদ্ধে টাকা চুরির অভিযোগ তুলে তাঁকে ব্যাপক মারধর করেন। ওই কর্মচারীকে বাঁচাতে গেলে মো. ইফতি নামের আরেক কর্মচারীকেও মারধর করা হয়। পরে তাঁদের চাকরিচ্যুতও করা হয়। ইফতির গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক এক সহসভাপতি তাঁর পরিচিত। ইফতি বিষয়টি ওই নেতাকে জানালে তিনি শাহবাগের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা জাকিরকে নিয়ে সোমবার রাতে রসনাবিলাস রেস্তোরাঁয় যান।

ঘটনায় অংশ নেওয়া ছাত্রলীগের সাবেক এক নেতার ভাষ্য, স্থানীয় ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কিছু নেতা-কর্মীকে সঙ্গে নিয়ে সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে রসনাবিলাস রেস্তোরাঁর সামনে গিয়ে লিটনকে পান। তাঁর সঙ্গে কর্মচারীদের মারধর ও চাকরিচ্যুতির বিষয়ে কথা হচ্ছিল।

এমন সময় মোশাররফ হোসেন সেখানে আসেন জানিয়ে ওই ছাত্রলীগ নেতা বলেন, ‘তিনি এসে আমাকে বলেন, “এখানে কী? তুমি কী করো এখানে?” আমি বললাম, ভাই, কথা বলছি।’ কথা চলার এক পর্যায়ে তিনি পিস্তল বের করেন৷ পরপর দুটি ফাঁকা গুলি ছোড়েন। লোকজন তাঁকে ঘিরে ফেললে তিনি আরও একটি গুলি ছোড়েন৷ খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে গুলির খোসা উদ্ধার করে। পরে রাতে শাহবাগ থানায় স্থানীয় কাউন্সিলর (ঢাকা দক্ষিণের ২১ নম্বর ওয়ার্ড) আসাদুজ্জামানের উপস্থিতিতে পুলিশ কর্মকর্তারা দুই পক্ষের সঙ্গে কথা বলেন।

থানায় আলোচনার পর বিষয়টি ‘সমাধান’ হয়ে গেছে বলে দাবি করেন কাউন্সিলর আসাদুজ্জামান। তিনি বলেন, ‘ঘটনাটি আমার এলাকার মধ্যে হওয়ায় পুলিশ আমাকে বিষয়টি জানায়। পরে আমি থানায় গিয়ে ঘটনা শুনলাম। মোশারফ হোসেন ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন। তাঁর বক্তব্য ছিল, হামলা থেকে আত্মরক্ষার জন্য তিনি গুলি ছুড়েছেন। যেহেতু নির্বাচনের তফসিলের পর এভাবে অস্ত্র প্রদর্শন করা যায় না, তাই পুলিশ তাঁর বৈধ অস্ত্রটি জব্দ করে রাখে।’

তবে শাহবাগ থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ মোশাররফ হোসেন গুলি ছোড়ার কথা অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘দোকান থেকে কর্মচারীদের টাকা চুরিসংক্রান্ত ঘটনা নিয়ে দুই কর্মচারীর মধ্যে মারামারি হয়৷ এক কর্মচারীর পক্ষ হয়ে কিছু ছাত্র এসে আরেক কর্মচারীকে মারধর করেন৷ পরে শাহবাগ থানায় ডেকে নিয়ে পুলিশ এটি মীমাংসা করে দিয়েছে। গুলি ছোড়ার কোনো ঘটনা ঘটেনি।’

এই আওয়ামী লীগ নেতা আরও বলেন, ‘আমরা রাজনীতি করি, বিভিন্ন ধরনের মুভমেন্ট তো করতে হয়। রাজনীতি করতে গেলে শত্রু থাকে। কে কী করে, সেটা কি আমরা বলতে পারি? আমার বৈধ অস্ত্র আছে। তবে আমি কোনো গুলি ছুড়িনি।’ বিস্তারিত জানতে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ (ওসি) পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন তিনি।

যোগাযোগ করা হলে শাহবাগ থানার ওসি নূর মোহাম্মদ বলেন, মোশাররফ হোসেনের কাছে লাইসেন্স করা পিস্তল ছিল। দুই পক্ষের মধ্যে হট্টগোলের এক পর্যায়ে তিনি ফায়ার করেন (গুলি ছোড়েন)। সম্ভবত দুটি গুলি ছোড়েন তিনি। এ ঘটনায় কেউ থানায় অভিযোগ করেননি। দুই পক্ষ নিজেরা বসে সমাধান করে নিয়েছে। মোশাররফ হোসেনের পিস্তলটি পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।


রাজধানী   শাহবাগ   ছাত্রলীগ   আগ্নেয়াস্ত্র   ফাঁকা গুলি   আওয়ামী লীগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

জয়পুরহাটে দুই উপজেলায় ৩০ প্রার্থীর মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ

প্রকাশ: ০৬:২৪ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

দ্বিতীয় ধাপে আগামী ২১ মে অনুষ্ঠিতব্য জয়পুরহাট সদর ও পাঁচবিবি উপজেলায় ১১ চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ ৩০ প্রার্থীর মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। প্রতীক বরাদ্দের মধ্য দিয়ে এই দুই উপজেলায় প্রার্থীদের আনুষ্ঠানিক প্রচার-প্রচারণা শুরু হলো।

 

তফসিল অনুযায়ী আজ বৃহস্পতিবার (২ মে) দুপুরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ করেন নির্বাচনে দায়িত্ব প্রাপ্ত রিটার্নিং কর্মকর্তা।

 

এসময় বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক সালেহীন তানভীর গাজী। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার নুরে আলম (বিপিএম), অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বিপুল কুমার, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ফজলুল করিম প্রমুখ।

 

জানা যায়, সদর উপজেলায় ৫ চেয়ারম্যান, ৭ ভাইস চেয়ারম্যান ও ৪ মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান এবং পাঁচবিবি উপজেলায় ৬ চেয়ারম্যান, ৪ ভাইস চেয়ারম্যান ও ৪ মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বরাদ্দকৃত প্রতীক বুঝে নেন।

 

জয়পুরহাট সদরে কে কোন প্রতীক:

চেয়ারম্যান পদে এ ইএম মাসুদ রেজা (আনারস), খাজা শামসুল আল আমিন (দোয়াত কলম), আনোয়ার হোসেন (ঘোড়া), আমিনুল ইসলাম মাসুদ (কাপ পিরিচ), হাসানুজ্জামান মিঠু (মটরসাইকেল) প্রতীক পেয়েছেন।

 

ভাইস চেয়ারম্যান পদে অশোক কুমার ঠাকুর (টিউবয়েল প্রতীক), উজ্জ্বল মিনজি (টিয়া পাখি), জাকারিয়া মন্ডল (বৈদ্যুতিক বাল্ব), মুনছুর রহমান (মাইক), শামীম আহম্মেদ (উড়োজাহাজ), সিএম আফরাঈম কাবীর (তালা প্রতীক), আলী আকবর মোঃ ইজাহারুল ইসলাম ডাবলু (চশমা) প্রতীক পেয়েছেন।

 

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ফারহানা রহমান বিথী (ফুটবল), আছমা বিবি (হাঁস), নাছিমা আক্তার (বৈদ্যুতিক পাখা), রুমানা পারভীন (কলস) প্রতীক পেয়েছেন।

 

পাঁচবিবি উপজেলা কে কোন প্রতীক:

চেয়ারম্যান পদে আবু বক্কর সিদ্দিক (আনারস), জাহিদুল আলম (কৈ মাছ), মনিরুল শহীদ মন্ডল (মটর সাইকেল), সোহরাব হোসেন (দোয়াত কলম), সাঈদ জাফর চৌধুরী (টেলিফোন), সাবেকুন নাহার (ঘোড়া) প্রতীক পেয়েছেন।

 

ভাইস চেয়ারম্যান পদে ওয়াহিদুজ্জামান চৌধুরী (চশমা), আকরাম হোসেন তালুকদার (তালা), খালেকুল ইসলাম (টিউবওয়েল), ফরহাদ আলম (উড়োজাহাজ) প্রতীক পেয়েছেন।

 

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে তামান্না বেগম (প্রজাপতি), রাজিনারা টুনি (বৈদ্যুতিক পাখা), রেবেকা সুলতানা (ফুটবল), মৌসুমী আক্তার (ফুলের টব) প্রতীক পেয়েছেন।

নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, দ্বিতীয় ধাপের মনোনয়নপত্র বাছাই ২৩ এপ্রিল। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ২৪ থেকে ২৬ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি ২৭ এপ্রিল থেকে ২৯ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ৩০ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২ মে, আর ১৫০ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ২১ মে।


উপজেলা নির্বাচন   মনোনয়ন   চেয়ারম্যান   ভাইস চেয়ারম্যান   মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান   প্রতীক বরাদ্দ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

শেখ হাসিনাকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ স্ট্যাটাস, আ.লীগ নেতাকে অব্যহতি

প্রকাশ: ০৬:০৭ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail অভিযুক্ত আ.লীগ নেতা সরদার আবুল কালাম আজাদ

আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কটাক্ষ করে ফেসবুকে কুরুচিপূর্ন স্ট্যাটাস দেওয়ায় পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রস্তাবিত সাংগঠনিক সম্পাদক সরদার আবুল কালাম আজাদকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে কেন তাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না তা ৭ দিনের মধ্যে জানাতে ওই নেতাকে নির্দেশ দিয়েছে জেলা আওয়ামী লীগ।

 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার (৩০ মে) দিবাগত রাতের পর কোনো এক সময় আবুল কালাম আজাদ তার ফেসবুক একাউন্টে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কটাক্ষ করে স্ট্যাটাস দেন।

 

পরদিন বুধবার (০১ মে) সকালে তার লেখাটি সবার নজড়ে আসার পর ভাইরাল হয়ে যায়। এতে সমালোচনার ঝড় ওঠে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের মাঝে। সমালোচনার মুখে বাধ্য হয়ে এক পর্যায়ে পোস্টটি তার ফেসবুক থেকে ডিলিট করে দেন ওই নেতা।

 

বিষয়টি উপজেলা ও জেলা আওয়ামী লীগ নেতাদের নজড়ে এনে তার শাস্তির দাবি জানান স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। পরে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় বুধবার (১ মে) রাতে এক চিঠিতে সরদার আবুল কালাম আজাদকে তার প্রস্তাবিত পদ থেকে অব্যহতি দেয় জেলা আওয়ামী লীগ।


আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইবেন বেগম জিয়া?

 

জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সুইট স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে বলা হয়, 'কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নির্দেশে পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের জরুরী সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্পর্কে ফেসবুকে অশালীন ও কুরুচপিূর্ন মন্তব্য করায় সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে ভাঙ্গুড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রস্তাবিত সাংগঠনিক সম্পাদক সরদার আবুল কালাম আজাদকে তার সকল পদ থেকে অব্যহতি প্রদান করা হলো। সেই সঙ্গে কেন তাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না তা পত্র প্রাপ্তির সাত দিনের মধ্যে জবাব দিতে নির্দেশ প্রদান করা হলো। যদি তিনি সাত দিনের মধ্যে জবাব না দেন তাহলে তাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের জন্য কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কাছে সুপারিশ করা হবে।'

 

এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে সরদার আবুল কালাম আজাদের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।


আরও পড়ুন: নির্দেশ অমান্যকারী মন্ত্রী-এমপিদের সাধারণ ক্ষমা?

 

পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক প্রিন্স এমপি বলেন, ‘জননেত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতার এমন স্ট্যাটাস খুবই ন্যাক্কারজনক। বিষয়ে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের সাথে কথা বলে তাকে সকল পদ থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে।


অব্যহতি   আওয়ামী লীগ নেতা   স্যাটাস   কুরুচীপূর্ণ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

দ্বাদশ সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন শুরু

প্রকাশ: ০৫:৩৫ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন শুরু হয়েছে। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন সাংবিধানিক ক্ষমতাবলে গত ১৫ এপ্রিল এ অধিবেশন আহ্বান করেন।

বৃহস্পতিবার (২ মে) বিকেল ৫টায় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ ভবনে এ অধিবেশন শুরু হয়।

অধিবেশনের শুরুতে স্পিকার সভাপতিমণ্ডলী এম এ মান্নান, আসাদুজ্জামান নুর, শফিকুল ইসলাম শিমুল, গোলাম কিবরিয়া টিপু ও ফজিলাতুন্নেছার নাম ঘোষণা করেন।

স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারের অনুপস্থিতি নামের অগ্রবর্তিতা অনুযায়ী সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যরা অধিবেশনে সভাপতিত্ব করবেন।

এর পর অধিবেশনে গত ১৬ মার্চ ঝিনাইদহ-১ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল হাইয়ের মৃত্যুতে শোক প্রস্তাব আনা হয়। এ ছাড়া সাবেক সংসদ সদস্য শামছুল হক ভূঁইয়া, আবুল হাসেম খান, পিনু খান, নজির হোসেন ও মোখলেছুর রহমান এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা ও ভাষা সৈনিক, একুশে পদকপ্রাপ্ত ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর গোলাম আরিফ টিপু, একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রবীণ সাংবাদিক ও প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও একুশে পদকপ্রাপ্ত শিক্ষাবিদ ড. প্রণব কুমার বড়ুয়ার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করা হয়।

এরপর সংসদ সদস্য আব্দুল হাইয়ের শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনা শুরু হয়।

জাতীয় সংসদ   রাষ্ট্রপতি   মো. সাহাবুদ্দিন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সহকারী সচিব হলেন ক্যাডার বহির্ভূত ৭ কর্মকর্তা

প্রকাশ: ০৫:২৩ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

ক্যাডার বহির্ভূত ৭ কর্মকর্তাকে সহকারী সচিব পদে পদোন্নতি দিয়েছে সরকার। বৃহস্পতিবার (২ মে) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ৭ কর্মকর্তাকে সহকারী সচিব (ক্যাডার বহির্ভূত) পদে পদোন্নতি দিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পদে নিয়োগ করা হলো। নিয়মানুযায়ী পরবর্তীতে তাদের পদায়ন করা হবে।
 
জাতীয় বেতনস্কেল, ২০১৫ অনুযায়ী তারা ৯ম গ্রেডে বেতন-ভাতা পাবেন বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়।

সহকারী সচিব   জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না: রাশেদা সুলতানা

প্রকাশ: ০৪:৩৭ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail প্রার্থীদের সাথে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখছেন নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা। বৃহস্পতিবার দুপুরে পাবনা জেলা শিল্পকলা একাডমেীতে

নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা বলেছেন, ‘নির্বাচনী আইন যারা মানবেন না, তাদের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশন আইনী ব্যবস্থা নেবে। প্রভাবশালীরা নির্বাচনে কোনোরেকম প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করলে তাদেরও ছাড় দেওয়া না। তিনি এমপি মন্ত্রী যেই হোক। নির্বাচন কমিশন কিন্তু এতো দুর্বল নয়।

বৃহস্পতিবার (০২ মে) দুপুরে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচন নিয়ে পাবনা জেলার সকল উপজেলার প্রার্থীদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন রাশেদা সুলতানা।

তিনি আরও বলেন, নির্বাচন কমিশনকে সাধারন মানুষের কাছে হেনস্তা করবেনির্বাচনকে কলুষিত করবে, দেশের ভাবমূর্তি যে নষ্ট করে তার বিরুদ্ধে শক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সাংবাদিকদের কোনো কাজে বাধা দেওয়া যাবে না। দিলে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।

রাশেদা সুলতানা বলেন, 'দেশের নিদারুণ বাস্তবতা হলো ভোটারদের সাথে প্রার্থীদের সম্পর্ক ভাল নেই। ভোটার ছাড়া ভোট হয়ে যাবে ওইদিন চলে গেছে। তাই প্রার্থী যারা আছেন তারা ভোটারদের কাছে যান, তাদের সাথে সম্পর্ক ভাল করেন। তাদের কাছে টেনে নেন। তাদের ভোটেরই আপনাকে নির্বাচিত হতে হবে। নির্বাচনী আইন মেনে প্রচারণা করেন। নির্বাচন কমিশন যেকোনো মুল্যে ভাল ভোট করবে।'

রাজশাহী বিভাগীয় স্থানীয় সরকারের পরিচালক পারভেজ রায়হানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি আনিসুর রহমান। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ বিজিবির সিইও গোলাম কিবরিয়াজেলা প্রশাসক মু. আসাদুজ্জামান পুলিশ সুপার আকবর আলী মুনসী।

পাবনা জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জেলা শিল্পকলা একাডেমীতে অনুষ্ঠিত মতবনিমিয় সভায় পাবনা জেলার নয়টি উপজেলার চেয়ারম্যান ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় প্রার্থীরা তাদের নানা অভিযোগের কথা তুলে ধরে সমাধান দাবি জানান। এসময় সুজানগর উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল ওহাব অভিযোগ করেন, 'সুজানগর পৌরসভার বর্তমান মেয়র একটি সভায় বলেছেন ভোট দিতে হবে, না হলে গাছের সাথে বেঁধে রাখা হবে। তার এমন বক্তব্যের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। আমার নির্বাচনী অফিসে হামলা হয়েছে। মোবাইলে ভোটারদের প্রতিনিয়ত হুমকি দেয়া হচ্ছে। এসব অভিযোগ তথ্য প্রমাণসহ লিখিতভাবে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।'

চাটমোহর উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী অ্যাডভোকেট সাইদুল ইসলাম চৌধুরী অভিযোগ করেন, 'সাধারণ মানুষের কাছে প্রচার করা হচ্ছে আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী দুলাল মির্জা এমপির লোক, এমপির প্রার্থী। আপনি ভোট পাবেন কিভাবে। ভোট তো ওরা সব নিয়ে নেবে। প্রার্থীকে এমপির লোক বলে প্রচারণা চালানো বন্ধের দাবি জানান তিনি।'

ঈশ্বরদী উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ মিন্টু অভিযোগ করেন, '২ জন শিক্ষককে বিশেষ লোকের নাম বলে দু'টি মোটরসাইকেল পাঠিয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে একজন প্রার্থীর সভায় যেতে বাধ্য করা হয়েছে। নির্বাচন শুরুর আগেই তো প্রভাবশালীদের প্রভাব বিস্তার চলছে। কিন্তু দেখার কেউ নেই।'


নির্বাচন   প্রভাব বিস্তার   নির্বাচন কমিশন  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন