ইনসাইড বাংলাদেশ

রাজনীতি মানুষকে মারার জন্য নয়: মানবাধিকার কমিশন

প্রকাশ: ০৩:৫৭ পিএম, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

হরতালের মধ্যে রাজধানীতে ট্রেনে আগুন দেওয়ার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, রাজনীতি মানুষকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য, মানুষ মারার জন্য নয়।

মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল কমলাপুরে গিয়ে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনটি পরিদর্শন শেষে এ কথা বলেন।

বিএনপির ডাকা হরতালের মধ্যে নেত্রকোণা থেকে এসে ঢাকায় ঢোকার পথে মঙ্গলবার ভোরে অগ্নি নাশকতার শিকার হয় মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস। এ ঘটনায় পুড়ে যায় ট্রেনটির তিনটি বগি। একটি বগি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে  মা ও তার শিশু সন্তানসহ চারজনের লাশ।

কমিশনের চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, এ নৃশংস কাজটি কেন করল সেটি বড় প্রশ্ন। এ ধরনের কাজ করা কোনো রাজনীতি নয়।

রাজনীতি মানুষকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য, মানুষ মারার জন্য নয়। দেশের সম্পদ নষ্ট করার জন্য নয়। যারা এ ধরনের কর্মকাণ্ড করেন বা এ ধরনের রাজনীতির পেছনে আছেন, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে।

মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, রেলে নাশকতার একের পর এক ঘটনা মানুষের মনে উদ্বেগ এবং আশঙ্কা তৈরি করেছে। উদ্দেশ্যমূলকভাবে জনসাধারণের চলাচলে বিঘ্ন ঘটানো মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন।

নিরীহ ব্যক্তিদের আগুনে পুড়িয়ে হত্যা জঘন্য অপরাধ। জাতীয় মানবাধিকার কমিশন রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য আহবান জানায় এবং এরকম অপরাধের সাথে জড়িতদের কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করার আহবান জানায়।

যাত্রীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করি, আমরা এর মধ্যে বুঝতে পারছি, কিছু সংখ্যক লোক অন্তর্ঘাতমূলক কাজ করে যাচ্ছে, নাশকতার মাধ্যমে মানুষকে ভয় দেখাতে চেষ্টা করছে। আমি বলব যাত্রীদের ভয় পাওয়ার কোন কারণ নেই। আমাদের সাহস রেখে যানবাহনে চড়তে হবে।

একই সাথে নিরাপত্তা বাহিনীকে নজরদারির মাধ্যমে যাত্রীদের আস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে। ট্রেনে যেমন নজরদারি রাখতে হবে তেমনি লাইনগুলো ঠিকঠাক আছে কী না সেদিকেও দেখতে হবে।

সম্ভব হলে সিসি ক্যামেরা লাগিয়ে রেলপথকে নজরদারির আওতায় আনার পরামর্শ দেন কামাল উদ্দিন আহমেদ।

রেলযাত্রীদের সচেতন থাকার অনুরোধ জানিয়ে মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, আপনাদের সব সময় অত্যন্ত সচেতন থাকতে হবে যে কোথাও কিছু সন্দেহজনক ঘটছে কী না, কেউ কিছু করছে কী না। রেল পুলিশ ও আইন শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীকে অবশ্যই বিশেষ সচেতনভাবে নজরদারির মাধ্যমে আমাদের সম্পদ বিনষ্ট হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করতে হবে।

২০১৩ সালে এ ধরনের কিছু কর্মকাণ্ড ঘটেছিল। তখন আটটা ট্রেন লাইনচ্যুত হয়েছিল। আমরা কঠোরভাবে নজরদারি করে পরে তা বন্ধ করেছিলাম। তখনকার সময় আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে রেল লাইনে কিছু দূর পরপর আমরা নজরদারির ব্যবস্থা করেছিলাম। আমার স্মরণ আছে ২০১৩ সালের অক্টোবর মাসের ৮ তারিখের পর আর কোন ট্রেন লাইনচ্যুত হয়নি।

কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, সামনে নির্বাচনের দিকে যাচ্ছে দেশ। কেউ কেউ নাশকতামূলক বা অন্তর্ঘাতমূলক কাজ করতে চায়। তাদের অবশ্যই বাধা দিতে হবে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে। এবং মানুষকে এই হত্যাপ্রেচেষ্টা থেকে রক্ষা করতে হবে। মানুষের মনে আস্থা জাগাতে হবে মানুষ যেন শান্তিপূর্ণভাবে যানবাহনগুলো ব্যবহার করতে পারে।

কমিশনের সার্বক্ষণিক সদস্য মো. সেলিম রেজা, সচিব (ভারপ্রাপ্ত) মো. আশরাফুল আলম এবং পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) কাজী আরফান আশিকসহ কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

জাতীয় মানবাধিকার কমিশন   ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

কোরবানির ঈদের আগে মসলার বাজারে আগুন

প্রকাশ: ১২:৩৮ পিএম, ১০ মে, ২০২৪


Thumbnail

ভারত পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে। এতে দেশের বৃহৎ পাইকারি বাজার চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে পণ্যটির দাম কেজিতে কমেছে ১০ টাকা পর্যন্ত। প্রায় চার মাস পর পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করলো ভারত। কিন্তু বাজারে আরেক মসলাপণ্য এলাচ কেজিতে বেড়েছে এক হাজার ১০০ টাকা পর্যন্ত। অস্থির এলাচের বাজার নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপের কথা বলেছেন ভোক্তা অধিকারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

খাতুনগঞ্জে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকা। এটি এক সপ্তাহ আগেও ছিল ৭০ থেকে ৭৫ টাকা। চোরাই পথে আসা ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে সর্বোচ্চ ৮০ টাকা পর্যন্ত। এটি গত সপ্তাহে ছিল ৯০ টাকা কেজি। আগে দেশের বাজারে ভারত থেকে যেসব পেঁয়াজ আসত তার সবটাই চোরাই পথে। এখন বৈধপথে পণ্যটি আসবে। এ জন্য দাম কমে গেছে। আমদানি শুরু হলে দাম আরো কমবে।

এদিকে প্রতিদিনই অস্থির হয়ে উঠছে মসলাপণ্য এলাচের বাজার। দেশে তিন ধরনের এলাচ আমদানি হয়। এর মধ্যে বড় দানার সবচেয়ে উন্নত এলাচ আসে ভুটান থেকে। মাঝারি সাইজের মোটামুটি ভালো মানের এলাচ আসে গুয়াতেমালা থেকে। এর বাইরে সংযুক্ত আরব আমিরাত, ভারত, সিঙ্গাপুর ও ইন্দোনেশিয়া থেকেও কিছু এলাচ আমদানি হয়।

বর্তমানে খাতুনগঞ্জের পাইকারি বাজারে ছোট দানার এলাচ বিক্রি হচ্ছে তিন হাজার ৮০০ টাকা কেজি দরে। ১৫ দিন আগেও একই এলাচ বিক্রি হয়েছিল তিন হাজার ৫০০ টাকায়। বড় দানার এলাচের বর্তমান মূল্য প্রতি কেজি তিন হাজার ৭০০ থেকে তিন হাজার ৯০০ টাকা। এটি গত দেড় মাসে বেড়েছে কেজিতে এক হাজার ১০০ টাকা।

এলাচের আমদানিকারকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, এলাচ আমদানিতে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ককর দিতে হয়। এই এলাচ শুল্কায়ন করা হয় ২৫ ডলারে, অথচ এর আমদানি মূল্য সাত ডলার। শুল্কায়ন মূল্য বেশি ধরার কারণে কেজিতে শুল্ককর বেশি দিতে হচ্ছে ৫০০ টাকা পর্যন্ত। যে কারণে দাম হু হু করে বাড়ছে।

দাম বাড়ার বিষয়ে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত বলেন, ‘খাতুনগঞ্জের পাইকারি ব্যবসায়ীরা সঠিক রসিদ রাখেন না। এক মাস আগে অভিযানে আমদানির তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, প্রতি কেজি এলাচ ১৫ শতাংশ মুনাফাসহ বিক্রয়মূল্য হওয়ার কথা সর্বোচ্চ এক হাজার ৭০০ টাকা। কিন্তু বাজারে বিক্রি হচ্ছে তিন হাজার টাকায়। তখন একটি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানাও করেছিলাম। এখনো আমাদের বাজার তদারকি চলমান। আমরা অসাধু ব্যবসায়ীদের তালিকা করছি। তাদের শনাক্ত করে শাস্তির আওতায় নিয়ে আসব।’

এলাচ ছাড়াও অন্যান্য মসলাপণ্যের দামও বাড়ছে। বর্তমানে শুকনা মরিচের কেজি ৪৩০ থেকে ৪৪০ টাকা। এক মাস আগে এর দাম ছিল ৩৫০ থেকে ৩৭০ টাকা। এখন দেশি রসুনের কেজি ১৭০ থেকে ২০০ টাকা। আমদানি করা রসুন কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে হয়েছে ২০০ থেকে ২৪০ টাকা। দেশি আদা আগে ছিল ৩০০ টাকা কেজি, এখন ৪৫০ টাকা। আমদানি করা আদা সর্বোচ্চ ২৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।


কোরবানি ঈদ   মসলার বাজার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সড়কে নতুন গতিসীমা ধীরে ধীরে কার্যকর করা হবে: বিআরটিএ

প্রকাশ: ১২:০৭ পিএম, ১০ মে, ২০২৪


Thumbnail

সড়ক দুর্ঘটনা কমিয়ে আনতে সড়কভেদে মোটরসাইকেল, প্রাইভেটকার ও বাসের সর্বোচ্চ গতি নির্ধারণ করা হয়েছে। এজন্য মোটরযানের গতিসীমা সংক্রান্ত নির্দেশিকা, ২০২৪ জারি করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)।

দেশের সড়ক-মহাসড়কে যানবাহনের সর্বোচ্চ গতিসীমা বেঁধে দিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। বুধবার (০৮ মে) বিআরটিএ চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার স্বাক্ষরিত ‘মোটরযান গতিসীমা নির্দেশিকা, ২০২৪’ জারি করা হয়। এতে এক্সপ্রেসওয়ে এবং জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে থ্রি-হুইলার যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বিআরটিএর মুখপাত্র মাহবুব-ই-রব্বানী জানিয়েছেন, এটি ব্যাপকভাবে বাস্তবায়নে সময় লাগবে। নতুন নির্দেশিকা সম্পর্কে জনগণকে জানানোর জন্য প্রচারণা কর্মসূচি চালানো হবে। এই অন্তর্বর্তী সময়কালে গতিসীমা লঙ্ঘন প্রতিরোধে ভ্রাম্যমাণ আদালত ব্যবহার করা হবে। এর উদ্দেশ্য চালকদেরকে নতুন গতিসীমা সম্পর্কে জানানো।

নির্দেশিকায় ১০ ধরনের যানবাহনের জন্য সড়কের ৬টি ক্যাটাগরিতে গতিসীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। সড়কভেদে ব্যক্তিগত গাড়ি ও বাসের সর্বোচ্চ গতি নির্ধারণ করা হয়েছে ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার। আর মোটরসাইকেলের সর্বোচ্চ গতি হবে ৬০ কিলোমিটার। তবে শহরের রাস্তায় ৩০ কিলোমিটার গতিতে চলবে মোটরসাইকেল ও থ্রি-হুইলার।

তবে সড়ক-মহাসড়কে লেন ঠিক না করে যানবাহনের গতিসীমা বেঁধে দেওয়াকে অপরিকল্পিত উদ্যোগ বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। তা ছাড়া স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দেশের সড়কে ৩৫০ সিসি পর্যন্ত মোটরসাইকেল চলাচলের অনুমতি দিয়েছে। বিআরটিএ যে গতিসীমা বেঁধে দিয়েছে, তা ওই সিদ্ধান্তের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। তাদের মতে, সর্বোচ্চ মানের সড়ক এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করে যানবাহন চলাচলের কম গতিসীমা বেঁধে দেওয়া এ ধরনের স্থাপনার মানের সঙ্গে বেমানান। সাধারণত এক্সপ্রেসওয়েতে ১২০ থেকে ১৩০ কিলোমিটার গতিতে যানবাহন চলে। এক্সপ্রেসওয়েতে সাধারণ হাইওয়ের মতো গতিতে যানবাহন চালাতে হলে এ ধরনের অবকাঠামো নির্মাণে বিপুল বিনিয়োগের কোনো প্রয়োজন ছিল না।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ড. হাদীউজ্জামান গণমাধ্যমকে বলেন, এক মন্ত্রণালয় মোটরসাইকেলের সিসি বাড়াচ্ছে। অন্য মন্ত্রণালয় ৩০ কিলোমিটার গতিতে চালাতে বলছে। এতে বোঝা যায়, নিজেদের মধ্যে সমন্বয় নেই। তিনি বলেন, ‘একই লেনে যদি সব ধরনের যানবাহন চলে, তা হলে কোনোভাবেই যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। গতিসীমা ঠিক করার উদ্দেশ্য হলো সড়কে শৃঙ্খলা ফেরানো। কিন্তু যেভাবে গতি নির্ধারণ হয়েছে, তা মোটেই বিজ্ঞানসম্মত নয়, তেমনি অবকাঠামোর সঙ্গে সামাঞ্জস্যপূর্ণ নয়। এটা মানানো যাবে না। এতে সড়কে আরও বেশি বিশৃঙ্খলা বাড়বে। মামলা বাড়বে। কারণ একই লেনে সব ধরনের যানবাহন চললে দুর্ঘটনাও বাড়বে।’

বিআরটিএ বলছে, এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা ২০৩০ সালের মধ্যে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতের সংখ্যা অর্ধেকে কমিয়ে আনতে নতুন নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। বেঁধে দেওয়া গতিসীমা অমান্য করা হলে সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিসের মতো জরুরি পরিষেবায় নিয়োজিত মোটরযানের ক্ষেত্রে এই গতিসীমা শিথিলযোগ্য হবে।

 

 


সড়ক   গতিসীমা   বিআরটিএ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সিল মারা ব্যালটসহ ইউপি চেয়ারম্যানের ফেসবুকে পোস্ট

প্রকাশ: ১১:৩৬ এএম, ১০ মে, ২০২৪


Thumbnail

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে গোপন কক্ষে সিল মারা ব্যালটের সঙ্গে ছবি তুলেছেন আশরাফুল ইসলাম নামে এক ইউপি চেয়ারম্যান। সেই ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ব্যক্তিগত আইডিতে পোস্ট করেছেন।

এছাড়াও বিজয়ী উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর আইডির পোস্টসহ বিভিন্ন আইডিতে কমেন্ট করেছেন তিনি। তবে বৃহস্পতিবার (৯ মে) দুপুরে তিনি তার ব্যক্তিগত ফেসবুক প্রোফাইল থেকে পোস্টটি সরিয়ে নেন।

জানা গেছে, আশরাফুল ইসলাম তেঁতুলিয়া উপজেলার শালবাহান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, এছাড়াও তিনি ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য। বুধবার (৮ মে) জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলার শালবাহান ইউনিয়নের মাঝিপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দেন তিনি।

খোঁজ নিয়ে আরও জানা গেছে, ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফুল ইসলাম আচরণবিধি অমান্য করে মোবাইল নিয়ে ভোট কেন্দ্রে প্রবেশ করেন। পরে ভোট দেওয়ার গোপন বুথে গিয়ে ব্যালটে সিল মেরে সেখানেই ব্যালটসহ ছবি (সেলফি) তুলেন তিনি। বিকেলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের ব্যক্তিগত আইডিতে পোস্ট করেন। সেখানে দেখা যায়, তিনি সিল মারা ব্যালট এক হাতে ধরে আরেক হাতে সেলফিটি তুলেছেন এবং সেই ছবি আপলোড দিয়ে লেখেন ‘ভালোবাসা নেতার পেছনে যায় না, যায় ভালোবাসার পেছনে।’

এর আগেও এই জনপ্রতিনিধি গত ৭ জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন ভোট কেন্দ্রে মোবাইল ফোন নিয়ে প্রবেশ করে সিল মারা ব্যালটের ছবি তুলে সামাজিকে যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেন।  এ বিষয়ে শালবাহান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আশরাফুল ইসলামের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, ভোট কেন্দ্রে গোপন বুথে প্রকাশ্যে ভোট দেওয়ার ছবি তোলা বেআইনি ও কোনো ভোটার মোবাইল ফোন নিয়ে ভোটকক্ষে প্রবেশ ও তা ব্যবহার করা যাবে না। তবে ভোটকেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রিজাইটিং কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা থাকা অবস্থায় একজন জনপ্রতিনিধি হয়ে কীভাবে এমন আইন ভঙ্গ হলো এ বিষয়টি নিয়ে নানা আলোচনা ও সমালোচনা দেখা দিয়েছে স্থানীয় মানুষেদের মাঝে। একজন ভোটার কর্তৃক এরূপ কর্মকাণ্ড উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বিধিমালা, ২০১৩ এবং উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা, ২০১৬ এর পরিপন্থী এবং শাস্তিযোগ্য একটি অপরাধ।

এদিকে তেঁতুলিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফজলে রাব্বি জানান, একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্বশীল পদে থাকা অবস্থায় তিনি যে কাজটি করেছেন সেটি ঠিক নয়। বিষয়টি নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা দেখবেন। তবে, বিষয়টি আমাদের নজরে আসার সঙ্গে সঙ্গে আমি উপজেলা নির্বাচন ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে অবগত করেছি। বিষয়টি তারা খতিয়ে দেখছেন।


সিল   ব্যালট   ইউপি   চেয়ারম্যান   ফেসবুক   পোস্ট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

প্রকাশ: ১১:০৬ এএম, ১০ মে, ২০২৪


Thumbnail

টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি সৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শুক্রবার (১০ মে) সকাল ১০টা ৫ মিনিটে টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন প্রধানমন্ত্রী।

বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে পুষ্পাঞ্জলি অর্পণের পর তার সম্মানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন তিনি। এ সময় সশস্ত্র বাহিনীর চৌকস সদস্যরা গার্ড অব অনার প্রদান করে।

এরপর বঙ্গবন্ধুসহ ১৫ আগস্ট নিহতদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাত করা হয়। মোনাজাতে স্বাধীনতার জন্য আত্মদানকারী শহীদদের আত্মার মাগফেরাত এবং দেশ ও জাতির শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করা হয়।

মোনাজাতে প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন শেখ রেহানাসহ পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে সকালে সড়কপথে গোপালগঞ্জ আসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

পরে প্রধানমন্ত্রী টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে দাড়িয়াকুল গ্রাম উন্নয়ন সমিতির সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় এবং সুবিধা বঞ্চিতদের মাঝে কৃষি ও শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করবেন।

পরে তিনি টুঙ্গিপাড়া উপজেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র পরিদর্শন করবেন। বিকেলে সড়ক পথে ঢাকায় ফিরে আসবেন তিনি।


টুঙ্গিপাড়া. বঙ্গবন্ধু. প্রধানমন্ত্রী   শ্রদ্ধা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

প্রবাসীদের সুখবর দিল মালয়েশিয়া হাইকমিশন

প্রকাশ: ০৯:০৭ এএম, ১০ মে, ২০২৪


Thumbnail

মালয়েশিয়ার প্রবাসীদের সুখবর দিল হাইকমিশন। দেশটিতে বসবাসরত বাংলাদেশিদের জন্য পেনাং জোহরবারু প্রদেশে পোস্ট অফিসের পাশাপাশি দিন হাতে হাতে পাসপোর্ট ডেলিভারি দেবে হাইকমিশন। সম্প্রতি পাসপোর্ট ভিসা কাউন্সেলর মিয়া মোহাম্মদ কিয়ামউদ্দিন সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ হাইকমিশন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগামী ১৮ ১৯ মে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত পেনাং জর্জ টাউনের বাংলাদেশ অনারারি কনস্যুলেট অফিস থেকে সরাসরি পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে পারবেন বাংলাদেশিরা। এই জন্য আগামী ১৫ মে মধ্যে অনলাইনে আবেদন করতে হবে।

সেই সঙ্গে আগামী ২৫ ২৬ মে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত জহুর বারুর অগ্রণী রেমিট্যান্স হাউস থেকে সরাসরি পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে পারবেন বাংলাদেশিরা। এই জন্য আগামী ২২ মে মধ্যে অনলাইনে আবেদন করতে হবে।

যেসব পাসপোর্ট আবেদনকারীর তথ্য অনলাইনে থাকবে শুধু তারাই সরাসরি উপস্থিত হয়ে হাতে হাতে পাসপোর্ট গ্রহণ করতে পারবেন। ছাড়াও পোস্ট অফিসের মাধ্যমে পাসপোর্ট বিতরণের সার্ভিসটিও যথারীতি চালু থাকবে। নির্ধারিত স্থান থেকে পাসপোর্ট সংগ্রহের জন্য https://appointment.bdhckl.gov.bd/other ঠিকানায় গিয়ে অনলাইনে অ্যাপয়েনমেন্ট গ্রহণ করতে হবে। একইসঙ্গে পাসপোর্ট সংগ্রহের জন্য ডাকযোগ সেবাটি চালু থাকবে।

 

 


প্রবাসী   সুখবর   মালয়েশিয়া   হাইকমিশন  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন