ইনসাইড বাংলাদেশ

মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নে সাফল্যের বছর ২০২৩

প্রকাশ: ০৮:০০ এএম, ২৯ ডিসেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

২০২৩ সাল ছিল বাংলাদেশে মেগা প্রকল্প সমূহের সফল বাস্তবায়নের বছর। স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে বেরিয়ে আসার পথে এগিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য সংখ্যক উন্নয়ন প্রকল্প দেখেছে, যা মেগা প্রকল্প হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা যেতে পারে। বাংলাদেশ ‘ফাস্ট ট্র্যাক প্রকল্প’ হিসেবে বড় বড় অবকাঠামো প্রকল্পগুলো সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে টেকসই ভবিষ্যতের জন্য কার্যকরভাবে বীজ রোপণ করছে।

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র

১ লাখ ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে রাশিয়ার সহযোগিতায় বাংলাদেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ হয় পাবনার রূপপুরে। বাংলাদেশে সবচেয়ে ব্যয়বহুল মেগা প্রজেক্ট হচ্ছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। এটি ২৪০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বাংলাদেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, যার প্রথম ইউনিট ২০২৩ সালে বিদ্যুৎ উৎপাদন কার্যক্রম শুরু করে। রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রে রাশিয়া সরকার ঋণ দিচ্ছে ১ হাজার ১৩৮ কোটি মার্কিন ডলার (১১ দশমিক ৩৮ বিলিয়ন), যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১ লাখ ২৩ হাজার কোটি টাকার বেশি (ডলারপ্রতি ১০৮ টাকা ধরে)। এটিই বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অবকাঠামো প্রকল্প।

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে

রাজধানী ঢাকার যানজট নিরসনের জন্য এটিই হচ্ছে সরকার কর্তৃক গৃহীত সবচেয়ে বড় প্রকল্প। সংযোগ সড়ক সহএটির দৈর্ঘ্য হবে ৪৬.৭৩ কিলোমিটার [৪] এবং ব্যয় হবে ৳১২২ বিলিয়ন টাকা। চলতি বছরের ২ সেপ্টেম্বর তারিখে এলিভেটেড এক্সপ্রেস ওয়ের ফলক আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল

চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু টানেলের মূল কাজ শেষে এ প্রকল্পের উদ্বোধন হয় ২৮ অক্টোবর। এর মাধ্যমে টানেলের যুগে প্রবেশ করে বাংলাদেশ। এই সুড়ঙ্গের মধ্য দিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক যুক্ত হয়। বঙ্গবন্ধু টানেলের দৈর্ঘ্য ৩.৩২ কিলোমিটার। এই সুড়ঙ্গটি বাংলাদেশের প্রথম সুড়ঙ্গ পথ এবং দক্ষিণ এশিয়ায় নদী তলদেশের প্রথম ও দীর্ঘতম সড়ক সুড়ঙ্গপথ।

পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়ে

বাংলাদেশের যোগাযোগের ক্ষেত্রে নতুন দিগন্তের উন্মোচন করেছে পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়ে। রাজধানীর বুকে এই ১২ দশমিক ৩ কিলোমিটার দীর্ঘ ১২ লেনের এক্সপ্রেসওয়ের মাধ্যমে নতুন শহর পূর্বাচলের সাথে যুক্ত হবে নগরীর বাকি অংশ। সরকারি অর্থায়নে নির্মিত এ প্রকল্পে ব্যয় হয় প্রায় ১০ হাজার ৩২৯ কোটি টাকা। যা ২০১৫ সালের ২২ সেপ্টেম্বর একনেক সভায় অনুমোদনের ৮ বছর পরে শেষ হয়।

পদ্মা ব্রিজ রেলওয়ে প্রজেক্ট

সেপ্টেম্বরে পদ্মা সেতু দিয়ে চালু হয় ট্রেন চলাচল। সেতুটির উপরের তলা দিয়ে সাধারণ যানবাহন চলাচল করছে এবং নিচতলা দিয়ে ট্রেন। দেশের দীর্ঘতম সেতুটি দিয়ে ট্রেন চলাচলের কারণে ভাগ্য বদলে যাবে দক্ষিণ অঞ্চলের মানুষের। ঢাকা থেকে বরিশাল যাওয়ার জন্য অন্যতম মাধ্যম এই প্রজেক্টি।

ঢাকা বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল

গত ৭ অক্টোবর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্মাণাধীন তৃতীয় টার্মিনালের সফট ওপেনিং করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০১৭ সালের ২৪ অক্টোবর শাহজালাল বিমানবন্দর সম্প্রসারণ প্রকল্পটির অনুমোদন দেয় একনেক। নির্মাণ কাজে অর্থায়ন করেছে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা)। বৃহৎ এই থার্ড টার্মিনাল প্রকল্পটির ব্যয় প্রথমে ধরা হয়েছিল ১৩ হাজার ৬১০ কোটি টাকা। পরে অবশ্য প্রকল্প ব্যয় ৭ হাজার ৭৮৮ কোটি ৫৯ লাখ টাকা বাড়ানো হয়েছে। পাঁচ লাখ ৪২ হাজার বর্গমিটারের এ টার্মিনালে একসঙ্গে ৩৭টি প্লেন রাখার অ্যাপ্রোন (প্লেন পার্ক করার জায়গা) করা হয়েছে। তবে এ টার্মিনালের সবচেয়ে দৃষ্টিনন্দন হবে মডার্ন টার্মিনাল বিল্ডিং। দুই লাখ ৩০ হাজার স্কয়ার মিটারের বিল্ডিংয়ের ভেতরে থাকবে পৃথিবীর উল্লেখযোগ্য ও অত্যাধুনিক সব প্রযুক্তির ছোঁয়া।

কক্সবাজার রেল সংযোগ প্রকল্প

গত ১১ নভেম্বর ১৮ হাজার কোটি টাকায় নির্মিত দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন প্রকল্প উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এর মধ্য দিয়ে বন্দরনগরী চট্টগ্রামের সঙ্গে রেলপথে যুক্ত হয় কক্সবাজার, তথা ঢাকাসহ সারাদেশ। দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার এবং রামু থেকে মায়ানমারের কাছে ঘুমধুম পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণের জন্য ২০১০ সালে ৬ জুলাই দোহাজারী-রামু-ঘুমধুম রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পটি অনুমোদন পায়। মেগা প্রকল্প হিসেবে ২০১১ সালের ৩ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই সিঙ্গেল লাইন ডুয়েলগেজ রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এই ১০২ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণে ব্যয় হয় ১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। এর অর্থায়ন করেছে এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ও বাংলাদেশ সরকার।

২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় প্রকল্প সংখ্যা ১ হাজার ৩০৯টি। এরমধ্যে বিনিয়োগ প্রকল্প ১ হাজার ১১৮টি, সমীক্ষা প্রকল্প ২২টি, কারিগরি সহায়তা প্রকল্প ৮০টি এবং স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান/ করপোরেশনের নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়নাধীন প্রকল্প ৮৯টি। নতুন এডিপিতে সর্বোচ্চ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ১০টি মেগা প্রকল্পে। বাংলাদেশের রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন সরকারের ট্রাম্প কার্ড হবে দেশের মেগা প্রকল্পগুলো।


মেগা প্রকল্প   ২০২৩   সালতামামি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বাংলাদেশের রূপান্তরের রূপকার শেখ হাসিনা: ওবায়দুল কাদের

প্রকাশ: ০২:১৪ পিএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তনে উন্নয়ন, অর্জন আধুনিকতায় বাংলাদেশ বদলে গেছে। গ্রাম হয়েছে শহর। সেই বাংলাদেশের রূপান্তরের রূপকার এক কথায় শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) তেজগাঁওয়ের রহমতে আলম ইসলাম মিশন এতিমখানায় সুবিধাবঞ্চিতদের মাঝে সুষম খাবার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি কথা বলেন। ১৭ মে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠানের আয়োজন করে দলটির ত্রাণ সমাজকল্যাণ বিষয়ক উপ-কমিটি।

তিনি বলেন, ১৫ বছর ধরে আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের ক্ষমতার রাজনীতিতে অধিষ্ঠিত আছেন। এই ১৫ বছর আগে আর পরে বাংলাদেশের আজকে কী পার্থক্য দেখতে পান? ওই বাংলাদেশের সাথে এই বাংলাদেশের কোনও মিল নেই। ১৫ বছর আগের আর আজকের ঢাকা শহর দিন-রাত পার্থক্য।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হয়েছে। তিনি (প্রধানমন্ত্রী) ফিরে এসেছিলেন বলেই গণতন্ত্র শৃঙ্খলমুক্ত হয়েছে। সংসদে আইন প্রণয়নের মাধ্যমে স্বাধীন নির্বাচন ব্যবস্থা আমরা করতে পেরেছি। স্বপ্নের মেট্রোরেল হয়েছে। নিজের টাকায় পদ্মাসেতু করতে পেরেছি।

আওয়ামী লীগের ত্রাণ সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম প্রমুখ।


বাংলাদেশ   রূপকার   শেখ হাসিনা   ওবায়দুল কাদের  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

মৌলভীবাজার সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৭ দিনের স্থিতাবস্থা

প্রকাশ: ০১:৪৯ পিএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

মৌলভীবাজার সদর উপজেলার নির্বাচন ৭ দিনের জন্য স্থিতাবস্থা জারি করেছেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে এই সময়ের মধ্যে সদর উপজেলার চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী মো. তাজুল ইসলাম তাজের মনোনয়নপত্রের বৈধতা নিয়ে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দিয়েছেন সর্বোচ্চ আদালত।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ৮ বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে তাজের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আহসানুল করিম, সাঈদ আহমেদ রাজা। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। ইসির পক্ষে ছিলেন এম খালেকুজ্জামান।

এর আগে গত ৯ মে মৌলভীবাজারের সদর উপজেলার চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী মো. তাজুল ইসলাম তাজের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মো. ইকবাল কবির ও মো. আখতারুজ্জামানের যৌথ বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।

জানা গেছে, গত ২৮ এপ্রিল মৌলভীবাজার সদর উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী মো. তাজুল ইসলাম তাজের মনোনয়নপত্র আপিল শুনানিতে বাতিল ঘোষণা করেন জেলা প্রশাসক ও আপিল কর্তৃপক্ষ ড. উর্মি বিনতে সালাম।

এরপর তাজুল ইসলাম তাজ মনোনয়নপত্র ফিরে পেতে উচ্চ আদালত রিট আবেদন করেন। ইসি ও রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা জানান, তাজুল ইসলাম তাজ সাজাপ্রাপ্ত আসামি।


উপজেলা নির্বাচন   আদালত  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

লক্ষ্মীপুরে বিনামূল্যে সার ও বীজ বিতরণ


Thumbnail

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলায় কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক ৩ হাজার কৃষকের মধ্যে বিনামূল্যে সার ও বীজ বিতরণ করা হয়েছে।

 

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বেলা ১১ টায় সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এই আয়োজন করেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।

 

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, লক্ষ্মীপুর-৩ সদর আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকু।

 

সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ হাসান ইমাম জানান, ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরের বরাদ্দ ২০২৪-২০২৫ মৌসুমে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় সদর উপজেলার ২১টি ইউনিয়ন ও ১ পৌরসভার ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক ৩ হাজার কৃষকের মধ্যে বিনামূল্যে জনপ্রতি ১ বিঘা আবাদের জন্য আউশ ধান (উফশী) বীজ ৫ কেজি, রাসায়নিক সার ডিএপি ১০ কেজি, এমওপি ১০ কেজি এবং সমন্বিত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্পের আওতায় সরকারি ভুর্তকি মূল্যে ১টি কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিন বিতরণ করা হয়েছে। 

পরে উপকার ভোগীদের হাতে সার ও বীজ তুলে দেন অতিথিরা।


সার ও বীজ   কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সিরাজগঞ্জ শাহজাদপুর থানার ওসি আকস্মাৎ বদলি, চাঁদাবাজির অভিযোগ!

প্রকাশ: ০১:০৯ পিএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর থানার ওসি খায়রুল বাসারকে আকষ্মাৎ বদলি করে সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপর কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপার কার্যালয় থেকে তাকে এ বদলি করা হয় বলে জানা গেছে।  

 

সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মন্ডল বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘পুলিশের রুটিন ওয়ার্ক হিসাবে ওসি খায়রুল বাসারকে বদলি করে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া তার স্থলে ওসি তদন্ত মোঃ আসলাম আলীকে ভারপ্রাপ্ত ওসি হিসাবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

 

মাত্র ৭ মাসের মাথায় তাকে বদলির বিষয়ে একটি সূত্র জানায়, শাহজাদপুর পৌর সদরের আমানত শাহ লুঙ্গির এজেন্ট লিমনের কাছে থেকে ২০০ পিস লুঙ্গি চাঁদাবাজি করে নেওয়ার অভিযোগে তাকে বদলি করা হয়েছে।

 

এ বিষয়ে আমানত শাহ লুঙ্গির এজেন্ট লিমন জানান, ‘শাহজাদপুর থানার ওসি খায়রুল বাসার কিছুদিন আগে তার শো-রুমে ফোর্স পাঠিয়ে ২০০ পিস লুঙ্গি চাঁদা হিসাবে দাবি করে। এতো লুঙ্গি তাকে দিতে অস্বীকার করলে তিনি আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং আমাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন। এ বিষয়ে আমি একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। হয়তো এ কারণে তার এ বদলি হতে পারে।’

 

শাহজাদপুর থানার ওসি খায়রুল বাসার এ অভিযোগ অস্বীকার করে।

 

এ বিষয়ে শাহজাদপুর থানার ওসি (তদন্ত) মোঃ আসলাম আলী বদলির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এটা উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের বিষয়। এ সম্পর্কে আমার কিছু জানা নেই।

এদিকে শাহজাদপুর থানার ওসির অকস্মাৎ বদলির আদেশের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ কিছু নিশ্চিত করে না বলায় জনমনে চাঁদাবাজির বিষয়ে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে। 


ওসি   বদলি   থানা   চাঁদাবাজি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পথ ধরেই বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেলে

প্রকাশ: ০১:০০ পিএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

শেখ হাসিনা স্বদেশে ফিরে না আসলে আমাদের কোন স্বপ্নই সফল হত না। বঙ্গবন্ধুকন্যা পঞ্চমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়ে বাংলাদেশের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশের অভিযাত্রায় আমরা দৃঢ় প্রত্যয়ে এগিয়ে চলেছি।

দীর্ঘ প্রবাস জীবন শেষে শত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও ১৯৮১ সালের ১৭ মে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন আওয়ামী লীগের সভাপতি বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা । বাংলাদেশের মানুষের ভাগোন্নয়নে তার গৃহীত বলিষ্ঠ সব পদক্ষেপ তাকে বিশ্বজুড়া খ্যাতি এনে দিয়েছে । শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল।

সতের মে ছিল শেখ হাসিনা ও স্বাধীনতায় বিশ্বাসী মানুষটির কান্না ঝরানোর দিন। শেখ হাসিনা সেদিন জনসভায় কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেছিলেন, “আমার চাওয়া-পাওয়ার কিছুই নেই এবং হারাবারও কিছুই নেই। আমি মানুষের জন্য উৎসর্গ করেছি জীবন। আমি মানুষের কল্যাণ চাই।”

সেদিন মিটিং শেষে শেখ হাসিনা পিতৃগৃহে ফিরে যেতে পারেন নি জিয়ার বাঁধার কারণে। এরপর চলে শেখ হাসিনার সংগ্রাম, লড়াই ও গণতন্ত্র উদ্ধারের জন্য অবিনাশী আন্দোলন। এ আন্দোলনে বার বার তাকে মৃত্যুমুখে পতিত হতে হয়েছে। কিন্তু বিধাতার অসীম কৃপায় আজও তিনি বেঁচে আছেন। দেশ ও জনগণের সেবায় আত্মনিয়োগ করেছেন।

শেখ হাসিনা ও শেখ রেহেনা বিদেশে অবস্থানকালে ঢাকার ৩২ নম্বর সড়কের ৬৭৭ নম্বর বাড়িতে ঘটে নারকীয় ঘটনা। দেশী বিভীষণ, বিদেশী ষড়যন্ত্র ও স্বাধীনতা বিরোধী একটি চিহ্নিত চক্রের প্রত্যক্ষ মদদে একদল নরপশু বর্বর হত্যাকাণ্ড ঘটায়।

পনেরই আগস্ট শেখ হাসিনা ও শেখ রেহেনা কোথায় ছিলেন? ছিলেন ব্রাসেলসে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সানাউল হকের বাসায়। আগস্টের নারকীয় ঘটনার পরে এই মানুষটি এতিম দুই বোনকে বাসা থেকে তাড়িয়ে দিয়েছিলেন। ঐদিন জাতীয় সংসদের প্রাক্তন স্পিকার হুমায়ুন রশীদ চৌধুরীর পাঠানো গাড়িতে  শোকাতুর দুই বোন জার্মানি ফিরেছিলেন। এরপর পঁচাত্তর থেকে একাশির ১৭ মে পর্যন্ত শেখ হাসিনা ও শেখ রেহেনার দুঃসহ জীবন। তখন স্বদেশে ফিরার কথা চিন্তাও করা যেত না।

১৫ আগস্টের পর খুনি মোশতাক ও জিয়ারা অবৈধভাবে রাষ্ট্রপতি বনে যান। খন্দকার মোশতাক প্রায় তিন মাস ক্ষমতায় ছিলেন। এরপর জিয়ার সকল পাকিস্তানি কর্মকাণ্ড। যথাক্রমে- বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের রেহাই দান, জিন্দাবাদ প্রবর্তন, বাঙালির পরিবর্তে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ প্রবর্তন, সংবিধানের মূল স্তম্ভ পরিবর্তন, মুক্তিযুদ্ধের পরিবর্তে স্বাধীনতা যুদ্ধ সংযোজন, সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতার অবলুপ্তি ঘটিয়ে দেশটিকে হাফ পাকিস্তানে পরিণত করেন। একাত্তরের চরম শত্রু শাহ আজিজকে প্রধানমন্ত্রী পদে নিয়োগ দেন জিয়াউর রহমান। এভাবেই জিয়া ক্ষমতায় ছিলেন ১৯৮১ সাল পর্যন্ত। জিয়া আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে চালায় স্টিম রোলার। বঙ্গবন্ধু শব্দটি ছিল নিষিদ্ধ। এক সময় জিয়া সেনানিবাসে রাজনৈতিক দল গঠন করে রাজনীতি শুরু করেন। খালেদ মোশাররফ ও কর্নেল তাহেরদের ঠান্ডা মাথায় খুন করেন। অপশাসন, সেনাভীতি ও আওয়ামী লীগ সমর্থকদের নিধন ছিল তার নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা।

এমনই এক কঠিন পরিবেশে শেখ হাসিনাকে স্বদেশে ফিরতে হয়। তখন তিনি সর্বহারা। শোক ও বেদনায় মূর্তিমান এক অবয়ব।

শেখ হাসিনা সকল ভয়ভীতি উপক্ষো করে নির্যাতিত নিপীড়িত বাঙালির ভাত ও ভোটের অধিকার এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় দঢ়সংকল্প নিলেন। ভারতে অবস্থানকালে শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। এ সময় মিত্রমাতা ইন্দিরা গান্ধীর সহায়তা লাভ করেন। ভারত তাকে একাত্তরের মতো আশ্রয় দিয়েছিল সেই দুঃসময়ে। 

দেশরত্ন শেখ হাসিনা এখন সারা বিশ্বে এক সুপরিচিত নাম। সে সুখ্যাতি তিনি অর্জন করেছেন নানামাত্রিক কর্মপ্রয়াসের অবিস্মরণীয় অধ্যায় রচনার মাধ্যমে। দক্ষ রাজনীতিবিদ-নীতি আদর্শ আর সততা এবং সাহসী উদ্যোগের অনন্য অসাধারণ গুরুত্বপূর্ণ কর্মকাণ্ডের ফলে দেশ আজ উন্নয়নের বিশ্ব রোল মডেল। বঙ্গবন্ধুকন্যার ক্ষেত্রে এ বিষয়টি বারবার উচ্চারিত হয়েছে যে, তিনি সকল ক্ষেত্রে অসামান্য সোনালি অধ্যায় রচনা করতে সমর্থ হয়েছেন, তা আজ সচেতন নাগরিক সমাজ একবাক্যে স্বীকার করছে।


শেখ হাসিনা   রোল মডেল   বাংলাদেশ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন