ইনসাইড বাংলাদেশ

ফখরুলকে ‘বিশ্বাসঘাতক’ বললেন খালেদা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ৩১ মার্চ, ২০১৮


Thumbnail

বেগম খালেদা জিয়া তাঁর দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে দেখা করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন। ক্ষুব্ধ বেগম জিয়ার তীব্র আপত্তির মুখেই মাঝপথ থেকে ফিরে যান মির্জা ফখরুল। শুক্রবার বেগম জিয়া তাঁর পুত্রবধূ এবং বোনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। ওই সাক্ষাতে তিনি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে ‘বিশ্বাসঘাতক’ বলে মন্তব্য করেন। এজন্যই তিনি তাঁর পরিবারকে দলের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন। বেগম জিয়ার পরিবার এবং কারা সূত্রে এ খবর পাওয়া গেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে, বেগম জিয়া মনে করছেন, সিনিয়র নেতারা তাঁর সঙ্গে ‘বিশ্বাসঘাতকতা’ করছেন। সরকারের সঙ্গে দেন-দরবার করে, ওই নেতারা শুধু নিজেদের জন্য সুবিধা আদায় করছেন। বেগম জিয়া এটাও মনে করেন, সিনিয়র নেতৃবৃন্দ এবং আইনজীবীদের জন্যই তাঁর কারাবাস দীর্ঘায়িত হচ্ছে। এ কারণেই, তাঁর পরিবারের সদস্যদের দিয়েই বিএনপি পরিচালনার নির্দেশ দিয়েছেন দুর্নীতির অভিযোগে দন্ডিত বেগম খালেদা জিয়া।

জিয়া পরিবারের ঘনিষ্ঠরা বলেছেন, বেগম জিয়া গ্রেপ্তার হবার পরপরই তাঁর মুক্তির জন্য সমঝোতার উদ্যোগ নেন শামীম ইস্কান্দার। এই সমঝোতা প্রক্রিয়া অনেকদূর এগুনোর পর হঠাৎ এর সঙ্গে যুক্ত হন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং আরও কয়েকজন সিনিয়র নেতা। এদের মধ্যে অন্যতম হলেন ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন এবং ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ। তারা বেগম জিয়ার মুক্তির সঙ্গে নির্বাচন এবং আসন ভাগাভাগি পর্যন্ত যুক্ত করা শুরু করে।  জিয়া পরিবারের দাবি, ব্যক্তিগত লাভের আশায় এরা মুক্তি প্রক্রিয়াকে জটিল করে তোলে। সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, একপর্যায়ে শামীম ইস্কান্দারকে পাশ কাটিয়ে মির্জা ফখরুলই যোগাযোগ প্রক্রিয়ায় নেতৃত্ব দেন। কারাগারে থাকলেও এই খবর ঠিক পৌঁছে বেগম জিয়ার কাছে।

সূত্রমতে, সমঝোতার খুটিনাটি চূড়ান্ত করতে মির্জা ফখরুল বৃহস্পতিবার নাজিমউদ্দিন রোডে বন্দী বেগম জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাতের আবেদন করেন। এই সাক্ষাতের ব্যাপারে বিএনপি মহাসচিব দলকেও অন্ধকারে রাখেন। দলের নেতাদের তিনি বলেন, ‘ম্যাডাম তাঁর সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছেন।’ কিন্তু বিপত্তি ঘটে তখনই যখন বেগম জিয়া জানতে পারেন যে, মির্জা ফখরুল তাঁর সঙ্গে দেখা করতে আসছেন। তিনি ফখরুলের সঙ্গে দেখা করতে অস্বীকৃতি জানান। এরপরই অসুস্থতার গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে।

জেল সূত্রে জানা গেছে, বেগম জিয়ার আগ্রহেই শুক্রবার প্রয়াত কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শর্মিলা রহমান সিঁথি তাঁর সঙ্গে দেখা করেছেন। শর্মিলাকে তিনি তাঁর (বেগম জিয়ার) মুক্তির সঙ্গে অন্য কিছু না জড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি শুধু উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে চান, কবে তিনি দেশে ফিরতে চান তাও উহ্য রাখতে চান। শুধু এটুকু বলতে চান, ‘যতদিন তাঁর চিকিৎসা চলবে ততদিন তিনি বিদেশে অবস্থান করবেন। বেগম জিয়া এখনই নির্বাচনের ব্যাপারে হ্যাঁ বা না কিছু বলতে রাজি নয়। মূলত এই বিষয়গুলো নিয়েই বিএনপি নেতাদের সঙ্গে তাঁর মতবিরোধ। একাধিক সূত্র বলছে, বেগম জিয়া বলেছেন, নির্বাচনে যাওয়া বা না যাওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণের সময় এখনই না। এটা নির্ভর করবে সে সময়ের পরিবেশ এবং পরিস্থিতির উপর। এসব নিয়ে বিরোধে তিনি সিনিয়র নেতাদের দুষছেন। এখন দল না তাঁর আত্মীয়রাই তাঁর মুক্তির পথ তৈরি করছে এবং সেটি তারা করতে চান বিএনপিকে নিষ্ক্রিয় রেখে। আর সেই কাজটি করবেন প্রয়াত কোকোর স্ত্রী।

এদিকে বেগম জিয়ার শারীরিক অবস্থার মেডিকেল রিপোর্ট সঙ্গে করে নিয়ে এসেছেন সিঁথি। বেগম জিয়ার আত্মীয় স্বজনরা আশা করছেন এসব কাগজ পত্র আদালতে জমা দিলে, সহজেই তাঁর জামিন এবং লন্ডন যাওয়ার সুযোগ হবে। একজন চিকিৎসক তাঁর ব্যবস্থাপত্রে ছয় মাস পর বেগম জিয়াকে আবার দেখা করতে বলেছিলেন।

একাধিক সূত্র বলছে, সরকার তাঁর বিদেশে যাওয়ার ব্যাপারে নমনীয়। তবে, বেগম জিয়া নির্বাচন না করলেও বিএনপি যেন নির্বাচনে আসে সে ব্যাপারে সরকার আগ্রহী।




Read In English: https://bit.ly/2J97Djw


বাংলা ইনসাইডার/জেডএ



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ভোটারদের মধ্যে টাকা বিতরণকালে উপজেলা চেয়ারম্যানসহ আটক ১১

প্রকাশ: ১০:০০ এএম, ০৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

নির্বাচনকে প্রভাবিত করার অভিযোগে প্রায় ২৩ লাখ টাকা পাবনার সুজানগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যানপ্রার্থী, বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহিনুজ্জামান শাহীনকে আটক করেছে র্যাব। এ সময় তার ১১ জন সহযোগীকেও আটক করা হয়।

পাশাপাশি উপজেলা চেয়ারম্যান শাহিনুজ্জামান শাহীনের ব্যবহৃত একটি গাড়িও জব্দ করা হয়েছে।

সোমবার (৬ মে)  দিবাগত রাত ১২টার দিকে সুজানগরের নির্বাচনী এলাকা থেকে তাকে আটক করেন র‌্যাব-১২ পাবনা ক্যাম্পের সদস্যরা।

তাৎক্ষণিকভাবে আটকদের সবার নাম-পরিচয় জানা যায়নি। তবে, আটকদের মধ্যে সুজানগর পৌরসভার ৪ ও ৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলরও রয়েছেন।

শাহিনুজ্জামান শাহীন এবারের উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী। তিনি সুজানগর উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান। এছাড়া, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।

র‌্যাবের কোম্পানি কমান্ডার মেজর মো. এহতেশামুল হক খান বলেন, আগামী ৮ মে সুজানগর উপজেলা নির্বাচন উপলক্ষ্যে আমাদের নিয়মিত টহল দল চর ভবানীপুর এলাকায় টহল দিচ্ছিল। এ সময় উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহীনুজ্জামান শাহীনকে দুই ব্যাগ ভর্তি ২২ লাখ ৮২ হাজার ৭০০ টাকা ও ১০ সহযোগীসহ আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসা বাদে জানা গেছে, ভোটারদের নানাভাবে প্রভাবিত করার জন্য টাকাগুলো বিতরণের জন্য রাখা হয়েছিল। আমরা রিটার্নিং কর্মকর্তাকে জানিয়েছি, তিনি এসে ব্যবস্থা নেবেন।

তিনি জানান, আটকদের র‌্যাবের পাবনা অফিসে নেওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত জানানো হবে।


উপজেলা চেয়ারম্যান   নির্বাচন   র‌্যাব   পাবনা   আওয়ামী লীগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

উপজেলা নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ৪১৮ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন

প্রকাশ: ০৯:৩৪ এএম, ০৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

আসন্ন ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় প্রথম ধাপে ৪১৮ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।

আগামী ৮ মে ২০২৪ তারিখে অনুষ্ঠিতব্য উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে স্থানীয় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তার নিমিত্তে In Aid to the Civil Power এর আওতায় ৬ মে থেকে ১০ মে পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকায় শান্তি-শৃংখলা রক্ষার্থে বিজিবি মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করবে।


উপজেলা   নির্বাচন   আইনশৃঙ্খলা   ৪১৮ প্লাটুন বিজিবি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

টাঙ্গাইল শাড়ি নিয়ে ভারতে লফার্ম নিয়োগ বাংলাদেশের

প্রকাশ: ১০:০৬ পিএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

টাঙ্গাইলের শাড়ির জিআই স্বত্ব রক্ষার জন্য আইনি লড়াই করতে ভারতীয় আইনজীবী ফার্ম নিয়োগ দিয়েছে সরকার। ‘মাসন অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটস’কে ভারতের আদালতে মামলা পরিচালনার জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (৬ মে) বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে লিখিতভাবে এ তথ্য জানায় শিল্প মন্ত্রণালয়। একইসঙ্গে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা থেকে শতাধিক জিআই পণ্যের তালিকা করে আদালতে দাখিল করা হয়েছে। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সারোওয়াত সিরাজ শুক্লা।

সারোওয়াত সিরাজ শুল্কা বলেন, ‘বাংলাদেশের মেধাসত্ত্বের ইতিহাসে একটি যুগান্তকারী ঘটনা। বাংলাদেশের জিআই পণ্যের অধিকার রক্ষার জন্য সরকার আইনজীবী ফার্ম ভারতে নিয়োগ করেছে। ‘মাসন অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটস’ নামে একটি ভারতীয় ল ফার্ম বাংলাদেশের টাঙ্গাইল শাড়ি নিয়ে ভারতের মাটিতে লড়াই করবে। তারা রেকটিফিশনের জন্য, বাতিল করার জন্য আবেদন করবেন বলে জানতে পেরেছি। এটি আমাদের জন্য একটি বিরাট বিজয়।’

উল্লেখ্য, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের সকল জিআই পণ্যের তালিকা করতে সরকারকে নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। ১৯ মার্চের মধ্যে এ তালিকা আদালতে দাখিল করতে বলা হয়। একইসঙ্গে জিআই পণ্যের তালিকা তৈরি ও রেজিস্ট্রেশনে কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করে আদালত।

১৮ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের সব জিআই পণ্যের তালিকা তৈরির নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে জনস্বার্থে রিট করেন টাঙ্গাইলের মেয়ে ব্যারিস্টার সারোওয়াত সিরাজ শুক্লা।

এর আগে ৩ ফেব্রুয়ারি ‘টাঙ্গাইল শাড়ি বাংলাদেশের নয়, দাবি ভারতের’ এমন শিরোনামে সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়। ওই খবর প্রকাশের পর বিষয়টি নজরে আসে সরকারের। এ নিয়ে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় টাঙ্গাইল শাড়ি বাংলাদেশের বলে জানান। পরবর্তীতে ৮ ফেব্রুয়ারি টাঙ্গাইল শাড়িকে জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে গেজেট প্রকাশ করে বাংলাদেশের শিল্প মন্ত্রণালয়।


টাঙ্গাইল শাড়ি   জিআই পণ্য  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

লক্ষ্মীপুরে শিক্ষক লাঞ্চিতের ঘটনায় শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ


Thumbnail

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার নন্দীগ্রাম বদরপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের লাঞ্চিত ও জমি দখলের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করেছে। এসময় তারা বিক্ষোভ মিছিলসহ সড়কে অবস্থান নেয়। 

সোমবার (৬ মে) দুপুরে সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়নের নন্দীগ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ গিয়ে বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটি ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের সড়ক থেকে শ্রেণিকক্ষে নিয়ে যায়। 

দশম শ্রেণির কয়েকজন শিক্ষার্থী জানায়, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ কয়েকজন শিক্ষককে বহিরাগতরা লাঞ্চিত করার খবর পেয়ে তারা বিক্ষোভ করেছে। পরে পুলিশ এসে বিষয়টির সমাধানের আশ্বাস দিলে তারা ক্লাসরুমে ফিরে যায়।

নন্দীগ্রাম বদরপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো: আমির হোসেন বলেন, বিদ্যালয়ের জমি জোর করে স্থানীয় কয়েকজন দখল করতে চান। এ নিয়ে একাধিক সালিশ হলেও তা সমাধান হয়নি। রাতের বেলায় কিংবা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলে দখলবাজরা প্রতিষ্ঠানটির সম্পত্তি নিজের আয়ত্তে নিতে চায়। প্রতিষ্ঠানের ফল লুটে বাধা দেয়ায় শিক্ষক লাঞ্চিতের ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন তিনি।

প্রতিষ্ঠানটির প্রধান শিক্ষক মো: বেলাল হোসাইন জানান, প্রতিষ্ঠানটির ৪৪৯ দাগে ১ একর ৯৪ শতক দালিলিক ও দখলীয় সম্পত্তি রয়েছে। সম্প্রতি নন্দীগ্রাম নাগের বাড়ির মনোয়ার ও লিটন প্রতিষ্ঠানের সম্পত্তির ওপর প্রাচীর নির্মাণ করার চেষ্টা চালায়। এনিয়ে একাধিক সালিশ বৈঠক হলেও সমাধান না হওয়ায় আদালতে মামলা দায়ের করা হয়। সোমবার সকালে একই বাড়ির সুমন ও রুবেল প্রতিষ্ঠানের গাছ থেকে ফল লুট করার সময় শিক্ষকরা বাধা দিলে তারা তাদের লাঞ্চিত করে। এসময় শিক্ষকদের হত্যার হুমকিও দেয় তারা। এঘটনা জানাজানি হলে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে শিক্ষার্থীরা। পরে তাদেরকে বুঝিয়ে শ্রেণিকক্ষে ফিরিয়ে আনা হয়। এঘটনায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান তিনি।

এদিকে সম্পত্তির মালিকানা নিয়ে বিরোধের কথা জানান অভিযুক্ত সুমন ও রুবেল।

চন্দ্রগঞ্জ থানার ওসি এমদাদুল হক জানায়, অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে শিক্ষার্থীদের ক্লাসরুমে ফিরিয়ে নেয়া হয়েছে। প্রধান শিক্ষক অভিযোগ দিলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

লক্ষ্মীপুর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

চাকরিতে বয়সসীমা বাড়ানোর কোনো সিদ্ধান্ত নেই: জনপ্রশাসনমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৮:২৭ পিএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর বিষয়টি নীতিগত সিদ্ধান্তের। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এ নিয়ে আরও আলাপ-আলোচনা করতে হবে। তবে আপাতত বয়সসীমা বাড়ানোর কোন সিদ্ধান্ত নেই।

সোমবার (৬ মে) জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে পৃথক দুটি সম্পূরক প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে মন্ত্রী এ তথ্য জানান। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠকের শুরুতে প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠিত হয়। এসময় সম্পূরক প্রশ্নে চাঁদপুর-৫ আসনের রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম ও সংরক্ষিত আসনের এমপি ফরিদা ইয়াসমিন চাকরির বয়সসীমা বাড়ানোর পরিকল্পনা আছে কিনা তা জানতে চান।

রফিকুল ইসলাম তার প্রশ্নে বলেন, সরকারি চাকরিতে যোগদানের যে বয়সসীমা রয়েছে তা অনেক আগে নির্ধারণ করা হয়েছিল। ইতোমধ্যে আমাদের দেশের মানুষের আয়ুষ্কাল ৬২ বছর থেকে ৭২ বছরে এসে পৌঁছেছে। এখন এটা অত্যন্ত যৌক্তিক হবে সরকারি চাকরিতে যোগদানের বর্তমান বয়সসীমা শিথিল করে অন্তত ৩৫ বছরের কাছে নিয়ে যান। এটা হলে কর্মসংস্থানের অভাবে আমাদের হতাশাগ্রস্ত তরুণ ও যুব সমাজ প্রতিযোগিতায় এসে সরকারি চাকরিতে ঢুকতে পারবে। আমি সরকারকে অনুরোধ করব বয়সসীমা শিথিল করার সময় এসেছে। সরকারি চাকরিতে যোগ দেওয়ার সুযোগ সৃষ্টির সময় হয়েছে। আমাদের ‘না’ একটা মনোভাব রয়েছে— এটা থেকে বেরিয়ে ‘হ্যাঁ’-তে চলে আসতে হবে।

জবাবে জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, গত ১৫ বছরে সরকার অনেক যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। চাকরির বয়স ছিল ২৭ বছর, সেখান থেকে বাড়িয়ে ৩০ বছরে উন্নীত করা হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য সেটা ৩২ বছর করা হয়েছে। চাকরি থেকে অবসরের বয়স ৫৭ বছর থেকে বাড়িয়ে ৫৯ বছর করা হয়েছে। আমরা সবসময় যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে জনবল কাঠামো ও নিয়োগ প্রক্রিয়া আধুনিকায়ন করে থাকি। যুগের সঙ্গে সম্পর্ক রেখে আমরা পরিবর্তনও করে থাকি।

চাকরিতে প্রবেশ ও বেরিয়ে যাওয়ার (অবসর) বয়সটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, সরকারি চাকরি ঘিরে এখন বেশ আকর্ষণ তৈরি হয়েছে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অত্যন্ত মেধাবীরা ক্যাডার সার্ভিসে যোগদান করছেন। সরকারি চাকরির পরিবেশ থেকে শুরু করে বেতন কাঠামো নতুন প্রজন্মের কাছে বড় আকর্ষণ তৈরি করেছে। সরকারের কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ততা একটি সম্মানের বিষয়। আবার চাকরির নিরাপত্তা থেকে শুরু করে বেতন কাঠামো অত্যন্ত সুন্দর এবং কাজের পরিবেশও সুন্দর হয়েছে।

বয়স বাড়ানো প্রশ্নে তিনি বলেন, এটি নীতিগত সিদ্ধান্তের বিষয়। আমরা সবসময় বলে আসছি, ফ্রেশ গ্র্যাজুয়েট যারা তাদের রিক্রুট করতে চাই। এটা সরকারের একটা পলিসি। আমরা বিসিএস-এর মাধ্যমে দেখে থাকি ২২/২৩ বছর বয়স থেকেই তারা বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নিয়ে থাকেন। তারা ৬/৭ বছর সময় পেয়ে থাকেন। এজন্য তারা যোগদানের যথেষ্ট সময় পাচ্ছেন।

প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়টি সংসদে জানিয়েছেন উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, আমরা সবসময় যুগের প্রয়োজনে নতুন যেটা করলে ভালো হবে সেটা চিন্তা-ভাবনা করে থাকি। তবে আমি মনে করি, এটা নীতিগত সিদ্ধান্ত। আমরা চাকরির বয়স-আগামীতে বাড়াব কী বাড়াব না, বাড়ালে ভালো হবে কিনা?— এটা আমাদের নীতিগত সিদ্ধান্তের বিষয়। এটা নিয়ে ভবিষ্যতে আরও আলাপ-আলোচনার মধ্য দিয়ে আমরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারব।

সংরক্ষিত আসনের ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, চাকরির বয়স ৩৫ বছর করার জন্য শিক্ষামন্ত্রী একটি আধাসরকারি পত্র (ডিও লেটার) দিয়েছেন। সরকারের এটা নিয়ে কোনো পরিকল্পনা আছে কিনা?

জবাবে মন্ত্রী বলেন, শিক্ষামন্ত্রীর কাছ থেকে এ ধরনের একটি পত্র আমরা এরইমধ্যে পেয়েছি। আগেই বলেছি এটা আমাদের নীতিগত সিদ্ধান্তের বিষয়। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আরও আলাপ-আলোচনা করব। তবে আপাতত চাকরির প্রবেশের বয়স বাড়ানোর ক্ষেত্রে আমাদের সিদ্ধান্ত নেই। এটা নিয়ে আরও আলোচনা-পর্যালোচনা করে ভবিষ্যতে দেখব।

সরকারি চাকরি   জনপ্রশাসনমন্ত্রী   ফরহাদ হোসেন  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন