বিশ্ব ব্যাংকের বিকল্প নির্বাহী পরিচালকের দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করে দেশে ফিরে এসেছেন ড. আহমদ কায়কাউস। এখন তিনি নতুন দায়িত্বের অপেক্ষায় রয়েছেন। ২০২২ সালের ৭ ডিসেম্বর তাকে বিশ্ব ব্যাংকের বিকল্প নির্বাহী হিসাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। এসময় তিনি চুক্তিতে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের দায়িত্ব পালন করছিলেন। মুখ্যসচিবের দায়িত্ব থেকে বিশ্ব ব্যাংকের বিকল্প নির্বাহী পদে অভিষিক্ত হন দক্ষ এই আমলা। এরপর নির্বাচনের সময় তিনি ঢাকায় আসেন এবং প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বিশ্ব ব্যাংকের দায়িত্ব পালনে তার অস্বস্তি এবং অনীহার কথা জানান। তিনি দেশে থাকতে চান এবং দেশে এ কাজ করতে চান।
বিভিন্ন সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রীকে তিনি বলেছেন যে তার কোনও দায়িত্ব দরকার নেই, তিনি যুক্তরাষ্ট্রে আর থাকতে চান না। এরকম বাস্তবতায় বিশ্ব ব্যাংকের বিকল্প নির্বাহী পরিচালকের পদ থেকে তিনি পদত্যাগ করেন। ইতোমধ্যে তার পদত্যাগপত্র অনুমোদনের কাজ চলছে।
তবে এ নিয়ে কেন গোপনীয়তা অবলম্বন করা হচ্ছে? এ রকম প্রশ্নের জবাবে সরকারের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, বিশ্ব ব্যাংকের বিকল্প নির্বাহী পদ থেকে পদত্যাগ বাস্তবায়ন একটি জটিল প্রক্রিয়া। এতে বিশ্বব্যাংকের যেমন সম্মতির প্রয়োজন হয়, তেমনি বাংলাদেশেরও অনুমোদন প্রয়োজন হয়। এজন্য পদত্যাগ গৃহীত হতে সময় লাগছে। নতুন বিকল্প নির্বাহী ঠিক হলেই একসঙ্গে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।
বর্তমানে ড. কায়কাউস ঢাকায় অবস্থান করছেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে, আগামী ২১ অথবা ২২ তারিখের দিকে তিনি আবার ওয়াশিংটন ফিরে যাবেন। সেখানে তিনি পদত্যাপ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ঢাকা আসবেন বলে জানা গেছে। তবে, তিনি কী ধরনের দায়িত্ব পাবেন না পাবেন এ সম্পর্কে এখন পর্যন্ত অস্পষ্টতা রয়েছে।
সরকারের একটি দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, ড. কায়কাউসকে অপেক্ষা করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আগামী ছয় মাস তিনি কোনও সরকারি দায়িত্ব পালন করবেন না বলেই সরকারের পক্ষ থেকে তাকে বার্তা দেওয়া হয়েছে।
তবে অন্য একটি সূত্র এ ধরনের বক্তব্যকে নাকচ করে দিয়েছেন। তারা বলছেন যে, মহিলা এমপি হওয়ার পরেই মন্ত্রিসভার রদবদল হবে এবং মন্ত্রিসভার আকার বড় হবে। এই সময়ে কায়কাউস মন্ত্রী বা উপদেষ্টা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হতে পারেন। তবে, ড. কায়কাউস কি হবেন না হবেন সেটির চেয়ে বড় কথা তিনি এখন বাংলাদেশেই অবস্থান করছেন।
বাংলাদেশ ড. কায়কাউস ব্যাংক যুক্তরাষ্ট্র
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তাপদাহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাত ধাপে অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ের ভোট হয় ১৯ এপ্রিল এবং সেখানে ১০২টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় দফায় ২৬ এপ্রিল ৮৯টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। চতুর্থ দফায় ভোট হবে ৭ মে। সেখানে ৯৪টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে এবং সপ্তম দফায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে পয়লা জুন। আর ৪ জুন নির্বাচনের ফলাফল জানা যাবে।
প্রথম দুই দফা ভোটের যে হার, তাতে বিজেপির মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। বিজেপির নেতারা ভোটে যে ভূমিধস বিজয় আশা করছিলেন সেটি হবে না। ভারতের কোন কোন গণমাধ্যমগুলো ভোটের ফলাফলে নাটকীয় ঘটনা ঘটারও ইঙ্গিত দিচ্ছে। বিশেষ করে ২০০৪ সালের নির্বাচনে যেভাবে কংগ্রেস অটলবিহারী বাজপেয়ীর নেতৃত্বে বিজেপিকে ধরাশায়ী করেছিল সেরকম কোন ঘটনা ঘটতেও পারে বলে মনে আশঙ্কা করছেন অনেকে। অবশ্য এখনও আরও পাঁচ দফা ভোট বাকি আছে এবং বিজেপি আশা করছে যে, পরবর্তী ধাপগুলোতে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে এবং বিজেপি তাদের জয়ের ধারা অক্ষুণ্ণ রাখবে। নরেন্দ্র মোদি ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে দেওয়ার জন্য বারবার আহ্বান জানাচ্ছেন।
ভারতের নির্বাচনের ফলাফল কী হবে তা বোঝা যাবে আগামী ৪ জুন। কিন্তু এখন পর্যন্ত যে ভোটের হাওয়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে তাতে এটা স্পষ্ট যে, ভোটের আগে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি জোটের যে নিরঙ্কুশ বিজয়ের ধারণা করা হয়েছিল, সেটি বাস্তবতা নাও পেতে পারে। আর এ কারণেই মোদী যদি শেষ পর্যন্ত পরাজিত হন, তাহলে সেটি হবে ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি বড় ব্যতিক্রমী ঘটনা এবং এটি হবে ভারতের নির্বাচনের সবচেয়ে বড় চমক।
এখন যখন ভারতের নির্বাচনে একটি হাড্ডাহাড্ডি লড়াই বা অনিশ্চয়তার ফলাফলের শঙ্কা জেগেছে তখন প্রশ্ন উঠছে যে, বিজেপি যদি এই নির্বাচনে পরাজিত হয় তাহলে বাংলাদেশে কী হবে? গত দুটি নির্বাচনে ভারতের বিজেপি সরকার বাংলাদেশকে নিরঙ্কুশভাবে সমর্থন দিয়েছে। ২০১৮ এবং ২০২৪ এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছে বিজেপি সরকার।
বিশেষ করে ২০২৪ এর নির্বাচনে ভারতীয় সরকারের পরিপূর্ণ সমর্থন ছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই নির্বাচনে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করত এবং এই নির্বাচনকে অস্বীকৃতি জানাত বলেও অনেকে মনে করেন। মার্কিন মনোভাব পাল্টানোর ক্ষেত্রে ভারত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। আর নির্বাচনের পর বিএনপি থেকে শুরু করে জাতীয় পার্টি প্রত্যেকেই বলছে যে, ভারত বর্তমান সরকারকে ক্ষমতায় রেখেছে। যদিও এরকম অভিযোগকে আওয়ামী লীগ অস্বীকার করে এবং আওয়ামী লীগ মনে করে যে, জনগণের ভোটে তারা নির্বাচিত হয়েছে। কিন্তু ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি আওয়ামী লীগ বা বিজেপি কেউই অস্বীকার করে না।
এখন প্রশ্ন হল, যদি বিজেপি পরাজিত হয়, ইন্ডিয়া জোট ক্ষমতায় আসে তাহলে বাংলাদেশের সমীকরণ কী হবে? কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন যে, বর্তমান সরকারের জন্য সমীকরণের কোন পরিবর্তন হবে না। কারণ ইন্ডিয়া জোটের সঙ্গেও আওয়ামী লীগ সরকারের একটি সুসম্পর্ক রয়েছে। ইতোমধ্যে ইন্ডিয়া জোটের প্রধান দল কংগ্রেস তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের বার্তা দিয়েছে।
অনেকে মনে করেন যে, এখন ভারতে কট্টর হিন্দুত্ববাদী মনোভাবের কারণে সীমান্তে অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে। মুসলিম বিদ্বেষী বক্তব্য রাখা হচ্ছে। যার ফলে বাংলাদেশের মধ্যে একটা ভারতবিরোধী মনোভাব তৈরি হচ্ছে। শেষ পর্যন্ত যদি নরেন্দ্র মোদি তাহলে এই অবস্থানের পরিবর্তন হবে। দুই দেশের সম্পর্ক আরও বিকশিত হবে বলেও মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ভারত লোকসভা নির্বাচন মল্লিকার্জুন খাড়গে নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাত ধাপে অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ের ভোট হয় ১৯ এপ্রিল এবং সেখানে ১০২টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় দফায় ২৬ এপ্রিল ৮৯টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। চতুর্থ দফায় ভোট হবে ৭ মে। সেখানে ৯৪টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে এবং সপ্তম দফায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে পয়লা জুন। আর ৪ জুন নির্বাচনের ফলাফল জানা যাবে।