ইনসাইড বাংলাদেশ

নির্বাচন কমিশনের তফসিলের অপেক্ষায় সংরক্ষিত আসনের মনোনয়ন

প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ২১ জানুয়ারী, ২০২৪


Thumbnail

জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত আসন ৫০ টি। নারীদের জন্য সংরক্ষিত এই আসনগুলোতে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার আনুপাতিক হারে অর্থাৎ একটি রাজনৈতিক দল জাতীয় সংসদে সরাসরি ভোটে যে আসনগুলো পায় তার আনুপাতিক হারে তাদেরকে নারী সংসদ সদস্য নির্বাচনের ক্ষমতা দেওয়া হয়। ওই দলের পক্ষ থেকে যারা মনোনীত হন এবং যাদেরকে মনোনীত ঘোষণা করা হয়, তারাই নারী সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। 

এবারের নির্বাচনে যে ফলাফল সেই ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, আওয়ামী লীগ এবার ৩৮ টি নারী সংসদ সদস্য পাবে। অন্যদিকে জাতীয় পার্টি পাবে ২টি। আর স্বতন্ত্ররা পাবে ১১ টি। অর্থাৎ এই আনুপাতিক বিশ্লেষণে স্বতন্ত্র এবং আওয়ামী লীগ মিলিয়ে মোট ৪৮ টি আসনে মনোনয়ন দেবে আওয়ামী লীগ। কারণ সংরক্ষিত যারা হয়েছেন, তারা প্রায় সবাই আওয়ামী লীগের। 

আওয়ামী লীগের বিভিন্ন দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, নারী সংসদ সদস্য কারা হতে পারে বা কাদের সম্ভাবনা রয়েছে এ রকম সম্ভাব্য তালিকা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনেক আগেই চূড়ান্ত করে রেখেছেন। এছাড়াও যদি কোন চমক হিসাবে ভাল প্রার্থী আসে সেটিও বিবেচনা করা হবে, কিন্তু আনুষ্ঠানিক ভাবে মনোনয়ন বাছাইয়ের কাজ আওয়ামী লীগ শুরু করতে পারছে না। এই ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের আইনগত বাধ্যবাধকতা রয়েছে বলে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল নেতারা বলছেন। কারণ ৫০ জন সংসদ সদস্য হিসাবে কারা নির্বাচিত হবেন বা হবেন না এটি হওয়ার আগে নির্বাচন কমিশনকে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে হবে। 

সংবিধান এবং নির্বাচন আইন অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন সংরক্ষিত আসনে নির্বাচনের জন্য একটি তফসিল ঘোষণা করে এবং অন্য নির্বাচনের মতো এই নির্বাচনেও মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া, মনোনয়নপত্র বাছাই এবং চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের একটি নির্ধারণ থাকে। যেহেতু নির্বাচন কমিশন এখন পর্যন্ত এই সংরক্ষিত আসনে নির্বাচনের কোনো তফসিল ঘোষণা করেনি, সে কারণেই আওয়ামী লীগ মনোনয়নপত্র প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করেনি।

আওয়ামী লীগের নেতারা বলছেন, নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণা করার সাথে সাথেই তারা মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু করবে। এরপর মনোনয়ন সংক্রান্ত সংসদীয় বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত হবে। এই সভায় প্রার্থীদের তালিকা চূড়ান্ত করা হবে। তবে স্বতন্ত্রদের জন্য সংরক্ষিত যে ১১ টি আসন সেটিতে কিভাবে নির্বাচন হবে বা সেই আসনগুলোর ব্যাপারে কিভাবে সরকার সিদ্ধান্ত নিবে সে ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কোন চিন্তা ভাবনা হয়নি।

যারা স্বতন্ত্র ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন তারা নিজেরাই নিজেদের পছন্দের প্রার্থী আছে কিনা বা তারা জোটবদ্ধ হয়ে কোন প্রার্থী দেবেন কিনা সে বিষয়টিও নিশ্চিত হয়নি। তবে অন্তত দুইজন স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য বলেছেন, বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর নজরে আছে। প্রধানমন্ত্রী স্বতন্ত্রদের সাথে কথা বলে তাদের কোটার ১১ জন নারী সংসদ সদস্য চূড়ান্ত করার ব্যবস্থা নিবেন। সে হিসেবে ৪৮ টি আসনেই আওয়ামী লীগ এবার নারী সংসদ সদস্য মনোনয়ন দেবে।

নির্বাচন কমিশন   তফসিল   সংরক্ষিত আসন   জাতীয় সংসদ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

উপজেলা নির্বাচন: কুতুবদিয়ায় ভাতিজার কাছে হারলেন চাচা

প্রকাশ: ১১:৪২ এএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপে কক্সবাজারের কুতুবদিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হানিফ বিন কাশেম। তিনি নির্বাচনে তার চাচা জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট ফরিদুল ইসলাম চৌধুরীকে পরাজিত করেন। এ দ্বীপ উপজেলায় প্রথমবারের ভোটের মাঠে এসে বাজিমাত করেছেন ব্যারিস্টার হানিফ। তিনি বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ফরিদুল ইসলামের ভাতিজা। চাচাকে হারিয়ে দ্বীপের হাল ধরলেন তিনি।

বুধবার (৮ মে) অনুষ্ঠিত নির্বাচনে প্রাপ্ত ফলাফল অনুযায়ী ঘোড়া প্রতীক নিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হানিফ বিন কাশেম ২৭,২৪৯ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আছহাব উদ্দিন আনারস প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৫,৪৩৮ ভোট।

এ ছাড়া অন্য আরেক প্রার্থী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে ৩৯৬৫ ভোট পেয়েছেন। কুতুবদিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ মাঈনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এর আগে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এ উপজেলায় শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।


উপজেলা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

আইএমএফের চাপে এমপিদের শুল্কমুক্ত গাড়ি সুবিধা বাতিলের চিন্তায় এনবিআর

প্রকাশ: ১১:০০ এএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

নির্বাচিত হওয়ার পর কোনোরকম শুল্ক ছাড়াই বিদেশ থেকে গাড়ি আমদানি করতে পারেন সংসদ সদস্যরা। তবে এবার আইনপ্রণেতাদের এমন সুবিধা বাতিলের চিন্তা করছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। শুল্কমুক্ত ব্যবস্থা তুলে দিয়ে সংসদ সদস্যদের গাড়ি আমদানিতে ৫ থেকে ২৫ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপের পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

জানা গেছে, মূলত আইএমএফের চাপের কারণেই সংসদ সদস্যদের শুল্কমুক্ত গাড়ি আমদানি সুবিধা তুলে দেওয়ার পথে হাঁটছে এনবিআর। এনবিআরের সঙ্গে বৈঠকে আইএমএফ প্রতিনিধিরা শুল্কমুক্ত সুবিধা দেওয়ার বিরোধিতা করেন। এ ছাড়া রাজস্ব ঘাটতি পূরণে এনবিআরের কী ধরনের প্রস্তুতি বা কৌশল, তা জানতে চান।

এনবিআরের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘আইএমএফ সাধারণত শুল্কমুক্ত সুবিধার বিপক্ষে। তারা চায় সরকারের রাজস্ব আহরণ বাড়ানো হোক। এজন্য অব্যাহতি সুবিধা প্রত্যাহারের পরামর্শ দিয়েছে তারা। সবদিক বিবেচনায় নিয়ে সংসদ সদস্যদের গাড়ি আমদানিতে তুলনামূলক কম হারে শুল্ক আরোপ করা হতে পারে।’

তবে এমপিদের শুল্কমুক্ত গাড়ি আমদানি সুবিধা তুলে দেওয়ার চিন্তা শেষ পর্যন্ত কার্যকর হবে কি না—দুটি বৈঠকের সিদ্ধান্তের ওপর তা নির্ভর করছে। এর মধ্যে আগামী রোববার অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবেন এনবিআর চেয়ারম্যানসহ বাজেট সংশ্লিষ্টরা। এরপর আগামী ১৪ মে বাজেট নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের কথা রয়েছে। মূলত প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

সূত্র জানায়, আগামী (২০২৪-২৫) অর্থবছরের বাজেটে সংসদ সদস্যদের গাড়ি আমদানির শুল্কমুক্ত সুবিধা বাতিল করে নতুন করে শুল্কারোপ করার প্রস্তাব করা হতে পারে। এ ক্ষেত্রে শুল্কহার হতে পারে ৫ থেকে ২৫ শতাংশ পর্যন্ত। দেশে গাড়ি আমদানিতে বিদ্যমান শুল্ক হারের তুলনায় এটিও অনেক কম। বর্তমানে গাড়ি আমদানির জন্য সিসিভেদে ৮৯ শতাংশ থেকে ৮৫০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক পরিশোধ করতে হয়। সেই হিসেবে একটি গাড়ির দাম ১ লাখ টাকা হলে সেটি আমদানির জন্য কমপক্ষে আরও ৮৯ হাজার টাকা শুল্ক পরিশোধ করতে হয়। আর সর্বোচ্চ হার ধরা হলে শুল্ক দাঁড়ায় ৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা।

সূত্র আরও জানায়, আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরে শুল্ক খাতে রাজস্ব আহরণ বাড়াতে হবে সাড়ে ৮ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে বড় অংশ আসবে বকেয়া আদায় ও শুল্কহার পুনর্বিন্যাসের মাধ্যমে। এ ক্ষেত্রে কোনো ধরনের শুল্ক ছাড় চায় না আইএমএফ। বিভিন্ন খাতে বিদ্যমান শুল্ক অব্যাহতি তুলে দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে তারা।


আইএমএফ   এমপি   শুল্কমুক্ত গাড়ি   এনবিআর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

উপজেলা নির্বাচন: প্রথম নারী চেয়ারম্যান হলেন তারা

প্রকাশ: ১০:৫৩ এএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে রোমা আক্তার বিজয়ী হয়েছেন। রোমা আক্তার নাসিরনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি। নাসিরনগরে এই প্রথমবারের মতো কোনো নারী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হলেন।

প্রাপ্ত ফলাফল অনুযায়ী, বেসরকারিভাবে নির্বাচিত রোমা আক্তার পেয়েছেন ৩৪ হাজার এক ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক বিএনপি নেতা ওমরাও খান পেয়েছেন ১৮ হাজার ৩৮০ ভোট।

এদিকে নীলফামারীর ডোমার উপজেলা পরিষদে সাত প্রার্থীকে হারিয়ে প্রথম নারী চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন সরকার ফারহানা আখতার সুমি। তিনি টেলিফোন প্রতীকে পেয়েছেন ৩১ হাজার ৪২১ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তোফায়েল আহমেদ (আনারস) পেয়েছেন ২৩ হাজার ১৩৪ ভোট। সরকার ফারহানা আখতার সুমি জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য।

বুধবার (৮ মে) সুষ্ঠু পরিবেশে এই দুই উপজেলাতে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। সকালে ভোটার উপস্থিতি কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটার উপস্থিতি বাড়তে থাকে। মূলত ধান কাটার মৌসুমের কারণে ভোটার উপস্থিতি অপেক্ষাকৃত কম ছিল বলে অনেকে মতামত ব্যক্ত করেছেন।


উপজেলা নির্বাচন   নারী চেয়ারম্যান  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

‘ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে বেঁচে থাকবেন ড. ওয়াজেদ মিয়া’

প্রকাশ: ১০:৪৫ এএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, ড. ওয়াজেদ মিয়া তার কর্মের জন্য ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে বেঁচে থাকবেন। তিনি ছিলেন দেশে আণবিক গবেষণার পথিকৃৎ। পরমাণু গবেষণায় তিনি উল্লেখযোগ্য অবদান রেখে গেছেন এবং বাংলাদেশ আণবিক শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন পদে দক্ষতা ও সাফল্যের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন। তার গবেষণা কর্মের পরিধি ছিল অত্যন্ত ব্যাপক।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার ১৫তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন। রাষ্ট্রপতি এ উপলক্ষে ওয়াজেদ মিয়ার স্মৃতির প্রতি নিবেদন করেন গভীর শ্রদ্ধা।

মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, ড. ওয়াজেদ মিয়া ১৯৪২ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি রংপুরের পীরগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। তার ডাক নাম ছিল সুধা মিয়া। অসাধারণ মেধার অধিকারী সুধা মিয়া শৈশব থেকেই ছিলেন শিক্ষানুরাগী, যার প্রতিফলন ঘটে তার শিক্ষা ও কর্মজীবনে।

রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া বাংলাদেশ আণবিক শক্তি বিজ্ঞানী সংঘের দুইবার সাধারণ সম্পাদক ও পাঁচবার সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়া তিনি বাংলাদেশ পদার্থবিজ্ঞানী সমিতি, বাংলাদেশ বিজ্ঞান উন্নয়ন সমিতি, বাংলাদেশ বিজ্ঞানী ও বিজ্ঞানজীবী সমিতিসহ বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ১৯৯৭ সালে তারই পরামর্শ ও পৃষ্ঠপোষকতায় জাতীয় সমন্বিত উন্নয়ন ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠিত হয়। ড. ওয়াজেদ মিয়া তার কর্মের জন্য ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে বেঁচে থাকবেন। বিজ্ঞানমনস্ক জাতি গঠনে ড. ওয়াজেদ মিয়ার আদর্শ নতুন প্রজন্মের জন্য পাথেয় হয়ে থাকবে।

রাষ্ট্রপতি বলেন, ড. ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান গবেষণার পাশাপাশি জাতীয় রাজনীতিতে নীরবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে গেছেন। ষাটের দশকে তিনি ছাত্রলীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত হন। ১৯৬২ সালে আইয়ুব খানের সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে গিয়ে তিনি গ্রেপ্তার হন এবং কিছুদিন জেলে কাটান। ১৯৬৭ সালের ১৭ নভেম্বর জাতির পিতার জ্যেষ্ঠ কন্যা শেখ হাসিনার সঙ্গে তিনি বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধকালীন চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে তিনি বঙ্গবন্ধু পরিবারের পাশে থেকে তাদের সাহস ও শক্তি জুগিয়েছেন। ক্ষমতার কাছে অবস্থান করলেও ড. ওয়াজেদ ছিলেন নির্লোভ, নির্মোহ ও নিভৃতচারী একজন সহজ-সরল মানুষ।

 


রাষ্ট্রপতি   মো. সাহাবুদ্দিন   ড. ওয়াজেদ মিয়া  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

আজ পরমাণু বিজ্ঞানী ওয়াজেদ মিয়ার মৃত্যুবার্ষিকী

প্রকাশ: ১০:২২ এএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশে পরমাণু শক্তি কমিশন প্রতিষ্ঠার মূল কারিগর ও বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বামী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার ১৫তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ জামাতা ওয়াজেদ মিয়া ১৯৪২ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি রংপুরের লালদিঘীর ফতেহপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। সৎ, নির্লোভ ও নিখাদ দেশপ্রেমিক এ পরমাণু বিজ্ঞানী ১৯৬৭ সালের ১৭ নভেম্বর বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠকন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। ২০০৯ সালের আজকের এ দিনে তার বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবনের সমাপ্তি ঘটে।

মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা ছাড়াও রংপুর মহানগরী, পীরগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন, ওয়াজেদ মিয়ার পরিবার, উপজেলা আওয়ামী লীগ ও বিভিন্ন সংগঠন কবর জিয়ারত, মিলাদ মাহফিল ও গরিবদের মধ্যে খাবার বিতরণসহ নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এ দিন সকালে ওয়াজেদ মিয়ার কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণের মধ্য দিয়ে কর্মসূচির শুরু হয়।

ড. ওয়াজেদ মিয়া বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান ছিলেন। ১৯৬১ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের স্নাতক পরীক্ষায় এবং ১৯৬২ সালে স্নাতকোত্তর পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণিতে কৃতিত্বের সঙ্গে উত্তীর্ণ হন। ঢাবিতে অধ্যয়নকালে ফজলুল হক হলের আবাসিক ছাত্র ছিলেন। ছাত্রলীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে ১৯৬১-৬২ শিক্ষা বছরের জন্য হল ছাত্র সংসদের সহসভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৬২ সালে শিক্ষা কমিশন বিরোধী আন্দোলনে গ্রেপ্তার হন। ১৯৬৩ সালের ১ এপ্রিল তিনি তৎকালীন পাকিস্তান আণবিক শক্তি কমিশনের চাকরিতে যোগ দেন। ১৯৬৩-৬৪ শিক্ষা বছরে কৃতিত্বের সঙ্গে লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজের ‘ডিপ্লোমা অব ইম্পেরিয়াল কলেজ কোর্স’ সম্পন্ন করেন। ১৯৬৭ সালের সেপ্টেম্বরে যুক্তরাজ্যের ‘ডারহাম বিশ্ববিদ্যালয়’ থেকে পদার্থবিজ্ঞানে ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান।


পরমাণু বিজ্ঞানী   ওয়াজেদ মিয়া   মৃত্যুবার্ষিকী  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন