আগামী
৫ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী সচিবদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। টানা
চতুর্থবারের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর এবারই প্রথম
সচিবদের সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী।
এই বৈঠকটি নানা কারণে অত্যন্ত
গুরুত্বপূর্ণ।
নতুন
সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর নতুন মন্ত্রিসভা
গঠিত হয়েছে। কিন্তু, এখনও পর্যন্ত সচিব
পর্যায়ে তেমন বড় ধরনের
রদবদল ঘটেনি। সরকারের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সচিবদের বৈঠকের পরপরই সচিব পর্যায়ে বড় ধরনের রদবদল
হতে পারে বলে ধারণা
করা হচ্ছে। বহু সচিব নতুন সরকারের
সাথে সামঞ্জস্য করে, নতুন মন্ত্রীদের
সাথে সামঞ্জস্য করে সচিব পর্যায়ে রদবদলের একটি পরিকল্পনা সরকার
গ্রহণ করেছে বলে জানা গেছে।
বিশেষ করে গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়গুলো,
যেখানে কাজের গতি আনা অত্যন্ত
প্রয়োজন। সেই সব গুরুত্বপূর্ণ
মন্ত্রণালয়ের সচিবের রদবদল হতে পারে। তাছাড়া
আগামী জুনের মধ্যে সরকারকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের
সচিবের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, কারণ তাদের
অনেকেই অবসরে যাচ্ছেন। তাদের অবসরের পর ওই শূন্যস্থানগুলো
কে পূরণ করবে, নাকি
তাদেরকে চুক্তিতে আবার নিয়োগ করা
হবে, সে বিষয়টি নিয়েও
সরকারি নীতি নির্ধারক মহলে
আলোচনা চলছে।
সংশ্লিষ্ট
সূত্রগুলো বলছে, সচিবদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী সুনির্দিষ্ট কতগুলো নির্দেশনা দিবেন। প্রথমত, নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী দ্রুত কাজ করার জন্য
প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দেবেন। মন্ত্রীদের সাথে কাজের সমন্বয়
সাধন এবং সমন্বিতভাবে কাজ
শেষ করার জন্য প্রধানমন্ত্রী
সচিবদের পরামর্শ দেবেন। কোনও ফাইল যেন
আটকে না থাকে, সাধারণ
জনগণের জন্য হয়রানি না
হয়, আমলাতান্ত্রিক দীর্ঘসূত্রিতার জন্য কাজ যেন
আটকে না থাকে, সেই
বার্তাটি প্রধানমন্ত্রী সুস্পষ্ট দেবেন। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ
যে বিষয়টি তা হলো, দুর্নীতির
বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী সুস্পষ্ট একটি বার্তা দেবেন
সচিবদেরকে। এছাড়াও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিসহ বিভিন্ন চলমান ইস্যুতে সংবেদনশীলভাবে দায়িত্ব পালন করার জন্য
সচিবদেরকে সুস্পষ্ট নির্দেশনা দেবেন প্রধানমন্ত্রী।
গত পাঁচ বছর ধরে
দেশে আমলাতন্ত্র অনেক ক্ষমতাবান হয়ে
উঠেছে এমন গুঞ্জন রয়েছে।
আমলাদের ক্ষমতা মন্ত্রীদের চেয়ে অনেক বেশি
এমন কথাও শোনা যাচ্ছে।
বিশেষ করে কভিড পরবর্তী সময়ে সচিবদের ক্ষমতা
অনেক বেড়েছে, এমন কথাও বলা হয়
বিভিন্ন মহল থেকে। এই
অবস্থায় এবারের মন্ত্রিসভায় আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী রাজনীতিবিদদের অন্তর্ভুক্তি বেড়েছে। জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর
রহমান ও ড. হাছান
মাহমুদ, ডা. দীপু মনির মতো আওয়ামী
লীগ কেন্দ্রীয় নেতারা মন্ত্রীসভায় অন্তর্ভূক্ত হয়েছেন। এই বাস্তবতায় সচিবদের প্রভাব
কমতে পারে এমন ধারণা করা হচ্ছে।
তবে, সরকারের
নীতিনির্ধারক মহল মনে করে যে, আমলাদের ক্ষমতা বৃদ্ধি বা কম এটি মূল বিষয় না। সরকারের
একটি সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য রয়েছে এবং সেই লক্ষ্যের মাপকাঠি হলো নির্বাচনী ইশতেহার। নির্বাচনী
ইশতেহার অনুযায়ী যেন সরকার দ্রুত কাজ করতে পারে এবং জনগণের সেবা প্রদান করতে পারে সে
লক্ষ্যেই সচিবরা যেন কাজ করেন যে ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ থাকবে। তবে এই কাজে
গতিশীলতা আনার জন্য সামনে সচিব পর্যায়ে বড় ধরণের রদবদলের সম্ভাবনা রয়েছে বলে ধারণা
করা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন
এভিয়েশন শিল্প যুক্তরাজ্য বিমান মন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ভারত পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রা লোকসভা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
সরকারি শিল্পপ্রতিষ্ঠান শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
এবার জাতীয় সংসদে তোপের মুখে পড়লেন সৈয়দ সায়েদুল হক ওরফে ব্যারিস্টার সুমন। কারও নাম উল্লেখ্য না করে জাতীয় পার্টির মহাসচিব ও বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নু অভিযোগ করেছেন একজন সদস্য সস্তা জনপ্রিয়তা অর্জন করতে গিয়ে ৩৪৯ জন এমপির জন্য মর্যাদাহানিকর ঘটনা ঘটিয়েছেন। এ জন্য তিনি স্পিকারের কাছে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।
ভারতে এখন লোকসভা নির্বাচন চলছে। এই লোকসভা নির্বাচনের মাধ্যমে আগামী ৪ জুন জানা যাবে নতুন সরকার কারা গঠন করছে। নির্বাচন নিয়ে চলছে অনিশ্চয়তা। বিজেপির কপালে ভাঁজ। কিন্তু এর মধ্যেই ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রা আগামীকাল বুধবার সন্ধ্যায় ঢাকা সফরে আসছেন। দুই দেশের সম্পর্ককে এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারত সফরের জন্য আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ জানাতেই বিনয় মোহন কোয়াত্রার এই বাংলাদেশ সফর বলে কূটনৈতিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
দেশে সরকারি মালিকানাধীন ২৮টি শিল্পপ্রতিষ্ঠান লোকসানে চলছে বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন। তিনি জানান, লোকসানি প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল করপোরেশনের (বিএসইসি) অধীন চারটি, বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের (বিএসএফআইসি) নিয়ন্ত্রণাধীন ১৫টি এবং বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের (বিসিআইসি) অধীন নয়টি কোম্পানি রয়েছে।
আগামীকাল থেকে শুরু হচ্ছে উপজেলা নির্বাচন। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর উপজেলা নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তাপ না থাকলেও স্থানীয় পর্যায়ে এই নির্বাচন নিয়ে একটি উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়েছে। বিএনপিকে ছাড়াও বাংলাদেশের গণতন্ত্র যে অব্যাহত থাকতে পারে এবং নির্বাচনে ভোটারদের আগ্রহ থাকতে পারে- সেটি প্রমাণের নির্বাচন উপজেলা নির্বাচন। এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের হারানোর কিছু নেই। অর্জন করবার আছে অনেক কিছুই। আর এ কারণেই আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপজেলা নির্বাচনের জন্য তিনটি সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন।