ইনসাইড বাংলাদেশ

সমঝোতার জন্য সরকারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টায় মনিকা ইউনূস

প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ০৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪


Thumbnail

ড. মুহম্মদ ইউনূসের কন্যা মনিকা ইউনূস সিএনএন এর খ্যাতনামা সাংবাদিক ক্রিস্টিনা আমানপোর কাছে এক সাক্ষাৎকার দিয়েছেন।সেই সাক্ষাত্কারে তিনি ড. ইউনূসকে কাজে লাগানোর জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তার এই বক্তব্যের পর ড. ইউনূস ইস্যু নতুন মোড় নিয়েছে। অনেকে মনে করছে, ড. মুহাম্মদ ইউনূস এখন সরকারের সাথে আর বিরোধী যেতে রাজি নয়। বরং সরকারের সাথে একটি আপোষ সমঝোতা করার পক্ষে। এই আপোষ সমঝোতা করার বার্তাটি তার কন্যার মাধ্যমে দেওয়া হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। 

ক্রিস্টিনা আমানপোর সিএনএন এর প্রথিতযশা সাংবাদিক এবং বিশ্বের বরণ্যে সাংবাদিকদের মধ্যে একজন। এই সাক্ষাৎকারটি যে মার্কিন ডেমোক্র্যাটদের পৃষ্ঠপোষকতায় এবং ড. ইউনূসের সম্মতিতে দেওয়া হচ্ছে, এ নিয়ে কোন সন্দেহই নেই। ড. মুহম্মদ ইউনূসের মনের কথাটি মনিকা ইউনূস বলেছেন এমনটি মনে করেন অনেকে। আর এ কারণেই মনিকা ইউনূসের এই বক্তব্যের পর আসলে ড. ইউনূসের সঙ্গে সরকারের কোনো সমঝোতা হবে কি না, এ নিয়ে বা এটি কি স্রেফ একটি সাক্ষাৎকারের বক্তব্য? এ নিয়ে নানামুখী আলাপ আলোচনা চলছে। 

তবে একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, সরকার ঘনিষ্ঠ বিভিন্ন ব্যক্তি এবং সরকারের সঙ্গে সম্পর্কিত কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা ব্যক্তিত্বের সঙ্গে মনিকা ইউনূস যোগাযোগ করছেন এবং যোগাযোগের চেষ্টা করছেন। এই সমস্ত ব্যক্তিদের মাধ্যমে ড. ইউনূসের বিষয়টির একটি সম্মানজনক সুরাহা করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন মনিকা ইউনূস।

একাধিক দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, বর্তমান সরকারের অন্তত দুজন উপদেষ্টার সঙ্গে ড. ইউনূসের পক্ষের লোকজন যোগাযোগ করছেন। এই দুজন উপদেষ্টা প্রধানমন্ত্রীর সাথে যেমন ঘনিষ্ঠ তেমনই ড. ইউনূসের সাথে ঘনিষ্ঠ। তারা মনে করছে যে, ড. ইউনূসের বিষয়টি যা হবার হয়ে গেছে, একটি সমঝোতার জায়গায় পৌঁছানোর দরকার। এছাড়াও যারা সরকারের সঙ্গে বিভিন্ন ভাবে যোগাযোগ রাখতে পারেন, বিভিন্ন সময় যাদের সাথে সরকারের যোগাযোগ ছিল এরকম কয়েকজন ব্যক্তি ড. ইউনূস প্রসঙ্গটি নিয়ে সরকারের নীতি নির্ধারকদের সাথে কথা বলার চেষ্টা করছেন। এদের মধ্যে অধ্যাপক রেহমান সোবহান এবং হোসেন জিল্লুর রহমান অন্যতম। এরা দুজনেই ড. মুহম্মদ ইউনূসের ঘনিষ্ট এবং ড. ইউনূসের গুণমুগ্ধ। এই দুই জনের মাধ্যমে সরকারের নীতি নির্ধারকদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হচ্ছে। 

এছাড়াও সরকারের ভেতরে থাকা গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বা সরকারের ভেতরে প্রভাব বিস্তার করে এরকম একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়ীর সঙ্গেও ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পক্ষ থেকে যোগাযোগের চেষ্টা করা হচ্ছে। তার বিরুদ্ধে মামলাগুলোর ব্যাপারে যেন সরকার একটি সহনশীল অবস্থা গ্রহণ করে এবং উদারতা দেখায় সে জন্য সরকারের সঙ্গে ড. ইউনূসের পক্ষের লোকজন যোগাযোগ করছে বলেও নিশ্চিত হওয়া গেছে। 

তবে সরকারের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, ইউনূসের ইস্যুটি খুবই স্পর্শকাতর। কারণ এটির সঙ্গে সরাসরি সরকারের নীতি নির্ধারকরা জড়িত। কাজেই কোন উপদেষ্টা বা সরকারের গুরুত্বপূর্ণ কোন ব্যক্তি বা সরকার ঘনিষ্ট কোন ব্যক্তি এই সমঝোতার উদ্যোগ নিয়ে শেষ পর্যন্ত সফল হতে পারেন কি না তা নিয়ে অনেকের সন্দেহ রয়েছে। উল্লেখ্য, এর আগেও ড. ইউনূস আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ দুই নেতার সঙ্গে দেখা করেছিলেন এবং সেখানেও তিনি সরকারের সঙ্গে সমঝোতার চেষ্টার কথা বলেছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত উদ্যোগ সফল হয়নি। এবার মনিকা ইউনূসের উদ্যোগ শেষ পর্যন্ত সফল হবে কি না সেটি নিয়ে অনিশ্চিয়তা রয়েছে।

মনিকা ইউনূস   ড. মুহাম্মদ ইউনূস  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

উপজেলা নির্বাচন: কুতুবদিয়ায় ভাতিজার কাছে হারলেন চাচা

প্রকাশ: ১১:৪২ এএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপে কক্সবাজারের কুতুবদিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হানিফ বিন কাশেম। তিনি নির্বাচনে তার চাচা জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট ফরিদুল ইসলাম চৌধুরীকে পরাজিত করেন। এ দ্বীপ উপজেলায় প্রথমবারের ভোটের মাঠে এসে বাজিমাত করেছেন ব্যারিস্টার হানিফ। তিনি বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ফরিদুল ইসলামের ভাতিজা। চাচাকে হারিয়ে দ্বীপের হাল ধরলেন তিনি।

বুধবার (৮ মে) অনুষ্ঠিত নির্বাচনে প্রাপ্ত ফলাফল অনুযায়ী ঘোড়া প্রতীক নিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হানিফ বিন কাশেম ২৭,২৪৯ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আছহাব উদ্দিন আনারস প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৫,৪৩৮ ভোট।

এ ছাড়া অন্য আরেক প্রার্থী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে ৩৯৬৫ ভোট পেয়েছেন। কুতুবদিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ মাঈনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এর আগে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এ উপজেলায় শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।


উপজেলা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

আইএমএফের চাপে এমপিদের শুল্কমুক্ত গাড়ি সুবিধা বাতিলের চিন্তায় এনবিআর

প্রকাশ: ১১:০০ এএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

নির্বাচিত হওয়ার পর কোনোরকম শুল্ক ছাড়াই বিদেশ থেকে গাড়ি আমদানি করতে পারেন সংসদ সদস্যরা। তবে এবার আইনপ্রণেতাদের এমন সুবিধা বাতিলের চিন্তা করছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। শুল্কমুক্ত ব্যবস্থা তুলে দিয়ে সংসদ সদস্যদের গাড়ি আমদানিতে ৫ থেকে ২৫ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপের পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

জানা গেছে, মূলত আইএমএফের চাপের কারণেই সংসদ সদস্যদের শুল্কমুক্ত গাড়ি আমদানি সুবিধা তুলে দেওয়ার পথে হাঁটছে এনবিআর। এনবিআরের সঙ্গে বৈঠকে আইএমএফ প্রতিনিধিরা শুল্কমুক্ত সুবিধা দেওয়ার বিরোধিতা করেন। এ ছাড়া রাজস্ব ঘাটতি পূরণে এনবিআরের কী ধরনের প্রস্তুতি বা কৌশল, তা জানতে চান।

এনবিআরের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘আইএমএফ সাধারণত শুল্কমুক্ত সুবিধার বিপক্ষে। তারা চায় সরকারের রাজস্ব আহরণ বাড়ানো হোক। এজন্য অব্যাহতি সুবিধা প্রত্যাহারের পরামর্শ দিয়েছে তারা। সবদিক বিবেচনায় নিয়ে সংসদ সদস্যদের গাড়ি আমদানিতে তুলনামূলক কম হারে শুল্ক আরোপ করা হতে পারে।’

তবে এমপিদের শুল্কমুক্ত গাড়ি আমদানি সুবিধা তুলে দেওয়ার চিন্তা শেষ পর্যন্ত কার্যকর হবে কি না—দুটি বৈঠকের সিদ্ধান্তের ওপর তা নির্ভর করছে। এর মধ্যে আগামী রোববার অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবেন এনবিআর চেয়ারম্যানসহ বাজেট সংশ্লিষ্টরা। এরপর আগামী ১৪ মে বাজেট নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের কথা রয়েছে। মূলত প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

সূত্র জানায়, আগামী (২০২৪-২৫) অর্থবছরের বাজেটে সংসদ সদস্যদের গাড়ি আমদানির শুল্কমুক্ত সুবিধা বাতিল করে নতুন করে শুল্কারোপ করার প্রস্তাব করা হতে পারে। এ ক্ষেত্রে শুল্কহার হতে পারে ৫ থেকে ২৫ শতাংশ পর্যন্ত। দেশে গাড়ি আমদানিতে বিদ্যমান শুল্ক হারের তুলনায় এটিও অনেক কম। বর্তমানে গাড়ি আমদানির জন্য সিসিভেদে ৮৯ শতাংশ থেকে ৮৫০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক পরিশোধ করতে হয়। সেই হিসেবে একটি গাড়ির দাম ১ লাখ টাকা হলে সেটি আমদানির জন্য কমপক্ষে আরও ৮৯ হাজার টাকা শুল্ক পরিশোধ করতে হয়। আর সর্বোচ্চ হার ধরা হলে শুল্ক দাঁড়ায় ৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা।

সূত্র আরও জানায়, আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরে শুল্ক খাতে রাজস্ব আহরণ বাড়াতে হবে সাড়ে ৮ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে বড় অংশ আসবে বকেয়া আদায় ও শুল্কহার পুনর্বিন্যাসের মাধ্যমে। এ ক্ষেত্রে কোনো ধরনের শুল্ক ছাড় চায় না আইএমএফ। বিভিন্ন খাতে বিদ্যমান শুল্ক অব্যাহতি তুলে দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে তারা।


আইএমএফ   এমপি   শুল্কমুক্ত গাড়ি   এনবিআর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

উপজেলা নির্বাচন: প্রথম নারী চেয়ারম্যান হলেন তারা

প্রকাশ: ১০:৫৩ এএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে রোমা আক্তার বিজয়ী হয়েছেন। রোমা আক্তার নাসিরনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি। নাসিরনগরে এই প্রথমবারের মতো কোনো নারী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হলেন।

প্রাপ্ত ফলাফল অনুযায়ী, বেসরকারিভাবে নির্বাচিত রোমা আক্তার পেয়েছেন ৩৪ হাজার এক ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক বিএনপি নেতা ওমরাও খান পেয়েছেন ১৮ হাজার ৩৮০ ভোট।

এদিকে নীলফামারীর ডোমার উপজেলা পরিষদে সাত প্রার্থীকে হারিয়ে প্রথম নারী চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন সরকার ফারহানা আখতার সুমি। তিনি টেলিফোন প্রতীকে পেয়েছেন ৩১ হাজার ৪২১ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তোফায়েল আহমেদ (আনারস) পেয়েছেন ২৩ হাজার ১৩৪ ভোট। সরকার ফারহানা আখতার সুমি জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য।

বুধবার (৮ মে) সুষ্ঠু পরিবেশে এই দুই উপজেলাতে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। সকালে ভোটার উপস্থিতি কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটার উপস্থিতি বাড়তে থাকে। মূলত ধান কাটার মৌসুমের কারণে ভোটার উপস্থিতি অপেক্ষাকৃত কম ছিল বলে অনেকে মতামত ব্যক্ত করেছেন।


উপজেলা নির্বাচন   নারী চেয়ারম্যান  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

‘ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে বেঁচে থাকবেন ড. ওয়াজেদ মিয়া’

প্রকাশ: ১০:৪৫ এএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, ড. ওয়াজেদ মিয়া তার কর্মের জন্য ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে বেঁচে থাকবেন। তিনি ছিলেন দেশে আণবিক গবেষণার পথিকৃৎ। পরমাণু গবেষণায় তিনি উল্লেখযোগ্য অবদান রেখে গেছেন এবং বাংলাদেশ আণবিক শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন পদে দক্ষতা ও সাফল্যের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন। তার গবেষণা কর্মের পরিধি ছিল অত্যন্ত ব্যাপক।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার ১৫তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন। রাষ্ট্রপতি এ উপলক্ষে ওয়াজেদ মিয়ার স্মৃতির প্রতি নিবেদন করেন গভীর শ্রদ্ধা।

মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, ড. ওয়াজেদ মিয়া ১৯৪২ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি রংপুরের পীরগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। তার ডাক নাম ছিল সুধা মিয়া। অসাধারণ মেধার অধিকারী সুধা মিয়া শৈশব থেকেই ছিলেন শিক্ষানুরাগী, যার প্রতিফলন ঘটে তার শিক্ষা ও কর্মজীবনে।

রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া বাংলাদেশ আণবিক শক্তি বিজ্ঞানী সংঘের দুইবার সাধারণ সম্পাদক ও পাঁচবার সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়া তিনি বাংলাদেশ পদার্থবিজ্ঞানী সমিতি, বাংলাদেশ বিজ্ঞান উন্নয়ন সমিতি, বাংলাদেশ বিজ্ঞানী ও বিজ্ঞানজীবী সমিতিসহ বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ১৯৯৭ সালে তারই পরামর্শ ও পৃষ্ঠপোষকতায় জাতীয় সমন্বিত উন্নয়ন ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠিত হয়। ড. ওয়াজেদ মিয়া তার কর্মের জন্য ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে বেঁচে থাকবেন। বিজ্ঞানমনস্ক জাতি গঠনে ড. ওয়াজেদ মিয়ার আদর্শ নতুন প্রজন্মের জন্য পাথেয় হয়ে থাকবে।

রাষ্ট্রপতি বলেন, ড. ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান গবেষণার পাশাপাশি জাতীয় রাজনীতিতে নীরবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে গেছেন। ষাটের দশকে তিনি ছাত্রলীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত হন। ১৯৬২ সালে আইয়ুব খানের সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে গিয়ে তিনি গ্রেপ্তার হন এবং কিছুদিন জেলে কাটান। ১৯৬৭ সালের ১৭ নভেম্বর জাতির পিতার জ্যেষ্ঠ কন্যা শেখ হাসিনার সঙ্গে তিনি বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধকালীন চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে তিনি বঙ্গবন্ধু পরিবারের পাশে থেকে তাদের সাহস ও শক্তি জুগিয়েছেন। ক্ষমতার কাছে অবস্থান করলেও ড. ওয়াজেদ ছিলেন নির্লোভ, নির্মোহ ও নিভৃতচারী একজন সহজ-সরল মানুষ।

 


রাষ্ট্রপতি   মো. সাহাবুদ্দিন   ড. ওয়াজেদ মিয়া  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

আজ পরমাণু বিজ্ঞানী ওয়াজেদ মিয়ার মৃত্যুবার্ষিকী

প্রকাশ: ১০:২২ এএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশে পরমাণু শক্তি কমিশন প্রতিষ্ঠার মূল কারিগর ও বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বামী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার ১৫তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ জামাতা ওয়াজেদ মিয়া ১৯৪২ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি রংপুরের লালদিঘীর ফতেহপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। সৎ, নির্লোভ ও নিখাদ দেশপ্রেমিক এ পরমাণু বিজ্ঞানী ১৯৬৭ সালের ১৭ নভেম্বর বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠকন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। ২০০৯ সালের আজকের এ দিনে তার বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবনের সমাপ্তি ঘটে।

মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা ছাড়াও রংপুর মহানগরী, পীরগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন, ওয়াজেদ মিয়ার পরিবার, উপজেলা আওয়ামী লীগ ও বিভিন্ন সংগঠন কবর জিয়ারত, মিলাদ মাহফিল ও গরিবদের মধ্যে খাবার বিতরণসহ নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এ দিন সকালে ওয়াজেদ মিয়ার কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণের মধ্য দিয়ে কর্মসূচির শুরু হয়।

ড. ওয়াজেদ মিয়া বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান ছিলেন। ১৯৬১ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের স্নাতক পরীক্ষায় এবং ১৯৬২ সালে স্নাতকোত্তর পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণিতে কৃতিত্বের সঙ্গে উত্তীর্ণ হন। ঢাবিতে অধ্যয়নকালে ফজলুল হক হলের আবাসিক ছাত্র ছিলেন। ছাত্রলীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে ১৯৬১-৬২ শিক্ষা বছরের জন্য হল ছাত্র সংসদের সহসভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৬২ সালে শিক্ষা কমিশন বিরোধী আন্দোলনে গ্রেপ্তার হন। ১৯৬৩ সালের ১ এপ্রিল তিনি তৎকালীন পাকিস্তান আণবিক শক্তি কমিশনের চাকরিতে যোগ দেন। ১৯৬৩-৬৪ শিক্ষা বছরে কৃতিত্বের সঙ্গে লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজের ‘ডিপ্লোমা অব ইম্পেরিয়াল কলেজ কোর্স’ সম্পন্ন করেন। ১৯৬৭ সালের সেপ্টেম্বরে যুক্তরাজ্যের ‘ডারহাম বিশ্ববিদ্যালয়’ থেকে পদার্থবিজ্ঞানে ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান।


পরমাণু বিজ্ঞানী   ওয়াজেদ মিয়া   মৃত্যুবার্ষিকী  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন