বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সিনিয়র ভাইস-প্রেসিডেন্টকে সরকারি
সম্পত্তি আত্মসাতের সুযোগ করে দেওয়ার অভিযোগে
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) সাবেক দুই চেয়ারম্যানসহ ১১
জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তবে এই মামলায় নেই বাড়ির মালিক খুলনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য সালাম মুর্শেদীর নাম।
মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) এই মামলা করা হয়েছে জানিয়ে দুদকের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমের কাছে দাবি করেন, বাড়ির মালিক বনে গেলেও মামলার আসামি হননি সালাম মুর্শেদী! কারণ, জাল নথিপত্র তৈরির বিষয়টি তিনি জানতেন না— এমন অদ্ভুত যুক্তি দেখিয়ে তাকে আসামি করা হয়নি। ওই কর্মকর্তার আরও দাবি, মামলার আসামি না হলেও বাড়ি হারানোর ঝুঁকিতে রয়েছেন সংসদ সদস্য সালাম মুর্শেদী। দুদকের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে তার বিরুদ্ধে সরাসরি কোনো মন্তব্য না করা হলেও বাড়িটি উদ্ধারের জন্য ইতোমধ্যে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দিয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। গণমাধ্যমের প্রতিবেদনসূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
দুদক
সচিবের দপ্তর থেকে মঙ্গলবার (৬
ফেব্রুয়ারি) গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের
সচিব বরাবর এ সংক্রান্ত চিঠি
পাঠানো হয়েছে। সংস্থাটির সচিব মো. মাহবুব
হোসেনের সই করা চিঠির
সূত্রে এমন তথ্য নিশ্চিত
হওয়া গেছে।
চিঠিতে
বলা হয়েছে, সম্পত্তির মালিকানা জালিয়াতির মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে
বলে অনুসন্ধানকালে প্রমাণিত হয়েছে। জাল কাগজ তৈরি
করে জালিয়াতির মাধ্যমে পরিত্যক্ত সম্পত্তির মালিকানা পরিবর্তন করে ব্যক্তিমালিকানায় হস্তান্তর
করা হয়েছে বিধায় আব্দুস সালাম মুর্শেদীর বাড়ি (বাড়ি নং-২৭/বি, রোড নং-১০৪, গুলশান-২)
সংক্রান্ত বিষয়টি আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা
করে তা উদ্ধারে প্রয়োজনীয়
ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গৃহায়ন ও
গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে পত্র প্রেরণের জন্য
কমিশন থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া
হয়েছে। ওই সিদ্ধান্তের আলোকে
প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা
হয়েছে চিঠিতে।
এ বিষয়ে দুদকের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা নাম
প্রকাশ না করে গণমাধ্যমকে
বলেন, অভিযোগ অনুসন্ধানকালে রেকর্ডপত্র দ্বারা সমর্থিত না হওয়ায় জাল-জালিয়াতির সঙ্গে আব্দুস সালাম মুর্শেদী ও অপর মালিক
মোহাম্মদ আব্দুল মঈনের সম্পৃক্ততার প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া যায়নি। মামলার তদন্তকালে বিষয়গুলো আরও খতিয়ে দেখতে
হবে। তবে, সম্পত্তির মালিকানা
জাল কাগজের মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে,
এটা প্রমাণিত।
মঙ্গলবার
বিকেলে সরকারি সম্পত্তি আত্মসাতের সুযোগ করে দেওয়ার অভিযোগে
দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা
কার্যালয়ে সংস্থাটির উপ-পরিচালক ইয়াছির
আরাফাত বাদী হয়ে এ
সংক্রান্ত মামলা দায়ের করেন। মামলার বিষয়টি দুদক সচিব মো.
মাহবুব হোসেন নিশ্চিত করেছেন।
মামলার
১১ আসামি হলেন– রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান হুমায়ুন খাদেম ও প্রকৌশলী এম
আজিজুল হক, সাবেক সদস্য
(এস্টেট) লে. কর্নেল (অব.)
এম নুরুল হক, সাবেক পরিচালক
আবদুর রহমান ভূঁঞা, সাবেক উপ-পরিচালক (এস্টেট)
মো. আজহারুল ইসলাম, রাজউকের সহকারী পরিচালক (নিরীক্ষা ও বাজেট) শাহ
মো. সদরুল আলম ও সাবেক
তত্ত্বাবধায়ক মো. হাবিব উল্লাহ।
এ ছাড়া, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের
সাবেক সহকারী সচিব আবদুস সোবহান,
সাবেক শাখা সহকারী মো.
মাহবুবুল হক এবং কক্সবাজারের
রামুর বাসিন্দা মীর মোহাম্মদ হাসান
ও তার ভাই মীর
মো. নুরুল আফছারকে আসামি করা হয়েছে।
জানা যায়, নথি
জালিয়াতির মাধ্যমে সালাম মুর্শেদীকে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের মালিকানাধীন বাড়ি বরাদ্দ দেওয়া
হয়— এমন অভিযোগ তদন্ত
করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ২০২২ সালের
১১ আগস্ট দুদকে আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টের
আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক
সুমন। দুদক আবেদন আমলে
না নেওয়ায় একই বছরের ৩০
অক্টোবর হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন
তিনি।
রিট
আবেদনে বলা হয়, রাজধানীর
গুলশান-২ এর ১০৪
নম্বর সড়কের ২৭/বি নম্বর
বাড়িটি ১৯৮৬ সালের অতিরিক্ত
গেজেটে ‘খ’ তালিকায় পরিত্যক্ত
সম্পত্তি হিসেবে তালিকাভুক্ত। কিন্তু আব্দুস সালাম মুর্শেদী সেটি দখল করে
বসবাস করছেন। রিটে ২০১৫ সালের
১৩ এপ্রিল, ২০১৬ সালের ২০
জানুয়ারি এবং চলতি বছরের
৪ জুলাই রাজউক চেয়ারম্যানকে দেওয়া গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের
তিনটি চিঠি যুক্ত করা
হয়। ২০১৫ ও ২০১৬
সালে দেওয়া চিঠিতে পরিত্যক্ত বাড়ির তালিকা থেকে বাড়িটি অবমুক্ত
না হওয়ার পরও আব্দুস সালাম
মুর্শেদী কীভাবে সেটি দখল করে
আছেন— রাজউক চেয়ারম্যানের কাছে এ ব্যাখ্যা
চেয়েছিল গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। কিন্তু রাজউক চেয়ারম্যান সেই চিঠি আমলে
না নেওয়ায় চলতি বছরের ৪
জুলাই আবারও চিঠি দেওয়া হয়।
ওই চিঠিতে পরিত্যক্ত বাড়ির তালিকা থেকে ভবনটি অবমুক্ত
না হওয়ার পরও কীভাবে রাজউক
চেয়ারম্যানের দপ্তর থেকে সেটির নামজারি
ও দলিল করার অনুমতি
দেওয়া হলো— সেই বিষয়ে
ব্যাখ্যা দিতে অনুরোধ করা
হয়। কিন্তু রাজউক চেয়ারম্যান সেই ব্যাখ্যা দিতেও
অনীহা প্রকাশ করেন।
বাড়ি মামলা দুদক সরকারি সম্পত্তি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তাপদাহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাত ধাপে অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ের ভোট হয় ১৯ এপ্রিল এবং সেখানে ১০২টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় দফায় ২৬ এপ্রিল ৮৯টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। চতুর্থ দফায় ভোট হবে ৭ মে। সেখানে ৯৪টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে এবং সপ্তম দফায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে পয়লা জুন। আর ৪ জুন নির্বাচনের ফলাফল জানা যাবে।
প্রথম দুই দফা ভোটের যে হার, তাতে বিজেপির মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। বিজেপির নেতারা ভোটে যে ভূমিধস বিজয় আশা করছিলেন সেটি হবে না। ভারতের কোন কোন গণমাধ্যমগুলো ভোটের ফলাফলে নাটকীয় ঘটনা ঘটারও ইঙ্গিত দিচ্ছে। বিশেষ করে ২০০৪ সালের নির্বাচনে যেভাবে কংগ্রেস অটলবিহারী বাজপেয়ীর নেতৃত্বে বিজেপিকে ধরাশায়ী করেছিল সেরকম কোন ঘটনা ঘটতেও পারে বলে মনে আশঙ্কা করছেন অনেকে। অবশ্য এখনও আরও পাঁচ দফা ভোট বাকি আছে এবং বিজেপি আশা করছে যে, পরবর্তী ধাপগুলোতে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে এবং বিজেপি তাদের জয়ের ধারা অক্ষুণ্ণ রাখবে। নরেন্দ্র মোদি ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে দেওয়ার জন্য বারবার আহ্বান জানাচ্ছেন।
ভারতের নির্বাচনের ফলাফল কী হবে তা বোঝা যাবে আগামী ৪ জুন। কিন্তু এখন পর্যন্ত যে ভোটের হাওয়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে তাতে এটা স্পষ্ট যে, ভোটের আগে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি জোটের যে নিরঙ্কুশ বিজয়ের ধারণা করা হয়েছিল, সেটি বাস্তবতা নাও পেতে পারে। আর এ কারণেই মোদী যদি শেষ পর্যন্ত পরাজিত হন, তাহলে সেটি হবে ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি বড় ব্যতিক্রমী ঘটনা এবং এটি হবে ভারতের নির্বাচনের সবচেয়ে বড় চমক।
এখন যখন ভারতের নির্বাচনে একটি হাড্ডাহাড্ডি লড়াই বা অনিশ্চয়তার ফলাফলের শঙ্কা জেগেছে তখন প্রশ্ন উঠছে যে, বিজেপি যদি এই নির্বাচনে পরাজিত হয় তাহলে বাংলাদেশে কী হবে? গত দুটি নির্বাচনে ভারতের বিজেপি সরকার বাংলাদেশকে নিরঙ্কুশভাবে সমর্থন দিয়েছে। ২০১৮ এবং ২০২৪ এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছে বিজেপি সরকার।
বিশেষ করে ২০২৪ এর নির্বাচনে ভারতীয় সরকারের পরিপূর্ণ সমর্থন ছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই নির্বাচনে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করত এবং এই নির্বাচনকে অস্বীকৃতি জানাত বলেও অনেকে মনে করেন। মার্কিন মনোভাব পাল্টানোর ক্ষেত্রে ভারত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। আর নির্বাচনের পর বিএনপি থেকে শুরু করে জাতীয় পার্টি প্রত্যেকেই বলছে যে, ভারত বর্তমান সরকারকে ক্ষমতায় রেখেছে। যদিও এরকম অভিযোগকে আওয়ামী লীগ অস্বীকার করে এবং আওয়ামী লীগ মনে করে যে, জনগণের ভোটে তারা নির্বাচিত হয়েছে। কিন্তু ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি আওয়ামী লীগ বা বিজেপি কেউই অস্বীকার করে না।
এখন প্রশ্ন হল, যদি বিজেপি পরাজিত হয়, ইন্ডিয়া জোট ক্ষমতায় আসে তাহলে বাংলাদেশের সমীকরণ কী হবে? কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন যে, বর্তমান সরকারের জন্য সমীকরণের কোন পরিবর্তন হবে না। কারণ ইন্ডিয়া জোটের সঙ্গেও আওয়ামী লীগ সরকারের একটি সুসম্পর্ক রয়েছে। ইতোমধ্যে ইন্ডিয়া জোটের প্রধান দল কংগ্রেস তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের বার্তা দিয়েছে।
অনেকে মনে করেন যে, এখন ভারতে কট্টর হিন্দুত্ববাদী মনোভাবের কারণে সীমান্তে অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে। মুসলিম বিদ্বেষী বক্তব্য রাখা হচ্ছে। যার ফলে বাংলাদেশের মধ্যে একটা ভারতবিরোধী মনোভাব তৈরি হচ্ছে। শেষ পর্যন্ত যদি নরেন্দ্র মোদি তাহলে এই অবস্থানের পরিবর্তন হবে। দুই দেশের সম্পর্ক আরও বিকশিত হবে বলেও মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ভারত লোকসভা নির্বাচন মল্লিকার্জুন খাড়গে নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
বাল্যবিবাহ সামাজিক আন্দোলন ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ জাতীয় মানবাধিকার কমিশন
মন্তব্য করুন
ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাত ধাপে অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ের ভোট হয় ১৯ এপ্রিল এবং সেখানে ১০২টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় দফায় ২৬ এপ্রিল ৮৯টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। চতুর্থ দফায় ভোট হবে ৭ মে। সেখানে ৯৪টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে এবং সপ্তম দফায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে পয়লা জুন। আর ৪ জুন নির্বাচনের ফলাফল জানা যাবে।