চলতি
বছরের জুলাই মাসের মধ্যে এক ডজন সচিব অবসরে যাচ্ছেন।
আর এই অবসরে যাওয়া
নিয়ে সচিবালয়ে আমলাদের মধ্যে শুরু হয়েছে দৌড়ঝাঁপ।
যে সমস্ত সচিব পদগুলো খালি হচ্ছে সেখানে
যাওয়ার জন্য এবং কয়েকটি
শীর্ষ পদের জন্য আমলাদের
মধ্যে এক ধরনের প্রতিযোগিতা
লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আর
এই প্রতিযোগিতার কারণে সচিবালয়ে এখন আলাপ-আলোচনা
এবং নানা রকম জল্পনা
কল্পনার ডালপালা মেলেছে।
বর্তমান
রেল সচিব ড. হুমায়ুন
কবির অবসরে যাবেন চলতি মাসের ২০ ফেব্রুয়ারি। কোনও
কারণে তার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ
না হলে নতুন রেলসচিব
দিতে হবে। পরিকল্পনা কমিশনের
সদস্য এ কে এম
ফজলুল হক অবসরে যাচ্ছেন
মার্চের ৪ তারিখে। তারও
যদি চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ না দেওয়া হয়
তাহলে তার এখানেও নতুন
সচিব নিয়োগ দেওয়া হবে।
কৃষি সচিব
ওয়াহিদা আক্তার আগামী মার্চের ১২ তারিখে অবসরে
যাবেন। অবসরে যাবেন মোসাম্মৎ হামিদা বেগম, যিনি পল্লী উন্নয়ন
ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে দায়িত্ব
পালন করছেন। তিনি ১ মে অবসরে যাবেন। এছাড়া আর্থিক বিভাগের সচিব শেখ মোহাম্মদ
সলিম উল্লাহর অবসরে যাওয়ার কথা ২০ মে। ১২ জুন
অবসরে যাওয়ার কথা পরিকল্পনা কমিশনের
সদস্য সত্যজিৎ কর্মকারের। অন্যদিকে, পাবলিক সার্ভিস কমিশনের সচিব হাসানুজ্জামান কল্লোল
অবসরে যাবেন জুলাই মাসের ৩ তারিখে।
এছাড়াও
যে ১২ জন সচিব
চুক্তিতে আছেন তাদের মধ্যে
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন
মিয়ার চুক্তির মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী
৫ জুলাই। তার যদি চুক্তির
মেয়াদ আবার বাড়ানো না
হয় তাহলে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব
হিসেবে নতুন কাউকে নিয়োগ
দেওয়া হতে পারে। এছাড়াও
গৃহায়ণ ও গণপূর্ত সচিব কাজী ওয়াসিউদ্দিন
মার্চের ১০ তারিখে চুক্তির মেয়াদ শেষ করছেন। নতুন
করে তার চুক্তির মেয়াদ
বাড়ানো না হলে তিনিও
অবসরে যেতে পারেন।
বিভিন্ন
গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের সচিব পদে এই
রদবদলের প্রেক্ষিতে সচিবালয়ে এক ধরনের চাঞ্চল্য
এবং উত্তেজনা দেখা দিচ্ছে। প্রধান
আকর্ষণ হল প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য
সচিব যদি চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ
না পান তাহলে তার জায়গায়
কে যাবেন? এখানে তিন জনের নাম
আলোচিত হচ্ছে। এর মধ্যে বর্তমান জনপ্রশাসন সচিব মেজবাহ আহমেদ
অন্যতম। তিনি জ্যেষ্ঠতম কর্মকর্তা
হিসেবে আছেন। তিনি ছাড়াও বর্তমান
নৌ পরিবহন সচিব দশম ব্যাচের
কর্মকর্তা মোস্তফা কামালের নাম আছে। জ্যেষ্ঠতার হিসাবে
জনপ্রশাসন সচিবের পরেই তার অবস্থান।
এর পরে আছেন জাকিয়া সুলতানা, যিনি শিল্প মন্ত্রণালয়ের
সিনিয়র সচিব হিসেবে দায়িত্ব
পালন করছেন। জ্যেষ্ঠতার দিক থেকে তিনি
মুস্তফা কামালের পর। তবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের
সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ
উদ্দিন চৌধুরীর মন্ত্রিপরিষদ সচিব হওয়ার সম্ভাবনা
রয়েছে। কারণ, বর্তমান মন্ত্রিপরিষদ সচিবের চাকরির মেয়াদ শেষ হবে চলতি
বছরের ১৪ অক্টোবর। এক
বছরের চুক্তিতে আছেন তিনি। জ্যেষ্ঠতম ব্যক্তি হিসেবে মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরীর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হওয়ার কথা।
তবে যেহেতু অক্টোবর পর্যন্ত তাকে অপেক্ষা করতে হবে, আবার
জুলাই মাসে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিবের
মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে।
কাজেই মেজবাহ উদ্দিনকে প্রধানমন্ত্রীর
মূখ্য সচিব এবং পরবর্তীতে তাকে জনপ্রশাসন সচিব করার বিষয়টি নিয়েও আলোচনা হচ্ছে। তিনি
যদি শেষ পর্যন্ত মন্ত্রিপরিষদ সচিব হন সেক্ষেত্রে মুস্তফা কামাল এবং জাকিয়া সুলতানা
দুই সিনিয়র সচিবের যে কোন একজন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মূখ্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব
পালন করতে পারেন।
আরেকটি প্রশ্ন
দেখা দিয়েছে যে, ১৩তম ব্যাচের বেশ কিছু কর্মকর্তা ইতোমধ্যেই সচিব হয়েছেন। এখন নতুন
করে যাদের সচিব পদে পদায়ন করা হবে তাদের মধ্যে কি ১৩তম ব্যাচ থেকে নেওয়া হবে? নাকি,
দশম ব্যাচে এখনো যারা সচিব হতে পারেননি তাদের করা হবে? এ নিয়ে সচিবালয়ের মধ্যে নানামুখী
আলাপ-আলোচনা এবং গুঞ্জন চলছে। আবার পরবর্তী ব্যাচ থেকে সচিব করা শুরু হবে কি না সে
আলোচনাও আছে। সবকিছু মিলিয়ে চলতি বছরে সচিবালয়ে যে বড় ধরণের একটা পরিবর্তন হচ্ছে, সেই
পরিবর্তনে কার জায়গা কেমন হবে তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে চলছে দৌড়ঝাপ দেনদরবার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তাপদাহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাত ধাপে অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ের ভোট হয় ১৯ এপ্রিল এবং সেখানে ১০২টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় দফায় ২৬ এপ্রিল ৮৯টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। চতুর্থ দফায় ভোট হবে ৭ মে। সেখানে ৯৪টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে এবং সপ্তম দফায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে পয়লা জুন। আর ৪ জুন নির্বাচনের ফলাফল জানা যাবে।
প্রথম দুই দফা ভোটের যে হার, তাতে বিজেপির মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। বিজেপির নেতারা ভোটে যে ভূমিধস বিজয় আশা করছিলেন সেটি হবে না। ভারতের কোন কোন গণমাধ্যমগুলো ভোটের ফলাফলে নাটকীয় ঘটনা ঘটারও ইঙ্গিত দিচ্ছে। বিশেষ করে ২০০৪ সালের নির্বাচনে যেভাবে কংগ্রেস অটলবিহারী বাজপেয়ীর নেতৃত্বে বিজেপিকে ধরাশায়ী করেছিল সেরকম কোন ঘটনা ঘটতেও পারে বলে মনে আশঙ্কা করছেন অনেকে। অবশ্য এখনও আরও পাঁচ দফা ভোট বাকি আছে এবং বিজেপি আশা করছে যে, পরবর্তী ধাপগুলোতে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে এবং বিজেপি তাদের জয়ের ধারা অক্ষুণ্ণ রাখবে। নরেন্দ্র মোদি ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে দেওয়ার জন্য বারবার আহ্বান জানাচ্ছেন।
ভারতের নির্বাচনের ফলাফল কী হবে তা বোঝা যাবে আগামী ৪ জুন। কিন্তু এখন পর্যন্ত যে ভোটের হাওয়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে তাতে এটা স্পষ্ট যে, ভোটের আগে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি জোটের যে নিরঙ্কুশ বিজয়ের ধারণা করা হয়েছিল, সেটি বাস্তবতা নাও পেতে পারে। আর এ কারণেই মোদী যদি শেষ পর্যন্ত পরাজিত হন, তাহলে সেটি হবে ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি বড় ব্যতিক্রমী ঘটনা এবং এটি হবে ভারতের নির্বাচনের সবচেয়ে বড় চমক।
এখন যখন ভারতের নির্বাচনে একটি হাড্ডাহাড্ডি লড়াই বা অনিশ্চয়তার ফলাফলের শঙ্কা জেগেছে তখন প্রশ্ন উঠছে যে, বিজেপি যদি এই নির্বাচনে পরাজিত হয় তাহলে বাংলাদেশে কী হবে? গত দুটি নির্বাচনে ভারতের বিজেপি সরকার বাংলাদেশকে নিরঙ্কুশভাবে সমর্থন দিয়েছে। ২০১৮ এবং ২০২৪ এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছে বিজেপি সরকার।
বিশেষ করে ২০২৪ এর নির্বাচনে ভারতীয় সরকারের পরিপূর্ণ সমর্থন ছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই নির্বাচনে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করত এবং এই নির্বাচনকে অস্বীকৃতি জানাত বলেও অনেকে মনে করেন। মার্কিন মনোভাব পাল্টানোর ক্ষেত্রে ভারত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। আর নির্বাচনের পর বিএনপি থেকে শুরু করে জাতীয় পার্টি প্রত্যেকেই বলছে যে, ভারত বর্তমান সরকারকে ক্ষমতায় রেখেছে। যদিও এরকম অভিযোগকে আওয়ামী লীগ অস্বীকার করে এবং আওয়ামী লীগ মনে করে যে, জনগণের ভোটে তারা নির্বাচিত হয়েছে। কিন্তু ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি আওয়ামী লীগ বা বিজেপি কেউই অস্বীকার করে না।
এখন প্রশ্ন হল, যদি বিজেপি পরাজিত হয়, ইন্ডিয়া জোট ক্ষমতায় আসে তাহলে বাংলাদেশের সমীকরণ কী হবে? কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন যে, বর্তমান সরকারের জন্য সমীকরণের কোন পরিবর্তন হবে না। কারণ ইন্ডিয়া জোটের সঙ্গেও আওয়ামী লীগ সরকারের একটি সুসম্পর্ক রয়েছে। ইতোমধ্যে ইন্ডিয়া জোটের প্রধান দল কংগ্রেস তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের বার্তা দিয়েছে।
অনেকে মনে করেন যে, এখন ভারতে কট্টর হিন্দুত্ববাদী মনোভাবের কারণে সীমান্তে অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে। মুসলিম বিদ্বেষী বক্তব্য রাখা হচ্ছে। যার ফলে বাংলাদেশের মধ্যে একটা ভারতবিরোধী মনোভাব তৈরি হচ্ছে। শেষ পর্যন্ত যদি নরেন্দ্র মোদি তাহলে এই অবস্থানের পরিবর্তন হবে। দুই দেশের সম্পর্ক আরও বিকশিত হবে বলেও মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ভারত লোকসভা নির্বাচন মল্লিকার্জুন খাড়গে নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাত ধাপে অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ের ভোট হয় ১৯ এপ্রিল এবং সেখানে ১০২টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় দফায় ২৬ এপ্রিল ৮৯টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। চতুর্থ দফায় ভোট হবে ৭ মে। সেখানে ৯৪টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে এবং সপ্তম দফায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে পয়লা জুন। আর ৪ জুন নির্বাচনের ফলাফল জানা যাবে।