ময়মনসিংহের
মুক্তাগাছায় বিকাশ এজেন্ট ডিস্ট্রিবিউটরের প্রতিনিধি নাজমুস সায়াদাত নামের এক যুবক ১৮
জন বিকাশ এজেন্টের ২৮ লাখ টাকা
নিয়ে উধাও হওয়ার খবর
পাওয়া গেছে। প্রতারকের ধরিয়ে দিতে পারলে ২
লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা
করেছে এজেন্ট ব্যবসায়ীরা।
মুক্তাগাছা
উপজেলায় চলতি বছরের ১
জানুয়ারি ১৮ জন বিকাশ
এজেন্ট ব্যবসায়ীর সঙ্গে
২৮ লাখ টাকা নিয়ে
পালিয়ে যাওয়ার ঘটনাটি ঘটে।
বিকাশ
এজেন্ট প্রতিনিধি (ডিএসও) মো.নাজমুস সায়াদাত
মুক্তাগাছা পৌরসভার পাড়াটঙ্গীর "চেনেল এন্টারপ্রাইজ" নামের বিকাশ এজেন্ট ডিস্ট্রিবিউটরে কর্মরত প্রতিনিধি।
নাজমুস
সায়াদাতের স্থায়ী ঠিকানা ফেনীর দাগনভূঞা থানার বাহারি গোবিন্দ এলাকার রাইফেল ব্যাটালিয়নের ১৯
নং বাসার বাসিন্দা ও মো.হেলাল
উদ্দিনের ছেলে। তিনি ময়মনসিংহের খাগডহর
মধ্যপাড়ায় ভাড়া বাসায় বসবাস
করেন।
জানা যায়, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি বিকাশ এজেন্ট প্রতিনিধি (ডিএসও) নাজমুস সায়াদাত উপজেলার ১৮ জন বিকাশ এজেন্ট ব্যবসায়ীর কাছ থেকে কৌশলে ২৮ লাখ টাকা নিয়ে লাপাত্তা।
বিকাশ
এজেন্ট ব্যবসায়ী ইউনিটি
মেডিসিন সেন্টার থেকে ৬৫ হাজার
টাকা, বন্ধন মেডিকেল হলের ৪ লাখ,
নিজাম ইলেকট্রিক স্টোরের ৩ লাখ ৫০
হাজার,আলিফ টেলিকমের ২০
হাজার,এমএস শিমুল এন্টার
প্রাইজের ১ লাখ,মামা
ভাগিনা টেলিকমের ৬ লাখ,সোহাগ
এন্টার প্রাইজ ২৫ হাজার,মা
স্টোরের ১ লাখ ৩০
হাজার,কেয়া রকমারি স্টোরের ৫ হাজার,মেসার্স
সোয়াইব কনফেকশনারীর ২ লাখ ২৫
হাজার, বিসমিল্লাহ স্টোরের ২ লাখ ২৫
হাজার,আজিম মেডিসিন হলের
৬০ হাজার,তাকওয়া কওমী সপের (১
লাখ ৫ হাজার,কামরুল
স্টোরের ৬০ হাজার,মাকসুদুল
হোসাইন টেলিকমের ৫০ হাজার,এম
এস সানি ভ্যারাইটিস স্টোর
২৫ হাজার, আর এস ইলেকট্রনিক্সের
২৫ হাজার ও মদিনা টেলিকমের
১ লাখ ৬৯ টাকা
রয়েছে। এসব এজেন্ট ব্যবসায়ী তাদের টাকা ফেরত পেতে
ডিস্ট্রিবিউর ও মুক্তাগাছা থানা
লিখিত আবেদন করেছেন। এছাড়াও বিষয়টির সুরাহা পেতে পুলিশ সুপারকে
অবহিত করেছেন বলে জানিয়েছেন ভূক্তভোগীরা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মামা ভাগনে টেলিকমের
কর্ণধার ও অবসরপ্রাপ্ত সেনাবাহিনী
কর্মকর্তা মোখলেছুর রহমান বলেন, বিকাশের ডিস্ট্রিবিউটর প্রতিনিধি হিসেবে তার সঙ্গে আমরা
সবাই লেনদেন করে থাকি। ১
জানুয়ারি সারাদিন আমাদের ১৮ এজেন্টের কাছ
থেকে কৌশলে ২৮ লাখ টাকা
নিয়ে উধাও হয়ে যায়।
তার মধ্যে আমার রয়েছে ৬
লাখ। আমাদের টাকা ফেরত না
পেলে, নিঃস্ব হয়ে পথে বসতে
হবে।
আর এক ভূক্তভোগী নিজাম
ইলেকট্রিক ষ্টোরের প্রপাইটার নিজাম বলেন, টাকা ফেরত পেতে
ডিস্ট্রিবিউটর,থানার ওসি ও পুলিশ
সুপারকে অবহিত করা হয়েছে। তিনারা
আমাদেরকে টাকা ফেতর পেতে
সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে চেনেল এন্টারপ্রাইজ অথোরাইজড ডিস্ট্রিবিউটর বিকাশ এজেন্টের ম্যানেজার নুহান ইসলাম সোহেল জানান,নাজমুস সায়াদাত আমাদের প্রতিষ্ঠানে গত চার মাস ধরে সেলস্ ম্যান হিসেবে কর্মরত ছিলেন। প্রতিষ্ঠানের আড়াই লাখ টাকাসহ ১৮ এজেন্টের ৩০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে পালিয়েছে। আমরা তাকে খুঁজছি এবং আইনের শরণাপর্ণ হয়েছে।
অভিযোগ বিষয়ে পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভূঞা জানান,এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মাঠে কাজ করছে।
উল্লেখ্য,
এজেন্টদের পক্ষ থেকে প্রতারক
নাজমুস সায়াদাতকে ধরিয়ে দিতে পারলে নগদ
২ লক্ষ টাকা ও
অন্যান্য পুরস্কার
দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
যোগাযোগের
ঠিকানা : মামা ভাগনে টেলিকম,মোখলেছুর রহমান মোবাইল: ০১৭১৫৭৫২৮০৭
প্রতারক পুরষ্কার বিকাশ লিমিটেড এজেন্ট
মন্তব্য করুন
রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে বাস-পিকআপ সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়েছেন। যাত্রাবাড়ীর
এলাকার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মাতুয়াইল আউটগোয়িং ইউ টার্ন পয়েন্টে এ দুর্ঘটনা
ঘটে।
রোববার (৫ মে) দিবাগত রাত পৌনে তিনটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরে গুরুতর
আহত অবস্থায় তাদের দুজনকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জরুরি বিভাগের নিয়ে
আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক বাবুল চিশতিকে মৃত ঘোষণা করেন এবং ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায়
৯৮ নম্বর ওয়ার্ডে কবির হোসেন মারা যান।
নিহতরা হলেন, পিকআপ ভ্যান চালক বাবুল চিশতী (৪৫) ও কবির হোসেন
(৫০)।
পিকআপ ভ্যানের চালক বাবুল চিশতি শরীয়তপুরের গোসাইরহাট থানার সামন্ত
সাহা গ্রামের আব্দুর রশিদ আকন্দ ছেলে এবং কবির হোসেন একই জেলার ভেদরগঞ্জ থানার সিঁংঢালা
গ্রামের আব্দুর রশিদ বেপারির ছেলে। বর্তমানে দুজনই মাতুয়াইলের মৃধাবাড়ি এলাকায় ভাড়া
থাকতেন।
পথচারী তরিকুল ইসলাম জানান, গতরাতে মাতুয়াইল ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের
সামনের রাস্তায় একটি পিকআপ ভ্যান ইউ টার্ন নিচ্ছিল। তখন তুহিন নামে যাত্রীবাহী একটি
বাস পিকআপ ভ্যানটিকে ধাক্কা দিলে ভ্যানটি দুমরে মুচরে যায় এবং বাসটি পাশে খাদের পানিতে
পড়ে যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলের পিকআপ ভ্যানের ভিতর থেকে স্থানীয় লোকজন ও পথচারীরা
মুমূর্ষ অবস্থায় ওই দুইজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে বাবুল চিশতিকে চিকিৎসক
মৃত ঘোষণা করেন এবং ভোরের দিকে ৯৮ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কবির হোসেন মারা
যান।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া
বলেন, মরদেহ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ
অবগত আছেন।
তিনি আরো বলেন, নিহত বাবুল চিশতীর মরদেহ তার স্ত্রী নার্গিস আক্তার
শনাক্ত করেন। প্রথমে কবির হোসেনের পরিচয় পাওয়া না গেলেও পরবর্তীতে তার স্ত্রী নাসরিন
বেগম তার স্বামীর পরিচয় নিশ্চিত করেন।
ঢামেক হাসপাতাল সড়ক দুর্ঘটনা মৃত্যু
মন্তব্য করুন
আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রথম ধাপের ভোট উপলক্ষে ১৫০
উপজেলায় তিন দিনের জন্য মোটরসাইকেল চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন
(ইসি)। ইতোমধ্যে সংস্থাটির নির্দেশনায় প্রজ্ঞাপনও জারি করেছে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক
বিভাগ।
রবিবার (০৫ মে) সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সহকারী সচিব মো.
জসিম উদ্দিনের সই করা প্রজ্ঞাপনটি সংশ্লিষ্ট সবাইকে পাঠানো হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে- আগামী ৮ মে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপের
সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮ এর ৩২ ধারা অনুযায়ী, নির্বাচন
উপলক্ষে ভোটগ্রহণের জন্য নির্ধারিত দিবসের আগের মধ্যরাত অর্থাৎ ০৭ মে দিবাগত মধ্যরাত
১২টা থেকে ৮ মে দিবাগত মধ্যরাত ১২টা পর্যন্ত ট্যাক্সি ক্যাব, পিকআপ, মাইক্রোবাস ও ট্রাক
চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকবে। আর ৬ মে দিবাগত মধ্যরাত ১২টা থেকে ৯ মে মধ্যরাত ১২টা পর্যন্ত
মোটরসাইকেল চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকবে।
এতে আরও বলা হয়েছে, নির্বাচনী এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, যানজট
নিরসন ইত্যাদি প্রয়োজনে বাস্তবতার নিরিখে এবং স্থানীয় বিবেচনায় উল্লিখিত যানবাহন
ছাড়াও যেকোনো যানবাহন চলাচলের ওপর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারবে।
এ নিষেধাজ্ঞা রিটার্নিং অফিসারের অনুমতি সাপেক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বা তাদের
নির্বাচনী এজেন্ট, দেশি বা বিদেশি পর্যবেক্ষকদের (পরিচয়পত্র থাকতে হবে) ক্ষেত্রে শিথিলযোগ্য।
নির্বাচনের সংবাদ সংগ্রহের কাজে নিয়োজিত দেশি বা বিদেশি সাংবাদিক
(পরিচয়পত্র থাকতে হবে) নির্বাচনের কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী
বাহিনীর সদস্য, নির্বাচনের বৈধ পরিদর্শক এবং জরুরি কাজে ব্যবহৃত কতিপয় যানবাহন (অ্যাম্বুলেন্সসহ
ফায়ার সার্ভিস, বিদ্যুৎ, গ্যাস, ডাক, টেলিযোগাযোগে ব্যবহৃত যানবাহন) চলাচলের ক্ষেত্রে
এ নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে না।
জাতীয় মহাসড়ক, বন্দর ও জরুরি পণ্য সরবরাহসহ অন্যান্য জরুরি প্রয়োজনে
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এরূপ নিষেধাজ্ঞা শিথিল করতে পারবে। যানবাহন চলাচলে বর্ণিত সময়সূচি
অনুযায়ী নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসককে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা নির্বাচন ইসি মোটরসাইকেল নিষেধাজ্ঞা
মন্তব্য করুন
রোগীকে চিকিৎসা দিতে দেরি করায় ডাক্তারকে বেধড়ক পেটানো সেই আওয়ামী
লীগ নেতা এলিম পাহাড় এবার পা ধরে মাফ চেয়েছেন।
রোববার (৫ মে) শরীয়তপুর-১ আসনের এমপি ইকবাল হোসেন অপুর উপস্থিতিতে
চিকিৎসকের পা ধরে মাফ চান তিনি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার মাফ চাওয়ার ভিডিওটি ছড়িয়ে
পড়েছে। এলিম পাহাড় শরীয়তপুর জেলা শ্রমিক ইউনিয়নের কার্যনির্বাহী সভাপতি।
ভুক্তভোগীরা হলেন, চিকিৎসক শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার
ডাক্তার শেহরিয়ার ইয়াছিন ও তত্ত্বাবধায়ক হাবিবুর রহমান।
ভিডিওতে দেখা যায়, সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন অপুর বাসভবনে হামলার
শিকার চিকিৎসকরাসহ কয়েকজন চিকিৎসক বসে আছেন। এলিম পাহাড়কে তাদের পায়ে ধরে মাফ চাইতে
বলছেন এমপি। তখন এলিম দুই চিকিৎসকের মধ্যে প্রথমে ডাক্তার শেহরিয়ারের পায়ে এবং পরে
তত্ত্বাবধায়ক হাবিবুর রহমানের কাছে পা ধরে ক্ষমা চান। এ সময় তাকে সংসদ সদস্য ইকবাল
হোসেন অপুর পায়ে ধরতেও দেখা যায়।
ভিডিওতে পালং মডেল থানার ওসি মেজবাউদ্দিন আহমেদ, যুবলীগ নেতা বাচ্চু
বেপারী, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সিদ্দিক পাহাড় ও স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিব) শরীয়তপুর
জেলা শাখার সভাপতি ডা. মনিরুল ইসলামসহ বেশ কয়েকজন রাজনৈতিক ব্যক্তিকে দেখা যায়।
মীমাংসার বিষয়ে জানতে চাইলে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক
হাবিবুর রহমান বলেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য হাসপাতালের স্বাস্থ্যসেবা কমিটির সভাপতি। ঘটনাটি
না বাড়িয়ে মীমাংসা করার জন্য তিনি অনুরোধ করেছেন। তাই তার উপস্থিতিতে ওই ব্যক্তি ক্ষমা
চেয়েছেন। তাই তার প্রতি সম্মান দেখিয়ে মামলা প্রত্যাহারের আবেদন করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী চিকিৎসক ডাক্তার শেহরিয়ার ইয়াছিন বলেন, স্থানীয় সংসদ
সদস্য অনুরোধ করায় আমি মামলা প্রত্যাহারের আবেদন করতে বাধ্য হয়েছি। আমার কানের পর্দা
ও কণ্ঠনালিতে আঘাত লেগেছে।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগ ও শ্রমিক ইউনিয়ন নেতা এলিম পাহাড়, মোবাইল
ফোনে বলেন, সংসদ সদস্য আমাদের মুরব্বি। উনি বলেছেন, তাই মীমাংসা করেছি। আমার ছেলেরে
অন্য জায়গায় চিকিৎসা করাচ্ছি।
এ বিষয়ে শরীয়তপুরের জেলা পুলিশ সুপার মো. মাহবুবুল আলম (পিপিএম)
বলেন, শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসকে লাঞ্ছিতের ঘটনায় ভুক্তভোগী জেলা পুলিশের কাছে
একটি লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগের সঙ্গে সঙ্গেই এলিম পাহাড়কে আটক করে পুলিশ। কিন্তু
আসামি গ্রেপ্তারের পর ভুক্তভোগী তার অভিযোগপত্রটি তুলে নেন। যার কারণে কোনো মামলা গ্রহণ
করা সম্ভব হয়নি।
এর আগে শনিবার (৪ মে) দুপুরে সাড়ে ১২টার দিকে মারামারিতে আহত ছেলেকে চিকিৎসা দিতে দেরি করার অভিযোগে ডা. শেহরিয়ারকে বেধড়ক পেটান এলিম পাহাড়। এই সময় হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক হাবিবুর রহমানকেও লাঞ্ছিত করা হয়। পরে ডা. শাহরিয়ার বাদী হয়ে দুপুরে সদরের পালং মডেল থানায় একটি মামলার আবেদন করলে পুলিশ এলিম পাহাড়কে আটক করে।
এমপি ইকবাল হোসেন অপু শ্রমিক নেতা চিকিৎসক
মন্তব্য করুন
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান থানার ওসি
মো. মুজাহিদুল ইসলামসহ ৯ পুলিশের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
রোববার (৫ মে) দুপুরে মুন্সীগঞ্জ জেলা
ও দায়রা জজ আদালতে পুলিশের হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগ এনে মামলাটি দায়ের করেন নির্যাতনের
শিকার আব্দুল বারেক।
মামলা দায়ের করা আব্দুল বারেক সিরাজদিখান
উপজেলার বড়বর্তা গ্রামের বাসিন্দা ও স্থানীয় কেয়াইন ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. হোসেন মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, মুন্সীগঞ্জ সিনিয়র জেলা
ও দায়রা জজ কাজী আব্দুল হান্নান মামলার ঘটনার সত্যতা যাচাই-পূর্বক তদন্ত করে প্রতিবেদন
দেওয়ার জন্য পিবিআই পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দিয়েছেন।
একইসঙ্গে বাদী তথা ভুক্তভোগীদের জখমের
বিষয়ে সিভিল সার্জনকে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মামলায় বাদী পক্ষের আইনজীবী মো. জামাল
হোসাইন জানান, গত ১৮ এপ্রিল জেলার সিরাজদিখান থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়। ২৪ এপ্রিল
ওই মামলায় এজাহার নামীয় আসামি দেখিয়ে উপজেলার কুচিয়ামোড়া গ্রামের আব্দুল বারেকসহ ১১
জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এরপর ওই দিন রাতে গ্রেপ্তারকৃতদের থানা
পুলিশের হেফাজতে নির্যাতন করা হয়। পরদিন গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে
পাঠানো হয়।
তিনি আরও বলেন, জেল হাজতে থেকে আব্দুল
বারেক বাদী হয়ে সিরাজদীখান থানার ওসি ও অন্যান্য আরো ৮ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে পুলিশের
হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগ দায়ের করেছেন আদালতে।
এ ব্যাপারে সহকারী পুলিশ সুপার (সিরাজদিখান
সার্কেল) মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, শুনেছি আদালতে একটি পিটিশন মামলা হয়েছে। তবে ওই
ঘটনার সময় আমি ট্রেনিংয়ে ছিলাম।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন