দেশের প্রয়োজনীয় অনুষঙ্গ মসলার বড় একটি অংশই আমদানি হয় গুয়েতেমালা, ভিয়েতনাম, ব্রাজিল, মাদাগাস্কার, শ্রীলঙ্কা ও ভারতের মতো প্রায় ২৩টি দেশ থেকে। আমদানিকৃত এসব মসলা চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে ঢোকে দেশের সবচেয়ে বড় ভোগ্যপণ্যের বাজার খাতুনগঞ্জে। এখান থেকেই এসব মসলা পাইকারিতে নিয়ে যাওয়া হয় সারা দেশে। কিন্তু এই বাজারেই জেঁকে বসেছে সিন্ডিকেট। আমদানি মূল্যের দ্বিগুণ দামে মসলা বিক্রি করছে তারা। এতে খুচরা ও পাইকারি উভয় বাজারে সৃষ্টি হয়েছে অস্থিতিশীলতা। নাজেহাল অবস্থা ভোক্তাদের।
জানা
যায়, দেশের সবচেয়ে বড় মসলা বাজার
খাতুনগঞ্জে গত অক্টোবরে কেজিপ্রতি এলাচ বিক্রি হয়েছে
১ হাজার ৬০০ থেকে ১
হাজার ৮০০ টাকার মধ্যে।
একই মানের এলাচ এখন বিক্রি
হচ্ছে ২ হাজার ৫০০
থেকে ২ হাজার ৬০০
টাকায়। গত অক্টোবরে কেজিপ্রতি
লবঙ্গ বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ৪৫০।
এখন তা বিক্রি হচ্ছে
১ হাজার ৭৫০ থেকে ২
হাজার টাকায়। ওই সময় কেজিপ্রতি
দারুচিনি বিক্রি হয়েছে ৩৫০ থেকে ৪০০
টাকা। এখন তা বিক্রি
হচ্ছে ৫০০ থেকে ৬০০
টাকা। কেজিপ্রতি গোলমরিচ বিক্রি হয়েছিল ৫০০ থেকে ৬০০
টাকায়। এখন তা বেড়ে
হয়েছে ৭০০ টাকা।
একই
অবস্থা জায়ফলের দামে। ৬০০ টাকার জায়ফল
এখন বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকার উপরে।
২০-৫০ টাকা পর্যন্ত
বেড়েছে মিষ্টি জিরার দামও। কেজিপ্রতি মিষ্টি জিরা বিক্রি হচ্ছে
৩০০ টাকার উপরে। এ ছাড়া গত
অক্টোবরে প্রতি কেজি ভারতীয় হলুদ
বিক্রি হয়েছে ১৭০-১৮০ টাকা
দরে। এখন এই হলুদ
বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৩০০
টাকায়। দেশি হলুদ ছিল
২০০ টাকার নিচে। এখন তা বিক্রি
হচ্ছে ২৮০ থেকে ৩০০
টাকার উপরে। কালিজিরার দামও ১০-১৫
টাকা বেড়ে ২৪০, মেথির
দাম ১০-১৫ টাকা
বেড়ে ১২৫, ধনিয়ার দাম
২০-২৫ টাকা বেড়ে
১৮৫, রাঁধুনির দাম ৫০-৬০
টাকা বেড়ে ২৮০ টাকায়
বিক্রি হচ্ছে।
কনজ্যুমারস
অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)
চট্টগ্রাম বিভাগীয় সভাপতি এস এম নাজের
হোসাইন বলেন, রমজান উপলক্ষে ভোগ্যপণ্যের কোনো ঘাটতি হবে
না বলে আমদানিকারক ও
সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে সবসময় বলা
হয়। তবে পণ্যের সরবরাহে
যদি কৃত্রিম সংকট না হয়
এবং সরকার যদি আমদানিকারক থেকে
শুরু করে খুচরা বাজার
পর্যন্ত তদারকি জোরদার করে, তাহলে রমজানে
দাম বাড়ার কোনো আশঙ্কা থাকে
না। ব্যবসায়ীরা প্রায়ই চাহিদা ও জোগানের মধ্যে
ভারসাম্যহীনতার অজুহাত দেখিয়ে দাম বাড়ায়। তাই
রমজানে প্রশাসনকে অবশ্যই কঠোরভাবে বাজার মনিটরিং নিশ্চিত করতে হবে।
তবে
এবার রোজার আগেই কঠোর হতে
দেখা গেছে প্রশাসনকে। গত
সোমবার দুপুরে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী
ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্তের নেতৃত্বে খাতুনগঞ্জে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালায়। এ সময় ছয়
প্রতিষ্ঠানকে ৫১ হাজার টাকা
জরিমানা করা হয়।
তিনি
বলেন, এলাচের আমদানি এবং বিক্রয় মূল্যের
মধ্যে আকাশ-পাতাল তফাত।
মাত্র সাড়ে সাত ডলার
কেজি দরে এলাচ আমদানি
করা হচ্ছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর দাম হবে
সর্বোচ্চ সাড়ে ৭০০ টাকা।
এর ওপর ৫৯ শতাংশ
ট্যাক্স। তারপর বন্দরের চার্জ ও ক্যারিং কস্টসহ
সবকিছু মিলিয়ে এক কেজি এলাচের
সর্বোচ্চ মূল্য হতে পারে ১
হাজার ৪০০ বা ১
হাজার ৫০০ টাকা। এর
বেশি হওয়া যৌক্তিক নয়।
কিন্তু পাইকারি বাজারে এলাচ প্রতি কেজি
বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫০০
বা ২ হাজার ৬০০
টাকায়। খুচরা পর্যায়ে দাম আরও বেশি।
অভিযানে
এলাচের অন্যতম প্রধান আমদানিকারক মেসার্স আবু মোহাম্মদ অ্যান্ড
কোম্পানিকে আমদানি মূল্যের অতিরিক্ত দামে বিক্রির দায়ে
২০ হাজার টাকা জরিমানা করা
হয়।
নির্বাহী
ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত বলেন, তিনি
একজন আমদানিকারক। অথচ কোনো ক্রয়-বিক্রয় রসিদ সংরক্ষণ করেননি।
এজন্য উনাকে জরিমানা করা হয়েছে। রমজান
সামনে রেখে কোনো অসাধু
ব্যবসায়ী যাতে অতিরিক্ত লাভ
করতে না পারে বা
বাজারে কোনো পণ্যের কৃত্রিম
সংকট তৈরি করতে না
পারে, সে বিষয়ে জেলা
প্রশাসনের কঠোর নজরদারি অব্যাহত
থাকবে। আমরা আরও অভিযান
পরিচালনা করব।
অভিযানে
মূল্য তালিকা ও ক্রয়-বিক্রয়
রসিদ না রাখার অভিযোগে
খাতুনগঞ্জের মদিনা ট্রেডার্সকে ১০ হাজার, আজমির
ভান্ডারকে ৩ হাজার এবং
ফারুক ট্রেডার্সকে ৩ হাজার টাকা
জরিমানা করা হয়। এরপর
সরাসরি ডিও/এসও বিক্রির
দায়ে ভাই ভাই এন্টারপ্রাইজকে
১০ হাজার এবং দ্বীন অ্যান্ড
কোম্পানিকে ৫ হাজার টাকা
জরিমানা করা হয়।
এদিকে
চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের তথ্য বলছে, বিশ্বের
বিভিন্ন দেশ থেকে চট্টগ্রাম
বন্দর দিয়ে আমদানি করা
হয় পেঁয়াজ, রসুন, দারুচিনি, লবঙ্গ, জায়ফল, জয়ত্রী, এলাচ, ধনিয়া, জিরা, আদা, হলুদসহ বিভিন্ন
ধরনের মসলা। ২০২২ সালের তুলনায়
২০২৩ সালে চট্টগ্রাম বন্দর
দিয়ে আমদানি হয়েছে ৩০ হাজার ৭১৭
টনের বেশি মসলা। ২০২২
সালে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আমদানি হয়
১ লাখ ৫১ হাজার
৯৩৩ টন মসলা। গত
বছর আমদানি হয় ১ লাখ
৮২ হাজার ৬৫০ টন। মসলা
আমদানির মাধ্যমে ২০২২ সালে ৪৫৩
কোটি ৪৮ লাখ ১৬
হাজার ৮০৯ টাকা রাজস্ব
আয় করে কাস্টমস। গত
বছর আয় হয় ৬৬৩
কোটি ৭৯ লাখ ৪৫
হাজার ৮০৬ টাকা।
চট্টগ্রাম
সমুদ্রবন্দর উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপপরিচালক ড. মোহাম্মদ শাহ
আলম বলেন, চলতি ২০২৩-২৪
অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসেই আমদানি
হয়েছে ২ হাজার ৪১৯
মেট্রিক টন এলাচ। শুধু
ডিসেম্বর মাসেই এসেছে ৮২ মেট্রিক টন
এলাচ। ২০২২-২৩ অর্থবছরে
এলাচ এসেছে ৪ হাজার ৮৪৪
মেট্রিক টন। ২০২০-২১
অর্থবছরে এসেছে ৩ হাজার ৯০৬
মেট্রিক টন।
চলতি
২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম
ছয় মাসেই আমদানি হয়েছে ৪ হাজার ৪৭০
মেট্রিক টন দারুচিনি। শুধু
ডিসেম্বরই এসেছে ৬৯৮ মেট্রিক টন।
২০২২-২৩ অর্থবছরে আমদানি
করা হয়েছে ১৫ হাজার ৭৫২
মেট্রিক টন দারুচিনি। ২০২০-২১ অর্থবছরে এসেছে
১০ হাজার ৮১৫ মেট্রিক টন
দারুচিনি।
গত
ডিসেম্বরে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আমদানি করা
হয়েছে ৩৩ মেট্রিক টন
লবঙ্গ। চলতি ২০২৩-২৪
অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসেই আমদানি
হয়েছে ৪২২ মেট্রিক টন।
২০২২-২৩ অর্থবছরে এসেছে
১ হাজার ২৭৫ মেট্রিক টন
লবঙ্গ। আগের অর্থবছরে এসেছে
১ হাজার ৯৬২ মেট্রিক টন।
অন্যদিকে, চাহিদার পাশাপাশি জিরার আমদানিও বেড়েছে। শুধু ডিসেম্বরই চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আমদানি করা হয়েছে ৪ হাজার ৭৪১ মেট্রিক টন জিরা। চলতি ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের প্রথম ছয় মাসেই আমদানি হয়েছে ৬ হাজার ৩০ মেট্রিক টন। ২০২২-২৩ অর্থবছরে এসেছে ৩ হাজার ৬৬৯ মেট্রিক টন। ২০২০-২১ অর্থবছরে এসেছে ১৮ হাজার ১০৬ মেট্রিক টন জিরা।
খাতুনগঞ্জ মসলা নাজেহাল ভোক্তারা
মন্তব্য করুন
মাছ ধরা মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমান
মন্তব্য করুন
উত্তরের শস্য ভান্ডার বলা হয় নওগাঁকে। এই জেলায় যে পরিমান ধান উৎপাদন হয় সেই ধান দিয়ে এই জেলা চাহিদা মিটিয়ে আশেপাশের জেলায় বিক্রি করা হয়। ধানের পাশাপাশি আম উৎপাদনে পিছিয়ে নেই এই জেলার কৃষকরা। কিন্তু
গত কয়েক দিনের তীব্র তাপপ্রবাহের কারনে আমের গুটি ঝড়ে পড়েছে। পানি ও ওষুধ স্প্রে করেও মিলছেনা সুফল। নওগাঁর সব আম বাগান গুলোতে বর্তমানে একই অবস্থা। তাই আমের ফলন বিপর্যয়ের শঙ্কায় দিন কাটছে এখানকার আম বাগানী ও চাষীদের মাঝে।
টানা দুই সপ্তাহের টানা গরম ও তাপপ্রবাহে কারণে ঝরে পড়ছে আমের গুটি। পানি সেচসহ নানা পদ্ধতি অবলম্বন করেও ঝরে পড়া থেকে ঠেকানো যাচ্ছে না। এতে চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছেন আমের নতুন রাজধানী হিসেবে খ্যাত নওগাঁর আম চাষীরা। এমন অবস্থায় কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন বাড়তি যত্ন নিলে এ সমস্যা রোধ অনেকটাই সম্ভব।
নওগাঁ জেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের সূত্র মতে, এ বছর নওগাঁয় ৩০ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের আম চাষ হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় ৩০০ হেক্টর বেশি। প্রতি হেক্টর জমিতে ১৪ দশমিক ২৪ টন হিসেবে ৪ লাখ ৩১ হাজার ৫০০ টন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানা যায়।
জেলার বিভিন্ন উপজেলার আম বাগান ঘুরে দেখা যায়, এবার আশানূরুপভাবে আমের দেখা নেই। আমের গুটি ঝরে পড়ে আছে রোদের তীব্রতায়। এমন পরিস্থিতিতে আমের নতুন রাজধানী খ্যাত নওগাঁর বেশিরভাগ আম বাগানেই ফলন বিপর্যয়ের আশংঙ্কা করছেন চাষীরা।
বৈশাখের শুরু থেকে তাপদাহে পুড়ছে নওগাঁ। তপ্ত কড়াইয়ের মতো তেঁতে উঠেছে পথ-ঘাট। সোমবার (২৯ এপ্রিল) বেলা ৩টায় নওগাঁয় তাপমাত্রার পারদ উঠে ৪০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা জেলায় চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বলে জানায় জেলার বদলগাছী স্থানীয় আবহাওয়া অফিস।
পত্মীতলা উপজেলার আম চাষী কাজী ফেরদৌস হোসেন বলেন, আমি ১০ বিঘা জমিতে আমের চাষ করেছেন। গত কয়েক দিনের তীব্র তাপপ্রবাহের কারনে আমের গুটি ঝড়ে পড়েছে। পানি ও ওষুধ স্প্রে করেও মিলছেনা সুফল। তিনি আরও বলেন, এবার সব গাছে মুকুল কম এসেছিল। যেটুকু ছিল, তা নিয়ে আশাবাদী ছিলাম। কিন্তু চলতি মাসের শুরু থেকে তীব্র গরমে অধিকাংশ গাছের গুটি ঝরে গেছে। অনেক গাছ গুটি
শূন্য হয়ে আছে। এতে উৎপাদন অনেক কম হবে বলে ধারনা করছি।
পোরশা উপজেলার আম চাষি হাজি মিজানুর রহমান বলেন, এবার ৩০ বিঘা জমিতে চাষ করেছি। গাছে গুটি কম থাকায় হতাশা ও দুশ্চিন্তায় পড়ে গেছি। গত বছর প্রচুর আম হয়েছিল। সে তুলনায় এবার অনেক কম পাবো। অধিকাংশ গুটি ঝরে গেছে। ফলনে মারাত্মক বিপর্যয় দেখা দেবে বলে মনে করছি।
নিয়ামতপুর উপজেলার আম চাষি কাজল কুমার মহন্ত বলেন, এবার ১৫বিঘা জমিতে আমের চাষ করেছি। গুটি পড়া রোধে পানি, ওষুধ দেওয়ার পরও প্রচন্ড গরম আর রোদের কারনে আমগুলো ঝরে পড়ছে। গাছে আম টেকানো যাচ্ছে না। আবার কালবৈশাখী ঝড় হলে আম নষ্ট হতে পারে মারাত্বকভাবে। কঠিণ পরিস্থিতে রয়েছি আমরা।
নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মেহেদুল ইসলাম বলেন, প্রতি বছরই স্বাভাবিকভাবে এমন সময় গাছ থেকে আমের গুটি ঝরে পড়ে। তবে এই সময়ে গাছে বাড়তি পরিচর্যা করলে অস্বাভাবিকভাবে গুটি ঝরে পড়া বন্ধ হবে। আম গাছের গোড়ায় পর্যাপ্ত সেচের পাশাপাশি প্রয়োজনে গাছের পাতায় পানি স্প্রে করা যেতে পারে। আমরা মাঠ পর্যায়ে চাষিদের আমের গুটি ঝরা রোধে সব ধরনের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি ।
মন্তব্য করুন
বিএসএমএমইউ উপাচার্য ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক
মন্তব্য করুন
নির্বাচন কমিশনার বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) আহসান হাবিব খান বলেছেন, নির্বাচনে কোন পেশী শক্তি, কেন্দ্র দখল, এক জনের ভোট আরেকজন দিলে ভোট বন্ধ। প্রিজাইডিং কর্মকর্তা চাকরিচ্যুত, ঠিকানা
হবে জেল। কোন বিশৃঙ্খলাকারীদের ছাড় দেওয়া হবেনা। আমাদের মূল লক্ষ্য ভোটারদের আস্থার জায়গা ফিরিয়ে আনা।
মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দুপুর ১২টায় সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে
এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন তিনি।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ন কবিরের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, খুলনা ডিজিএফআইয়ের কর্মকর্তা লে. কর্নেল সৈয়দ আসাদুজ্জামান, খুলনা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা হুমায়ন কবির, জেলা পুলিশ সুপার মতিউর রহমান সিদ্দিকী, যশোর জেলা প্রশাসক আব্রাউল হাসান মজুমদার, যশোর জেলা পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ার্দার, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আতিকুল ইসলাম, সাতক্ষীরা-৩৩ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল আশরাফুল হক, র্যাব-৬ কোম্পানি কমান্ডার এ.এস.পি ফয়সাল আহমেদ প্রমূখ।
এসময় নির্বাচন কমিশনার আরোও বলেন, ‘বিদেশি পর্যবেক্ষক থেকে সরকার প্রধান, সবাই চায় দেশে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক। আমরা সেই লক্ষে প্রত্যেক জেলার নির্বাচন কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসক ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নির্দেশনা দিয়ে আসছি।
নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে যদি প্রশাসনিক কর্মকর্তা জড়িয়ে পড়েন
তাহলে তাকে চাকুরিচ্যুত করে জেলে পাঠানো হবে ।’
উপজেলা পরিষদ নির্বাচন নির্বাচন কমিশনার নির্বাচনে বিশৃঙ্খলা
মন্তব্য করুন
গোপালগঞ্জের
কাশিয়ানীতে উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে জেলা প্রশাসন। জেলা
প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম-এর নেতৃত্বে মঙ্গলবার
(৩০ এপ্রিল) দুপুরে কাশিয়ানীর আড়কান্দি বাজারে রাস্তার পাশে সরকারী জায়গা
দখল করে গড়ে ওঠা
বেশ কয়েকটি দোকান-ঘর ভেঙ্গে গুড়িয়ে
দেয়া হয়।
এছাড়া
একই উপজেলার সিংগা গ্রামে ব্রীজের তলদেশ মাটি ভরাট করে
দখল করাসহ খালের জায়গা ভরাট করে দখলের
পায়তারা চালানো হচ্ছিল। সেটিও বন্ধ করা হয়।
এসব
অবৈধ দখল উচ্ছেদকালে অতিরিক্ত
জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ফারহানা জাহান উপমা, পানি উন্নয়ন বোর্ডের
নির্বাহী প্রকৌশলী এস.এম রেফাত
জামিল, সরকারী অন্যান্য কর্মকর্তা ও পুলিশ প্রশাসনের
কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
জেলা
প্রশাসক কাজী মাহবুবল আলম
বলেন, জেলার যেসব জায়গায় সরকারি
সম্পত্তি অবৈধ দখলদাররা দখলে
রেখে ভোগ করে আসছে,
সেসব সরকারি সম্পত্তি দখলমুক্ত করা হবে এবং
দখলদারদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। এরসাথে যদি
সরকারি কোন লোক জড়িত
থাকে তাদের বিরুদ্ধেও বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে এবং
এ উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জেলা প্রশাসক
জানান।
অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান দখলমুক্ত
মন্তব্য করুন
উত্তরের শস্য ভান্ডার বলা হয় নওগাঁকে। এই জেলায় যে পরিমান ধান উৎপাদন হয় সেই ধান দিয়ে এই জেলা চাহিদা মিটিয়ে আশেপাশের জেলায় বিক্রি করা হয়। ধানের পাশাপাশি আম উৎপাদনে পিছিয়ে নেই এই জেলার কৃষকরা। কিন্তু গত কয়েক দিনের তীব্র তাপপ্রবাহের কারনে আমের গুটি ঝড়ে পড়েছে। পানি ও ওষুধ স্প্রে করেও মিলছেনা সুফল। নওগাঁর সব আম বাগান গুলোতে বর্তমানে একই অবস্থা। তাই আমের ফলন বিপর্যয়ের শঙ্কায় দিন কাটছে এখানকার আম বাগানী ও চাষীদের মাঝে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের প্রথম মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়। বিগত দুই মেয়াদে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা উপাচার্য হচ্ছেন, উপাচার্যের ভার তারা সামলাতে পারছেন না। উপাচার্য হয়েই তারা বেসামাল হয়ে পড়ছেন। আগের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শারফুদ্দিন আহমেদের নানা কেলেঙ্কারি নিয়ে বাজারে ব্যাপক আলোচনা আছে। সেই কেলেঙ্কারির চেয়েও তিনি আত্মপ্রচারণায় মগ্ন ছিলেন। উপাচার্য থাকা অবস্থায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে এমনভাবে চিত্রায়ন করছিলেন যেন মনে হচ্ছিল ইউনিভার্সিটিটি পৈতৃক সূত্রে পেয়েছেন। বিভিন্ন জায়গায় তার ছবি দিয়ে সজ্জিত করা হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবনগুলোকে। ফলে সকলেই তার আত্মপ্রচারণায় রীতিমতো বিরক্ত হয়েছিল।