লক্ষ্মীপুরে ২ হাজার ৭০০ গ্রাহকের প্রায় ১০ লাখ টাকা আত্মসাতের ঘটনায় বঙ্গভূমি সামাজিক উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের দুই নারী কর্মীকে এক মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। ওই দুই নারী কর্মী মুজিব শতবর্ষের ঘর পাইয়ে দেবে বলে কয়েকজনের কাছ থেকে ৬০ হাজার টাকা নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠে।
মঙ্গলবার
(৫ মার্চ) বিকেলে সদর উপজেলা নির্বাহী
কর্মকর্তা (ইউএনও) আরিফুর রহমান ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে তাদের আটক
করে। সন্ধ্যায় দণ্ডপ্রাপ্তদের জেলা কারাগারে পাঠানো
হয়েছে।
দণ্ডপ্রাপ্তরা
হলেন, সদর উপজেলার মান্দারী
ইউনিয়নের দক্ষিণ মান্দারী গ্রামের আনোয়ারের স্ত্রী সুমাইয়া এবং একই এলাকার
শামছুর রহমানের স্ত্রী ফাতেমা।
ভ্রাম্যমাণ
আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সদর উপজেলা
নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফুর রহমান বলেন, ‘একটি এনজিওর নাম
করে ওই দুই নারী
২ হাজার ৭০০ গ্রাহকের প্রায়
১০ লাখ টাকা আত্মসাৎ
করেছে। তারা মুজিব শতবর্ষের
সরকারি ঘর পাইয়ে দেওয়ার
কথা বলে কয়েকজনের কাছ
থেকে ৬০ হাজার টাকা
করে হাতিয়ে নিয়েছে।’
এর আগে সদর উপজেলার
ভবানীগঞ্জ এলাকার কয়েকজন ভুক্তভোগী সুমাইয়া ও ফাতেমাকে আটক
করে। খবর পেয়ে সেখানে
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হলে অভিযুক্ত
ওই দুই নারী প্রতারণার
কথা স্বীকার করে। এসময় তাদেরকে
একমাস করে কারাদণ্ড দেয় ভ্রাম্যমান আদালত।
মন্তব্য করুন
নওগাঁয় ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে খরিপ মৌসুমে উফশী আউশ, পাট ও গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে।
এসময় নওগাঁ সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা শওকত মেহেদী সেতু’র সভাপতিত্বে সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন। এসময় নওগাঁ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মাহবুবুল হক কমল ও সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম এবং পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ সহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রণোদনার অংশ হিসেবে মোট ৭ হাজার ১৫০ জন কৃষকের মাঝে বীজ ও সার বিতরণ করা হয়। এর মধ্যে প্রতি বিঘা ফসলের জন্য উফশী আউশ ৬ হাজার ৬৭০ জনকে ৫ কেজি বীজ, ডিএপি ১০ কেজি ও এমওপি ১০ কেজি। এছাড়া ২৩০ জনের প্রত্যেককে এক কেজি করে পাট বীজ এবং গ্রীষ্মকালিন ২৫০ জন কৃষককে পেয়াঁজ চাষে এক কেজি বীজ, ডিএপি ২০ কেজি এবং এমওপি ২০ কেজি দেয়া হয়।
মন্তব্য করুন
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনাকে কেন্দ্র করে উভয় গ্রুপের চেয়ারম্যান প্রার্থীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
জানা গেছে, ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গতকাল রবিবার (২৮ এপ্রিল) দুপুরের পর দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে একাধিক বার ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এসময় পুলিশের গাড়িতেও হামলার ঘটনা ঘটে।
পুলিশের গাড়িতে হামলার ঘটনায় বিজয়ী চেয়ারম্যান ওমর হোসাইন ভুলু ও পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী আকতার হোসেন বোরহান চৌধুরী সহ ১১ জনের নাম উল্লেখ ও আরো ৪/৫শ জনকে অজ্ঞাত দেখিয়ে পুলিশবাদী হয়ে লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানায় পৃথক দুইটি মামলা দায়ের করেছে।
এঘটনায় বিজয়ী ও পরাজিত দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইফ উদ্দিন আনোয়ার।গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
রোববার (২৮ এপ্রিল) রাতে সদর উপজেলার তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের আঁধার মানিক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে নির্বাচনী ফলাফল ঘোষণার পর আবারও দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ৫ রাউন্ড রাবার বুলেট, ৪ রাউন্ড গ্যাস সেল ও ২ রাউন্ড সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে বিজয়ী ও ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান এবং জেলা কৃষকলীগের সাবেক সভাপতি ওমর ইবনে হোসাইন ভুলু এবং পরাজিত প্রার্থী তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি আকতার হোসেন বোরহান চৌধুরীকে আটক করেছে।
ইউপি নির্বাচন সংষর্ঘ চেয়ারম্যান প্রার্থী গ্রেপ্তার
মন্তব্য করুন
আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম ফেনী-১
মন্তব্য করুন
রাজধানীর মধ্যে সবচেয়ে উষ্ণ এখন কামরাঙ্গীরচর ও আদাবর এলাকা। এ ছাড়া ধানমন্ডি এলাকায়ও উষ্ণতার মাত্রা তীব্র হয়ে উঠেছে। সব মিলিয়ে উত্তর ও দক্ষিণ ঢাকা সিটি করপোরেশনের ৯০ শতাংশ এলাকা তীব্র তাপপ্রবাহের বিপদে রয়েছে। আবার দেখা যাচ্ছে, রাজধানীর শাহবাগ, রমনা পার্ক, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় বসবাসকারীরা এই গ্রীষ্মে তুলনামূলক কম বিপদে আছেন। কারণ, ঢাকার মধ্যে এসব এলাকায় উষ্ণতার মাত্রা সবচেয়ে কম।
বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি থেকে ২৪ এপ্রিল প্রকাশ করা ‘তাপপ্রবাহ: বাংলাদেশ, আগাম সতর্কতা ব্যবস্থা’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। প্রচণ্ড দাবদাহের এ পরিস্থিতিতে দরিদ্র মানুষের বিপদগুলো চিহ্নিত করতে এই সমীক্ষা প্রতিবেদন ও কর্মপরিকল্পনা তৈরি করেছে সংস্থাটি।
কোন এলাকায় তাপমাত্রা কেমন, তা চিহ্নিত করার পাশাপাশি মূলত চারটি সূচক আমলে নিয়ে একটি মানচিত্র তৈরি করেছে সংস্থাটি। উষ্ণতার মানচিত্রটি রোববার ( ২৮ এপ্রিল ) হালনাগাদ করা হয়েছে। তাপমাত্রা, জনসংখ্যার ঘনত্ব, দরিদ্র মানুষের উপস্থিতি এবং ঘনবসতির পরিমাণ ও বস্তির সংখ্যা বিবেচনায় নিয়ে সমীক্ষাটি করা হয়েছে।
বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির মহাসচিব বলেন, গ্রীষ্মকালে প্রাকৃতিক কারণেই বেশি গরম থাকবে, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু কয়েক বছর ধরে রাজধানীসহ সারা দেশে তীব্র উষ্ণতা মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাপনকে বাধাগ্রস্ত করছে। নাগরিকদের স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে, কমছে কর্মক্ষমতা। তিনি বলেন, ‘সাধারণ নাগরিকেরা বিশেষ করে দরিদ্র মানুষ কী ধরনের গরমের ঝুঁকির মধ্যে আছেন, তা চিহ্নিত করতে আমরা সমীক্ষাটি করেছি।’
নগরবিদ ও পরিবেশবিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাজধানীর ৯০ শতাংশ এলাকা গ্রীষ্মকালের প্রায় পুরোটা সময় উষ্ণ বা তাপীয় দ্বীপে পরিণত হচ্ছে। ঢাকার পরিকল্পিত আবাসিক এলাকা উত্তরা, মিরপুর ও ধানমন্ডিতেও একই ধরনের উষ্ণতার বিপদ তৈরি হয়েছে। অল্প জায়গায় বিপুলসংখ্যক মানুষের বসতি, অতিমাত্রায় শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের ব্যবহার, গাছপালা ও জলাভূমি না থাকা এবং রাজধানী শহরের বেশির বাভ জায়গা কংক্রিটের স্থাপনা দিয়ে আচ্ছাদিত হয়ে যাওয়ার কারণে অতি উষ্ণতার ঝুঁকি বছর বছর বাড়ছে।
সমীক্ষায় বলা হয়েছে, কামরাঙ্গীরচর ও আদাবরের তাপমাত্রা এতটাই বেশি যে সেখানে ঘরের বাইরে বের হয়ে অল্প সময় অবস্থান করলেই নানা ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হচ্ছে। এসব এলাকার রিকশাচালক, ভ্যানচালক, হকার, নির্মাণশ্রমিক ও নিম্নআয়ের মানুষের আয় কমে যাচ্ছে। তাঁরা স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে কম কাজ করতে পারছেন। দাবদাহের কারণে রোগবালাই বেড়ে দরিদ্র মানুষের চিকিৎসা ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে।
রাজধানীর বাণিজ্যিক এলাকার মধ্যে মতিঝিল, ফার্মগেট, মহাখালী, কারওয়ান বাজার ও গুলশান এলাকায় উষ্ণতা মাত্রাতিরিক্ত অবস্থায় পৌঁছেছে। কিন্তু এসব এলাকার বাণিজ্যিক ভবনগুলোতে শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের ব্যবহারের কারণে ভেতরে অবস্থান করা মানুষ কম ঝুঁকিতে আছেন। তবে ভবনগুলোর বাইরে বা সড়ক এবং উন্মুক্ত স্থানে উষ্ণতা আরও বেড়ে যাচ্ছে এসব ভবনের শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের কারণে।
যে সব এলাকায় বিপদ বেশি
গত বছরের অতি উষ্ণ পরিস্থিতির পর রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর এবং ক্লাইমেট সেন্টার যৌথভাবে ঢাকা শহরের উষ্ণতার বিপদ নিয়ে এই সমীক্ষা করে।
সমীক্ষা অনুযায়ী, উষ্ণতার বিপদে থাকা এলাকাগুলো হচ্ছে কামরাঙ্গীরচর, মিরপুর, গাবতলী, গোড়ান, বাসাবো, টঙ্গী, শহীদনগর, বাবুবাজার, জুরাইন, হাজারীবাগ, পোস্তগোলা, যাত্রাবাড়ী, তেজকুনীপাড়া, নাখালপাড়া, সায়েদাবাদ, কুর্মিটোলা, আজমপুর, কামারপাড়া, মোহাম্মদপুর, আদাবর ও মহাখালী। গ্রীষ্মের পুরো সময়জুড়ে এসব এলাকা তাপপ্রবাহের বিপদে থাকছে।
তবে শাহবাগ, রমনা পার্ক, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও আশপাশের এলাকায় উষ্ণতার বিপদ কম। এমন কম ঝুঁকির অন্য এলাকাগুলোর মধ্যে রয়েছে উত্তরখান, খিলক্ষেত ও ডেমরা। এসব এলাকার অনেক জায়গায় এখনো ঘনবসতি তৈরি হয়নি। এ ছাড়া এসব এলাকায় এখনো কিছু গাছপালা ও জলাভূমি রয়েছে।
সমীক্ষা দলের অন্যতম প্রধান ও বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির সহকারী পরিচালক বলেন, বাংলাদেশে অন্যান্য দুর্যোগের মতো তাপপ্রবাহ বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি তৈরি শুরু করেছে। এমনি মানুষের মৃত্যুও ঘটছে। ফলে এই বিপদকে দুর্যোগ হিসেবে ঘোষণা দিয়ে সব সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার উচিত গরমে কষ্টে ভোগা মানুষের পাশে দাঁড়ানো।
উষ্ণতার বিপদে কারা
ঢাকার উষ্ণতা নিয়ে গত বছর একই গবেষক দল আরেকটি সমীক্ষা প্রতিবেদন তৈরি করে। এতে বলা হয়েছে, শহরে জমে থাকা ২ দশমিক ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা প্রাকৃতিক তাপমাত্রার সঙ্গে যোগ হয়। সবচেয়ে বেশি উষ্ণ সময় থাকছে দুপুর ১২টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত। এই সময়টাতে শ্রমজীবী মানুষেরা কাজ কমিয়ে দিতে বাধ্য হন। বিশেষ করে ভ্যান ও রিকশাচালকেরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হন।
সমীক্ষায় দেখা যায়, ওই সময়ে খাওয়ার স্যালাইনের বিক্রি সাধারণ সময়ের চেয়ে তিন গুণ বেড়ে যায়। শিক্ষার্থীদের মধ্যে গরমে মাথা ঘোরা, বমি ও ঠান্ডা-কাশির সমস্যা বেড়ে যায়। ডায়রিয়া ও কলেরার প্রাদুর্ভাবও বেড়ে যায়। ২০২৩ সালের মার্চ থেকে জুনের মধ্যে করা ওই জরিপে প্রায় ৮৭ শতাংশ উত্তরদাতা এর আগের বছরের চেয়ে বেশি গরম অনুভব করছেন বলে জানিয়েছেন। একজন রিকশাচালক স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় এই সময়ে দুই থেকে তিন ঘণ্টা রিকশা কম চালান। এর ফলে তাঁর আয়ও কমে যায়।
এ পরিস্থিতিতে মানুষের কষ্ট লাঘবে করণীয় জানতে চাইলে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা উষ্ণ এলাকাগুলোতে পানি ছিটিয়ে কিছুটা স্বস্তি আনার চেষ্টা করছি। একই সঙ্গে দরিদ্র মানুষদের ছাতা ও পানির বোতল দেওয়ার কাজ শুরু করেছি। আর দীর্ঘমেয়াদি পদক্ষেপ হিসেবে গাছ লাগানো শুরু করেছি।’
বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির সমীক্ষায় আরও বলা হয়, গ্রীষ্মকালে গরম ও অসুস্থতার কারণে রিকশাচালকেরা মাসে গড়ে ছয় দিনের বেশি সময় কাজে যেতে পারেন না। এ ছাড়া প্রতিদিন গড়ে স্বাভাবিকের চেয়ে প্রায় তিন ঘণ্টা কম কাজ করতে পারেন। ৮৩ শতাংশ রিকশাচালক জানিয়েছেন, গরমের সময়ে তাঁদের স্বাস্থ্য খাতে ব্যয় অন্য সময়ের তুলনায় মাসে ৫৩৫ টাকা বেড়ে যায়। একইভাবে হকার, নির্মাণশ্রমিক, দিনমজুর ও নিম্নআয়ের মানুষেরা কম কাজ করতে পারছেন। এতে তাঁদের আয় কমে যাচ্ছে।
ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক আইনুন নিশাত বলেন, ‘ঢাকাসহ বড় শহরগুলোতে গ্রামের তুলনায় গরম অনেক বেশি। এ পরিস্থিতিতে শিশুদের স্কুল বন্ধ রাখা উচিত ছিল। ছোটবেলায় আমরা এই গরমে গ্রীষ্মকালীন ছুটি পেতাম। আর এখন এই গরমের ঝুঁকির মধ্যে শিশুদের ঠেলে দেওয়া অন্যায় হচ্ছে।’
সিটি করপোরেশনের রাস্তায় পানি ছিটানো ও গাছ লাগানোর প্রসঙ্গে এই পরিবেশ ও জলবায়ুবিশেষজ্ঞ বলেন, এগুলো না করে উচিত ছিল সাধারণ মানুষের জন্য প্রতিটি রাস্তার মোড়ে খাওয়ার পানির ব্যবস্থা করা, মানুষ যাতে টানা আধা ঘণ্টার বেশি তপ্ত রোদের নিচে না থাকেন, সেই পরামর্শ দেওয়া, রিকশাচালক বা শ্রমজীবী মানুষের জন্য ছায়ার ব্যবস্থা করা। তা না করে যেসব করা হচ্ছে, তা লোকদেখানো। এতে সাধারণ মানুষের কষ্ট কমছে না।
মন্তব্য করুন
ফেনী সোনাগাজীর চরচান্দিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের
সভাপতি ইকবাল হাসান বিজয়ের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে হাজির হয়েছেন ঢাকার এক তরুণী। ঘটনা
জানাজানি হলে ছাত্রলীগ নেতা বিজয় সেই তরুণী ও তার বান্ধবীকে নিয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে
গেছেন।
রোববার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে চরচান্দিয়া
ইউনিয়নের ওলামা বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় একই দিন সন্ধ্যায় সংগঠনবহির্ভূত অনৈতিক
কর্মকাণ্ডের অভিযোগ এনে তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে সোনাগাজী উপজেলা ছাত্রলীগ।
জানা গেছে, রোববার (২৮ এপ্রিল) দুপুরের
দিকে এক তরুণী বান্ধবীসহ ঢাকা থেকে সোনাগাজী চরচান্দিয়া ইউনিয়ন পরিষদে এসে চেয়ারম্যান
মোশারফ হোসেন মিলনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ঘটনার বর্ণনা দিয়ে সহযোগিতা চান। ওই তরুণী নিজেকে
অন্তঃসত্ত্বা বলে দাবি করেন। পরে ইউপি চেয়ারম্যান গ্রামপুলিশ সদস্যের সঙ্গে ওই তরুণীকে
ইউনিয়নের ওলামা বাজার এলাকায় ছাত্রলীগ নেতা বিজয়ের বাড়িতে পাঠায়।
গ্রামপুলিশ সদস্য জসিম উদ্দিন বলেন,
আমরা বিজয়ের বাড়িতে পৌঁছালে সে আমাদের অপেক্ষা করতে বলে তরুণী ও সঙ্গে থাকা মেয়েকে
ঘরে নিয়ে যায়। ঘটনা জানাজানি হলে এলাকাবাসী ও সাংবাদিকরা বিজয়ের বাড়িতে ভিড় করে। সে
ঘরের দরজা খুলে বের হয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে পরে কথা বলবে বলে জানায়। কিছুক্ষণ অপেক্ষার
পর জানতে পারি বিজয় ওই দুই তরুণীকে নিয়ে বাড়ির পেছন দিক দিয়ে পালিয়েছে।
চরচান্দিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান
মোশারফ হোসেন মিলন বলেন, দুপুরের দিকে এক তরুণীসহ দুজন ইউনিয়ন পরিষদে এসে ছাত্রলীগ
নেতা বিজয়ের সঙ্গে সম্পর্কের কথা জানায়। তখন তারা বিজয়ের বাড়িতে যাওয়ার জন্য সহযোগিতা
চান। আমি গ্রামপুলিশ সদস্যদের সঙ্গে দিয়ে তাদেরকে বিজয়ের বাড়িতে পাঠাই। গ্রাম পুলিশ
সদস্যরা বাইরে অপেক্ষা করার সময় বিজয় তরুণী ও তার বান্ধবীকে নিয়ে পালিয়ে গেছে বলে জানতে
পারি।
উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মিনহাজ
উদ্দিন সাইমুন বলেন, ঘটনাটি জানতে পেরে তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। অভিযোগের
সত্যতা পেলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই বিষয়ে জানতে চরচান্দিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের
সভাপতি বিজয়ের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিলেও তা বন্ধ পাওয়া গেছে।
সোনাগাজী মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত
কর্মকর্তা (ওসি) সুদ্বীপ রায় বলেন, ঘটনাটি বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পেরেছি। তবে থানায়
এখনো কেউ কোনো অভিযোগ দেয়নি।
মন্তব্য করুন
রাজধানীর মধ্যে সবচেয়ে উষ্ণ এখন কামরাঙ্গীরচর ও আদাবর এলাকা। এ ছাড়া ধানমন্ডি এলাকায়ও উষ্ণতার মাত্রা তীব্র হয়ে উঠেছে। সব মিলিয়ে উত্তর ও দক্ষিণ ঢাকা সিটি করপোরেশনের ৯০ শতাংশ এলাকা তীব্র তাপপ্রবাহের বিপদে রয়েছে। আবার দেখা যাচ্ছে, রাজধানীর শাহবাগ, রমনা পার্ক, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় বসবাসকারীরা এই গ্রীষ্মে তুলনামূলক কম বিপদে আছেন। কারণ, ঢাকার মধ্যে এসব এলাকায় উষ্ণতার মাত্রা সবচেয়ে কম।