ইনসাইড বাংলাদেশ

মসিক নির্বাচনে মেয়র পদে জনপ্রিয়তায় এগিয়ে কে?

প্রকাশ: ১২:৪৯ পিএম, ০৬ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

আসন্ন ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন (মসিক) নির্বাচনে মেয়র পদে ভোট যুদ্ধে লড়ছেন পাঁচজন। ভোট যুদ্ধের প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা। আগামী শনিবার (৯ মার্চ)  নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ দলীয় মনোনয়ন দেয়নি। তবে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন আওয়ামী লীগের ৩ নেতা।

মেয়র পদের প্রার্থীরা হলেন ময়মনসিংহ মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সদ্য সাবেক মেয়র মোঃ ইকরামুল হক (ঘড়ি), জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এহতেসামুল আলম (ঘোড়া) এবং জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা সাদেকুল হক খান মিল্কি (টজু) হাতি। এছাড়া জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী শহিদুল ইসলাম (লাঙ্গল) ও কৃষিবিদ রেজাউল হক (হরিণ) প্রতীক নিয়ে শেষমূহর্তের ভোটের মাঠে প্রচারণায় ব্যস্ত থেকে ভোটারদের কাছে টানার চেষ্টা করছেন, দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি।

তবে, সবকিছু ছাপিয়ে ভোটের মাঠে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু সাবেক মেয়র ইকরামুল হক। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, জলবদ্ধতা দূরীকরণ, অবকাঠামো ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, ময়মনসিংহ সিটির অকল্পনীয় উন্নয়ন, জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতায় অন্য প্রার্থীদের চেয়ে বেশ এগিয়ে রয়েছে টিটু।

মেয়র পদে পাঁচজন প্রার্থী থাকলেও নগরবাসীর মুখে মুখে এখন শুধু তিন প্রার্থীর নাম। বিকালে লিফলেট হাতে নিয়ে নগরীর নাসিরাবাদ কলেজ রোড এলাকার সেনবাড়ি, চুকাইতলাসহ আশপাশের গলিতে হাত মিলিয়ে, কুশল বিনিময় করে এবং ২৩ দফা ইশতেহারের লিফলেট তুলে দিয়ে ভোট প্রার্থনা করেন জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকা টেবিল ঘড়ি প্রতীকের প্রার্থী সাবেক মেয়র ইকরামুল হক টিটু। অসমাপ্ত কাজগুলো সমাপ্ত করতে আবারো ভোট দিয়ে নির্বাচিত করার দাবি জানান তিনি।

অপরদিকে হাতি প্রতীকের প্রার্থী আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতা অনেকটা ক্লিন ইমেজের প্রার্থী সাদেকুল হক খান (টজু) বিকালে নগরীর সিকদার বাড়ি, আরকে মিশন রোড এলাকার ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরে ফিরেন। তিনি ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনকে একটি আধুনিক ডিজিটাল নগরী হিসেবে গড়ে তোলা, নগরীর বাসিন্দাদের হোল্ডিং ট্যাক্স সামঞ্জস্যপূর্ণ রাখাসহ ১৫ দফা উন্নয়নের ইশতেহার সংবলিত লিফলেট তুলে দেন।

এছাড়া দুপুরে ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এহতেশামুল আলম নগরীর উন্নয়নে ২০ দফা ইশতেহার সংবলিত লিফলেট ভোটারদের হাতে তুলে দেন। মাদক ও দুর্নীতিমুক্ত সিটি কর্পোরেশন গড়ার প্রত্যয়ও ব্যক্ত করছেন তিনি।

নগরীর গোলকিবাড়ি এলাকার বাসিন্দা আরিফুর রহমান পেশায় একটি ঔষধ কোম্পানির পরিবেশক তিনি বলেন, ‘আমি প্রতিদিনই অফিসের কাজ শেষ করে রাত করে বাসায় ফিরি, আগে এই এলাকায় মাদকসেবী-ছিনতাইকারীদের ভয়ে কেউ আসতো না, ঘুটঘুটে অন্ধকারে ঢাকা ছিল রাস্তাগুলো, কিন্তু এখন লাইটের কারণে দিনের আলোর মতো সব পরিষ্কার দেখা যায়, চুরি-ছিনতাইয়ের কোন ভয় নেই।‘

নাগরিকদের নিরাপত্তা ও উন্নয়নকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করেছেন সাবেক মেয়র ইকরামুল হক টিটু, এমনটিই দাবি করেছেন ময়মনসিংহ মহানগর ছাত্রলীগের আহ্বায়ক নওশেল আহমেদ অনি ও যুবলীগের আহ্বায়ক শাহীনূর রহমান।

ছাত্রলীগ নেতা নওশেল আহমেদ অনি মনে করেন, বৈশ্বিক মহামারি কোভিড-১৯ যখন প্রকট আকার ধারণ করে,তখন বেশিরভাগ নেতাকর্মী ঘরে বসে ছিলেন। কেবলমাত্র ব্যতিক্রম ছিলেন সাবেক মেয়র ইকরামুল হক টিটু, তিনি কিন্তু ঘরে বসে থাকেননি, ছুটে গিয়েছিলেন নগরীর অলিগলিতে। সরকারের পাশাপাশি নিজস্ব অর্থায়ণে নগরবাসীকে নাগরিক সেবাদানে মহা মূল্যবান অক্সিজেন, মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, সাবান  ও খাদ্য সামগ্রী সরবরাহ নিশ্চিত করেছেন তিনি।

জয়ের ব্যাপারে জানতে চাইলে ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের সদ্য সাবেক মেয়র মোঃ ইকরামুল হক টিটু বলেন, ‘বৈশ্বিক মহামারিতেও সর্বোচ্চ নাগরিক সেবা নিশ্চিত করার চেষ্টা চালিয়ে গেছি সফলতা ও সর্বমহলের ভালোবাসা পেয়েছি। নগরবাসীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি সিটির অবকাঠামোগত উন্নয়নকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করেছি। টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে মহাপরিকল্পনা তৈরি করে উন্নয়নের চেষ্টা করেছি। সিটির উন্নয়নে ১,৫৭৫ কোটি টাকা ব্যয় ধার্য করা হলেও মাত্র ৩০০ কোটি টাকা ব্যয়ে কাজ সম্পন্ন করতে পেরেছি। আশাকরি ভোটারগণ উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বিবেচনায় নিয়ে পুনরায় আমাকে মেয়র নির্বাচিত করবেন।’

উল্লেখ্য, সিটি কর্পোরেশনের ৩৩টি ওয়ার্ডে মোট ভোটার ৩ লাখ ৩৬ হাজার ৪৯৬ জন। মেয়র পদে পাঁচজন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৪৯ জন ও ১১ টি সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর পদে ৬৯ জন নারী প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।


মসিক নির্বাচন   মেয়র   জনপ্রিয়তায়  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

অবশেষে ঢাকায় স্বস্তির বৃষ্টি

প্রকাশ: ০৯:০৯ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

একমাস তাপদাহের পর অবশেষে স্বস্তির বৃষ্টিতে ভিজেছে ঢাকার বিভিন্ন এলাকা। বৃহস্পতিবার (২ মে) রাত ৯টার দিকে রাজধানীর পুরান ঢাকার সদরঘাট, ইসলামপুর, সূত্রাপুর, রায় সাহেব বাজার, রায়েরবাগসহ একাধিক এলাকায় বৃষ্টি হয়েছে।

এদিন সন্ধ্যা থেকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মেঘের দেখা মেলে। অবশেষে রাত ৯টার দিকে সদরঘাট, ইসলামপুর, সূত্রাপুর, রায় সাহেব বাজার, রায়েরবাগসহ একাধিক এলাকায় বিদ্যুতও চমকানোর সঙ্গে কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টি শুরু হয়। এরপর ক্রমে বাড়তে থাকে বৃষ্টির তীব্রতা। অবশ্য ১৫ মিনিট পর বৃষ্টি অনেকটা থেমেও যায়। কোথাও কোথাও বৃষ্টির সঙ্গে ছিল ঝোড়ো হাওয়া। স্বস্তির বৃষ্টি দেখে অনেকেই উচ্ছ্বাসে ভিজতে নেমে যান। বৃষ্টির সঙ্গে দমকা হাওয়া বয়ে যাওয়ায় এসব এলাকায় শীতল অনুভব হচ্ছে।

এদিকে বৃহস্পতিবার (২ মে) সন্ধ্যায় আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল হয়ে উত্তর-পশ্চিত বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এ অবস্থায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে।

স্বস্তির বৃষ্টি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

এবার উপজেলায় ওবায়দুল কাদেরের ভাই-ভাগ্নের মনোনয়ন দাখিল

প্রকাশ: ১০:২৫ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

দলীয় নির্দেশনা অমান্য করে এবার নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন দাখিল করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই ও ভাগনে। ছোট ভাই শাহদাত হোসেন প্রার্থী হয়েছেন চেয়ারম্যান পদে। আর ভাগনে মাহবুবুর রশীদ মঞ্জু প্রার্থী হয়েছেন ভাইস চেয়ারম্যান পদে।

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের ৪র্থ ধাপের নির্বাচনে মনোনয়ন দাখিলের শেষ দিন বৃহস্পতিবার (২ মে) তারা মনোনয়ন দাখিল করেন।

রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের তথ্যানুযায়ী, চেয়ারম্যান পদে ৪ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন প্রার্থী মনোনয়ন জমা দেন।

চেয়রাম্যান পদে মনোনয়ন দাখিল করেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই শাহাদাত হোসেন, নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মোহাম্মদ গোলাম শরীফ চৌধুরী, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল, আমেরিকা প্রবাসী ওমর আলী। ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন দাখিল করেন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মদ জসিম উদ্দিন, সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ভাগ্নে বসুরহাট পৌরসভা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুর রশীদ মঞ্জু, মধ্যপ্রাচ্য প্রবাসী মামুন হোসেন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন দাখিল করেন, উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী পারভীন আক্তার, ফাতেমা বেগম, রেহানা আক্তার। 

এ উপজেলায় আওয়ামী লীগ ব্যতীত অন্যকোন রাজনৈতিক দলের কেউ প্রার্থী হয়নি।

৪র্থ ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ছিল ২ মে, মনোনয়নপত্র বাছাই ৫ মে, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১২ মে, প্রতীক বরাদ্দ ১৩ মে। ভোটগ্রহণ হবে আগামী ২৯ মে।

উপজেলা নির্বাচন   ওবায়দুল কাদের  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

মুক্তি পাচ্ছেন মামুনুল হক

প্রকাশ: ১০:১৭ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক বৃহস্পতিবার (২ মে) রাতেই মুক্তি পাচ্ছেন।

তিনি কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পাবেন এমন খবরে সেখানে হেফাজতে ইসলামসহ বিভিন্ন ইসলামী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত হয়েছেন।

এর আগে গত ১১ মার্চ মামুনুল হকের মুক্তির বিষয়ে আলোচনা করতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে বৈঠক করেন হেফাজত নেতারা। ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খানসহ সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা বৈঠকে অংশ নেন। 

বৈঠক শেষে গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সংগঠনটির মহাসচিব মাওলানা সাজিদুর রহমান দাবি করেন, ‘মামুনুল হকের মুক্তির বিষয়ে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।’

এদিকে, গত ২৪ এপ্রিল তিন মামলায় জামিন পান মামুনুল হক। এ বিষয়ে মামুনুল হকের আইনজীবী আব্দুস সালাম হিমেল বলেন, ২০১৩ সালের মতিঝিল থানার এক মামলায় ও ২০২১ সালের পল্টন থানার দুই মামলায় জামিন পেয়েছেন মামুনুল হক। তার বিরুদ্ধে ঢাকায় ও ঢাকার বাইরে একাধিক মামলা রয়েছে। ওইসব মামলায় জামিন পেলে তিনি কারামুক্ত হতে পারবেন।

এর আগে গত ৪ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় দায়ের করা ধর্ষণ মামলায় জামিন পান মামুনুল হক। এ ছাড়া গত ৫ ফেব্রুয়ারিতে আরও দুই মামলায় জামিন পান তিনি। তার আগে ২০২৩ সালের ৩ মে পাঁচ মামলায় হাইকোর্ট থেকে স্থায়ী জামিন পান মামুনুল হক। গণমাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্যানুসারে সব মিলিয়ে বর্তমানে অন্তত ১১টি মামলায় জামিনে আছে হেফাজতের এ নেতা।

হেফাজতে ইসলাম   মাওলানা মামুনুল হক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বাংলাদেশে হচ্ছে উন্মুক্ত কারাগার

প্রকাশ: ০৯:৫৭ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

উন্নত দেশের মতো বাংলাদেশেও উন্মুক্ত কারাগার নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেছেন, উন্মুক্ত কারাগার নির্মাণের কার্যক্রম শিগগিরই শুরু করা হবে।

বৃহস্পতিবার (২ মে) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা জানান। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এদিন প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপন করা হয়।

নোয়াখালী-৩ আসনের সংসদ সদস্য মামুনুর রশীদ কিরনের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, উন্নত দেশের মতো বাংলাদেশে উন্মুক্ত কারাগার নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। মালয়েশিয়ার কমিউনিটি রিহ্যাবিলিটেশন প্রোগ্রামের (সিআরপি) আদলে এই উন্মুক্ত কারাগার নির্মাণের জন্য কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলায় ১৬০ একর জমি বন্দোবস্ত পাওয়া গেছে। সেখানে শিগগিরই উন্মুক্ত কারাগার নির্মাণের কার্যক্রম শুরু করা হবে।

সরকার দলীয় সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীর প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীকে আধুনিকায়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ পুলিশে বর্তমান সরকারের বিগত তিন মেয়াদে ৮৩ হাজার ৫৭৭টি পদ বাড়ানো হয়েছে। স্বচ্ছ ও দুর্নীতিমুক্ত নিয়োগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এসব পদে জনবল নিয়োগের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

তিনি বলেন, অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে ও অভিযান পরিচালনার জন্য এবং বাংলাদেশ পুলিশকে ত্রিমাত্রিক বাহিনীতে রূপান্তরের জন্য দুটি অত্যাধুনিক হ্যালিকপ্টার সংযোজনের কার্যক্রম চলমান আছে।

পুলিশ বাহিনীর আধুনিকায়নের বিষয়ে তিনি বলেন, পুলিশকে স্মার্ট বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষে বিভিন্ন ধরনের যুগোপযোগী আগ্নেয়াস্ত্র দেওয়া হচ্ছে। আগে ব্যবহৃত পয়েন্ট ৩০৩ রাইফেলের পরিবর্তে বর্তমানে ৭ পয়েন্ট ৬২ মিলিমিটার রাইফেল ব্যবহৃত হচ্ছে। সেই সঙ্গে পুলিশ সদস্যদের ৭ পয়েন্ট ৬২ অথবা ৯ এমএম পিস্তল ছাড়াও ৯ এমএম এসএমজি, পয়েন্ট ৪৫ ইঞ্চি এসএমজি, ১২ বোর শটগান, ৩৮ মিলিমিটার টিয়ারগ্যাস, গ্যাস গান/লঞ্চারসহ প্রয়োজনীয় গোলাবারুদ সরবরাহ করা হচ্ছে।

এ ছাড়া সংসদ সদস্য মাহবুব উর রহমানের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সীমান্তে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সরকার নানামুখী পদক্ষেপ নিয়েছে। ইতোমধ্যে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশকে (বিজিবি) অত্যাধুনিক অস্ত্র, যানবাহন, আকাশযান ও জলযান দিয়ে সুসজ্জিত করা হয়েছে।

উন্মুক্ত কারাগার   স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী   আসাদুজ্জামান খান কামাল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বৃষ্টির আশায় ব্যাঙের বিয়ে

প্রকাশ: ০৮:০২ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

টানা খরতাপ থেকে স্বস্তি পেতে বৃষ্টির আশায় রাজশাহীতে ব্যাঙের বিয়ে দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (১ মে) থেকে প্রতীকী এই বিয়ের আয়োজন করা হয় রাজশাহীর পবা উপজেলার ভুগরইল পশ্চিম আদিবাসীপাড়ায়। এ গ্রামের বাসিন্দারা সাঁওতাল। তবে খ্রিস্টান ধর্মের অনুসারী। সাঁওতালি রীতিনীতি অনুযায়ী বৃহস্পতিবার দুপুরে ব্যাঙের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়।

গ্রামের একমাত্র চার্চের শিক্ষক অঞ্জলী বিশ্বাসসহ কয়েকজন ব্যাঙের বিয়ের আয়োজন করেন। এ জন্য বুধবার বিকেলে তারা গ্রামের এক শুকনো পুকুরপাড় থেকে একটি ছেলে ব্যাঙ ও একটি মেয়ে ব্যাঙ ধরে আনেন। তারপর সন্ধ্যায় গ্রামের চার্চে সাজানো ছাতনাতলায় বর ও কনের গায়ে হলুদ অনুষ্ঠিত হয়।

এই বিয়েতে বরের নাম রাখা হয় শিমুল। আর কনের নাম মেঘলা বিশ্বাস। গায়ে হলুদের পর কনেকে রাখা হয়েছিল গ্রামের আলফন্স বিশ্বাসের বাড়িতে। বৃহস্পতিবার দুপুরে গ্রামের নারী ও শিশু-কিশোরীরা নেচে-গেয়ে নানা আনুষ্ঠানিকতা পালন করেন। এরপর সবাই লাইন ধরে গ্রামের বয়োজ্যেষ্ঠ নারীদের আশীর্বাদ নিয়ে বরযাত্রী হিসেবে বর নিয়ে রওনা দেয়। সঙ্গে যান বরের প্রতীকী বাবা সৈকত বিশ্বাস আর প্রতীকী মা ভাবনা বিশ্বাস নামের দুই শিশু।

আলফন্স বিশ্বাসের বাড়ি গেলে বরের বাবা-মায়ের পা ধুইয়ে দেওয়া হয় পানি দিয়ে। তারপর সবাই বাড়িতে কনের জন্য অপেক্ষা করতে থাকেন। কনে সাজানো শেষ হলে অঞ্জলী বিশ্বাস পুরোহিত সেজে বর-কনের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়। এরপর বর শিমুলের হাত দিয়ে কনে মেঘলার মাথায় সিঁদুর পরিয়ে দেওয়া হয়। খাওয়া-দাওয়ার পর শেষ হয় বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা। পরে বর-কনেকে একটি পুকুরে ছেড়ে দেওয়া হয়।

বিয়ের আয়োজক অঞ্জলী বিশ্বাস বলেন, ‘টানা খরায় পথঘাট পুড়ে যাচ্ছে। সব ফসলের ক্ষতি হচ্ছে। পশুপাখি ও অন্যান্য প্রাণি কষ্ট পাচ্ছে পানির অভাবে। আমরা বিশ্বাস করি ব্যাঙের বিয়ে দিলে বৃষ্টি হবে। তাই আমাদের সামাজিক রীতিনীতি অনুযায়ী দুই কোলা ব্যাঙের বিয়ে দেওয়া হলো।’

বৃষ্টি   ব্যাঙের বিয়ে  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন