ইনসাইড বাংলাদেশ

যূথীকাণ্ডে ক্ষুব্ধ আওয়ামী লীগের হাইকমান্ড

প্রকাশ: ০৮:৪০ এএম, ১১ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভাবে দুই দিনের ভোট গ্রহণ শেষে সংখ্যাগরিষ্ঠ পদে জয়ী হয়েছে সরকার সমর্থক আইনজীবীদের প্যানেল। এর আগের দুটি নির্বাচনের নানা সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে নির্বাচনের সার্বিক আয়োজনও ছিল নিরপেক্ষ। তার পরও বিতর্কমুক্ত থাকতে পারেনি দেশের সর্বোচ্চ আদালতের আইনজীবীদের সংগঠনের এই নির্বাচন।

নির্বাচনের ভোট গণনা ও ফল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে ঘটে যাওয়া নানা ঘটনা এই নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। শুধু তাই নয়, অনেকের মতে, উচ্চ আদালতের ইতিহাসে একটি কলঙ্কিত অধ্যায় সৃষ্টি হয়েছে এবার। এ নিয়ে দেশ-বিদেশে চলছে সমালোচনা। এসব কারণে শুধু আদালত অঙ্গন নয়, আওয়ামী লীগের হাইকমান্ডও ব্রিবত ও চরম ক্ষুব্ধ বলে জানা গেছে।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, সরকারের জন্য অস্বস্তিকর এই পরিস্থিতি তৈরির পেছনে যার নাম এসেছে, তিনি সরকার পক্ষেরই আইনজীবী নাহিদ সুলতানা যূথী। পারিবারিক পরিচয়ে তিনি অন্য দশজন আইনজীবীর চেয়ে আলাদা। কারণ এই যূথী যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের স্ত্রী। সমিতির নির্বাচনে সরকার সমর্থকদের আনুষ্ঠানিক প্যানেলের বাইরে সম্পাদক পদে বিদ্রোহী প্রার্থী ছিলেন তিনি। ভোট গণনা ও ফল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে তার নির্দেশেই সেদিন গভীর রাতে ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটে। যূথীকে বিজয়ী ঘোষণা করাতে যুবলীগের কিছু নেতাকর্মী জোর করে কেন্দ্রে ঢুকে পড়েন।

এ সময় হামলায় আহত হন একজন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলসহ অন্তত সাতজন আইনজীবী। শুধু তাই নয়, নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধানকে চাপ দিয়ে ভোট গণনার আগেই নাহিদ সুলতানা যূথীকে সম্পাদক পদে বিজয়ী ঘোষণা করতে বাধ্য করা হয়। অ্যাডভোকেট যূথীর এসব কর্মকাণ্ডে বিএনপি-জমায়াত সমর্থক প্রার্থী ও তাদের এজেন্টরা উসকানি দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। একজন দায়িত্বশীল নেতার স্ত্রীর এই ভূমিকায় চটেছেন আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা।

নাম প্রকাশ না করে একাধিক নেতা জানান, ওই ঘটনায় দলের শীর্ষ নেতারা ক্ষুব্ধ। আর এ কারণেই অ্যাডভোকেট যূথীকে গ্রেপ্তারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গত শুক্রবার রাতে তার বাসায় অভিযান চালায়। কিন্তু তাকে না পেয়ে তার বাসা থেকে চারজন আইনজীবীকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় বিএনপি সমর্থিত প্যানেলের সম্পাদক প্রার্থী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজলকেও গ্রেপ্তার করে চার দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। একই মামলার যেসব আসামি এখনো পলাতক, তাদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন বলেন, ‘আদালত প্রাঙ্গণে এ ধরনের ঘটনা অনভিপ্রেত’।

দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ‘এ ধরনের ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত, অপ্রত্যাশিত। উচ্চ আদালতের মতো জায়গায় এমন ঘটনা হওয়া উচিত হয়নি। বিষয়টি এখন আইনি প্রক্রিয়ার মধ্যে গেছে। আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই এখন এটার সমাধান হওয়া উচিত।’

আওয়ামী লগের আইনবিষয়ক সম্পাদক নজিবুল্লাহ হিরু বলেন, ‘আমরা একটি সুশৃঙ্খল নির্বাচন চেয়েছিলাম। কিন্তু যারা এই নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করেছে তাদের অপরাধ অমার্জনীয়। এ ধরনের ঘটনার নিন্দা জানাই।’

আদালত প্রাঙ্গণে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় ক্ষোভ জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘এখানে কার কী দায়, তা নিয়ে আমি কোনো ব্যক্তিবিশেষের কথা উল্লেখ করতে চাই না।’

জানা যায়, পাবনার মেয়ে অ্যাডভোকেট যূথীর স্থানীয়ভাবে তেমন কোনো পরিচিতি নেই। তার বাবা অধ্যাপক আবু সাঈদেরও কোনো রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা নেই। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা শেষ করে যূথী রাজধানীতে বসবাস শুরু করেন। দ্বিতীয় বিয়ে করেন দেশের অন্যতম স্বনামধন্য শেখ পরিবারের সন্তান বর্তমানে যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশকে। ‘ক্লিন ইমেজের’ পরশ ২০১৯ সালে যুবলীগের চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকেই আইন অঙ্গনসহ সর্বত্র যূথীর প্রভাব বেড়ে যায়। যুবলীগের কমিটি গঠন, সংগঠন নিয়ন্ত্রণসহ নানা বিষয়ে হস্তক্ষেপ শুরু করেন। ২০২১ সালে পাবনার স্থানীয় রাজনীতিতেও প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করেন। পাবনার পৌর নির্বাচনে নৌকার মেয়র প্রার্থী সনি বিশ্বাসের পক্ষে প্রচারণায় নামেন। তবে নির্বাচনে ওই প্রার্থী পরাজিত হন। ফলে এলাকার রাজনীতিতে শক্ত ভিত্তি স্থাপন করতে পারেননি যূথী। এরপর তিনি আর পাবনায় খুব একটা যান না বলে সূত্র জানায়।

পরবর্তী সময়ে যূথী মনোযোগ দেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির দিকে। ২০২২ সালে সমিতির সম্পাদক পদে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দেন তিনি। কিন্তু সরকার সমর্থক প্যানেলে মনোনয়ন পাননি। এবারও বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের প্যানেল থেকে মনোনয়ন না পেয়ে সম্পাদক পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হন।

ভোটের মাঠে তিনি জোট বাঁধেন বর্তমান সরকারের আমলে বহিষ্কৃত সাবেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এম কে রহমানের সঙ্গে। এতে করে কিছুটা উচ্ছ্বসিত ছিলেন বিএনপি-জামায়াত সমর্থক জোটের প্রার্থীরা। সরকার সমর্থকদের চাপে রাখেন বিএনপি-জামায়াত জোটের প্রার্থীরা। এরই মধ্যে গত ৬ ও ৭ মার্চ সমিতির দুই দিনব্যাপী ভোট নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়।

তবে জানা গেছে,  ভোটের দিন থেকেই সুপ্রিম কোর্ট অঙ্গনে সাদা শার্টধারী অনেক বহিরাগত ব্যক্তিকে দেখা যায়। তাদের বেশিরভাগই যুবলীগ কর্মী এবং অ্যাডভোকেট যূথীর পক্ষে সমর্থন দিতে তারা সমিতির প্রাঙ্গণে জড়ো হন।

প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য মতে, বৃহস্পতিবার রাত ২টার পর ভোট বাছাই প্রক্রিয়া শেষ হয়। এর আগে বিএনপি সমর্থক একাধিক প্রার্থী ব্যালটের সঙ্গে মুড়ির সংখ্যার মিল না থাকার অভিযোগ তোলেন। পরে ভোট গণনা শুরু নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে মতপার্থক্য দেখা দেয়। এর আগে থেকে অর্থাৎ সন্ধ্যার পরপরই সমিতি ভবনের বিভিন্ন স্থানে বহিরাগতদের অবস্থান করতে দেখা যায়। সম্পাদক পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী যূথী ও বিএনপি সমর্থিত সম্পাদক প্রার্থী রুহুল কুদ্দুসসহ কয়েকজন রাতেই ভোট গণনার পক্ষে মত দেন। তবে এত রাতে প্রার্থীদের এজেন্ট না থাকার কথা উল্লেখ করে সরকার সমর্থিত সাদা প্যানেলের সম্পাদক প্রার্থী শাহ মনজুরুল হকসহ কয়েকজন প্রার্থী শুক্রবার দিনের বেলা ভোট গণনার পক্ষে মত দেন। এ নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে বাদানুবাদ ও হট্টগোল হয়। একপর্যায়ে যুবলীগের নেতাকর্মীসহ একদল বহিরাগত সমিতি মিলনায়তনে ঢুকে পড়েন।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দেওয়া তথ্য ও ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণে দেখা যায়, ঘটনার সময় সমিতি মিলনায়তনের ভেতরে ও বাইরে যুবলীগের অন্তত অর্ধশত নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। তাদের মধ্যে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী বশির আহম্মেদ, যুবলীগ নেতা সাইদুর রহমান জুয়েল, জয়দেব নন্দী, মশিউর রহমান সুমন, আসলাম রাইয়ান, ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইনউদ্দিন রানা, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রেজা, সহসভাপতি সোহরাব হোসেন স্বপন, কামাল উদ্দিন খান, নাজমুল হোসেন টুটুল, মুরসালিন আহমেদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাফর আহমেদ রানা, সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান বকুল, মাকসুদুর রহমান, প্রচার সম্পাদক আরমান হক বাবু, অর্থবিষয়ক সম্পাদক ফিরোজ উদ্দিন আহমেদ সাইমন, উপশিক্ষা প্রশিক্ষণ ও পাঠাগারবিষয়ক সম্পাদক আলতাফ হোসেন, ২০ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের আহ্বায়ক শেখ সাইদুর রহমান বাবু, যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল হোসেন প্রমুখ।

তারা ভোটকেন্দ্রের ভেতর ঢুকে পড়লে নির্বাচন পরিচালনা-সংক্রান্ত উপকমিটির সদস্য ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এস আর সিদ্দিকী সাইফ পুরো পরিস্থিতির ভিডিও ধারণ করতে থাকেন। এ সময় যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সাইদুর রহমান জুয়েল, যুবলীগ নেতা মশিউর রহমান সুমনসহ বেশ কয়েকজন ওই সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলের ওপর চড়াও হন। হামরায় তিনিসহ অন্তত সাত আইনজীবী আহত হন। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে সরকার সমর্থক প্যানেলের সম্পাদক প্রার্থী শাহ মনজুরুল হক বলেন, ‘ভোট গণনার সময় উনি (যূথী), উনার বাহিনী এনে দাঁড় করিয়ে রাখেন। এ খবর আসার পর আমরা বলি, গণনার পরিবেশ নেই। দিনের বেলা গণনা হবে। এটা উনি সহ্য করতে পারেননি। ভোর ৬টার দিকে উনি নিজেই অনেকের সঙ্গে মারামারি করেছেন, অনেক নারী আইনজীবীর গলা ধাক্কা দিয়েছেন, উনি দেখিয়ে দিচ্ছেন একে মারো, উনাকে মারো, তাকে ধরো। তখন কমিশন বলল, এই পরিবেশে গণনা করা যাবে না। বিকেল ৩টায় গণনা করতে চাই। তখন অ্যাডভোকেট যূথী যুবলীগের লোকজন ডেকে ভেতরে এনে অনেককে মারধর করিয়েছেন। আর নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধানকে জিম্মি করে ভোট গণনা ছাড়াই তাকে বিজয়ী ঘোষণা করার জন্য চাপ দিতে থাকেন।’

চাপ প্রয়োগ করে ফল ঘোষণায় বাধ্য করা সম্পর্কে নির্বাচন পরিচালনা সাবকমিটির প্রধান এক বিবৃতিতে বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২৪-২৫ সালের নির্বাচনে সম্পাদক পদে ফল বিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে আমার নামে প্রচারিত ঘোষণাটি সম্পূর্ণরূপে ভিত্তিহীন। একটি অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি সৃষ্টি করে ভোট গণনার আগেই দুঃখজনকভাবে বহিরাগত মাস্তান শ্রেণি দিয়ে আমার ওপর চাপ সৃষ্টি করে লিখিত দিতে বাধ্য করা হয়।’

ওই রাতে আক্রমণের শিকার হয়ে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুর রহমান (এস আর) চৌধুরী সাইফ তাকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে গত শুক্রবার রাতে মামলা করেন। মামলায় নাহিদ সুলতানা যূথী ও ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজলসহ ২০ জনের নাম উল্লেখ করে আরও ৩০ থেকে ৪০ জনকে আসামি করা হয়। এ মামলার পাঁচ আসামি আইনজীবী কাজী বশির আহমেদ, তুষার, তরিকুল, এনামুল হক সুমন ও ওসমান চৌধুরীকে শনিবার তিন দিনের রিমান্ডে পায় পুলিশ। এরপর গতকাল ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজলকেও রিমান্ডে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়। এখন যূথীসহ অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

ভোট গণনা কেন্দ্রে এমন পরিস্থিতির জন্য নাহিদ সুলতানা যূথীকে দায়ী করে আহত সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুর রহমান সিদ্দিকী সাইফ বলেন, ‘যেহেতু বারের নির্বাচন নিয়ে কিছুটা বিতর্ক তৈরি করেছিল বিএনপি-জামায়াত। সেই বিতর্ক থেকে বের হয়ে আসতে এবং একটা সুন্দর, স্বচ্ছ নির্বাচন করার জন্য টানা দুদিন ধরে আমরা পরিশ্রম করে যাচ্ছি। কিন্তু আমার ওপর নাহিদা সুলতানা যূথী এবং যুবলীগের লোকদের দিয়ে সরাসরি আঘাত করেছেন। তিনি বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে জোট করে এই নির্বাচনটা বানচাল করার চেষ্টা করেছেন।’

আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল নেতারা জানান, দলীয় শৃঙ্খলার ব্যাপারে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোনো ছাড় দেন না। অতীতে তার অনেক নজির রয়েছে। অনেককেই দলীয় পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যূথীর ক্ষেত্রেও কোনো ছাড় দেওয়া হবে না বলে সূত্র জানায়।

আইনজীবীদের মতে, যূথী শুধু সরকার বা আওয়ামী লীগকেই বিব্রত করেনি, আইনজীবী হিসেবেও অপেশাদার আচরণ করেছেন। বাংলাদেশ বার কাউন্সিল ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি চাইলে এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে পারে।

জানতে চাওয়া হলে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচন পরিচালনা উপকমিটির প্রধান অ্যাডভোকেট আবুল খায়ের বলেন, ‘সেদিন যে ঘটনা ঘটেছে, তাতে কেউ অভিযোগ দিলে অথবা স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে বার কাউন্সিল ও সমিতি পদক্ষেপ নিতে পারে। শৃঙ্খলার বাইরে কাজ করলে বার কাউন্সিল সনদ বাতিল করতে পারে। সমিতি পেশাগত দায়িত্ব থেকে বিরত রাখতে পারে।’

এসব বিষয়ে কথা বলার জন্য অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যূথীকে ফোন করেও পাওয়া যায়নি।

ভোটের ফল, ভোট গণনার আগে সংঘর্ষের কারণে ফল ঘোষণায়ও দেরি হয়। শনিবার দুপুর থেকে ভোট গণনা শুরু হয়। শনিবার রাত দেড়টার দিকে ফল ঘোষণা করেন নির্বাচন পরিচালনা সাবকমিটির প্রধান বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল খায়ের। ঘোষিত ফলে বিএনপি সমর্থিত প্যানেলের মাহবুব উদ্দিন খোকন ২ হাজার ৬২২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ সমর্থিত সাদা প্যানেলের আবু সাঈদ সাগর ২ হাজার ৫৩৯ ভোট পেয়েছেন। সভাপতি অন্য দুই প্রার্থী অ্যাডভোকেট মো. ইউনুছ আলী আকন্দ ৪৬ ভোট এবং সাবেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মো. খলিলুর রহমান বাবলু (এম কে রহমান) ২২৯ ভোট পেয়েছেন। সম্পাদক পদে সাদা প্যানেলের শাহ মঞ্জুরুল হক ৩ হাজার ৩১৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। এই পদে বিএনপি প্যানেলের মো. রুহুল কুদ্দুস (কাজল) ১ হাজার ৭০২ ভোট পেয়েছেন। আর বহুল আলোচিত স্বতন্ত্র প্রার্থী নাহিদ সুলতানা যূথী পেয়েছেন ২৬৯ ভোট। এই পদে অন্য প্রার্থী অ্যাডভোকেট ফরহাদ উদ্দিন আহমেদ ভূঁইয়া পেয়েছেন ৬০ ভোট।

অন্য পদগুলোর মধ্যে আওয়ামী লীগের প্যানেল থেকে সহসভাপতি পদে রমজান আলী শিকদার, সহসভাপতি পদে ড. দেওয়ান মো. আবু ওবায়েদ হোসেন, ট্রেজারার পদে মোহাম্মদ নুরুল হুদা আনছারী, সহসম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির ও মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির (পল্লব) এবং সদস্যপদে রাশেদুল হক খোকন, মো. রায়হান রনী, মো. বেল্লাল হোসেন (শাহীন) ও খালেদ মোশাররফ (রিপন) বিজয়ী হয়েছেন। আর কার্যনির্বাহী সদস্যপদে বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত প্যানেলের সৈয়দ ফজলে এলাহী অভি, ফাতিমা আক্তার ও মো. শফিকুল ইসলাম জয়ী হন।


সুপ্রিম কোর্ট   আইনজীবী সমিতি   নির্বাচন   আওয়ামী লীগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

‘কোন প্রার্থী প্রভাব বিস্তার করতে চাইলে কঠোরভাবে দমন করা হব’

প্রকাশ: ১০:৫৬ পিএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

নির্বাচন কমিশনার (ইসি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান বলেছেন, স্থানীয় সরকারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কোনো প্রার্থী প্রভাব বিস্তার করতে চাইলে তাকে কঠোরভাবে দমন করা হবে। আমাদের কাছে সব প্রার্থীই সমান। কাউকে ছোট-বড় করে দেখার কোনো সুযোগ নেই। ভোটগ্রহণ কর্মকর্তারা নির্ভয়ে দায়িত্ব পালন করবেন।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে পিরোজপুর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে নির্বাচন কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, গোয়েন্দাসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

আহসান হাবিব খান বলেন, ভোট শেষ না হওয়া পর্যন্ত প্রার্থীদের পোলিং এজেন্টকে কেন্দ্র থেকে বের না হওয়ার জন্য বলতে বলা হয়েছে। প্রয়োজনে তাদের শুকনো খাবার নিয়ে যেতে হবে। ভোটকেন্দ্রে সব সময় পোলিং এজেন্টদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, যদি কেউ পোলিং অফিসারকে অস্ত্র-প্রদর্শন বা শারীরিক বল প্রয়োগের মাধ্যমে তাদের স্বাভাবিক নির্বাচনী দায়িত্ব পালনে বাধা দেয়, তাহলে তিনি সাথে সাথে ভোটগ্রহণ বন্ধ করে দেবেন এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যদেরকে জানিয়ে উক্ত ব্যক্তি বা ব্যক্তিদেরকে গ্রেপ্তার করার জন্য সহযোগিতা চাইবেন। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা অনতিবিলম্বে উক্ত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করবেন।

আহসান হাবিব খান বলেন, গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের চেয়ে এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আরও কঠোর ও নিরপেক্ষ থাকবে প্রশাসন। নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কারো কোনো ধরনের পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এর আগে, জেলা প্রশাসক মোহাম্মাদ জাহেদুর রহমানের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান।

এছাড়াও পুলিশের বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি মো. জামিল হাসান, পিরোজপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ শরীফুল ইসলাম, র‍্যাব-৬ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল কাজী যুবায়ের আলম, বরিশাল আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিনসহ সদর, নাজিরপুর ও ইন্দুরকানী উপজেলার চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদের প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। 

উল্লেখ্য, প্রথম ধাপে পিরোজপুর সদর, নাজিরপুর ও ইন্দুরকানী উপজেলায় ইভিএমের মাধ্যমে আগামী ৮ মে প্রথম ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।


নির্বাচন কমিশনার   উপজেলা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

‘সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ অপরিহার্য’

প্রকাশ: ১০:২২ পিএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া বলেছেন, সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ অপরিহার্য। আজকের ছাত্রছাত্রীরাই আগামীর ভবিষ্যৎ, তারাই হবে জাতির কর্ণধার ও দেশগড়ার কারিগর। সাইবার বুলিং, সাইবার হ্যারেজমেন্ট, আনইথিক্যাল কন্টেন্ট, হ্যাকিং, ফিশিং, ম্যালওয়্যার, র‍্যানসমওয়্যার ইত্যাদি সাইবার অপরাধ প্রতিরোধে আজকের ছাত্র-ছাত্রীরাই আগামীতে ফ্রন্টলাইন ফাইটার হিসেবে কাজ করবে।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) রাজধানীর মালিবাগে সিআইডি সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত ‘স্টুডেন্টস এনগেজমেন্ট টু কমব্যাট সাইবারক্রাইম’ শীর্ষক সেমিনারে এ কথা বলেন তিনি।

সেমিনারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৯১ জন, বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে ৫৩ জন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০ জন, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০ জন, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০ জন, উত্তরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১ জন, কানাডিয়ান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২২ জন ও গ্রিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০ জনসহ মোট ২৪৭ জন ছাত্রছাত্রী অংশগ্রহণ করেন।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিআইডির সাইবার ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড অপস বিভাগের বিশেষ পুলিশ সুপার (পদোন্নতিতে অ্যাডিশনাল ডিআইজি) তৌহিদুল ইসলাম, ডিজিটাল ফরেনসিক বিষয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডিজিটাল ফরেনসিক বিভাগের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শামসুল হক, প্রশ্নোত্তর পর্বে মডারেটরের দায়িত্ব পালন করেন আইএনটিআই ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি মালয়েশিয়ার সহযোগী অধ্যাপক ড. খান সরফরাজ আলী। সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি (অ্যাডমিন ও ফরেনসিক) তানভীর হায়দার চৌধুরী সভাপতি হিসেবে সমাপনী বক্তব্য দেন।

তরুণ প্রজন্ম তথা শিক্ষার্থীরা ডিজিটাল সচেতনতা বাড়ানোর মাধ্যমে সাইবার অপরাধ নিবারণে সক্রিয় হয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সিআইডির সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করবে বলে জানান সিআইডি প্রধান মোহাম্মদ আলী মিয়া।

সেমিনারের প্রশ্নোত্তর ও উন্মুক্ত আলোচনা পর্বে তরুণ শিক্ষার্থীরা প্রাণবন্ত অংশগ্রহণ করেন। সেমিনারে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা সাইবার অপরাধ সম্পর্কে নিজেদের সমৃদ্ধ করেন ও তাদের মতামত প্রকাশ করেন। সেমিনার শেষে প্রধান অতিথি অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের সনদ প্রদান করেন এবং শিক্ষার্থীরা সিআইডির ফরেনসিক ল্যাবগুলো পরিদর্শন করেন।

সেমিনারে সোশ্যাল মিডিয়াসহ ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহারে নানা ধরনের জালিয়াতি, আর্থিক অপরাধ, সাইবার অপরাধ, সাইবার চাঁদাবাজি, মাদক পাচার, অর্থ পাচার, নানা ধরনের প্রতারণার ফাঁদ ও হ্যাকিং নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়। সিআইডির পক্ষ থেকে সচেতনতামূলক কার্যক্রম, তথ্য শেয়ারিং ও নিজ নিজ জায়গা থেকে চেঞ্জ মেকার হিসেবে এগিয়ে আসার আহ্বান জানানো হয়।


সিআইডি   অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

প্রতিদ্বন্দ্বীর এজেন্টদের হুমকি, আওয়ামী লীগের দুই নেতা গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ১০:১১ পিএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর এজেন্ট কেন্দ্রে ঢুকলে হাত-দাঁত ও চাপার হাড্ডি ভেঙে যমুনা নদীতে ফেলে দেওয়ার হুমকি দাতাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে জেলা প্রশাসক মো. শফিউর রহমান ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ শানিয়াজ্জামান তালুকদার সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, সরিষাবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক এবং সুজাত আলী কলেজের অধ্যক্ষ সাইদুল হাসান সাইদ ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান খন্দকার মোতাহার হোসেন জয়।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ শানিয়াজ্জামান তালুকদার জানান, চেয়ারম্যান প্রার্থী রফিকুল ইসলামের উপস্থিতিতে দুজন কর্মী যে বক্তব্য দিয়েছেন সেটি উস্কানিমূলক ও হুমকিস্বরূপ। যা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বিধিমালা অনুযায়ী দণ্ডনীয় অপরাধ। বিষয়টি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে চেয়ারম্যান প্রার্থী রফিকুল ইসলামকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়।

একই সঙ্গে হুমকিদাতা দুজনের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা সাখাওয়াত হোসেন সরিষাবাড়ী থানায় মামলা দায়ের করেন। শনিবার দুপুরে পুলিশ সাইদুল হাসান সাইদ ও খন্দকার মোতাহার হোসেন জয়কে গ্রেফতার করে।


এজেন্ট   হুমকি   আওয়ামী লীগ   গ্রেপ্তার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বাংলাদেশসহ ৬ দেশে পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দিল ভারত

প্রকাশ: ১০:০৫ পিএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশসহ মধ্যপ্রাচ্য ও এশিয়ার ছয়টি দেশে ৯৯ হাজার ১৫০ টন পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমোদন দিয়েছে ভারতের সরকার। যেসব দেশে ভারত পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে, সেসব দেশ হলো সংযুক্ত আরব আমিরাত, ভুটান, বাহরাইন, মরিশাস এবং শ্রীলঙ্কা। তবে কোন দেশে কী পরিমাণ পেঁয়াজ রপ্তানি করা হবে, সেই বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) দেশটির ভোক্তা, খাদ্য ও জন বিতরণ মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এই পেঁয়াজ রপ্তানির সিদ্ধান্তের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

ভারতের ইংরেজি দৈনিক দ্য ইকোনমিক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগের বছর তুলনায় চলতি ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে দেশটিতে খরিপ ও রবিশস্যের উৎপাদন কম হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এরপর রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও দেশটির সরকার বন্ধুত্বপূর্ণ কিছু দেশে নির্দিষ্ট পরিমাণ পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে। দেশগুলোর অনুরোধের ভিত্তিতে ভারতের সরকার নির্দিষ্ট পরিমাণ পেঁয়াজ রপ্তানির এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।  

দেশটির এই সংবাদমাধ্যম বলছে, রপ্তানির জন্য দেশীয় উৎপাদকদের কাছ থেকে পেঁয়াজ সংগ্রহ করা হবে। ভারতের বৃহত্তম পেঁয়াজ উৎপাদন ও রপ্তানির প্রধান সরবরাহকারী মহারাষ্ট্র প্রদেশ। বিগত বছরের তুলনায় এ বছর ভারতেও পেঁয়াজের দাম উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে।

এর আগে, গত ১ মার্চ বাংলাদেশে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দেয় ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকার। দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ন্যাশনাল কো-অপারেটিভ এক্সপোর্ট লিমিটেডের (এনসিইএল) মাধ্যমে এই পেঁয়াজ বাংলাদেশে রপ্তানি করার কথা জানানো হয়।

ওই সময় ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্যবিষয়ক মহাপরিচালকের দপ্তরের (ডিজিএফটি) (ডিজিএফটি) এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভোক্তা বিষয়কবিভাগের সাথে পরামর্শ করে পেঁয়াজ রপ্তানির রূপরেখা তৈরি করবে এনসিইএল।

বিশ্ব বাজারের দ্বিতীয় বৃহত্তম পেঁয়াজ রপ্তানিকারক ভারত। গত বছরের ডিসেম্বরে স্থানীয় বাজার স্থিতিশীল রাখতে পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে দেশটির সরকার। জাতীয় নির্বাচনের আগে ভারতের বাজারে ক্রমবর্ধমান মূল্য বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ ও পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করতে দ্বিতীয় দফায় ৩১ মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানির নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়ায় দেশটি।

রপ্তানি নিরুৎসাহিত করতে দেশটির সরকার প্রথমে পেঁয়াজের ওপর ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে। ওই সময় দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘‘দেশের বাজারে সরবরাহ বৃৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে।’’

তারপরও আশানুরূপ ফল না মেলায় পেঁয়াজের রপ্তানি পুরোপুরি নিষিদ্ধ করে ভারত। সেসময় বলা হয়, পেঁয়াজ রপ্তানির এই নিষেধাজ্ঞা ৩১ মার্চ পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। দেশটির সরকার গত বছরের অক্টোবরে ভোক্তাদের স্বস্তি দিতে খুচরা বাজারে ভর্তুকি দিয়ে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ২৫ রূপিতে বিক্রির লক্ষ্যে মজুত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়।

অভ্যন্তরীণ বাজারে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে ভারতের সরকার বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। গত বছরের ২৮ অক্টোবর দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার প্রতি টন পে*য়াজের সর্বনিম্ন মূল্য ৮০০ মার্কিন ডলার নির্ধারণ করে দেয়। সেই সময় নতুন এই মূল্যসীমা ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কার্যকর থাকবে বলে জানানো হয়।

গত বছরের ১ এপ্রিল থেকে ৪ আগস্টের মাঝে দেশটি থেকে ৭৫ লাখ ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ রপ্তানি করা হয়। বিশ্বে ভারতের পেঁয়াজের শীর্ষ তিন রপ্তানি গন্তব্য বাংলাদেশ, মালয়েশিয়া এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত।


বাংলাদেশ   পেঁয়াজ রপ্তানি   ভারত  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

কিশোর গ্যাং নেতাকে হত্যা করল আরেক গ্যাংয়ের সদস্যরা

প্রকাশ: ০৯:২২ পিএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

চট্টগ্রামের পটিয়ায় রাজু হোসেন নামে এক কিশোর গ্যাং নেতাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে আরেক কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) বিকেল ৪টায় উপজেলার সুচক্রদন্ডী পল্লী মঙ্গল সমিতির কার্যালয়ের পাশে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত কিশোর গ্যাং নেতা রাজু হোসেন রাসেল পটিয়া পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পটিয়া থানার ওসি জসীম উদ্দীন

স্থানীয়রা জানান, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে কিশোর গ্যাং নেতা জুয়েল চৌধুরী জুলু ও তার সঙ্গীরা ডেকে নিয়ে অপর কিশোর গ্যাং নেতা রাজুকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেছে।

ওসি জসীম উদ্দীন বলেন, হত্যাকারী জুয়েল চৌধুরী জুলুর বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মাদকের মামলা রয়েছে। আর নিহত রাজু এর আগে র‌্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে গুলিবিদ্ধ হয়। সেই থেকে তাকে গুলি রাজু বলেই সবাই চিনে।

পৌরসভার কাউন্সিলর প্রকৌশলী রূপক সেন বলেন, এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের উৎপাতের বিষয়ে আমি স্থানীয় প্রশাসনকে একাধিকবার ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছিলাম। কিন্তু দুয়েকটি অভিযান হলেও তাদের দাপট কমেনি। ফলে এলাকার মানুষ নিরাপত্তাহীন ছিল।


কিশোর গ্যাং  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন