ইনসাইড বাংলাদেশ

কক্সবাজারে ডুবোচর নিয়ে স্বপ্ন দেখছেন বাসিন্দারা

প্রকাশ: ১০:০৮ এএম, ১৫ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

কক্সবাজারের সাগরদ্বীপ কুতুবদিয়া উপজেলার পশ্চিমে বঙ্গোপসাগরে জেগে উঠেছে বিশাল এক ডুবোচর। ডুবোচরটি ভাটার সময় পানির উপর ভেসে ওঠে। তখন নৌকা নিয়ে কুতুবদিয়ার লোকজন ওই চরে গিয়ে খেলাধুলা করেন। এমনকি এই চরটি পানিতে তলিয়ে যায় যদি জোয়ার আসে।

এই ডুবোচরটি নিয়ে এলাকার মানুষের কৌতূহল রয়েছে ব্যপক। চরটিকে ঘিরে স্বপ্নও দেখছেন তারা।

এলাকাবাসির ধারণা, চরটিকে ঠিকমতো সংরক্ষণ করা গেলে কুতুবদিয়া হয়ে উঠবে পর্যটনের নতুন কেন্দ্র। সৃষ্টি হবে কর্মসংস্থান। গত তিন দশকে সমুদ্রের ভাঙনে বসতবাড়ি হারানো ৩০ হাজারের বেশি মানুষের মাথা গোঁজার ঠাঁই মিলবে।

তবে, এই ডুবোচরটি নিয়ে অনুসন্ধান ও গবেষণা করেছেন বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত সচিব) সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দার।

তিনি বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবসহ নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও ঝড়-জলোচ্ছ্বাসে কুতুবদিয়ার অনেক অংশ সমুদ্রে বিলীন হয়ে গেছে। একটা সময় তিনি খুদিয়ারটেক এলাকায় কয়েক হাজার বসতঘর ও লবণ মাঠ দেখেছেন। অথচ এখন কিছুই নেই। পলি জমে দ্বীপের পশ্চিমে যে বিশাল ডুবোচরের সৃষ্টি হয়েছে, তা আগামী কয়েক বছরে পানির ওপরে (সব সময় দৃশ্যমান) চলে আসবে। তখন জোয়ারের পানিতেও চরটি আর ডুববে না। চরটি সাগরে তলিয়ে যাওয়ার শঙ্কাও নেই’।  

ডুবোচরটির পরীক্ষামূলক ভাবে বনায়ন করলে দেখা যায়,  কুতুবদিয়ার চারপাশে ৪০ কিলোমিটারের বেড়িবাঁধের ভেতরে বর্তমানে বসতি রয়েছে ১ লাখ ৫৭ হাজার মানুষের। আগে কুতুবদিয়া উপজেলার আয়তন ছিল ২১৫ দশমিক ৮০ বর্গকিলোমিটার। জলবায়ুর পরিবর্তনের প্রভাব, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, ঝড়-জলোচ্ছ্বাসে দ্বীপটি বিলীন হচ্ছে। এখন এর আয়তন প্রায় ৪৫ বর্গকিলোমিটারে। দ্বীপের নয়টি মৌজা ছিল। এর মধ্যে ২০-২৫ বছর আগে খুদিয়ারটেক ও রাজাখালী নামে দুটি মৌজা সমুদ্রে বিলীন হয়ে গেছে। সাত হাজার একর আয়তনের ওই দুটি মৌজার অন্তত ৪০ হাজার মানুষ গৃহহীন হয়েছে। পরে তাঁরা আশ্রয় নিয়েছেন কক্সবাজার শহরের সমিতিপাড়া, কুতুবদিয়াপাড়াসহ জেলার বিভিন্ন এলাকায়।

বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের চেয়ারম্যান সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দার বলেন, ‘পলি জমে দ্বীপের পশ্চিমে যে বিশাল ডুবোচরের সৃষ্টি হয়েছে, তা আগামী কয়েক বছরে পানির ওপরে (সব সময় দৃশ্যমান) চলে আসতে পারে । তখন জোয়ারের পানিতেও চরটি আর ডুববে না। চরটি সাগরে তলিয়ে যাওয়ার শঙ্কাও নেই’।

২ মার্চ দ্বীপের পশ্চিমে বড়ঘোপ সৈকতে গিয়ে দেখা যায়, নৌকা নিয়ে লোকজন অর্ধকিলোমিটার দূরে পশ্চিমে ডুবোচরে যাচ্ছেন। তখন সাগরে ভাটা। ডুবোচরের বেশির ভাগ অংশ পানির ওপরে দৃশ্যমান। কয়েকজন কিশোর-তরুণ নরম বালুচরে ফুটবল ও ক্রিকেট খেলায় মেতে উঠেছেন। কেউ সেখানে জাল ফেলে মাছ ধরছেন। কেউ শামুক-ঝিনুক কুড়াচ্ছেন। চরের পশ্চিম ও উত্তর দিকের সাগরে মাছ ধরছে কয়েকটি ট্রলার।

জানা যায়, চলতি বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি ভাটার সময় উপকূলীয় বন বিভাগের কুতুবদিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা আবদুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে ২৩ সদস্যের একটি দল ডুবোচরে গিয়ে প্রায় ৩০০টি বাইনগাছের চারা রোপণ করেন।

এ বিষয়ে আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘ডুবোচরটি ভাটার সময় ভেসে ওঠে, জোয়ারের সময় ডুবে যায়। তাই নরম বালুচরে পরীক্ষামূলকভাবে বাইনগাছের চারা রোপণ করা হয়েছে। এই চারা পানিতে ডুবে গেলেও বাঁচতে পারে। গাছগুলো রক্ষা পেলে ডুবোচরে আরও গাছ লাগানো হবে’।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাশেদুল ইসলাম বলেন, ‘ডুবোচর নিয়ে কুতুবদিয়ার মানুষের আগ্রহ ও চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। সরকারি কর্মকর্তাসহ অনেকে চরটি ঘুরে এসেছেন। চরে ফুটবল ম্যাচও হয়েছে। দ্বীপের মানুষ পূর্বপুরুষের হারিয়ে যাওয়া ভূসম্পদ ফিরে পাওয়ার অপেক্ষায় আছেন’।

উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘বঙ্গোপসাগরের বুকে জেগে ওঠা ডুবোচর মানুষের মনে নতুন আশার জন্ম দিচ্ছে। অনেক আগের কুতুবদিয়ার হারিয়ে যাওয়া ভূমি (পলি) জমে জমে ভরাট হয়ে ডুবচরটির সৃষ্টি হচ্ছে। চরটিকে কাজে লাগাতে হলে চারদিকে বোল্ডার পাথরের উঁচু বাঁধ দিয়ে ভরাট করতে হবে, যেন জোয়ারের পানি না ঢোকে। তাহলে বিদেশি অর্থায়ন কিংবা বিনিয়োগে বিদেশি পর্যটকদের জন্য এখানে ‘বিশেষ পর্যটনপল্লি’ গড়ে তোলা সম্ভব হবে’।  

কুতুবদিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী বৈলেন, ‘চরটিকে কাজে লাগাতে হলে চারদিকে বোল্ডার পাথরের উঁচু বাঁধ দিয়ে ভরাট করতে হবে, যেন জোয়ারের পানি না ঢোকে। তাহলে বিদেশি অর্থায়ন কিংবা বিনিয়োগে বিদেশি পর্যটকদের জন্য এখানে ‘বিশেষ পর্যটনপল্লি’ গড়ে তোলা সম্ভব হবে’।

কুতুবদিয়ার কৈয়ারবিল ইউনিয়নের হাজি মফজল মিয়া পাড়ার বাসিন্দা আবদুল ওয়াহেদ। ১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিলের প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে তাঁর ঘরবাড়ি ভেঙে যায়। বাড়ির পশ্চিম পাশেই সমুদ্রসৈকত। ৮৫ বছরের এই জীবনে ৫০টির বেশি ঘূর্ণিঝড়, ২০০টির বেশি নিম্নচাপ-লঘুচাপ দেখেছেন তিনি।

সৈকতে দাঁড়িয়ে আবদুল ওয়াহেদ বলেন, ‘সমুদ্রের তিন কিলোমিটার দূরে তাঁর বাড়ি ছিল। ছিল ৩০টির বেশি নারকেল গাছ। এখন সেখানে বড় বড় জাহাজ নোঙর ফেলে। সেখানে ডুবে গেছে ঐতিহাসিক বাতিঘরসহ হাজারো ঘরবাড়ি। যে ডুবোচরের সৃষ্টি হয়েছে, সেটি তাঁদের হারানো ভূসম্পদের অংশ হতে পারে’।

জেগে ওঠা ডুবোচরের কাছে ৪০ বছর আগে পৈতৃক নিবাস ছিল বলে দাবি করেন বড়ঘোপ ইউনিয়নের লবণচাষি মোহাম্মদ মুছা। তিনি বলেন, ৬০ দশকের দিকে ঘূর্ণিঝড়ে তাঁদের ঘরবাড়ি লন্ডভন্ড হয়ে যায়। ওই সময়ে বসতভিটাসহ জমি হারান ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষ।

বড়ঘোপ ইউপির চেয়ারম্যান আবুল কালাম বলেন, ১৯৬০ ও ১৯৯১ সালের বড় দুটি ঘূর্ণিঝড় হয়। এতে কুতুবদিয়ার ৩০-৪০ শতাংশ ভূখণ্ড সাগরে বিলীন হয়েছিল। তখন গৃহহীন ৩০ হাজারের বেশি মানুষ কক্সবাজার শহরসহ জেলার বিভিন্ন জায়গায় আশ্রয় নেন।


সাগরদ্বীপ   কুতুবদিয়া   ডুবোচর   পর্যটন কেন্দ্র  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

তরুণীকে নিয়ে লাপাত্তা ছাত্রলীগ নেতা

প্রকাশ: ০১:৪১ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ফেনী সোনাগাজীর চরচান্দিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি ইকবাল হাসান বিজয়ের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে হাজির হয়েছেন ঢাকার এক তরুণী। ঘটনা জানাজানি হলে ছাত্রলীগ নেতা বিজয় সেই তরুণী ও তার বান্ধবীকে নিয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে গেছেন।

রোববার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে চরচান্দিয়া ইউনিয়নের ওলামা বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় একই দিন সন্ধ্যায় সংগঠনবহির্ভূত অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ এনে তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে সোনাগাজী উপজেলা ছাত্রলীগ।

জানা গেছে, রোববার (২৮ এপ্রিল) দুপুরের দিকে এক তরুণী বান্ধবীসহ ঢাকা থেকে সোনাগাজী চরচান্দিয়া ইউনিয়ন পরিষদে এসে চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন মিলনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ঘটনার বর্ণনা দিয়ে সহযোগিতা চান। ওই তরুণী নিজেকে অন্তঃসত্ত্বা বলে দাবি করেন। পরে ইউপি চেয়ারম্যান গ্রামপুলিশ সদস্যের সঙ্গে ওই তরুণীকে ইউনিয়নের ওলামা বাজার এলাকায় ছাত্রলীগ নেতা বিজয়ের বাড়িতে পাঠায়।

গ্রামপুলিশ সদস্য জসিম উদ্দিন বলেন, আমরা বিজয়ের বাড়িতে পৌঁছালে সে আমাদের অপেক্ষা করতে বলে তরুণী ও সঙ্গে থাকা মেয়েকে ঘরে নিয়ে যায়। ঘটনা জানাজানি হলে এলাকাবাসী ও সাংবাদিকরা বিজয়ের বাড়িতে ভিড় করে। সে ঘরের দরজা খুলে বের হয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে পরে কথা বলবে বলে জানায়। কিছুক্ষণ অপেক্ষার পর জানতে পারি বিজয় ওই দুই তরুণীকে নিয়ে বাড়ির পেছন দিক দিয়ে পালিয়েছে।

চরচান্দিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন মিলন বলেন, দুপুরের দিকে এক তরুণীসহ দুজন ইউনিয়ন পরিষদে এসে ছাত্রলীগ নেতা বিজয়ের সঙ্গে সম্পর্কের কথা জানায়। তখন তারা বিজয়ের বাড়িতে যাওয়ার জন্য সহযোগিতা চান। আমি গ্রামপুলিশ সদস্যদের সঙ্গে দিয়ে তাদেরকে বিজয়ের বাড়িতে পাঠাই। গ্রাম পুলিশ সদস্যরা বাইরে অপেক্ষা করার সময় বিজয় তরুণী ও তার বান্ধবীকে নিয়ে পালিয়ে গেছে বলে জানতে পারি।

উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মিনহাজ উদ্দিন সাইমুন বলেন, ঘটনাটি জানতে পেরে তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। অভিযোগের সত্যতা পেলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এই বিষয়ে জানতে চরচান্দিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি বিজয়ের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিলেও তা বন্ধ পাওয়া গেছে।

সোনাগাজী মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুদ্বীপ রায় বলেন, ঘটনাটি বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পেরেছি। তবে থানায় এখনো কেউ কোনো অভিযোগ দেয়নি।


ছাত্রলীগ   তরুণী   বিয়ের দাবি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বন্ধ ঘোষণার পরও ঢাকার কিছু স্কুলে চলছে ক্লাস

প্রকাশ: ০১:১৭ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে ঢাকাসহ ৫ জেলায় সোমবার (২৯ এপ্রিল) শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। গতকাল রাতে জরুরি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি গণমাধ্যমে পাঠিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। কিন্তু সরকারি সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে খোলা রাখা হয়েছে অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।

জানা গেছে, রোববার রাত ৮ টায় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, দেশে চলমান তাপপ্রবাহের কারণে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও আবহাওয়া অধিদপ্তরের সাথে পরামর্শক্রমে ঢাকা, চুয়াডাঙ্গা, যশোর, খুলনা ও রাজশাহী জেলার সকল মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সোমবার (২৯ এপ্রিল) বন্ধ থাকবে। তবে যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা আছে সেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ চাইলে খোলা রাখতে পারবে। সোমবার এ বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানানো হবে।

সোমবার সকালে রাজধানীর বিভিন্ন জায়গা ঘুরে ও খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কোথাও সরকারি সিদ্ধান্ত মেনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে, আবার কোথাও রয়েছে খোলা। এমনকি একই এলাকার অন্য সব প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও দু-একটি প্রতিষ্ঠান খোলা রাখতে দেখা গেছে। প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্টদের পক্ষ থেকেও দুই ধরনের মন্তব্য পাওয়া গেছে।

একপক্ষ বলছেন, গতকাল রাতে সরকারি সিদ্ধান্ত পাওয়ার পর তারা স্কুল বন্ধ রেখেছেন। অন্য পক্ষ বলছেন, তারা সরকারি সিদ্ধান্ত পাননি। তাই স্কুল খোলা রাখা হয়েছে।

রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের মতো অনেক প্রতিষ্ঠানই বন্ধ রাখা হয়েছে।

এসব প্রতিষ্ঠান গতকাল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাওয়ার পরপরই প্রতিষ্ঠানের প্যাডে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে স্কুল বন্ধ রাখার বিষয়টি শিক্ষক, অভিভাবকসহ সংশ্লিষ্টদের জানিয়ে দেয়।

কিন্তু সোমবার সকাল ৭টা থেকে ৮টা পর্যন্ত সরেজমিন ঘুরে রাজধানীর দনিয়া এলাকার বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখতে দেখা গেছে। এ এলাকার ব্রাইট স্কুল অ্যান্ড কলেজে সকালের শিফটের ক্লাস শুরু হয়েছে সাড়ে ৭টায়। এ শিফটে ছাত্রীদের ক্লাস চলে।

সকাল ৭টার সময় স্কুলের সামনে গিয়ে দেখা গেছে, শিক্ষার্থীরা দূর-দূরান্ত থেকে স্কুলে আসছেন। বেশিরভাগ শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকই ঘেমে-নেয়ে একাকার। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির মূল ভবন ও ভাড়া ভবনে প্রাথমিক থেকে কলেজ স্তর পর্যন্ত খোলা রাখা হয়েছে।

প্রতিষ্ঠানটির তথ্য অনুসন্ধান কেন্দ্রে বসা দায়িত্বরত নারীকে অনেক অভিভাবকই প্রশ্ন করছেন, আজ না স্কুল বন্ধ? তাহলে খোলা রাখা হয়েছে কেন? এর কোনো জবাব দায়িত্বপ্রাপ্ত সেই নারী দিতে পারেননি।

এই প্রতিবেদকও তার কাছে স্কুল খোলা রাখার কারণ জানতে চান। তিনি আমতা আমতা করে বলেন, স্কুলের প্রাথমিক শাখা তো সরকার বন্ধ করেনি। মাধ্যমিক শাখা খোলা রাখা হয়েছে কেন জানতে চাইলে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।

সেখানে উপস্থিত সপ্তম শ্রেণির একজন ছাত্রীর অভিভাবক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, পাশের অনেক স্কুলই সরকারি সিদ্ধান্ত মেনে বন্ধ রাখা হয়েছে। কিন্তু এই স্কুল সরকারি সিদ্ধান্তের ধার ধারে না। সে কারণে বাধ্য হয়েই বাচ্চাকে স্কুলে নিয়ে আসতে হলো। অন্য স্কুলের বাচ্চারা বাসায় থাকছে, আর আমার মতো এই স্কুলের অনেক অভিভাবকের বাচ্চাকেই গরমের মধ্যে কষ্ট করে ক্লাস করতে হচ্ছে। এমন দ্বিচারিতা কি মানা যায়?

আফিয়া ইসলাম নামে ষষ্ঠ শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক বলেন, সরকারি সিদ্ধান্তের পরও এ স্কুল খোলা রাখা হয়েছে। অথচ পাশেই অনেক স্কুল বন্ধ রয়েছে। তাই সবার জন্য একই নির্দেশনা দিয়ে আরও কয়েকদিন স্কুল বন্ধ রাখা উচিত। গরম কিছুটা কমলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা যেতে পারে।

জানতে চাইলে ব্রাইট স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মহিদুর রহমান জেম বলেন, প্রাথমিক শাখা তো সরকার বন্ধ করেনি। তাই খোলা রাখা হয়েছে।

মাধ্যমিক শাখা কেন খোলা রেখেছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাচ্চারা না জেনেই স্কুলে চলে এসেছে। সে কারণে তাদের ক্লাস নেওয়া হচ্ছে। তবে আমরা দ্রুতই ছুটি দিয়ে দেব।

অথচ বাস্তবতা হচ্ছে, সকালের শিফটে ক্লাস নেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিল এ প্রতিষ্ঠানটি। সে অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের স্কুল বন্ধ রাখার কোনো নোটিশ দেওয়া হয়নি। শিক্ষকদেরও স্কুল বন্ধ রাখা হবে নাকি খোলা রাখা হবে সে বিষয়ে স্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। সে কারণে ক্লাসের প্রস্তুতি নিয়েই স্কুলে এসেছেন বিভিন্ন শ্রেণির শিক্ষকরা।

ব্রাইট স্কুল অ্যান্ড কলেজের ১০০ মিটার সামনে একে স্কুল অ্যান্ড কলেজের (আসকর আলী ও কোব্বাত মিঞা উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়) অবস্থান। এ স্কুলটি সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বন্ধ রাখা হয়েছে। কিন্তু স্কুলের পক্ষ থেকে বন্ধ রাখার আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত না জানানোয় অনেক শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের প্রতিষ্ঠানে এসে ফিরে যেতে দেখা গেছে। প্রতিষ্ঠানটির সামনে একজন কর্মচারীকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে, যিনি শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা আসলে তাদের ফেরত পাঠানোর দায়িত্ব পালন করছেন।

একই অবস্থা দেখা গেছে বর্ণমালা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ, দোলাইরপাড় উচ্চ বিদ্যালয় ও যাত্রাবাড়ী আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের ক্ষেত্রেও। এসব প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হলেও শিক্ষার্থীদের কাছে সেই তথ্য কর্তৃপক্ষ ঠিক সময়ে পৌছানো হয়নি।

এর ফলে অনেকে অভিভাবকই তার বাচ্চাকে নিয়ে এসব স্কুলে এসে জানছেন, আজ স্কুল বন্ধ। এরপর রাগ-ক্ষোভ নিয়ে ফিরে যাচ্ছেন শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা।

বর্ণমালা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের সামনে গিয়ে দেখা গেছে, বেশ কয়েকজন শিক্ষক প্রতিষ্ঠানের সামনে দাঁড়ানো। তারা স্কুলে আসা শিক্ষার্থীদের বাসায় ফেরত পাঠাচ্ছেন।

জানতে চাইলে বর্ণমালা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী তাসনিম জাহান বলেন, গতকাল রাতে বা আজ সকালেও স্কুল বন্ধ রাখার কোনো নোটিশ বা ঘোষণা স্কুল থেকে পাইনি। সে কারণে স্কুলে এসেছিলাম। এখন শুনছি স্কুল বন্ধ।

ধোলাইপাড় মোড়ে কথা হয় দোলাইরপাড় উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী উম্মে হাফসার মা নুসরাত জাহানের সঙ্গে। তিনি কালবেলাকে বলেন, গতকাল কোনো শিক্ষকই স্কুল বন্ধ থাকবে- এটি আমাদের জানায় নি। সে কারণে সকালে মেয়েকে নিয়ে স্কুলে গিয়েছিলাম। কিন্তু স্কুলে গিয়ে শুনি আজ বন্ধ। পরে অগত্যা বাসায় ফেরত যেতে হচ্ছে।

একই এলাকার রিদধি স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও সাউথ সিটি স্কুল অ্যান্ড কলেজও খোলা রাখা হয়েছে। এ দুটি প্রাইভেট প্রতিষ্ঠান। স্কুল খোলা রাখার কারণ জানতে চাইলে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রাইভেট প্রতিষ্ঠান, তাই খোলা রাখা হয়েছে। তারা স্কুল বন্ধ রাখার কোনো নির্দেশনা পান নি।


তীব্র তাপপ্রবাহ   ঘোষণা   ক্লাস   শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

কোটালীপাড়ার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

প্রকাশ: ১২:৩৩ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ও বর্তমান চেয়ারম্যান প্রার্থী মুজিবুর রহমান হাওলাদার (৬৮) ও তার স্ত্রী তাছলিমা আক্তার (৫৪) এর নামে পৃথক দুইটি মামলা করেছে জেলা দুর্নীতি দমন কমিশন।

রোববার (২৯ এপ্রিল) দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারায় এবং দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬(২) ও ২৭(১) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় মামলা দুইটি দায়ের করেছেন গোপালগঞ্জ জেলা দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারি পরিচালক বিজন কুমার রায়।

জেলা দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানায়, কোটালীপাড়া উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান হাওলাদারের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়ের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ ৩,৪৬,১৬,০২৩/- (তিন কোটি ছেচল্লিশ লক্ষ ষোল হাজার তেইশ) টাকার সম্পদ অর্জনপূর্বক নিজ মালিকানা ও ভোগ দখলে রাখার অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারায় মামলা দায়ের করেছে। গোপালগঞ্জ এর মামলা নং-০২, তারিখ-২৮/০৪/২০২৪ খ্রি. ।

অন্যদিকে, মুজিবুর রহমান হাওলাদারের স্ত্রী তাছলিমা আক্তার দুর্নীতি দমন কমিশনে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে অবৈধ সম্পদ গোপনপূর্বক ২,১৮,০৮০/- টাকার মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য প্রদান এবং নিজস্ব কোন আয় না থাকার পরও স্বামী মুজিবর রহমান হাওলাদারের অবৈধ আয়ের মাধ্যমে অর্জিত সম্পদ গ্রহন করতঃ জ্ঞাত আয় বর্হিভূত ১,৪৩,২৯,২৮৫/- (এক কোটি তেতাল্লিশ লক্ষ ঊনত্রিশ হাজার দুইশত পঁচাশি) টাকার সম্পদ অর্জন পূর্বক নিজ মালিকানা ও ভোগ দখলে রাখায় দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬(২) ও ২৭(১) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। গোপালগঞ্জ এর মামলা নং-০৩, তারিখ-২৮/০৪/২০২৪ ।


দুদক   অবৈধ সম্পদ   মানিলন্ডারিং  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ভিয়েনায় বঙ্গবন্ধুর আবক্ষ ভাস্কর্য উন্মোচন

প্রকাশ: ১২:২৫ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ভিয়েনায় বাংলাদেশ দূতাবাস ও স্থায়ী মিশনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একটি আবক্ষ ভাস্কর্য উন্মোচন করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

অস্ট্রিয়ার স্থানীয় সময় রোববার (২৮ এপ্রিল) স্থায়ী মিশনে বঙ্গবন্ধুর আবক্ষ ভাস্কর্য উন্মোচন ক‌রে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন মন্ত্রী।

স্থায়ী মিশন জানায়, পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার বক্তব্যে প্রবাসী বাংলাদেশিদের দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ায় তাদের অবদানের কথা তুলে ধরে বাংলাদেশ সরকার ও জনগণের পক্ষ থেকে তাদের ধন্যবাদ জানান।

হাছান মাহমুদ বলেন, জাতীয় উন্নয়নে প্রবাসী বাংলাদেশিদের অবদানের স্বীকৃতির পাশাপাশি তাদের দেশের উন্নয়ন কার্যক্রমে আরও সম্পৃক্ত করার লক্ষ্য নিয়ে বর্তমান সরকার কাজ করে যাচ্ছে। জাতির পিতার স্বপ্ন ‘সোনার বাংলা’ গড়ে তুলতে দেশে ও বিদেশে অবস্থিত সব বাংলাদেশিকে একযোগে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নেতৃত্বের কথা উল্লেখ করে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর যোগ্য নেতৃত্ব বাংলাদেশের জন্যকল্যাণ ও উন্নয়ন নিয়ে এসেছে। তার হাত শক্তিশালী করে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ে তুলতে সবাইকে শামিল হতে হ‌বে।

হাছান মাহমুদ তার বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন উদ্যোগ তুলে ধরেন এবং এসব উদ্যোগে প্রবাসীদের স্বতঃস্ফূর্ত সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি প্রবাসীদের জন্য বর্তমান সরকারের নেওয়া এসব উদ্যোগের কথা তুলে ধরে বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি সমুন্নত রাখতে আহ্বান জানান।

দূতাবাসে জাতির পিতার ভাস্কর্য উন্মোচনের জন্য দূতাবাসকে ধন্যবাদ জানিয়ে হাছান মাহমুদ ব‌লেন, বঙ্গবন্ধু শুধু বাঙালির বঙ্গবন্ধু নন, বিশ্ব মানবতার প্রতীক। মুক্তিকামী-স্বাধীনতাকামী-নিপীড়িত-নির্যাতিত মানুষের শোষণ-বঞ্চনার বিরুদ্ধে এক অবিনাশী আলোকবর্তিকা, বিশ্ববন্ধু শেখ মুজিব।

ভাস্কর্য উন্মোচন শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী দূতাবাস প্রাঙ্গণে একটি গাছের চারারোপণ করেন ও বঙ্গবন্ধু কর্নারসহ দূতাবাসের বিভিন্ন অংশ ঘুরে দেখেন। এ সময় বঙ্গবন্ধুর আবক্ষ ভাস্কর্য উন্মোচন অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি আসাদ আলম সিয়াম উপস্থিত ছিলেন।

বঙ্গবন্ধু   পররাষ্ট্রমন্ত্রী   ড. হাছান মাহমুদ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

রাত ১১টার পর চা-পানের দোকান বন্ধের নির্দেশ

প্রকাশ: ১২:৩১ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

রাজধানীতে ছিনতাই ও অপরাধ ঠেকাতে রাস্তার পাশের চা-পান ও সিগারেটের দোকান রাত ১১টার মধ্যে বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান।

রোববার (২৮ এপ্রিল) রাজারবাগে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়ামে মার্চ মাসের অপরাধ পর্যালোচনা সভায় উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তাদের এ নির্দেশ দেন তিনি।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ছিনতাই ও অপরাধ প্রতিরোধে রাতে রাস্তার মোড়ের দোকানগুলো বন্ধ করে দিতে হবে। অনেক সময় দেখা যায় এসব অস্থায়ী দোকানে অপরাধীরা সারা রাত আড্ডা দেয়, আর সুযোগ পেলেই ছিনতাই করে। তাই রাস্তার পাশের বিড়ি, পান ও চায়ের দোকান রাত ১১টার পর বন্ধ করে দিতে হবে।

তিনি বলেন, কোনো সন্ত্রাসী ও জঙ্গিগোষ্ঠী যেন কোনো প্রকার সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করতে না পারে সেদিকে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। এই ধরনের অপরাধ চক্রের বিরুদ্ধে কঠোর থাকতে হবে।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, রাস্তায় পুলিশের স্টিকার লেখা কোনো গাড়ি দেখলে ডিউটিরত পুলিশ অবশ্যই যাচাই করবেন যে, সেটা আসলেই কোনো পুলিশ অফিসারের গাড়ি কি না। কারণ গাড়িতে পুলিশের স্টিকার লাগিয়ে বা ডিএমপির লোগো লাগিয়ে সন্ত্রাসীদের চলাফেরার তথ্য পাওয়া গেছে। যদি যাচাই করে দেখা যায় সেটা পুলিশের গাড়ি নয়, তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ডিএমপির ক্রাইম ও ট্রাফিক বিভাগ এই বিষয়টি নজর রাখবেন।

কমিশনার বলেন, অন্যান্য রমজানের চেয়ে এবার রাস্তায় যান চলাচল স্বাভাবিক ছিল। ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের সাথে ক্রাইম বিভাগও আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করেছে। ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ট্রাফিক বিভাগের একার কাজ, এমনটা ভাবা যাবে না। ক্রাইম বিভাগের যাদের সামনে রাস্তায় যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা দেখা যাবে তিনি সেখানে কাজ করবেন।


ডিএমপি   ছিনতাই  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন