ঊনষাট বছর বয়সী উসমান হারুন। পেশায় তিনি একজন মাদরাসা শিক্ষক। জীবদ্দশায়
পারিবারিক কবরস্থানে তিনি ও তার স্ত্রীর জন্য দুইটি কবর তৈরি করেছেন। ১৫ ফুট দৈর্ঘ্য
আরসিসি ঢালাই করা এ কবরের মাঝখানে রয়েছে একটি দেয়াল। স্বামী-স্ত্রী’র পাশাপাশি কবর
দিতে এমন কাঠামো তৈরি করেছেন তিনি।
পেশায় একজন মাদরাসা শিক্ষক হওয়া সত্ত্বেও জীবদ্দশায় স্বামী-স্ত্রীর
কবর তৈরিকে কেন্দ্র করে জনমনে দেখা দিয়েছে নানা জল্পনা-কল্পনা। কেউ কেউ বলছেন, এটা
শরিয়ত বিরোধী। মাদরাসা শিক্ষক হওয়া সত্ত্বেও উসমান হারুনের এমন কর্মকান্ডে হতবাক স্থানীয়রা।
উসমান হারুন লক্ষ্মীপুর সদরের ঐতিহ্যবাহি টুমচর ইলামিয়া কামিল মাদরাসার
বিএসসি শিক্ষক। তার তিন মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে। তিনি সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের
পশ্চিম পাঁচপাড়া গ্রামের লালার বাড়ির প্রয়াত নুরুল হক মাষ্টারের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, মাদরাসার শিক্ষক উসমান হারুনের এমন কর্মকান্ডে
হতবাক তারা। জীবদ্দশায় কবর তৈরি করে সামাজিক কুসংস্কারসহ বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন তিনি।
ইতোপূর্বে এমন কর্মকান্ড এ এলাকায় দেখেননি কেউ, শুনেননিও কেউ।
উসমান ফারুকের ভাতিজা রিফাত চৌধুরী জানালেন, চাচার এমন কর্মকান্ডে
হতবাক তারা। তার সাথে কথা বলেও এমন কর্মকান্ড থেকে তাকে নিরুৎসাহিত করা যায়নি।
স্থানীয় পাঁচপাড়া দারুল আমান জামে মসজিদের ইমাম মোহাম্মদ ইসমাইল
জানালেন, যে কেউ জীবদ্দশায় তার কবরস্থান উছিয়ত বা চিহিৃত করে দিতে পারেন। কিন্তু মৃত্যুর
আগে কাঠামোগতভাবে কবর তৈরি করা নাজায়েজ। ইসলাম কোনভাবেই এমন কর্ম সমর্থন করে না।
এদিকে উসমান ফারুকের গ্রামের বাড়িতে গিয়ে তার বসতঘরে কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে মোবাইল ফোনে তিনি জানান, আবেগের তাড়নায় তিনি এধরনের কাজ করেছেন। কাজটি নাজায়েজ বলেও জানান তিনি।
জীবদ্দশায় কবর তৈরির মাধ্যমে এলাকায় কুসংস্কার ও বিভ্রান্তি যাতে ছড়াতে না পারে সে জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান স্থানীয়রা।
মন্তব্য করুন
জনপ্রশাসন মন্ত্রী শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী সরকারি চাকরি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বজ্রপাতে প্রাণহানির সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এ অবস্থায় বজ্রপাত থেকে রক্ষা পাওয়ার কৌশল জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন।
রোববার(৫ মে) আবহাওয়ার সব শেষ খবর জানাতে আগারগাঁওয়ে ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হয়।
বজ্রপাতে প্রাণহানির বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মনোয়ার হোসেন জানান, সারা দেশে বজ্রপাত অনেক বেড়ে গেছে। বজ্রপাত এখন যে অবস্থায় গেছে। সে জন্য সরকার একে জাতীয় দুর্যোগ হিসেবে ঘোষণা করেছে। এই বজ্রপাতে শুধু মানুষ নয়, অনেক পশুপাখিও প্রাণ হারাচ্ছে। এ মৌসুমে বৃষ্টিপাত ও বজ্রঝড় হয়। সেই সঙ্গে বজ্রপাতের খুবই আশঙ্কা রযেছে। নানা কারণে বজ্রপাত বেড়ে গেছে। সেটা হচ্ছে ক্লাইমেট চেঞ্জ হওয়ার কারণে হতে পারে, ওজন স্তর ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণেও হতে পারে। আবার বৃক্ষ, পাহাড় ও পরিবেশ বিভিন্ন কারণে বিনষ্ট হওয়ার কারণেও হতে পারে।
বজ্রপাত থেকে বাঁচার কৌশল উল্লেখ করে তিনি বলেন, পৃথিবীব্যাপীই এই কৌশল অনুসরণ করা হয়। সেটা হলো বিদ্যুৎ চমকাতে দেখার ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে যদি বজ্রপাতের শব্দ শুনতে পান তাহলে বুঝবেন সেটা আপনার দিকে আসছে বা সেটার দ্বারা আপনি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন। আর যদি দেখেন বিদ্যুৎ চমকানোর ৩০ সেকেন্ড পর শব্দটা পেয়েছেন তাহলে বুঝবেন সেটা আপনার থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। সে সময় যদি নিরাপদ আশ্রয়ে না থাকেন তাহলে এক আঙুলের ওপর ভর করে বসে পড়তে হবে। এবং সেটা দ্বারা অনেক ক্ষয়ক্ষতি কমতে পারে। মানুষকে এটা বেশি বেশি করে জানাতে হবে।
তিনি আরও বলেন, বজ্রপাতের সময় যেন মানুষ ঘর থেকে বের না হয়। যদি বাইরে থাকে তবে গাছ বা বিদ্যুতের খুঁটির কাছে যেন না থাকে।
চলমান দাবদাহের বিষয়ে মনোয়ার হোসেন বলেন, সোমবার রাজশাহী ও খুলনায় দাবদাহ চলমান থাকার আশঙ্কা রয়েছে। তবে রাজধানীসহ অন্যান্য বিভাগীয় অঞ্চলে তাপমাত্রা সহনীয় পর্যায়ে থাকবে। ঢাকার তাপপ্রবাহ মৃদু থেকে মৃদু হয়ে সোমবার থেকে দাবদাহ পুরোপুরি কেটে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মে মাসের মাঝামাঝি সময়ের পর ফের বাড়তে পারে তাপমাত্রা, তবে তা দীর্ঘ সময়ের জন্য বা বিস্তর এলাকার জন্য হবে না।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী
মন্তব্য করুন
বজ্রপাতে প্রাণহানির সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এ অবস্থায় বজ্রপাত থেকে রক্ষা পাওয়ার কৌশল জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন। রোববার(৫ মে) আবহাওয়ার সব শেষ খবর জানাতে আগারগাঁওয়ে ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হয়। বজ্রপাতে প্রাণহানির বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মনোয়ার হোসেন জানান, সারা দেশে বজ্রপাত অনেক বেড়ে গেছে। বজ্রপাত এখন যে অবস্থায় গেছে। সে জন্য সরকার একে জাতীয় দুর্যোগ হিসেবে ঘোষণা করেছে। এই বজ্রপাতে শুধু মানুষ নয়, অনেক পশুপাখিও প্রাণ হারাচ্ছে।