ইনসাইড বাংলাদেশ

ঢাকার রাস্তায় গুলি: আসামিরা দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন

প্রকাশ: ১০:৪৫ এএম, ১৭ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

ছয় মাস আগে ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেলে বাসায় ফিরছিলেন ঢাকার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের আইন কর্মকর্তা ভুবন চন্দ্র শীল। যানজটের কারণে তেজগাঁওয়ের বিজি প্রেস এলাকায় মোটরসাইকেল তখন থেমে ছিল। এর মধ্যে হঠাৎ গুলি এসে মাথায় লাগে ভুবনের। এর সাত দিন পর হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়।

গত ১৮ সেপ্টেম্বর রাতের ওই ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ জানতে পারে, গুলিটি করা হয়েছিল তারিক সাঈদ ওরফে মামুন নামের এক ব্যক্তিকে লক্ষ্য করে। তখন তিনি একটি গাড়িতে ছিলেন। কিন্তু গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে মোটরসাইকেলের পেছনের আসনে বসা ভুবন চন্দ্র শীলের মাথায় লাগে। গুলিটি করা হয়েছিল মামুন নামের এক ব্যক্তিকে লক্ষ্য করে। গুলি লাগে ভুবন চন্দ্র শীল নামের আরেক ব্যক্তির মাথায়। পরে হাসপাতালে মারা যান তিনি।

এই ঘটনায় তার ভুবন চন্দ্র শীলের স্ত্রী রত্না রানী শীল বাদী হয়ে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় মামলা করেন। পরে মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হয়। এখন মামলাটি তদন্ত করছে তেজগাঁওয়ের শিল্পাঞ্চল থানা পুলিশ। তবে এখন মামলার কোনো খোঁজ জানেন না তিনি।

মামলার তদন্ত-সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র বলছে, প্রযুক্তির সহায়তা ও ক্লোজড সার্কিট (সিসি) ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে হামলায় জড়িত ব্যক্তিদের মধ্যে সাতজনকে চিহ্নিত করা গেছে। তবে তাঁদের মধ্যে ছয়জনই দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। এর মধ্যে তিনজন কুমিল্লার বুড়িচং এবং তিনজন যশোরের বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়ে গেছেন বলে অনেকটাই নিশ্চিত হওয়া গেছে। খুনের ঘটনায় সরাসরি অংশ নেওয়া সাতজনের মধ্যে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত শুধু একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মারুফ বিল্লাহ ওরফে হিমেল নামের ওই আসামি এখন কারাগারে।

২৪ বছর কারাবন্দী থাকার পর গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে মামুন জামিনে মুক্ত হন। এরপর পুরোনো অপরাধজগতের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করেন মামুন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে মামুনকে হত্যার পরিকল্পনা করেন কারাবন্দী ইমন।

তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) দুলাল হোসেন বলেন, ‘হামলার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করা গেছে। আসামিদের কেউ কেউ বিদেশে পালিয়ে যেতে পারেন।

মামুনের উপর হামলার কারণ হিসেবে তদন্ত–সংশ্লিষ্ট পুলিশের একাধিক কর্মকর্তা জানান, মামুন ও সানজিদুল ইসলাম ওরফে ইমন এক সময় ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর ও তেজগাঁও এলাকার অপরাধজগৎ নিয়ন্ত্রণ করতেন। তাঁরা একটি বাহিনী গড়ে তুলেছিলেন, যার নাম ‘ইমন-মামুন’ বাহিনী। তাঁরা দুজনই চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী এবং সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদের ভাই সাঈদ আহমেদ ওরফে টিপু হত্যা মামলার আসামি। দুই দশকের বেশি সময় আগে ইমন ও মামুন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে ধরা পড়েন। ২৪ বছর কারাবন্দী থাকার পর গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে মামুন জামিনে মুক্ত হন। এরপর পুরোনো অপরাধজগতের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করেন মামুন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে মামুনকে হত্যার পরিকল্পনা করেন কারাবন্দী ইমন।

রত্না রানী শীল বলেন, ‘আমার তো সব শেষ হয়ে গেছে। এখন শুধু মেয়েটাকে নিয়ে বাঁচতে চাই’।

তদন্ত–সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা জানান, মামুনকে খুনের চেষ্টা করা ছয়জনের মধ্যে একজন আনিসুর রহমান ওরফে শামীম। তিনি ইমনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। মামুনের ওপর কীভাবে হামলা চালানো হবে, সেই ছক তৈরি করেছিলেন তিনি। তবে ঘটনার পর শামীমও দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। পালিয়ে যাওয়া অন্য পাঁচজনের নাম প্রকাশ করা কিংবা তাঁদের বিষয়ে কোনো তথ্য দিতে চাননি পুলিশের ওই কর্মকর্তা।

মামলার তদন্ত-সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র বলছে, প্রযুক্তির সহায়তা ও ক্লোজড সার্কিট (সিসি) ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে হামলায় জড়িত ব্যক্তিদের মধ্যে সাতজনকে চিহ্নিত করা গেছে। তবে তাঁদের মধ্যে ছয়জনই দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন।

হামলার ওই ঘটনার পর থেকে মামুন আর প্রকাশ্যে আসছেন না বলে পুলিশ সূত্রগুলো বলছে। ঘটনার পর মামুনকে জিজ্ঞাসাবাদও করেছিল পুলিশ। তাঁর ওপর হামলা হলেও তিনি তখন মামলা করতে আগ্রহী ছিলেন না। মামুন এখন কোথায় আছেন, সেটি তদন্ত–সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলতে পারছেন না। তবে তাঁরা বলছেন, প্রয়োজন হলে আদালতের অনুমতি নিয়ে কারাবন্দী ইমনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

গুলির ঘটনায় নিহত ভুবন চন্দ্র শীল গুলশান কার্যালয়ের গোমতী টেক্সটাইল লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠানের আইনি পরামর্শক হিসেবে কাজ করতেন। তিনি আরামবাগের একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন। তাঁর স্ত্রী ও মেয়ে থাকেন নোয়াখালীর মাইজদীতে। স্ত্রী রত্না রানী শীল মাইজদীর একটি উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষক। তাঁর মেয়ে ভূমিকা রানী শীল নোয়াখালীর একটি কলেজে পড়েন।

রত্না রানী শীলের বলেন, ‘মামলার কোনো খোঁজ জানেন না তিনি। যাঁরা খুনে জড়িত, তাঁরা সন্ত্রাসী টাইপের লোক। তাঁদের বিরুদ্ধে লড়াই করা কঠিন। এ জন্য তিনি আর মামলার খোঁজ রাখছেন না। তিনি বলেন, ‘আমার তো সব শেষ হয়ে গেছে। এখন শুধু মেয়েটাকে নিয়ে বাঁচতে চাই।’


গুলি   হত্যাকান্ড   মামলা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

‘কোন প্রার্থী প্রভাব বিস্তার করতে চাইলে কঠোরভাবে দমন করা হব’

প্রকাশ: ১০:৫৬ পিএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

নির্বাচন কমিশনার (ইসি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান বলেছেন, স্থানীয় সরকারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কোনো প্রার্থী প্রভাব বিস্তার করতে চাইলে তাকে কঠোরভাবে দমন করা হবে। আমাদের কাছে সব প্রার্থীই সমান। কাউকে ছোট-বড় করে দেখার কোনো সুযোগ নেই। ভোটগ্রহণ কর্মকর্তারা নির্ভয়ে দায়িত্ব পালন করবেন।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে পিরোজপুর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে নির্বাচন কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, গোয়েন্দাসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

আহসান হাবিব খান বলেন, ভোট শেষ না হওয়া পর্যন্ত প্রার্থীদের পোলিং এজেন্টকে কেন্দ্র থেকে বের না হওয়ার জন্য বলতে বলা হয়েছে। প্রয়োজনে তাদের শুকনো খাবার নিয়ে যেতে হবে। ভোটকেন্দ্রে সব সময় পোলিং এজেন্টদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, যদি কেউ পোলিং অফিসারকে অস্ত্র-প্রদর্শন বা শারীরিক বল প্রয়োগের মাধ্যমে তাদের স্বাভাবিক নির্বাচনী দায়িত্ব পালনে বাধা দেয়, তাহলে তিনি সাথে সাথে ভোটগ্রহণ বন্ধ করে দেবেন এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যদেরকে জানিয়ে উক্ত ব্যক্তি বা ব্যক্তিদেরকে গ্রেপ্তার করার জন্য সহযোগিতা চাইবেন। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা অনতিবিলম্বে উক্ত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করবেন।

আহসান হাবিব খান বলেন, গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের চেয়ে এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আরও কঠোর ও নিরপেক্ষ থাকবে প্রশাসন। নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কারো কোনো ধরনের পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এর আগে, জেলা প্রশাসক মোহাম্মাদ জাহেদুর রহমানের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান।

এছাড়াও পুলিশের বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি মো. জামিল হাসান, পিরোজপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ শরীফুল ইসলাম, র‍্যাব-৬ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল কাজী যুবায়ের আলম, বরিশাল আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিনসহ সদর, নাজিরপুর ও ইন্দুরকানী উপজেলার চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদের প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। 

উল্লেখ্য, প্রথম ধাপে পিরোজপুর সদর, নাজিরপুর ও ইন্দুরকানী উপজেলায় ইভিএমের মাধ্যমে আগামী ৮ মে প্রথম ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।


নির্বাচন কমিশনার   উপজেলা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

‘সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ অপরিহার্য’

প্রকাশ: ১০:২২ পিএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া বলেছেন, সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ অপরিহার্য। আজকের ছাত্রছাত্রীরাই আগামীর ভবিষ্যৎ, তারাই হবে জাতির কর্ণধার ও দেশগড়ার কারিগর। সাইবার বুলিং, সাইবার হ্যারেজমেন্ট, আনইথিক্যাল কন্টেন্ট, হ্যাকিং, ফিশিং, ম্যালওয়্যার, র‍্যানসমওয়্যার ইত্যাদি সাইবার অপরাধ প্রতিরোধে আজকের ছাত্র-ছাত্রীরাই আগামীতে ফ্রন্টলাইন ফাইটার হিসেবে কাজ করবে।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) রাজধানীর মালিবাগে সিআইডি সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত ‘স্টুডেন্টস এনগেজমেন্ট টু কমব্যাট সাইবারক্রাইম’ শীর্ষক সেমিনারে এ কথা বলেন তিনি।

সেমিনারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৯১ জন, বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে ৫৩ জন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০ জন, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০ জন, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০ জন, উত্তরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১ জন, কানাডিয়ান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২২ জন ও গ্রিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০ জনসহ মোট ২৪৭ জন ছাত্রছাত্রী অংশগ্রহণ করেন।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিআইডির সাইবার ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড অপস বিভাগের বিশেষ পুলিশ সুপার (পদোন্নতিতে অ্যাডিশনাল ডিআইজি) তৌহিদুল ইসলাম, ডিজিটাল ফরেনসিক বিষয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডিজিটাল ফরেনসিক বিভাগের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শামসুল হক, প্রশ্নোত্তর পর্বে মডারেটরের দায়িত্ব পালন করেন আইএনটিআই ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি মালয়েশিয়ার সহযোগী অধ্যাপক ড. খান সরফরাজ আলী। সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি (অ্যাডমিন ও ফরেনসিক) তানভীর হায়দার চৌধুরী সভাপতি হিসেবে সমাপনী বক্তব্য দেন।

তরুণ প্রজন্ম তথা শিক্ষার্থীরা ডিজিটাল সচেতনতা বাড়ানোর মাধ্যমে সাইবার অপরাধ নিবারণে সক্রিয় হয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সিআইডির সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করবে বলে জানান সিআইডি প্রধান মোহাম্মদ আলী মিয়া।

সেমিনারের প্রশ্নোত্তর ও উন্মুক্ত আলোচনা পর্বে তরুণ শিক্ষার্থীরা প্রাণবন্ত অংশগ্রহণ করেন। সেমিনারে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা সাইবার অপরাধ সম্পর্কে নিজেদের সমৃদ্ধ করেন ও তাদের মতামত প্রকাশ করেন। সেমিনার শেষে প্রধান অতিথি অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের সনদ প্রদান করেন এবং শিক্ষার্থীরা সিআইডির ফরেনসিক ল্যাবগুলো পরিদর্শন করেন।

সেমিনারে সোশ্যাল মিডিয়াসহ ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহারে নানা ধরনের জালিয়াতি, আর্থিক অপরাধ, সাইবার অপরাধ, সাইবার চাঁদাবাজি, মাদক পাচার, অর্থ পাচার, নানা ধরনের প্রতারণার ফাঁদ ও হ্যাকিং নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়। সিআইডির পক্ষ থেকে সচেতনতামূলক কার্যক্রম, তথ্য শেয়ারিং ও নিজ নিজ জায়গা থেকে চেঞ্জ মেকার হিসেবে এগিয়ে আসার আহ্বান জানানো হয়।


সিআইডি   অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

প্রতিদ্বন্দ্বীর এজেন্টদের হুমকি, আওয়ামী লীগের দুই নেতা গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ১০:১১ পিএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর এজেন্ট কেন্দ্রে ঢুকলে হাত-দাঁত ও চাপার হাড্ডি ভেঙে যমুনা নদীতে ফেলে দেওয়ার হুমকি দাতাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে জেলা প্রশাসক মো. শফিউর রহমান ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ শানিয়াজ্জামান তালুকদার সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, সরিষাবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক এবং সুজাত আলী কলেজের অধ্যক্ষ সাইদুল হাসান সাইদ ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান খন্দকার মোতাহার হোসেন জয়।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ শানিয়াজ্জামান তালুকদার জানান, চেয়ারম্যান প্রার্থী রফিকুল ইসলামের উপস্থিতিতে দুজন কর্মী যে বক্তব্য দিয়েছেন সেটি উস্কানিমূলক ও হুমকিস্বরূপ। যা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বিধিমালা অনুযায়ী দণ্ডনীয় অপরাধ। বিষয়টি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে চেয়ারম্যান প্রার্থী রফিকুল ইসলামকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়।

একই সঙ্গে হুমকিদাতা দুজনের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা সাখাওয়াত হোসেন সরিষাবাড়ী থানায় মামলা দায়ের করেন। শনিবার দুপুরে পুলিশ সাইদুল হাসান সাইদ ও খন্দকার মোতাহার হোসেন জয়কে গ্রেফতার করে।


এজেন্ট   হুমকি   আওয়ামী লীগ   গ্রেপ্তার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বাংলাদেশসহ ৬ দেশে পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দিল ভারত

প্রকাশ: ১০:০৫ পিএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশসহ মধ্যপ্রাচ্য ও এশিয়ার ছয়টি দেশে ৯৯ হাজার ১৫০ টন পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমোদন দিয়েছে ভারতের সরকার। যেসব দেশে ভারত পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে, সেসব দেশ হলো সংযুক্ত আরব আমিরাত, ভুটান, বাহরাইন, মরিশাস এবং শ্রীলঙ্কা। তবে কোন দেশে কী পরিমাণ পেঁয়াজ রপ্তানি করা হবে, সেই বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) দেশটির ভোক্তা, খাদ্য ও জন বিতরণ মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এই পেঁয়াজ রপ্তানির সিদ্ধান্তের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

ভারতের ইংরেজি দৈনিক দ্য ইকোনমিক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগের বছর তুলনায় চলতি ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে দেশটিতে খরিপ ও রবিশস্যের উৎপাদন কম হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এরপর রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও দেশটির সরকার বন্ধুত্বপূর্ণ কিছু দেশে নির্দিষ্ট পরিমাণ পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে। দেশগুলোর অনুরোধের ভিত্তিতে ভারতের সরকার নির্দিষ্ট পরিমাণ পেঁয়াজ রপ্তানির এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।  

দেশটির এই সংবাদমাধ্যম বলছে, রপ্তানির জন্য দেশীয় উৎপাদকদের কাছ থেকে পেঁয়াজ সংগ্রহ করা হবে। ভারতের বৃহত্তম পেঁয়াজ উৎপাদন ও রপ্তানির প্রধান সরবরাহকারী মহারাষ্ট্র প্রদেশ। বিগত বছরের তুলনায় এ বছর ভারতেও পেঁয়াজের দাম উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে।

এর আগে, গত ১ মার্চ বাংলাদেশে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দেয় ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকার। দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ন্যাশনাল কো-অপারেটিভ এক্সপোর্ট লিমিটেডের (এনসিইএল) মাধ্যমে এই পেঁয়াজ বাংলাদেশে রপ্তানি করার কথা জানানো হয়।

ওই সময় ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্যবিষয়ক মহাপরিচালকের দপ্তরের (ডিজিএফটি) (ডিজিএফটি) এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভোক্তা বিষয়কবিভাগের সাথে পরামর্শ করে পেঁয়াজ রপ্তানির রূপরেখা তৈরি করবে এনসিইএল।

বিশ্ব বাজারের দ্বিতীয় বৃহত্তম পেঁয়াজ রপ্তানিকারক ভারত। গত বছরের ডিসেম্বরে স্থানীয় বাজার স্থিতিশীল রাখতে পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে দেশটির সরকার। জাতীয় নির্বাচনের আগে ভারতের বাজারে ক্রমবর্ধমান মূল্য বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ ও পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করতে দ্বিতীয় দফায় ৩১ মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানির নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়ায় দেশটি।

রপ্তানি নিরুৎসাহিত করতে দেশটির সরকার প্রথমে পেঁয়াজের ওপর ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে। ওই সময় দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘‘দেশের বাজারে সরবরাহ বৃৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে।’’

তারপরও আশানুরূপ ফল না মেলায় পেঁয়াজের রপ্তানি পুরোপুরি নিষিদ্ধ করে ভারত। সেসময় বলা হয়, পেঁয়াজ রপ্তানির এই নিষেধাজ্ঞা ৩১ মার্চ পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। দেশটির সরকার গত বছরের অক্টোবরে ভোক্তাদের স্বস্তি দিতে খুচরা বাজারে ভর্তুকি দিয়ে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ২৫ রূপিতে বিক্রির লক্ষ্যে মজুত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়।

অভ্যন্তরীণ বাজারে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে ভারতের সরকার বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। গত বছরের ২৮ অক্টোবর দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার প্রতি টন পে*য়াজের সর্বনিম্ন মূল্য ৮০০ মার্কিন ডলার নির্ধারণ করে দেয়। সেই সময় নতুন এই মূল্যসীমা ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কার্যকর থাকবে বলে জানানো হয়।

গত বছরের ১ এপ্রিল থেকে ৪ আগস্টের মাঝে দেশটি থেকে ৭৫ লাখ ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ রপ্তানি করা হয়। বিশ্বে ভারতের পেঁয়াজের শীর্ষ তিন রপ্তানি গন্তব্য বাংলাদেশ, মালয়েশিয়া এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত।


বাংলাদেশ   পেঁয়াজ রপ্তানি   ভারত  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

কিশোর গ্যাং নেতাকে হত্যা করল আরেক গ্যাংয়ের সদস্যরা

প্রকাশ: ০৯:২২ পিএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

চট্টগ্রামের পটিয়ায় রাজু হোসেন নামে এক কিশোর গ্যাং নেতাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে আরেক কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) বিকেল ৪টায় উপজেলার সুচক্রদন্ডী পল্লী মঙ্গল সমিতির কার্যালয়ের পাশে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত কিশোর গ্যাং নেতা রাজু হোসেন রাসেল পটিয়া পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পটিয়া থানার ওসি জসীম উদ্দীন

স্থানীয়রা জানান, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে কিশোর গ্যাং নেতা জুয়েল চৌধুরী জুলু ও তার সঙ্গীরা ডেকে নিয়ে অপর কিশোর গ্যাং নেতা রাজুকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেছে।

ওসি জসীম উদ্দীন বলেন, হত্যাকারী জুয়েল চৌধুরী জুলুর বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মাদকের মামলা রয়েছে। আর নিহত রাজু এর আগে র‌্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে গুলিবিদ্ধ হয়। সেই থেকে তাকে গুলি রাজু বলেই সবাই চিনে।

পৌরসভার কাউন্সিলর প্রকৌশলী রূপক সেন বলেন, এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের উৎপাতের বিষয়ে আমি স্থানীয় প্রশাসনকে একাধিকবার ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছিলাম। কিন্তু দুয়েকটি অভিযান হলেও তাদের দাপট কমেনি। ফলে এলাকার মানুষ নিরাপত্তাহীন ছিল।


কিশোর গ্যাং  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন