ওই মহামানব আসে;
দিকে দিকে রোমাঞ্চ লাগে
মর্ত ধূলির ঘাসে ঘাসে।
সুরলোকে বেজে উঠে শঙ্খ,
নরলোকে বাজে জয়ডঙ্ক—
এল মহাজন্মের লগ্ন।...
জয় জয় জয় রে মানব-অভ্যুদয়,
মন্দ্রি উঠিল মহাকাশে।
কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এই চরণগুলো মনে করিয়ে দেয় বাঙালি জাতির স্বাধীনতার রূপকার মহামানব বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মের দিনক্ষণ। আজ ১৭ মার্চ। বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একজন পরিপূর্ণ রাজনৈতিক নেতা ছিলেন। যেকোনো বিবেচনায় তিনি সর্বকালের সেরা বিশ্বনেতা বঙ্গবন্ধু। তিনি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের স্থপতি এবং সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি। তিনি মুক্তির মহানায়কখ্যাত এক বিশাল ব্যক্তিত্ব।
আমরা বিশ্বের বড় বড় নেতাদের দিক পর্যালোচনা করলে দেখতে পাই যে, অনেকেই আছেন যারা তাদের দেশের জন্য অনেক কিছু করেছেন, নানা ত্যাগ স্বীকার করছেন, অনেক আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন এবং আন্দোলনের দাবি আদায়ে সফলও হয়েছেন। তবে কেউ দেশকে পরিচালনা করেছেন আবার কেউ দেশ নির্মাণে কাজ করেছেন। যেমন, বিশ্বের নন্দিত রাষ্ট্রনায়কদের মধ্যে একজন লেনসন ম্যান্ডেলা। দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনের অবিসংবাদিত নেতা ছিলেন তিনি। দক্ষিণ আফ্রিকায় বর্ণবাদের অবসান ঘটিয়ে বহু বর্ণভিত্তিক গণতান্ত্রিক কাঠামো প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। আফ্রিকাকে বর্ণবাদ থেকে মুক্ত করেছিলেন এবং আফ্রিকা থেকে বর্ণবৈষম্য বিলুপ্ত করেছেন। তবে তিনি একটি জাতি রাষ্ট্রের জন্ম দেননি।
মহাত্মা গান্ধী ভারতীয় রাজনীতিবিদ, ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের অগ্রগামী ব্যক্তিদের একজন এবং প্রভাবশালী আধ্যাত্মিক নেতা তিনি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে হিন্দু মুসলমানের মধ্যে পারস্পরিক দাঙ্গা সৃষ্টি হলে তিনি সমাধানের প্রস্তাব দেন। একই সাথে তিনি আজীবন অহিংস আন্দোলনের মাধ্যমে পুরো ভারতবর্ষকে ঐক্যবদ্ধ করতে পেরেছিলেন। শেষ পর্যন্ত ভারত স্বাধীন হয়েছে। তবে তিনিও রাষ্ট্র পরিচালনা করেননি।
ভারতের স্বাধীনতার পর জওহরলাল নেহেরু একটি রাষ্ট্র বিনির্মাণের জন্য চেষ্টা করেছিলেন। জাতীয় কংগ্রেসের অন্যতম প্রধান রাজনীতিবিদ, ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের এক অভিজ্ঞ নেতা এবং স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ছিলেন পণ্ডিত জওহরলাল নেহেরু । তবে শেষ পর্যন্ত এই কিংবদন্তি নেতাও দেশ পরিচালনা করতে পারেননি।
এছাড়াও পাকিস্তানের জাতির পিতা মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ। পাকিস্তান রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ ভারতীয় উপমহাদেশে হিন্দু ও মুসলমান দুটি ধর্মীয় সম্প্রদায়কে দুটি পৃথক জাতি হিসেবে আখ্যায়িত করেন। মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ রাষ্ট্র নির্মাণ করেছেন ঠিকই, তবে তিনি এক বিতর্কিত রাষ্ট্র নির্মাণ করেছেন।
এরকম বিশ্বজুড়ে আমরা যত নেতৃত্বই দেখি না কেন সেই নেতৃত্বগুলোর পরিপূর্ণতা নেই। কেউ দেশ স্বাধীন করেছে, কিন্তু রাষ্ট্র পরিচালনা করেননি। আবার কেউ রাষ্ট্র পরিচালনা করেছেন কিন্তু স্বাধীন দেশ নির্মাণ করেননি। একটা রাষ্ট্র বা জাতিসত্ত্বার যে বৈশিষ্ট্য আছে সেটা করে যেতে পারেননি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুই একমাত্র নেতা যিনি, একদিকে একটা জাতিকে জাগিয়ে তুলেছেন, একটা জাতি রাষ্ট্রের জন্ম দিয়েছেন এবং জাতি, রাষ্ট্র কিভাবে চলবে তার একটার রূপ পরিকল্পনা দিয়েছেন।
১৯৭১-এর অসহযোগ আন্দোলনের একমাত্র নেতা ছিলেন বঙ্গবন্ধু। তিনি যা করতে বলেছেন, আর যা করতে নিষেধ করেছেন সেভাবেই আন্দোলন পরিচালিত হয়েছে। সে জন্যই বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চের ভাষণের শুরুতেই বলেছিলেন যে, ‘আমি প্রধানমন্ত্রীত্ব চাই না, মানুষের অধিকার চাই’। তিনি লোকরঞ্জক নেতা ছিলেন না, তার রাজনীতি ছিল মানুষলগ্ন। জনগণের স্বপ্ন নিজের মধ্যে আত্মস্থ করে, জনগণ এবং নিজেকে সমন্বিত করে স্বপ্নের দিকে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন। তিনি বাংলার এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে ছুটে বেড়িয়েছেন। বাঙালির কাছে পৌঁছে দিয়েছেন পরাধীনতার শিকল ভাঙার মন্ত্র। সে মন্ত্রে বলীয়ান হয়ে স্বাধীন দেশে পরিণত হওয়ার পাশাপাশি বাংলাদেশ আজ বিশ্বে রোল মডেল।
এমনকি দেশের দুঃখি মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর রাজনৈতিক ব্রত থেকে তিনি বিচ্যুত হননি। সদ্যস্বাধীন দেশে গরিবের হক কেড়ে খাওয়া ‘চাটার দল’-এর বিরুদ্ধে তিনি সোচ্চার ছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘স্বাধীনতা অর্জন করা যেমন কষ্টকর, তা রক্ষা করা তার চাইতেও কঠিন। দেশ আজ স্বাধীন হয়েছে। কিন্তু অর্থনৈতিক স্বাধীনতা ছাড়া রাজনৈতিক স্বাধীনতা অর্থহীন।’
এছাড়াও শিক্ষা ছাড়া জাতির উন্নতি যে সম্ভব নয়, তা অনুধাবন করেছিলেন বঙ্গবন্ধু। তাই তিনি একটি শিক্ষিত জাতির স্বপ্ন দেখেছিলেন। শোষণ মুক্ত ও ন্যায় ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষে গড়ে তুলেছিলেন শিক্ষা ব্যবস্থাও। শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে এক ভাষণে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘আগামী প্রজন্মের ভাগ্য শিক্ষকদের ওপর নির্ভর করছে। শিশুদের যথাযথ শিক্ষার ব্যত্যয় ঘটলে কষ্টার্জিত স্বাধীনতা অর্থহীন হবে।
আজ ১৭ মার্চ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন। তিনি নিজের জন্মদিন কোনোদিনও পালন করেননি। তার বক্তব্য থেকেই সেটি স্পষ্ট হয়। তিনি বলেছিলেন, ‘আমি আমার জন্মদিন পালন করি না। যে জাতি অর্ধাহারে অনাহারে দিন কাটায়, কথায় কথায় গুলি করে হত্যা করা হয়, সে জাতির নেতা হিসেবে আমি জন্মদিন পালন করতে পারি না।’ এই উদ্বেগ তখনই নেওয়া সম্ভব, যখন একটা মানুষ তার দেশ আর দেশের মানুষকে ভালোবাসেন।
এভাবেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার পাশাপাশি দেশকে পরিচালনা করেছেন। মানুষের সুখে দুঃখে সবার পাশে থাকার চেষ্টা করেছেন। শুধু রাজনৈতিক দিকেই নয়, দেশের সকল সমস্যায়, সকল কাজেই তার অবদান অভিন্ন এবং অনন্য।
বাংলাদেশের মানুষের জন্য গুরুত্বপূর্ণ দিন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন। বাংলার হাজার বছরের ইতিহাসে বঙ্গবন্ধু একজনই জন্মেছিলেন। যার জন্ম না হলে স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম হতো না। যারা বাংলাদেশকে বিশ্বাস করে, মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ধারণ করে, তাদের মাঝেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বেঁচে থাকবেন চিরকাল
মহামানব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বঙ্গবন্ধু ১৭ মার্চ
মন্তব্য করুন
বান্দরবানের রুমায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অভিযানে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) দুজন সশস্ত্র সন্ত্রাসী নিহত হয়েছেন।
আইএসপিআর থেকে পাঠানো এক বার্তা থেকে জানা যায়, রোববার (২৮ এপ্রিল) রুমা উপজেলার দুর্গম বাকলাই পাড়া এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়।
অভিযানের সময় ৩টি আগ্নেয়াস্ত্র, বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদ, ওয়াকিটকি ও অন্যান্য সরঞ্জামাদি উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনী।
এর আগে পরপর কয়েকটি অভিযানে কুকি চিনের একজন সশস্ত্র সন্ত্রাসী নিহত এবং কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের সঙ্গে যুক্ত আরও ৪৯ জনকে আটক করা হয়। তাদের মধ্যে ১৮ জন নারী।
এ ছাড়া অভিযানে আটকদের কাছ থেকে ৭টি দেশি বন্দুক, ২০ রাউন্ড গুলি, কেএনএফের পোশাক, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে ব্যবহৃত ল্যাপটপ, দুই জোড়া বুট, একটি ছুরি ও বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
প্রসঙ্গত, গত ২ এপ্রিল রাতে রুমার সোনালী ব্যাংকে শতাধিক কেএনএফ সদস্য অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হামলা করে অস্ত্রের মুখে পুলিশ, আনসার সদস্যদের জিম্মি করে ১৪টি অস্ত্র লুট ও সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার নেজাম উদ্দিনকে অপহরণ করে। এ ঘটনার ১৭ ঘণ্টার মধ্যে ৩ এপ্রিল থানচিতে গুলিবর্ষণ এবং কৃষি ও সোনালী ব্যাংক থেকে ১৫ লাখ টাকা লুট ও ৪ এপ্রিল ফের থানচির সোনালী ব্যাংক ও বাজারে আক্রমণ করলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এরপর থেকে কেএনএফ দমনে পাহাড়ে যৌথ অভিযান পরিচালনা করছে যৌথ বাহিনী।
সেনাবাহিনী অভিযান কুকি-চিন নিহত কেএনএফ
মন্তব্য করুন
যশোরে অব্যাহত তাপ প্রবাহে হিট স্ট্রোকে আহসান হাবীব নামে এক স্কুল শিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে। তিনি যশোর সদর উপজেলার আমদাবাদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।
রবিবার (২৮ এপ্রিল) সকালে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসলে জরুরী বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তার স্বজনের দাবি হিট স্ট্রোকে তার মৃত্যু হয়েছে।
আমদাবাদ হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষকের এ জেড এম পারভেজ মাসুদ জানান, শিক্ষক আহসান হাবীব সকালে মাঠে কাজ করে ৯ টার দিকে স্কুলে এসে অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে দ্রুত তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
যশোর জেনারেল হাসপাতালে তত্বাবধায়ক ডা. আব্দুর রশিদ জানান, 'সকালে জরুরী বিভাগে ওই রোগীকে আনা হয়। রোগীর স্বজনরা বলছে যে সে সকালে মাঠে কাজ করেছে, রোদে গিয়েছে, তাদের দাবি যে হিট স্ট্রোকে ওই স্কুল শিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে। তবে আমরা চুড়ান্ত রিপোর্ট পাইনি।’
জরুরী বিভাগের চিকিৎসকের ধারণা যে, সে হার্ট অ্যাটাকে মারা যেতে পারে। তাকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল।
তীব্র তাপদাহ হিট স্ট্রোক স্কুল শিক্ষক
মন্তব্য করুন
সিলেটের জকিগঞ্জে ইটভাটার মাটি বোঝাই ট্রাক্টরের সঙ্গে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় ৩ যুবক নিহত হয়েছেন। শনিবার (২৭ এপ্রিল) রাতে সিলেট-জকিগঞ্জ সড়কের বারঠাকুরী ইটভাটা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
এঘটনায় নিহতরা হলেন, উপজেলার বারঠাকুরী গ্রামের ছাদ উদ্দিনের ছেলে ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত সহকারী রেদওয়ান আহমদ (২৬), একই গ্রামের মৃত আব্দুস শুক্কুরের ছেলে দেলোয়ার হোসেন (২৫) এবং সোনাসার বাজারের ব্যবসায়ী মঞ্জুর আহমদ (৩৮) ।
জকিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ জাবেদ মাসুদ জানান, মোটরসাইকেলে বাড়ি ফেরার পথে রেদওয়ান, মঞ্জুর ও দেলোয়ার হোসেন বারঠাকুরী ইটভাটার কাছে পৌঁছালে সড়কে পার্ক করে রাখা মাটিবোঝাই অবৈধ ট্রাক্টরের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে ঘটনাস্থলেই রেদওয়ান আহমদ এবং দেলোয়ার হোসেন মারা যান। গুরুতর আহত অবস্থায় মঞ্জুর আহমদকে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালে নেয়ার পথে তিনিও মারা যান।
সড়ক দুর্ঘটনা ট্রাক্টর মোটরসাইকেল নিহত
মন্তব্য করুন
আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের
এক স্বতন্ত্র প্রার্থীকে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ দিয়েছে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি।
শনিবার (২৭ এপ্রিল) নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির সিনিয়র জেলা নির্বাচন
অফিসার ও রিটার্নিং অফিসার ঘোড়াঘাট উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচন মো. কামরুল ইসলাম
এ নোটিশ দেন।
ওই নোটিশে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সশরীরে লিখিত ব্যাখ্যা
প্রদানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
শোকজ নোটিশ পাওয়া ওই চেয়ারম্যান প্রার্থী হলেন, আনারস প্রতীকের
প্রার্থী কাজী শুভ রহমান চৌধুরী। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও সাবেক উপজেলা পরিষদ
চেয়ারম্যান। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন কাপ-পিরিচ প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী রবিউল
ইসলাম।
রবিউল ইসলাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য।
তিনি গত বৃহস্পতিবার বিকেলে কাজী শুভ রহমান চৌধুরীর বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের
অভিযোগ করেন। পরে ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও সহকারী রির্টানিং অফিসার মো. শাহীনুর
আলম অভিযোগের চিঠি জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে পাঠান।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়া সত্বেও আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী
কাজী শুভ রহমান চৌধুরী নির্বাচনী প্রচারণার দ্বিতীয় দিনে এক উঠান বৈঠকে নিজেকে এমপির
সমর্থিত (সংসদ সদস্য শিবলী সাদিক) মনোনীত প্রার্থী দাবি করে ভোট চান। যেটা আচারণবিধি
লঙ্ঘন করেছেন মর্মে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী রবিউল ইসলামের করা লিখিত ও হোয়াটসঅ্যাপের
ভিডিও চিত্র অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা
ও রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবর পাঠানো হয়।
ভিডিওতে দেখা যায়, চেয়ারম্যান প্রার্থী কাজী শুভ রহমান চৌধুরী
ভোটারদের উদ্দেশ্যে বলছেন, জাতীয় নির্বাচনের এক পথ সভায় এমপি ( সংসদ সদস্য শিবলী সাদিক)
তাকে তার মনোনীত প্রার্থী হিসাবে আমাকে সমর্থন করেছেন। আমি মনে করি, এই সম্মান এখন
শিবলী সাদিকের সম্মান। এই সম্মান রক্ষা করার দায়িত্ব কিন্তু আপনাদের।
অভিযোগ ব্যাপারে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান প্রার্থী কাজী শুভ রহমান
চৌধুরী বলেন, আমরা বংশ পরম্পরায় রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। আমাদের রাজনীতির ইতিহাস প্রায়
১০০ বছরের উপরে। আমি নিজেও রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। হয়তো কথা বলার ক্ষেত্রে আমি বলে থাকতে
পারি। ওইটা হয়ত ভুলবশত হতেই পারে। আগামী দিন আর এ রকম হবে না।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম বলেন,
অভিযোগের ভিত্তিতে শনিবার সকালে ওনাকে (কাজী শুভ রহমান চৌধুরী) শোকজ করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাচন এমপি নির্বাচন কমিশন
মন্তব্য করুন
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) দুই শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় গাড়ি ভাংচুরের প্রতিবাদে ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘট চলছে চট্টগ্রামে। বৃহত্তর চট্টগ্রাম গণপরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের ডাকা এই ধর্মঘট শুরু হয় রোববার (২৮ এপ্রিল) ভোর ৬টা থেকে। রাস্তায় বাসসহ বিভিন্ন গণপরিবহনের সংখ্যা স্বাভাবিকের চেয়ে কম। এছাড়া তিন পার্বত্য জেলা, কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপ-জেলাগামী রুটেও বাস চলাচল বন্ধ আছে।
এই পরিস্থিতিতে দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। মোড়ে মোড়ে বিভিন্ন
গন্তব্যমুখী মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে স্কুল-কলেজগামী
শিক্ষার্থীরা। অনেকেই ট্রাকে চড়ে গন্তব্য যাচ্ছেন।
তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নগরে গণ-পরিবহনের সংখ্যা বেড়েছে। কিন্তু
সকাল ১১টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম থেকে তিন পার্বত্য জেলা, কক্সবাজার ও উপজেলাগামী কোনও
বাস ছেড়ে যায়নি।
এদিকে ধর্মঘটের সমর্থনে জেলার বিভিন্ন জায়গায় শ্রমিকরা পিকেটিং
করছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
রাঙ্গুনিয়াগামী যাত্রী দিবাকর দাশ বলেন, ‘চুয়েটের সঙ্গে বাস মালিক-শ্রমিকদের
সমস্যা। চুয়েটের শিক্ষার্থীদের অবরোধে ৪ দিন গাড়ি চলেনি। এখন আবার শ্রমিকেরা ৪৮ ঘণ্টার
ধর্মঘট ডেকেছে। মোটকথা সবকিছুতে ভুক্তভোগী আমরা।’
বাহাদুর শাহ নামে এক কলেজ শিক্ষার্থী বলেন, ‘গণপরিবহন সংকটের কারণে
অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে।’
এর আগে, গতকাল শনিবার দুপুরে চট্টগ্রাম আন্তঃজেলা মালিক সমিতি কার্যালয়ে
গণপরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের জরুরি সভায় এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন সংগঠনের আহ্বায়ক
মঞ্জুরুল আলম চৌধুরী। এ সময় গণপরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
তবে এই ধর্মঘট প্রত্যাখ্যান করেছেন মালিক-শ্রমিকদের একাংশ।
বৃহত্তর চট্টগ্রাম গণপরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সদস্য সচিব
মোহাম্মদ মুছা বলেন, ‘সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, রোববার ভোর ৬টা থেকে মঙ্গলবার ভোর ৬টা
পর্যন্ত চট্টগ্রাম জেলা ও মহানগর, কক্সবাজার এবং তিন পার্বত্য জেলায় বাস, মিনিবাস,
হিউম্যান হলার, অটোরিকশা ও অটো-টেম্পু চলাচল বন্ধ থাকবে। দূরপাল্লার কোনও বাস এসব জেলা
ও মহানগর থেকে ছাড়বে না এবং ঢুকতেও পারবে না। মালিক-শ্রমিকদের স্বতঃস্ফূর্তভাবে ধর্মঘট
সফল করার আহ্বান জানানো হয়েছে।’
তিনি বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে চাঁদাবাজির অভিযোগ তুলে ওয়েবিল চেকার-লাইনম্যানসহ
পরিবহন শ্রমিকদের র্যাবের গণগ্রেপ্তারের প্রতিবাদে পূর্বাঞ্চলীয় সড়ক পরিবহন শ্রমিক
ফেডারেশনের পক্ষ থেকে ২৪ ঘণ্টার ধর্মঘট আহ্বান করা হয়েছিল। এর মধ্যে চুয়েটের পরিস্থিতি
নিয়ে শনিবার দুপুরে ঐক্য পরিষদ জরুরি সভায় বসে। সভা থেকে চার দফা দাবিতে ৪৮ ঘণ্টা পরিবহন
ধর্মঘট পালনের সিদ্ধান্ত হয়।
এসব দাবির মধ্যে আছে, চুয়েটে দুই শিক্ষার্থী নিহতের জেরে ৪-৫টি গাড়ি ভাঙচুর ও তিনটি বাস পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় মামলা গ্রহণ, ক্ষতিপূরণ দেওয়া, ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার এবং চুয়েটের তিন শিক্ষার্থীকে বহনকারী মোটরসাইকেলটি নিবন্ধিত ছিল কি না, চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স ছিল কি না, তিনজন একইসঙ্গে মোটরসাইকেলে ওঠার ক্ষেত্রে বিদ্যমান আইনের লঙ্ঘন হয়েছে কি না ও তারা মাদকাসক্ত ছিল কি না- এসব বিষয় তদন্তে কমিটি গঠন।
৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘট ভোগান্তিতে যাত্রীরা চট্টগ্রাম গণপরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদ
মন্তব্য করুন
বান্দরবানের রুমায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অভিযানে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) দুজন সশস্ত্র সন্ত্রাসী নিহত হয়েছেন। আইএসপিআর থেকে পাঠানো এক বার্তা থেকে জানা যায়, রোববার (২৮ এপ্রিল) রুমা উপজেলার দুর্গম বাকলাই পাড়া এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়। অভিযানের সময় ৩টি আগ্নেয়াস্ত্র, বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদ, ওয়াকিটকি ও অন্যান্য সরঞ্জামাদি উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনী।
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) দুই শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় গাড়ি ভাংচুরের প্রতিবাদে ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘট চলছে চট্টগ্রামে। বৃহত্তর চট্টগ্রাম গণপরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের ডাকা এই ধর্মঘট শুরু হয় রোববার (২৮ এপ্রিল) ভোর ৬টা থেকে। রাস্তায় বাসসহ বিভিন্ন গণপরিবহনের সংখ্যা স্বাভাবিকের চেয়ে কম। এছাড়া তিন পার্বত্য জেলা, কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপ-জেলাগামী রুটেও বাস চলাচল বন্ধ আছে।