ইনসাইড বাংলাদেশ

মোহাম্মদপুর ও আদাবরে সক্রিয় ১২ কিশোর গ্যাং

প্রকাশ: ০৯:৩৫ এএম, ১৮ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

কিশোর গ্যাং সদস্যদের সাম্রাজ্য হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে রাজধানীর মোহাম্মদপুর ও আদাবর। দুই এলাকার সাধারণ মানুষ অন্তত ১২টি কিশোর গ্যাংয়ের কাছে জিম্মি। তাদের উৎপাত এতটাই বেড়েছে যে সাধারণ মানুষ রাস্তায় একা চলতে ভয় পায়। সম্প্রতি এসব এলাকায় ছিনতাই ও হামলা আশঙ্কাজনক হারে  বেড়েছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, কিশোর গ্যাংয়ের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড বাড়লেও তাদের দমনে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর তৎপরতা উল্লেখযোগ্য নয়।

অপরাধ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শিগগিরই এসব কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটবে।

অনুসন্ধান বলছে, রাজধানীর মোহাম্মদপুর ও আদাবর এলাকায় সক্রিয় কিশোর গ্যাংয়ের মধ্যে আনোয়ার গ্রুপ, আর্মি আলমগীর ও  নবী গ্রুপ, ডাইল্লা গ্রুপ, এলেক্স গ্রুপ, লারা দে গ্রুপ, আকবর গ্রুপ, গাংচিল গ্রুপ, ল ঠেলা গ্রুপ, আশরাফ গ্রুপ, মিরাজ গ্রুপ, সুমন গ্রুপ ও ফর্মা সজীব গ্রুপ অন্যতম।

র্যাব-২-এর দেওয়া তথ্য মতে, রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় পাটালি গ্রুপটি সন্ত্রাসী সুজন মিয়া ওরফে ফর্মা সজীবের নেতৃত্বে দীর্ঘদিন ধরে পরিচালিত হয়ে আসছে। লেভেল হাই গ্রুপের প্রধান শরিফ ওরফে মোহন সম্প্রতি র্যাবের অভিযানে গ্রেপ্তার হয়ে জেলহাজতে আছেন। তাঁর এই গ্রুপ মোহাম্মদপুর, আদাবর, বেড়িবাঁধ ও ঢাকা উদ্যান এলাকায় চাঁদাবাজি, ছিনতাই, ডাকাতিসহ অন্যান্য সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করত।

এই গ্রুপের সন্ত্রাসীরা পথচারীদের একলা পেলে আকস্মিকভাবে ঘিরে ধরে চাপাতিসহ ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক অর্থ ও মূল্যবান সামগ্রী ছিনতাই করে দ্রুত পালিয়ে যেত।

পাটালি গ্রুপের সুজন মিয়ার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মাদকদ্রব্য, ছিনতাই ও মারামারি সংক্রান্ত অন্তত ১১টি মামলা রয়েছে।

অনুসন্ধানে জানা যায়, শরিফ ওরফে মোহন (২১) ‘লেভেল হাই গ্রুপ’-এর মূল হোতা ও সন্ত্রাসী হায়াত ওরফে টাকলা হায়াত তাঁর অন্যতম প্রধান সহযোগী। তিনি মোহাম্মদপুর এলাকায় মাদকের ব্যবসা করতেন। হায়াত ওরফে টাকলা হায়াতের অন্যতম সহযোগী হিসেবে মোহাম্মদপুর ও তার আশপাশের এলাকায় চাঁদাবাজি, ছিনতাই, ডাকাতি ও অপহরণসহ বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসী কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত। শরিফের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মাদক, ছিনতাই ও মারামারি সংক্রান্ত আটটির বেশি মামলা রয়েছে।

সাকিব ওরফে রিয়াম ‘চান গ্রুপের’ অন্যতম সহযোগী সদস্য। তিনি ২০১৮ সালে বরিশাল থেকে ঢাকায় এসে ঢাকা উদ্যান এলাকায় বসবাস শুরু করে। বিভিন্ন সময়ে গার্মেন্টসে চাকরি করেছেন। ২০২১ সালে একটি রিয়েল এস্টেটে চাকরির সময় ‘চান গ্রুপ’ নামে একটি কিশোর গ্যাংয়ের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। তাঁর বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মাদক, ছিনতাই ও মারামারির ঘটনায় তিনটির অধিক মামলা আছে।

ইমরান ‘মাউরা ইমরান গ্রুপের’ সদস্য। এলাকায় আধিপত্য বিস্তার, ডিশ ব্যবসা, চাঁদাবাজি, ছিনতাই, মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য ১৫ থেকে ২০ জনের একটি গ্রুপ তৈরি করেন। তাঁর বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মাদক, ছিনতাই ও মারামারি সংক্রান্ত চারটির বেশি মামলা রয়েছে।

আদাবর বালুর মাঠ এলাকায় মজিদ বয়াতির ছেলে আনোয়ার হোসেন ‘আনোয়ার গ্রুপ’ নামের একটি কিশোর গ্যাং পরিচালনা করেন। বালুর মাঠ এলাকায় রাত গভীর হলেই নিজ বাহিনী নিয়ে তিনি মহড়া দেন। বরগুনা জেলার আমতলীর আব্দুল মালেকের ছেলে জনি ওরফে ‘রক্তচোষা জনি’ ঢাকা উদ্যানের তুরাগ হাউসিং ১ নম্বর রোডের মিরাজের রিকশা গ্যারেজের পাশে গড়ে তুলেছেন কিশোর গ্যাং। জনি ও মোহাম্মদ ইউনুস আনোয়ার হোসেনের সহযোগী হিসেবে কাজ করেন।

মোহাম্মদপুরে ‘আর্মি আলমগীর ও নবী গ্রুপ’ নামের কিশোর গ্যাংয়ের নেতৃত্ব দেন ভোলার দৌলতখান থানার মোহাম্মদ রফিকুল ইসলামের ছেলে জহিরুল ইসলাম ওরফে জহির ওরফে কালা জহির। তাঁর সঙ্গে সহযোগী হিসেবে কাজ করেন রায়েরবাজার এলাকার ডাইল্যা হৃদয়, পিঞ্জিরা রাব্বি ও পান খাওয়া আবির। ডাইল্যা হৃদয় রায়েরবাজার এলাকার সাধারণ মানুষের কাছে এক ত্রাসের নাম।

অনুসন্ধান বলছে, রায়েরবাজার এলাকার আজিজ খান রোডের নাদির খানের বাড়ির ভাড়াটিয়া শরীয়তপুরের সুমনের ছেলে এলেক্স ইমন ‘এলেক্স গ্রুপ’-এর নেতৃত্ব দেন। তাঁর সহযোগী হিসেবে আছেন একই এলাকার নাহিদ ওরফে গলা কাটা নাহিদ, নাদিম মাহফুজ ও মোল্লা রাব্বি। তাঁরা রায়েরবাজার এলাকার চুরি, ছিনতাইসহ নানা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। তাঁদের বিরুদ্ধে রয়েছে ভূমি দখলের সঙ্গে জড়িত থাকাসহ নানাবিধ অপরাধের অভিযোগ। বেশ কিছু মামলার আসামি তাঁরা।

মোহাম্মদপুরের বাঁশবাড়ী এলাকার একরাম শেখের ছেলে মোহাম্মদ তামিমুর রহমান মিম নেতৃত্ব দেন ‘লারা দে’ গ্রুপ নামের কিশোর গ্যাংয়ের। তাঁর সহযোগী হিসেবে আছেন বাঁশবাড়ী এলাকার ইউসুফ সেলিমের ছেলে শুকুরুল ইসলাম, সাতমসজিদ রোড এলাকার নূর মোহাম্মদের ছেলে জিসান আহমেদ, রাজিয়া সুলতানা রোডের মোস্তাক আলীর ছেলে নেশার উদ্দিন আলিনুর ও রিয়েল এস্টেট এলাকার মোতালেব হোসেনের ছেলে স্থানীয় রাফি ওরফে ডিকে সানি।

সম্প্রতি রাজধানীর মোহাম্মদপুরের চাঁদ উদ্যান এলাকায় তোফাজ্জল হোসেন নামের এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে এই গ্রুপের সদস্যরা। এ ঘটনায় থানায় একটি অভিযোগ করেন তিনি।

মোহাম্মদপুরের শেরশাহ শুরি রোড এলাকার মজিবুর রহমানের ছেলে আসিফ আকবর গড়ে তুলেছেন ‘আকবর গ্রুপ’ নামের আরেকটি কিশোর গ্যাং। এই চক্রের সদস্য হিসেবে সক্রিয় চাঁদ উদ্যান এলাকার ৮ নম্বর রোডের নুরুল ইসলামের ছেলে মিজানুর রহমান, হারুন অর রশিদ গোমস্তার ছেলে সাইদুল ইসলাম, লাউতলা অলি আহমেদের ছেলে মনির হোসেন এবং কেরানীগঞ্জের তারানগর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা আনোয়ার হোসেনের ছেলে আমিন হোসেন ওরফে কালা ওরফে শাওন।

অনুসন্ধানে জানা যায়, মোহাম্মদপুর এলাকার গাংচিল গ্রুপের নেতৃত্ব দেন চন্দ্রিমা হাউজিংয়ের ৬ নম্বর রোডের মানিক ওরফে বোমা মানিক। তাঁর সঙ্গে সহযোগী হিসেবে নবীনগর হাউজিংয়ের ১১ নম্বর রোডের ফরহাদ, ঢাকা উদ্যান লোহার গেট এলাকার মইনুদ্দিন, চন্দ্রিমা হাউজিংয়ের রনি, ঢাকা উদ্যান বি ব্লকের ২ নম্বর রোডের শাফায়েত, নবোদয় হাউজিং এলাকার আহমদ মল্লিকের ছেলে মোহাম্মদ কোবির হোসেন ওরফে কোবির মল্লিক ওরফে ‘জলদস্যু কোবির’। এ ছাড়া এই গ্রুপের সঙ্গে রয়েছে কেরানীগঞ্জের আটিবাজার এলাকার মৃত সোহরাব হোসেনের ছেলে মহিদুল ইসলাম মাহি, লক্ষ্মীপুরের সিরাজ খন্দকারের ছেলে মোহাম্মদ রাসেল ওরফে বাদ রাসেল, মোহাম্মদপুরের স্বপ্নধারা হাউজিংয়ের রফিক ম্যানেজারের বাড়ির ভাড়াটিয়া ভোলার ইউসুফ আলীর ছেলে মোহাম্মদ রাকিব, চাঁদপুরের দুলাল দেওয়ানের ছেলে সালমান দেওয়ান ওরফে ছলে, মোহাম্মদপুরের গ্রিনভিউ হাউজিংয়ের আজাদ মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া ভোলা সদর থানার মৃত মোজাম্মেল হাওদারের ছেলে জুয়েল উদ্দিন ওরফে জসিম হাওলাদার।

মোহাম্মদপুরের ঢাকা উদ্যান এলাকার কিশোর গ্যাং ‘ল ঠেলা’ গ্রুপের নেতৃত্ব দেন মওলা ইমরান। তাঁর সঙ্গে সোহান মুন্না, পারভেজ ওরফে ভাগিনা পারভেজ। গ্রুপটি স্থানীয় ছিনতাই ও  নানা অপকর্মের সঙ্গে জড়িত। এ ছাড়া আশরাফ গ্রুপের নেতৃত্বে আছেন আশরাফ। সহযোগী হিসেবে মোহাম্মদপুর এলাকায় নানা অপকর্মের সঙ্গে জড়িত কাউয়া ফরাদ, নিঝুম, রাজীব, হৃদয় ও সোহেল। এই গ্রুপটি চাঁদ উদ্যান এলাকায় ভাসমান হিসেবে ছিনতাই ও কিশোর গ্যাংয়ের সঙ্গে জড়িত বলে অনুসন্ধানে উঠে এসেছে।

চন্দ্রিমা হাউজিং এলাকায় ভাসমান হিসেবে ছিনতাই ও কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য হিসেবে কাজ করেন মিরাজ, রেজাউল, আলামিন ওরফে লম্বা আল আমিন এবং রোহান নামের কয়েক যুবক। মোহাম্মদপুরের তিন রাস্তার মোড় এলাকায় ছিনতাই, চুরি ও স্থানীয় দোকানপাট থেকে চাঁদা আদায়সহ নানা অপকর্মের সঙ্গে জড়িত সুমন গ্রুপ। এই গ্রুপের নেতৃত্ব দেন সুমন ওরফে বাবু, ওরফে জাউরা বাবু বলে জানা গেছে।

এসব এলাকার স্থানীয় ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করে বলে, র্যাব কার্যালয়ের ৫০০ গজের ভেতরেই কিশোর গ্যাং চক্র সবচেয়ে বেশি বেপরোয়া। বসিলা থেকে মোহাম্মদপুর তিন রাস্তার মোড় পর্যন্ত রাস্তাটিতে সব সময় চলে ছিনতাইসহ নানা অপকর্ম। চাঁদ উদ্যান, লাউতলা, নবীনগর হাউজিং, বসিলা চল্লিশ ফিট, কাঁটাসুর ও ঢাকা উদ্যান এলাকাজুড়ে ধারালো দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রসহ প্রতিদিনই চলে কিশোর গ্যাংয়ের মহড়া। এই এলাকায় প্রতিদিনই দোকান, বাড়িঘর কিংবা কোনো না কোনো প্রতিষ্ঠানে প্রকাশ্যে অস্ত্র হাতে হামলা করছে কিশোর গ্যাং গ্রুপের সদস্যরা। পুরো এলাকায় ছিনতাই, চাঁদাবাজি ও অস্ত্রের মহড়া দিয়ে আতঙ্ক তৈরি করে ভূমি দখলের কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে এসব বিপথগামী কিশোর। আর এর সুবিধা নিচ্ছে প্রভাবশালী এলাকার কিছু অসৎ ব্যক্তি।

জানতে চাইলে র্যাব-২-এর অপারেশন অফিসার জ্যেষ্ঠ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শিহাব উদ্দিন কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘প্রতিনিয়ত কিশোর গ্যাং নিয়ে আমরা কাজ করছি। আমাদের গোয়েন্দা বিভাগ যখন যে তথ্য দিচ্ছে, সে আলোকে অপারেশন পরিচালিত হয়। তবে এসব অপরাধীকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার পর তারা আদালতের মাধ্যমে ছাড়া পেয়ে আবারও নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। প্রভাবশালী শ্রেণির কিছু ব্যক্তি এসব অপরাধীকে প্রত্যক্ষ সহযোগিতা করছে বলে আমাদের কাছে অভিযোগ আছে।’




মোহাম্মদপুর   আদাবর   কিশোর গ্যাং  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

লক্ষ্মীপুরে ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান হলেন নতুন তিন মুখ


Thumbnail

প্রায় ১৩ বছর পর লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচনে তিনটিতে চেয়ারম্যান পদে নতুন জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছেন। আর দক্ষিণ হামছাদী ও তেওয়ারীগঞ্জ এ দুইটি ইউনিয়নে এ পদে পুরাতনেই আস্থা রেখেছেন ভোটাররা। তবে পাঁচটি ইউনিয়নে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদেরকে পেয়ে উল্লাস প্রকাশ করছে পুরো নেট দুনিয়া। 

এর আগে রোববার (২৮ এপ্রিল) সকাল থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত সদর উপজেলার দক্ষিণ হামছাদী, দালাল বাজার, বাঙ্গাখাঁ, লাহারকান্দি ও তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নে ভোট গ্রহণ শেষে ফলাফল ঘোষণা করা হয়। 

এতে চেয়ারম্যান হিসেবে দক্ষিণ হামছাদী ইউনিয়নের আওয়ামীলীগ সভাপতি মীর শাহ আলম (ঘোড়া) প্রতীকে ছয় হাজার ২৪৪, দালাল বাজার ইউনিয়নে এডভোকেট নজরুল ইসলাম (চশমা) ছয় হাজার ৩৫৫ ভোট, বাঙ্গাখাঁ ইউনিয়নে জেলা কৃষকলীগের সদস্য সচিব মিজানুর রহমান ভূঁইয়া (চশমা) প্রতীকে  ছয় হাজার ৪০১ ভোট, লাহারকান্দি ইউনিয়নে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি আশরাফুল আলম (টেলিফোন) প্রতীকে পাঁচ হাজার ৫৮৩ ভোট ও তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নে জেলা কৃষক লীগের সাবেক সভাপতি ওমর ফারুক ইবনে হুছাইন ভুলু (আনারস) প্রতীকে সাত হাজার ৫৪২ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। 

এসব ইউনিয়নে সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত নারী সদস্য হিসেবে নতুন মুখ রয়েছেন অনেকেই, আবার অনেকে আস্থা রেখেছেন পুরোনোদের প্রতিই। তবে শান্তিপূর্ণ পরিবেমে ভোট দিতে পারায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন অধিকাংশ ভোটাররা। নতুন ও পুরোনোদের শুভেচ্ছা জানান ভোটাররা।

লক্ষ্মীপুর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

এবার ঝিনাইদহ উপনির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন হিরো আলম

প্রকাশ: ০৮:৪৬ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আলোচিত-সমালোচিত ইউটিউবার আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম এবার ঝিনাইদহ-১ আসনের উপনির্বাচনে প্রার্থী হতে যাচ্ছেন।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) নিজেই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া প্রসঙ্গে হিরো আলম বলেন, আমি সৎ এবং সাহসী। সবাই চায় আমি যেন সংসদ সদস্য হয়ে কথা বলি, সবার পাশে থাকি। তাই ঝিনাইদহ-১ আসনের উপনির্বাচনে অংশগ্রহণ করব। সেভাবে প্রস্তুতি চলছে আমার।

হিরো আলাম আরও বলেন, আমার এক বন্ধু কুমিল্লার একটি উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। আমি সেখানে প্রচারণা চালাতে যাচ্ছি। ঝিনাইদহ-১ আসনের লোকজনের সঙ্গে কথা বলেছি, তখন তারা বলেছেন সবাই আমাকে চেনেন। আমি তাদের কাছে প্রিয় এবং পরিচিত মুখ। তারাও চায় আমি এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করি। সেখানকার জনসাধারণ আরও বলেন- নির্বাচনে তারা সাহায্য-সহযোগিতা করবেন। আমার প্রতি তাদের ভালোবাসা দেখে সেখানে উপনির্বাচনে অংশ নিতে রাজি হয়েছি। আমিও আশ্বাস দিয়েছি তাদের পাশে সবসময় থাকব।

আগামী ৫ জুন অনুষ্ঠিত হবে ঝিনাইদহ-১ আসনের উপনির্বাচন। ব্যালট পেপারে হবে এ নির্বাচন। গত মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) নির্বাচন কমিশন এই আসনের উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে।

ঝিনাইদহ উপনির্বাচন   হিরো আলম  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রীর ছোট ভাই

প্রকাশ: ০৮:৩৮ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগের দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের ছোট ভাই নজরুল মজিদ মাহমুদ স্বপন। 

নজরুল মজিদ মাহমুদ স্বপন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক ও মনোহরদী উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী সদস্য। তিনি শিল্পমন্ত্রীর মেজভাই।

দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে নির্বাচনের মাঠে মন্ত্রীর ভাইয়ের থেকে যাওয়ার বিষয়টি সুষ্ঠু নির্বাচনের ক্ষেত্রে বড় বাধা হিসেবে দেখছেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা। 

নজরুল মজিদ মাহমুদ স্বপন ছাড়াও মনোহরদী উপজেলা পরিষদের এ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন আরও চারজন। তারা হলেন- উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. ফজলুল হক, সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াশীষ কুমার রায়, সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান রঙ্গু ও রাজধানী ঢাকায় আইন পেশায় যুক্ত মো. মাসুদুর রহমান।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মনোহরদী উপজেলায় টানা পাঁচবার উপজেলা চেয়ারম্যান ছিলেন সাইফুল ইসলাম খান। গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তার নাম বাদ দিয়ে শিল্পমন্ত্রীর ভাই নজরুল মজিদ মাহমুদের নাম একক প্রার্থী হিসেবে কেন্দ্রে পাঠিয়েছিল উপজেলা আওয়ামী লীগ। কিন্তু কেন্দ্র থেকে তাকে না দিয়ে সাইফুল ইসলাম খানকেই দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে উপজেলা চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করে শিল্পমন্ত্রীর সঙ্গে ভোটের মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন সাইফুল ইসলাম খান। সাত হাজার ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন তিনি। এবার আর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হননি তিনি।

চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা বলছেন, মন্ত্রী-এমপির স্বজনদের নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর দলীয় সিদ্ধান্ত হওয়ার পর আশায় বুক বেঁধেছিলেন অন্য প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা। কিন্তু শিল্পমন্ত্রীর ভাই নজরুল মজিদ মাহমুদ এখনো সরে না দাঁড়ানোয় স্থানীয় আওয়ামী লীগের সব নেতাকর্মীর মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। দলীয় সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন না করায় দ্বিধা-বিভক্ত হয়ে পড়ছেন সবাই। শিল্পমন্ত্রী নীরব থাকা সত্ত্বেও তার ভাই নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করছেন। মন্ত্রীর পরিবারেই যদি উপজেলা চেয়ারম্যানের পদও চলে যায়, তাহলে আর অন্যদের রাজনীতি করে লাভ কী? শেষ পর্যন্ত নজরুল মজিদ মাহমুদ যদি ভোটের মাঠে থেকেই যান, তবে জোর করেই ভোট নিয়ে নেবেন তিনি, এমন ভীতি কাজ করছে ভোটারদের মধ্যে।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. ফজলুল হক জানান, শিল্পমন্ত্রীর সঙ্গে পরামর্শ করেই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছি। শিল্পমন্ত্রীর ছোটভাই নজরুল মজিদ মাহমুদ দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে এখনো ভোটের মাঠে আছেন। আশা করছি, সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত মেনে তিনি দ্রুতই সরে দাঁড়াবেন।

এ বিষয়ে শিল্পমন্ত্রীর ভাই নজরুল মজিদ মাহমুদ স্বপন সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচন করব বলেই মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা দিয়েছি। মন্ত্রীর ভাই হিসেবে নয়, নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক হিসেবে রাজনীতি করে আসছি। আমি আমার অবস্থান থেকেই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দাঁড়িয়েছি। তাছাড়া নির্বাচন না করার ব্যাপারে দলীয় কোনো লিখিত নির্দেশনা পাইনি। সে কারণে আমার নির্বাচন করতে কোনো সমস্যা নেই বলে দাবি করেন তিনি।


উপজেলা নির্বাচন   আওয়ামী লীগ   শিল্পমন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

শাজাহান খানের বিরুদ্ধে আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ

প্রকাশ: ০৭:২৪ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও এমপি শাজাহান খানের বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি অভিযোগ তুলেছেন মাদারীপুর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী পাভেলুর রহমান শফিক। 

সোমবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে ডিসির ব্রিজ এলাকায় চেয়ারম্যান প্রার্থী পাভেলুর রহমান শফিক খান তার নিজ নির্বাচনি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন। 

উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী পাভেলুর রহমান শফিক খান মাদারীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।

সংবাদ সম্মেলনে শফিক খান অভিযোগ করেন, উপজেলা নির্বাচনে তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন স্থানীয় সংসদ সদস্যের ছেলে আসিবুর রহমান খান। শাজাহান খান তার ছেলেকে বিজয়ী করতে অবৈধভাবে প্রভাব বিস্তার করছেন। তিনি আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীসহ নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনের উপর খবরদারি করছেন। কালো টাকা বিলির মাধ্যমে ভোট কেনার চেষ্টা, নির্বাচনে দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ শফিক খানের নেতা-কর্মীদের উপর হামলা ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করছেন। 

শফিক খান বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনে ১৫টি অভিযোগ দিলেও সে বিষয়ে কোন প্রকার পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্যেকে এলাকা থেকে সরে যাওয়ার নির্দেশনাসহ ইলেকট্ররাল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগসহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের আবেদন জানান নির্বাচন কমিশনের কাছে।’

সংবাদ সম্মেলন অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মাদারীপুর জেলার শাখার সাধারণ সম্পাদক কাজল কৃষ্ণ দে, মাদারীপুর পৌরসভার মেয়র খালিদ হোসেন ইয়াদ।
 
তবে সংবাদ সম্মেলনের সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আসিবুর রহমান খান। তিনি বলেন, ‘আমার বাবা শাজাহান খান এলাকায় থাকলেও তিনি নির্বাচনি কাজে অংশগ্রহণ করছেন না।’ শাজাহান খান নিজেও তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমি কোনভাবেই নির্বাচনি কাজে অংশগ্রহণ করিনি। সব অভিযোগ ভিত্তিহীন।’

শাজাহান খান   উপজেলা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

জয়পুরহাটে হিট স্ট্রোকে প্রাণ গেল ভ্যানচালকের

প্রকাশ: ০৬:১৬ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে তীব্র দাবদাহে হিট স্ট্রোকে বাবলু খন্দকার (৪৫) নামে এক ভ্যানচালকের মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার (২৯ এপ্রিল) সকালে উপজেলার গোপীনাথপুর বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ভ্যান চালক জেলার ক্ষেতলাল উপজেলার বড়াইল সরকারপাড়া গ্রামের শুকুর মাহমুদ খন্দকারের ছেলে বলে জানা গেছে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, বিক্রির জন্য বাবলু খন্দকার ভ্যান যোগে কয়েক বস্তা আলু নিয়ে গোপীনাথপুর হাটে যান। সেখানে আলুর বস্তা নামিয়ে রেখে চা খেতে দোকানে বসেন তিনি। এসময় হঠাৎ করে বুকে ব্যাথা উঠলে ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করেন তিনি।

আক্কেলপুর থানার ভারপ্রাপ্তে কর্মকর্তা নয়ন হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।


হিটস্ট্রোক   ভ্যান চালক   মৃত্যু  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন