ফরিদপুরের সালথায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে স্থানীয় আওয়ামী
লীগের দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের মধ্যে অন্তত
২০ জন আহত হয়েছে। এ সময় বেশ কয়েকটি বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়েছে।
গতকাল রোববার (১৭ মার্চ) সন্ধ্যা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত উপজেলার
রামকান্তুপুর ইউনিয়নের মদনদিয়া এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে
গিয়ে ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, ‘এলাকার আধিপত্য বিস্তার নিয়ে
রামকান্তপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও উপজেলা কৃষক লীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক
মো. ইশারত হোসেনের সঙ্গে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি ইমারত হোসেনের বিরোধ
চলে আসছিল’।
ইশারত ও ইমারত মামাতো-ফুফাতো ভাই। তারা দুজন গত ইউপি নির্বাচনে
চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। নির্বাচনে ইশারত চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এর
পর থেকে তাদের বিরোধ আরও তীব্র হয়। এই বিরোধের জেরে ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে
১৫ মার্চ ইমারতের সমর্থক ফজলু মাতুব্বরের সঙ্গে ইশারতের সমর্থক ওমর মোল্লার কথা-কাটাকাটি
ও মারামারির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনা নিয়ে কয়েক দিন ধরে ওই এলাকায় উত্তেজনা চলছিল।
গতকাল সন্ধ্যায় ইফতারের পর উভয় পক্ষের কয়েক-শ সমর্থক দেশীয় অস্ত্র
ঢাল, টেঁটা ও ইট নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। সন্ধ্যা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত উভয় পক্ষের
মধ্যে দফায় দফায় চলে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া।
এ সময় পুরো এলাকায় সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন
আহত হন। আহত ব্যক্তিদের ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন
হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
অন্যদিকে সংঘর্ষের সময় হামলা চালিয়ে ইশারত, মিরাজ, ফজলু, বাশার
মাস্টার, ওমর মোল্লা ও ইসমাইলের বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়েছে। অগ্নিসংযোগ করা হয় পাটকাঠির
গাদায়।
গতকাল রোববার (১৭ মার্চ) রাত ১১টার দিকে সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল
নগরকান্দা) মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শটগানের ১১টি গুলি
ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে ৬টি টেঁটা, ১০টি কাতরা, ১১টি বাঁশের
লাঠি, ৫টি ঢাল ও ১টি রামদা উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় ১১ জনকে আটক করা হয়েছে। ইউপির
চেয়ারম্যান ইশারত হোসেনসহ সংঘর্ষে জড়িত অন্যদের আটকে অভিযান চলছে’।
সোমবার (১৮ মার্চ) সকালে সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ফায়েজুর রহমান বলেন, পরিস্থিতি এখন পুলিশের নিয়ন্ত্রণে আছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনায় একটি পক্ষ মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
মন্তব্য করুন
গোপালগঞ্জ
জেলার মুকসুদপুর উপজেলার দুরারোগ্য ব্যাধির চিকিৎসা সেবার জন্য সমাজসেবা অধিপ্তরের
মাধ্যমে ৩১ জন রোগীকে
১৬ লাখ পঞ্চাশ হাজার
বিতরণ করা হয়েছে।
রবিবার
(২৮ এপ্রিল) সকালে মুকসুদপুর উপজেলা পরিষদ সভা কক্ষে অনুষ্ঠিত চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে
সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী
অফিসার মোঃ আজিজুর রহমান।
উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার
মোশারেফ হোসেনের সঞ্চালনায় ওই সভায় উপজেলা
কৃষি অফিসার বাহাউদ্দীন শেখ, মৎস অফিসার
খায়রুল ইসলাম পাভেল, দরিদ্র বিমোচন অফিসার জাকিয়া সুলতানা ও তথ্য আপা
শতাব্দী বিশ্বাস প্রমুখ বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা
সমাজ সেবা অফিসার মোশারেফ
হোসেন জানান, মুকসুদপুর উপজেলার ক্যান্সার, কিডনি, লিভার সিরোসিস, জন্মগত হৃদরোগ, স্ট্রকে প্যারালাইজড ও থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত ৩১ জন
রোগীর মাঝে এক কালীন জন
প্রতি ৫০ হাজার টাকা করে সর্বমোট
১৬ লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকার অনুদানের চেক বিতরণ করা
হয়।
মন্তব্য করুন
গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী থেকে ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত র্যাবের নকল ড্রেস, ওকিটকি ও নকল পিস্তলসহ নানা মালামাল উদ্ধার করেছে পুলিশ।
রবিবার (২৮ এপ্রিল) সকালে মুন্সিগঞ্জ থানার গজারিয়া পুলিশের একটি দল কাশিয়ানী পুলিশের সহায়তায় কাশিয়ানী উপজেলার চরচাপতা গ্রামে অভিযান চালিয়ে ডাকাতদের ভাড়া করা ওই গ্রামের হাবিবুর মোল্রার বাড়ির নিচ তালার একটি ঘর থেকে এসব মালামাল উদ্ধার করে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কেএম রিয়াজুল ইসলাম জানান, ‘গত ২৩ এপ্রিল দুবাই ফেরত কুমিল্লা জেলার তিতাস থানার মজিদপুর গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে নুরুজ্জামান বাড়ি ফেরার পথে বিকেল ৪টার ঢাকা-চট্রগ্রামের মহাসড়কে এশিয়া ট্রন্সপোর্টের একটি বাসের গতি রোধ করে তাকে র্যাব পরিচয়ে তাদের মাইক্রোবাসে উঠিয়ে নিয়ে যায়।
ভূয়া ক্যাপ্টেন পরিচয়দানকারী জালালউদ্দিন ওরফে রবিউল-এর নেতৃত্বে অস্ত্রের মুখে তার (নুরুজ্জামান) কাছে থাকা নগদ ১৭ লাখ টাকা ও ২৮ লাখ টাকার স্বর্নালংকার মোট ৪৫ লাখ টাকার মালামাল নিয়ে যায় এবং পরে নারায়নগঞ্জ জেলার বন্দর থানার একটি ইটের ভাটার পাশে ফেলে রেখে চলে যায়।
এ ব্যাপারে গজারিয়া থানায় মামলা হলে পুলিশ তদন্তে নামে এবং মাইক্রোবাসের ড্রাইভার নজরুলকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী রবিবার সকালে পুলিশ এসব মালামাল উদ্ধার করে।
ভুয়া ক্যাপ্টেন পরিচয়দানকারী জালালউদ্দিন ওরফে রবিউলের বাড়ি গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার কুসুমদিয়া গ্রামে। তার বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন স্থানে একাধিক ডাকাতি মামলা রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
মন্তব্য করুন
দেশের আটটি জেলার ১৯টি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ
চলছে। রবিবার (২৮ এপ্রিল) সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ। একটানা চলবে বিকেল ৪টা
পর্যন্ত।
যেসব ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ চলছে সেগুলো হলো…
১। লক্ষ্মীপুর
সদর উপজেলা: ১. দক্ষিণ
হামছাদী, ২. দালাল বাজার, ৩. বাঙ্গাখা, ৪. লাহারকান্দি, ও ৫. তেওয়ারীগঞ্জ।
২। দিনাজপুর
বিরল উপজেলা: ৬. আজিমপুর, ৭. ফরক্কাবাদ, ৮. বিরল।
৩। রাজশাহী
পুঠিয়া উপজেলা: ৯. পুঠিয়া।
৪। পটুয়াখালী
সদর উপজেলা: ১০. কমলাপুর, ১১. ভুরিয়া।
৫। বরগুনা
আমতলী উপজেলা: ১২. আমতলী।
৬। সাতক্ষীরা
সদর উপজেলা: ১৩. আলিপুর।
৭। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার
কসবা উপজেলা: ১৪. কুটি
৮। কক্সবাজার
ঈদগাঁও উপজেলা: ১৫. ইসলামপুর, ১৬. ইসলামাবাদ, ১৭. জালালাবাদ, ১৮. ঈদগাঁও, ১৯. পোকখালী ইউনিয়ন
পরিষদ।
নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য নির্বাচন কমিশন একটি মনিটরিং সেল গঠন
করেছে। এই সেল নির্বাচন ভবন থেকে ভোটগ্রহণ পর্যবেক্ষণ করছে। বিভিন্ন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী
বাহিনী ও মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের নিয়ে সেলটি গঠিত হয়েছে।
২০২২ সালে সাত ধাপে সাড়ে চার হাজার ইউপির ভোটগ্রহণ সম্পন্ন করে
নির্বাচন কমিশন। মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়া সাপেক্ষে বাকি ইউপির ভোট হচ্ছে সময়ে সময়ে।
মন্তব্য করুন
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আলিপুর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন চলাকালীন আচরণবিধি ভঙ্গ করে মোটরসাইকেল শোডাউন করেছে ছাত্রলীগ। এসময় বিভিন্ন
দলীয় স্লোগান দেন ছাত্রলীগ নেতারা।
রবিবার (২৮
এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আশিকুর রহমান আশিক অর্ধ শতাধিক নেতাকর্মী নিয়ে ভোটকেন্দ্রের সামনে এ শোডাউন দেন। তবে নির্বাচন কমিশনের স্থানীয় সরকার নির্বাচন আচরণ বিধিমালা অনুযায়ী, ভোটকেন্দ্রের আশপাশে কোনো প্রকার মিছিল কিংবা শোডাউন করা যাবে না।
এবিষয়ে সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপার মতিউর রহমান সিদ্দিকী বলেন, ভোটকেন্দ্রের ভেতরে বা বাইরে কোনো অবস্থাতেই কোন রকম মোটরসাইকেল শোডাউন দেওয়ার সুযোগ নেই। এ ঘটনায় এখনই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, রবিবার সকাল ৮টা থেকে উৎসবমুখর পরিবেশে সাতক্ষীরার সদর উপজেলার আলিপুর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। ইউনিয়নের ১০টি কেন্দ্রে ৭২টি কক্ষে ২৫
হাজার ১১৯ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
নির্বাচনে সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির সদ্য বহিস্কৃত যুগ্ম-আহ্বায়ক আব্দুর রউফ, আলিপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল ইসলাম জিয়াসহ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে তিন জন, সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ৯ জন ও সাধারণ সদস্য পদে ৩৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
ছাত্রলীগ নির্বাচনী আচরণবিধি মোটরসাইকেল শোডাউন
মন্তব্য করুন
বান্দরবানের রুমায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অভিযানে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) দুজন সশস্ত্র সন্ত্রাসী নিহত হয়েছেন।
আইএসপিআর থেকে পাঠানো এক বার্তা থেকে জানা যায়, রোববার (২৮ এপ্রিল) রুমা উপজেলার দুর্গম বাকলাই পাড়া এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়।
অভিযানের সময় ৩টি আগ্নেয়াস্ত্র, বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদ, ওয়াকিটকি ও অন্যান্য সরঞ্জামাদি উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনী।
এর আগে পরপর কয়েকটি অভিযানে কুকি চিনের একজন সশস্ত্র সন্ত্রাসী নিহত এবং কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের সঙ্গে যুক্ত আরও ৪৯ জনকে আটক করা হয়। তাদের মধ্যে ১৮ জন নারী।
এ ছাড়া অভিযানে আটকদের কাছ থেকে ৭টি দেশি বন্দুক, ২০ রাউন্ড গুলি, কেএনএফের পোশাক, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে ব্যবহৃত ল্যাপটপ, দুই জোড়া বুট, একটি ছুরি ও বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
প্রসঙ্গত, গত ২ এপ্রিল রাতে রুমার সোনালী ব্যাংকে শতাধিক কেএনএফ সদস্য অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হামলা করে অস্ত্রের মুখে পুলিশ, আনসার সদস্যদের জিম্মি করে ১৪টি অস্ত্র লুট ও সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার নেজাম উদ্দিনকে অপহরণ করে। এ ঘটনার ১৭ ঘণ্টার মধ্যে ৩ এপ্রিল থানচিতে গুলিবর্ষণ এবং কৃষি ও সোনালী ব্যাংক থেকে ১৫ লাখ টাকা লুট ও ৪ এপ্রিল ফের থানচির সোনালী ব্যাংক ও বাজারে আক্রমণ করলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এরপর থেকে কেএনএফ দমনে পাহাড়ে যৌথ অভিযান পরিচালনা করছে যৌথ বাহিনী।
সেনাবাহিনী অভিযান কুকি-চিন নিহত কেএনএফ
মন্তব্য করুন
বান্দরবানের রুমায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অভিযানে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) দুজন সশস্ত্র সন্ত্রাসী নিহত হয়েছেন। আইএসপিআর থেকে পাঠানো এক বার্তা থেকে জানা যায়, রোববার (২৮ এপ্রিল) রুমা উপজেলার দুর্গম বাকলাই পাড়া এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়। অভিযানের সময় ৩টি আগ্নেয়াস্ত্র, বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদ, ওয়াকিটকি ও অন্যান্য সরঞ্জামাদি উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনী।