ইনসাইড বাংলাদেশ

উন্নত জীবন ও জীবিকার জন্য নিরাপদ পানি অপরিহার্য

প্রকাশ: ০৪:০৭ পিএম, ২২ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

উন্নত জীবন ও জীবিকার জন্য নিরাপদ পানি অপরিহার্য কিন্ত আমরা সুপেয় পানির দেশ হলেও পানির অধিকার থেকে আমরা প্রতিনিয়ত বঞ্চিত হচ্ছি।

শ্রক্রবার (২২ মার্চ) বিশ্ব পানি দিবসের গোলটেবিল বৈঠকের আলোচনায় বক্তারা এ অভিমত ব্যক্ত করেন। জাতিসংঘের বিশ্ব পানি দিবস উপলক্ষ্যে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন আন্দোলন ও মানবাধিকার উন্নয়ন কেন্দের যৌথ উদ্যোগে সকাল সাড়ে দশটায় এক গোলটেবিল বৈঠক পরিজার সভাপতি প্রকৌশলী মো: আবদুস সোবহানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস আহমেদ উজ্জলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয়। 

গোলটেবিলে আলোচক হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন বিশিষ্ট জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও ডাকসুর সাবেক জিএস ডাঃ মোস্তাক হোসেন, লালমাটিয়া হাউজিং সোসাইটি স্কুল এন্ড কলেকের অধ্যক্ষ আকমল হোসেন, পরিজার সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস আহমেদ উজ্জল, মানবাধিকার উন্নয়ন কেন্দ্রের সদস্য সচিব মাহবুল হক, পরিজার সহসভাপতি ক্যামেলিয়া চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমির হাসান মাসুদ, সুপ্রীম কোর্টের এ্যাডভোকেট তানইয়া নাহার, মো: সেলিম, হোসনে আরা বেগম রাফেজা, মো: ইব্রাহিম, সীমান্ত সিরাজ প্রমূখ।

পরিজা সভাপতি প্রকৌশলী মো: আবদুস সোবহান বলেন, ১৯৯৩ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী দিবসটি পালিত হচ্ছে। পানি সম্পর্কিত বিভিন্ন সমস্যা যেমন পানির ঘাটতি, দূষণ, নিরাপদ পানির অধিকার, স্যানিটেশন সমস্যা এবং সংরক্ষণ প্রচেষ্টার গুরুত্ব তুলে ধরতে বিশ্বব্যাপী মানুষ এই দিনটি পালন করে। বিশ্ব পানি দিবস জাতিসংঘের একটি আন্তর্জাতিক প্রচারাভিযান। যার লক্ষ্য পরিবেশের জন্য বিশুদ্ধ পানির গুরুত্বের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা। পানি আমাদের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদগুলির মধ্যে একটি এবং আমাদের খাদ্য উৎপাদনসহ পৃথিবীতে জীবনের জন্য একেবারেই অপরিহার্য। নদী, হ্রদ বা সমুদ্র যাই হোক না কেন, এটি বাস্তুতন্ত্র, কৃষি, শিল্প এবং মানুষের কল্যাণের জন্য অপরিহার্য। এবছরের প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘শান্তির জন্য পানি’। জলবায়ু পরিবর্তনের পাশাপাশি পরিবেশগত বিপর্যয়ের ফলে বিশ্বজুড়ে পানি সংকট তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে। এ প্রেক্ষাপটে এবছরের প্রতিপাদ্য অত্যন্ত সময়োপযোগী। জাতিসংঘ মহাসচিবের বিশ্ব পানি দিবসের বার্তায় শান্তির জন্য পানি ব্যবহার এবং আন্তঃসীমান্ত পানি সহযোগিতার জরুরি প্রয়োজনের উপর জোর দেওয়া হয়েছে। 

জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে বর্তমানে ২.২ বিলিয়ন মানুষ বিশুদ্ধ পানীয় জল থেকে বঞ্চিত এবং এদের সংখ্যা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। ২০৫০ সাল নাগাদ বিশ্ব জনসংখ্যা ২ বিলিয়ন বৃদ্ধি পাবে এবং বিশ্বব্যাপী পানির চাহিদা ৩০শতাংশ বেড়ে যাবে। বর্তমানে বিশ্বে কৃষি খাতে ৭০শতাংশ যার বেশির ভাগই সেচ কাজে, শিল্প খাতে ২০শতাংশ বিশেষ করে জ্বালানী ও উৎপাদনে, গৃহস্থালি কাজে ১০শতাংশ যার এক শতাংশেরও কম সুপেয় পানি হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, পানি পাওয়া মানুষের অধিকার। পানি শান্তি সৃষ্টি করতে পারে আবার সংঘাতও সৃষ্টি করতে পারে। যখন পানির অভাব হয় বা দূষিত হয়, অথবা যখন মানুষের প্রবেশাধিকার থাকে না, তখন সম্প্রদায় এবং দেশগুলির মধ্যে উত্তেজনা বাড়তে পারে। আমাদের সবচেয়ে মূল্যমান সম্পদ সংরক্ষণের জন্য একসাথে কাজ করার জরুরী প্রয়োজন রয়েছে। পানির বিষয়ে সহযোগিতা সকল শেয়ার্ড চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সহযোগিতার পথ প্রশস্ত করে। সকলের জন্য আরও শান্তিপূর্ণ ও সমৃদ্ধ বিশ্ব গড়তে আমাদের অবশ্যই পানিকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে হবে।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডাঃ মোস্তাক হোসেন বলেন, পানি আমাদের জন্য একটি প্রধান প্রয়োজনীয় উপাদান এবং তা সকল প্রাণ ও প্রকৃতির জন্যও। কিন্তু নিরাপদ পানি অভাবে হাজারো সমস্যা ও সংকট সৃষ্টি হয়ে থাকে। মানব শরীরের কিডনী, লিভার, হার্টসহ নানান অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিকল হয়ে যেতে পারে। নিরাপদ পানির অভাবে ঢাকা শহরের অধিকাংশ মানুষ পেটের সমস্যা সহ নানান সমস্যায় ভুগে থাকেন। 

তিনি আরও বলেন, আমাদের জীবনের জন্য পানির যে সংকট তা কেবল দেশের মধ্যে সীমাবন্ধ নয় এই সমস্যা একটি বৈশি^ক সমস্যাও।  

অধ্যক্ষ আকমল হোসেন বলেন, আমাদের দেশের জলাশয়গুলো ধ্বংস করা হয়েছে যুগ যুগ ধরে। আমাদের জীব বৈচিত্র্যও ধ্বংস হয়েছে পানির নিরাপদ আধারগুলো না থাকার কারণে। আমাদের গ্রাম ও শহর তার কৃষি ও প্রতিবেশ বিনষ্ট হয়েছে পানি সংকটের কারণে। নদীগুলো যে পানি প্রবাহ নেই তার কারণ আন্ত:দেশীয় পানির হিস্যা না পাওয়ার কারণে।

পরিজার সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস আহমেদ উজ্জল বলেন, ঢাকা শহরের লক্ষ লক্ষ প্রান্তিক মানুষ পানির ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত। সকালবেলায় বস্তির মানুষেরা এক কলসি পানির জন্য এই শহরে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করে যা তাদের জীবন জীবিকাকে চ্যালেঞ্জের মধ্যে ফেলছে। সরকারকে এই প্রান্তিক মানুষের কথা ভেবে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।

মানবাধিকার উন্নয়ন কেন্দ্রের সদস্য সচিব মাহবুল হক বলেন, পানি জনগণের অধিকার এবং মানবাধিকার। এই অধিকারকে বাস্তবায়ন করার জন্য সকলকে একযুগে কাজ করতে হবে। একটি রোডম্যাপ করে দেশব্যাপী পানির অধিকারের জন্য আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।

বস্তিবাসী নেত্রী হোসনে আরা বেগম রাফেজা বলেন, আমরা বস্তিবাসীরা পানি পাইনা আর পানির অপচয় দেখি সর্বত্র। বস্তির মানুষ সবচেয়ে বেশি পানির টাকা প্রদান করে কিন্তু তাদের সবচেয়ে করুণ জীবন যাপন করতে হয় পানির অভাবে।

বুড়িগঙ্গা নদীর দূষণ পর্যবেক্ষণ এবং পানি গুণাগুণ পরীক্ষাকরণ ও পানি পরীক্ষার ফলাফল

গোলটেবিলে বিশ্ব পানি দিবস উপলক্ষ্যে ১৭ ও ২০ মার্চ ২০২৪ তারিখে বুড়িগঙ্গা নদীর দূষণ পর্যবেক্ষণ এবং ২০ মার্চ ২০২৪ তারিখে বুড়িগঙ্গা নদীর পানির গুণাগুণ পরীক্ষা করে তার প্রতিবেদন তুলে ধরে পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন আন্দোলন (পরিজা)। সেখানে দেখা যায় সদরঘাট টার্মিনাল (১৩নং পন্টুন) থেকে শ্যামপুর বিআইডব্লিউটিএ টার্মিনাল পর্যন্ত দ্রবীভূত অক্সিজেন (ডি ও) ০.১৪ - ০.৭২ মিলিগ্রাম/লিটার এবং পিএইচ ৬.৭৯ - ৭.২৭। এ অবস্থায় নদীতে কোনো জলজ প্রাণী বেঁচে থাকার সুযোগ নেই। জলজ প্রাণী বেঁচে থাকার জন্য দ্রবীভূত অক্সিজেন (ডি ও) ৪ মিলিগ্রাম/লিটার থাকা প্রয়োজন। নদীর পরিবেশ জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি স্বরূপ। অপরিশোধিত শিল্পকারখানায় বর্জ্য ও পয়:বর্জ্য, নৌযানের বর্জ্য, কঠিন বর্জ্য নদীতে ফেলার কারণে দ্রবিভূত অক্সিজেন (ডি ও) ০.১৪ - ০.৭২ মিলিগ্রাম/লিটার।

গোলটেবিল থেকে নিম্নোক্ত সুপারিশগুলো তুলে ধরা হয়:

 ১.ড্রেজিং করে নদীর নাব্যতা বৃদ্ধি করা এবং অভিন্ন নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা প্রাপ্তির লক্ষ্যে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
২. অপরিশোধিত শিল্পকারখানায় বর্জ্য ও পয়:বর্জ্য, নৌযানের বর্জ্য, কঠিন বর্জ্য নদীতে ফেলা বন্ধ করা।
৩. ঢাকার আশেপাশের নদীসহ অন্যান্য সকল নদী, খাল-বিল, হাওর-বাওর, লেক, দিঘী-পুকুর, নিম্নাঞ্চল, জলাভূমি দখল, ভরাট ও দূষণ বন্ধে বিদ্যমান আইন অনুযায়ী কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
৪. নদী দূষণমুক্ত করা। নদীর পানি কৃষি ও শিল্পে এবং পরিশোধন করে খাবার পানি হিসাবে ব্যবহার করা।
৫. খরা মৌসুমে সেচ ও রাসায়নিক সার নির্ভর ধান চাষের পরিবর্তে প্রকৃতি নির্ভর ধান চাষ করা। প্র্রকৃতি নির্ভর ধান চাষে গবেষণা জোরদার করা এবং গবেষণালব্ধ ফলাফল মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়ন করা।
৬. নদীর প্রবাহ ও নাব্যতা যথাযথ রাখার লক্ষ্যে নদীতে পিলারসমৃদ্ধ ব্রীজের পরিবর্তে ঝুলন্ত ব্রীজ বা টানেল নির্মাণ করা।
৭. নিরাপদ পানি নিশ্চিতে সংশ্লিষ্ট আইনসমূহ কঠোরভাবে প্রয়োগ করা।
৮. শিল্পকারখানায় ব্যবহৃত পানি পুনর্ব্যবহার করা।
৯. ভূগর্ভে কৃত্রিম রিচার্জ করা। বিশেষ করে উপকূলীয় এলাকায়।
১০. ভবিষ্যত প্রজন্মের প্রাপ্য ন্যায্য স¤পদ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আমাদের আরো অধিকতর টেকসই জীবনযাত্রার প্রতি গুরুত্ব আরোপ করা।

 

বিশ্ব পানি দিবস  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অভিযান চালিয়ে অস্ত্র উদ্ধার, আটক ৫ রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী


Thumbnail উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অভিযান চালিয়ে আটককৃত অস্ত্র, গোলাবারুদ ও নগদ অর্থ

উখিয়ার রাজাপালং বালুর মাঠ সংলগ্ন রোহিঙ্গার বসতঘরে অভিযান চালিয়ে ০৫ জন রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীকে ০৫টি পিস্তল, ০২টি ওয়ান শুটারগান, ১৬ রাউন্ড বিভিন্ন ধরণের গুলি, ০২টি শর্ট গানের কার্তুজ ও নগদ ৫০ হাজার টাকাসহ গ্রেফতার করেছে ১৪ এপিবিএন। 

 

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ১৪ এপিবিএনের অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মোঃ ইকবাল। 

 

রবিবার (২৮ এপ্রিল) রাত ১ টা ৩০ মিনিটের সময় গোপন সংবাদের ভিক্তিতে ১৪ এপিবিএনের সহ অধিনায়ক পুলিশ সুপার অহিদুর রহমানের তত্বাবধানে ইরানী পাহাড় পুলিশ ক্যাম্প কমান্ডার সহকারী পুলিশ সুপার অংশু কুমার দেব এর নেতৃত্বে অভিযান চালানো হয় রোহিঙ্গা ক্যাম্প ২/ওয়েস্ট, ব্লক ডি/৯ এর জোবায়ের বসতঘরে। সেখান থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ৫ টি বিদেশি পিস্তল, ২ টি ওয়ান শুটারগান, ৩ রাউন্ড বড় ফাইভস্টারের গুলি, ৯ রাউন্ড মাঝারি ফাইভস্টারের গুলি,৪ রাউন্ড রাইফেলের গুলি, ২ রাউন্ড শর্টগানের কার্তুজ ও নগদ ৫০ হাজার টাকা।

 

এ সময় গ্রেফতার করা হয় বাড়ির মালিক মৃত কবির আহমদের ছেলে রোহিঙ্গা যুবক মোঃ জোবায়ের (২২), ব্লক ডি / ৯ এর আবদুল জলিলের ছেলে দিল মোহাম্মদ (২৩), একই ক্যাম্পের ব্লক সি/২ এর আব্দুস ছালামের ছেলে মোঃ খলিল (৩৪), ব্লক সি/ ২ এর মতিউর রহমানের ছেলে মোঃ ইদ্রিস (৩২) এরা ক্যাম্প ২ এর বাসিন্দা। অপর ব্যক্তি হচ্ছে ক্যাম্প ১৩ ব্লক ব্লক- এ/৬ এর বাসিন্দা মৃত সব্বির আহমদের ছেলে মোহাম্মদুল্লাহ (২৫) । 

 

তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানিয়েছেন পুলিশ।


রোহিঙ্গা ক্যাম্প   অস্ত্র উদ্ধার   গোলাবারুদ   রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

তাপপ্রবাহ: আজ ৫ জেলায় বন্ধ থাকবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

প্রকাশ: ০৮:৩১ এএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

দেশে চলমান তাপপ্রবাহের কারণে আজ সোমবার (২৯ এপ্রিল) ঢাকা, চুয়াডাঙ্গা, যশোর, খুলনা ও রাজশাহী জেলার সব মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।

এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও আবহাওয়া অধিদপ্তরের সঙ্গে পরামর্শক্রমে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্ত্রণালয়। তবে যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা আছে সেসব প্রতিষ্ঠান চাইলে খোলা রাখতে পারবে। এ বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানানো হবে।

প্রভাতী শাখায় ক্লাস হওয়ায় প্রাথমিক স্কুল খোলা থাকবে বলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে।


তাপপ্রবাহ   শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

আজ থাইল্যান্ড থেকে দেশে ফিরবেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৮:২৪ এএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

থাইল্যান্ডে ৬ দিনের সরকারি সফর শেষে আজ সোমবার (২৯ এপ্রিল) ব্যাংকক থেকে দেশে ফিরবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং সূত্র জানিয়েছে, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোমবার সকালে (স্থানীয় সময়) ব্যাংকক ত্যাগের কথা রয়েছে। সকাল সাড়ে ১১টায় তিনি ঢাকায় পৌঁছাবেন।’

প্রেস উইং থেকে আরও বলা হয়েছে, শেখ হাসিনা থাই প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদারে দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক উভয় সফরে ২৪ এপ্রিল বিকেলে ব্যাংককে আসেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমনে ডন মুয়াং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে লালগালিচা উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়। সেখানে তাকে গার্ড অব অনার ও গান স্যালুট জানানো হয়।

শেখ হাসিনা এই সফরকে ‘প্রতিবেশী’ নীতির ওপর বৃহত্তর ফোকাসের অংশ বলে বর্ণনা করেছেন, কারণ এটি দুদেশের জন্য দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের গতিকে আরও নবায়নের চমৎকার সুযোগ দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, এ সফর দুদেশের সম্পর্ককে আরও গভীর করার ক্ষেত্রে অনেক দূর এগিয়ে যাবে।

থাই প্রধানমন্ত্রী আয়োজিত মধ্যাহ্নভোজ বৈঠকে শেখ হাসিনা বলেন, তিনি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন যে, এ সফর দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের পূর্ণ সম্ভাবনার বিকাশে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় প্রেরণা জোগাবে।

তিনি আরও বলেন, ‘সরকারি এ সফর আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে। এটি আমাদের দুদেশের মধ্যে ফলপ্রসূ অংশীদারত্বের একটি নতুন যুগের সূচনা করেছে। আমাদের জনগণ ও দেশের পারস্পরিক সুবিধার জন্য আগামীতেও সম্পর্কের নবায়নের এ গতিকে আমাদের ধরে রাখতে হবে।’

সফর চলাকালীন (২৬ এপ্রিল) বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী থাই প্রধানমন্ত্রী থাভিসিনের সঙ্গে গভর্নমেন্ট হাউসে (প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়) দ্বিপাক্ষিক আলোচনা করেন, যেখানে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করতে পাঁচটি দ্বিপাক্ষিক নথি স্বাক্ষরিত হয়।

নথিগুলো হচ্ছে- একটি চুক্তি, তিনটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ), একটি লেটার অব ইনটেন্ট (এলওআই), যা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের উপস্থিতিতে স্বাক্ষর হয়।

নথির মধ্যে অফিসিয়াল পাসপোর্ট হোল্ডারদের জন্য ভিসা ছাড়সংক্রান্ত চুক্তি, জ্বালানি সহযোগিতা, শুল্ক বিষয়ে সহযোগিতা ও পারস্পরিক সহায়তা এবং পর্যটন ক্ষেত্রে সহযোগিতাবিষয়ক সমঝোতা স্মারক এবং ২০২৪ সালের মধ্যে একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) নিয়ে আলোচনা সংক্রান্ত লেটার অব ইনটেন্ট (এলওআই) রয়েছে।

শেখ হাসিনা গভর্নমেন্ট হাউসে থাই প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া একটি আনুষ্ঠানিক মধ্যাহ্নভোজেও যোগ দেন। গভর্নমেন্ট হাউসে পৌঁছালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে থাই কুহ ফাহ ভবনের সামনের উন্মুক্ত স্থানে লালগালিচা উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৫ এপ্রিল জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউএনএসক্যাপ) ৮০ তম অধিবেশনে যোগ দেন। এ অধিবেশনে দেওয়া ভাষণে তিনি সব বিশ্বনেতাকে যুদ্ধ, আক্রমণ এবং আগ্রাসন বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান জানান।

জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল ও এসক্যাপের নির্বাহী সচিব আরমিদা সালসিয়াহ আলিসজাবানা এবং ইউএনএসক্যাপ সম্মেলনস্থলে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। একই দিনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুসিত প্রাসাদের অ্যামফোর্ন সাথার্ন থ্রোন হলে থাইল্যান্ডের রাজা ও রানি মহা ভাজিরালংকর্ন ফ্রা ভাজিরা-ক্লাওচা-উয়ুয়া এবং রানি সুথিদা বজ্রসুধা-বিমলা-লক্ষণের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।


প্রধানমন্ত্রী   শেখ হাসিনা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

দাবদাহে এবার দশ শিক্ষার্থীসহ ১৩ জন হাসপাতালে

প্রকাশ: ০৮:০৯ এএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ফরিদপুরের সালথায় তীব্র দাবদাহে ৩ শিক্ষক ও ১০ শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছে। অসুস্থদের চিকিৎসা দিতে হাসপাতালে নেওয়া হয়। তাদের মধ্যে তিন শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

রোববার (২৮ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার রামকান্তপুর ইউনিয়নের রামকান্তুপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সালথা থানার ওসি ঘটনাস্থল পরিবদর্শন করেন।

অসুস্থদের মধ্যে রয়েছেন রামকান্তপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. রবিউল ইসলাম। তিনি বলেন, রোজার ঈদের পর থেকে স্কুল বন্ধ ছিল। প্রধান শিক্ষকও মাতৃত্বকালিন ছুটিতে রয়েছেন। দীর্ঘদিন পর গতকাল রোববার স্কুল খোলা হয়। সকালে স্কুলে এসে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে প্রথমে বিদ্যালয়ের ক্লাস রুম ও মাঠে জমে থাকা ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করার কাজ শুরু করি।

তিনি আরও বলেন, কিছু সময় কাজ করার পর তীব্র গরমে আমরা সবাই পানির পিপাসায় ভুগছিলাম। তখন সবারই গলা শুকিয়ে আসছিল। পরে স্কুলের টিউবওয়েল চেপে ঠান্ডা পানি বের করে তা পান করি। কিন্তু কিছুক্ষণ পর একে একে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বমি করতে থাকে এবং অসুস্থ হয়ে পড়ে। এ সময় স্থানীয় এক যুবক এসে আমাকে বলেন, স্যার ওই টিউবওয়েলের পানি খেয়েন না, পানিতে বিষ মেশানো হয়েছে। পরে অসুস্থদের দ্রুত সালথা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে সকলকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

এর মধ্যে রানিতা নামে এক শিশুর অবস্থা বেশি খারাপ হওয়ায় তাকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অসুস্থদের মধ্যে শিক্ষক সুকলা রানী শীল, রেবেকা বেগম, রবিউল ইসলাম, শিক্ষার্থী সাদিহা, নাহিদ ও তৌকিয়ার নাম পাওয়া গেছে। বাকিদের নাম পাওয়া যায়নি।

সালথা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আব্দুল মমিন বলেন, ‘টিউবওয়েলের পানিতে কোনো ধরনের বিষক্রিয়া পাওয়া যায়নি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ওই শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা গরমে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। অসুস্থদের মধ্যে দুজনের চিকিৎসা এখনো চলছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে সবাই শঙ্কামুক্ত’।

সালথা থানার ওসি ফায়েজুর রহমান বলেন, ‘আমরা প্রথমে খবর পেয়েছিলাম টিউবওয়েলের পানি খেয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। পরে ঘটনাস্থলে এসে ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি, তিনি জানিয়েছেন টিউবওয়েলের পানিতে বিষক্রিয়ার কোনো লক্ষণ পাননি’।

এ বিষয়ে সালথা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আনিছুর রহমান বালী জানান, রোববার স্কুল খোলার পর শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা সকালে স্কুলে এসে টিউবওয়েলের পানি খেয়ে অসুস্থ পরলে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এখন সবাই মোটামুটি সুস্থ।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমাদের জানিয়েছেন, তারা বিষক্রিয়ার কোনো আলামত পাননি। গরমের কারণেও এ ঘটনা ঘটতে পারে। তারপরও টিউবওয়েলের পানি আমরা পরীক্ষা করে দেখব। একইসঙ্গে আগামীকাল থেকেই ছাত্রছাত্রীরা যাতে নিরাপদ পানি খেতে পারে, সে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


দাবদাহ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

দেশের দুই জেলায় ভূমিকম্প

প্রকাশ: ০৯:১২ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ৪।

রোববার (২৮ এপ্রিল) রাত ৮টার দিকে এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়।

জানা গেছে, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল পশ্চিমবঙ্গের উত্তমপুরে।

ভূমিকম্প  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন