ইনসাইড বাংলাদেশ

মাছ ধরতে না দেওয়ায় বনরক্ষীদের পেটালেন ছাত্রলীগ নেতা

প্রকাশ: ০৬:৩৫ পিএম, ২২ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

সুন্দরবনের অভায়রণ্যে মাছ ধরতে না দেওয়ায় বনরক্ষীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (২২ মার্চ) শরণখোলা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আসাদ হাওলাদারের নেতৃত্বে এ ঘটনা ঘটে।

হামলায় বন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জ কর্মকর্তা (এসিএফ) শেখ মাহাবুব হাসান, ফরেস্টার মতিউর রহমান ও স্পিডবোট ড্রাইভার সিরাজুল ইসলাম গুরুতর আহত অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন।

এ ঘটনায় পাঁচজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৭-৮ জনকে আসামি করে শরণখোলা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। 

শরণখোলা রেঞ্জ কর্মকর্তা (এসিএফ) শেখ মাহাবুব হাসান জানান, শরণখোলা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আসাদুজ্জামান হাওলাদার ও সাইফুল ইসলাম রুবেল খলিফা সুন্দরবনের অভয়ারণ্যে মাছ ধরার জন্য তাকে চাপ প্রয়োগ করে। কিন্তু তাদের এই অনৈতিক দাবি না মানলে তারা আমাকেসহ বনরক্ষীদের বিভিন্ন সময় হুমকি দিতে থাকে।

একপর্যায়ে বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) দুপুরে আন্তর্জাতিক বন দিবস পালন শেষে বিভাগীয় বন কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ নুরুল করিমকে এগিয়ে দিতে শরণখোলা রেঞ্জ সংলগ্ন বাজারের খেয়াঘাটে পৌঁছানো মাত্র পরিকল্পিতভাবে আসাদুজ্জামান হাওলাদার ও সাইফুল ইসলাম রুবেল খলিফার নেতৃত্বে ১০-১২ ব্যক্তি তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। হামলায় তারা তিনজন গুরুতর আহত হন।

শরণখোলা থানার ওসি এইচ এম কামরুজ্জামান বলেন, এ ঘটনায় বন বিভাগের ফরেস্টার মো. জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে মো. আসাদ হাওলাদার, সাইফুল ইসলাম রুবেল খলিফা, মাসুদুর রহমান রনি, আমির হাসান চয়ন, মো. জসিমসহ আরও ৭-৮ জন অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করে থানায় একটি মামলা করেছেন। মামলার আসামি মো. জসিমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যান্য অসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান রায়হান উদ্দিন আকন শান্ত বলেন, একজন কর্মকর্তাসহ বনরক্ষীদের মারধর এটি খুবই ন্যক্কারজনক ঘটনা। এ ঘটনায় জড়িত যেই হোক তাদের আইনের আওতায় শাস্তি পেতে হবে।

বনরক্ষী   সুন্দরবন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

মৌলভীবাজারে কালবৈশাখী ও শিলাবৃষ্টির তাণ্ডবে বিধ্বস্ত বাড়িঘর

প্রকাশ: ০৮:২০ পিএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে শিলাবৃষ্টি ও ঝড়ে অর্ধশতাধিক বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়া গাছপালা উপড়ে গেছে, বিভিন্ন স্থানে ভেঙেছে বিদ্যুতের খুঁটি।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) রাত ৩টার দিকে এই ঝড় বয়ে যায়। এতে উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে পড়ে।

উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে সরেজমিনে দেখা গেছে, কালবৈশাখী ঝড়ে অনেকের বসতঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। গাছ-বাঁশ ঘরের ওপরে পড়েছে। বিশেষ করে উপজেলার পতনঊষার ইউনিয়নে অর্ধশতাধিক বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছেন ক্ষতিগ্রস্তরা। এ ছাড়া উপজেলার অপর ইউনিয়নেও বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে।

পতনঊষার ইউনিয়নের ময়নুল মিয়া, কুশবা বেগম, লিপি বেগম, রহমান মিয়া, সুফিয়ান মিয়া, কালাম মিয়া, আনু মিয়া, ফখরুল মিয়াসহ উপজেলার অর্ধশতাধিক ব্যক্তির ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে।

ক্ষতিগ্রস্তরা বলেন, রাত ৩টার দিকে কালবৈশাখীর সঙ্গে প্রচণ্ড শিলাবৃষ্টি হয়। মুহূর্তের মধ্যে বিভিন্ন ঘর একেবারে উড়িয়ে নিয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্তরা খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছেন।

পতনঊষার ইউপি চেয়ারম্যান অলি আহমদ খান বলেন, ‘রাতে কালবৈশাখীতে আমার ইউনিয়নে অর্ধশতাধিক বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। অনেক পরিবার খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে।’

শিলাবৃষ্টি ও ঝড়ের বিষয়ে কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানদের বলা হয়েছে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করে দেওয়ার জন্য। দ্রুত সময়ে তাদের সহযোগিতা করা হবে।’

মৌলভীবাজার পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির কমলগঞ্জ আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক গোলাম ফারুক মীর বলেন, ‘ঝড়ে বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কয়েকটি খুঁটি ভেঙে গেছে এবং তার ছিঁড়ে গেছে। বিদ্যুতের সরবরাহ আংশিক চালু রাখা হয়েছে। পুরোপুরি স্বাভাবিক করার জন্য কাজ চলছে।’


কালবৈশাখী   শিলাবৃষ্টি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

চট্টগ্রামে পাল্টাপাল্টি অবস্থানে ৪৮ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘট

প্রকাশ: ০৭:৪৫ পিএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

চট্টগ্রামে এবার পাল্টাপাল্টি অবস্থান নিয়েছেন শিক্ষার্থী ও পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা। চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে পুড়িয়ে দেওয়া যানবাহনের ক্ষতিপূরণ দাবিসহ নানা দাবিতে ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে বৃহত্তর চট্টগ্রাম গণপরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদ।

অন্যদিকে নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীরাও তাদের অবস্থানে অনড়। চুয়েটের দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে উতপ্ত হয়ে উঠেছে চট্টগ্রাম। টানা পাঁচ দিন থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে চট্টগ্রাম-কাপ্তাই মহাসড়কে।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) পরিবহন সংগঠনের কার্যালয়ে জরুরি সভা শেষে ৪৮ ঘণ্টা ধর্মঘটের এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পূর্বাঞ্চলীয় সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি মৃণাল চৌধুরী।

সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, গত রোববার (২৮ এপ্রিল) ভোর ৬টা থেকে মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) ভোর ৬টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম জেলা ও মহানগর, কক্সবাজার এবং তিন পার্বত্য জেলায় বাস, মিনিবাস, হিউম্যান হলার, অটোরিকশা ও অটোটেম্পু চলাচল বন্ধ থাকবে। দূরপাল্লার কোনো বাস এসব জেলা ও মহানগর থেকে ছাড়বে না এবং ঢুকতেও পারবে না।

এ ছাড়া গণপরিবহন মালিক-শ্রমিকদের দাবিগুলো হলো- চুয়েটে দুই শিক্ষার্থী নিহতের জেরে ৪-৫টি গাড়ি ভাঙচুর ও ৩টি বাস জ্বালিয়ে দেওয়ার ঘটনায় মামলা গ্রহণ, ক্ষতিপূরণ দেওয়া, ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার এবং চুয়েটের তিন শিক্ষার্থীকে বহনকারী মোটরসাইকেলটির নিবন্ধন, চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স, তিনজন একসঙ্গে মোটরসাইকেলে ওঠার নিয়ম ও তারা মাদকাসক্ত ছিল কি না এসব বিষয় তদন্ত কমিটি গঠন করা।

পূর্বাঞ্চলীয় সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি মৃণাল চৌধুরী বলেন, আমাদের দাবি হচ্ছে, বাসের যেভাবে তদন্ত হচ্ছে, একইভাবে মোটরসাইকেলের ক্ষেত্রেও তদন্ত করতে হবে। এ ছাড়া দুই শিক্ষার্থীর পরিবারকে পাঁচ লাখ করে ১০ লাখ টাকা এবং আহত শিক্ষার্থীকে তিন লাখ টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে বাস মালিক সমিতি।

তিনি বলেন, এরপরও চুয়েটের শিক্ষার্থীরা চারদিন ধরে সড়ক অবরোধ করে গাড়ি চলাচল করতে দেয়নি। ৪/৫টি গাড়ি ভাঙচুর করেছে তারা। এ ছাড়া ৩টি গাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছে। শিক্ষার্থীদের এসব কর্মকাণ্ড তো আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। ক্ষতিগ্রস্ত পক্ষ মামলা করতে গেলেও থানা সেটা গ্রহণ করেনি। এ অবস্থায় ঐক্য পরিষদ বাধ্য হয়ে ৪৮ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘট আহ্বান করেছে।

এ পরিস্থতিতে রোববার (২৮ এপ্রিল) থেকে ৯ মে পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করে চুয়েট কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) রাতে জরুরি সিন্ডিকেট সভা শেষে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। চুয়েট কর্তৃপক্ষের ঘোষণার পরও নিরাপদ সড়কের দাবিতে নিজেদের অনড় অবস্থানের কথা জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) নিরাপদ সড়কের দাবিতে ফের ক্যাম্পাস জড়ো হন শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনকারীদের পক্ষে সাধারণ শিক্ষার্থী আরিফুল ইসলাম তামিম কালবেলাকে বলেন, আমাদের আন্দোলনটি মূলত নিরাপদ সড়কে আন্দোলন। কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমরা আলোচনায় করেছিলাম। কোনো সুরাহা হয়নি। পরে ৯ মে পর্যন্ত একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এ অবস্থায় আমাদের দাবি আদায়ের ব্যাপার থেকে আমরা সরে আসিনি।

তিনি বলেন, শাহ আমানত বাসসহ আরও একটি কোম্পানির বাস চট্টগ্রাম-কাপ্তাই মহাসড়কে বেশ বেপোরোয়া গতিতে চলে। এর আগে এ দুই পরিবহন বাসের কারণে আমাদের অনেক সহপাঠী আহত হয়েছেন। এখন দুজনকে হারিয়েছি আমরা, আরও একজন হাসপাতালে ভর্তি। সড়ক অবরোধের মতো কঠিন কর্মসূচি দিলে মানুষের ভোগান্তি হতে পারে। তাই অবরোধ কর্মসূচি থেকে সরে আসা হয়েছে। আমাদের দাবিগুলো মানা না হলে নির্দিষ্ট সময়ের পর আমরা আবারও কর্মসূচি ঘোষণা করব।

শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো- পলাতক চালক ও সহযোগীকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা, ক্যাম্পাসে আধুনিক চিকিৎসাকেন্দ্র স্থাপন, আধুনিক অ্যাম্বুলেন্স সুবিধা দেওয়া, রাস্তার মাথা এলাকা থেকে কাপ্তাই পর্যন্ত চার লেন মহাসড়ক করা, প্রতিটি বাস ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার কাগজপত্র ও চালকদের লাইসেন্স নিয়মিত যাচাই করা, ছাত্রকল্যাণ পরিষদকে জবাবদিহির আওতায় আনা এবং ছাত্র প্রতিনিধিদল গঠন করা, নিহত ও আহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া।

এর আগে সোমবার (২২ এপ্রিল) চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কে বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী চুয়েট শিক্ষার্থী শান্ত সাহা এবং তাওফিক হোসাইন নিহত হন। সহপাঠী মৃত্যুর ঘটনায় টানা চারদিন আন্দোলন করে শিক্ষার্থীরা। এ সময় অবরুদ্ধ ছিল চট্টগ্রাম-কাপ্তাই আঞ্চলিক মহাসড়ক।


পরিবহন ধর্মঘট   চুয়েট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

৯ মে থেকে শুরু চলতি মৌসুমের হজ ফ্লাইট

প্রকাশ: ০৭:১১ পিএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আগামী ৯ মে শুরু হচ্ছে চলতি মৌসুমের হজ ফ্লাইট। হজযাত্রীদের নিয়ে ঢাকা থেকে ওইদিনই প্রথম ফ্লাইট সৌদি আরবের উদ্দেশে রওনা দেবে। এরপর শিডিউল অনুযায়ী পরবর্তী ফ্লাইটগুলো ছাড়া হবে। তবে সব ফ্লাইটের সূচি এখনো চূড়ান্ত করা হয়নি। এদিন হজ ফ্লাইট শুরু হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা হজ অফিসের পরিচালক মুহম্মদ কামরুজ্জামান।

তিনি বলেন, এখনো শিডিউল ঘোষণা করা হয়নি। দ্রুত শিডিউল ঘোষণা করে যাত্রীদের জানানো হবে।

ধর্ম মন্ত্রণালয় বলছে, গত বছর এক লাখ ১৯ হাজার ৬৯৫ জন হজযাত্রী বহন করার জন্য বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, সৌদি এরাবিয়ান এয়ারলাইন্স (সৌদিয়া) ও সৌদির বেসরকারি এয়ারলাইন্স ফ্লাইনাস মোট ৩৩৫টি হজ ফ্লাইট ঘোষণা করেছিল। চুক্তি অনুযায়ী, মোট হজযাত্রীর অর্ধেক বহন করে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এবং বাকি অর্ধেক বহন করে সৌদিয়া ও ফ্লাইনাস এয়ার। এবারও এই তিন এয়ারলাইনস হজযাত্রীদের বহন করবে।

জানা গেছে, চলতি বছর সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ পালন করতে যাবেন ৮৩ হাজার ২০২ জন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় যাবেন ৪ হাজার ৩০৭ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় যাবেন ৭৮ হাজার ৮৯৫ জন।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন পালিত হতে পারে পবিত্র হজ। প্রতিবছর একমাস আগে থেকে শুরু হয় হজ ফ্লাইট। তার আগে হজযাত্রীদের ভিসা, ফ্লাইট শিডিউল সংক্রান্ত কাজ সম্পন্ন করে ধর্ম মন্ত্রণালয় ও এয়ারলাইন্সগুলো। এবার এখনো শুরু হয়নি ভিসা কার্যক্রম। চূড়ান্ত হজযাত্রীদের তালিকা না পাওয়ায় ঘোষণা করা হয়নি ফ্লাইট শিডিউলও।


হজ ফ্লাইট   ঢাকা হজ অফিস  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

রাজধানীর বনানীতে যাত্রীবাহী বাসে আগুন

প্রকাশ: ০৬:৫৭ পিএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

রাজধানীর বনানীতে যাত্রীবাহী একটি বাসে আগুন লেগেছে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) বিকাল ৪টার দিকে আগুন লাগার সংবাদ পায় ফায়ার সার্ভিস।

ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার খালেদা ইয়াসমিন বলেন, আজ বিকাল ৪টা ২ মিনিটে যাত্রীবাহী একটি বাসে আগুন লাগার সংবাদ পায় ফায়ার সার্ভিস। সংবাদ পাওয়ার পর ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করেছে।

প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।


আগুন   বাস   সড়ক দুর্ঘটনা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

গবেষণার মাধ্যমে নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনের আহ্বান প্রাণিসম্পদমন্ত্রীর

প্রকাশ: ০৫:৫৪ পিএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

গবেষণার মাধ্যমে নতুন নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও সম্প্রসারণসহ নিরাপদ প্রাণিজ প্রোটিন উৎপাদনের আহবান জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী ও আওয়ামীলীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আব্দুর রহমান।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) ঢাকার খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইন্সটিটিউশনে ‘বিশ্ব ভেটেরিনারি দিবস ২০২৪’ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদানকালে মন্ত্রী এ আহবান জানান।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আহুত সবুজ বিপ্লবের কৃষি দর্শনের ফলে আজ আমরা খাদ্য উৎপাদনের প্রায় সবগুলো খাতে স্বয়ংসম্পূর্নতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি। খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হবার সাথে সাথে পুষ্টি নিরাপত্তাও নিশ্চিত করতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, প্রাণিজ আমিষের উৎপাদন বৃদ্ধির ফলে দেশের মানুষের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত হয়েছে, বেড়েছে গড় আয়ু এবং গড় উচ্চতা। আর এক্ষেত্রে ভেটেরিনারিয়ানদের অবদান অনস্বীকার্য।

ভেটেরিনারিয়ানদের প্রাণিসম্পদের প্রাণ হিসেবে অভিহিত করে মন্ত্রী বলেন, আমাদের পুষ্টি ও আমিষ জাতীয় খাদ্য উৎপাদনে শুধু স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন নয় বরং বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের রাস্তাও  তৈরি করতে হবে। আর এটা করার জন্য ভেটেরিনারিয়ানদের যোগ্যতম জায়গায় কাজ করার সু্যোগ করে দিতে হবে’।

নিরাপদভাবে প্রাণিসম্পদের উৎপাদন করার উপর গুরুত্বারোপ করে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, আমাদের উৎপাদিত পশু যদি নিরাপদ না হয় তাহলে তা খেলে আমাদের দেহেও ক্ষতিকর প্রভাব পড়বে। মানব শরীরে নানা ধরণের রোগের সৃষ্টি হবে। সুতরাং শুধু উৎপাদন বাড়ালেই হবে না, নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন করতে হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।যত্রতত্র এন্টিবায়োটিকের ব্যবহার না করে বরং প্রাকৃতিক উপায়ে কিভাবে পশুকে রোগমুক্ত রাখা যায় সে বিষয়ে গবেষণা করার জন্য তিনি আহবান জানান।

মন্ত্রী আরও বলেন, ‘বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের ক্ষেত্র হিসেবে তৈরি করতে হলে প্রতিটি ইউনিয়নে ভেটেরিনারিয়ানদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে। ভেটেরিনারি সার্ভিসকে ইমার্জেন্সি সার্ভিস হিসেবে স্বীকৃতি থাকা দরকার বলে মন্তব্য করে বিষয়টি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নজরে আনবেন বলে এসময় তিনি ভেটেরিনারিয়ানদের আশ্বস্ত করেন।

তিনি বলেন, সকলের সহযোগিতায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়কে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া হবে। সকলের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য এক ও অভিন্ন হলে কোন চ্যালেঞ্জই মোকাবেলা করা অসম্ভব নয় বলে তিনি মন্তব্য করেন।

মন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার সোনার বাংলা গড়ার নীতি আদর্শ তথা কৃষি দর্শন এবং তাঁরই সুযোগ্য উত্তরসূরী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কর্মকৌশলের ফলে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের পথ ধরে অনুন্নত দেশ থেকে ইতোমধ্যেই উন্নয়নশীল দেশের কাতারে বাংলাদেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যেই উন্নত রাষ্ট্রে পরিনত হওয়া শুধু সময়ের ব্যাপার।

জাতির পিতা উদ্ভাবনী শক্তিসম্পন্ন মেধাবী ছাত্রদের কৃষি শিক্ষায় আকৃষ্ট করতে কৃষিবিদগণকে প্রথম শ্রেনীর মর্যাদা প্রদান করেন উল্লেখ করে বংগবন্ধু যে স্বপ্ন নিয়ে কৃষিবিদদের প্রথম শ্রেণির মর্যাদা দিয়েছিলেন সেটা মাথায় রেখে কাজ করার জন্য ভেটেরিনারিয়ানদের প্রতি আহবান জানান মন্ত্রী।

অধিকতর গুনগত উৎপাদনের প্রতি ভোক্তার চাহিদা বৃদ্ধি, হাইব্রীড জাত নির্বাচন এবং সংরক্ষণ, আধুনিক জলবায়ূ কৌশলের আবির্ভাব এবং গ্রীন-হাউজ গ্যাস নিয়ন্ত্রণ, দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে ভোক্তার পরিবর্তিত চাহিদা, জৈব-নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও জনস্বাস্থ্য এবং পরিবেশগত স্বাস্থ্য ও ঝুঁকি মোকাবেলা এবং প্রাণিসম্পদ চাষাবাদের জন্যে নির্ধারিত জমির পরিমান কমে যাওয়াকে প্রাণিসম্পদ খাতের চ্যালেঞ্জ হিসেবে উল্লেখ করে তিনি ভেটেরিনারিয়ানদের সুযোগ্য নেতৃত্বে  সংকট মোকাবেলা করে সামনে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

মন্ত্রী বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সাথে তাল মিলিয়ে নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আমাদের পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে হবে। ভেটেরিনারিয়ানগণের নিবিড় পরিশ্রমে স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মিত হবে। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা যদি ক্ষমতায় থাকেন তাহলে তৃনমূল থেকে দেশকে গড়ে তুলে ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের যে অভীষ্ট লক্ষ্যমাত্রা তিনি দিয়েছেন তা বাস্তবায়নের কারিগর হিসেবে তিনি ভেটেরিনারিয়ানদের স্বীকৃতি দিবেন।

প্রাণিসম্পদ শিল্পে ভেটেরিনারিয়ানগণের অবদান জনসম্মুখে তুলে ধরতে প্রতিবছরের ন্যয় এবারও বিশ্ব ভেটেরিনারি দিবস পালিত হচ্ছে। এবারের বিশ্ব ভেটেরিনারি দিবসের প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘ভেটেরিনারিয়ানগণ অপরিহার্য স্বাস্থ্য কর্মী’।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল হক এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন বাংলাদেশ কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ জনাব সমীর চন্দ ও কৃষিবিদ ইন্সটিটিউশনের মহাসচিব কৃষিবিদ জনাব খায়রুল আলম প্রিন্স।


প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর   মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী   মোঃ আব্দুর রহমান  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন