ইনসাইড বাংলাদেশ

সিরাজগঞ্জে প্রকল্পের কাজ না করেই টাকা আত্মসাৎ

প্রকাশ: ০৯:৫৯ এএম, ০৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail বেলতৈল ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম

সিরাজগঞ্জ শাহজাদপুর উপজেলার বেলতৈল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে টিআর, কাবিখা ও কাবিটা প্রকল্পের কাজ না করেই টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। চেয়ারম্যান কাগজপত্রে প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন না করেই বরাদ্দের টাকা ও চাউল আত্মসাৎ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

 

শাহজাদপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয়ের সূত্রে জানা যায়, ২১-২২ অর্থ বছরের ২য় পর্যায়ের সাধারণ প্রকল্প কাজের বিনিময়ে টাকা (কাবিটা) প্রকল্পে চর কাদাই ব্রিজ হতে হাতেম সরকারের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা পুননির্মানের নামে ১ লক্ষ ২৩ হাজার টাকা। কাজের বিনিময়ে খাদ্য (কাবিখা) প্রকল্পে চর কাদাই আমিনুলের বাড়ি হয়ে রফিকের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা সংস্কারের নামে ১.৬০০ মেট্রিক টন চাউল। টি আর প্রকল্পে বেলতৈল ইউনিয়ন পরিষদ ভবন উন্নয়নের নামে ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা ও কাদাই বাদলা পাকা রাস্তা হতে গোপিনাথপুর কাশেমের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা মেরামতের নামে ১ লক্ষ ৫ হাজার টাকা বরাদ্দ পায়। এবং ২১-২২ অর্থ বছরের ৩য় পর্যায়ের সাধারণ প্রকল্প টিআর চর কাদাই মোতালেবের বাড়ি হয়ে মুজাম্মেলের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা সংস্কারের নামে ৯৫ হাজার টাকা বরাদ্দ পায়। কিন্তু কোন প্রকার কাজ না করেই প্রকল্পের বিল উত্তোলন করেছে চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম ।

 

কাগজ কলমে বেলতৈল ইউনিয়ন পরিষদ ভবন উন্নয়ন (টিআর) প্রকল্পের সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম এবং অপর ৪টি প্রকল্পের সভাপতি সভাপতি ৭ ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নুরুল ইসলাম চান্নু । কিন্তু ৪টি প্রকল্পের কাজের বিষয়ে ইউপি সদস্য নুরুল ইসলাম চান্নু কিছুই জানেন না বলে জানান।প্রকল্পের বরাদ্দের ব্যাপার ধামাচাপা রাখার জন্য ইউনিয়ন পরিষদের ওয়েবসাইটে প্রকল্পের কোন তথ্য হালনাগাদ করা হয়নি।

 

উন্নয়ন প্রকল্পের লাখ লাখ টাকার হরিলুটে এলাকায় চলছে সমালোচনার ঝড়। ইউনিয়নবাসীর অনেকেই বলছে বরাদ্দের টাকা ও চাউল আত্মসাতের জন্যই সব প্রকল্পই চেয়ারম্যান তার নিজ এলাকায় দিয়েছে। অপরদিকে সচেতন মহলের প্রশ্ন কাজ না করে বিল উঠলো কিভাবে?

 

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ও দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মচারীদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহযোগিতা ছাড়া কোন ভাবেই লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করা সম্ভব না বলে অনেকের ধারনা।

 

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, চর কাদাই ব্রিজ হতে হাতেম সরকারের বাড়ি, আমিনুলের বাড়ি হয়ে রফিকের বাড়ি, মোতালেবের বাড়ি হয়ে মুজাম্মেলের বাড়ি একই রাস্তায়। এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এখানে স্থানীয় সংসদ সদস্যের বিশেষ বরাদ্দে রাস্তা হয়েছে, ইউপি চেয়ারম্যান কোন কাজ করে নাই।

 

স্থানীয় সংসদ সদস্যের বিশেষ বরাদ্দের সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবে ওয়াহিদ শেখ কাজল বলেন, ‘এখানে আমি রাস্তা করার জন্য মাটি ভরাট করেছি। তবে শুনেছি ঐ জায়গায় পিআই অফিস প্রকল্প দিয়ে কাজ না করেই আমার কাজ দেখিয়ে টাকা তুলে নিয়েছে।'


কাদাই বাদলা পাকা রাস্তা হতে গোপিনাথপুর কাশেমের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা মেরামত তো দুরের কথা এখানেও বিগত ১০ বছরের কেউ কখনো রাস্তা মেরামত করেনি এমনি অভিযোগ এলাকাবাসীর। তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, একটু বৃষ্টি হলেই এই রাস্তা দিয়ে হাটা যায় না। বৃষ্টি হলে এ রাস্তা যেন এক রমক মরন ফাঁদ হয়ে যায়।


অপরদিকে ইউনিয়ন পরিষদ উন্নয়নের নামে একটি হাজার লিটারের ট্যাংক এবং পরিষদের পয়ঃনিস্কাশন ব্যবস্থার কাজ না করেই প্রকল্পের বিল তুলে নিয়েছেন উক্ত প্রকল্পের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম।

 

এ বিষয়ে বেলতৈল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম এর কাছে জানতে চাইলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘বিশেষ বরাদ্দের কাজের পর থেকে আমি কাজ করেছি। এবং গতকাল থেকে গোপিনাথপুর কাশেমের বাড়ি পর্যন্ত কাজ ধরেছি। রং এর কাজ বাদ আছে তা আমি করিয়ে নিচ্ছি।’

 

কাজ না করেই বিল তুললেন কিভাবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এটা কর্তৃপক্ষ দিতে পারে।’ এছাড়াও সংবাদ পরিবেশন করলে ভুল বোঝাবুঝি হবে, সম্পর্ক নষ্ট হবে বলেও সাংবাদিককে বলেন তিনি।

 

কাজ না করেই বিল উত্তোলনের বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ‘বেলতৈল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে প্রশ্ন করেন গিয়ে । চেয়ারম্যান আমাকে বলেছেন এগুলো নিয়ে যদি কোন ঝামেলা হয় তা আমি ম্যানেজ করবো। আপনি গিয়ে রফিকের কাছে ফোন ধরিয়ে আমাকে দেন।’

 

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘প্রকল্প গুলোর ব্যাপারে অভিযোগ পেয়েছি। কাজ না করে যদি বিল তুলে থাকে তা তদন্ত করে প্রমাণিত হলে এবং প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকতা কিভাবে বিল দিলো সে বিষয়েও বিধি মোতাবেক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।'


প্রকল্পের কাজ না করেই টাকা আত্মসাৎ   টাকা আত্মসাৎ   ইউপি চেয়ারম্যান  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

১০ টাকায় টিকিট কেটে চোখ পরীক্ষা করালেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ: ০১:২১ পিএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

সাধারণ রোগীদের মতো ১০ টাকার টিকিট কেটে রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে নিজের চোখ পরীক্ষা করিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শুক্রবার (৩ মে) সকালে প্রধানমন্ত্রী ওই হাসপাতালে যান প্রধানমন্ত্রী। তারপর লাইনে দাঁড়িয়ে নিজেই টিকিট সংগ্রহ করেন।

এরপর প্রধানমন্ত্রী সাধারণ রোগীদের মতোই নিজের চোখ পরীক্ষা করান। সরকারি হাসপাতালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ ঘটনা দেখে উপস্থিত অনেকেই উচ্ছ্বাস ও আনন্দ প্রকাশ করেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা   জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

কারামুক্ত হলেন মাওলানা মামুনুল হক

প্রকাশ: ১২:১৯ পিএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

জামিনে মুক্তি পেয়েছেন হেফাজতে ইসলামের সাবেক কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক। শুক্রবার (০৩ মে) সকাল ১০টার দিকে তাকে গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি দেয়া হয়।

পরে রিজার্ভ গার্ডে তাকে বসিয়ে রাখা হয় এবং বেলা ১১টার দিকে কারাগারের মূল ফটক থেকে তিনি বের হয়ে যান। গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, গতকাল বৃহস্পতিবার মামুনুল হকের জামিনের কাগজপত্র কারাগারে এসে পৌঁছায়। পরে তা যাচাই-বাছাই শেষে আজ শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে মাওলানা মামুনুল হককে কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়।

জানা গেছে, মামুনুল হকের জিম্মাদার অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান চৌধুরী আসতে দেরি হওয়ায় তাকে প্রায় এক ঘণ্টা রিজার্ভ গার্ডে বসিয়ে রাখা হয়। পরে বেলা ১১ টার দিকে সাদা রঙের একটি গাড়িতে করে তিনি কারাগারের মূল ফটো থেকে বের হয়ে যান।

এ সময় মামুনুল হকের সঙ্গে ছিলেন তার ছেলে জিসান ও ভাগিনাসহ আরো কয়েকজন। এর আগে, বৃহস্পতিবার রাতে মামুনুল হক কারাগার থেকে মুক্ত পাবেন, এমন খবরে আলেম-ওলামারা কারা ফটকে ভিড় করেন। সন্ধ্যার পর থেকেই কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে ভিড় করতে শুরু করেন মামুনুল হকের সমর্থকরা।  


মাওলানা মামুনুল হক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

উপজেলা নির্বাচন: উঠান বৈঠকে বদির বিরুদ্ধে ফাঁকা গুলি ছোড়ার অভিযোগ

প্রকাশ: ১২:১৪ পিএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

কক্সবাজারের টেকনাফের বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী নুরুল আলমের উঠান বৈঠকে তার সমর্থকদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করার জন্য সাবেক এমপি আব্দুর রহমান বদির বিরুদ্ধে ফাঁকা গুলি ছোড়ার অভিযোগ উঠেছে।

বৃহস্পতিবার (২ মে) রাত ১০টার দিকে উপজেলার হোয়াইক্ষং পশ্চিম মহেশখালীয়া পাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। 

উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল আলম বলেন, আমি বৃহস্পতিবার মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছি। আমার নির্বাচনী এলাকার হোয়াইক্ষং পশ্চিম মহেশখালীয়া পাড়ায় আমার একটি উঠান বৈঠক ও আলোচনা সভা ছিল। সেখানে হঠাৎ সাবেক এমপি বদি (আব্দুর রহমান বদি) চেয়ারম্যান প্রার্থী জাফর আলমকে সঙ্গে নিয়ে আমার অনুষ্ঠানস্থলে এসে দুই রাউন্ড ফাঁকা গুলি করেন।

তখন ভয়ে আমার সমর্থকরা পালিয়ে যায়। আমি জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল দিয়েছি। পরে সেখান থেকে বের হয়ে থানায় অভিযোগ করেছি। সাবেক এমপি বদি আমার সমর্থকদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করছেন। যাতে কেউ আমার বিরুদ্ধে কাজ না করে। আমার জনপ্রিয়তা বদি সাহেব মেনে নিতে পারছেন না।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান প্রার্থী জাফর আলম বলেন, গুলি ছোড়ার ঘটনা পুরাপুরি মিথ্যা। উল্টো নুরুল আলম আমার এক সমর্থককে ধরে নেওয়ার খবর শুনে আমি আর বদি ভাই (সাবেক এমপি আব্দুর রহমান বদি) সেখানে যাই।

টেকনাফ মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওসমান গনী ঢাকা পোস্টকে বলেন, বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল আলমের একটি অনুষ্ঠানে ফাঁকা গুলি ছোড়ার ঘটনা শুনেছি। খবর পেয়ে আমাদের পুলিশের টিম সেখানে গিয়েছে। এ ঘটনায় নুরুল আলম একটি অভিযোগ করেছেন। এ বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে কথা বলতে সাবেক এমপি আব্দুর রহমান বদির মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।


উপজেলা নির্বাচন   উঠান বৈঠক   অভিযোগ   সাবেক এমপি   আব্দুর রহমান বদি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

গাজীপুরে মালবাহী ট্রেনের সঙ্গে যাত্রীবাহী ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ, আহত বহু

প্রকাশ: ১১:২৩ এএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

গাজীপুরের জয়দেবপুরে মালবাহী ট্রেনের সঙ্গে যাত্রীবাহী ট্রেনের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ৫টি বগি লাইনচ্যুত হয়ে অন্তত অর্ধশতাধিক যাত্রী আহত হয়েছেন।

শুক্রবার (৩ মে) সকালে জয়দেবপুর স্টেশনে এ ঘটনা ঘটে। তবে টাঙ্গাইল কমিউটারে খুব বেশি যাত্রী ছিলেন না বলে জানা গেছে। জয়দেবপুর স্টেশনমাস্টার হানিফ মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেনটি উত্তরবঙ্গ থেকে ছেড়ে এসে গাজীপুর হয়ে ঢাকার দিকে যাচ্ছিল। ট্রেনটি জয়দেবপুর স্টেশনের আউটার সিগনালে পৌঁছালে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা তেলবাহী ট্রেনের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। তবে টাঙ্গাইল কমিউটারে খুব বেশি যাত্রী ছিল না।


দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত সিলেটের নিম্নাঞ্চল

প্রকাশ: ১০:১৪ এএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত হয়েছে সিলেটের নিম্নাঞ্চল। একই সঙ্গে সুরমা, কুশিয়ারা, পিয়াইন, ধলাই ও সারিসহ বিভিন্ন নদনদীর পানিও বাড়তে শুরু করেছে। সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া কুশিয়ারার পানি আমলশীদ পয়েন্টে বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই করছে। 

পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের তথ্যমতে, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় সুরমা নদীর কাইনাইঘাট পয়েন্টে ১১ দশমিক ১১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছিল। যা ছিল বিপৎসীমার শূন্য দশমিক ৩১ সেন্টিমিটার ওপরে। রাত ৯টায় তা আরও বেড়ে ১১ দশমিক ৬৫ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাস জানান, পাহাড়ি ঢলের কারণে নদনদীতে পানি বাড়ছে। 

জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উম্মে সালিক রুমাইয়া বলেন, জৈন্তাপুর উপজেলায় অনেক বেশি বৃষ্টিপাত হয়। পাহাড়ি ঢলের সঙ্গে টানা বৃষ্টিতে আকস্মিক বন্যা (ফ্ল্যাশ ফ্লাড) পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি এবং জনসাধারণকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।



মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন