ইনসাইড বাংলাদেশ

সড়কে মৃত্যুর মিছিল: সাড়ে ৭ শতাংশই ঈদে

প্রকাশ: ১২:০০ পিএম, ১৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বিষাদে রূপ নিচ্ছে ঈদের আনন্দ। শুধু সড়কেই রোজ ঝরছে প্রাণ। অন্যান্য সপ্তাহের তুলনায় ঈদের সপ্তাহে সড়ক দুর্ঘটনার সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে। যেখানে হাসিমাখা মুখ প্রিয়জনের হৃদয় জুড়িয়ে দেওয়ার কথা, সেখানে বাড়ির উঠানে আসছে নিথর দেহ।

গতকাল মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) ফরিদপুরসহ সাত জেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। শুধু ঈদের দিনই সারা দেশে ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া সারা বছর যতসংখ্যক মানুষ সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যাচ্ছে, এর প্রায় সাড়ে ৭ শতাংশ মৃত্যু শুধু ঈদের মৌসুমে।

দুর্ঘটনার মাত্রা কয়েক গুণ বেড়ে যাচ্ছে শুধু ঈদের সময় ফাঁকা সড়কে বেপরোয়া গতিতে যান চলাচল, অনুপযোগী গাড়ি চলা, অপরিকল্পিত চলাচল, গণপরিবহনসংকট, আঞ্চলিক মহাসড়কগুলোতে তিন চাকার যান চলচলের কারণে।

যাত্রী কল্যাণ সমিতির তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত তিন ঈদুল ফিতরে মোট ৯৯৪টি সড়ক দুর্ঘটনায় এক হাজার ৬৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ে ঈদুল আজহায় ৭৮৬টি দুর্ঘটনায় ৭৭০ জনের প্রাণ ঝরেছে সড়কে। গেল আট বছরে ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা মিলিয়ে তিন হাজার ৮৬২ দুর্ঘটনায় চার হাজার ৪৭৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এসব দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে আরো ১১ হাজার ৬৯৬ জন।

২০১৬ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত সড়ক দুর্ঘটনায় মোট ৬০ হাজার ৮৭৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। অর্থাৎ শুধু ঈদের মৌসুমেই সড়ক দুর্ঘটনায় ৭.৩৫ শতাংশ মৃত্যু হয়েছে।

বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির তথ্য বলছে, গত আট বছরে শুধু ঈদুল ফিতরে এক হাজার ৯৭৮টি সড়ক দুর্ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। এসব দুর্ঘটনায় দুই হাজার ৩০৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর আহত হয়েছে ছয় হাজার ২২ জন।

এই সময়ে ঈদুল আজহায় এক হাজার ৮৮৪টি দুর্ঘটনায় দুই হাজার ১৬৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে আরো পাঁচ হাজার ৬৭৪ জন। 


ঈদের সড়কে কেন এত মৃত্যু?

এমন প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউটের (এআরআই) সাবেক পরিচালক অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান জানান, মূলত গণপরিবহনসংকটের কারণে ঈদের সময় সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু বাড়ছে। আর দুর্ঘটনায় ৫২ শতাংশ তরুণের মৃত্যু হচ্ছে। এর পেছনের মূল কারণ মোটরসাইকেল।

হাদিউজ্জামান বলেন, খেয়াল করলে দেখা যাবে, এই সময়ে শ্রমজীবী মানুষ ও তরুণদের মৃত্যুর সংখ্যাই বেশি। ভাড়া নৈরাজ্য এবং গণপরিবহনসংকটে দুর্বল বিকল্প ব্যবস্থাপনায় শ্রমজীবীরা ঈদে যাতায়াত করেন। বাসও অতিরিক্ত ট্রিপ দিতে চায়। গণপরিবহনসংকট দূর করা গেলে ঈদে সড়ক দুর্ঘটনা কমানো যাবে।

ঈদের দিনে সড়কে মৃত্যু

সড়কে প্রতিদিনের মৃত্যুর তথ্য সংকলিত করে সরকারি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। সরকারের তথ্য বলছে, গত ১১ এপ্রিল ঈদের দিনে সারা দেশে সড়ক দুর্ঘটনায় ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে।

এদিকে বিআরটিএর তথ্য অনুযায়ী, ঈদের আগে-পরে ছয় দিন এবং ঈদের দিন মিলিয়ে সাত দিনে সারা দেশে মোট ১১৭টি সড়ক দুর্ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। এসব দুর্ঘটনায় ১২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর আহত হয়েছে আরো অন্তত ১৯৫ জন।

বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির তথ্য বলছে, গত ৪ এপ্রিল ঈদ যাত্রা শুরুর দিন থেকে গত ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত ১১ দিনে সারা দেশে ২৮১টি সড়ক দুর্ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। এসব দুর্ঘটনায় ২৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে আরো ৫৫৬ জন।

এক প্রশ্নের জবাবে সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, ‘আমরা পত্রিকা থেকে তথ্য নিয়ে প্রতিবেদন তৈরি করি। পত্রিকায়ও ছোট ছোট দুর্ঘটনার খবর আসে না। দুর্ঘটনার মূল চিত্র এর চেয়েও অনেক বেশি হবে।’

ঈদের ৪ দিনে পঙ্গুতে দুর্ঘটনার ১২৯৫ রোগী

২২ বছরের তরুণ মোহাম্মদ রাকিব। ঈদের আগের দিন বিকেলে নারায়ণগঞ্জের নিজ এলাকায় বন্ধুকে নিয়ে মোটরসাইকেলে ঘুরতে বেরিয়েছিলেন। কিছুদূর যাওয়ার পরই এক অটোরিকশার সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে হয়। এতে মোটরসাইকেল উল্টে রাস্তায় পড়ে যান তাঁরা। দুর্ঘটনায় দুজনই গুরুতর আহত হন।

রাকিব ও তার বন্ধুকে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে একজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হলেও রাকিবকে ঢাকার জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতাল) পাঠানো হয়।

ঈদের আগের দিন থেকেই তিনি হাসপাতালের ক্যাজুয়াল ব্লক-১ ফ্লোরের ২ নম্বর বিছানায় শুয়ে কাতরাচ্ছেন। পাশেই বসে তাঁর এক স্বজন মাথায় হাত বুলিয়ে সান্ত্বনা দিচ্ছেন। মাঝেমধ্যে ধমকের সুরে বলছেন, ‘আমি বারবার জোরে বাইক চালাতে নিষেধ করেছি, আমার কথা শুনলে তো এত বড় ক্ষতি হতো না।’

জানতে চাইলে হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক কাজী শামীম উজ্জামান বলেন, ঈদের চার দিনে এক হাজার ২৯৫ জন সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছে। এর মধ্যে ২১২ জন মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায়। চিকিৎসা নিতে আসা ৪০ শতাংশের বেশি রোগীর বিভিন্ন সার্জারির প্রয়োজন হচ্ছে।

আঞ্চলিক মহাসড়কে কেন দুর্ঘটনা

জাতীয় মহাসড়কের তুলনায় আঞ্চলিক মহাসড়কের দুই পাশে নানা কারণে রাস্তা দখল হয়ে থাকে। যান চলাচলের বিষয়টি পরিকল্পিতভাবে বাস্তবায়িত না হওয়ায় দিন দিন আঞ্চলিক মহাসড়কে দুর্ঘটনা ও মৃত্যুঝুঁকি বাড়ছে।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, আনফিট যানবাহন চলাচলের আধিক্য, ছোট ও মাঝারি যান চলাচল বেশি থাকা, অনুমোদনহীন তিন চাকার যান চলা, সড়কে পরিবহন ও ব্যবস্থাপনার শৃঙ্খলার অভাব, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর নজরদারি কম থাকা এবং রাস্তার পাশে ঘন ঘন বাজার বসার কারণে আঞ্চলিক মহাসড়কে দুর্ঘটনা ও মৃত্যুঝুঁকি নিয়মিত বাড়ছে।

পরিবহন বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অধ্যাপক শামছুল হক বলেন, আঞ্চলিক মহাসড়ক স্থানীয়দের হাতে নিয়ন্ত্রিত হয়। ফলে পরিকল্পিত ব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় না। আঞ্চলিক মহাসড়কে পুলিশের নজরদারিও তুলনামূলক কম থাকে।

আঞ্চলিক মহাসড়কে দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমান বলেন, এসব সড়কে সব ধরনের গাড়ি অবাধে চলতে পারে। আনফিট গাড়ির চলাচল এবং গতির ভারসাম্য না থাকায় দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে রাখা যাচ্ছে না।


সড়ক দুর্ঘটনা   মৃত্যু   ঈদুল ফিতর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সারাদেশে হিট স্ট্রোকে আরও ৩ জনের মৃত্যু

প্রকাশ: ১০:৩২ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

সারা দেশে তীব্র তাপপ্রবাহের ফলে নতুন করে হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে আরও ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত হিট স্ট্রোকে ১০ জন মারা গেছেন বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) রাতে সারা দেশে হিট স্ট্রোকে নতুন মৃত্যুর বিষয়টি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কন্ট্রোল রুম থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে।

অধিদপ্তর জানিয়েছে, হিট স্ট্রোকে নতুন মারা যাওয়া তিনজনের মধ্যে দুইজনেরই মৃত্যু হয়েছে মাদারীপুর জেলায়। আরেকজনের মৃত্যু হয়েছে চট্টগ্রাম জেলায়। তবে গত একদিনে হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে নতুন করে কাউকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়নি।

সবমিলিয়ে বর্তমানে সারা দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত ৫ জন রোগী চিকিৎসাধীন আছেন বলেও জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

হিট স্ট্রোক   তীব্র তাপদাহ   স্বাস্থ্য অধিদপ্তর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

লক্ষ্মীপুরে ছাত্রলীগ নেতা হত্যার ঘটনায় অস্ত্র ও গুলিসহ গ্রেপ্তার ১


Thumbnail

লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জে ছাত্রলীগ নেতা এম সজীব হত্যা মামলায় আনোয়ার হোসেন দুলালকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পরে দুলালের দেয়া তথ্যমতে একটি দেশীয় তৈরি এলজি ও দুটি কার্তুজ উদ্ধার করা হয়। সোমবার দুপুরে প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ তারেক বিন রশিদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

গ্রেপ্তার দুলাল সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের পাঁচপাড়া গ্রামের মান্দারের দিঘির পাড়া এলাকার আবদুল আজিজের ছেলে। 

প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার জানান, ঘটনার পর থেকে দুলাল আত্মগোপনে চলে যায়। পরে তাকে গ্রেপ্তার করতে ঝিনাইদহ এবং খুলনার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হয়। পরে তাঁকে খুলনার ডুমুরিয়ার শরাপুর বাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে লক্ষ্মীপুরে নিয়ে আসা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে দুলাল ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। দুলালের দেওয়া স্বীকারোক্তিতে সোমবার ভোরে তার বসতবাড়ি থেকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত একটি এলজি ও দুই রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।

এসপি আরও বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে দুলাল এঘটনার সাথে জড়িত অন্য আসামিদের নামও জানায়। মামলার প্রধান আসামি কাজী মামুনুর রশিদ বাবলুসহ এঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান জেলা পুলিশের উর্দ্ধতন এই কর্মকর্তা।

এর আগে গত ১২ এপ্রিল রাতে চন্দ্রগঞ্জ থানার পাঁচপাড়া গ্রামের যৈদের পুকুরপাড় এলাকায় ছাত্রলীগ নেতা সজীব, সাইফুল পাটোয়ারী, মো. রাফি ও সাইফুল ইসলাম জয়ের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় অভিযুক্তরা। ১৬ এপ্রিল রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সজিব। এর আগে এ মামলায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা তাজু ভূঁইয়াসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

লক্ষ্মীপুর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

লক্ষ্মীপুরে ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান হলেন নতুন তিন মুখ


Thumbnail

প্রায় ১৩ বছর পর লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচনে তিনটিতে চেয়ারম্যান পদে নতুন জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছেন। আর দক্ষিণ হামছাদী ও তেওয়ারীগঞ্জ এ দুইটি ইউনিয়নে এ পদে পুরাতনেই আস্থা রেখেছেন ভোটাররা। তবে পাঁচটি ইউনিয়নে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদেরকে পেয়ে উল্লাস প্রকাশ করছে পুরো নেট দুনিয়া। 

এর আগে রোববার (২৮ এপ্রিল) সকাল থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত সদর উপজেলার দক্ষিণ হামছাদী, দালাল বাজার, বাঙ্গাখাঁ, লাহারকান্দি ও তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নে ভোট গ্রহণ শেষে ফলাফল ঘোষণা করা হয়। 

এতে চেয়ারম্যান হিসেবে দক্ষিণ হামছাদী ইউনিয়নের আওয়ামীলীগ সভাপতি মীর শাহ আলম (ঘোড়া) প্রতীকে ছয় হাজার ২৪৪, দালাল বাজার ইউনিয়নে এডভোকেট নজরুল ইসলাম (চশমা) ছয় হাজার ৩৫৫ ভোট, বাঙ্গাখাঁ ইউনিয়নে জেলা কৃষকলীগের সদস্য সচিব মিজানুর রহমান ভূঁইয়া (চশমা) প্রতীকে  ছয় হাজার ৪০১ ভোট, লাহারকান্দি ইউনিয়নে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি আশরাফুল আলম (টেলিফোন) প্রতীকে পাঁচ হাজার ৫৮৩ ভোট ও তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নে জেলা কৃষক লীগের সাবেক সভাপতি ওমর ফারুক ইবনে হুছাইন ভুলু (আনারস) প্রতীকে সাত হাজার ৫৪২ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। 

এসব ইউনিয়নে সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত নারী সদস্য হিসেবে নতুন মুখ রয়েছেন অনেকেই, আবার অনেকে আস্থা রেখেছেন পুরোনোদের প্রতিই। তবে শান্তিপূর্ণ পরিবেমে ভোট দিতে পারায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন অধিকাংশ ভোটাররা। নতুন ও পুরোনোদের শুভেচ্ছা জানান ভোটাররা।

লক্ষ্মীপুর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

এবার ঝিনাইদহ উপনির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন হিরো আলম

প্রকাশ: ০৮:৪৬ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আলোচিত-সমালোচিত ইউটিউবার আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম এবার ঝিনাইদহ-১ আসনের উপনির্বাচনে প্রার্থী হতে যাচ্ছেন।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) নিজেই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া প্রসঙ্গে হিরো আলম বলেন, আমি সৎ এবং সাহসী। সবাই চায় আমি যেন সংসদ সদস্য হয়ে কথা বলি, সবার পাশে থাকি। তাই ঝিনাইদহ-১ আসনের উপনির্বাচনে অংশগ্রহণ করব। সেভাবে প্রস্তুতি চলছে আমার।

হিরো আলাম আরও বলেন, আমার এক বন্ধু কুমিল্লার একটি উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। আমি সেখানে প্রচারণা চালাতে যাচ্ছি। ঝিনাইদহ-১ আসনের লোকজনের সঙ্গে কথা বলেছি, তখন তারা বলেছেন সবাই আমাকে চেনেন। আমি তাদের কাছে প্রিয় এবং পরিচিত মুখ। তারাও চায় আমি এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করি। সেখানকার জনসাধারণ আরও বলেন- নির্বাচনে তারা সাহায্য-সহযোগিতা করবেন। আমার প্রতি তাদের ভালোবাসা দেখে সেখানে উপনির্বাচনে অংশ নিতে রাজি হয়েছি। আমিও আশ্বাস দিয়েছি তাদের পাশে সবসময় থাকব।

আগামী ৫ জুন অনুষ্ঠিত হবে ঝিনাইদহ-১ আসনের উপনির্বাচন। ব্যালট পেপারে হবে এ নির্বাচন। গত মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) নির্বাচন কমিশন এই আসনের উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে।

ঝিনাইদহ উপনির্বাচন   হিরো আলম  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রীর ছোট ভাই

প্রকাশ: ০৮:৩৮ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগের দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের ছোট ভাই নজরুল মজিদ মাহমুদ স্বপন। 

নজরুল মজিদ মাহমুদ স্বপন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক ও মনোহরদী উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী সদস্য। তিনি শিল্পমন্ত্রীর মেজভাই।

দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে নির্বাচনের মাঠে মন্ত্রীর ভাইয়ের থেকে যাওয়ার বিষয়টি সুষ্ঠু নির্বাচনের ক্ষেত্রে বড় বাধা হিসেবে দেখছেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা। 

নজরুল মজিদ মাহমুদ স্বপন ছাড়াও মনোহরদী উপজেলা পরিষদের এ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন আরও চারজন। তারা হলেন- উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. ফজলুল হক, সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াশীষ কুমার রায়, সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান রঙ্গু ও রাজধানী ঢাকায় আইন পেশায় যুক্ত মো. মাসুদুর রহমান।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মনোহরদী উপজেলায় টানা পাঁচবার উপজেলা চেয়ারম্যান ছিলেন সাইফুল ইসলাম খান। গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তার নাম বাদ দিয়ে শিল্পমন্ত্রীর ভাই নজরুল মজিদ মাহমুদের নাম একক প্রার্থী হিসেবে কেন্দ্রে পাঠিয়েছিল উপজেলা আওয়ামী লীগ। কিন্তু কেন্দ্র থেকে তাকে না দিয়ে সাইফুল ইসলাম খানকেই দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে উপজেলা চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করে শিল্পমন্ত্রীর সঙ্গে ভোটের মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন সাইফুল ইসলাম খান। সাত হাজার ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন তিনি। এবার আর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হননি তিনি।

চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা বলছেন, মন্ত্রী-এমপির স্বজনদের নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর দলীয় সিদ্ধান্ত হওয়ার পর আশায় বুক বেঁধেছিলেন অন্য প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা। কিন্তু শিল্পমন্ত্রীর ভাই নজরুল মজিদ মাহমুদ এখনো সরে না দাঁড়ানোয় স্থানীয় আওয়ামী লীগের সব নেতাকর্মীর মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। দলীয় সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন না করায় দ্বিধা-বিভক্ত হয়ে পড়ছেন সবাই। শিল্পমন্ত্রী নীরব থাকা সত্ত্বেও তার ভাই নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করছেন। মন্ত্রীর পরিবারেই যদি উপজেলা চেয়ারম্যানের পদও চলে যায়, তাহলে আর অন্যদের রাজনীতি করে লাভ কী? শেষ পর্যন্ত নজরুল মজিদ মাহমুদ যদি ভোটের মাঠে থেকেই যান, তবে জোর করেই ভোট নিয়ে নেবেন তিনি, এমন ভীতি কাজ করছে ভোটারদের মধ্যে।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. ফজলুল হক জানান, শিল্পমন্ত্রীর সঙ্গে পরামর্শ করেই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছি। শিল্পমন্ত্রীর ছোটভাই নজরুল মজিদ মাহমুদ দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে এখনো ভোটের মাঠে আছেন। আশা করছি, সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত মেনে তিনি দ্রুতই সরে দাঁড়াবেন।

এ বিষয়ে শিল্পমন্ত্রীর ভাই নজরুল মজিদ মাহমুদ স্বপন সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচন করব বলেই মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা দিয়েছি। মন্ত্রীর ভাই হিসেবে নয়, নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক হিসেবে রাজনীতি করে আসছি। আমি আমার অবস্থান থেকেই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দাঁড়িয়েছি। তাছাড়া নির্বাচন না করার ব্যাপারে দলীয় কোনো লিখিত নির্দেশনা পাইনি। সে কারণে আমার নির্বাচন করতে কোনো সমস্যা নেই বলে দাবি করেন তিনি।


উপজেলা নির্বাচন   আওয়ামী লীগ   শিল্পমন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন