ইনসাইড বাংলাদেশ

আনু মুহাম্মদের দুর্ঘটনা এবং সুশীলদের জন্য কিছু করুণা

প্রকাশ: ০৫:০০ পিএম, ২২ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ ট্রেন থেকে নামার সময় পড়ে গিয়ে আহত হয়েছেন। তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক। আনু মুহাম্মদের এই ঘটনাটি নিয়ে বিভিন্ন মহলে সমবেদনা দেখা যাচ্ছে। এমনকি বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছেন এবং দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন আনু মুহাম্মদের।

আনু মুহাম্মদের এই দুর্ঘটনা ঘটল কীভাবে? এ নিয়ে একটু নির্মোহ বিশ্লেষণ দরকার বলেই আমরা মনে করি।

জানা গেছে, ট্রেন থেকে নামার সময় পা পিছলে পড়েছেন আনু মুহাম্মদ। এ সময় তার দুই পা ট্রেনের চাকার নিচে চলে যায়। বেলা ১১টার দিকে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, আনু মুহাম্মদ গিয়েছিলেন তেল-গ্যাস-খনিজ ও বিদ্যুৎ রক্ষা জাতীয় কমিটির একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে। সেখানে দিনাজপুরে স্মরণ সভায় বক্তব্য রেখে তিনি ঢাকায় ফিরছিলেন। ঢাকায় ফেরার পথে তিনি খিলগাঁওয়ে ট্রেন থেকে নামার পথে দুর্ঘটনায় পতিত হন।

রাজধানীর খিলগাঁয়ের কোন রেলস্টেশন নেই। প্রশ্ন হল, খিলগাঁওয়ে যদি ট্রেন স্টেশন না থাকে তাহলে আনু মুহাম্মদ কীভাবে নামছিলেন?

মালিবাগ-খিলগাঁও ইত্যাদি এলাকাগুলোতে যদি আমরা সরেজমিনে পরিদর্শন করি তাহলে দেখব যে, এই সমস্ত জায়গাগুলোতে ট্রেন ধীরলয়ে চলে এবং অনেকেই ঝুঁকি নিয়ে এই ট্রেনগুলো থেকে নেমে যান দ্রুত বাড়িতে ফেরার জন্য। আবার অনেক সময় এই ট্রেনগুলো আসার পথেও অনেক যানবাহন রেল গেট উপেক্ষা করে চলাচলের চেষ্টা করে এবং সেখানেও দুর্ঘটনা ঘটে।

আনু মুহাম্মদ একজন অর্থনীতিবিদ, একজন বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী, স্বনামধন্য ব্যক্তিত্ব। বাম রাজনীতির সঙ্গে তিনি যুক্ত এবং সবসময় তিনি ন্যায়বিচার আইনের শাসনের কথা বলেন। তেল-গ্যাস-রক্ষা নিয়ে তার বক্তব্য অনেকের মধ্যে দেশপ্রেম উজ্জীবিত করে। এরকম একজন ব্যক্তি কীভাবে খিলগাঁওয়ে অবৈধভাবে রেললাইন থেকে ঝুঁকি নিয়ে নামার চেষ্টা করেন!

একজন বুদ্ধিজীবী বা একজন সুশীল সমাজের প্রতিনিধি জাতির বিবেক। জাতির অনুসরণীয় আদর্শ এবং ব্যক্তিত্ব। তিনি যখন কোন কাজ করবেন সেটি অন্যরা অনুসরণ করবে। আমরা সবসময় সড়ক দুর্ঘটনা বা রেল দুর্ঘটনা প্রতিরোধের জন্য সকলকে আইন মানার জন্য বলি। সকলে যেন আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকে সেই কথা বলি। তাহলে আনু মুহাম্মদ এর মতো একজন বিদ্ধজন কী কাজ করলেন?

খিলগাঁওয়ে অবৈধভাবে টোকাইদের মতো করে তিনি রেল থেকে ঝাঁপিয়ে পড়ার চেষ্টা কেন করলেন?। কাজটি কি তিনি ঠিক করেছেন?

তবে মজার ব্যাপার হল, বাংলাদেশের শীর্ষ স্থানে কোন গণমাধ্যম বিষয়টি নিয়ে কথা বলছেন না। তারা আনু মুহাম্মদের দুর্ঘটনার খবরটিকে ফলাও করে প্রকাশ করেছেন। কিন্তু তিনি যে একটি নিয়ম বহির্ভূত কাজ করেছেন, তিনি যে অন্যায়ভাবে যেখানে রেল ষ্টেশন নয় সেখানে ঝুঁকি নিয়ে নামার চেষ্টা করেছেন সেই বিষয়টিকে সকলে এড়িয়ে গেছেন।

এই ঘটনার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের সুশীল সমাজের একটি চিত্র প্রস্ফুটিত হয়। আমাদের সুশীলরা সবসময় জ্ঞান দেন, নীতিবাক্য বলেন এবং ন্যায়ের পথে চলার কথা বলেন। কিন্তু তারাই সবচেয়ে বড় অন্যায়গুলো করেন।

বাংলাদেশে যেন দুই ধরণের আইন আছে, এক ধরনের আইন হলো সাধারণ মানুষের জন্য আরেক ধরনের আইন সুশীল সমাজের মতো বুদ্ধিজীবিদের জন্য। কোন আইনই যেন বুদ্ধিজীবিদের জন্য বিবেচ্য হয়না। কোন আইন মানতে তারা বাধ্য নয়। বরং তারা শুধুমাত্র সেই সমস্ত কাজ করবেন যেটি তাদের জন্য সুবিধাজনক। এই ঘটনাটি তার একটি উদাহরণ।


বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ   অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ   জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়   সুশীল সমাজ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বকেয়া বেতনের দাবিতে বনানীতে পোশাক শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ

প্রকাশ: ১১:৩৫ এএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

কারখানা বন্ধের প্রতিবাদ ও বকেয়া বেতনের দাবিতে রাজধানীর বনানী এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন পোশাক শ্রমিকরা।শনিবার (৪ মে) সকাল সাড়ে ৮টা থেকে কারখানা বন্ধের প্রতিবাদে তারা বিক্ষোভ করছেন।

এ ঘটনায় সড়কে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে যারা এয়ারপোর্টের উদ্দেশে বের হয়েছেন তাদের ভোগান্তির শেষ নেই।

এ বিষয়ে বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী সাহান হক বলেন, নেপারেল গার্মেন্টস লিমিটেড নামের একটি কারখানা বন্ধের প্রতিবাদ করছেন শ্রমিকরা। তারা সকাল সাড়ে ৮টা থেকে সড়ক অবরোধ করেন। পরিস্থিতি মোকাবিলায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

ওসি বলেন, আমরা গার্মেন্টসটির মালিকপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তারা ঘটনাস্থলে এলে শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা করবেন। সড়ক স্বাভাবিক করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।


বকেয়া বেতন   দাবি   পোশাক   শ্রমিক   সড়ক   অবরোধ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

থানায় ঢুকে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর উপর হামলা, চেয়ারম্যান প্রার্থীকে শোকজ

প্রকাশ: ১০:১৬ এএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলা নির্বাচনে স্থানীয় সংসদ সদস্য আব্দুল মমিন মন্ডলের প্রভাব বিস্তার ও থানায় ঢুকে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী বদিউজ্জামান ফকিরের উপর হামলার অভিযোগে অপর প্রার্থী আমিনুল ইসলামকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে রিটার্নিং কর্মকর্তা।

 

শুক্রবার (৩ মে) রাতে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন অফিসার মোঃ শহিদুল ইসলাম এই নোটিশ দেন। নোটিশে আগামী দুই দিনের মধ্যে লিখিত জবাব দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।


আরও পড়ুন: উপজেলায় বেপরোয়া মন্ত্রী-এমপিরা 

 

নোটিশে উল্লেখ করা হয়, উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা অনুযায়ী, নির্বাচনি প্রচারণার ক্ষেত্রে যে কোন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী, নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী কোন রাজনৈতিক দল কিংবা উহার মনোনীত প্রার্থী বা স্বতন্ত্র প্রার্থী কিংবা তাহাদের পক্ষে অন্য কোন ব্যক্তির সমান অধিকার থাকিবে। সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি এবং কোন সরকারি কর্মকর্তা বা কর্মচারী নির্বাচনপূর্ব সময়ে নির্বাচনি এলাকায় প্রচারণায় বা নির্বাচনি কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করিতে পারিবেন না” এবং প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বা তাহার পক্ষে অর্থ, অস্ত্র ও পেশী শক্তি কিংবা স্থানীয় ক্ষমতা দ্বারা নির্বাচন প্রভাবিত করা যাইবে না। 


আরও পড়ুন: এসিতে সব সময় থাকলে যে সমস্যা গুলো দেখা দিতে পারে

 

কিন্তু আমিনুল ইসলাম সরকারের পক্ষে সিরাজগঞ্জ-৫ (বেলকুচি-চৌহালী) আসনের সংসদ সদস্য প্রভাব বিস্তার করছেন মর্মে বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়াও গত ১ মে আমিনুল ইসলাম বেলকুচি থানার ভিতরে ঢুকে অপর চেয়ারম্যান প্রার্থী জনাব মোঃ বদিউজ্জামান ফকিররের উপর আক্রমণ করেন। এ বিষয়ে বদিউজ্জামান ফকির লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এসব কর্মকান্ড উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা, ২০১৬ এর বিধি ৩, বিধি ২২ এর (১) এবং বিধি ৩১ এর পরিপন্থী। এমতাবস্থায়, আচরণ বিধি লঙ্ঘনের কারণে কেন বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না তা ২ দিনের মধ্যে লিখিতভাবে জবাব দাখিল করার জন্য বলা হলো।


আরও পড়ুন: আদর্শবানরা ক্ষমতায় বিনয়ী হন, অযোগ্যরা বদলে যায়

 

রিটার্নিং কর্মকর্তা মোঃ শহিদুল ইসলাম কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রেরণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।


উপজেলা নির্বাচন   চেয়ারম্যান প্রার্থী   নির্বাচনী আচরণবিধি   শোকজ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

কমলাপুরে এখনও আসেনি ভোরের ট্রেন, ভয়াবহ শিডিউল বিপর্যয়

প্রকাশ: ০৯:২৪ এএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

গাজীপুরে দুর্ঘটনা কবলিত ট্রেন ও ওয়াগনের লাইনচ্যুত ১১ বগি উদ্ধারে রাতভর অভিযান চলেছে। এখন পর্যন্ত লাইন থেকে বগি সরানোর কাজ শেষ করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। এতে চরম শিডিউল বিপর্যয়ে পড়েছে ট্রেন। ফলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে যাত্রীদের।

শুক্রবার দুর্ঘটনার পর আজ শনিবার (৪ মে) সকাল পর্যন্ত ১৮ ঘণ্টা পেরিয়ে গেছে। কিন্তু উদ্ধার কাজ শেষ না হওয়ায় ব্যাহত হচ্ছে ট্রেনের স্বাভাবিক চলাচল। কাঙ্ক্ষিত ট্রেনের আশায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা স্টেশনে অপেক্ষা করছেন যাত্রীরা।

ভোর ৬টায় কমলাপুর স্টেশন থেকে রাজশাহীর ধূমকেতু এক্সপ্রেস ট্রেন ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও সকাল ৮টা পর্যন্ত ট্রেন কোন প্ল্যাটফর্ম থেকে ছেড়ে যাবে, কোথায় আসবে সেটিই দেয়া হয়নি। ফলে এই ট্রেনটি কখন ছাড়বে জানেন না যাত্রীরা।

একইভাবে ৪ নং প্ল্যাটফর্ম থেকে ভোর সোয়া ৬টায় কক্সবাজার এক্সপ্রেসের ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও সেটি কখন ছেড়ে যাবে তা বলতে পারছেন না কেউ। এখন পর্যন্ত ট্রেনটি প্ল্যাটফর্মে আসতে পারেনি।

সকাল পৌনে ৭টায় চিলাহাটি এক্সপ্রেস ট্রেনটি এখান থেকে ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও বলা হচ্ছে ট্রেনটি সকাল ৯টায় ছেড়ে যাবে। কিন্তু ৮টা পর্যন্ত ট্রেন কোন প্ল্যাটফর্ম থেকে ছেড়ে যাবে, কোথায় আসবে সেটিই দেয়া হয়নি। জানা গেছে, ট্রেনটি এখনও ঢাকায়ই আসতে পারেনি।

সকাল সোয়া ৭টায় কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেসের ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও সেটির প্ল্যাটফর্ম জানানো হয়নি। যদিও স্টেশন কর্তৃপক্ষ বলেছিল, ট্রেনটি সকাল সাড়ে ৮টায় কমলাপুর ছাড়বে।

এমন অবস্থায় শঙ্কা দেখা দিয়েছে, আজ সারাদিন উত্তরবঙ্গের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া সব ট্রেনেরই ভয়াবহ শিডিউল বিপর্যয় হবে। 

 এদিকে দুর্ঘটনার শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত রাতভর উদ্ধার অভিযানের পর সকাল থেকে আবারও লাইনের ওপর থেকে ক্রেন দিয়ে বেঁধে একে একে সরানো হচ্ছে বগি। টাঙ্গাইল কম্পিউটার ট্রেনের ইঞ্জিনের দুটি অংশ ও তেলবাহী ট্রেনের দুটি ওয়াগন এখনো লাইনের ওপর পড়ে আছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, টাঙ্গাইল কম্পিউটারের ইঞ্জিন ও তেলবাহী ওয়াগান সরানো গেলেই শুরু হবে লাইন মেরামতের কাজ।

 শুক্রবার সকালে টাঙ্গাইল থেকে একটি কমিউটার ট্রেন ঢাকায় ফিরছিল। পথে জয়দেবপুর জংশনে পৌঁছালে একই লাইনে ঢাকা থেকে আসা দাঁড়িয়ে থাকা তেলবাহী ট্রেনের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে দুমড়ে মুচড়ে যায় বগি। ঘটনাস্থল থেকে দুই লোকোমাস্টারসহ চারজনকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে নেয়া হয় হাসপাতালে। দুই রেলের ইঞ্জিনসহ ১১টি বগি লাইন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।


ট্রেন   ভয়াবহ   শিডিউল   বিপর্যয়  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

এসিতে সব সময় থাকলে যে সমস্যা গুলো দেখা দিতে পারে

প্রকাশ: ০৮:৩১ এএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

তাপদাহ হাঁসফাঁস করছে মানুষ। স্বস্থি পেতে ব্যাবহার করছে এসি। এসিতে মানুষকে একটু হলে স্বস্তি দিচ্ছে। তবে এই আরামও আপনার জন্য ক্ষতিকর হতে পারে, যদি দীর্ঘ সময় এসিতে থাকেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সারাদিন এসিতে থাকার ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে শরীরে।

শ্বাসকষ্ট

যাদের শ্বাসকষ্টের সমস্যা আছে তারা এসিতে থাকার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকবেন। কারণ অনেকের ক্ষেত্রে দীর্ঘ সময় এসি রুমে থাকার কারণে শ্বাসকষ্ট বা খুশখুশে কাশি দেখা যায়। সেইসঙ্গে গলা শুকিয়ে আসা, চোখ শুষ্ক হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে। তাই আগেভাগেই হতে হবে সতর্ক। অনেকের ক্ষেত্রে দীর্ঘ সময় এসিতে থাকার ফলে নাক বন্ধ হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা হতে পারে। মিউকাস মেমব্রেনে প্রদাহের সমস্যাও হতে পারে এই অভ্যাসের ফলে।

পানি শূন্যতা

গরমের সময় যেকোনোভাবে শরীরকে হাইড্রেটেড রাখার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু এসি থাকলে আপনার শরীর বেশি আর্দ্রতা শোষণ করবে। যে কারণে ডিহাইড্রেশন দেখা দেয়ার ভয় থাকে। তাই এসিতে থাকলেও আপনাকে একটু পর পর পান করতে হবে পর্যাপ্ত পানি।

মাথাব্যথা

মেডিসিন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দীর্ঘ সময় এসিতে থাকলে মাইগ্রেনের সমস্যা দেখা দিতে পারে অনেকের ক্ষেত্রেই। তবে শুধু মাইগ্রেন নয়, সেইসঙ্গে যেকোনো ধরনের মাথাব্যথাই বেড়ে যেতে পারে এই অভ্যাসের কারণে। ঠান্ডাজনিত অসুখের কারণে মাথা ব্যথার প্রকোপও দেখা যায়। তাই এসি রুমে থাকার ক্ষেত্রে এই বিষয়গুলোর প্রতি খেয়াল রাখুন।

ত্বকের সমস্যা

তীব্র গরমে দীর্ঘ সময় এসিতে থাকলে ত্বকের ওপর প্রভাব পড়ে। কারণ এর ফলে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। অনেক সময় ত্বক ফেটে গিয়ে চুলকানি দেখা দিতে পারে। আবার রোদ ও এসির ঠান্ডা এই দুইয়ের মাঝে আমাদের ত্বক অনেক সময় খাপ খাওয়াতে পারে না। যে কারণে ত্বকে দেখা দেয় অনেক ধরনের সমস্যা।




এসি   সমস্যা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

মামুনুলকে ঘিরে আবার সঙ্ঘবদ্ধ হবে ধর্মান্ধ মৌলবাদীরা?

প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

তিন বছরের বেশি সময় কারাগারে থাকার পর অবশেষে মুক্তি পেয়েছেন হেফাজতের সাবেক কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক। আজ সকাল ১০টায় গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান এই ধর্মান্ধ মৌলবাদী নেতা। 

মামুনুল হক হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব হওয়ার পরই হেফাজত পাল্টে যেতে শুরু করে। উগ্র ভারত বিরোধিতা, সরকার বিরোধী অবস্থান এবং জঙ্গিবাদকে লালন করে মামুনুল হক সরকারের বিরুদ্ধে এক ধরনের অবস্থান গ্রহণ করতে শুরু করেন। তার কারণেই বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ৫০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে নানা রকম অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা করা হয়। 

মামুনুল হক যুগ্ম মহাসচিব হওয়ার পর হেফাজতকে উগ্রবাদী ধারা এবং সরকার বিরোধী একটি অবস্থানের দিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। আর এ রকম একটি পরিস্থিতির মধ্যে দেশে নতুন করে উগ্র মৌলবাদীদের মেরুকরণ ঘটতে থাকে। এরকম বাস্তবতায় ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের রয়েল রিসোর্টে এক নারীর সঙ্গে মওলানা মামুনুল হককে অবরুদ্ধ করে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।

পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। খবর পেয়ে হেফাজত ও স্থানীয় কর্মীরা রিসোর্টে গিয়ে ভাংচুর চালিয়ে তাকে উদ্ধার করে। রয়েল রিসোর্টের সেই ঘটনার পর একাধিক মামলা হয় এবং এই সমস্ত মামলার প্রেক্ষিতে মোহাম্মদপুরের জামিয়া রহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসা থেকে ১৮ এপ্রিল ২০২১ সালে তাকে গ্রেপ্তার করে। 

পরে ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় তার বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ মামলা করা হয় এবং একই সাথে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্থানে রাষ্ট্রদ্রোহিতা সহ অর্ধশতাধিক মামলা দায়ের করা হয়। এই সমস্ত মামলায় দীর্ঘদিন কারাগারে থাকার পর অবশেষে আজ মুক্তি পেলেন এই বিতর্কিত সাবেক হেফাজত নেতা।

মামুনুল হকের মুক্তির পর কতগুলো প্রশ্ন সামনে এসেছে। মামুনুল হকের একটি কর্মীবাহিনী রয়েছে। তার কিছু উগ্র জঙ্গীবাদী সমর্থক গোষ্ঠী রয়েছে। আজ যখন তিনি কারাগার থেকে মুক্তি পান তখনই দেখা যায় যে, তার কর্মী সমর্থকরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তারা বিভিন্ন রকম স্লোগানও দিয়েছেন। 

এখন প্রশ্ন হল, মুক্তির পর মামুনুল হক কী করবেন? কেউ কেউ মনে করছেন যে, মামুনুল হকের মুক্তি আপস সমঝোতার অংশ হিসেবে হয়েছে। মামুনুল হক এখন আগের মতো সরকার বিরোধী, জঙ্গি বিরোধী অবস্থানে যাবেন না। কিন্তু যারা মামুনুল হকের রাজনৈতিক গতিপ্রকৃতি সম্বন্ধে অবহিত আছেন, তারা জানেন যে, তিনি জামাতপন্থী এবং হেফাজত ইসলামকে একটি উগ্র সরকার বিরোধী রাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে বিকশিত করার জন্য তার একটি মহা পরিকল্পনা ছিল এবং সেই মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্যই তিনি হেফাজতে নেতৃত্বের দায়িত্ব নিয়েছিলেন। কিন্তু এই সময় তার কর্মকাণ্ড ছিল রাষ্ট্রবিরোধী এবং প্রতিহিংসা মূলক। আর একারণেই সরকারের পক্ষ থেকে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা দেয়া হয়েছিল। 

মামুনুল হকের মত উগ্ৰ ধর্মান্ধ ব্যক্তিরা কখনোই সরকারের পক্ষে শক্তি হতে পারে না। মামুনুল হক যদি সরকারের সঙ্গে সমঝোতাও করেন সেটি তার বাঁচার কৌশল হিসেবে। কিন্তু তার রাজনৈতিক ধারাই হলো সাম্প্রদায়িক উগ্র ধর্মান্ধ এবং ভারত বিরোধী। আর একারণেই মামুনুল হক মুক্তির পর হয়তো কিছু সময় নিবেন। কিন্তু আবার নতুন করে সংগঠিত হয়ে তিনি যে সরকারের বিরুদ্ধেই আবার ষড়যন্ত্র করবেন এ ব্যাপারে রাজনৈতিক অঙ্গনে কোন রকম সংশয় নেই।

মামুনুল হক   হেফাজত   মৌলবাদী  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন