কক্সবাজারে মানব পাচারকারীদের দৌরাত্ম দিন দিন বেড়েই চলেছে। এতে রোহিঙ্গাসহ স্থানীয়দের মধ্যে উৎকণ্ঠা বাড়ছে। এরই মধ্যে মানব পাচারের সঙ্গে জড়িতদের তালিকা করেছে সরকারি বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা। তালিকায় ৩০ জন রোহিঙ্গা ও ৩০ জন স্থানীয় বাসিন্দার নাম পেয়েছে গোয়েন্দা সূত্র।
তদন্তে উঠে এসেছে মানব পাচারের ভয়ংকর তথ্য। পাচারকারীরা ভুক্তভোগীদের উন্নত জীবনযাপনের আকাশছোঁয়া স্বপ্ন দেখিয়ে সাগর পথে নিয়ে যাওয়ার পর অনেকে ফিরেছেন লাশ হয়ে। পাচারকারী ৬০ জনের ৩০ জনই রোহিঙ্গা সদস্য। আর ভুক্তভোগীদের মধ্যে মিয়ানমারের বাস্তচ্যুত রোহিঙ্গা সদস্যদের সংখ্যাই বেশি।
স্থানীয়দের মধ্যে বাংলাদেশি এই চক্রের অন্যতম সদস্য মোহাম্মদ হোসাইন ওরফে ডাকাত হোসাইন ওরফে দালাল। চক্রের ৬০ জনই মানব পাচারের সিন্ডিকেট বিদেশি নেটওয়ার্কের সঙ্গে জড়িত।
তদন্ত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রোহিঙ্গাসহ বাংলাদেশি মানব পাচারকারী চক্রটি মিয়ানমারের নৌ বাহিনী ও মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিপি) সংশ্লিষ্টতায় এবং সেখানকার দালাল চক্রের মাধ্যমে নৌ পথে প্রথমে থাইল্যান্ড বা ইন্দোনেশিয়া নিয়ে যায়। সেখানে বিমানযোগে বৈধভাবে অন্যান্য দেশে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে আদায় করে লাখ লাখ টাকা। এরপর সেখানে বিদেশ যেতে ইচ্ছুকদের জিম্মি করা হয়।
আকাশপথে নেওয়ার কথা বলা হলেও শেষ পর্যন্ত তাদের ট্রলারে করে থাইল্যান্ড থেকে ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুর পাচার করে সেখানকার দালালদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। যাদের জিম্মি করা হয় তাদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের অর্থের মুক্তিপণ নিয়ে সাগরপথে আশপাশের দেশগুলোতে নিয়ে যাওয়া হয়। ২০১৯ সাল থেকে গত বছর পর্যন্ত ১৯ টি মানব পাচারের মামলা হয়। মামলাগুলোর বিচারিক কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
যে কৌশলে পাচার হয়ে থাকে:
তদন্ত সংশ্লিষ্টরা বলেন, মিয়ানমার থেকে আসা ট্রলার ও কার্গোতে আমদানিকৃত পণ্যসামগ্রী খালাসের পর রপ্তানি যোগ্য পণ্যের জন্য ট্রলার ও কার্গো নাফ নদীর জাইল্লার দ্বীপে নোঙ্গর করে থাকে। মাদক চোরা চালান ও মানব পাচারের সঙ্গে সম্পৃক্ত রোহিঙ্গারা নাফ নদীর জাইল্লার দ্বীপে নোঙ্গরকৃত ট্রলার ও কার্গোর পরিচালকের মাধ্যমে অর্থের বিনিময়ে চুক্তি করে ইন্দোনেশিয়া যাওয়ার জন্য।
গোয়েন্দা সংস্থার তদন্তে তথ্য উঠে এসেছে, তৎকালীন রোহিঙ্গা শরণার্থী পাচারের সঙ্গে জড়িত সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে মামলা ও গ্রেপ্তার হওয়ার পর ২০১৭ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত রোহিঙ্গারা সাগরপথে ট্রলারযোগে থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরে অবস্থানরত তাদের আত্মীয়দের কাছে আশ্রয় নেওয়ার চেষ্টা করেন।
উল্লেখ্য, আশ্রয় শিবিরের জনবসতিপূর্ণ এলাকায় কর্মহীন অবস্থায় বসবাস করায় এবং মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন প্রলম্বিত হওয়ায় আত্মস্বীকৃতি ও কাজের সন্ধান করতে গিয়ে পাচারকারীদের খপ্পরে পড়ে এসব রোহিঙ্গারা। এভাবে কক্সবাজারের টেকনাফ, উখিয়ায় সাগরপথে যাওয়া স্বল্প সংখ্যক রোহিঙ্গা স্বজনদের কাছে পৌঁছাতে পারলেও এদের বেশিরভাগই সমুদ্রে ট্রলার ডুবিতে মারা যান। আবার কেউ কেউ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার ও উদ্ধারও হন।
বর্তমানে বাংলাদেশে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের মধ্যে উন্নত জীবনযাপনের আশায় বিদেশে অবৈধভাবে যাওয়ার প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। রোহিঙ্গাদের একটি অংশ বিভিন্ন উপায়ে বাংলাদেশের পাসপোর্ট সংগ্রহ করে বিদেশ যাওয়ার চেষ্টা করছে। আরেকটি অংশ অবৈধভাবে সমুদ্রপথে বিদেশ গিয়ে কাজের পাশাপাশি বাংলাদেশি পরিচয়ে অবৈধভাবে বসবাস এবং পাসপোর্ট সংগ্রহের চেষ্টা করে থাকে। রোহিঙ্গাদের এমন কার্যকলাপের কারণে সংশ্লিষ্ট দেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে। এতে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের শ্রম বাজারের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে বলেও গোয়েন্দা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা ক্যাম্পের রোহিঙ্গারা বিগত সময়ে মিয়ানমার, থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়া হয়ে ইন্দোনেশিয়া এবং সিঙ্গাপুর যাচ্ছেন। বিদেশে চাকরি প্রত্যাশী যারা যাচ্ছেন সেসব রোহিঙ্গারা দালালদের মাথাপিছু আড়াই থেকে ৩ লাখ টাকা দিয়ে থাকেন। আর টাকা দিয়েও প্রতারণার শিকার হয়েছেন অনেকে।
কারাভোগ শেষে ফিরে এলেন ১৭৩ জন:
প্রায় আড়াই বছর মানব পাচারকারীদের খপ্পরে পড়ে মিয়ানমারের নৌ বাহিনী ও বিজিপির কাছে আটক হয়ে কারাভোগের পর গত বুধবার (২৪ এপ্রিল) ১৭৩ বাংলাদেশিকে ফিরিয়ে দিয়েছে মিয়ানমার সরকার। ১৭৩ জনের মধ্যে ১২৯ জনই কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন থানার, ৩০ জন বান্দরবান জেলার এবং ৭ জন রাঙ্গামাটি জেলার, খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী, নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রাম, রাজবাড়ী, নরসিংদী ও নীলফামারী জেলার বাসিন্দা। তবে পুলিশের ভাষ্য, এই ১৭৩ জন শুধু মানব পাচারকারীদের কাছেই নয় বিভিন্ন কারণে তারা ওই দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে গ্রেপ্তার হয়ে কারাভোগ করেছেন।
গত বুধবার (২৪ এপ্রিল) ১৭৩ জনের মধ্যে কারাভোগের পর দেশে ফিরে আসেন টেকনাফ উপজেলার রাজারছড়া এলাকার মোস্তাক আহমেদের ছেলে নোমানসহ আরও ৫০ জন। তারা মিয়ানমারের নৌবাহিনীর হাতে আটক হয়েছিলেন আড়াই বছর আগে। তারা সমুদ্রপথে ট্রলার করে মালয়েশিয়া যাওয়ার চেষ্টাকালে সেন্টমার্টিন দ্বীপের অদূরে আটক হয়েছিলেন।
ওই ট্রলারে দেশের বিভিন্ন স্থানের আরও ৪৯ জন যাত্রী ছিলেন। তাদের বহনকারী ট্রলারটির ইঞ্জিন বিকল হয়ে বঙ্গোপসাগরে ভাসমান অবস্থায় ছিল। চার থেকে পাঁচ দিন সাগরে ভাসমান থাকার পর মিয়ানমারের নৌ বাহিনী তাদের আটক করে। পরে তাদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়ে সে দেশের কারাগারে পাঠায়। প্রায় আড়াই বছর (৩০ মাস) কারাভোগের পর বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রচেষ্টায় গত ২৪ এপ্রিল স্বদেশে ফেরত আসেন নোমান।
নোমান জানান, উন্নত মানের চাকরির আশায় উনছিপ্রাং এলাকার হোসাইন দালালের প্রলোভনে পড়ে তিনিসহ রামু, মহেশখালী এবং আরও বিভিন্ন এলাকার ৪৯ জন মালয়েশিয়া যেতে চেয়েছিলেন। তাদের আটক করার পর প্রতিদিন এক বেলা খাবার দেওয়া হতো। কারাগারে বিভিন্ন ধরনের নির্যাতনের পাশাপাশি অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েন। ধারণা করা হয়েছিল, কখনো আর ফেরা হবে না দেশে। কিন্তু বাংলাদেশ সরকারের প্রচেষ্টায় দেশে ফিরতে সক্ষম হয়েছে তারা।
একইভাবে নোমানের
মতো
হোসাইন
দালাল
চক্রের
খপ্পরে
পড়েন
হোয়াইক্ষ্যং
এলাকার
বাসিন্দা
রশিদ
আহমদ।
কক্সবাজারে
বিআইডব্লিউটিএ ঘাটে দুই ছেলের
জন্য
অপেক্ষা
করছিলেন
তিনি।
এসময় তিনি
বলেন,
‘আমার
দুই
ছেলে
মুক্তার
আহমেদ
ও
আল
মামুনকে
অল্প
টাকায়
মালয়েশিয়া
নেওয়ার
কথা
বলে
হোসাইন
দালাল
টেকনাফের
বাহারছড়ার
জাহাজপুরা
এলাকা
থেকে
বোটে
তুলে
দেন।
বোটে
কয়েক
দিন
থাকার
পর
মিয়ানমার
সীমান্তে
নামিয়ে
দেয়।
পরে
মিয়ানমারের
সীমান্তরক্ষী
বাহিনী
বিজিপি
তাদের
আটক
করে।
হোসাইন
দালাল
মালয়েশিয়া
পৌঁছে
দেওয়ার
কথা
বলে
দুই
লাখ
টাকা
নেন।
ছেলের
সঙ্গে
কথা
বলতে
চাইলে
তিনি
বিভিন্ন
অজুহাত
দেখান।
পরে
দুই
ছেলে
মিয়ানমার
থেকে
কল
করে
জানায়,
তারা
কারাগারে
আছে।
হোসাইন
দালালের
ঘরে
বেশ
কয়েকবার
গেলেও
উল্টো
আমাকে
হুমকি
দিয়ে
তিনি
বের
করে
দিয়েছিলেন।
তিনি
অনেক
প্রভাবশালী।
তার
এক
ভাগনে
নাকি
মন্ত্রীর
সচিব।’
মানব পাচার রোহিঙ্গা সাগরপথে উন্নত জীবন
মন্তব্য করুন
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় ৮ম শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রকে আনসারের পোষাক পড়ে নির্বাচনে ডিউটি করছেন। চাচা আলামিনের পরিবর্তে তিনি নির্বাচনে আনসারের ডিউটি করতে এসেছেন বলে ওই স্কুল ছাত্র জানিয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার (২১ মে) সকাল ৯টায় সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে সরেজমিনে দেখা যায় হোসাইন (১৪) নামে এক কিশোর আনসারের পোশাক পড়ে নির্বাচনের ডিউটি করছেন। এসময় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে বলেন,তার বাড়ি উল্লাপাড়া উপজেলার বড়হর ইউনিয়নের পাগলা বোয়ালিয়া গ্রামে। তার বাবা জয়নাল আবেদীন আনসারের ইউনিয়ন কমান্ডার। তিনি পাগলা বোয়ালিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীর ছাত্র। ভর্তি রোল নাম্বার ৭৮। চাচা অসুস্থ থাকায় তার পরিবর্তে তিনি ডিউটিতে এসেছেন।
তবে এই কিশোর (স্কুল ছাত্র) কিভাবে নির্বাচন ডিউটিতে এসেছেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
উল্লাপাড়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার মোঃ আহসান কবির বলেন, ‘ওই শিশু কিভাবে নির্বাচন ডিউটিতে এসেছে তা আমি বলতে পারবো না। এবিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলতে পারবে।’
এই কেন্দ্র দায়িত্বরত প্লাটুন কমান্ডার (পিসি) মোঃ ইকবাল হোসেন বলেন, ‘আনসারের তালিকায় হোসাইনের নাম নেই। চাচা অসুস্থ থাকায় কোন লোক না পাওয়ায় তাকে আনা হয়েছে।’
মন্তব্য করুন
এবার বিশ্বের চতুর্থ সর্বোচ্চ শৃঙ্গ লোৎসে জয় করলেন বাংলাদেশি বাবর আলী।
মঙ্গলবার (২১ মে) বাংলাদেশ সময় ৬টা ৫ মিনিটে বাবর আলী লোৎসের চূড়ায় দাঁড়ান। লোৎসের উচ্চতা ২৭ হাজার ৯৪০ ফুট (৮ হাজার ৫১৬ মিটার)।
বাবর আলীর লোৎসে জয়ের তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন অভিযানের সমন্বয়ক ফরহান জামান। তিনি বলেন, আজ ভোরে বাবর আলী লোৎসে জয় করেছেন। বাংলাদেশের ইতিহাসে বাবর আলীই প্রথম ব্যক্তি যিনি একই অভিযানে দুটি আট হাজার মিটার পর্বত সামিট করেছেন।
বাবর আলী সুস্থ আছেন জানিয়ে ফরহান জামান আরো বলেন, আজ তিনি রওনা দিয়ে ক্যাম্প-৪ এ এসে পৌঁছাবেন বলে আশা করছি।
বাবরের সংগঠন ভার্টিক্যাল ড্রিমার্স নিজেদের ফেসবুক পেজে লোৎসে পর্বতজয়ের তথ্য জানিয়ে বলেছে, 'বাংলাদেশের পর্বতারোহণের ইতিহাসে আজ লিখিত হলো অভূতপূর্ব ও রোমাঞ্চকর এক অধ্যায়। আর লেখক আমাদের স্বপ্ন সারথি-বাবর আলী।...এটিই এই বাংলাদেশের কোনো সন্তানের প্রথম লোৎসে সামিট এবং প্রথম একই অভিযানে দুইটি ৮ হাজারি শৃঙ্গ সামিট। ...বাবর এখন নেমে আসা শুরু করেছে। বেসক্যাম্পে পৌঁছালেই হবে মূল উৎসব'।
এর আগে গত রোববার (১৯ মে) বাংলাদেশ সময় সকাল পৌনে ৯টায় পঞ্চম বাংলাদেশি হিসেবে বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্টের চূড়ায় পৌঁছান বাবর আলী।
এর আগে, ১ এপ্রিল নেপালের উদ্দেশে দেশ ছাড়েন চট্টগ্রামের বাবর আলী। পর্বতারোহণের প্রয়োজনীয় অনুমতি ও নানা সরঞ্জাম কেনার কাজ শেষ করে নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে লুকলার উদ্দেশ্যে রওনা দেন তিনি। সেখানে অবস্থান করেন সপ্তাহখানেক। ট্রেকিং পর্ব শেষ করে পৌঁছান এভারেস্টের বেস ক্যাম্পে। মূল অভিযান শুরু হয় সেখান থেকে।
মন্তব্য করুন
দ্বিতীয় ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে। দেশের ১৫৭ টি উপজেলায় এ ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সকাল ৮ টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে চলবে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত। ভোট শুরুর প্রথম দুই ঘণ্টায় অর্থ্যাৎ
সকাল ৮ টা থেকে ১০ পর্যন্ত সারাদেশে অঞ্চলভিত্তিক ভোট পড়েছে ৭-৮ শতাংশ।
মঙ্গলবার (২১ মে) সকাল পৌনে ১১ ইলেকশন কমিশনের (ইসি) অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
অতিরিক্ত সচিব বলেন, ‘এই ধাপের ১৫৬ উপজেলায় সকাল ৮টায় সুষ্ঠুভাবে ভোট শুরু হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার ঘটনা ঘটেনি।’
তিনি আরও বলেন, ‘ভোট শুরু হয়েছে মাত্র দুই ঘণ্টা হয়েছে। বিভিন্ন জেলার প্রাপ্ত তথ্যে একেক অঞ্চলে বিভিন্ন হারে ভোট পড়ছে। কোথাও বেশি কোথাও কম। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে এই হার আরও বাড়বে।’
প্রসঙ্গত, ১৫৬ উপজেলায় মোট কেন্দ্রের সংখ্যা ১৩ হাজার ১৬টি। ভোট কক্ষ রয়েছে ৯১ হাজার ৫৮৯। অস্থায়ী ভোট কক্ষ রয়েছে আট হাজার ৮৪১টি। এই ধাপের মোট ভোটার তিন কোটি ৫২ লাখ চার হাজার ৭৪৮ জন। তার মধ্যে পুরুষ ভোটার রয়েছেন এক কোটি ৭৯ লাখ পাঁচ হাজার ৪৬৪ জন। নারী ভোটার রয়েছেন এক কোটি ৭২ লাখ ৯৯ হাজার ৪৭ জন ও তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন ২৩৭ জন।
উপজেলা নির্বাচন প্রথম দুই ঘন্টা ভোটগ্রহণ
মন্তব্য করুন
ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপি ও কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ারুল আজিম আনারের নিখোঁজ রহস্য আরও ঘনীভূত হচ্ছে। ভারতে নিখোঁজ হওয়ার ৬ দিনপরেও তার অবস্থান শনাক্ত করতে পারছে না দুই দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তার নিখোঁজ হওয়ার তদন্ত করতে গিয়ে বেশকিছু বিষয় সামনে চলে এসেছে।
এমপি আনার কি আদৌ ভারতেই আছেন, নাকি দেশে ফিরেছেন এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এখনও দ্বিধাদ্বন্দ্বে রয়েছে। কেননা তার বিরুদ্ধে রয়েছে সোনা চোরাচালান, মাদক কারবার এবং হুন্ডির অভিযোগ। এসব বিষয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের তদন্তের আওতায় নিয়েছে। এছাড়াও, নারীঘটিত কোনো বিষয় রয়েছে কিনা সেটিও তদন্ত করা হচ্ছে। সর্বশেষ ৪ লাখ ২০ হাজার রুপি নিয়ে এমপি আনারের উধাও হয়ে যাওয়া এবং একটি মেসেজ নিখোঁজের রহস্য বাড়িয়ে দিয়েছে।
সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র বলেছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে আনোয়ারুলের বিষয়ে বিক্ষিপ্তভাবে তথ্য আসতে থাকে। এসব তথ্যের ভিত্তিতে সীমান্ত এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অভিযানও চালিয়েছে।
বাংলাদেশ পুলিশের পাশাপাশি কলকাতা পুলিশও এমপি আনোয়ারুল আজিমের নিখোঁজ রহস্য উদঘাটনে তদন্ত শুরু করেছে। কলকাতায় অবস্থিত বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনের অফিস থেকে কলকাতায় অবস্থিত বিদেশমন্ত্রকের শাখায় বিষয়টি জানানো হয়েছে। ওই এমপি কোথায় আছেন তা জানার এবং তাকে উদ্ধার করার জন্যও সাহায্য চাওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ পুলিশের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা জানান, এ নিয়ে দিল্লিতে ভারতের বিদেশমন্ত্রকের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছে বাংলাদেশ হাইকমিশন। কলকাতাতেও পুলিশের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। ইতোমধ্যে সেখানে একটি মিসিং ডায়েরি করা হয়েছে।
এদিকে এমপি আনোয়ারুলের কোনো খোঁজ না পাওয়ায় উদ্বেগ বাড়ছে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে। এমপি আনারের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন জানান, গত ১৪ মে থেকে বাবার সঙ্গে যোগাযোগ নেই। আমরা খুবই টেনশনে আছি। তবে সব উপায়ে চেষ্টা করছি। বাবা নিখোঁজ থাকার বিষয়ে সরকারের ঊর্ধ্বতন পর্যায়ে জানানো হয়েছে। প্রয়োজন হলে আমরা পরিবারের লোকজন কলকাতায় যাব। এরই মধ্যে আনারের ভাতিজাসহ তিনজনকে পশ্চিমবঙ্গে পাঠানো হয়েছে।
সূত্র জানায়, যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার আগে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী আনোয়ারুল আজিম একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে ছিলেন। তিনি ভারতীয় কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে ছিলেন। একটি প্রাইভেট কারে ওঠেন। এরপর থেকেই তার খোঁজ নেই। আনার পশ্চিমবঙ্গের নিউটাউন এলাকায় বন্ধু গোপাল বিশ্বাসের বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। নিখোঁজ হওয়ার দিন সকালেও গোপাল বিশ্বাসের সঙ্গে তার কথা হয়েছে। গোপাল বিশ্বাসকে আনার বলেছিলেন, দুপুরে বাইরে খাবেন। বাসায় ফিরতে রাত হবে। এরপর গোপাল বিশ্বাসের মোবাইল ফোনে একটি এসএমএস আসে যে 'আমি জরুরি কাজে দিল্লি যাব। ২/৩ দিন পর ফিরে এসে যোগাযোগ করব।' পরিবারের সন্দেহ এই বার্তা আনারের লেখা নয়। গোপাল বিশ্বাস এ ব্যাপারে বরানগর থানায় মিসিং ডায়েরি করেছেন।
ঝিনাইদহ এমপি কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
দ্বিতীয় ধাপে উপজেলা পরিষদ
নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে। দেশের ১৫৭ টি উপজেলায় এ ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সকাল ৮
টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে চলবে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত। এদিন ফরিদপুরের নগরকান্দার রামনগর
ইউনিয়নের রাধানগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি বুথে এক ঘণ্টায় ভোট পড়েছে মাত্র
একটি। বাকি বুথগুলোতে ভোটার উপস্থিতি কম।
মঙ্গলবার (২১ মে) সকাল ৯টা ১৫ মিনিটের দিকে সরেজমিনে ওই কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দ্বায়িত্বে নিয়োজিত কর্মীরা অলস সময় পার করছে। মাঝেমধ্যে দুই একজন ভোটার এলে তাদেরকে ভোট কক্ষ দেখিয়ে দিচ্ছেন। এক পুলিশ সদস্যকে বসে বসে ইউটিউবে মোশাররফ করিমের নাটকও দেখতে দেখা গেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, ‘ইউনিয়নের চেয়ারম্যান-মেম্বাররা আমাগো কামে লাগে না। তাই এই নির্বাচন নিয়া আমাগো অত ভাবাভাবি নাই। এইজন্যে মানুষ কম আসতেসে।’
কেন্দ্রের দ্বায়িত্বরত প্রিসাইডিং মোঃ রাজ্জাক তালুকদার বলেন, ‘সকাল ৯টা পর্যন্ত এক ঘণ্টায় ৩ হজার ৩৬৬ ভোটের বিপরীতে ৮৫টি ভোট পড়েছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই হার বাড়বে।’
কৃষি
প্রধান
এলাকা
হওয়ায়
মানুষ
মাঠের
কাজে
গেছেন।
দুপুরের
দিকে
চাপ
বাড়তে
পারে
বলে
জানান
তিনি।
উপজেলা নির্বাচন ভোটার উপস্থিতি
মন্তব্য করুন
এবার বিশ্বের চতুর্থ সর্বোচ্চ শৃঙ্গ লোৎসে জয় করলেন বাংলাদেশি বাবর আলী। মঙ্গলবার (২১ মে) বাংলাদেশ সময় ৬টা ৫ মিনিটে বাবর আলী লোৎসের চূড়ায় দাঁড়ান। লোৎসের উচ্চতা ২৭ হাজার ৯৪০ ফুট (৮ হাজার ৫১৬ মিটার)। বাবর আলীর লোৎসে জয়ের তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন অভিযানের সমন্বয়ক ফরহান জামান। তিনি বলেন, আজ ভোরে বাবর আলী লোৎসে জয় করেছেন। বাংলাদেশের ইতিহাসে বাবর আলীই প্রথম ব্যক্তি যিনি একই অভিযানে দুটি আট হাজার মিটার পর্বত সামিট করেছেন।
দ্বিতীয় ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে। দেশের ১৫৭ টি উপজেলায় এ ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সকাল ৮ টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে চলবে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত। এদিন ফরিদপুরের নগরকান্দার রামনগর ইউনিয়নের রাধানগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি বুথে এক ঘণ্টায় ভোট পড়েছে মাত্র একটি। বাকি বুথগুলোতে ভোটার উপস্থিতি কম।