কক্সবাজারে মানব পাচারকারীদের দৌরাত্ম দিন দিন বেড়েই চলেছে। এতে রোহিঙ্গাসহ স্থানীয়দের মধ্যে উৎকণ্ঠা বাড়ছে। এরই মধ্যে মানব পাচারের সঙ্গে জড়িতদের তালিকা করেছে সরকারি বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা। তালিকায় ৩০ জন রোহিঙ্গা ও ৩০ জন স্থানীয় বাসিন্দার নাম পেয়েছে গোয়েন্দা সূত্র।
তদন্তে উঠে এসেছে মানব পাচারের ভয়ংকর তথ্য। পাচারকারীরা ভুক্তভোগীদের উন্নত জীবনযাপনের আকাশছোঁয়া স্বপ্ন দেখিয়ে সাগর পথে নিয়ে যাওয়ার পর অনেকে ফিরেছেন লাশ হয়ে। পাচারকারী ৬০ জনের ৩০ জনই রোহিঙ্গা সদস্য। আর ভুক্তভোগীদের মধ্যে মিয়ানমারের বাস্তচ্যুত রোহিঙ্গা সদস্যদের সংখ্যাই বেশি।
স্থানীয়দের মধ্যে বাংলাদেশি এই চক্রের অন্যতম সদস্য মোহাম্মদ হোসাইন ওরফে ডাকাত হোসাইন ওরফে দালাল। চক্রের ৬০ জনই মানব পাচারের সিন্ডিকেট বিদেশি নেটওয়ার্কের সঙ্গে জড়িত।
তদন্ত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রোহিঙ্গাসহ বাংলাদেশি মানব পাচারকারী চক্রটি মিয়ানমারের নৌ বাহিনী ও মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিপি) সংশ্লিষ্টতায় এবং সেখানকার দালাল চক্রের মাধ্যমে নৌ পথে প্রথমে থাইল্যান্ড বা ইন্দোনেশিয়া নিয়ে যায়। সেখানে বিমানযোগে বৈধভাবে অন্যান্য দেশে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে আদায় করে লাখ লাখ টাকা। এরপর সেখানে বিদেশ যেতে ইচ্ছুকদের জিম্মি করা হয়।
আকাশপথে নেওয়ার কথা বলা হলেও শেষ পর্যন্ত তাদের ট্রলারে করে থাইল্যান্ড থেকে ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুর পাচার করে সেখানকার দালালদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। যাদের জিম্মি করা হয় তাদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের অর্থের মুক্তিপণ নিয়ে সাগরপথে আশপাশের দেশগুলোতে নিয়ে যাওয়া হয়। ২০১৯ সাল থেকে গত বছর পর্যন্ত ১৯ টি মানব পাচারের মামলা হয়। মামলাগুলোর বিচারিক কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
যে কৌশলে পাচার হয়ে থাকে:
তদন্ত সংশ্লিষ্টরা বলেন, মিয়ানমার থেকে আসা ট্রলার ও কার্গোতে আমদানিকৃত পণ্যসামগ্রী খালাসের পর রপ্তানি যোগ্য পণ্যের জন্য ট্রলার ও কার্গো নাফ নদীর জাইল্লার দ্বীপে নোঙ্গর করে থাকে। মাদক চোরা চালান ও মানব পাচারের সঙ্গে সম্পৃক্ত রোহিঙ্গারা নাফ নদীর জাইল্লার দ্বীপে নোঙ্গরকৃত ট্রলার ও কার্গোর পরিচালকের মাধ্যমে অর্থের বিনিময়ে চুক্তি করে ইন্দোনেশিয়া যাওয়ার জন্য।
গোয়েন্দা সংস্থার তদন্তে তথ্য উঠে এসেছে, তৎকালীন রোহিঙ্গা শরণার্থী পাচারের সঙ্গে জড়িত সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে মামলা ও গ্রেপ্তার হওয়ার পর ২০১৭ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত রোহিঙ্গারা সাগরপথে ট্রলারযোগে থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরে অবস্থানরত তাদের আত্মীয়দের কাছে আশ্রয় নেওয়ার চেষ্টা করেন।
উল্লেখ্য, আশ্রয় শিবিরের জনবসতিপূর্ণ এলাকায় কর্মহীন অবস্থায় বসবাস করায় এবং মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন প্রলম্বিত হওয়ায় আত্মস্বীকৃতি ও কাজের সন্ধান করতে গিয়ে পাচারকারীদের খপ্পরে পড়ে এসব রোহিঙ্গারা। এভাবে কক্সবাজারের টেকনাফ, উখিয়ায় সাগরপথে যাওয়া স্বল্প সংখ্যক রোহিঙ্গা স্বজনদের কাছে পৌঁছাতে পারলেও এদের বেশিরভাগই সমুদ্রে ট্রলার ডুবিতে মারা যান। আবার কেউ কেউ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার ও উদ্ধারও হন।
বর্তমানে বাংলাদেশে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের মধ্যে উন্নত জীবনযাপনের আশায় বিদেশে অবৈধভাবে যাওয়ার প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। রোহিঙ্গাদের একটি অংশ বিভিন্ন উপায়ে বাংলাদেশের পাসপোর্ট সংগ্রহ করে বিদেশ যাওয়ার চেষ্টা করছে। আরেকটি অংশ অবৈধভাবে সমুদ্রপথে বিদেশ গিয়ে কাজের পাশাপাশি বাংলাদেশি পরিচয়ে অবৈধভাবে বসবাস এবং পাসপোর্ট সংগ্রহের চেষ্টা করে থাকে। রোহিঙ্গাদের এমন কার্যকলাপের কারণে সংশ্লিষ্ট দেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে। এতে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের শ্রম বাজারের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে বলেও গোয়েন্দা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা ক্যাম্পের রোহিঙ্গারা বিগত সময়ে মিয়ানমার, থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়া হয়ে ইন্দোনেশিয়া এবং সিঙ্গাপুর যাচ্ছেন। বিদেশে চাকরি প্রত্যাশী যারা যাচ্ছেন সেসব রোহিঙ্গারা দালালদের মাথাপিছু আড়াই থেকে ৩ লাখ টাকা দিয়ে থাকেন। আর টাকা দিয়েও প্রতারণার শিকার হয়েছেন অনেকে।
কারাভোগ শেষে ফিরে এলেন ১৭৩ জন:
প্রায় আড়াই বছর মানব পাচারকারীদের খপ্পরে পড়ে মিয়ানমারের নৌ বাহিনী ও বিজিপির কাছে আটক হয়ে কারাভোগের পর গত বুধবার (২৪ এপ্রিল) ১৭৩ বাংলাদেশিকে ফিরিয়ে দিয়েছে মিয়ানমার সরকার। ১৭৩ জনের মধ্যে ১২৯ জনই কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন থানার, ৩০ জন বান্দরবান জেলার এবং ৭ জন রাঙ্গামাটি জেলার, খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী, নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রাম, রাজবাড়ী, নরসিংদী ও নীলফামারী জেলার বাসিন্দা। তবে পুলিশের ভাষ্য, এই ১৭৩ জন শুধু মানব পাচারকারীদের কাছেই নয় বিভিন্ন কারণে তারা ওই দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে গ্রেপ্তার হয়ে কারাভোগ করেছেন।
গত বুধবার (২৪ এপ্রিল) ১৭৩ জনের মধ্যে কারাভোগের পর দেশে ফিরে আসেন টেকনাফ উপজেলার রাজারছড়া এলাকার মোস্তাক আহমেদের ছেলে নোমানসহ আরও ৫০ জন। তারা মিয়ানমারের নৌবাহিনীর হাতে আটক হয়েছিলেন আড়াই বছর আগে। তারা সমুদ্রপথে ট্রলার করে মালয়েশিয়া যাওয়ার চেষ্টাকালে সেন্টমার্টিন দ্বীপের অদূরে আটক হয়েছিলেন।
ওই ট্রলারে দেশের বিভিন্ন স্থানের আরও ৪৯ জন যাত্রী ছিলেন। তাদের বহনকারী ট্রলারটির ইঞ্জিন বিকল হয়ে বঙ্গোপসাগরে ভাসমান অবস্থায় ছিল। চার থেকে পাঁচ দিন সাগরে ভাসমান থাকার পর মিয়ানমারের নৌ বাহিনী তাদের আটক করে। পরে তাদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়ে সে দেশের কারাগারে পাঠায়। প্রায় আড়াই বছর (৩০ মাস) কারাভোগের পর বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রচেষ্টায় গত ২৪ এপ্রিল স্বদেশে ফেরত আসেন নোমান।
নোমান জানান, উন্নত মানের চাকরির আশায় উনছিপ্রাং এলাকার হোসাইন দালালের প্রলোভনে পড়ে তিনিসহ রামু, মহেশখালী এবং আরও বিভিন্ন এলাকার ৪৯ জন মালয়েশিয়া যেতে চেয়েছিলেন। তাদের আটক করার পর প্রতিদিন এক বেলা খাবার দেওয়া হতো। কারাগারে বিভিন্ন ধরনের নির্যাতনের পাশাপাশি অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েন। ধারণা করা হয়েছিল, কখনো আর ফেরা হবে না দেশে। কিন্তু বাংলাদেশ সরকারের প্রচেষ্টায় দেশে ফিরতে সক্ষম হয়েছে তারা।
একইভাবে নোমানের
মতো
হোসাইন
দালাল
চক্রের
খপ্পরে
পড়েন
হোয়াইক্ষ্যং
এলাকার
বাসিন্দা
রশিদ
আহমদ।
কক্সবাজারে
বিআইডব্লিউটিএ ঘাটে দুই ছেলের
জন্য
অপেক্ষা
করছিলেন
তিনি।
এসময় তিনি
বলেন,
‘আমার
দুই
ছেলে
মুক্তার
আহমেদ
ও
আল
মামুনকে
অল্প
টাকায়
মালয়েশিয়া
নেওয়ার
কথা
বলে
হোসাইন
দালাল
টেকনাফের
বাহারছড়ার
জাহাজপুরা
এলাকা
থেকে
বোটে
তুলে
দেন।
বোটে
কয়েক
দিন
থাকার
পর
মিয়ানমার
সীমান্তে
নামিয়ে
দেয়।
পরে
মিয়ানমারের
সীমান্তরক্ষী
বাহিনী
বিজিপি
তাদের
আটক
করে।
হোসাইন
দালাল
মালয়েশিয়া
পৌঁছে
দেওয়ার
কথা
বলে
দুই
লাখ
টাকা
নেন।
ছেলের
সঙ্গে
কথা
বলতে
চাইলে
তিনি
বিভিন্ন
অজুহাত
দেখান।
পরে
দুই
ছেলে
মিয়ানমার
থেকে
কল
করে
জানায়,
তারা
কারাগারে
আছে।
হোসাইন
দালালের
ঘরে
বেশ
কয়েকবার
গেলেও
উল্টো
আমাকে
হুমকি
দিয়ে
তিনি
বের
করে
দিয়েছিলেন।
তিনি
অনেক
প্রভাবশালী।
তার
এক
ভাগনে
নাকি
মন্ত্রীর
সচিব।’
মানব পাচার রোহিঙ্গা সাগরপথে উন্নত জীবন
মন্তব্য করুন
কাউন্সিলর রোকসানা ইসলাম চামেলী
মন্তব্য করুন
মঙ্গলবার (২১ মে) দুই দিনের সফরে ঢাকায় আসছেন অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওং। গত তিন দশকের মধ্যে অস্ট্রেলিয়ান কোনো পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফর এটি।
সোমবার (২০ মে) অস্ট্রেলিয়ান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে পেনি ওং-এর বাংলাদেশ-সিঙ্গাপুর সফর নিয়ে একটি প্রেস রিলিজ প্রকাশ করেছে।
পেনি ওং বলেন, একটি শান্তিপূর্ণ, স্থিতিশীল ও সমৃদ্ধ ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের লক্ষ্যকে এগিয়ে নিতে আমি এই সপ্তাহে বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুর সফর করতে যাচ্ছি। ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে অস্ট্রেলিয়ার সম্পৃক্ততা বাড়ানোর প্রচেষ্টায় এই প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে যেতে পারব।
অস্ট্রেলিয়ান পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধিসহ জলবায়ু পরিবর্তন, অঞ্চল-ভিত্তিক সামুদ্রিক নিরাপত্তা এবং মানবপাচারের মতো পারস্পরিক বিদ্যমান চ্যালেঞ্জগুলোর বাস্তবমুখী সমাধানের লক্ষ্যে অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশের সঙ্গে একযোগে কাজ করে যাচ্ছে। এই বিষয়গুলো নিয়ে ঢাকায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাসান মাহমুদ ও বাংলাদেশ সরকারের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে আলোচনা করব বলে আশা রাখছি।
তিনি বলেন, অস্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশের জনগণের মধ্যকার সম্পর্ক উল্লেখযোগ্য পর্যায়ে রয়েছে। বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ায় ৫০ হাজারেরও বেশি বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত জনগণ বসবাস করেন। এর পাশাপাশি, বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা ও স্থানীয় জনগোষ্ঠীদের কল্যাণ ও বাস্তবমুখী সুবিধা প্রদানের লক্ষ্যে প্রদেয় অস্ট্রেলিয়ান সরকারের মানবিক সহায়তা কার্যক্রম পরিদর্শন করতে আমি কক্সবাজার যাচ্ছি।
পেনি ওং বলেন, একটি বৃহত্তর বৈশ্বিক প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে অস্ট্রেলিয়া মানবিক সহায়তা কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে, যার মধ্য দিয়ে আমরা বাস্তুচ্যুতিকে মোকাবিলা ও এর দীর্ঘমেয়াদি সমাধান করার চেষ্টা করে যাচ্ছি। রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী একদিন তাদের স্বদেশে ফিরে যেতে পারবে বলেও আশা রাখছি।
পেনি আরও বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে সিঙ্গাপুরে এটি হবে আমার দ্বিতীয় সফর। এই সফরে বাণিজ্য-বিনিয়োগ, সবুজ অর্থনীতির সম্ভাবনা, প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তাসহ পারস্পরিক বিদ্যমান চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করার লক্ষ্যে আমাদের দুই দেশের ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা আরও এগিয়ে নিয়ে যাবার আশা ব্যক্ত করছি।
তিনি বলেন, আমি সিঙ্গাপুরের জ্যেষ্ঠ মন্ত্রী লি সিয়েন লুং এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণানের সঙ্গে আলোচনা করতে যাচ্ছি। পারস্পরিক আস্থা, মর্যাদা ও কৌশলগত লক্ষ্যের ভিত্তিতে সিঙ্গাপুর আমাদের অন্যতম ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও বন্ধু রাষ্ট্র।
অস্ট্রেলিয়া পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকা
মন্তব্য করুন
শেরপুরে হাতি দিয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে পথ আটকে ও বাজারে ঘুরে ঘুরে দোকান
থেকে চাঁদা উত্তোলন করছে কয়েকজন। হাতির পিঠে বসা যুবক হাতি নিয়ে এক দোকান থেকে অন্য দোকানে ঘুরছে। হাতি দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে শুঁড় এগিয়ে দিচ্ছে
সোজা দোকানির সামনে। দোকানি যতক্ষণ র্পযন্ত শুঁড়ের মাথায় টাকা গুঁজে না দিচ্ছেন, ততক্ষণ শুঁড় তুলছে না হাতি। টাকা দিলেই শুঁড় তুলে জানাচ্ছে
সালাম।
এভাবেই প্রতি দোকান থেকে ১০ টাকা থেকে শুরু করে ১০০ টাকা র্পযন্ত নেয়া হচ্ছে। শুধু দোকনই নয়, রাস্তায় চলাচলকারী যানবাহন থামিয়েও তোলা হচ্ছে টাকা। শেরপুর সদর উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজার থেকে এ অভিনব কায়দায় টাকা তুলে নেওয়া হচ্ছে হাতির মাধ্যমে। এ ঝামেলা থেকে মুক্তি পেতে অনেকেই ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে প্রশাসনের কাছে প্রতিকার চাইছেন।
এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে ব্যবসায়ী নন্দন কুমার বলেন, হঠাৎ করেই হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি শুরু করেছে। টাকা দেয়া বিষয়টি খুবই বিরক্তিকর। টাকা না দিলে ঠায় দাঁড়িয়ে থাকে। বেচা-কেনায় ঝামেলা হয়। এই এলাকাটির রাস্তা এমনিতেই সরু। সব সময় জানজট লেগেই থাকে। তার উপর আবার এই ঐরাবতের ঝামেলা। এদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।
রহিম মাওলা নামের এক অটোরিকশা চালক বলেন, রাস্তার মাঝখানে দাঁড়িয়ে হাতিটি শুঁড় এগিয়ে দিয়ে আমার কাছে টাকা চাইলো। টাকা দেইনি তাই সামনে থেকে আর সরে না। বিকট শব্দে শুঁড় নাড়াচাড়া করার পর ভয়েই টাকা দিতে বাধ্য হলাম।
হাতির পিঠে বসা যুবককে প্রশ্ন করলে বলেন, এখন সার্কাস আগের মতো নাই। আমাদের উপার্জন কমে গেছে। হাতি লালন পালন করতে অনেক টাকা খরচ লাগে। হাতি রেখে অন্য পেশায় যেতেও পারি না। তাই মাঝেমধ্যেই খাবার খরচ যোগাতে বের হতে হয়।
এছাড়াও তার দাবি এই প্রাণী দেখে অনেকে আগ্রহী হয়েই দশ-বিশ টাকা দেয়। এছাড়াও এই হাতী শিশুদের আনন্দ দেয় ক্ষতি করেনা। অনেক সময় আমরা শিশুদের হাতীর পিঠে চড়িয়ে আনন্দ দেই।
এ ব্যাপারে শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি এমদাদুল হক বলেন, হাতি দিয়ে চাঁদা তোলার বিষয়টি আমাকে কেউ জানায়নি। এর আগে এখন ঘটনার কথা শুনিনি। তবে এরপর আবারও যদি আসে তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন
বাজারে কৃত্রিমভাবে পণ্যের দাম বাড়ানোর প্রবণতা দেখা যাচ্ছে জানিয়ে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীকে কঠোরভাবে বাজার তদারকির নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বাজার তদারকিতে জোর দিতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি খুব কঠোরভাবে মনিটরিং করার নির্দেশনা দিয়েছেন।
সোমবার (২০ মে) বিকেলে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন এ তথ্য জানান। এর আগে সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
এক ডিমের দামই ১৪ টাকা
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, প্রধানমন্ত্রী আজকে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীকে কঠোরভাবে বলেছেন, বাজার মনিটরিং যেন জোরালোভাবে হয় এবং ভালোভাবে নজর দিতে বলেছেন। বাজারে পণ্য সাপ্লাই যেন ঠিক থাকে।
'কিছু কিছু পণ্যের সরবরাহ ঠিক আছে, সংকট না থাকা সত্ত্বেও বাজারে কৃত্রিম মূল্য বৃদ্ধির প্রবণতা দেখেছেন। সেজন্য কঠোরভাবে যেন বাজার মনিটরিং শুরু করা হয়। প্রধানমন্ত্রী সুনির্দিষ্টভাবে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীকে এ বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছেন।'
ডলারের দাম ৭ টাকা বাড়ানো হয়েছে, তার একটা প্রভাব বাজারে এরইমধ্যে পড়েছে। সেক্ষেত্রে ডলারের দাম বাড়িয়ে বাজার মনিটরিংয়ে নজর দেওয়ার বিষয়টি কতটা যুক্তিসংগত- এমন প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, এই প্রশ্নটা বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীকে করুন। আমি আপনাদের কমিউনিকেট করছি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনাটা। প্রধানমন্ত্রী যে নির্দেশ দিয়েছেন, সে বিষয়ে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীকে একটু কাজ করতে দেন। তারপর ওনাকে এই প্রশ্নটা জিজ্ঞেস করুন। তাহলে হয়ত কিছু জানতে পারবেন।
মন্তব্য করুন
প্রমত্তা যমুনার বুকে এক রেখায় সম্পূর্ণ দৃশ্যমান বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতু। নির্মাণাধীন সেতুটির ৪৯টি স্প্যানের সব বসে যাওয়ার পর গত মাসেই সেতুর ৪.৮ কিলোমিটারের সম্পূর্ণটা দৃশ্যমান হয়েছে। বর্তমানে কিছু জায়গায় চলছে সংযোগের কাজ। সেতু নির্মাণ প্রকল্পের বাকি কাজ শেষ করে চলতি বছরের শেষ নাগাদ উদ্বোধনের প্রস্তুতির লক্ষ্যে বর্তমানে পুরোদমে এগিয়ে চলছে বাকি কর্মযজ্ঞ।
এরই মধ্যে সেতুতে দেড় কিলোমিটার রেললাইন বসানোর কাজ শেষ হয়েছে। তারপর আগামী আগস্টে সেতুটিতে পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচল করবে। এর পরই প্রমত্তা যমুনার বুকে ছুটবে দ্রুতগতির ট্রেন।
ট্রেন চলাচলের জন্য সেতুটি খুলে দেওয়ার পর বাড়বে রেলের সক্ষমতা। সেতুটির মাধ্যমে দেশের পূর্বাঞ্চল রেল ও পশ্চিমাঞ্চল রেল নতুন আঙ্গিকে যুক্ত হবে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, রোদ-বৃষ্টি উপেক্ষা করে বাকি কাজ শেষ করতে প্রকল্প কর্মকর্তাদের তত্ত্বাবধানে অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন শ্রমিকরা। সেহেতু রেললাইন বসানো, বাকি অংশের সংযোগ স্থাপন, টেলিকমিউনিকেশন, স্টেশন নির্মাণসহ সব ধরনের কাজই সমানতালে এগিয়ে চলেছে। সেতুর দুই পারের ১৩ কিলোমিটার সংযোগ রেললাইনের অর্ধেক এরই মধ্যে বসে গেছে।
বঙ্গবন্ধু রেল সেতু প্রকল্পের পরিচালক আল ফাত্তাহ মোঃ মাসুদুর রহমান বলেন, ‘সেতুর কাজ প্রায় শেষ। সেতুর ওপর রেললাইন বসানো শুরু হয়ে গেছে। আগামী ডিসেম্বরে উদ্বোধনের পরিকল্পনা নিয়ে আমরা এখন কাজ করছি।’
বঙ্গবন্ধু রেল সেতু চালু হলে রেলওয়ের পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চলের মধ্যে যোগাযোগের বর্তমান অবস্থা পাল্টে যাবে। মূলত যমুনা নদী রেলওয়ের দুই অঞ্চলকে বিভক্ত করে রেখেছিল।বঙ্গবন্ধু রেল সেতুর পূর্বাংশ থেকে ঢাকা, চট্টগ্রাম পর্যন্ত এলাকা পূর্বাঞ্চল। আর সেতুর পশ্চিমাংশ থেকে রাজশাহী, খুলনাসহ পশ্চিমাঞ্চল।
এই দুই অঞ্চলের রেললাইনের ধরন আলাদা। পূর্বাঞ্চলের রেললাইনের প্রায় পুরোটায় মিটার গেজ ট্রেন চলাচল করে। এই ট্রেনগুলো প্রস্থে ছোট হওয়ায় রেললাইনগুলোও সরু। আর পশ্চিমাঞ্চলের রেললাইনে বেশির ভাগ চলাচল করে ব্রড গেজ ট্রেন। ফলে রেললাইনও বড়।
বিদ্যমান বঙ্গবন্ধু সেতুতে বর্তমানে রয়েছে এক লাইনের রেল ট্র্যাক। এই লাইন দিয়ে খুব ধীর গতিতে ট্রেন চলাচল করে। পূর্ব স্টেশন থেকে একটি ট্রেন ছাড়লে পশ্চিম স্টেশনের ট্রেনকে অপেক্ষায় থাকতে হয়। নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধু রেল সেতু ডুয়াল গেজ রেল সেতু। সেতুটি দিয়ে ব্রড গেজ ও মিটার গেজ দুই ধরনের ট্রেনই চলাচল করতে পারবে। ফলে সেতু পারাপারে অন্য পারে আর ট্রেনকে অপেক্ষায় থাকতে হবে না।
১৯৯৮ সালের ২৩ জুন প্রথমবারের মতো বঙ্গবন্ধু সেতুতে রেল সংযোগ চালু হয়। সেতুটির ওপর দিয়ে বর্তমানে সর্বোচ্চ ৪৩.৭০ কিলো-নিউটন/মিটার ওজন বহনের অনুমতি রয়েছে। ট্রেনে বেশি বগি যুক্ত করার সুযোগও নেই। সঙ্গে রয়েছে এক লাইনের সীমাবদ্ধতা। ফলে বেশি ট্রেন পরিচালনা করা সম্ভব নয়।
রেলের তথ্য মতে, বিদ্যমান বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে বর্তমানে দিনে ৩৮টি ট্রেন চলাচল করছে। নতুন সেতু চালু হলে দিনে চলবে ৮৮টি ট্রেন। বিদ্যমান বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে যেখানে ঘণ্টায় ১৫ থেকে ২০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলাচল করে, সেখানে নতুন এই রেল সেতুতে ব্রড গেজ ট্রেন প্রতি ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার এবং মিটার গেজ ট্রেন ১০০ কিলোমিটার গতিতে চলাচল করতে পারবে। এতে সময়ও বাঁচার পাশাপাশি ট্রেন চলাচলের সময় প্রায় ৩৫ মিনিট কমে আসবে।
একই সঙ্গে নতুন সেতুটি সার্ক, বিমসটেক, সাসেক ও অন্যান্য আঞ্চলিক ও উপ-আঞ্চলিক রেলওয়ে রুট এবং ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ে নেটওয়ার্কের অংশে পরিণত হতে যাচ্ছে। সেই সঙ্গে নানা জটিলতা কাটিয়ে দেশের অভ্যন্তরীণ, আঞ্চলিক, উপ-আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পণ্য পরিবহনের সুযোগ তৈরি হতে যাচ্ছে।'
২০১০ সালের ২৯ নভেম্বর প্রকল্পের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন হলেও মূল কাজ শুরু হয় ২০২০ সালের ১০ আগস্ট। দুই ভাগে অবকাঠামো নির্মাণের কাজ চলমান আছে।
প্রকল্পের অগ্রগতি প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী, গত ১ মে পর্যন্ত নির্মাণ কাজের ভৌত অগ্রগতি হয়েছে ৮৪ শতাংশ। আর আর্থিক অগ্রগতি হয়েছে ৬২.৫ শতাংশ।
সেতুর মোট ৫০টি খুঁটির মধ্যে ৫০টিই বসানোর কাজ শেষ হয়েছে। এই ৫০টি খুঁটির মধ্যে রেলের পশ্চিমাঞ্চলে ২৩টি আর পূর্বাঞ্চলে ২৭টি খুঁটির অবস্থান।
যমুনা নদীর ওপর রেলপথ পুরনো হলেও নতুন করে যুক্ত হতে যাচ্ছে ৩০ কিলোমিটার রেললাইন। বিদ্যমান বঙ্গবন্ধু সেতুর সমান্তরালে নির্মিত হচ্ছে ডুয়াল গেজ ডাবল লাইনের মূল সেতুটি। এর সঙ্গে সেতুর দুই প্রান্তে থাকছে দশমিক ০৫ কিলোমিটার সংযোগ সেতু, ৭.৬৭ কিলোমিটার রেলওয়ে সংযোগ বাঁধ এবং লুপ ও সাইডিংসহ মোট ৩০.৭৩ কিলোমিটার নতুন রেললাইন নির্মাণ করা হচ্ছে।'
জানতে চাইলে পরিবহন ও যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান বলেন, ‘দীর্ঘ মেয়াদে এই রেল সেতু দেশের রেল ব্যবস্থায় প্রভাব রাখবে। কারণ, যমুনা নদী রেল ব্যবস্থাকে দুই ভাগে বিভক্ত করে রেখেছিল। এখন ডুয়াল গেজ লাইন নির্মাণ হওয়ায় ব্রড গেজ ও মিটার গেজ দুই ধরনের ট্রেনই চলাচল করতে পারবে।’
প্রসঙ্গত, নতুন রেল সেতুটি নির্মাণে প্রথমে ৯ হাজার ৭৩৪ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছিল। প্রথম সংশোধনীর পর ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি ৯৫ লাখ ৬৩ হাজার টাকা। এর মধ্যে সরকার দিচ্ছে চার হাজার ৬৩১ কোটি টাকা। আর জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) ঋণ দিয়েছে ১২ হাজার ১৪৯ কোটি টাকা, যা প্রকল্পের ৭২.৪০ শতাংশ।'
বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতু দৃশ্যমান কাজের অগ্রগতি
মন্তব্য করুন
মঙ্গলবার (২১ মে) দুই দিনের সফরে ঢাকায় আসছেন অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওং। গত তিন দশকের মধ্যে অস্ট্রেলিয়ান কোনো পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফর এটি। সোমবার (২০ মে) অস্ট্রেলিয়ান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে পেনি ওং-এর বাংলাদেশ-সিঙ্গাপুর সফর নিয়ে একটি প্রেস রিলিজ প্রকাশ করেছে। পেনি ওং বলেন, একটি শান্তিপূর্ণ, স্থিতিশীল ও সমৃদ্ধ ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের লক্ষ্যকে এগিয়ে নিতে আমি এই সপ্তাহে বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুর সফর করতে যাচ্ছি। ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে অস্ট্রেলিয়ার সম্পৃক্ততা বাড়ানোর প্রচেষ্টায় এই প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে যেতে পারব।
শেরপুরে হাতি দিয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে পথ আটকে ও বাজারে ঘুরে ঘুরে দোকান থেকে চাঁদা উত্তোলন করছে কয়েকজন। হাতির পিঠে বসা যুবক হাতি নিয়ে এক দোকান থেকে অন্য দোকানে ঘুরছে। হাতি দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে শুঁড় এগিয়ে দিচ্ছে সোজা দোকানির সামনে। দোকানি যতক্ষণ র্পযন্ত শুঁড়ের মাথায় টাকা গুঁজে না দিচ্ছেন, ততক্ষণ শুঁড় তুলছে না হাতি। টাকা দিলেই শুঁড় তুলে জানাচ্ছে সালাম।
বাজারে কৃত্রিমভাবে পণ্যের দাম বাড়ানোর প্রবণতা দেখা যাচ্ছে জানিয়ে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীকে কঠোরভাবে বাজার তদারকির নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাজার তদারকিতে জোর দিতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি খুব কঠোরভাবে মনিটরিং করার নির্দেশনা দিয়েছেন। সোমবার (২০ মে) বিকেলে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন এ তথ্য জানান। এর আগে সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
প্রমত্তা যমুনার বুকে এক রেখায় সম্পূর্ণ দৃশ্যমান বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতু। নির্মাণাধীন সেতুটির ৪৯টি স্প্যানের সব বসে যাওয়ার পর গত মাসেই সেতুর ৪.৮ কিলোমিটারের সম্পূর্ণটা দৃশ্যমান হয়েছে। বর্তমানে কিছু জায়গায় চলছে সংযোগের কাজ। সেতু নির্মাণ প্রকল্পের বাকি কাজ শেষ করে চলতি বছরের শেষ নাগাদ উদ্বোধনের প্রস্তুতির লক্ষ্যে বর্তমানে পুরোদমে এগিয়ে চলছে বাকি কর্মযজ্ঞ।